সারা ও ওয়ালটনসহ ১০ প্রতিষ্ঠান পেল সেরা ভ্যাট সম্মাননা



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
সেরা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধি ও এনবিআর কর্মকর্তারা, ছবি: বার্তা২৪.কম

সেরা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধি ও এনবিআর কর্মকর্তারা, ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ওয়ালটন হাই টেক ইন্ডাস্ট্রিজ, এসকোয়ার ইলেকট্রনিক্স এবং সারা লাইফস্টাইল লিমিটেডসহ মোট ১০ প্রতিষ্ঠান এনবিআরের সেরা ভ্যাট সম্মাননা পুরস্কার পেয়েছে।

সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট ঢাকা পশ্চিম কর্তৃপক্ষ মাসব্যাপী আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সর্বোচ্চ ভ্যাট প্রদানকারী এ ১০ প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেয়।

এনবিআরের কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট ঢাকা পশ্চিমের কমিশনার ড. মইনুল খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে এনবিআরের সদস্য (ভ্যাট নীতি) মো. মাসুদ সাদিক সেরা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধির হাতে সম্মাননা পুরস্কার তুলে দেন। কমিশনারেটের সম্মেলন কক্ষে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে ওয়ালটন হাই টেকের পরিচালক এসএম রেজাউল আলম ও সারা লাইফস্টাইলের মতিউর রহমান বক্তব্য দেন।

প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ওয়ালটন হাই টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ৩৭ লাখ ৬৫ হাজার টাকা, এসকোয়ার ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড ৩৪ লাখ ৭৭ হাজার টাকা, সারা লাইফস্টাইল ৩২ লাখ পাঁচ হাজার টাকা, র‌্যাংগস ইলেকট্রনিক্স ৩২ লাখ পাঁচ হাজার টাকা, হাতিল কমপ্লেক্স লিমিটেড ২১ লাখ ৩৭ হাজার টাকা, মাল্টি লাইন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ১৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ফিট এলিগেন্স ১৮ লাখ ২৪ হাজার টাকা, নাভানা ফার্নিচার ১৬ লাখ ৫৫ হাজার টাকা, মেসার্স ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড ১৬ লাখ এক হাজার টাকা এবং বঙ্গজ বেকারস ১৫ লাখ ৩০ হাজার টাকা ভ্যাট দিয়েছে।

এ বছর দেশি ও বিদেশি ৪৮৭টি প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশগ্রহণ করে। সব প্রতিষ্ঠানই পাঁচ শতাংশ হারে ভ্যাট দিয়েছে। মেলা থেকে ছয় কোটি ৪৭ লাখ টাকা ভ্যাট আদায় হয়েছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এনবিআর সদস্য মাসুদ সাদিক বলেন, জনগণের দেওয়া ভ্যাট আহরণে এ ১০টি প্রতিষ্ঠান বাণিজ্য মেলায় আইন পরিপালনের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এ সংস্কৃতি অন্যান্য স্থানেও ছড়িয়ে দিতে হবে। এজন্য ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসার অনুরোধ জানাই।

ভ্যাট আহরণ পদ্ধতি ডিজিটাল করার ওপর জোর দেন দিনি। ওয়ালটনের প্রতিনিধি বলেন, এবারের মেলায় দর্শনার্থী ও স্টল কম ছিল। সাপ্তাহিক ছুটিসহ মোট ছয় দিন মেলা ব্যাহত হয়। তা সত্ত্বেও আমরা যথাযথভাবে ভ্যাট দিয়েছি। আমরা নির্বিঘ্নে ভ্যাট দিতে চাই এবং এজন্য সরকারের সব সেবার মান বাড়ানোর অনুরোধ করছি। শুধু এনবিআর বদলালে হবে না ইপিবি, ট্রেড লাইসেন্স দফতরসহ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

এনবিআরের সদস্য মো. মাসুদ সাদিক সেরা প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধির হাতে সম্মাননা পুরস্কার তুলে দেন

সারার প্রতিনিধি বলেন, আমরা নতুন ভ্যাট আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আইন মানলে চূড়ান্ত ব্যবসায়িক খরচ কমে যায়। আমরা ঢাকা পশ্চিম কমিশনারেটের নতুন ভ্যাট আইন নিয়ে উদ্বুদ্ধকরণকে স্বাগত জানাই।

