করোনায় পুঁজিবাজারের জন্য প্রণোদনা দাবি ইমনের



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রফতানিমুখী এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের মতো করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পুঁজিবাজারর জন্য বিশেষ প্রণোদনা বা আর্থিক সাহায্যের দাবি করেছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন।

প্রধানমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, শিল্প উৎপাদন, রফতানি বাণিজ্য, সেবা খাত বিশেষত পর্যটন, এভিয়েশন ও হসপিটালিটি খাত, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগ, কর্মসংস্থান সেক্টরে ক্ষেত্রে ধস নেমেছে৷ পুঁজিবাজারে বিশ্বব্যাপী গত কয়েক সপ্তাহে ২৮-৩৪ শতাংশ দরপতন ঘটেছে। সম্ভাব্য অর্থনৈতিক সংকট থেকে উত্তরণের জন্য আর্থিক সহায়তা হিসেবে ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে৷ আশা করা যাচ্ছে এতে দেশের অর্থনীতি পুনরায় ঘুরে দাঁড়াবে৷

মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, ‘দেশের পুঁজিবাজার বৈশ্বিক পুঁজিবাজারের বাইরে নয়৷ পুঁজিবাজারের স্বার্থে এই মুহূর্তে সরকারের কাছ থেকে অন্যান্য খাতের মত প্রণোদনা বা আর্থিক সাহায্য দরকার। তাই ব্রোকার কমিউনিটি বা স্টেকহোল্ডার, মার্চেন্ট ব্যাংক, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ডসহ অন্যান্য যারা আছেন, তাদেরকে স্বল্প সুদে ও স্বল্প মেয়াদে একটা আর্থিক সাহায্য বা প্রণোদনা দেওয়ার জন্য সরকারের কাছে অনুরোধ করেছি৷ তবে যদি ভবিষ্যতে আয় রোজগার করে ভালো অবস্থা হলে, অবশ্যই সে টাকা ফেরত দেওয়া হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আর্থিক সহযোগিতা খুবই জরুরি প্রয়োজন। বিশেষ করে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোকে একটু স্বল্প সুদে সরকার এ মুহূর্তে কিছু আর্থিক সহযোগিতা দিতে পারে। দিন শেষে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার দিকটাও চিন্তা করতে হবে৷’

সরকারের কাছে আকুল আবেদন এবং প্রাণের দাবি জানিয়ে ডিএসইর এই পরিচালক বলেন, ‘লেনদেনে দশমিক ০৫ অর্থাৎ ৫ পয়সা হারে যে অগ্রিম ইনকাম টেক্স (AIT) দিতে হয়, সেটা এই মুহূর্তে সম্পূর্ণ মওকুফ করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি। আর সর্বশেষ বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কথা ভাবতে বলব৷ তারাও খুব ক্ষতিগ্রস্ত। বাজার খোলার পর তাদের ব্যাপারেও প্রণোদনা দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করে দেখতে হবে৷’

তিনি বলেন, ‘পুঁজিবাজার বন্ধ রাখার বিষয়টি আমাদের জন্য দুঃখজনক৷ আসলে এটার সঙ্গে আমরা পরিচিত না৷ এতদিন যাবত বাজারটি বন্ধ থাকা আমাদের জন্য খুবই কষ্টকর এবং একটি খারাপ অভিজ্ঞতা৷ তবে বাস্তবতার দিকটাও আমাদের চিন্তা করতে হবে। উন্নত বিশ্বের সঙ্গে আমাদের কিছুটা টেকনিক্যাল পার্থক্য আছে।’

ইমন বলেন, ‘উন্নত বিশ্বের স্টক মার্কেট সম্পূর্ণ অটোমেটেড মার্কেট এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মভিত্তিক মার্কেট। সেখানে মোবাইল অ্যাপসগুলো অনেক কার্যকরী। যেমন সেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জ পুরো লেনদেন মোবাইলে হয়।সেখানে একটি ইন্টিগ্রেট সিস্টেম আছে এবং এক সত্ত্বা হিসেবে কাজ করে। এই সিস্টেমে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন, সিডিবিএল, সিসিবিএল সবাই সম্পৃক্ত৷ তবে আমাদের সত্ত্বাগুলো ভিন্ন৷ ফলে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন যদি বন্ধ থাকে, আমাদেরও বন্ধ রাখতে হয়৷ আবার সিডিবিএলও পাশাপাশি বন্ধ৷ ফলে ডিএসইকে চালু রাখাটা কিছুটা কষ্টকর বিষয়৷’

