বাজেট বাস্তবায়ন খুবই দুরূহ হবে: বিল্ড



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবায়ন করা সরকারের জন্য খুবই দুরূহ হবে বলে অভিমত প্রকাশ করেছে ব্যবসার পরিবেশ উন্নয়ন বিষয়ক পরামর্শক সংস্থা বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্ট (বিল্ড)।

শুক্রবার (১২ জুন) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় এ অভিমত প্রকাশ করে সংস্থাটি।

বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বিল্ড বলেছে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এবং স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি সুস্পষ্ট ইঙ্গিত প্রদানে সরকারকে জরুরি ভিত্তিতে ‘কোভিড-১৯ পুনরুদ্ধার পরিকল্পনা’ ও একটি সুপরিকল্পিত এক্সিট পলিসি নিয়ে হাজির হতে হবে। অন্যথায় প্রবৃদ্ধি ধরে রাখা এবং এলডিসি থেকে উত্তোরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন কঠিন হবে।

এবারের বাজেটে সরকারের পরিকল্পনার চারটি মূল খাত হলো: স্বাস্থ্য, শিক্ষা, কৃষি ও কর্মসংস্থান; যেগুলো খুবই সুচিন্তিতভাবে বাছাই করা হয়েছে। এই খাতগুলোর জন্য ঘোষিত নীতিমালা বাস্তবায়ন এবং প্রাক্কলিত বাজেটের সঠিক ব্যয় অতীব প্রয়োজন। প্রবৃদ্ধির ধারা বজায় রাখতে এবং সফলতা ধরে রাখতে বাজেট ব্যবস্থাপনায় থাকতে হবে নৈতিকতা এবং বাস্তবমুখিতা।

প্রতিক্রিয়ায় আরও বলা হয়, সরকার এরই মধ্যে বেশকিছু প্রশংসনীয় নীতিমালা গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে: করমুক্ত আয়ের সীমা বৃদ্ধি, কাঁচামাল আমদানিতে অগ্রিম কর হ্রাস, রাজস্ব করের সীমা বৃদ্ধি, রাজস্ব করহার হ্রাস, সামাজিক নিরাপত্তা ও কল্যাণ খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি, সিগারেট ও মোবাইল কল রেটের ওপর সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি এবং পিপিইসহ অন্যান্য মেডিকেল পণ্যের জন্য শুল্ক হ্রাস। যেসব প্রস্তুতকারক পিপিই, সার্জিক্যাল মাস্ক ও এ সংক্রান্ত অন্যান্য পণ্য রফতানিতে আগ্রহী তাদের জন্য সরকারকে বিশেষ সহায়তার হাত সম্প্রসারিত করতে হবে। রফতানি বৈচিত্র্যকরণের একটি বিশেষ সুযোগ বাংলাদেশের সামনে হাতছানি দিচ্ছে। বাংলাদেশকে অবশ্যই এ সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।

বিল্ডের প্রতিক্রিয়া বলা হয়েছে, ঘোষিত বাজেটে রাজস্ব সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩.৩০ ট্রিলিয়ন টাকা, যা কিনা আগের বছরের তুলনায় ১.৩৫ শতাংশ বেশি এবং সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৯.৮ শতাংশ বেশি। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় এ লক্ষ্যমাত্রা কিছুটা উচ্চাভিলাষী। ব্যবসায় পরিচালনার (ডুয়িং বিজনেস) জটিলতা অবশ্যই কমিয়ে আনতে হবে। এ ক্ষেত্রে এনবিআর অটোমেশনের যে লক্ষ্যমাত্রা স্থির করেছে তা পুরোপুরি বাস্তবায়ন করতে হবে। বর্তমানে অনলাইন কার্যক্রম সর্বত্র জনপ্রিয় হচ্ছে জনসাধারণও এতে অভ্যস্ত হচ্ছে। ডেটা ফ্লোর জন্য নীতিমালা, ডেটা লোকালাইজেশনের শর্তাবলী, অনলাইন প্লাটফর্ম এবং এপভিত্তিক কার্যক্রম চালু করতে হবে। এছাড়া আর্থিক খাতে ই-পেমেন্ট ও ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার বৃদ্ধি এবং নগদ অর্থ লেনদেনকে অনুৎসাহিত করতে হবে। ফাস্ট ট্র্যাক ডিজিটালাইজেশনের জন্য সরকারকে একটি কর্মপরিকল্পণা প্রণয়ন করতে হবে।

