ডব্লিউটিওতে ভারতের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ



সেন্ট্রাল ডেস্ক ৪

  • Font increase
  • Font Decrease
সম্ভাব্য বাণিজ্য যুদ্ধ নিয়ে বিশ্বে চলমান শঙ্কায় নতুন মাত্রা যোগ করল যুক্তরাষ্ট্র। এবার ভারতের রফতানি ভর্তুকি নিয়ে দেশটির বিরুদ্ধে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় (ডব্লিউটিও) চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে ইউএস ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ (ইউএসটিআর)। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, ভারতের এ ধরনের কর্মসূচির কারণে প্রতিযোগিতার ‘অসম’ ক্ষেত্র তৈরি হচ্ছে; যাতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন মার্কিন কর্মীরা। অন্যদিকে হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, চীনকে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ১০ হাজার কোটি ডলার বাণিজ্য উদ্বৃত্ত কমাতে চাপ দেয়া হচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে এশিয়ার দুই বৃহত্তম অর্থনীতির বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আক্রমণাত্মক মনোভাব আরো স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। খবর পিটিআই, এএফপি ও রয়টার্স। এএফপির হাতে আসা মার্কিন প্রশাসনের কিছু গোপন নথিতে দেখা গেছে, মৌলিক নীতিমালা ভঙ্গকারী সদস্য দেশগুলোকে শাস্তি দেয়ার লক্ষ্যে ডব্লিউটিওতে সংস্কার আনার প্রস্তাব করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির এ পদক্ষেপ স্পষ্টতই চীনকে লক্ষ করে। কারণ ট্রাম্প প্রশাসন শুরু থেকেই বলে আসছে, চীন বাজার অর্থনীতির দেশ নয় এবং এটি বহুপক্ষীয় সংস্থা ডব্লিউটিওর সদস্য হওয়ার যোগ্যতা রাখে না। ভারতের বিরুদ্ধে ডব্লিউটিওতে উত্থাপিত নালিশে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, দেশটির কমপক্ষে অর্ধডজন কর্মসূচি রয়েছে, যেগুলো  রফতানিকারকদের বিশেষ আর্থিক সুবিধা দিয়ে থাকে। প্রাপ্ত আর্থিক সুবিধার কারণেই মার্কিন কর্মী ও ম্যানুফ্যাকচারারদের ক্ষতি করে সস্তায় পণ্য বিক্রি করতে পারেন ভারতীয় রফতানিকারকরা। যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি রয়েছে ভারতের এমন কার্যক্রমগুলো হচ্ছে— মার্চেন্ডাইস এক্সপোর্টস ফ্রম ইন্ডিয়া স্কিম, এক্সপোর্ট ওরিয়েন্টেড ইউনিটস স্কিম এবং নির্দিষ্ট কিছু খাতের জন্য নির্ধারিত স্কিম (এর মধ্যে রয়েছে ইলেকট্রনিকস হার্ডওয়্যার টেকনোলজি পার্কস স্কিম, স্পেশাল ইকোনমিক জোনস, এক্সপোর্ট প্রমোশন ক্যাপিটাল গুডস স্কিম ও ডিউটি ফ্রি ইমপোর্টস ফর এক্সপোর্টার্স প্রোগ্রাম)। ইউএসটিআরের পক্ষ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এসব কর্মসূচির আওতায় নির্দিষ্ট শুল্ক, কর ও ফি থেকে রফতানিকারকদের অব্যাহতি দেয় ভারত। ইস্পাতপণ্য, ফার্মাসিউটিক্যাল, কেমিক্যাল, তথ্যপ্রযুক্তিসংশ্লিষ্ট পণ্য, বস্ত্র ও পোশাক খাতের রফতানিকারকরা এসব কর্মসূচি থেকে সুবিধা পেয়ে আসছেন। এদিকে ভারত সরকারের নথি থেকে প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, ভারতের এসব কর্মসূচি থেকে দেশটির কয়েক হাজার কোম্পানি বছরে ৭০০ কোটি ডলারের আর্থিক সুবিধা পাচ্ছে। ইউএসটিআর বলছে, রফতানিতে ভর্তুকি একটি নিয়মবহির্ভূত প্রতিযোগিতা সুবিধা পাইয়ে দেয়। মার্কিন বাণিজ্য প্রতিনিধি রবার্ট লাইটহাইজার গত বুধবার বলেন,‘এ রফতানি ভর্তুকির কারণে অসম প্রতিযোগিতার সম্মুখীন মার্কিন কর্মীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। বাণিজ্য চুক্তির আওতায় প্রাপ্য অধিকারগুলো জোরালোভাবে প্রয়োগের মাধ্যমে বাণিজ্য সহযোগীদের সবসময়ই কৈফিয়ত দিতে বাধ্য রাখবে ইউএসটিআর। এছাড়া ডব্লিউটিওসহ সব সংস্থার নীতিমালা বাস্তবায়ন করে নিরপেক্ষ ও পারস্পরিক বাণিজ্য অব্যাহত রাখা হবে। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির পক্ষ থেকে এমন এক সময়ে ভারত নিয়ে ঘোষণা দেয়া হলো, যখন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিজয় গোকলে যুক্তরাষ্ট্র সফরে রয়েছেন। এ সফরে ইউএসটিআরের সঙ্গে তার বৈঠক করার কথা রয়েছে। ভারতের রফতানি নিয়ে আগাম ঘোষণায় প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বুধবার টুইটারে উল্লেখ করেন, ‘আমাদের দেশের বিরুদ্ধে নিয়মবহির্ভূত চর্চা চালিয়ে যাচ্ছে এমন দেশগুলোর প্রতি আর অন্ধ হয়ে থাকবে না যুক্তরাষ্ট্র।’ এছাড়া বুধবার চীন থেকে আমদানিতে ৬ হাজার কোটি ডলার পর্যন্ত শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা প্রকাশের পর পরই দেশটিকে নিজেদের সঙ্গে বাণিজ্য উদ্বৃত্ত কমানোর ওপর চাপ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। গত সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এক টুইট বার্তাকে ব্যাখ্যা করে হোয়াইট হাউজের এক মুখপাত্র বুধবার এ কথা জানিয়েছেন। গত বুধবার ট্রাম্প টুইটারে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য উদ্বৃত্ত ১০০ কোটি ডলার কমাতে বলা হবে চীনকে। এখন হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র বলছেন, প্রেসিডেন্ট একে ১০ হাজার কোটি ডলার বোঝাতে চেয়েছেন। ২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যে চীনের উদ্বৃত্ত ছিল ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি ডলার, যা যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক ৫৬ হাজার ৬০০ কোটি ডলার বাণিজ্য ঘাটতির দুই-তৃতীয়াংশ। মঙ্গলবার প্রকাশিত পলিটিকোর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন থেকে আমদানিকৃত পণ্যে বছরে ৩ হাজার কোটি ডলার শুল্ক আরোপের প্রস্তাব দিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিনিধি লাইটহাইজার। তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এটি আরো বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
   

