‘আত্মা’র প্রস্তাব ও আত্মোপলব্ধি



মুহাম্মদ আব্দুস সবুর
ছবিঃ সংগৃহীত

ছবিঃ সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আগামী ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেটে তামাক পণ্যের দাম বাড়ানোর ব্যাপারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পেশ করেছে এ্যান্টি ট্যোবাকো মিডিয়া এ্যালায়েন্স (আত্মা)।

গত ২৯ মার্চ দাখিলকৃত ওই প্রস্তাবে সিগারেটের মূল্যস্তর সংখ্যা ৪টি থেকে দুটিতে নামিয়ে এনে ৩৭ ও ৬৩ টাকার দুটি মূল্যস্তর একত্রে করে নিম্নস্তরে মূল্যস্তর ৬৫ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে। এই স্তরে ১৫ শতাংশ ভ্যাট বহালসহ ৫০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক ও ১০ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।

বর্তমানে ৬৩ টাকা মূল্যের সিগারেটে সম্পূরক শুল্ক রয়েছে ৬৫ শতাংশ। প্রস্তাবে সেটি কমিয়ে ৫০ শতাংশ করার কথা বলা হয়েছে। ৬৩ টাকা মূল্যমানের সিগারেটে ৬৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক ও ১৫ শতাংশ ভ্যাটসহ মোট শুল্ক ৮০ শতাংশ অর্থাৎ শুল্ক প্রদানের পরিমাণ ৫০.৪০ টাকা। প্রস্তাবে সেটিকে ৬৫ টাকা মূল্য ধরে ৫০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক, ১০ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক ও ১৫ শতাংশ ভ্যাট ধরলে শুল্কের পরিমাণ হয় ৬৫ শতাংশ ও ১০ টাকা ভ্যাট অর্থাৎ শুল্ক প্রদানের পরিমাণ ৫২.২৫ টাকা।

অর্থাৎ প্রস্তাবিত হারে মূল্য নির্ধারিত হলে বৃদ্ধি হলো ১.৬৩ শতাংশ। একইভাবে ৯৩ ও ১২৩ টাকার দুটি মূল্যস্তরকে একত্রে করে প্রিমিয়াম স্তরে এনে ১২৫ টাকা মূল্য, ৫০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক ও ১৯ টাকা সুনির্দিষ্ট শুল্ক আরোপের প্রস্তাবের সাথে থাকছে ১৫ শতাংশ ভ্যাট। বর্তমানে ১২৩ টাকার সিগারেটে ৬৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক রয়েছে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক কম দেবার প্রস্তাব করা হয়েছে।

১২৩ টাকার সিগারেটে ৬৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক ও ১৫ শতাংশ ভ্যাট ধরে ৮০ শতাংশ হিসাবে শুল্ক দেয় ৯৮.৪০ টাকা প্রদেয়। এই স্তরে প্রস্তাবে ১২৫ টাকায় ৫০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক, ১৫ শতাংশ ভ্যাট ও ১৯ টাকা সুনির্দিষ্ট শুল্কারোপ। অর্থাৎ শুল্কের পরিমাণ হবে ১০০.২৫ টাকা। এখানে মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে ১.৬৩ শতাংশ আর শুল্ক বাড়বে ১.৮৮ শতাংশ। সিগারেটের এই নামমাত্র শুল্ক বৃদ্ধি করে তারা প্রত্যাশা করছেন বিরাট রাজস্ব আয়ের যা দেশকে করোনা ঝুঁকি থেকে রক্ষা করবে।