সভাপতির বক্তব্যে ড. মইনুল খান বলেন, বাণিজ্য মেলায় আহরিত মোট রাজস্বের পরিমাণ কম হলেও তা অনেক তাৎপর্যপূর্ণ। এ ভ্যাট সাধারণ জনগণ সরাসরি দিয়েছেন এবং তারা জানতে চান যে এ ভ্যাট সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে কিনা। বাণিজ্য মেলায় এ ১০টি প্রতিষ্ঠানের অধিকাংশ অটোমেশন পদ্ধতিতে ভ্যাটের হিসাব সংরক্ষণ করেছে এবং সঠিক পরিমাণ ভ্যাট পরিশোধ করেছে।

তিনি বলেন, এনিআরের চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর করা এ সম্মাননা তাদের ভ্যাট আইন মানার স্বীকৃতি। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকেও স্বেচ্ছায় আইন মেনে ভ্যাট দেওয়ার আহ্বান জানাই।

তিনি এনবিআরের ডিজিটাল ব্যবস্থার সুযোগ নেওয়ার জন্যও সবাইকে অনুরোধ করেন।

   

রংপুরে গ্যাস মিলবে ২০২৫ সালের জুলাইয়ে



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রংপুরে পাইপলাইনে গ্যাস

রংপুরে পাইপলাইনে গ্যাস

  • Font increase
  • Font Decrease

রংপুর ও নীলফামারীতে শিল্পে গ্যাস পেতে আরও এক বছর অপেক্ষা করতে হবে। কারণ ২০২৫ সালের জুলাই মাস থেকে গ্যাস সংযোগ প্রদানের জন্য প্রস্তুত হবে পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (পিজিসিএল)।

রংপুরে গ্যাস সঞ্চালন পাইপের কাজ শেষ হয়েছে গত বছরের নভেম্বরে, এখন চলছে মিটারিং স্টেশনের কাজ। অন্যদিকে বিতরণ পাইপলাইন মাত্র ৩৫ কিলোমিটার স্থাপন শেষ হয়েছে। ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে শেষ হবে ওই প্রকল্পের কাজ। অর্থাৎ জুলাই থেকে গ্যাস সংযোগ নিতে পারবে শিল্প কারখানা।

বর্তমানে আবাসিকে গ্যাস সংযোগ প্রদান বন্ধ রয়েছে যে কারণে বিদ্যমান নীতিমালায় আবাসিকে গ্যাস সংযোগ দেওয়ার কোন সুযোগ থাকছে না। শুধু শিল্প ও বাণিজ্যিকে সংযোগ দেওয়া হবে উত্তরের জনপদে।

পিজিসিএলের উপ-মহাব্যবস্থাপক এবং রংপুর, নীলফামারী, পীরগঞ্জ শহর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় গ্যাস বিতরণ পাইপলাইন নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী মো. ফজলুল করিম বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, ২০২৫ সালের জুনের মধ্যেই গ্যাস সংযোগ প্রদানের জন্য প্রস্তুত হবো। প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতি হয়েছে ৬০ শতাংশ, আর আর্থিক অগ্রগতি হয়েছে ৪৮ শতাংশ। পাইপলাইনের কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। সমানতালে চলছে সিভিল ওয়ার্কও। বড় চ্যালেঞ্জ ছিল পাইপ, সেগুলো চলে আসায় এখন অনেকটা নির্ভার।