এদিকে, দেশের লকডাউন পরিস্থিতি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, নিরাপত্তা সরঞ্জামের অভাবসহ বিনিয়োগকারীদের নিরাপত্তা দেওয়া বা অফিসের কর্মচারী-কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা দেওয়ার বিষয়টাও প্রাধান্য পাবে বলে জানান তিনি৷

সরকার যদি ছুটি আরও বাড়ায়, সেক্ষেত্রে আমরা কি করব এমন প্রশ্ন রেখে মিনহাজ ইমন বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ডিএসইর বোর্ডের সিদ্ধান্ত সরকারের ছুটি যদি বাড়ে, দুঃখজনক হলেও এটার বাস্তবতা আমাদের লেনদেনটা বন্ধ থাকবে। তবে কমিশন অফিস খোলা রাখে, সেক্ষেত্রে ভিন্ন সিদ্ধান্ত আসতে পারে৷’

ডিএসইর এই পরিচালক বলেন, ‘আমরা ব্রোকাররা অনেক খারাপ অবস্থায় আছি৷ ২০১৯ সাল থেকেই আমাদের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ৷ লেনদেন কমায় আয় কমেছে৷ আমরা প্রত্যেকেই লোকসানে ব্যবসা করছি৷ আর এই করোনার কারণে আমাদের অবস্থা আরও ভয়াবহ খারাপ৷ এপ্রিল মাসে আমাদের আয় হবে শূন্য৷ অথচ কর্মকর্তা কর্মচারীদের বেতন দিতে হবে৷’

এদিকে শেয়ারের দরপতনের সর্বনিম্ন সীমা (যে দরের নিচে নামতে পারবে না) বেঁধে দেওয়ার কারণে লেনদেন এক ধরনের বন্ধ অবস্থায় আছে বলে জানান ইমন৷ তিনি বলেন, ‘এ অবস্থায় অফিস খুললেও খুব একটা আয় রোজগার হবে না৷’

   

সাগরে তেল-গ্যাস উত্তোলনে ৭টি কোম্পানি দরপত্র কিনেছে: নসরুল হামিদ



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সাগরে তেল-গ্যাস উত্তোলনে এখন পর্যন্ত ৭টি বড় বড় কোম্পানি দরপত্র কিনেছে। পনেরটির অধিক কোম্পানি আগ্রহ দেখাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

বুধবার (৮ মে) রাজধানীর একটি পাঁচতারকা হোটেলে বিডিং রাউন্ড সংক্রান্ত সেমিনার শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, বিশ্বের নামিদামি ৭টির অধিক কোম্পানি বিড ডকুমেন্ট (দরপত্র) কিনেছে। তারা মাল্টিক্লায়েন্ট সার্ভের ডাটাও কিনেছে। আরও অনেক কোম্পানি আগ্রহ দেখাচ্ছে। আজকের সেমিনারে ১৫টির বেশি বিদেশি কোম্পানি অংশ নিয়েছে। এতে বুঝা যায় আমাদের সাগরের দরপত্র নিয়ে কতটা আগ্রহ তৈরি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গ্যাসের বিশাল বাজার রয়েছে আমাদের দেশে। আমাদের মডেল পিএসসি (উৎপাদন বন্টন চুক্তি) বিশ্বের সর্বাধুনিক। এখানে উভয়পক্ষের স্বার্থ রক্ষা করা হয়েছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিড ডকুমেন্ট (দরপত্র) বিক্রি ও জমার কাজ শেষ করবো, এরপর মূল্যায়ন শেষে আগামী বছর চুক্তি করতে চাই। সবকিছু ঠিক থাকলে ৭ থেকে ৮ বছরের মধ্যে গ্যাস পাওয়া যাবে।

