ভর্তিযুদ্ধ!



ড. মাহফুজ পারভেজ, কন্ট্রিবিউটিং এডিটর, বার্তাটোয়েন্টিফোর
সংগৃহীত ছবি

সংগৃহীত ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষাঙ্গণে ডাক শোনা যাচ্ছে ভর্তি মওসুমের। সরকারি ও বেসরকারি মিলিয়ে শতাধিক উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লক্ষাধিক শিক্ষার্থী ঝাঁপিয়ে পড়বে ভর্তির জন্য। বিষয়টি এতোই কঠিন যে, শিক্ষার মতো একটি মহান প্রচেষ্টার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ভর্তিযুদ্ধ’!

অতীতের অভিজ্ঞতায় বলা যায়, দেশব্যাপী শতাধিক প্রাইভেট ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পাগলের মতো ছোটাছুটি শুরু করবে ভর্তিচ্ছুরা। আজকে ঢাকা, কালকে চট্টগ্রাম, পরশু সিলেট, তারপর দিন রাজশাহী ছুটতে হবে তাদের। সকালে এক নগরে পরীক্ষা সেরেই বিকেলেই আরেক নগরে ধাওয়া করতে হবে ভর্তি নামক সোনার হরিণের সন্ধানে। এমন পরিস্থিতি ‘ভর্তি যুদ্ধ’ নামে অভিহিত ছাড়া উপায় নেই!

ভর্তি, কেবল উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রেই নয়, নিম্নতর স্তরেও রণাঙ্গনে পরিণত হয়েছে। শিক্ষাঙ্গনে লাখ লাখ ভর্তিচ্ছুর বিপরীতে আসন স্বল্পতার কারণে এমন উৎকট ও অসম প্রতিযোগিতার উদ্ভব হওয়াই স্বাভাবিক, যার ফলে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থীই ভর্তির সুযোগ বঞ্চিত হয়। সাধারণ শিক্ষার্থীর সামনেও উচ্চশিক্ষার সুযোগ ও সম্ভাবনা সঙ্কুচিত হয়ে আসে। অনেক মেধাবীই তীব্র প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে ঝরে যাবে। বিষয়টি অতীব দুঃখের ও অনাকাঙ্ক্ষিত।

পরিসংখ্যান বলছে, প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি বছরই স্বল্প আসনের বিপরীতে কমপক্ষে দুই লক্ষাধিক ভর্তিচ্ছু অংশ নেয়। এবারও এর ব্যতয় হবে না। ভর্তিচ্ছুদের সঙ্গে থাকেন আরো কয়েক লাখ উদ্বিগ্ন অভিভাবক। অসম লড়াইয়ে টিকতে ভর্তি পরীক্ষার বাইরেও অনেকে নানা পন্থা গ্রহণ করার চেষ্টা করেন। ফলে প্রকৃত মেধাবীদের সুযোগ করে দেওয়ার লক্ষ্যে চাপ ও প্রভাবমুক্ত, অসুদপায়হীন, নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন করা নিঃসন্দেহে একটি জটিল ও চ্যালেঞ্জিং কাজ।

প্রথমেই আসে নানা দিক থেকে চাপের প্রসঙ্গ, যার সঙ্গে জড়িত রয়েছে ভর্তি বাণিজ্য। ফন্দিবাজ নানা দল ও ব্যক্তি ভর্তি পরীক্ষায় চাপ দেওয়ার একটা সুযোগ খোঁজে। কখনো সফল হয়, কখনো হয় না। ভর্তি করানোর নামে বিভিন্ন পরিচয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগও খবরে আসে।

এছাড়া ভর্তি পরীক্ষায় অসুদপায় অবলম্বনের বিভিন্নমুখী তথ্য পাওয়া যায়। কোথাও প্রশ্ন ফাঁস করা হয়, কোথাও অতি অগ্রসর প্রযুক্তি ব্যবহার করে উত্তর সরবরাহ করা হয়। সিট বণ্টন ও পরিদর্শনের শৈথিল্যের কারণেও কোথাও ভর্তি পরীক্ষার বিশুদ্ধতায় হানি ঘটে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।