অন্যদিকে সঞ্চালন পাইপলাইনের দায়িত্বে থাকা গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহনেওয়াজ পারভেজ বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, তাদের পাইপলাইনের কাজ শেষ হয়েছে। এখন চলেছে মিটারিং স্টেশনের নির্মাণ কাজ। চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই ওই কাজ শেষ হবে। জানুয়ারি থেকেই গ্যাস সরবরাহের জন্য প্রস্তুত আমরা।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল রংপুরে পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ করা। বহুল কাঙ্ক্ষিত উত্তরের গ্যাস সরবরাহের জন্য পৃথক দু’টি প্রকল্প নেওয়া হয়। একটি হচ্ছে ১৫০ কিলোমিটার বগুড়া-রংপুর-সৈয়দপুর সঞ্চালন পাইপ। ওই প্রকল্পের কাজ ২০২১ সালের জুনের মধ্যে শেষ করার পরিকল্পনা ছিল। করোনাসহ নানা কারণে ৩ দফায় সময় পেছানো হয়। অবশেষে গত বছরের ১৪ নভেম্বর ভার্চুয়ালি গ্যাস সরবরাহের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রংপুরবাসীর স্বপ্নের এই সঞ্চালন পাইপ লাইনের পাশপাশি বিতরণের জন্য পৃথক একটি প্রকল্প নেয় পিজিসিএল। প্রকল্পের আওতায় রয়েছে ১’শ কিলোমিটার বিতরণ লাইন। এরমধ্যে রংপুর শহরে ৪৪ কিলোমিটার, পীরগঞ্জে ১০ কিলোমিটার এবং নীলফামারী ও উত্তরা ইপিজেড এলাকায় ৪৬ কিলোমিটার।

শিল্প কারখানার অন্যতম নিয়ামক শক্তি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে প্রাকৃতিক গ্যাস। যে অঞ্চলে গ্যাসের সরবরাহ যতো আগে নিশ্চিত হয়েছে সেই অঞ্চলে শিল্প ততো এগিয়ে গেছে। উত্তরাঞ্চলে গ্যাস সরবরাহ না থাকায় শিল্পের প্রসার নেই বললেই চলে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা মনে করেন গ্যাসের বিকল্প জ্বালানি ব্যবহার করে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা সম্ভব নয়। তাই তারা রংপুর অঞ্চলে শিল্প কারখানা স্থাপনে সাহস দেখাননি। এতে বিশাল অর্থনৈতিক বৈষম্য তৈরি হয়েছে। গ্যাস সরবরাহ পেলে রংপুর অঞ্চলেও শিল্প কারখানা গড়ে উঠবে। চাপ কমে আসবে রাজধানী ঢাকার ওপর। সে কারণে আশায় বুক বেঁধে আছে রংপুর অঞ্চলের বাসিন্দারা। পাইপ লাইন হলেই সংকট পুরোপুরি কাটছে না উত্তর জনপদের। এখনই সিরাজগঞ্জ ও বগুড়া অঞ্চলে তেমন গ্যাসের চাপ পাওয়া যায় না। আরও দেড়’শ কিলোমিটার দূরে উত্তরা ইপিজেডে গ্যাস পাওয়া নিয়ে সংশয় থেকেই যাচ্ছে। তবে আশার কথা হচ্ছে সরকার ২০২৬ সাল থেকে নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের লক্ষে কাজ শুরু করেছে।

পাইপলাইন হলেই যেখানে সেখানে শিল্প কারখানা গড়ার বিপক্ষে সরকার। তারা চান পরিকল্পিত এলাকায় শিল্পায়ন গড়ে উঠুক। যে কারণে নিজের ইচ্ছেমতো এলাকায় শিল্প কারখানা গড়লেও সেখানে গ্যাস দিতে চায় না সরকার। গ্যাস পেতে হলে পরিকল্পিত শিল্পনগরীতে কারখানা গড়তে হবে।

পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের বোর্ড চেয়ারম্যান এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শাহীনা খাতুন বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, বিদ্যমান গ্যাস নীতিমালা অনুযায়ী অর্থনৈতিক জোন ও বিসিক শিল্পনগরীর বাইরে সংযোগ দেওয়ার সুযোগ নেই। গ্যাসের সংযোগ পেতে ওই অঞ্চলের ইকোনমিক জোন এবং বিসিক শিল্পনগরীতে কারখানা গড়তে হবে।

পিছিয়ে থাকা উত্তরাঞ্চলের ক্ষেত্রে নীতিমালা শিথিল করার কোন সুযোগ রয়েছে কিনা। এমন প্রশ্নের জবাবে শাহীনা খাতুন বলেন, যেসব শিল্প কারখানা ইতোমধ্যে স্থাপিত হয়েছে তাদের ক্ষেত্রে বিশেষ বিবেচনা করা হয়।

