করোনা জয়ী বাজেটে যা থাকছে



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রথমত মহামারি কোভিড-১৯ রোধ। এরপর ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জীবন-জীবিকা নির্বাহের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় বাজেটের প্রস্তাব করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী।

২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। বিশাল এ ঘাটতি বাজেটে করোনার মোকাবিলায় ১০ হাজার কোটি টাকার বিশেষ প্রণোদনা রাখা হয়েছে।

সাধারণ মানুষ যাতে করোনার চিকিৎসা পায়, সেজন্য শহরগুলোর পাশাপাশি জেলা-উপজেলা পর্যায়ে চিকিৎসা পৌঁছে দিতে স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে।

দ্বিতীয়ত করোনায় ক্ষতির দিক থেকে শীর্ষে থাকা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে আরও আধুনিক ও যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে শিক্ষা খাতে। রুজি-রোজগার করতে অক্ষম কিংবা অতি দরিদ্রদের জন্য সামাজিক সুরক্ষাখাতেও বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। এগুলোর পাশাপাশি বিদেশ থেকে করোনার চিকিৎসার জন্য আনা সব ধরনের যন্ত্রপাতি আমদানিতে শুল্ক ছাড় দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া দেশের স্থবির হয়ে পড়া অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে ব্যক্তিশ্রেণীর করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানো হচ্ছে। সম্পদের ওপর কর বাড়ানো হচ্ছে। দেশের টাকা যাতে বিদেশে পাচার না হয়, এ টাকা যাতে দেশেই বিনিয়োগ হয়, সেজন্য বিশেষ ছাড় দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত পুঁজিবাজার ও আবাসন খাতে যাতে যৌবন ফিরে আসে, সেই লক্ষ্যে কোনো রকম হয়রানি ও প্রশ্ন ছাড়াই অপ্রদর্শিত অর্থ (কালো টাকা) বিনিয়োগের বিশেষ সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া কর্মসংস্থান বৃদ্ধির জন্য কৃষি, শিল্প-কারখানা এবং ই-কমার্সের বিশেষ প্রণোদনা দিয়েছেন। এর আগেও করোনার ক্ষতি পোষাতে ব্যবসায়ীদের জন্য প্রায় ১ লাখ কোটি টাকার বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে।

১১ জুন বিকেলে জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল তার দ্বিতীয় এবং দেশের ৪৯তম বাজেট উপস্থাপন করতে যাচ্ছেন। বাজেট বক্তব্যের খসড়ায় উল্লেখ আছে, তিনি বাজেট বক্তব্য শেষ করবেন মহান ধর্মগ্রন্থ আল-কোরআনের বাণী দিয়ে। অর্থমন্ত্রী কোরআনের বৃহত্তম সুরা আল-বাকারার ১৫৫ নম্বর আয়াত তেলাওয়াত করবেন। এ আয়াতের অর্থ হচ্ছে ‘অবশ্যই আমি তোমাদিগকে পরীক্ষা করব কিছু ভয়, ক্ষুধা, মাল ও জানের ক্ষতি এবং ফল-ফসল বিনষ্টের মাধ্যমে এবং রোগীকে সুসংবাদ দাও।’

অর্থমন্ত্রী বলবেন, ‘মহান আল্লাহ তায়ালা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, তার সৃষ্টির কোনোরূপ ক্ষতিসাধন করবেন না। তাই তিনি শিগগির আমাদের মহামারি থেকে রক্ষা করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে নেবেন। সৃষ্টিকর্তার কাছে কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা, মহামারির এ প্রলয় দ্রুত থেমে যাক। সালামুন আলাল মুরসালিন, ওয়াল হামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু। বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’

বাঙালি জাতিকে উজ্জীবিত রাখতে বাজেট বক্তৃতায় তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিবেদিত করে কবি শামসুর রাহমানের লেখা কবিতা ‘ধন্য সেই পুরুষ’ আবৃত্তি করবেন।