অনুষ্ঠান শেষে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী বলেন, আমাদের সাগরাঞ্চল একটি সমৃদ্ধ এলাকা। আন্তর্জাতিক দরপত্রে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। আবার মাল্টিক্লায়েন্ট সার্ভের ডাটার কারণে তারা বুঝতে পারছে এখানকার সম্ভাবনার তথ্য।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে হলে মধ্যমপন্থা অবলম্বন করতে হয়। আমরা সেটাই করেছি, শুধু আমাদের স্বার্থ দেখলে তারা বিনিয়োগ করতে আসবে না, আবার তাদের স্বার্থ দেখলে আমাদের কিছু হবে না। তাই মধ্যমপন্থা অবলম্বন করে উভয়ের স্বার্থ সংরক্ষণ করা হয়েছে। গ্যাসের দাম ব্রেন্টক্রুডের সঙ্গে মিল রেখে নির্ধারিত হবে।

প্রধানমন্ত্রীর এই উপদেষ্টা বলেন, অনেক দেশে সাগরের সীমানা নিয়ে বিবাদ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতায় প্রতিবেশী দুই দেশের সঙ্গে শান্তপূর্ণ উপায়ে বিশাল অঞ্চলে অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যা অনেকে জন্য শিক্ষণীয়।

সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনের জন্য গত ১১ মার্চ আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এতে অংশগ্রহণের জন্য বিশ্বের শীর্ষ পর্যায়ের ৫৫টি কোম্পানিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। সাগর সীমানা বিরোধ নিষ্পত্তির পর ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গ কিলোমিটার সমুদ্র অঞ্চলের ওপর মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশের। গভীর সমুদ্রে ১৫টি ও অগভীর সমুদ্রে ১১টি ব্লকে ভাগ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০১০ সালে গভীর সমুদ্রে ডিএস-১০ ও ডিএস-১১ ব্লকে কাজ নেয় কনোকো ফিলিপস। তারা ২ডি জরিপ শেষে গ্যাসের দাম বাড়ানোর দাবি করে। সেই দাবি পূরণ না হওয়ায় কাজ ছেড়ে চলে যায়।

এছাড়া চুক্তির পর কাজ ছেড়ে চলে যায় অস্ট্রেলিয়ার স্যান্তোস ও দক্ষিণ কোরিয়ার পস্কো দাইয়ু। এখন একমাত্র কোম্পানি হিসেবে অগভীর সমুদ্রের দুটি ব্লকে অনুসন্ধান চালাচ্ছে ভারতের কোম্পানি ওএনজিসি। এ দুটি বাদ দিয়ে বাকি ২৪টি ব্লকে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

;

৩২ বিলিয়ন ডলার লোকসানেও কেন টিকে আছে বোয়িং!



ইশতিয়াক হুসাইন, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
৩২ বিলিয়ন ডলার লোকসানেও কেন টিকে আছে বোয়িং!

৩২ বিলিয়ন ডলার লোকসানেও কেন টিকে আছে বোয়িং!

  • Font increase
  • Font Decrease

 

পরিস্থিতি যেন কোনোভাবেই অনুকূলে আসছে না বিশ্বখ্যাত উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের। একের পর এক দুর্ঘটনায় নাকাল প্রতিষ্ঠানটি ভাবমূর্তি যেমন তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে, তেমনি আর্থিক অবস্থায় শোচনীয় পর্যায়ে গিয়েছে।

এক একটি দূর্ঘটনার পর বোয়িংকে বিপুল পরিমান আর্থিক ক্ষতির সম্মূখীন হতে হচ্ছে। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বিগত ৫ বছরে প্রতিষ্ঠানটি ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার লোকসান দিয়েছে। 

বিশ্লেষকরা বলছেন, বোয়িং না হয়ে যদি অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান এই লোকসানে পড়তো তাহলে ওই কোম্পানি দেউলিয়া হয়ে যেতো। বোয়িং বলেই এটি এখনো টিকে আছে।