প্রাক্কলিত বাাজেট ঘাটতি ধরা হয়েছে জিডিপির ৬ শতাংশ বা ১.৮৯ ট্রিলিয়ন টাকা, যার মধ্যে দেশীয় ব্যাংক ঋণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১.০৯ ট্রিলিয়ন টাকা এবং বিদেশি ব্যাংক ঋণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৬০ বিলিয়ন টাকা। ব্যাংক খাত থেকে বিশাল অংকের ঘাটতি অর্থায়ন বেসরকারি খাতের ঋণপ্রবাহকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। কোভিড-১৯ মহামারির কারণে বর্তমানে গভীর সংকটে রয়েছে বেসরকারি খাত। কোভিড-১৯ সংকট এবং ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে বিশাল অংকের ঘাটতি অর্থায়নের মধ্যে বেসরকারি খাতের ঋণপ্রবাহ ও বিনিয়োগ ত্বরান্বিত করতে সরকারকে একটি সুস্পষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে।

প্রতিক্রিয়ায় বিল্ড আরও বলেছে, বাজেটে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২৯,২৪৭ কোটি টাকা, যা কিনা ২০১৯-২০ অর্থবছরের সংশোধিত বরাদ্দের তুলনায় ২৩.৪৪% বেশি। কৃষি খাতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২৯,৯৮৩ কোটি, যা কিনা ২০১৯-২০ অর্থবছরের সংশোধিত বরাদ্দের তুলনায় ১১% বেশি। সরকারকে একটি পূর্ণাঙ্গ ‘হেলথ সেক্টর ম্যানেজমেন্ট পলিসি’ গ্রহণ করতে হবে এবং প্রয়োজনের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে তহবিল প্রস্তাব করতে হবে। অ্যাগ্রো-প্রসেসিং খাতকে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিতে হবে এবং স্বাস্থ্য ও জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

 

সরকার এরই মধ্যে ৩০,০০০ কোটি টাকা ছাপার নির্দেশ দিয়েছে। চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত মূদ্রাস্ফীতির হার ৫.৬% এবং ২০২০-২১ অর্থবছরের এ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা করা হয়েছে ৫.৪ শতাংশ। যদি টাকা ছাপার সঙ্গে সঙ্গে উৎপাদন না বাড়ে তবে এ থেকে মূদ্রাস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মূল লক্ষ্য হলো সামগ্রিক চাহিদা ও উৎপাদন বৃদ্ধি। সরকারকে তেলের নিম্ন দর, অগ্রাধিকার-বহির্ভূত এডিপি প্রকল্প বাতিল এবং অপ্রয়োজনীয় ব্যয়সহ অন্যান্য বিষয়ের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।

সিএমএসএমই খাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সরকারকে সঠিক নীতি সহায়তা প্রদান করতে হবে। এ খাতের জন্য বাজেটে ২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। পিএকএসএফের মাধ্যমে এ অর্থ সরবরাহ করা হবে।

কটেজ ও সাইক্রো উদ্যোক্তাদের সহায়তার জন্য ক্ষুদ্রঋণের অন্যান্য সংস্থাগুলোকে বিশেষভাবে এগিয়ে আসতে হবে। এসব উদ্যোক্তাদের জন্য যেসব সহায়তা প্রয়োজন সেগুলো ক্ষুদ্র ও মাঝারি খাতের উদ্যোক্তাদের তুলনায় সম্পূর্ণ ভিন্ন। এসব উদ্যোক্তাদের একটি বড় অংশ লকডাউনের কারণে তাদের ব্যবসা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। তাদের অন্তত দুই লাখ টাকা করে কোলেটারাল-মুক্ত ঋণসহায়তা দিতে হবে। ভারত এরইমধ্যে এসব উদ্যোক্তার জন্য কোলেটারাল-মুক্ত তিন লাখ টাকা ঋণসহায়তা প্রদান শুরু করেছে। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য একটি ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমের সুপারিশ করেছে বিল্ড।

   

আট দফা কমার পর বাড়ল সোনার দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা আট দফা কমার পর দেশের বাজারে সোনার দাম ভরিতে ১ হাজার ৫০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। তাতে ভালো মানের, অর্থাৎ হল-মার্ক করা ২২ ক্যারেট সোনার দাম দাঁড়িয়েছে প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ২১৩ টাকায়। নতুন এ দাম রোববার (৫ মে) থেকে কার্যকর হবে।