তিনি কবিতাটির ‘ধন্য সেই পুরুষ, নদীর সাঁতার পানি থেকে যে উঠে আসে/ সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে/ধন্য সেই পুরুষ, নীল পাহাড়ের চূড়া থেকে যে নেমে আসে/ প্রজাপতিময় সবুজ গালিচার মতো উপত্যকায়/... ফসলের স্বপ্ন দেখতে দেখতে।/... ধন্য সেই পুরুষ, যার নামের ওপর পতাকার মতো/ দুলতে থাকে স্বাধীনতা’ এই লাইনগুলো পাঠ করবেন।

অর্থমন্ত্রী আরো বলবেন, কবির এ পঙতিমালার মতোই যার নামের ওপর দুলছে বাঙালির বিজয়ের পতাকা, দুলতে থাকবে অবিরাম; যার নামের প্রতি শব্দই যেখানে স্বাধীনতা, দুর্মর ভেঙে ফেলা শত শৃঙ্খল; নতজানু হতে শেখা এক অবয়ব, নুয়ে পড়ে সব বাধ; সেই অবিসংবাদিত নেতা, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বাংলাদেশ মানেই মুজিব, মুজিব মানেই বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু মৃত্যুঞ্জয়ী।

 এক নজরে বাজেট:

২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব করা হয়েছে। এ বাজেটের শিরোনাম রাখা হয়েছে 'অর্থনৈতিক উত্তরণ ও ভবিষ্যৎ পথপরিক্রমা’।

বাজেটে রাজস্ব আদায়ের টার্গেট নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। আর এনবিআর বর্হিভুত কর ধরা হয়েছে ১৫ হাজার কোটি টাকা। কর ব্যতীত রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৩ হাজার কোটি টাকা। এছাড়া বৈদেশিক অনুদান থেকে প্রাপ্তি ধরা হয়েছে ৪ হাজার ১৩ কোটি টাকা। রাজস্ব আদায় ও বৈদেশিক অনুদান মিলে মোট রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৮২ হাজার ১৬ কোটি টাকা। যা আগের বছরের তুলনায় মাত্র ৩৮ কোটি টাকা বেশি।

৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেটের মধ্যে পরিচালনা ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৪৮ হাজার ১৮০ কোটি টাকা। এর মধ্যে উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ১৫ হাজার ৪৩ কোটি টাকা। আর বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির প্রস্তবা করা হয়েছে ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা।

অর্থাৎ ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি রয়েছে। যা ঘাটতি জিপিডি অনুসারে শতকরা ৬ শতাংশ। এর আগের বছর এ ঘাটতির পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৪৫ হাজার ৩৮০ কোটি টাকা।

ঘাটতি মেটাতে সরকার বিদেশ থেকে ঋণ নেবে ৭৭ হাজার কোটি টাকা। আর অভ্যন্তরীণ খাত থেকে ঋণ নেবে ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যাংক থেকে ঋণ নেবে ৮৮ হাজার কোটি এবং সঞ্চয়পত্র ও অনান্য খাত থেকে ঋণ নেবে ২৫ হাজার কোটি টাকা।

প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ৮ দশমিক ২ শতাংশ:

২০২০-২১ অর্থবছরে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ২ শতাংশ প্রস্তবা করা হয়েছে। অথচ বিশ্ব ব্যাংক পূর্বাভাস দিয়েছে, চলতি বছর বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৬ শতাংশে নেমে আসতে পারে; আর আগামী বছরে তা হতে পারে ১ শতাংশ।

মূল্যস্ফীতি ৫.৪ শতাংশ:

আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম কম এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমে যাওয়ায় দেশের অর্থনীতিতেও এক ধরনের সুফল পাওয়া যাবে বলে সরকার আশা করছে। সেজন্য নতুন বাজেটে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৪ শতাংশে আটকে রাখার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

প্রণোদনা: করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে রাখা হয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা। এছাড়া শিল্প খাতের জন্য সাড়ে ৩ হাজার কোটি এবং কৃষি খাতের জন্য আড়াই হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা রাখা হয়েছে।

বিনিয়োগ বাড়াতে থাকছে যেসব ছাড়:

