স্থায়ী ক্যাম্পাসে না যাওয়া ৪ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বন্ধ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে না যাওয়ায় চার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। এছাড়া স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তরে ছয়টি বিশ্ববিদ্যালয়কে তিন মাস এবং ছয়টিকে নতুন করে ছয় মাসের সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।

তবে বাড়ানো এই সময়ের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে না গেলে শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধসহ কঠোর ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউজিসি।

সোমবার (২ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ জানান, নির্ধারিত সময়ে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়ার শর্ত পূরণ না হওয়ায় আইনের বিধান অনুযায়ী চার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যায়ের ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তারা নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে না। চলতি মাস থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। এর আগে গতকাল রবিবার ইউজিসির এক জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।

এদিকে নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ হওয়ার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে চার বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ। তাদের ভাষ্য, নতুন শিক্ষার্থী ভর্তি বন্ধ হলে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা অসম্ভব হয়ে পড়বে।

তিনি বলেন, আইন অনুযায়ী একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে ভর্তি কার্যক্রমের জন্য সাত বছরের অনুমতি দেয়া হয়। এরপর তা সর্বোচ্চ আরও পাঁচ বছর বৃদ্ধি করা যায়। এই ১২ বছরের মধ্যে তাদের স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে হয়। যারা স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে পারেনি বা ব্যর্থ হয়েছে শিক্ষা কার্যক্রমসহ সব কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। এটা আইনে স্পষ্ট লেখা আছে।

যে চার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে না সেগুলো হলো- স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, আশা ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, প্রাইম এশিয়া ইউনিভার্সিটি ও ভিক্টোরিয়া ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।

এছাড়া স্থায়ী ক্যাম্পাস ছাড়া শিক্ষার্থী ভর্তি করতে পারবে না মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।

২০২২ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাস স্থাপনে পিছিয়ে থাকা তালিকাভুক্ত ১৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ১২টি প্রতিষ্ঠানের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে। কারও ইন্ট্রেরিয়ার ডিজাইন, কারও বিদ্যুৎ ও গ্যাস সংযোগ, কারও আসবাবপত্র কেনা বাকি রয়েছে।

এমন ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়কে নতুন করে তিন থেকে ছয়মাস পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে তাদের একাডেমি ও প্রশাসনিক সব কার্যক্রম স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তর করতে নির্দেশনা দেওয়া হবে। না গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে ইউজিসি।

তিনমাস সময় বাড়ানো হয়েছে এমন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো- ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, রয়্যাল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা, সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি, সিটি ইউনিভার্সিটি, দ্য মিলেনিয়াম ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস।

আর ৬ মাস সময় পেয়েছে এমন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো- ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ (ইউডা), গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, উত্তরা ইউনিভার্সিটি, প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটি, দ্য পিপলস ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।

   

বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর বিধিমালা সংশোধনের দাবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা
কিন্ডারগার্টেন নিবন্ধন নীতিমালা শিথিলের দাবিতে মানববন্ধন। ছবি : সংগৃহীত

কিন্ডারগার্টেন নিবন্ধন নীতিমালা শিথিলের দাবিতে মানববন্ধন। ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগের প্রণীত ‘বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বিধিমালা ২০২৩’ সংশোধনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ কিন্ডারগার্টেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ অ্যাসোসিয়েশন।

জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) কিন্ডারগার্টেন নিবন্ধন নীতিমালা শিথিল করার দাবিতে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে সংগঠনটির নেতারা বলেন, ‘বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রাক-প্রাথমিক থেকে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত প্রায় ৪ কোটি শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। এর মধ্যে প্রায় আড়াই কোটি শিক্ষার্থী বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পড়ছে। বিশেষ করে ৫৩ হাজার কিন্ডারগার্টেন প্রায় ৮ লাখ শিক্ষক এবং প্রায় ৪০ লাখ পরিবার এ সেক্টরের উপর নির্ভরশীল। এই সেক্টরের পড়াশোনার মান যেমন ঈর্ষণীয়, তেমনি শিক্ষা উদ্যোক্তার মাধ্যমে বেকারত্ব নিরসনেও গুরুত্বপূর্ণ বূমিকা রাখছে। তাই আমরা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বিধিমালা ২০২৩ সংশোধনের দাবি জানাচ্ছি।’

