রংপুর-৪ আসন: তিন ব্যবসায়ীর ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস



ফরহাদুজ্জামান ফারুক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রংপুর-৪ আসন: তিন ব্যবসায়ীর ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস, ছবি: বার্তা২৪.কম

রংপুর-৪ আসন: তিন ব্যবসায়ীর ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ঘোষণা হতে পারে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল। এ নির্বাচনকে ঘিরে দলীয় মনোনয়ন পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন সাটানোর পাশাপাশি চলছে গণসংযোগ। টেলিভিশনের টক-শো থেকে শুরু করে পাড়া-মহল্লার চায়ের টেবিল পর্যন্ত নির্বাচনী উত্তাপ ছড়াচ্ছেন বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা। তরুণ-বৃদ্ধ, নবীন-প্রবীণ সবার মুখেই এখন ভোটের আলাপ। সম্ভাব্য প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় সরগরম হয়ে উঠেছে কাউনিয়া ও পীরগাছা উপজেলা নিয়ে গঠিত রংপুর-৪ আসন।

এরশাদের জাতীয় পার্টি ২০০১ সালে এই আসনটিতে জয় পেলেও হাতছাড়া হয়ে যায় ২০০৮ সালের নির্বাচনে। ওই নির্বাচনের পর থেকে এ আসনটি আওয়ামী লীগের দখলে। ২০০১ সালের নির্বাচনে এ আসনে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন জাতীয় পার্টির করিম উদ্দিন ভরসা। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি ছিলেন তারই আপন ভাই বিএনপির রহিম উদ্দিন ভরসা। এখন সিনিয়র ভরসার সন্তানরা বিএনপি ও জাতীয় পার্টির হয়ে রাজনীতিতে নেমেছেন। বিএনপি থেকে এমদাদুল হক ভরসা ও জাতীয় পার্টি থেকে সিরাজুল ইসলাম ভরসা স্বপ্ন বুনছেন লাঙ্গল ও ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে যুদ্ধে মাঠে নামার জন্য।

রংপুর-৪ আসনে এবার নৌকা, লাঙ্গল ও ধানের শীষের সম্ভাব্য প্রার্থীর সংখ্যা বেশি হলেও আলোচনায় রয়েছেন বিশিষ্ট তিন ব্যবসায়ীর নাম। যাদের একজন বর্তমান সংসদ সদস্য বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মুক্তিযোদ্ধা টিপু মুনশি। নৌকা প্রতীক নিয়ে পরপর দুইবার নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। সুযোগ পেলেই নিজের নির্বাচনী এলাকায় আসেন। ছুটে যান সাধারণ মানুষের কাছে। দলের কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদকের দায়িত্ব থাকা টিপু মুনশির বিকল্প আওয়ামী লীগ নেতা এখানে নেই বললেই চলে। এ কারণে টিপু মুনশির বিকল্প কাউকে খুঁজছে না স্থানীয় আওয়ামী লীগ।

এদিকে এক যুগ ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি রাজনীতিতে উজ্জীবিত হওয়ার চেষ্টা করলেও মাঠে নামতে পারছেন না গ্রেফতার আর মামলা ভীতিতে। আর জাতীয় পার্টি মুমূর্ষু অবস্থা থেকে সুস্থ হয়ে সাংগঠনিকভাবে নিজেদের শক্তি জানান দিতে প্রস্তুত হচ্ছেন দলের নেতা-কর্মীদের।

নির্বাচনকে ঘিরে রংপুর-৪ আসনে জাতীয় পার্টি ও বিএনপির মধ্যে একাধিক প্রার্থীর নাম শোনা গেলেও আওয়ামী লীগে রয়েছেন শুধু একজন। তিনি মুক্তিযোদ্ধা টিপু মুনশি। তাকে ঘিরে নেই জোড়ালো কোনো অভিযোগ। দলীয় নেতা-কর্মীদের দাবি, রংপুর-৪ আসনে টিপু মুনশির বিকল্প নেই।

রংপুর-৪ আসনের কাউনিয়ায় হারাগাছ বিড়িশিল্প এলাকা। এখানকার বেশিরভাগ ভোটারই কোনো না কোনোভাবে বিড়িশিল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তাদেরই কয়েকজন আবুল মিয়া, মিজানুর, খয়রাত ও আইনুল ইসলাম।

এই বিড়ি শ্রমিকরা জানান, ভোট এলেই দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়েন এখানকার ভোটাররা। কারণ বেশিরভাগ ভোটার বিড়ি শ্রমিক হওয়ায় মালিকপক্ষের গ্রিন সিগন্যালের ওপর নির্ভর করতে হয় তাদের। বেশিরভাগই ভোটার প্রভাবিত হন মালিকের কথায়।