কমছে করপোরেট ট্যাক্স-

বিনিয়োগ বাড়াতে দীর্ঘ ৫ বছর পর করপোরেট ট্যাক্স কমানো হচ্ছে। নতুন অর্থবছরের বাজেটে করপোরেট ট্যাক্স ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে সাড়ে ৩২ শতাংশ করা হচ্ছে। সর্বশেষ ২০১৪-১৫ অর্থবছরে করপোরেট ট্যাক্স আড়াই শতাংশ কমিয়ে ৩৫ শতাংশ করা হয়।

করপোরেট ট্যাক্সের হার কমানো হলেও পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি, ব্যাংক, বিমা, মোবাইল অপারেট ও সিগারেট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের করপোরেট ট্যাক্স হার অপরিবর্তিত থাকবে বলে জানা গেছে।

কমছে টার্নওভার ট্যাক্স-

ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে বাজেটে টার্নওভার ট্যাক্সের হার কমানো হচ্ছে। এটি ৪ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করা হচ্ছে। ভ্যাট অব্যাহতির সীমা আগের মতোই ৫০ লাখ টাকা এবং টার্নওভারের ঊর্ধ্বসীমা ৩ কোটি টাকা থাকছে। তবে সব শ্রেণির ব্যবসায় নিবন্ধন বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।

পুঁজিবাজারে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ-

আগামী বাজেটে ১০ শতাংশ কর দিয়ে কালো টাকা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য আয়কর অধ্যাদেশের নতুন একটি ধারা যুক্ত করা হচ্ছে। এ ধারা অনুযায়ী, আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) তালিকাভুক্ত স্টক, শেয়ার, মিউচ্যুয়াল ফান্ড, সরকারি বন্ড এবং ডিভেঞ্চারে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগ করা যাবে। তবে শর্ত হচ্ছে, ৩ বছরের জন্য এ বিনিয়োগ করতে হবে। এর আগে বিনিয়োগের টাকা উত্তোলন করলে করদাতাকে সাধারণ হারে কর পরিশোধ করতে হবে।

বাড়ছে করমুক্ত আয়ের সীমা-

দীর্ঘ ৫ বছর পর ব্যক্তি শ্রেণির করমুক্ত আয়ের সীমা আড়াই লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকা করা হচ্ছে। নারী, প্রতিবন্ধী ও গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের অব্যাহতির সীমাও আনুপাতিক হারে বাড়ছে। অন্যদিকে ব্যক্তি শ্রেণির কর হারও কমানো হচ্ছে। ব্যক্তি শ্রেণির সর্বোচ্চ কর হার ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশ করা হচ্ছে। এতে করের বোঝা কমবে। তবে অপরিবর্তিত থাকছে ন্যূনতম কর হার।

অপ্রদর্শিত আয় জমি-ফ্ল্যাট বৈধের সুযোগ-

আয়কর রিটার্নে দেখানো নেই এমন অপ্রদর্শিত বা কালো টাকায় কেনা জমি-ফ্ল্যাট বৈধ এবং নগদ টাকা, ব্যাংক আমানত এবং সঞ্চয়পত্র দেখানোর সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। এ জন্য আগ্রহীদের এলাকা ভেদে বর্গমিটার প্রতি নির্দিষ্ট অঙ্কের কর দিতে হবে। অভিজাত এলাকায় জমি-ফ্ল্যাট প্রদর্শনের ক্ষেত্রে বেশি হারে কর দিতে হবে। অন্যদিকে ব্যাংকে গচ্ছিত অপ্রদর্শিত নগদ টাকা, ব্যাংক ডিপোজিট এবং সঞ্চয়পত্র রিটার্নে দেখানো যাবে। এ জন্য মোট অঙ্কের ১০ শতাংশ কর দিতে হবে।

কালো টাকা ফ্ল্যাটে বিনিয়োগের পরিসর বাড়ছে-

আগে শুধুমাত্র কালো টাকা বিনিয়োগ করে আবাসিক ফ্ল্যাট কেনার সুযোগ ছিল। বাজেটে আয়কর অধ্যাদেশের ১৯ (বিবিবিবিবি) ধারা সংশোধন করে কমার্শিয়ালসহ সব ধরনের ফ্লোর কেনার ক্ষেত্রে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। তবে এক্ষেত্রে বর্গমিটার প্রতি নির্দিষ্ট অঙ্কে কর পরিশোধ করতে হবে।