ই-কমার্স ব্যবসার চ্যালেঞ্জ দূরীকরণে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের তাগিদ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ব্যবসা পরিচালনা, লজিস্টিকস ও পেমেন্টের জটিলতা দূর করা এবং ক্রেতাদের আস্থা ফিরিয়ে আনাসহ অন্যান্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এই খাতের অংশীজনদের সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন এফবিসিসিআই’র সভাপতি মাহবুবুল আলম।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিকেলে এফবিসিসিআই’র মতিঝিল কার্যালয়ে আয়োজিত গ্লোবাল ই-কমার্স বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির দ্বিতীয় মিটিংয়ে তিনি এই আহ্বান জানান।

উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল। কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এফবিসিসিআই’র পরিচালক সৈয়দ মোঃ বখতিয়ার।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ক্রেতাদের আস্থা ফেরাতের ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে নকল পণ্য বিক্রি ও প্রতারণা রোধে এই খাতের উদ্যোক্তাদের আরও সতর্ক এবং কঠোর হতে হবে। ক্রসবর্ডার ট্রেডের মূল্য পরিশোধের ক্ষেত্রে যেসব জটিলতা রয়েছে সেগুলো সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিতকরণ এবং সমাধানের উপায় বেড় করতে হবে। লজিস্টিকস সহ অন্যান্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কাজ করতে হবে।

অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ব্যবসা-বাণিজ্যর সম্ভাবনা, প্রতিবন্ধকতা এবং সমাধানের জন্য করণীয় নির্ধারণে উদ্যোক্তা, নীতি নির্ধারক, ই-কমার্স খাতের এক্সপার্ট সহ অংশীজনের উপস্থিতিতে সেমিনার বা সম্মেলন আয়োজনের পরামর্শ দেন এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ আমিন হেলালী।

স্ট্যান্ডিং কমিটির সকল সদস্যের মতামতের ভিত্তিতে- ই-কমার্স খাত নিয়ে শীঘ্রই একটি পলিসি কনফারেন্স আয়োজন করা হবে বলেন জানানা কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল।