সূত্র বলছে, এই পরিমান লোকসান সত্বেও বোয়িংয়ের ৫,৬০০টি উড়োজাহাজ বাণিজ্যিক উড়োজাহাজ সরবরাহ করতে পারেনি, যার আর্থিক মূল্য ৫২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, এত বিপুল সংখ্যক উড়োজাহাজের অর্ডার থাকা সত্ত্বেও কেন বোয়িং উড়োজাহাজ নির্মাণ কমিয়ে দিয়েছে। সমস্যা তাহলে কোথায়? খুঁজতে গিয়ে জানা গেল, উড়োজাহাজের গুণগত মান নিশ্চিত করতেই তারা এই সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে। শুধুমাত্র লাভের জন্য তারা ইচ্ছেমতো উড়োজাহাজ নির্মাণের দিকে নজর দিচ্ছে না।

মার্কিন অ্যারোস্পেস বিশেষজ্ঞ রন ইপেস্টিন বলেন, এই অবস্থা চিরদিনের জন্য চলতে পারে না। কারণ তাদের সামান্য বিচ্যুতি রয়েছে। কিন্তু এজন্য তারা আগামীকাল নতুন করে সমস্যায় পড়তে চাইছে না।

ঋণে নিমজ্জিত বোয়িং: 

বোয়িং ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বলছে, তারা মুনাফার থেকে নিরাপত্তা ও গুণগত মানের দিকে বেশি মনোনিবেশ করছে। যেমন নাটবল্টু হয়তো নাই – এমন সব বিষয়ে সতর্ক থাকছি। কারণ এ ধরনের নাটবল্টু যদি না থাকে তাহলে আকাশে উড়োজাহাজের কাঠামো খুলে যেতে পারে। যেমনটি আলাস্কা এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৩৭ উড়োজাহাজের ক্ষেত্রে ঘটেছিল গত জানুয়ারিতে। 

বোয়িংয়ের সদ্য বিদায়ী সিইও ডেভ ক্যালহাউন বলছেন, বোয়িংয়ের আর্থিক অবস্থা যতটা খারাপ মনে হচ্ছে ততটা নয়। বরং আমাদেও কাছে এটি বুঝতে পারা গুরুত্বপূর্ণ যে, আমাদেও কর্মী ও স্টেকহোল্ডাররা বোয়িংয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে কতটা আশাবাদী হচ্ছে। বরং আমাদেও পোর্টফোলিও জুড়ে চহিদা অবিশ্বাস্যভাবে শক্তিশালী রয়েছে। আমাদেও কর্মীরা বিশ্বমানের। আমাদেও সামনে অনেক কাজ আছে। তবে আমাদেও কর্মীদেও নিয়ে আমরা গর্বিত এবং আমাদেও ভবিষ্যতের ব্যাপাওে সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাসী।

তার মানে এই না যে, বোয়িং তার সমস্যাগুলোর বিষয়ে সিরিয়াস না। গুণমান ও নিরাপত্তার বিষয়টি আকাশপথে ভ্রমণকারীদের আস্থা নষ্ট করেছে। তাছাড়া আলাস্কা এয়ারলাইন্সের ওই ঘটনার আগে ও পরেও বোয়িংয়ের অর্ডারের পতন হয়। কারণ বোয়িং প্রতিদ্বন্দ্বী এয়ারবাসের চেয়ে অনেক পিছিয়ে পড়েছে।

২০১৮ সালে ইন্দোনেশিয়ার লায়ন এয়ার ও ২০১৯ সালে ইথিওপিয়ান এয়ারলাইন্সের দুর্ঘটনায় ৩৪৬ জন যাত্রী নিহত হন। ২০১৯ সালের দ্বিতীয় কোয়ার্টারে বোয়িং ৭৩৭ ম্যাক্স এ ভয়াবহ দুর্ঘটনা সব থেকে বেশি বিক্রিত উড়োজাহাজটিকে ২০ মাস গ্রাউন্ডেড করে রাখতে হয়েছে। ম্যাক্স ৭৩৭ দুর্ঘটনার পর ২০১৮ সালের শেষে বোয়িংয়ের ঋণের পরিমান ১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে ৪৮ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।

যেখানে বোয়িং এগিয়ে: 