কর অবকাশ আওতা বাড়ছে-

বাজেটে নতুন শিল্পে কর অবকাশ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। আর্টিফিশিয়াল ফাইবার প্রোডাকশন, ন্যানো টেকনোলজি বেইজড প্রোডাক্ট, আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স, অটোমোবাইল পার্টস, রোবোটিক ডিজাইন অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং, ইলেকট্রিক্যাল ট্রান্সফরমার প্রোডাকশন, এয়ারক্রাফট মেইনটেন্যান্স অ্যান্ড সার্ভিস শিল্পকে কর অবকাশ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। আগে ২৬টি শিল্পে কর অবকাশ সুবিধা দেওয়া হয়।

আরো পড়ুন: 

এক নজরে বাজেট

ভিন্ন প্রেক্ষাপটে বুধবার শুরু হচ্ছে বাজেট অধিবেশন

আসছে গতানুগতিক ধারার আরও বড় বাজেট

   

ওয়ালটন ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ ক্যাম্পেইনের মেয়াদ বাড়ল



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘সেরা পণ্যে সেরা অফার’ স্লোগানো চলতি বছরের ১ মার্চ সারা দেশে শুরু হয়েছিল ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০। এর আওতায় ওয়ালটন ফ্রিজ, টিভি, এয়ার কন্ডিশনার বা এসি, ওয়াশিং মেশিন ও ফ্যানের ক্রেতাদের দেয়া হয়েছে ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ হওয়ার সুযোগ। ইতোমধ্যে ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে মিলিয়নিয়ার হয়েছেন ৩৪ জন ক্রেতা। সারা দেশে গ্রাহক পর্যায়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ওয়ালটনের এই ক্যাম্পেইন। এরই প্রেক্ষিতে আসছে ঈদুল আযহা বা কোরবানি ঈদকে ঘিরে ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ ক্যাম্পেইনের মেয়াদ আরও দুই মাস বাড়িয়েছে ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ।

ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০ এর মেয়াদ ছিল ৩০ এপ্রিল, ২০২৪ পর্যন্ত। যা এবার ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত বাড়ানো হলো। ফলে, দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম ও অনলাইন সেলস প্ল্যাটফর্ম ‘ই-প্লাজা’ থেকে ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন এবং ফ্যান কিনে ক্রেতারা আবারো মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন আরও দুই মাস। এছাড়াও রয়েছে কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত উপহার।

ক্যাম্পেইনের মেয়াদ বাড়ানো প্রসঙ্গে ওয়ালটনের চিফ মার্কেটিং অফিসার দিদারুল আলম খান জানান, প্রতিটি বড় উৎসব উপলক্ষ্যে ক্রেতাদের জন্য বিশেষ সুবিধা দিয়ে আসছে ওয়ালটন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ঈদুল ফিতরের আগে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০ এর আওতায় ওয়ালটন পণ্যের ক্রেতাদের ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ হওয়ার সুবিধা দিয়েছে ওয়ালটন। যা দেশব্যাপী ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ক্রেতাদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। গ্রাহকদের ব্যাপক আগ্রহ এবং কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে ক্যাম্পেইনের মেয়াদ আরো দু’মাস বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে ওয়ালটন পণ্য কিনে মিলিয়নিয়ার হওয়ার এই মিছিলে আরো অধিক সংখ্যক ক্রেতা যুক্ত হতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদী।

সিজন-২০ চলাকালীন ক্রেতারা দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম কিংবা অনলাইনে ই-প্লাজা থেকে পণ্য কেনার পর পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে। এরপর সম্পূর্ণ কম্পিউটারাইজড সিস্টেমে ওয়ালটনের কাছ থেকে ফিরতি এসএমএস-এর মাধ্যমে ক্রেতারা পাচ্ছেন মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগ।

