বেনাপোল বন্দরে চালু হচ্ছে সাইডডোর রেল কার্গো



আজিজুল হক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বেনাপোল (যশোর)
রেল কার্গো চালুর জন্য বেনাপোল বন্দরের রেলপথ পরিদর্শন করেন সংশ্লিষ্টরা, ছবি: বার্তা২৪.কম

রেল কার্গো চালুর জন্য বেনাপোল বন্দরের রেলপথ পরিদর্শন করেন সংশ্লিষ্টরা, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

করোনার প্রাদুর্ভাবের মধ্যে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি সচল রাখতে বিকল্প হিসেবে রেলপথে চালু হচ্ছে সাইডডোর রেল কার্গো। খুব দ্রুত এ রুটে এফসিএল কন্টেইনারও চালু হবে বলে জানা গেছে।

শুক্রবার (০৫ জুন) বেনাপোল কাস্টমস হাউজের কমিশনার বেলাল হোসেন চৌধুরী এ খবর বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া তিনি ব্যবসায়ী প্রতিনিধি, বন্দর ও রেল কর্তৃপক্ষকে সাথে নিয়ে এরই মধ্যে রেলপথের বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছেন।

বেনাপোল আমদানি-রফতানি সমিতির সহসভাপতি আমিনুল হক বলেন, করোনা সংক্রমণ রোধের জন্য ভারতে লকডাউন থাকায় পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রায় তিন মাস ধরে স্থলপথে আমদানি-রফতানি বন্ধ রেখেছে। এতে একদিকে যেমন চরম লোকসানের কবলে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা, তেমনি আমদানি বন্ধ থাকায় প্রয়োজনীয় কাঁচামাল সরবরাহ করতে না পারায় দেশের শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো সচল করা সম্ভব হচ্ছে না। এ মুহূর্তে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের প্রচেষ্টায় বেনাপোল রেলপথে সাইডডোর রেল কার্গো এবং এফসিএল কন্টেইনার চালু বাণিজ্যিক খাতের প্রসারে ব্যাপক ভূমিকা রাখবে।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি খায়রুজ্জামান মধু বলেন, স্থলপথে আমদানি বন্ধ থাকায় কেবল ব্যবসায়ীরা ক্ষতির শিকার হচ্ছেন না, সরকারও শত শত কোটি টাকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বেনাপোল রেলপথে সাইডডোর কার্গো চালু হলে ব্যবসায়ীরা সব ধরনের পণ্যের আমদানি করতে পারবেন। এতে ব্যবসায়ীরা যেমন উপকৃত হবেন, তেমনি সরকারেরও রাজস্ব আয় স্বাভাবিক থাকবে।

ভারত-বাংলাদেশ ল্যান্ডপোর্ট ইমপোর্ট, এক্সপোর্ট কমিটির চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান জানান, দেশের স্থলপথে যে পণ্য আমদানি হয়, তার ৭০ শতাংশ হয়ে থাকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে। করোনা ছাড়াও হরতাল, অবরোধ, শ্রমিক অসন্তোষসহ বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতায় স্থলপথে সময় মত পণ্য সরবরাহ বাধাগ্রস্থ হয়। সাইডডোর রেল কার্গো ও এফসিএল কন্টেনার চালু হলে ব্যবসায়ীরা এমন সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাবেন।

বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার বেলাল হোসেন চৌধুরী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ভারত অংশে পার্কিংয়ের নামে এক শ্রেণির মানুষের অবৈধ অর্থবাণিজ্যের কারণে বেনাপোল বন্দর দিয়ে স্থলপথে বাণিজ্যে নানান প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছিল। বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে এ সমস্যা আরো তীব্রতর হচ্ছে। আটকে থাকা পণ্যে কোটি কোটি টাকা লোকসানের শিকার হচ্ছেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা। করোনা প্রতিরোধে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া সত্ত্বেও বার বার কথা দিয়েও ভারতীয়রা পণ্য দেয়নি। এসময় আমাদের বিকল্প ভাবনা ভাবতে হয়। ব্যবসায়ীদের দাবিতে বাণিজ্য সচল ও সরকারের রাজস্ব আয় স্বাভাবিক রাখতে বাণিজ্যিক বিভিন্ন সংস্থার সাথে যোগাযোগ করি। এসময় সরকারি সংস্থাগুলো সাইডডোর রেল কার্গো চালু এবং বেনাপোল রেলপথে এফসিএল কন্টেনার চালুর গুরুত্ব অনুধাবন করে বাণিজ্যে সাড়া দিয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, দুই-একদিনের মধ্যে এ প্রক্রিয়ায় বাণিজ্য চালু হবে।