ছবিঃ সংগৃহীত

পক্ষান্তরে ফিল্টার বিহীন বিড়ির মূল্য ৪০ টাকা নির্ধারণ করে ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক ও ৬.৮৫ টাকা সুনির্দিষ্ট শুল্ক আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে। সাথে বহাল থাকবে ১৫ শতাংশ ভ্যাট। তার মানে শুল্ক প্রদানের পরিমাণ হবে ৩০.৮৫ টাকা। বর্তমানে ফিল্টার বিহীন বিড়ির মূল্য ১৪ টাকা সাথে রয়েছে ৩০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক ও ১৫ শতাংশ ভ্যাট। অর্থাৎ শুল্ক প্রদানের পরিমান ৬.৩০টাকা। এক্ষেত্রে প্রস্তাব অনুসারে মূল্যবৃদ্ধির পরিমাণ ১৮৬ শতাংশ আর শুল্ক বৃদ্ধির পরিমাণ ৩৮৬ শতাংশ।

একইভাবে ফিল্টারযুক্ত বিড়ির মূল্য ৩২ টাকা নির্ধারণ করে ৪৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক, ৫.৪৮ টাকা সুনির্দিষ্ট সম্পূরক শুল্ক ও ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রস্তাব করা হয়েছে। অর্থাৎ শুল্কের পরিমাণ হবে ২৪.৬৮ টাকা। বর্তমানে ফিল্টারযুক্ত বিড়ির দাম ১৭ টাকা সাথে ৩৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক ও ১৫ শতাংশ ভ্যাট। অর্থাৎ শুল্কের পরিমাণ ৮.৫০টাকা। প্রস্তাব অনুযায়ী মূল্য বৃদ্ধির পরিমাণ ৮ শতাংশ আর সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধির পরিমাণ ১৯০ শতাংশ।

সংগত কারণেই প্রশ্ন থেকে যায় আত্মা কোন উপলব্ধিতে নিম্নস্তরের সিগারেটের ক্ষেত্রে এমন প্রস্তাব দিয়েছে।যেখানে নিম্নস্তরের সিগারেটের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব করা হচ্ছে ১.৬৩ শতাংশ ও শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব ১.৮৮ শতাংশ, একই প্রস্তাবে বিড়ির নিম্নস্তরের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব করা হচ্ছে ১৮৬ শতাংশও শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব ৩৮৬ শতাংশ। একইভাবে প্রিমিয়াম সিগারেটের ক্ষেত্রে মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব ১.৬৩ শতাংশ ও শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব ১.৮৮ শতাংশ। পক্ষান্তরে একই ক্ষেত্রের বিড়ির ক্ষেত্রে মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব ৮৮ শতাংশ ও শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব ১৯০ শতাংশ। বিশ্লেষণ থেকে সহজেই বোঝা যায় ‘আত্মা’ কাদের স্বার্থ রক্ষার তদবীরে নিয়োজিত।

এই কারণে দৃশ্যত তামাক বিরোধী বহুকার্যক্রম সত্বেও সিগারেটের বাজার সম্প্রসারিত হচ্ছে। ২০১৭ সালের বৈশ্বিক প্রাপ্ত বয়স্কদের তামাকের সমীক্ষায় বাংলাদেশে পাওয়া গেছে ১কোটি ৫০ লক্ষ সিগারেট ব্যবহারকারী। একই সময়ে বিড়ির ভোক্তা পাওয়া গেছে ৫৩ লাখ। বহুজাতিক সিগারেট কোম্পানীর নানাবিধ কুটকৌশলের কাছে দেশীয় শিল্প বিড়ি ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে। কফিনে শেষ পেরেক গাথার আয়োজনের জন্য আত্মা নিশ্চত ভাবেই পুরষ্কৃত হবার দাবী করতে পারে।

মার্চ মাসটি আমাদের অনেক গর্বের বহুত্যাগের বিনিময়ে পাওয়া স্বাধীনতার মাস। স্বাধীনতার চেতনাই ছিল বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই। অথচ স্বাধীনতার এত বছর পরে এসেও দেশীয় শিল্প বিড়িকে লড়তে হচ্ছে একই গোত্রের বহুজাতিক কোম্পানীর বিরুদ্ধে বৈষম্যের শিকার হয়ে। স্বাস্থ্যের দোহাই দিয়ে তামাক বিরোধীতার আড়ালে সুকৌশলে বহুজাতিক সিগারেটকে আনুকুল্য দিয়ে ধ্বংস করা হচ্ছে দেশীয় শিল্প বিড়িকে। কোন যুক্তিতে সিগারেটকে আনুকূল্য দেখানোর প্রস্তাব করা হচ্ছে। যেখানে বহুজাতিক ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী তোষণের ইতিহাস আমাদের জানা। নব্য ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী বহুজাতিক ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো কোম্পানীর তোষণের ফলাফল কি হবে তা সবারই ভেবে দেখা দরকার।