এছাড়াও পাচ্ছেন কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত উপহার। সংশ্লিষ্ট ওয়ালটন প্লাজা বা শোরুম থেকে ক্রেতাদেরকে উপহার বুঝিয়ে দেয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, বিক্রয়োত্তর সেবা কার্যক্রমকে অনলাইন অটোমেশনের আওতায় আনতে ‘ডিজিটাল কাস্টমার ডাটাবেজ’ গড়ে তুলছে ওয়ালটন। সেজন্য দেশব্যাপী চালাচ্ছে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইন চলাকালীন পণ্য কেনার পর ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতিতে ক্রেতার নাম, মোবাইল নম্বর এবং পণ্যের মডেল নম্বরসহ

বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ফলে, ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে গেলেও দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত সেবা পাচ্ছেন গ্রাহক। অন্যদিকে সার্ভিস সেন্টারের প্রতিনিধিরাও গ্রাহকের ফিডব্যাক জানতে পারছেন। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ক্যাম্পেইনের প্রতিটি সিজনেই গ্রাহকদের নানান সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন।

;

ইসলামী ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রা জমা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির উদোগে বৈদেশিক মুদ্রা জমা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। সভায় মূল বিষয়ের উপর আলোচনা করেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী। ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর কাজী মোঃ রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মিফতাহ উদ্দীন ও সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ রফিকুল ইসলাম।

এসময় ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ মাকসুদুর রহমান, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ ইহসানুল ইসলাম ও মোঃ রফিকুল ইসলাম সহ প্রধান কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী ও কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

বাড়ল জ্বালানি তেলের দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্ব বাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে দেশের বাজারে বাড়ানো হয়েছে জ্বালানি তেলের দাম। ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১ টাকা বাড়িয়ে ১০৭ টাকা, পেট্রোল আড়াই টাকা বাড়িয়ে ১২৪ দশমিক ৫ টাকা ও অকটেনের দাম আড়াই টাকা বাড়িয়ে ১২৮ দশমিক ৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। নতুন এই দাম বুধবার (১ মে) থেকে কার্যকর হবে।

এর আগে, গত ৩১ মার্চ লিটার প্রতি ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ২ টাকা ২৫ পয়সা কমিয়ে ১০৬ টাকা নির্ধারণ করে সরকার। তবে অপরিবর্তিত থাকে পেট্রোল, অকটেনের দাম।

তার আগে, মার্চের ৭ তারিখে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হয়। তখন লিটার প্রতি ডিজেল ও কেরোসিন ১০৯ টাকা থেকে কমিয়ে ১০৮.২৫ টাকা, পেট্রোল ১২৫ থেকে কমিয়ে ১২২ টাকা, অকটেন ১৩০ টাকা থেকে কমিয়ে ১২৬ টাকা নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করা হয়।

আর নজিরবিহীন দাম বাড়ানো হয় ২০২২ সালের ৫ আগস্ট রাতে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) জারি করা আদেশে ডিজেল ও কেরোসিন লিটার প্রতি ৩৪ টাকা এবং পেট্রোল ও অকটেনে ৪৬ টাকা দাম বাড়ানো হয়েছিল। তখন ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১১৪ টাকা লিটার, পেট্রোল ১৩০ টাকা এবং অকটেন ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। ওই দাম বৃদ্ধির পর গণপরিবহনের ভাড়া বেড়েছিল সর্বোচ্চ ২২ শতাংশ। তার আগে ২০২১ সালের নভেম্বরে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকায় করা হয়। ওই সময়েও পরিবহন ভাড়া বাড়ানো হয় প্রায় ২৭ শতাংশ।

ওই নজিরবিহীন দাম বৃদ্ধির পর ২০২২ সালের ৩০ আগস্ট জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হয়। ওইদিন প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন ১১৪ টাকা থেকে কমিয়ে ১০৯ টাকা, পেট্রোল ১৩০ থেকে কমিয়ে ১২৫ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা থেকে কমিয়ে ১৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