এছাড়া এফসিএল কন্টেইনারও খুব দ্রুত চালু হবে জানান তিনি।

বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার বার্তা২৪.কমকে জানান, তার জানা মতে খুব দ্রুত বেনাপোল বন্দরে রেলপথে সব ধরনের পণ্যের আমদানি শুরু হবে। রেলপথে পণ্য প্রবেশের পর তা আপাতত বন্দরের হেফাজতে থাকবে। পরে কাস্টমস ও বন্দরের কার্যক্রম শেষে শুল্ক পরিশোধের মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা পণ্য খালাস নিতে পারবেন।

উল্লেখ্য, এর আগে বেনাপোল রেলপথে ভারত থেকে সরাসরি শিল্প কারখানার কিছু কাঁচামাল, পাথর ও জরুরি কিছু খাদ্য দ্রব্য আমদানি হয়ে আসছে। যা স্থলপথে বাণিজ্যের মাত্র ৫ শতাংশ। আমদানি পণ্য বেনাপোল স্টেশনে পৌঁছানোর পর সরাসরি তা নওয়াপাড়া নিয়ে ব্যবসায়ীদের খালাস করতে হতো। ফলে দীর্ঘ সময় আর খরচ বৃদ্ধির কারণে এ পথে ব্যবসায়ীদের আমদানিতে আগ্রহ ছিল কম। এখন সাইডডোর রেল কার্গো সিস্টেমের ফলে সব ধরনের পণ্য বন্দরে আনলোড ও এখান থেকে ব্যবসায়ীরা খালাসের সুযোগ পাবেন। এতে যেমন বাণিজ্যে গতি ফিরবে, তেমনি সরকারের রাজস্ব আয়ও কয়েক গুণ বাড়বে বলে ধারণা সংশিষ্টদের।

 

   

এবার ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হলেন ভোলার শামীম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ওয়ালটন ফ্রিজের ক্রেতা শামীমের হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক এবং ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খানসহ স্থানীয় অতিথিবৃন্দ।

ওয়ালটন ফ্রিজের ক্রেতা শামীমের হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক এবং ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খানসহ স্থানীয় অতিথিবৃন্দ।

  • Font increase
  • Font Decrease

‘সেরা পণ্যে সেরা অফার’ স্লোগানে সারা দেশে চলছে ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০। ক্যাম্পেইনের ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ অফারের আওতায় এবার ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হলেন লালমোহন উপজেলার কনফেকশারি দোকানি মো. শামীম। হলেন ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের ৩৫তম মিলিয়নিয়ার। শামীমের মিলিয়নিয়ার হওয়ার খবরে রীতিমতো হইচই পড়ে গেছে দ্বীপ জেলা ভোলায়।

মঙ্গলবার (১৪ মে) চরফ্যাশন উপজেলার সদর রোডে শরিফ পাড়া এলাকার ওয়ালটন প্লাজা কর্তৃক আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শামীমের হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক এবং ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান।

উল্লেখ্য, আসন্ন ঈদ উৎসবকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০ এ ক্রেতাদের ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ হওয়ার সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন। সিজন-২০ চলাকালীন দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম ও অনলাইন সেলস প্ল্যাটফর্ম ‘ই-প্লাজা’ থেকে ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন এবং ফ্যান কিনে আবারো মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন ক্রেতারা।

এছাড়াও রয়েছে কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত উপহার। এই ক্যাম্পেইনের আওতায় গত ৪ মে দোকানে ব্যবহারের জন্য ওয়ালটন প্লাজা থেকে থেকে ১২ হাজার টাকা ডাউনপেমেন্ট দিয়ে ২৭০ লিটারের একটি ফ্রিজ কেনেন শামীম। ফ্রিজটি কেনার পর তার নাম, মোবাইল নাম্বার এবং ক্রয়কৃত ফ্রিজের মডেল নাম্বার ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হয়। ফ্রিজ নিয়ে বাড়ি যাওয়ার আগেই তার মোবাইলে ওয়ালটনের কাছ থেকে একটি ম্যাসেজ যায়। জানতে পারেন, ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা ক্যাশ পেয়েছেন তিনি।

চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে শামীম বলেন, দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটনের পণ্য ব্যবহার করছি অনেক দিন ধরে। ওয়ালটনের পণ্য বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। দাম কম। সার্ভিসও ভালো। তাই দোকানে ব্যবহারের জন্য ওয়ালটনেরই ফ্রিজ কিনি। কিন্তু কিস্তিতে একটি ফ্রিজ কিনেও যে এতো বড় উপহার পাবো তা স্বপ্নেও ভাবতে পরিনি। এমন পুরস্কার ওয়ালটনের দ্বারাই দেয়া সম্ভব। ওয়ালটন থেকে পাওয়া টাকা ব্যবসার কাজে লাগাবো। ওয়ালটন কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।

চিত্রনায়ক আমিন খান বলেন, পণ্য কেনায় ক্রেতাদের সারাবছরই কোনো না কোনো সুবিধা দিয়ে থাকে ওয়ালটন। ননস্টপ মিলিয়নিয়ার তার মধ্যে একটি। দেশের চাহিদা মিটিয়ে এখন বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশে পণ্য রপ্তানি করছে ওয়ালটন। দেশে সৃষ্টি করে চলেছে ব্যাপক কর্মসংস্থান। এ জন্য সবার উচিৎ এই দেশি ব্র্যান্ডকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। দেশি ব্র্যান্ডের পণ্য কিনলে দেশের টাকা দেশে থাকে। দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হয়।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চরফ্যাশন থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রিপন কুমার সাহা, স্থানীয় ওয়ার্ড কমিশনার গিয়াস উদ্দীন, বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম বাচ্চু, ওয়ালটনের মার্কেটিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের সিনিয়র ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রবিউল ইসলাম মিলটন, চিফ ডিভিশনাল অফিসার আল মাহফুজ খান, ডিভিশনাল ক্রেডিট ম্যানেজার শাহানুর আলম, বরিশাল ডিভিশন সার্ভিস মনিটরিং অফিসার মিজানুর রহমান, ওয়ালটন ফ্রিজের প্রোডাক্ট ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম রেজা, রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার লালু কুন্ডু, রিজিওনাল ক্রেডিট ম্যানেজার মো. লিয়ন এবং ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজার আবু ওয়াসীসহ ওই অঞ্চলে কর্মরত বিভিন্ন ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজারবৃন্দ।

;

ইসলামী ব্যাংক-ট্রান্সফাস্ট রেমিট্যান্স ক্যাম্পেইনের পুরস্কার বিতরণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ইসলামী ব্যাংক-ট্রান্সফাস্ট রেমিট্যান্স ক্যাম্পেইনের পুরস্কার বিতরণ

ইসলামী ব্যাংক-ট্রান্সফাস্ট রেমিট্যান্স ক্যাম্পেইনের পুরস্কার বিতরণ

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক-ট্রান্সফাস্ট রেমিট্যান্স ক্যাম্পেইনের বিজয়ীদের মাঝে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার হস্তান্তর করা হয়েছে।

সম্প্রতি ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এ পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।

কাপাসিয়া শাখার এজেন্ট আউটলেটের গ্রাহক মঞ্জিল মেগা পুরস্কার হিসেবে ১৫০০ সিসির একটি প্রাইভেট কার পেয়েছেন। এছাড়া ১২ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল ২০২৪ পর্যন্ত এ ক্যাম্পেইনে প্রতি ব্যাংকিং দিবসে ডিজিটাল ড্র'র মাধ্যমে ঘোষিত মোট ৩০ জন বিজয়ীকে এক লাখ টাকা করে মোট ত্রিশ লক্ষ টাকা পুরস্কার প্রদান করা হয়।

ইসলামী ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মাস্টারকার্ডের অ্যাসিস্ট্যান্ট কর্পোরেট ট্রেজারার ইন্দ্রনীল গাঙ্গুলি।

ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মিফতাহ উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী, জে কিউ এম হাবিবুল্লাহ, এফসিএস, মো. আলতাফ হুসাইন ও মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল। মাস্টাকার্ডের পক্ষে বক্তব্য দেন মাস্টারকার্ড এশিয়া প্যাসিফিকের পরিচালক সুদীপ্ত ঘোষ। স্বাগত বক্তব্য দেন ব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিসেস উইং প্রধান মোহাম্মদ ইহসানুল ইসলাম। এছাড়া ট্রান্সফাস্ট বাংলাদেশ কন্টাক্ট সেন্টারের ম্যানেজার ফারজানা আলম সহ ইসলামী ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহীবৃন্দ ও ট্রান্সফাস্টের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ইসলামী ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা বলেন, ‘ক্যাম্পেইনের ইতিবাচক প্রভাব দেখে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। দুই মাসব্যাপী চলা এ ক্যাম্পেইনের ফলে প্রবাসীদের মাঝে বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রেরণে বিপুল উৎসাহ সৃষ্টি করেছে। ধন্যবাদ জানাচ্ছি ট্রান্সফাস্টের এমন উদ্যোগের জন্য। ক্যাম্পেইনে সকল বিজয়ীদের বিশেষ করে মেগা বিজয়ী মঞ্জিলকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।’

মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল বলেন, ‘প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এই ক্যাম্পেইনটি বাংলাদেশে আরও বেশি রেমিট্যান্স আনার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। এটি প্রবাসীদের কষ্টার্জিত অর্থ ট্রান্সফাস্টের মতো বৈধ এবং সুরক্ষিত চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে পাঠাতে উৎসাহিত করবে। ইসলামী ব্যাংকের সাথে এই ক্যাম্পেইনের অংশ হতে পেরে মাস্টারকার্ড আনন্দিত।’

কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে গিয়ে মঞ্জিল বলেন, ‘এটি আমার জন্য একটি জীবন পরিবর্তনকারী মুহূর্ত, এই অবিশ্বাস্য উপহারের জন্য ইসলামী ব্যাংক এবং ট্রান্সফাস্টের কাছে কৃতজ্ঞ।’

;

ঢাকা’য় পণ্য প্রদর্শনী করলো সেনহাইজার ও নিউম্যান বার্লিন



নিউজ ডেস্ক
ঢাকা’য় পণ্য প্রদর্শনী করলো সেনহাইজার ও নিউম্যান বার্লিন

ঢাকা’য় পণ্য প্রদর্শনী করলো সেনহাইজার ও নিউম্যান বার্লিন

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের শীর্ষস্থানীয় ডিস্ট্রিবিউটর মেলোডি অ্যান্ড কো. এর সাথে পার্টনারশিপে অডিও টেকনোলজি ও সল্যুশনস প্রদানকারী গ্লোবাল প্রতিষ্ঠান সেনহাইজার-এর প্রিমিয়াম প্রো-অডিও সল্যুশনস পণ্যের প্রদর্শনী ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। ইভেন্টে গ্রাহকরা ব্র্যান্ডের অত্যাধুনিক পণ্যগুলো সম্পর্কে জানার ও দেখার সুযোগ পান। বাংলাদেশি মার্কেটে ব্যবসার পরিধি বাড়াতে সেনহাইজার শীঘ্রই ঢাকায় একটি নতুন সার্ভিস সেন্টার চালু করবে।

মেলোডি অ্যান্ড কো. মিউজিক স্টোরে সেনহাইজার প্রিমিয়াম প্রো-অডিও সল্যুশনস পণ্য থেকে শুরু করে তারযুক্ত ও তারবিহীন মাইক্রোফোন, প্রো হেডফোন, নিউম্যান মনিটর, নিউম্যান মাইক্রোফোন ও ইন্টারফেস ইত্যাদি পণ্য পাওয়া যাবে। স্টোরে আগত গ্রাহকরা সেনহাইজারের আরএফ প্রযুক্তি এবং নিউম্যান বার্লিনের পণ্যগুলো পাবেন।

পার্টনারশিপ সম্পর্কে ভিপিন পুঙ্গালিয়া, কান্ট্রি ম্যানেজার ও ডিরেক্টর- সেলস প্রো অডিও, সেনহাইজার ইন্ডিয়া বলেন, “আমরা মেলোডি অ্যান্ড কো. এর সাথে এই অংশীদারিত্ব নিয়ে এবং বাংলাদেশে আমাদের উপস্থিতি জোরদার করার বিষয়ে আমরা আশাবাদী৷ এর মাধ্যমে আমাদের গ্রাহকরা আমাদের প্রো-অডিও সল্যুশনগুলো ব্যবহারের সুযোগ পাবে। মেলোডি অ্যান্ড কো. এর সাথে পার্টনারশিপের মাধ্যমে আমরা ঢাকার গ্রাহকদের কাছে আমাদের পণ্যগুলো পৌঁছে দিতে পারবো বলে আমি আশাবাদী।”