অন্যদিকে, হাজার হাজার শিক্ষার্থীর জন্য নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন পরীক্ষার ব্যবস্থা করাও কম ঝুঁকিপূর্ণ নয়। তাদের সঙ্গে আসা বাবা-মায়েদের জন্য কিছু সুযোগ-সুবিধা রাখতে হয়। সামগ্রিকভাবে ভর্তিযজ্ঞ সামাল দিতে সংশ্লিষ্টদের যেমন সতর্ক ও হুঁশিয়ার হতে হয়, তেমনিভাবে তাদের অধিক পরিশ্রমও করতে হয়। ফলে পরিবর্তিত পরিস্থিতির নানা সুযোগ নিয়ে প্রযুক্তি ও কলাকৌশলের মাধ্যমে ভর্তি পরীক্ষায় বিপর্যয় ঘটানোর নানামুখী অপচেষ্টার বিরুদ্ধে সর্বাত্মক প্রচেষ্টার মাধ্যমেই একটি স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য, অবিতর্কিত পরীক্ষা সম্পন্ন করে প্রকৃত মেধাবীদের নির্বাচিত করার ক্ষেত্রে সীমাহীন চ্যালেঞ্জিং দায়িত্ব পালন করতে হয় ভর্তি সংশ্লিষ্টদের।

ভর্তি কার্যক্রমের দায়িত্ব পালনটি কেবল কঠিনই নয়, কখনো মনোযন্ত্রণাদায়কও বটে। কখনো দেখা যায়, পাঁচ বা দশ জন ছাত্র একই নম্বর পেয়েও আসন সঙ্কটের কারণে সবাই ভর্তির সুযোগটি পাচ্ছে না। আবার মাত্র এক বা আধা নম্বরের জন্য শত শত শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ বঞ্চিত হচ্ছে। একই নম্বর পাওয়া বা মাত্র ১/২ নম্বরের বিবেচনায় মেধাবী-অমেধাবী নির্ধারণ করাটাও প্রশ্ন সাপেক্ষ। এমন কাজ কেবল কঠিনই নয়, মানবিক দিক থেকেও বেদনাদায়ক। ভর্তি কার্যক্রমে আসন স্বল্পতার কারণে এ রকম বহু বাস্তব সমস্যা ও অমানবিক পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় সংশ্লিষ্টদের।

প্রসঙ্গত বলা ভালো, কেবল অধিক নম্বর প্রাপ্ত বিদ্যার্থী উৎপাদনই উচ্চশিক্ষার কাজ নয়। কিংবা এক টুকরা কাগজের নাম উচ্চশিক্ষা নয়। শিক্ষার্থীদের আলোকিত মানুষ ও দক্ষ, কর্মমুখী জনশক্তি করাই শিক্ষা বা উচ্চশিক্ষার মূল উদ্দেশ্য। শিক্ষার এই গভীর ও তাৎপর্যপূর্ণ দার্শনিক বক্তব্যকে বাস্তবায়িত করতে মেধাভিত্তিক ও নিয়মতান্ত্রিক-স্বচ্ছ ভর্তি কার্যক্রম একটি জরুরি পূর্বশর্ত। সৎ, পরিশ্রমী, আনন্দময় জীবন ধারণ করে উচ্চশিক্ষার পথে এগিয়ে যাওয়ার পথ রচনা করার প্রাতিষ্ঠানিক জরুরি কর্তব্য সম্পাদনের প্রথম ধাপই হলো ভর্তি পরীক্ষা। এখানে নজরদারি ও সতর্কতার প্রয়োজন সর্বাধিক। গোড়ায় গলদ হলে যেমন কোনো কাজই সঠিক হয় না, তেমনি ভর্তি পরীক্ষায় ত্রুটি থাকলে উচ্চশিক্ষার পরবর্তী পর্যায়গুলোও সুষ্ঠু হবে না।