সরকার জ্বালানি তেলের দামে ভর্তুকি প্রদান থেকে বের হয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখানে আইএমএফের চাপও রয়েছে। ‘জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ নির্দেশিকা’ প্রজ্ঞাপন ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে প্রকাশ করা হয়েছে। ওই ফর্মূলা অনুযায়ী, প্রতিমাসে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে দাম সমন্বয় করা হবে। গেজেট অনুযায়ী, বিপিসি ও অন্যদের কমিশন অপরিবর্তিত থাকবে। শুধু আমদানি মূল্যের তারতম্য প্রতিমাসে কমবেশি হবে।

অকটেন ও পেট্রোল ব্যক্তিগত যানবাহনে বেশি পরিমাণে ব্যবহৃত হয় বিধায় এর মূল্য বিলাস দ্রব্য (লাক্সারি আইটেম) হিসেবে সব সময় ডিজেলের চেয়ে বেশি রাখা হয়। ফর্মূলা অনুযায়ী অকটেনের মূল্য নির্ধারণকালে ডিজেলের সঙ্গে পার্থক্য লিটার প্রতি ন্যূনতম ১০ টাকা যেন থাকে সেজন্য প্রাইসিং ফর্মূলায় ‘α’ ফ্যাক্টর প্রযোজ্য হবে।

;

রাজস্ব আয় বৃদ্ধিতে অটোমেশনের বিকল্প নেই: অর্থ প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজস্ব আয় বৃদ্ধির জন্য অটোমেশনের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনাবিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় গুলশানের ‘আমারি ঢাকা’র গ্র্যান্ড বলরুমে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআরআই) আয়োজিত 'বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ বাড়ানোর প্রয়োজনীয় রূপরেখা' (Bangladesh’s Domestic Resource Mobilisation: Imperatives and a Roadmap) উপস্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সবাই অনলাইনে রিটার্ন সাবমিট করতে পারেন। বাংলাদেশের ইনফরমাল সেক্টর অনেক বড় বিধায় এই সেক্টর থেকে কর আদায় গুরত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে, বেসরকারি খাত আমাদের সঙ্গে থেকে সহায়তা করতে পারে।

ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, মানি মার্কেট, বেসরকারি ও সরকারি ঋণ নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি ‘ক্যাপিটাল মার্কেট’ নিয়ে আরো আলোচনা করা দরকার। কীভাবে আরো বেশি ভালো কোম্পানি মার্কেটে আসে, সে বিষয়ে সবাইকে সচেষ্ট হতে হবে। তাহলে মানি মার্কেটের ওপর চাপ কমবে। ক্যাপিটাল মার্কেট, ইক্যুইটি মার্কেট ও বন্ড মার্কেট বৃদ্ধি করা জরুরি।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশের সফল বাস্তবায়ন শেষে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরলস কাজ করছে বর্তমান সরকার। তার সুযোগ্য পরিচালনায় গত ১৫ বছরে যেসব মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে, সেগুলো থেকে দেশ এখন রিটার্ন পাচ্ছে। ‘আইবাস’ (ইন্টিগ্রেটেড বাজেট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিং সিস্টেম-IBAS) ব্যবস্থাপনার কারণে বাজেটের বাস্তবায়নের দক্ষতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

আগে বাজেট পাস হলেও বাজেট বাস্তবায়ন শুরু হতে অর্থ বছরের প্রথম প্রান্তিক চলে যেতো। বর্তমানে ১ জুলাই থেকেই অফিসগুলো বাজেট ব্যবহার করছে।

আজকের (৩০ এপ্রিল) আলোচনা অনুষ্ঠান থেকে যেসব পরামর্শ উঠে এসেছে, সেগুলো অর্থ মন্ত্রণালয় অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে বলেও আশ্বাস দেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা রাহমাতুল মুনীম ও এফবিসিসিআই'র প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম।

মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিআরআই'র নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পিআরআই'র চেয়ারম্যান ড. জাইদী সাত্তার।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন পিআরআই'র ভাইস চেয়ারম্যান ড. সাদিক আহমেদ, এমসিসিআই'র প্রেসিডেন্ট কামরান টি রহমান, সিএসই চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম, ডিসিসিআই'র প্রেসিডেন্ট আশরাফ আহমেদসহ প্যানেল আলোচকবৃন্দ।

;