লেখক: মুহাম্মদ আব্দুস সবুর, সম্পাদক, নিউজজোনবিডি.কম

   

ওয়ালটন ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ ক্যাম্পেইনের মেয়াদ বাড়ল



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘সেরা পণ্যে সেরা অফার’ স্লোগানো চলতি বছরের ১ মার্চ সারা দেশে শুরু হয়েছিল ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০। এর আওতায় ওয়ালটন ফ্রিজ, টিভি, এয়ার কন্ডিশনার বা এসি, ওয়াশিং মেশিন ও ফ্যানের ক্রেতাদের দেয়া হয়েছে ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ হওয়ার সুযোগ। ইতোমধ্যে ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে মিলিয়নিয়ার হয়েছেন ৩৪ জন ক্রেতা। সারা দেশে গ্রাহক পর্যায়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ওয়ালটনের এই ক্যাম্পেইন। এরই প্রেক্ষিতে আসছে ঈদুল আযহা বা কোরবানি ঈদকে ঘিরে ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ ক্যাম্পেইনের মেয়াদ আরও দুই মাস বাড়িয়েছে ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ।

ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০ এর মেয়াদ ছিল ৩০ এপ্রিল, ২০২৪ পর্যন্ত। যা এবার ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত বাড়ানো হলো। ফলে, দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম ও অনলাইন সেলস প্ল্যাটফর্ম ‘ই-প্লাজা’ থেকে ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন এবং ফ্যান কিনে ক্রেতারা আবারো মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন আরও দুই মাস। এছাড়াও রয়েছে কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত উপহার।

ক্যাম্পেইনের মেয়াদ বাড়ানো প্রসঙ্গে ওয়ালটনের চিফ মার্কেটিং অফিসার দিদারুল আলম খান জানান, প্রতিটি বড় উৎসব উপলক্ষ্যে ক্রেতাদের জন্য বিশেষ সুবিধা দিয়ে আসছে ওয়ালটন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ঈদুল ফিতরের আগে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০ এর আওতায় ওয়ালটন পণ্যের ক্রেতাদের ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ হওয়ার সুবিধা দিয়েছে ওয়ালটন। যা দেশব্যাপী ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ক্রেতাদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। গ্রাহকদের ব্যাপক আগ্রহ এবং কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে ক্যাম্পেইনের মেয়াদ আরো দু’মাস বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে ওয়ালটন পণ্য কিনে মিলিয়নিয়ার হওয়ার এই মিছিলে আরো অধিক সংখ্যক ক্রেতা যুক্ত হতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদী।

সিজন-২০ চলাকালীন ক্রেতারা দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম কিংবা অনলাইনে ই-প্লাজা থেকে পণ্য কেনার পর পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে। এরপর সম্পূর্ণ কম্পিউটারাইজড সিস্টেমে ওয়ালটনের কাছ থেকে ফিরতি এসএমএস-এর মাধ্যমে ক্রেতারা পাচ্ছেন মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগ।

এছাড়াও পাচ্ছেন কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত উপহার। সংশ্লিষ্ট ওয়ালটন প্লাজা বা শোরুম থেকে ক্রেতাদেরকে উপহার বুঝিয়ে দেয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, বিক্রয়োত্তর সেবা কার্যক্রমকে অনলাইন অটোমেশনের আওতায় আনতে ‘ডিজিটাল কাস্টমার ডাটাবেজ’ গড়ে তুলছে ওয়ালটন। সেজন্য দেশব্যাপী চালাচ্ছে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইন চলাকালীন পণ্য কেনার পর ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতিতে ক্রেতার নাম, মোবাইল নম্বর এবং পণ্যের মডেল নম্বরসহ

বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ফলে, ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে গেলেও দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত সেবা পাচ্ছেন গ্রাহক। অন্যদিকে সার্ভিস সেন্টারের প্রতিনিধিরাও গ্রাহকের ফিডব্যাক জানতে পারছেন। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ক্যাম্পেইনের প্রতিটি সিজনেই গ্রাহকদের নানান সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন।

;

ইসলামী ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রা জমা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির উদোগে বৈদেশিক মুদ্রা জমা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। সভায় মূল বিষয়ের উপর আলোচনা করেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী। ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর কাজী মোঃ রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মিফতাহ উদ্দীন ও সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ রফিকুল ইসলাম।

এসময় ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ মাকসুদুর রহমান, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ ইহসানুল ইসলাম ও মোঃ রফিকুল ইসলাম সহ প্রধান কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী ও কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

বাড়ল জ্বালানি তেলের দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্ব বাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে দেশের বাজারে বাড়ানো হয়েছে জ্বালানি তেলের দাম। ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১ টাকা বাড়িয়ে ১০৭ টাকা, পেট্রোল আড়াই টাকা বাড়িয়ে ১২৪ দশমিক ৫ টাকা ও অকটেনের দাম আড়াই টাকা বাড়িয়ে ১২৮ দশমিক ৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। নতুন এই দাম বুধবার (১ মে) থেকে কার্যকর হবে।

এর আগে, গত ৩১ মার্চ লিটার প্রতি ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ২ টাকা ২৫ পয়সা কমিয়ে ১০৬ টাকা নির্ধারণ করে সরকার। তবে অপরিবর্তিত থাকে পেট্রোল, অকটেনের দাম।

তার আগে, মার্চের ৭ তারিখে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হয়। তখন লিটার প্রতি ডিজেল ও কেরোসিন ১০৯ টাকা থেকে কমিয়ে ১০৮.২৫ টাকা, পেট্রোল ১২৫ থেকে কমিয়ে ১২২ টাকা, অকটেন ১৩০ টাকা থেকে কমিয়ে ১২৬ টাকা নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করা হয়।

আর নজিরবিহীন দাম বাড়ানো হয় ২০২২ সালের ৫ আগস্ট রাতে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) জারি করা আদেশে ডিজেল ও কেরোসিন লিটার প্রতি ৩৪ টাকা এবং পেট্রোল ও অকটেনে ৪৬ টাকা দাম বাড়ানো হয়েছিল। তখন ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১১৪ টাকা লিটার, পেট্রোল ১৩০ টাকা এবং অকটেন ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। ওই দাম বৃদ্ধির পর গণপরিবহনের ভাড়া বেড়েছিল সর্বোচ্চ ২২ শতাংশ। তার আগে ২০২১ সালের নভেম্বরে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকায় করা হয়। ওই সময়েও পরিবহন ভাড়া বাড়ানো হয় প্রায় ২৭ শতাংশ।

ওই নজিরবিহীন দাম বৃদ্ধির পর ২০২২ সালের ৩০ আগস্ট জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হয়। ওইদিন প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন ১১৪ টাকা থেকে কমিয়ে ১০৯ টাকা, পেট্রোল ১৩০ থেকে কমিয়ে ১২৫ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা থেকে কমিয়ে ১৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

সরকার জ্বালানি তেলের দামে ভর্তুকি প্রদান থেকে বের হয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখানে আইএমএফের চাপও রয়েছে। ‘জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ নির্দেশিকা’ প্রজ্ঞাপন ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে প্রকাশ করা হয়েছে। ওই ফর্মূলা অনুযায়ী, প্রতিমাসে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে দাম সমন্বয় করা হবে। গেজেট অনুযায়ী, বিপিসি ও অন্যদের কমিশন অপরিবর্তিত থাকবে। শুধু আমদানি মূল্যের তারতম্য প্রতিমাসে কমবেশি হবে।