এ কারণেই ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে সকলের এতো উদ্বেগ ও আগ্রহ। আবার এটাও মনে রাখতে হবে, সব বিষয়েই ‘ফার্স্ট বয়’দের নিয়ে মাতামাতির আড়ালে বহু মানুষের ধারাবাহিক বঞ্চনার প্রতি ঔদাসীন্য যেন প্রতিষ্ঠানকে পেয়ে না বসে। বিষয়টি নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনকেও পীড়া দিয়েছে, যা তিনি তাঁর সাম্প্রতিকতম গ্রন্থ 'দ্য কান্ট্রি অব ফার্স্ট বয়েজ'-এ উল্লেখ করেছেন। তাছাড়া, উচ্চশিক্ষায় মেধাবী শিক্ষার্থী পাওয়ার পূর্বে আমাদের এটাও বিবেচনায় নিতে হবে যে, শিক্ষা বর্তমান যুগে বাণিজ্যিক বিপণনের বস্তুতে পরিণত হয়েছে এবং শিক্ষকরাও ছাত্রদের পাঠ-পরবর্তী জীবন সম্পর্কে উদাসীন। এমন মনোভাব মোটেও কাঙ্ক্ষিত নয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কার্যক্রমের সময় উল্লেখিত পটভূমিটিও মাথায় রাখতে হবে। মেধাবীদের ভর্তি করবো, এটা খুবই ভালো কথা। যারা ভর্তি হতে পারবে না, তাদের ‘অমেধাবী’ সিল মেরে দূরে সরিয়ে দেওয়াও ঠিক হবে না। অমেধাবী বা যারা সুযোগ পাচ্ছে না, তাদের জন্য কিছুই করবো না, এমন পরিস্থিতিও হতে দেওয়া যায় না। স্বল্পসংখ্যক আসনে অতি অল্পই ভর্তি হবে অত্যল্প আসন ও সুযোগের কারণে। বিপুল সংখ্যক যে ভর্তি হতে পারছে না, তাদের কথাও ভাবতে হবে। স্বল্পসংখ্যক মেধাবীকে সুযোগ দিয়ে বিশাল সংখ্যাকে বঞ্চিত ও অবজ্ঞা করার মাধ্যমে হতাশা ও অন্ধকারে ঠেলে দেওয়ার মতো পরিস্থিতি যেন কখনোই সৃষ্টি না হয়। শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে জড়িতদের পাশাপাশি অভিভাবকসমাজ ও সংশ্লিষ্টদের এসব কথাও ভাবতে হবে। নতুন সুযোগ ও ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে যুগের চাহিদাকে বিবেচনায় রেখে।

সামগ্রিকভাবে সংশ্লিষ্টরা এসব বিষয় ভাববেন বলেই সকলে আশা করেন। কারণ, বাংলাদেশকে ডিজিটাল করতে কিংবা অনাগতকালের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার প্রয়োজনে, এমন কি, আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিকসহ সার্বিক অগ্রগতির জন্য সকলের জন্য শিক্ষার দ্বার উন্মুক্ত করা অত্যাবশ্যক। বিপুল জনশক্তিকে মানবশক্তি ও সম্পদে রূপান্তরের প্রধান হাতিয়ারও শিক্ষা। জাতীয় প্রয়োজন ও চাহিদাকে সামনে রেখে সবার জন্য শিক্ষার একটি সম্ভাব্য ছক অবশ্যই নির্ধারণ করতে হবে, যাতে তীব্র প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মেধাবীরা যেমন উচ্চতর স্তরে পৌঁছুবে, তেমনি অন্যরাও যথাযথ স্থান ও সুযোগ বঞ্চিত হবে না। কাউকে বাদ দিয়ে, জায়গা দিতে না পেরে বা অমেধাবী বলে সরিয়ে রাখা হবে না।