এ বিষয়ে কমিটির সদস্যবৃন্দের কাছে সুচিন্তিত মতামত আহ্বান করেন কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ সৈয়দ মোঃ বখতিয়ার।

ই-কমার্স খাতের ওপর একটি কৌশলপত্র তৈরি এবং পলিসি কনফারেন্স আয়োজনের লক্ষ্যে টেকনিক্যাল কমিটি, গবেষণা সেল তৈরি, ই-কর্মাস বিষয়ক ডেস্ক চালুসহ বেশকিছু প্রস্তাব উঠে আসে মুক্ত আলোচনায়।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি মিস শমী কায়সার, মোঃ আনোয়ার সাদাত সরকার, পরিচালক হাফেজ হাজী হারুন-অর-রশীদ, মোঃ আবুল হাশেম, এফবিসিসিআই’র সাবেক পরিচালক আবু হোসেন ভূঁইয়া (রানু), কমিটির কো-চেয়ারম্যান ও সদস্যবৃন্দ প্রমুখ।

;

বৃহৎ শিল্পে ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০২১’ পেল ‘স্নোটেক্স’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বৃহৎ শিল্পে ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০২১’ পেল ‘স্নোটেক্স’

বৃহৎ শিল্পে ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০২১’ পেল ‘স্নোটেক্স’

  • Font increase
  • Font Decrease

বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরিতে ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০২১’ অর্জন করেছে স্নোটেক্স গ্রুপের প্রতিষ্ঠান স্নোটেক্স আউটারওয়্যার লিমিটেড। স্নোটেক্স আউটারওয়্যার লিমিটেড এর পক্ষে এ সম্মাননা গ্রহণ করেন স্নোটেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব এস এম খালেদ।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০২১’-এর ক্রেস্ট ও সম্মাননা সনদ প্রদান করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শিল্পমন্ত্রী জনাব নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।

শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুস শহীদ ও এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম। জাতীয় অর্থনীতির শিল্পখাতে অবদানের স্বীকৃতি, প্রণোদনা সৃষ্টি, সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করা এবং বেসরকারি খাতে শিল্প স্থাপন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রেণিবিন্যাস অনুযায়ী ৬ ক্যাটাগরির মোট ২০টি শিল্প প্রতিষ্ঠান/উদ্যোক্তাকে এই পুরস্কার দেয়া হয়।

যার মধ্যে বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরিতে ৬টি, মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিতে ৩টি, ক্ষুদ্র শিল্প ক্যাটাগরিতে ৪টি, মাইক্রো শিল্প ক্যাটাগরিতে ৩টি, কুটির শিল্প ক্যাটাগরিতে ৩টি এবং হাইটেক শিল্প ক্যাটাগরিতে একটি প্রতিষ্ঠান এই সম্মাননা অর্জন করে।

বৃহৎ শিল্পে ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০২১’ পেল ‘স্নোটেক্স’

শিল্প মন্ত্রণালয়ের ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার প্রদান সংক্রান্ত নির্দেশনাবলী ২০১৩’ অনুযায়ী ২০১৪ সালে প্রথম বারের মতো এ পুরস্কার দেয়া শুরু হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এ বছর সপ্তম বারের মতো ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার’ দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ‘স্নোটেক্স’ ২০০০ সালে বায়িং হাউজের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে। ২০০৫ সালে নিজেদের প্রথম কারখানা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে ‘স্নোটেক্স অ্যাপারেলস’। সেই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালে ‘কাট অ্যান্ড সিউ’ এবং ২০১৪ সালে ‘স্নোটেক্স আউটারওয়্যার লিমিটেড’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। সর্বশেষ ২০২০ সালে ‘স্নোটেক্স স্পোর্টসওয়্যার লিমিটেড’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। বর্তমানে ‘স্নোটেক্স’ চারটি বড় কারখানার একটি প্রতিষ্ঠান।

এরই মধ্যে স্নোটেক্স আউটারওয়্যার গ্রিন ফ্যাক্টরি হিসেবে অর্জন করেছে ইউএসজিবিসির লিড প্লাটিনাম সার্টিফিকেটে। পাশাপাশি রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০২১, গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘হেলথ অ্যান্ড সেফটি’ অ্যাওয়ার্ডসহ প্রতিষ্ঠানটি জাতীয় ট্যাক্সকার্ড ও সেরা করদাতা সম্মাননা-২০২২, জাতীয় রপ্তানি ট্রফি ২০২০-২১, বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ড-২০১৯, জাতীয় রপ্তানি ট্রফি ২০১৯-২০, ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২১, পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি উত্তম চর্চা পুরস্কার-২০১৭, ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড-২০২০, এসডিজি অ্যাওয়ার্ড, বেস্ট প্র্যাকটিস অ্যাওয়ার্ড-২০১৮ অর্জন করেছে ‘স্নোটেক্স’।