শনিবার (৪ মে) বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে। এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে খাঁটি সোনার দাম বেড়েছে, সে জন্য সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম পড়বে ১ লাখ ১০ হাজার ২১৩ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৫ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯০ হাজার ১৭৪ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৭৪ হাজার ৯৮৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে, গত ৩ মে এবং ৩০ এপ্রিল, ২৯ এপ্রিল ২৮ এপ্রিল, ২৭ এপ্রিল, ২৫ এপ্রিল, ২৪ এপ্রিল ও ২৩ এপ্রিল আট দফা সোনার দাম কমানো হয়। এর মধ্যে ৩ মে এক হাজার ৮৭৮ টাকা কমানো হয়। তার আগে ৩০ এপ্রিল ৪২০ টাকা, ২৯ এপ্রিল ১ হাজার ১১৫ টাকা, ২৮ এপ্রিল ৩১৫ টাকা, ২৭ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৫ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২ হাজার ৯৯ টাকা এবং ২৩ এপ্রিল ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমানো হয়। এতে আট দফায় ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ১০ হাজার ২৬২ টাকা কমানো হয়।

;

আইবিএ মুবারক আলী কেইস সেন্টারের উদ্বোধন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে আইবিএ মুবারক আলী কেইস সেন্টার। 

মুবারক আলী ফাউন্ডেশন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) যৌথ এ উদ্যোগে দেশের ব্যবসায় শিক্ষাক্ষেত্রে এক উল্লেখযোগ্য মাইলফলক অর্জিত হয়েছে।

শুক্রবার (০৩ মে) দ্য ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক আয়োজনে মুবারক আলী কেইস সেন্টারের উদ্বোধন করা হয়।

আইবিএ ক্যাম্পাসে ফিতা কাটার মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- দেশের শিক্ষা ও ব্যবসা খাতের স্বনামধন্য ব্যক্তিবর্গ। আইবিএ মুবারক আলী কেইস সেন্টার শিক্ষাক্রমের সাথে প্রাসঙ্গিক ব্যবসায়িক কেস স্টাডি একীভূত করার মাধ্যমে দেশের ব্যবসায়িক শিক্ষায় ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসবে এবং বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী যেন দেশে ব্যবসায়িক শিক্ষাখাত বিস্তৃত হতে পারে এক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করবে।

এ উদ্যোগ গ্রহণের পেছনের কারণ তুলে ধরে মুবারক আলী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা আমরীন বশির আলী ও তানভীর আলী বলেন, আইবিএ মুবারক আলী কেইস সেন্টারটি শুধু একাডেমিক প্রতিষ্ঠান হিসেবেই ভূমিকা রাখবে এমন নয়, পাশাপাশি এ সেন্টার প্রাসঙ্গিক ও বাস্তবসম্মত শিক্ষার পরিসর বিস্তৃতিতে আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করবে।

অংশীদারিত্বমূলক এ উদ্যোগের গুরুত্ব তুলে ধরে আইবি'র পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মাদ এ. মোমেন বলেন, হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল ও ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট বেঙ্গালুরুর মতো স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে অংশীদারিত্ব আমাদের শিক্ষাক্রম এবং শিক্ষাদান পদ্ধতি সমৃদ্ধ করতে এবং দেশে ব্যবসায় শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন নজির স্থাপনে অনন্য ভূমিকা রাখবে।

বাংলাদেশের ব্যবসাখাতের ওপর আলোকপাত করে কেস স্টাডি তৈরি ও প্রকাশে কাঠামো তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল পাবলিশিং ও ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্টের সাথে এ অংশীদারিত্ব। এর মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে যেন শিক্ষার্থীরা উদীয়মান বাজারের বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ সম্পর্কে ধারণা ও জ্ঞান অর্জন করতে পারেন।

এ অংশীদারিত্ব হার্ভার্ড বিজনেস পাবলিশিং এডুকেশনের দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক পরিচালক দিব্যেশ মেহতা বলেন, আমরা আইবিএ মুবারক আলী কেইস সেন্টারের সাথে অংশীদারিত্ব করতে পেরে আনন্দিত। এ উদ্যোগ বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের ব্যবসাখাতের সম্ভাবনা তুলে ধরবে; পাশাপাশি, শিক্ষার ক্ষেত্রে অর্থবহ অংশীদারিত্ব কীভাবে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে তারও অনন্য উদাহরণ তৈরি করবে। একসাথে আমরা সাফল্যগাঁথা রচনা করছি; আর এর শেকড় প্রাসঙ্গিকতা ও রূপান্তরমূলক শিক্ষাগত অভিজ্ঞতার ভেতরে নিহিত রয়েছে।

ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট বেঙ্গালুরুর (আইআইএমবি) ডিসিশন সাইন্সেস ফ্যাকাল্টির ডিন অধ্যাপক ইউ দীনেশ কুমার বলেন, আইআইএম বেঙ্গালুরু (আইআইএমবি) আইবিএ মুবারক আলী কেইস সেন্টারের সাথে গুরুত্বপূর্ণ এ অংশীদারিত্বমূলক উদ্যোগ গ্রহণ করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। এ অংশীদারিত্ব বাংলাদেশের ব্যবসায়িক মডেলের কার্যকারিতা বৈশ্বিক পর্যায়ে তুলে ধরার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে। কেস স্টাডি তৈরির পরিবেশ তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা রাখার মাধ্যমে এ অংশীদারিত্ব বিশ্বব্যাপী প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ধারণা প্রদান করবে।

তিনি বলেন, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লি. এর প্রতিষ্ঠাতা এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে মুবারক আলী বিগত চার দশকে সফলভাবে একটি অনবদ্য প্রতিষ্ঠানকে সাফল্যের সর্বোচ্চ চূড়ায় প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। আজ মুবারক আলীর অন্তর্ধানের এক বছর পূর্তি। তার সাফল্যমণ্ডিত জীবন ও কর্মের স্মরণে আইবিএ মুবারক আলী কেইস সেন্টার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষা, শিল্পকলা ও স্থাপত্যে টেকসই উন্নয়ন এবং উৎকর্ষ অর্জনে কাজ করে যাচ্ছে মুবারক আলি ফাউন্ডেশন। শিল্পকলার ক্ষেত্রে এ ফাউন্ডেশন লন্ডনে ফ্রিজ আর্ট ফেয়ার ইমার্জিং আর্টিস্ট প্রাইজে সহায়তা করে যাচ্ছে। এ অঞ্চলগুলোর প্রতি ফাউন্ডেশনের প্রতিশ্রুতি কমিউনিটির উন্নয়ন ও সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রতি প্রয়াত মুবারক আলীর নিষ্ঠা ও নিবেদনকেই প্রতিফলিত করে।

ইতিবাচক পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে আগত অতিথিদের উদ্যম ও উৎসাহ প্রকাশের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়। আইবিএ মুবারক আলী কেইস সেন্টারের উদ্বোধন বাংলাদেশে ব্যবসায় শিক্ষার অগ্রগতির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে ভূমিকা রাখবে। এ উদ্যোগ দেশে নতুন প্রজন্মের নেতৃত্ব তৈরিতে ভূমিকা পালন করবে, যারা দেশে ও বিশ্বব্যাপী ব্যবসার ভবিষ্যৎ আকৃতিদানে ভূমিকা পালন করবে বলে মন্তব্য সকলের। 

;

সিলেটে অনুষ্ঠিত হলো এয়ার এ্যাস্ট্রা’র বিজনেস পার্টনার মিট



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সিলেটে অনুষ্ঠিত হলো এয়ার এ্যাস্ট্রা’র বিজনেস পার্টনার মিট

সিলেটে অনুষ্ঠিত হলো এয়ার এ্যাস্ট্রা’র বিজনেস পার্টনার মিট

  • Font increase
  • Font Decrease

এয়ার এ্যাস্ট্রা’র সম্মানিত ট্রেড পার্টনারদের সৌজন্যে ০২ মে বৃহস্পতিবার, সিলেট এর রোজ ভিউ হোটেল এক মতবিনিময় সভা’র আয়োজন করা হয়।

‘এয়ার এ্যাস্ট্রা বিজনেস পার্টনার মিট’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে সিলেটের বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সির প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এয়ার এ্যাস্ট্রার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ইমরান আসিফ, চিফ কমার্শিয়াল অফিসার সোহেল মাজিদসহ প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