বাংলাদেশে বিরাজমান যুদ্ধংদেহী ভর্তি পরীক্ষার অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষাক্ষেত্রে সুযোগ বৃদ্ধি ও বিকাশের চেতনা সবার মধ্যেই আসা অপরিহার্য। পাশাপাশি এটাও লক্ষ্য রাখতে হবে যে, ভর্তি যুদ্ধ যেন রণাঙ্গনের মতো না হয়ে অ্যাকাডেমিক থাকে, সকলের জন্য যেন কম বা বেশি উচ্চশিক্ষার সুযোগ থাকে এবং অসুদপায়ের মাধ্যমে যেন প্রকৃত মেধাবীদের বঞ্চিত না করা হয়। উচ্চশিক্ষার সঙ্গে জড়িতদের কাছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা এটাই কামনা করেন।

   

একাদশ শ্রেণিতে ক্লাস শুরু ৩০ জুলাই, ভর্তি ফি নির্ধারণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছর একাদশ শ্রেণির ক্লাস শুরু হবে আগামী ৩০ জুলাই থেকে। এর আগে ২৬ মে থেকে ১১ জুন পর্যন্ত অনলাইনে চলবে ভর্তি কার্যক্রম।

বৃহস্পতিবার (১৫ মে) প্রকাশিত একাদশ শ্রেণির ভর্তি নীতিমালা ক্লাস শুরু সংক্রান্ত শিডিউল থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এতে বলা হয়েছে, প্রথম ধাপে ভর্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা হবে ২৩ জুন। ভর্তি নিশ্চয়ন করতে হবে ২৯ জুনের মধ্যে। দ্বিতীয় ধাপে ভর্তির আবেদন শুরু হবে ৩০ জুন, চলবে ২ জুলাই পর্যন্ত।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ড জানিয়েছে, দ্বিতীয় ধাপে আবেদন করা শিক্ষার্থীদের ফল প্রকাশ হবে ৪ জুলাই। একইদিন পছন্দক্রম অনুযায়ী প্রথম দফায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের মাইগ্রেশনের ফলও প্রকাশ করা হবে। দ্বিতীয় ধাপে ভর্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থী ভর্তি নিশ্চয়ন শুরু হবে ৫ জুলাই থেকে, চলবে ৮ জুলাই পর্যন্ত।

তৃতীয় ধাপে ভর্তির আবেদন শুরু হবে ৯ জুলাই থেকে, চলবে ১০ জুলাই পর্যন্ত। দ্বিতীয় ধাপের মাইগ্রেশন এবং তৃতীয় ধাপের ফল প্রকাশিত হবে ১২ জুলাই। তৃতীয় ধাপের ভর্তি নিশ্চয়ন করতে হবে ১৩ থেকে ১৪ জুলাইয়ের মধ্যে।

সকল ধাপে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের ভর্তি শুরু হবে ১৫ জুলাই থেকে, চলবে ২৫ জুলাই পর্যন্ত। আর ক্লাস শুরু হবে ৩০ জুলাই থেকে।

নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, ঢাকা মহানগরের এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ ৫ হাজার টাকা এবং মহানগরের বাইরের এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ ৩ হাজার টাকা ভর্তি ফি হিসেবে নিতে পারবে। জেলা সদর ও উপজেলার এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান যথাক্রমে ২ হাজার ও ১ হাজার ৫০০ টাকা ভর্তি ফি নিতে পারবে।

ঢাকা মহানগরের নন-এমপিও বাংলা ভার্সন স্কুল সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৫০০ টাকা এবং নন-এমপিও ইংরেজি ভার্সন স্কুল সর্বোচ্চ ৮ হাজার ৫০০ টাকা ভর্তি ফি নিতে পারবে। মহানগরের বাইরের নন-এমপিও বাংলা ভার্সন স্কুল ভর্তি ফি হিসাবে ৫ হাজার টাকা এবং ইংরেজি ভার্সন স্কুল ৬ হাজার টাকা নিতে পারে।