সম্রাট সরকার, ম্যানেজিং পার্টনার, মেলোডি অ্যান্ড কো বলেন, “আমরা সেনহাইজারের উদ্ভাবনী প্রো-অডিও সল্যুশনস ঢাকায় আনতে পেরে আনন্দিত। এই পার্টনারশিপ গ্রাহকদের সেরামানের অডিও সল্যুশন প্রদানের আমাদের প্রচেষ্টার অংশস্বরূপ, যা দেশের শীর্ষস্থানীয় ডিস্ট্রিবিউটর হিসেবে আমাদের অবস্থানকে আরও দৃঢ় করবে বলে আমি বিশ্বাসী।”

এই পার্টনারশিপের মাধ্যমে সেনহাইজার ঢাকা ও এর বাইরের গ্রাহকদের অনন্য অডিও অভিজ্ঞতা প্রদানের সুযোগ পাবে। তাদের লক্ষ্য অডিও অভিজ্ঞতার মান উন্নত করা এবং ইন্ডাস্ট্রিজুড়ে নতুন মানদণ্ড স্থাপন করা।

;

ইসলামী ব্যাংকের মাসব্যাপী ক্যাম্পেইন শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি ‘টুয়ার্ডস এক্সিলেন্স অ্যান্ড বেটার গ্রোথ ইন এফসি অ্যাকাউন্টস, খিদমাহ কার্ডস অ্যান্ড ডেবিট কার্ডস্’- এই স্লোগান নিয়ে মাসব্যাপী বিশেষ ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ মে) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে প্রধান অতিথি হিসেবে এ ক্যাম্পেইন উদ্বোধন করেন ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন এডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী, জে.কিউ.এম. হাবিবুল্লাহ, এফসিএস ও ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মিফতাহ উদ্দীন।

ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর কাজী মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন- সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. রফিকুল ইসলাম ও এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট আহমেদ জুবায়েরুল হক।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ড. মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন, ক্যামেলকো তাহের আহমেদ চৌধুরীসহ প্রধান কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী ও কর্মকর্তাবৃন্দ।

এছাড়া ব্যাংকের সব জোন প্রধান, শাখা প্রধান ও উপশাখা ইনচার্জ ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে সংযুক্ত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা বলেন, ইসলামী ব্যাংকের মুদারাবা ফরেন কারেন্সি ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট, মুদারাবা রেসিডেন্ট ফরেন কারেন্সি ডিপোজিট অ্যাকাউন্ট (আরএফসিডি) ও মুদারাবা ইন্টারন্যাশনাল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট (আইবি) ইতোমধ্যে গ্রাহকদের কাছে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।

এর মাধ্যমে গ্রাহকেরা বৈদেশিক মুদ্রা জমা ও লেনদেন করতে পারছেন। ব্যাংকের এডি শাখা ও অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটে এসব অ্যাকাউন্ট খোলা যায় এবং ইসলামী শরী’আহ মুদারাবা নীতির ভিত্তিতে এসব অ্যাকাউন্টে আকর্ষণীয় মুনাফা প্রদান করা হয়।

তিনি আরে বলেন, আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে পদার্পণ করেছি। বর্তমানে ডিজিটাল প্রোডাক্টগুলোর ব্যাপক সম্প্রসারণ হয়েছে। পেমেন্ট সিস্টেমে এসেছে বৈপ্লবিক পরিবর্তন। স্মার্ট ব্যাংকিংকে সর্বোন্নত পর্যায়ে নিয়ে যেতে ইসলামী ব্যাংক কাজ করে যাচ্ছে।

আধুনিক ও বৈচিত্র্যময় কার্ডসেবার মাধ্যমে গ্রাহক সেবা উন্নতকরণ এবং দেশে-বিদেশে ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনে অবদান রেখে চলেছে এ ব্যাংক। ইসলামী ব্যাংকের খিদমাহ ক্রেডিট কার্ড ও ডেবিট কার্ড ব্যবহার করে গ্রাহকেরা বিভিন্ন হোটেল-রেস্টুরেন্ট, হাসপাতাল ও এয়ারপোর্ট লাউঞ্জে ডিসকাউন্ট সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।

তিনি ব্যাংকের আধুনিক সেবাগুলো সব স্তরের মানুষের কাছে পৌঁছাতে কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।

;