বোয়িং কোম্পানির দুটি সুবিধা রয়েছে, যা অন্য কোম্পানিগুলোর নেই। প্রথম, কোম্পানিটির সব গ্রাহক যদি বোয়িং থেকে এয়ারবাসে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন, তাহলেও এয়ারবাসের ৮,০০০ এর বেশি বাণিজ্যিক উড়োজাহাজের অর্ডার রয়েছে এবং এ বছর প্রায় ৮০০টি উড়োজাহাজ সরবরাহ করার টার্গেট করেছে তারা। তার মানে যেসব এয়ারলাইন্স বোয়িংয়ের অর্ডার দিয়েছে তা বাতিল করার সম্ভাবনা নেই। যদি নতুন কোনো উড়োজাহাজ নির্মাতা এই ব্যবসায় শুরু করতে চায়, তবে তাদের একটি প্রতিযোগী মডেলের উড়োজাহাজ নিয়ে আসতে কয়েক বছর এবং বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ লাগবে।

এয়ারলাইন্সের বৈমানিকেরা শুধুমাত্র একটি সুনির্দিষ্ট মডেলের উড়োজাহাজ উড়ানোর জন্য সার্টিফিকেট পান। তারা চাইলেই প্রতিযোগী মডেলের কোনো উড়োজাহাজে সুইচ করতে পারেন না। এছাড়াও এয়ারলাইন্সগুলোকে তাদের নিজস্ব উড়োজাহাজের পরিষেসা নিশ্চিত করতে খুচরা যন্ত্রাংশের সরবরাহ সরবরাহ রাখতে হবে। তাই একবার একটি এয়ারলাইন্স ৭৩৭ ম্যাক্স উড়োজাহাজ বেছে নিলে তার প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য মডেলে যাওয়া খুবই ব্যয়বহুল।

তবে অন্য একটি দিকও রয়েছে। বোয়িং তার সমস্যা দ্রুত সমাধান করতে না পারলে এয়ারবাসের নেতৃত্ব স্থায়ী হয়ে যেতে পারে। তাহলে বোয়িংকে দীর্ঘমেয়াদে সমস্যায় পড়তে হতে পারে।

;

সোনার দাম বাড়ল ভরিতে সাড়ে ৪ হাজার টাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বাজারে সোনার দাম আবারও বাড়ানো হয়েছে। এবার ৪ হাজার ৫০২ টাকা বাড়িয়ে ভালো মানের, অর্থাৎ হল-মার্ক করা ২২ ক্যারেট সোনার দাম দাঁড়িয়েছে প্রতি ভরি ১ লাখ ১৫ হাজার ৪৫০ টাকা।

মঙ্গলবার (৭ মে) বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে। এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে খাঁটি সোনার দাম বাড়ায়, সে জন্য সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দর বুধবার (৮ মে) থেকে কার্যকর হবে।

নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম পড়বে ১ লাখ ১৫ হাজার ৪৫০ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ২০১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৪ হাজার ৪৫৫ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৭৮ হাজার ৯০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে, টানা ৮ দফায় ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ১০ হাজার ২২৫ টাকা কমানো হয়। পরে তিন দফায় বাড়ানো হলো ৬ হাজার ২৮৭ টাকা।

;

ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স স্মার্ট প্লাজায় হাইসেন্স এসি, টিভিতে বিকাশ পেমেন্টে ছাড়



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বিকাশ পেমেন্টে ছাড়

বিকাশ পেমেন্টে ছাড়

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্বখ্যাত কনজ্যুমার ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড হাইসেন্স-এর বাংলাদেশে উৎপাদক এবং পরিবেশক ফেয়ার ইলেক্ট্রনিক্সের স্মার্ট প্লাজায় এসি ও টিভি কিনে ন্যূনতম ১০,০০০ টাকার পেমেন্ট বিকাশ করলেই গ্রাহকরা রেগুলার ডিসকাউন্টের ওপর আরও ১,০০০ টাকা ডিসকাউন্ট পাচ্ছেন। ৩১ মে পর্যন্ত চলা এই ক্যাম্পেইনে একজন গ্রাহক ইনভয়েস প্রতি একবার করে ডিসকাউন্টটি উপভোগ করতে পারবেন।

বিকাশ অ্যাপ, পেমেন্ট গেটওয়ে ও ইউএসএসডি কোড *২৪৭# ডায়াল করে পেমেন্ট করতে পারবেন গ্রাহকরা। অফারের সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে https://www.bkash.com/campaign/offer-at-fair-electronics লিংকটিতে।

;