এই হারাগাছে রয়েছে ভরসা গ্রুপের মালিক বিএনপির প্রবীণ নেতা শিল্পপতি রহিম উদ্দিন ভরসা। তার ছেলে রংপুর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শিল্পপতি এমদাদুল হক ভরসা এবার ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করতে উন্মুখ। সংসদে নতুন মুখ দেখতে তাকে ঘিরে এখানকার অনেক ভোটারও স্বপ্ন দেখছেন। তবে এখানে আওয়ামী লীগেরও কিছু নির্ধারিত ভোট রয়েছে। কারণ হারাগাছ পৌরসভার বর্তমান মেয়র আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতীকে জয়ী হয়েছেন।

এই আসনে বিএনপি থেকে এমদাদুল হক ভরসা ছাড়াও ধানের শীষের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন- জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম রাঙা ও জেলা বিএনপির সদস্য কর্নেল আবদুল বাতেন (অব.)। তবে প্রার্থী হওয়ার দৌঁড়ে এখন পর্যন্ত শিল্পপতি এমদাদুল হক ভরসাই এগিয়ে আছেন।

অন্যদিকে সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হলেও প্রচারণা থেকে পিছিয়ে নেই এরশাদের জাতীয় পার্টি। এখানে এক সময় জাতীয় পার্টির বেশ জনপ্রিয়তা ছিলো। কিন্তু এখন তা নেই বললেই চলে। আর এরশাদ প্রীতি দিনদিন কমছে। এ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোস্তফা সেলিম বেঙ্গল, সাবেক এমপি করিম উদ্দিন ভরসার ছেলে শিল্পপতি সিরাজুল ইসলাম ভরসা এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ মাহবুবুর রহমান। তবে এরশাদের আগাম সিগন্যাল পাওয়ায় নির্বাচনে লাঙ্গল প্রতীকে মোস্তফা সেলিম বেঙ্গলকে দেখা যেতে পারে।

এ আসনে বিএনপির অবস্থানও কিছুটা ভালো। ২০ দলীয় জোটের শরিক দল জামায়াতে ইসলামীর একটি বিরাট সংখ্যক সমর্থক বা ভোটার রয়েছে এখানে। ফলে আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি আর জাতীয় পার্টির প্রার্থীর মধ্যে ত্রিমুখী প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে মনে করছেন স্থানীয় ভোটাররা। শেষ পর্যন্ত কোন ব্যবসায়ীর গলায় উঠবে বিজয়ের মালা, তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

   

তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন

মোংলায় ২ চেয়ারম্যান ও ১ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে জরিমানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বাগেরহাট
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করার দায়ে দুইজন চেয়ারম্যান ও একজন ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীকে মোট ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং মোংলা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. তরিকুল ইসলাম এ জরিমানা করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মো. তরিকুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, বাগেরহাটের মোংলা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনারস প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন এবং গলদা চিংড়ি প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবু তাহের হাওলাদার বড় গেট ও তোরণ বানিয়ে নির্বাচনের প্রচারণা চালিয়ে আসছেন, যা নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন। সে কারণে দুই প্রার্থীকে ১০ হাজার করে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

এছাড়া এ নির্বাচনে টিউবওয়েল প্রতীকের ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী ওবাইদুল ইসলাম হিমেল একটি গাড়িতে দুটি মাইক এবং পৌর শহরের নির্দিষ্ট স্থান ছাড়া পোস্টার ও বড় ব্যানার ঝুলিয়ে নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন। এজন্য তাকেও ৪০ হাজার জরিমানা করা হয়েছে।

জরিমানার পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য এসব প্রার্থীদের সতর্ক করা হয় এবং নির্বাচনি আচরণবিধি যাতে কেউ লঙ্ঘন করতে না পারেন, সেজন্য এ ধরনের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে তৃতীয় ধাপে বাগেরহাটের মোংলা উপজেলায় নির্বাচন হবে আগামী ২৯ মে। এ নির্বাচনে তিনজন চেয়ারম্যান, সাতজন ভাইস চেয়ারম্যান ও তিনজন নারী ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্বাচনে লড়ছেন বলে জানা গেছে।

;

জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে প্রচারণা, চেয়ারম্যান প্রার্থীকে জরিমানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর সৈয়দপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে প্রচারণা করার দায়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফয়সাল দিদার দিপুকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শুক্রবার (১৭ মে) বিকালে নির্বাচনী আচরণবিধি দায়িত্বরত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভূমি আমিনুল ইসলাম ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে এ জরিমানা করেন।