অকটেন ও পেট্রোল ব্যক্তিগত যানবাহনে বেশি পরিমাণে ব্যবহৃত হয় বিধায় এর মূল্য বিলাস দ্রব্য (লাক্সারি আইটেম) হিসেবে সব সময় ডিজেলের চেয়ে বেশি রাখা হয়। ফর্মূলা অনুযায়ী অকটেনের মূল্য নির্ধারণকালে ডিজেলের সঙ্গে পার্থক্য লিটার প্রতি ন্যূনতম ১০ টাকা যেন থাকে সেজন্য প্রাইসিং ফর্মূলায় ‘α’ ফ্যাক্টর প্রযোজ্য হবে।

;

রাজস্ব আয় বৃদ্ধিতে অটোমেশনের বিকল্প নেই: অর্থ প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজস্ব আয় বৃদ্ধির জন্য অটোমেশনের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনাবিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় গুলশানের ‘আমারি ঢাকা’র গ্র্যান্ড বলরুমে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআরআই) আয়োজিত 'বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ বাড়ানোর প্রয়োজনীয় রূপরেখা' (Bangladesh’s Domestic Resource Mobilisation: Imperatives and a Roadmap) উপস্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সবাই অনলাইনে রিটার্ন সাবমিট করতে পারেন। বাংলাদেশের ইনফরমাল সেক্টর অনেক বড় বিধায় এই সেক্টর থেকে কর আদায় গুরত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে, বেসরকারি খাত আমাদের সঙ্গে থেকে সহায়তা করতে পারে।

ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, মানি মার্কেট, বেসরকারি ও সরকারি ঋণ নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি ‘ক্যাপিটাল মার্কেট’ নিয়ে আরো আলোচনা করা দরকার। কীভাবে আরো বেশি ভালো কোম্পানি মার্কেটে আসে, সে বিষয়ে সবাইকে সচেষ্ট হতে হবে। তাহলে মানি মার্কেটের ওপর চাপ কমবে। ক্যাপিটাল মার্কেট, ইক্যুইটি মার্কেট ও বন্ড মার্কেট বৃদ্ধি করা জরুরি।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশের সফল বাস্তবায়ন শেষে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরলস কাজ করছে বর্তমান সরকার। তার সুযোগ্য পরিচালনায় গত ১৫ বছরে যেসব মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে, সেগুলো থেকে দেশ এখন রিটার্ন পাচ্ছে। ‘আইবাস’ (ইন্টিগ্রেটেড বাজেট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিং সিস্টেম-IBAS) ব্যবস্থাপনার কারণে বাজেটের বাস্তবায়নের দক্ষতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

আগে বাজেট পাস হলেও বাজেট বাস্তবায়ন শুরু হতে অর্থ বছরের প্রথম প্রান্তিক চলে যেতো। বর্তমানে ১ জুলাই থেকেই অফিসগুলো বাজেট ব্যবহার করছে।

আজকের (৩০ এপ্রিল) আলোচনা অনুষ্ঠান থেকে যেসব পরামর্শ উঠে এসেছে, সেগুলো অর্থ মন্ত্রণালয় অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে বলেও আশ্বাস দেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা রাহমাতুল মুনীম ও এফবিসিসিআই'র প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম।

মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিআরআই'র নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পিআরআই'র চেয়ারম্যান ড. জাইদী সাত্তার।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন পিআরআই'র ভাইস চেয়ারম্যান ড. সাদিক আহমেদ, এমসিসিআই'র প্রেসিডেন্ট কামরান টি রহমান, সিএসই চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম, ডিসিসিআই'র প্রেসিডেন্ট আশরাফ আহমেদসহ প্যানেল আলোচকবৃন্দ।

;