নেতারা আরো বলেন, বাংলাদেশে প্রায় ৫৩ হাজারের বেশি ব্যক্তি মালিকানাধীন কিন্ডারগার্টেন ও সমমনা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যে প্রতিষ্ঠানগুলো শুধু শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সামান্য বেতন নিয়ে ভাড়া বাড়িতে পরিচালিত হচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিভাগ প্রণীত 'বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বিধিমালা ২০২৩-এর নতুন সংশোধনীর কথা গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখা যাচ্ছে।

বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ কিন্ডারগার্টেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের দাবিগুলো হলো, কিন্ডারগার্টেন প্রতিষ্ঠানগুলো কিন্ডারগার্টেন স্কুল নামে নিবন্ধন করা, শিক্ষক নিয়োগবিধি শিথিল করা অথবা শিক্ষকদের বেতন সরকারি তহবিল থেকে প্রদান করা এবং কিন্ডারগার্টেন স্কুল নীতিমালা প্রণয়নে কিন্ডারগার্টেন স্কুলের প্রতিনিধি রাখা।

বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম খন্দকারের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও উপস্থিত ছিলেন কিন্ডারগার্টেন ও সমমনা স্কুল রক্ষা জাতীয় কমিটির সাবেক প্রধান সমন্বয়কারী মোহাম্মদ আব্দুল অদুদ, বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন স্কুল অ্যান্ড কলেজ অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব জি এম জাহাঙ্গীর কবির রানা প্রমুখ।

;

দেশব্যাপী বিজ্ঞান জাদুঘরের বিজ্ঞান শিক্ষা কর্মসূচি জোরদার



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
দেশব্যাপী বিজ্ঞান জাদুঘরের বিজ্ঞান শিক্ষা কর্মসূচি জোরদার

দেশব্যাপী বিজ্ঞান জাদুঘরের বিজ্ঞান শিক্ষা কর্মসূচি জোরদার

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের উদ্যোগে ব্যাপকভাবে ভ্রাম্যমাণ বিজ্ঞান শিক্ষার আয়োজন করা হয়েছে। ওই কর্মসূচির আওতায় ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট গার্লস পাবলিক স্কুল এণ্ড কলেজে প্রায় ৪ হাজার শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে বিজ্ঞান জাদুঘরের বিজ্ঞান শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

এতে সংস্থার ৪ টি আধুনিক বৈজ্ঞানিক উপকরণ সমৃদ্ধ মিউজিয়াম বাস অংশগ্রহণ করে। এর আগে গত ৩ আগস্ট মর্নিং গ্লোরি স্কুল এন্ড কলেজ, সেনা পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, ৪ ও ৫ আগস্ট বগুড়া পুণ্ড্র ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি, ৬ আগস্ট সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ২৭ আগস্ট বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, ৩০ আগস্ট শেরেবাংলা নগর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রায় ৮ হাজার শিক্ষার্থীর উপস্থিতি ভ্রাম্যমাণ বিজ্ঞান শিক্ষা কার্যক্রম ও টেলিস্কোপ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।

এ প্রসঙ্গে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের মহাপরিচালক মোহাম্মাদ মুনীর চৌধুরী বলেন, ‘দেশব্যাপী এ বিজ্ঞান শিক্ষা কর্মসূচি ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করছে। পুঁথিগত জ্ঞানের সমান্তরালে বিজ্ঞান জাদুঘরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা শিক্ষার্থীদের কাছে বিজ্ঞানকে শিক্ষণীয় ও আকর্ষণীয়ভাবে উপভোগ্য করে তুলছে, যা তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বিজ্ঞান শিক্ষার প্রতি ক্রমাগত আকর্ষণ সৃষ্টি করছে। সারাদেশ থেকে অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাদুঘরের এ ভ্রাম্যমাণ কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হচ্ছে। সম্প্রতি প্রায় ৮ হাজার শিক্ষার্থী এ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছে। ভবিষ্যতে বিজ্ঞান জনপ্রিয়তা বৃদ্ধিতে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ এ কর্মসূচি সম্প্রসারণ করবে।’

;

হাতের লেখায় সেলিব্রেটি স্কুলছাত্রী



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
হাতের লেখা তাকে সেলিব্রিটি বানিয়েছে

হাতের লেখা তাকে সেলিব্রিটি বানিয়েছে

  • Font increase
  • Font Decrease

সেলিব্রিটি হওয়ার জন্য কত জন কত কিছুই না করেন। সেখানে সেলিব্রিটি হতে নয় পড়াশোনায় ভাল রেজাল্টের তাগিদেই নিজের হাতের লেখা সুন্দর করার অভ্যাস গড়ে তোলেন এক স্কুলছাত্রী। আর তার এ হাতের লেখায় তাকে সেলিব্রিটি বানিয়ে দিয়েছে।