;

টানা ৬ দফা বাড়ার পর কমেছে সোনার দাম, ভরি ১১৮৪৬০ টাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা ৬ দফা বাড়ার পর দেশের বাজারে কমেছে সোনার দাম। এ দফায় ভরিতে ১ হাজার ৮৪ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১৮ হাজার ৪৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস।

আগামীকাল শুক্রবার (২৪ মে) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম পড়বে ১ লাখ ১৮ হাজার ৪৬০ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ৮২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৬ হাজার ৯২৮ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৮০ হাজার ১৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে গত ১৯ মে ২২ ক্যারেটের সোনার দাম ১ লাখ ১৯ হাজার ৫৪৪ টাকা নির্ধারণ করে বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ১০৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ৮০৩ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৮০ হাজার ৮৬৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ২৫ বার সোনার দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ১৩ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ১২ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।  

;

‘নিয়োগের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা ও প্রফেশনালিজমের বিষয়টি দেখা উচিত’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোতে সরকারের পক্ষ থেকে পরিচালক নিয়োগের ক্ষেত্রে অন্তত ন্যূনতম অভিজ্ঞতা এবং প্রফেশনালিজমের বিষয়টি দেখা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাজধানীর লেকশোর হোটেলের লা ভিটা হলে সিপিডি আয়োজিত ‘বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের জন্য সামনে কী অপেক্ষা করছে?’ শীর্ষক সংলাপে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

তিনি বলেন, যোগ্যতার বিষয়টি না দেখে অতীতে অনেক তরুণ ও অপরিপক্ক লোকজনকে ব্যাংকের পরিচালক পদে সরকারের পক্ষ থেকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

দুর্বল ব্যাংককে সবল ব্যংকের সঙ্গে একীভূত করার আগে আর্থিক খাতে লুটপাটে সংশ্লিষ্টদের শাস্তি নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছেন অনুষ্ঠানের অপর বিশেষ অতিথি জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।

ব্যাংকিং খাতে অস্থিরতায় বাংলাদেশ ব্যাংকের বড় ধরনের ব্যর্থ্যতা আছে দাবি করে তিনি বলেন, “হঠাৎ একদিন সকালে আপনি কেন বলছেন যে ১০ টি ব্যাংকের অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে? রেগুলেটরি মেজার হিসেবে এগুলোকে ভালো করার উদ্যোগ কেন নিচ্ছেন না? নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা হিসেবে একেবারেই ব্যর্থ বাংলাদেশ ব্যাংক।”

দেশে ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপীদের মতো ইচ্ছাকৃত নন গভর্নেন্স প্রেক্টিস হচ্ছে কি না, এমন প্রশ্ন তুলেছেন সিনিয়ির সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা।

তিনি এ সময় বলেন, বাংলাদেশে ব্যাংক তৈরি করা হয় না। বরং রাজনৈতিকভাবে পছন্দের ব্যক্তিদের মাঝে ব্যাংক বিতরণ করা হয়। ২০১৯ সালে এমন সমালোচনার মধ্যেই তিনটি নতুন ব্যাংক অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তখনকার অর্থমন্ত্রী কোনো সমালোচনাই আমলে নেননি।

তিনি বলেন, ফারমার্স ব্যাংক নাই হয়ে গেল। এটা ঠিক করতে যাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তিনিও লুটপাট করেছেন। আর্থিক খাতে লুটপাটে সংশ্লিষ্ট পিকে হালদার বাংলাদেশে ধরা পড়ে না, দেশের বাইরে ধরা পড়ে।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সিপিডির ফেলো ড. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিনিযোগ, প্রবৃদ্ধি, বণ্টন থেকে শুরু করে কর্মসংস্থান পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতের বড় গুরুত্ব রয়েছে। এখানে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। আর্থিক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের অনেক উদ্যোগ রয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, খুব সতর্কতার সাথে এ সব উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে হবে।

তিনি বলেন, অনেক সময় লাভের ব্যক্তিকরণ হয় আর লোকসানের রাষ্ট্রীয়করণ হয়ে যায়।

নতুন লাইসেন্স দেয়ার ক্ষেত্রে সরকারকে আরও সাবধানী হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন সাবেক মন্ত্রী এম এ মান্নান। ব্যাংকিং কমিশন গঠন করে খুব ভালো সুফল পাওয়া যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

;