উল্লেখ্য, এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল গত রোববার (১২ মে) প্রকাশিত হয়েছে। 

;

বিদেশ নির্ভরতা কমাতে মানসম্মত উচ্চশিক্ষার তাগিদ ইউজিসির



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেছেন, উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে মানসম্মত উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে স্বনির্ভরতা অর্জনের মাধ্যমে বিদেশ নির্ভরতা কমিয়ে আনতে হবে।

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) সভাকক্ষে মঙ্গলবার (১৪ মে) ইউজিসি’র আয়োজনে দিনব্যাপী এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহবান জানান।

পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) কার্যক্রম পরিবীক্ষণ ও প্রমাণক ব্যবস্থাপনা এবং ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের খসড়া কর্মপরিকল্পনা পর্যালোচনা ও ফিডব্যাক প্রদান সংক্রান্ত কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রফেসর আলমগীর বলেন, আর স্বনির্ভরতা অর্জনে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বর্তমান সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম বা যুগোপযোগী শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।

তিনি দেশে বেকার সমস্যার সমাধানে শিক্ষার্থীদের বৈশ্বিক শ্রমবাজার উপযোগী করে গড়ে তোলা, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পাঠ্যক্রম হালনাগাদ করাসহ উচ্চশিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নের পরামর্শ দেন। ইন্টারনেটের সুবিধা নিয়ে শুধু লাইক, কমেন্টস ও শেয়ারের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে নিজেদের সক্ষমতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দেন।

ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কুয়েটের উপাচার্য প্রফেসর ড. মিহির রঞ্জন হালদার।

এছাড়া, কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন কুয়েটের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. সোবহান মিয়া। অনুষ্ঠানে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহবুবুর রহমান এপিএ বাস্তবায়নে নানা অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।

কুয়েটের উপাচার্য প্রফেসর মিহির রঞ্জন হালদার বলেন, এপিএ চুক্তি বাস্তবায়নের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মাধ্যমে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রতিযোগিতামূলক কাজের পরিবেশ তৈরি এবং ভালো কাজের পুরস্কারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি আগামী অর্থবছরে এপিএ বাস্তবায়নে ভালো করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

;

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু ২৬ মে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রোববার চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ১৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ শিক্ষার্থী। তাদের সামনে এখন ভালো কলেজের ভর্তি হওয়ার স্বপ্ন। এদিকে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ফলের ভিত্তিতে অনলাইনে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি নেওয়া হবে। সেই ভর্তি কার্যক্রম শুরু হতে পারে ২৬ মে।

ভর্তি তারিখ, ফিসহ আনুষ্ঠানিক নানা বিষয় চূড়ান্ত করতে আজ সোমবার (১৩ মে) বৈঠকে বসছে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষা বোর্ড সংশ্লিষ্টরা। এবারও ভর্তির জন্য কোনো পরীক্ষা হবে না। কেবল অনলাইনে আবেদন নেওয়া হবে এবং নম্বরের ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এবার বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন আসছে না। তবে ফল প্রকাশের প্রক্রিয়ায় কিছু পরিবর্তন আসতে পারে।

এবার হাইকোর্টের নির্দেশনা মেনে মিশনারি পরিচালিত নটরডেম, হলিক্রস ও সেন্ট জোসেফ কলেজ লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি করবে।
জানা গেছে, শিক্ষার্থীরা অনলাইনে নির্ধারিত ওয়েবসাইটে (www.xiclassadmission.gov.bd) একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন করতে পারবে। অনলাইন ছাড়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ম্যানুয়ালি ভর্তির আবেদন নেওয়া হবে না। একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবে তার মধ্য থেকে তার মেধা, কোটা ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটি কলেজে তার অবস্থান নির্ধারণ করা হবে।