প্রত্যেক মানুষের হাতের লেখার স্টাইল আলাদা। কেউ খুব সুন্দর করে গুছিয়ে লিখতে পারেন। কারও আবার লিখতে গিয়ে লেখা জড়িয়ে যায়, উঁচু-নিচু কিংবা লাইন এঁকে বেঁকে যায়। সুন্দর হাতের লেখার জন্য শিক্ষকদেরও প্রশংসা পাওয়া যায়।

শুধু হাতের লেখা দিয়েই সেলিব্রিটি হয়েছেন নেপালের এক স্কুলছাত্রী প্রকৃতি মাল্য। এই হাতের লেখা দেখলে মনে হয় যেন কম্পিউটারে টাইপ করা। তার হাতের লেখাই নেপালে সবচেয়ে সুন্দর হাতের লেখা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।

বর্তমানে প্রকৃতির বয়স ১৬ বছর। তার বয়স যখন ১৪ বছর সে সময়ই তা অসাধারণ হাতের লেখার জন্য স্যোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হন। তার অসাধারণ হাতের লেখা দেখে মুগ্ধ হয় গোটা বিশ্ব। সে তখন নেপালের সৈনিক ওয়াসিয়া মহাবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী।

সেসময় তার একটি হাতের লেখা স্যোশাল মিডিয়ায় দিলে তা মুহূর্তে ভাইরাল হয়ে যায়। গোটা বিশ্বের নেটিজেনরা পোস্ট দেখে লাইক, কমেন্ট করতে থাকেন। রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে যান প্রকৃতি ও তার হাতের লেখা। প্রকৃতির হাতের লেখা সকলের সামনে আসার পরে হাতের লেখা বিশেষজ্ঞরাও রীতিমতো বিস্মিত।

প্রকৃতি মাল্যের হাতের লেখা দেখে বিশেষজ্ঞরা বলেন, তার প্রত্যেকটি লেখার মাঝখানের ফাঁকা জায়গা গুলো প্রত্যেকটি সমান। তার লেখা প্রায় নিখুঁত। আর তাই তার এই লেখা শুধু নেপাল নয় হয়তো সারা বিশ্বে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে সেরা লেখা।

প্রকৃতির হাতের লেখাকে স্বীকৃতি দিয়েছেন নেপাল সরকার। বলা হয়েছে, নেপালের সেরা হস্তাক্ষর এটি। নেপাল সশস্ত্র বাহিনীও তাকে পুরস্কৃত করেছে। সোশ্যাল মিডিয়ার দৌলতে তিনি এখন সকলের কাছে সেলিব্রিটি।

;

১৮ জন প্রধান শিক্ষককে নোটিশ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার



স্টাফ করেসপনডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ৫০তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগীতা প্রস্তুতিমূলক সভায় অংশ না নেওয়ায় ১৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও দাখিল মাদরাসার সুপারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, ৫০তম গ্রীস্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগীতা উপলক্ষে গত ২৪ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে প্রস্তুতিমূলক সভার আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোছাঃ নার্গিস আক্তার। সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ বেলাল হোসেন। সভায় উপজেলার মাধ্যমিক ও দাখিল মাদরাসার ১৮ জন প্রধান শিক্ষক ও সুপারগণ কোনো কারণ ছাড়াই অনুপস্থিত ছিলেন। 

এ বিষয়টি নিয়ে সভায় উপস্থিত অতিথিবৃন্দ ও অন্যান্য প্রধান শিক্ষক এবং সুপারদের মাঝে নানা আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে গত রবিবার (২৭ আগস্ট) সভায় অনুপস্থিত ১৮ জন প্রধান শিক্ষক/সুপার উপস্থিত না থাকার মর্মে ব্যাখা চেয়ে ৭ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান।

নোটিশে আরও বলা হয়, ৭ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোতে না পারলে বা সন্তোষজনক জবাব না পেলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বিভাগীয় ঊধ্বর্তন কর্মকর্তাদের কাছে সুপারিশ করা হবে। কারণ দর্শানো নোটিশের বিষয়ে জানতে চাইলে একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও সুপার নানা অজুহাতে এড়িয়ে যায়।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন, গত ২৪ আগস্ট ৫০তম গ্রীষ্মকালীন জাতীয় ক্রীড়া প্রতিযোগীতা (খেলাধুলা) প্রস্তুতি সভায় যেসকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও সুপার উপস্থিত ছিলেন না, তাদেরকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশের সন্তোষজনক জবাব না পেলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

;