এয়ার এ্যাস্ট্রা’র সিইও ইমরান আসিফ বলেন, বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের গন্তব্য সিলেট এয়ার এ্যাস্ট্রা’র জন্য গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য। বর্তমানে এই রুটে প্রতিদিন দুটি ফ্লাইট পরিচালনা করছে এয়ার এ্যাস্ট্রা, যাত্রী চাহিদা বৃদ্ধি পেলে খুব শিঘ্রই আরও ফ্লাইট এই রুটে যুক্ত করা হবে।

সিলেটের পাশাপাশি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রুটে চারটি, কক্সবাজার রুটে চারটি ও সৈয়দপুর রুটে প্রতিদিন তিনটি ফ্লাইট পরিচালনা করছে এয়ার এ্যাস্ট্রা। এয়ার এ্যাস্ট্রা সম্মানিত যাত্রীদের সুবিধার্থে ইন-ফ্লাইট ম্যাগাজিন ও শিশুদের জন্য ফানবুক প্রদান করে থাকে।

যাত্রীরা ফ্লাইট টিকিট এয়ার এ্যাস্ট্রা’র ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপস, সেলস অফিস, অনলাইন ও অফলাইন্ ট্রাভেল এজেন্সি থেকে ক্রয় করতে পারবেন। এয়ার এ্যাস্ট্রা’র বহরে বর্তমানে তিনটি এটিআর ৭২-৬০০ এয়ারক্রাফট রয়েছে, যা ফ্রান্সে নির্মিত সর্বাধুনিক প্রযুক্তির টার্বোপ্রপ এয়ারক্রাফট এবং ৭০ জন যাত্রী বহন করতে সক্ষম। খুব শিঘ্রই আন্তর্জাতিক রুটেও ডানা মেলবে এয়ার এ্যাস্ট্রা।

;

ভর্তুকি কমাতে বছরে চারবার বাড়বে বিদ্যুতের দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভর্তুকি কমিয়ে আনতে বছরে চারবার বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করবে সরকার। পর্যায়ক্রমে আগামী তিন বছর এভাবেই বাড়ানো হবে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) সচিবালয়ে আইএমএফের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগ এ কথা জানিয়েছে।

জানা গেছে, চলতি মাসে আবারও বাড়তে পারে জ্বালানি তেলের মূল্য। বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে মূল্য বাড়াবে। তবে বিশ্ববাজারে কমলে এখানেও কমানো হবে। এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার একটি নির্দেশিকা জারি করেছে।

সমন্বয়ের নামে মূলত বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হচ্ছে জানিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকার খরচ কমিয়েও ভর্তুকি সমন্বয় করতে পারে। অনিয়ম, দুর্নীতি, অপচয় রোধ করে বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ কমানোর দিকে সরকারের মনোযোগ নেই। বরং চাহিদা না থাকলেও দরপত্র ছাড়া একের পর এক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করে এ খাতের খরচ আরও বাড়াচ্ছে।

আইএমএফের প্রতিনিধিদল বৃহস্পতিবার জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, পেট্রোবাংলা, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) সঙ্গেও বৈঠক করেছে। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, পেট্রোবাংলা ও বিপিসি প্রায় একইভাবে আইএমএফকে জানিয়েছে, গ্যাস ও জ্বালানি তেলে নতুন করে ভর্তুকির চাপ নেই। তেলের দাম নিয়ে স্বয়ংক্রিয় যে পদ্ধতি (আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়লে দেশে বাড়বে, কমলে কমবে) চালু করার কথা আইএমএফ বলেছিল, তা হয়েছে। প্রতি মাসে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হচ্ছে। এতে জ্বালানি তেলে আর কখনো ভর্তুকি দিতে হবে না। প্রথম দুই দফায় দাম কিছুটা কমানো হলেও শেষ দফায় দাম বেড়েছে। তিন মাস ধরে এ চর্চা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, এ বছর বিদ্যুতের মূল্য আরও কয়েক দফা সমন্বয় করা হবে। এভাবে আগামী তিন বছর চলবে। তবে কোন মাসে সমন্বয় করা হবে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

জ্বালানি তেলের মূল্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে সমন্বয় করা হবে। তবে আমার কাছে মনে হচ্ছে সমন্বয় করা হলেও জ্বালানি তেলের মূল্য খুব বাড়বে না। তবে পরিবর্তন হলে সেটি নির্ভর করবে বৈশ্বিক বাজারের ওপর।

জানা গেছে, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা আসার পর এ পর্যন্ত বিদ্যুতের মূল্য বেড়েছে ১৩ বার।

;