তবে যেসব শিক্ষার্থী বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন হিসেবে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে, তারা বোর্ডে ম্যানুয়ালি ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। প্রবাসীদের সন্তান ও বিকেএসপি থেকে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য বোর্ডে ম্যানুয়ালি আবেদন করতে পারবে। এক্ষেত্রে বোর্ড প্রমাণপত্র যাচাই-বাছাই করে শিক্ষার্থীকে ভর্তির ব্যবস্থা নেবে।
অনলাইনে আবেদন

অনলাইনে আবেদনের জন্য নির্ধারিত ওয়েবসাইটে একাদশ শ্রেণির ভর্তির আবেদন করা যাবে। অনলাইন ছাড়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ম্যানুয়ালি ভর্তির আবেদন নেওয়া হবে না। আবেদন ফি দিয়ে সর্বনিম্ন পাঁচটি এবং সর্বোচ্চ দশটি কলেজে পছন্দ দিতে হবে। একজন শিক্ষার্থী যতগুলো কলেজে আবেদন করবে এর মধ্য থেকে তার মেধা, কোটা ও পছন্দক্রমের ভিত্তিতে একটি কলেজে তার অবস্থান নির্ধারণ করা হবে।

নির্বাচিত শিক্ষার্থীকে ৩৩৫ টাকা দিয়ে প্রাথমিকভাবে ভর্তি নিশ্চিত করতে হবে। আগে প্রাথমিক নিশ্চায়ন ফি ছিল মোট ৩২৮ টাকা। রেজিস্ট্রেশন ফি ৭ টাকা বাড়িয়ে ১৩৫ টাকা থেকে ১৪২ টাকা করায় মোট ফি বেড়েছে।

যারা ম্যানুয়ালি আবেদন করবে

পুরো ভর্তি প্রক্রিয়া অনলাইনে হলেও বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট বোর্ডে ম্যানুয়ালি ভর্তির জন্য আবেদন করতে পারবে। প্রবাসীদের সন্তান অথবা বিকেএসপি থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী অথবা খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে বিভাগীয় অথবা জাতীয় পর্যায়ে অসামান্য অবদানের জন্য পুরস্কারপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য বোর্ডে ম্যানুয়ালি আবেদন করতে পারবে। এক্ষেত্রে বোর্ড উপযুক্ত প্রমাণপত্র যাচাই-বাছাই করে শিক্ষার্থী ভর্তির ব্যবস্থা করে দেবে।

গ্রুপ নির্বাচন যেভাবে

বিজ্ঞান গ্রুপ থেকে এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা উচ্চ মাধ্যমিকে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের যেকোনো একটি নির্বাচন করতে পারবেন। মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণরা এ দুই গ্রুপের যেকোনো একটি নির্বাচন করতে পারবেন। দাখিল উত্তীর্ণ বিজ্ঞান গ্রুপের শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের যেকোনো একটি ও সাধারণ গ্রুপ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা গ্রুপের যেকোনো একটি নির্বাচন করতে পারবেন। ভর্তির জন্য কোনো পরীক্ষা হবে না, শিক্ষার্থীদের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে ভর্তি করা হবে।

ভর্তিতে ৭ শতাংশ কোটা বহাল থাকছে

একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে মোট শূন্য আসনের ৯৩ শতাংশ মেধা কোটা হিসেবে বিবেচিত হবে। এসব শূন্য আসন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। বাকি ৭ শতাংশের মধ্যে ৫ শতাংশ বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য এবং ২ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও অধীন দপ্তর/সংস্থায় কর্মরত কর্মকর্তা/কর্মচারী সন্তানদের জন্য রাখা হয়েছে। এসব আসনে শিক্ষার্থী না থাকলে তা মেধা কোটায় বিবেচিত হবে। কোটার ক্ষেত্রে আবেদনকারী সংখ্যা বেশি হলে মেধার ভিত্তিতে তালিকা করতে হবে।

;