ফয়সাল দিদার দিপু জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক ও সৈয়দপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বিকালে চেয়ারম্যান প্রার্থী ফসয়াল দিদার দিপু জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে তার সমর্থকদের সাথে নিয়ে শহরের বিভিন্ন স্থানে নির্বাচনী প্রচারণা করছিলেন। এসময়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে সত্যতা পেয়ে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।জরিমানার টাকা পরিশোধ না করায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশ আটক করে রেখেছেন দিপুকে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার ভূমি আমিনুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

এবিষয়ে সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নুরই আলম সিদ্দিকী বলেন, একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে জীবন্ত ঘোড়া দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করছিলেন। সেটির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পেয়ে আচরণ বিধি লঙ্ঘনের দায়ে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানার টাকা পরিশোধ না করলে অনাদায়ে এক মাসের জেল দেওয়া হবে।

;

ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা

ফটিকছড়িতে চেয়ারম্যান প্রার্থীর দুই কর্মীকে জরিমানা

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজিম উদ্দিন মুহুরীর দুই কর্মীকে জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম মো. মেজবাহ উদ্দিন জাফতনগর ইউনিয়নে তাদের জরিমানা করেন।

জানা যায়, উপজেলার জাফতনগর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে চেয়ারম্যান প্রার্থী নাজিম মুহুরীর পক্ষে মিনি ট্রাক ও মাইক্রোবাস সহযোগে শোডাউন এবং দুপুর ২টার আগেই মাইক বাজিয়ে প্রচারণা করার অপরাধে মো. জাহের বিন সাব্বির ও মো. মিনহাজ নামের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গে তাৎক্ষণিক ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘দণ্ডের অর্থ আদায় করা হয়। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে মোবাইল কোর্ট চলমান থাকবে।’

;

প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি আহসান



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি আহসান

প্রার্থী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করলে ছাড় দেওয়া হবে না: ইসি আহসান

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহসান হাবিব খান (অব.) বলেছেন, নির্বাচনে কোনো প্রার্থী যদি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা কোনো ঝামেলা করার চেষ্টা করে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। প্রার্থীকে আইনের আওতায় এনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিশোর গ্যাংয়ের পৃষ্ঠপোষকদেরও ছাড় দেওয়া হবে না। 

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বেলা ১১ টায় যশোর জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীগণের সঙ্গে আচরণবিধি ও অন্যান্য বিষয় সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠান শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদরা ভোটারদের কাছে যেতে পারছেন। আর এ যাওয়ার পরিবেশ তৈরি করতে পেরেছে নির্বাচন কমিশন। গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ এবং উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়েছে। সামনের নির্বাচনগুলো আরও ভালো হবে।

নির্বাচন কমিশনার বলেন, এই কমিশন সাংবাদিকদের সুরক্ষায় আইন করেছে। নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করার সময় কেউ যদি সাংবাদিকদের আহত কিংবা ক্যামেরা ভাঙচুর করে তাহলে তার শাস্তি হবে। তবে, নির্বাচনের সময় কিছু মৌসুমি সাংবাদিক হাজির হয়। তারা কারো পক্ষে, আবার কারো বিপক্ষে প্রচার-অপপ্রচার করে। এ বিষয়টির প্রতিও আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। তিনি নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের প্রেসক্লাবের মাধ্যমে যাচাই-বাছাই করে সাংবাদিকদের পাস দেয়ার নির্দেশনা দেন।

উপজেলা নির্বাচনে এমপিদের ভূমিকার বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার আহসান হাবিব খান বলেন, এমপিরা কেবলমাত্র ভোট দিতে পারবেন। তারা কোনো প্রার্থীর পক্ষে প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবেন না।

প্রথম ধাপের নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, সারাদেশে গড়ে ৩৬ শতাংশ ভোটার এসেছে। এটিকে কম বলবো না। ধান কাটা মৌসুম, গরম ও ভোটারদের প্রার্থী দেখে পছন্দ হয়নি বলেই ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কমেছে। তবে, এ অবস্থা উন্নতির দিকে যাচ্ছে। বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা এক সময় বিশ্বে রোল মডেল হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

আরও উপস্থিত ছিলেন, যশোরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবরাউল হাছান মজুমদার, পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, যশোর নির্বাচন অফিসার আনিছুর রহমান প্রমুখ।

;