এসএসসির খাতা চ্যালেঞ্জ শুরু, যেভাবে করবেন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রোববার চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে গড় পাসের হার ৮৩.০৪ শতাংশ। প্রকাশিত ফলাফলে কারও কাঙ্ক্ষিত ফল না এলে সে পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন বা খাতা চ্যালেঞ্জ করতে পারবেন। এ কার্যক্রম আজ (সোমবার) থেকে শুরু হয়ে চলবে ১৯ মে পর্যন্ত।

রোববার ফল প্রকাশের পর আন্তঃশিক্ষাবোর্ডের সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর তপন কুমার সরকার ঢাকা পোস্টকে বলেন, সোমবার থেকে পুনর্নিরীক্ষণ আবেদন শুরু হবে, চলবে ১৯ মে পর্যন্ত।

তিনি জানান, ফলাফলে কেউ সংক্ষুব্ধ বা অসন্তুষ্ট হলে তিনি চাইলে পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন করতে পারবেন। অনলাইনে মাধ্যমে ঘরে বসেই তিনি এ আবেদন করতে পারবেন। পরে বোর্ড তার খাতা যাচাই-বাছাই করে দেখে আবেদন নিষ্পত্তি করবেন।

আবেদনের উপায়: প্রার্থীরা শুধু টেলিটক প্রি-পেইড মোবাইল ফোন নম্বর থেকে পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ জন্য প্রথমে মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে RSC <Space> বোর্ডের নামের প্রথম তিন অক্ষর <Space> রোল নম্বর <Space> বিষয় কোড লিখে 16222 নম্বরে Send করতে হবে।

এরপর ফিরতি এসএমএস-এ আবেদনের জন্য কত টাকা কেটে নেয়া হবে সেটি জানিয়ে একটি পিন দেয়া হবে। এতে প্রার্থী সম্মত থাকলে মেসেজ অপশনে গিয়ে RSC <Space> Yes <Space> PIN <Space> Contact Number (যে কোনো অপারেটর) লিখে 16222 নম্বরে Send করতে হবে।
ফল পুনর্নিরীক্ষণের ক্ষেত্রে একজন প্রার্থী একই এসএমএস’র মাধ্যমে একাধিক বিষয়ের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এ জন্য কমা (,) দিয়ে বিষয় কোড আলাদা লিখতে হবে। উদাহরণ হিসেবে ঢাকা বোর্ডের একজন শিক্ষার্থী বাংলা ও ইংরেজি দুটি বিষয়ের জন্য টেলিটক প্রি-পেইড মোবাইলের মেসেজ অপশনে গিয়ে লিখবে RSC <Space> Dha <Space> Roll Number <Space) 101, 102, 107, 108। প্রতিটি পদের জন্য ১২৫ টাকা করে কেটে নেয়া হবে অ্যাকাউন্ট থেকে।

পুনর্নিরীক্ষণে খাতার চার বিষয় দেখা যায়: শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তারা এ ব্যাপারে জানিয়েছেন, পুনর্নিরীক্ষণ করলে একজন শিক্ষার্থীর খাতা পুনরায় মূল্যায়ন করা হয় না। পুনর্নিরীক্ষণের জন্য আবেদন করলে প্রার্থীর উত্তরপত্রের চারটি দিক দেখা হয়। এসব হলো―উত্তরপত্রের সব প্রশ্নের নম্বর সঠিকভাবে দেয়া হয়েছে কিনা, প্রাপ্ত নম্বর গণনা ঠিক হয়েছে কিনা, প্রাপ্ত নম্বর ওএমআর শিটে উঠানো হয়েছে কিনা এবং প্রাপ্ত নম্বর অনুযায়ী ওএমআর শিটের বৃত্ত ভরাট করা হয়েছে কিনা। এই চারটি বিষয় পরীক্ষা করেই পুনর্নিরীক্ষার ফল দেয়া হয়। এই চার ক্ষেত্রে কোনো ধরনের ভুল-ত্রুটি থাকলে তা সংশোধন করে ফের ফল প্রকাশ করা হয়।

;