;

টিসিবির জন্য ১০ হাজার মেট্রিক টন ডাল কিনছে সরকার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
টিসিবির জন্য ১০ হাজার মেট্রিক টন ডাল কিনছে সরকার

টিসিবির জন্য ১০ হাজার মেট্রিক টন ডাল কিনছে সরকার

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারি বিক্রয়কারী সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) জন্য ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১০১ কোটি ৯৪ লাখ টাকা। এতে প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম ধরা হয়েছে ১০১ টাকা ৯৪ পয়সা।

বুধবার (১৫ মে) দুপুরে সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে করোনা আক্রান্ত হওয়ায় অর্থমন্ত্রী ভার্চুয়ালি বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠকে শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সনম্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ১০ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল স্থানীয়ভাবে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ইজি জেনারেল ট্রেডিং, নাবিল নাবা ফুড প্রোডাক্ট থেকে এই ডাল কেনা হবে।

এরমধ্যে ইজি জেনারেল ট্রেডিং থেকে ৬ হাজার মেট্রিক টন এবং নাবিল নাবা ফুড প্রডাক্ট থেকে ৪ হাজার মেট্রিক টন মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

;

এবার ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হলেন ভোলার শামীম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ওয়ালটন ফ্রিজের ক্রেতা শামীমের হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক এবং ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খানসহ স্থানীয় অতিথিবৃন্দ।

ওয়ালটন ফ্রিজের ক্রেতা শামীমের হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক এবং ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খানসহ স্থানীয় অতিথিবৃন্দ।

  • Font increase
  • Font Decrease

‘সেরা পণ্যে সেরা অফার’ স্লোগানে সারা দেশে চলছে ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০। ক্যাম্পেইনের ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ অফারের আওতায় এবার ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হলেন লালমোহন উপজেলার কনফেকশারি দোকানি মো. শামীম। হলেন ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের ৩৫তম মিলিয়নিয়ার। শামীমের মিলিয়নিয়ার হওয়ার খবরে রীতিমতো হইচই পড়ে গেছে দ্বীপ জেলা ভোলায়।

মঙ্গলবার (১৪ মে) চরফ্যাশন উপজেলার সদর রোডে শরিফ পাড়া এলাকার ওয়ালটন প্লাজা কর্তৃক আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শামীমের হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক এবং ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান।

উল্লেখ্য, আসন্ন ঈদ উৎসবকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০ এ ক্রেতাদের ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ হওয়ার সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন। সিজন-২০ চলাকালীন দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম ও অনলাইন সেলস প্ল্যাটফর্ম ‘ই-প্লাজা’ থেকে ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন এবং ফ্যান কিনে আবারো মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন ক্রেতারা।

এছাড়াও রয়েছে কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত উপহার। এই ক্যাম্পেইনের আওতায় গত ৪ মে দোকানে ব্যবহারের জন্য ওয়ালটন প্লাজা থেকে থেকে ১২ হাজার টাকা ডাউনপেমেন্ট দিয়ে ২৭০ লিটারের একটি ফ্রিজ কেনেন শামীম। ফ্রিজটি কেনার পর তার নাম, মোবাইল নাম্বার এবং ক্রয়কৃত ফ্রিজের মডেল নাম্বার ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হয়। ফ্রিজ নিয়ে বাড়ি যাওয়ার আগেই তার মোবাইলে ওয়ালটনের কাছ থেকে একটি ম্যাসেজ যায়। জানতে পারেন, ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা ক্যাশ পেয়েছেন তিনি।

চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে শামীম বলেন, দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটনের পণ্য ব্যবহার করছি অনেক দিন ধরে। ওয়ালটনের পণ্য বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। দাম কম। সার্ভিসও ভালো। তাই দোকানে ব্যবহারের জন্য ওয়ালটনেরই ফ্রিজ কিনি। কিন্তু কিস্তিতে একটি ফ্রিজ কিনেও যে এতো বড় উপহার পাবো তা স্বপ্নেও ভাবতে পরিনি। এমন পুরস্কার ওয়ালটনের দ্বারাই দেয়া সম্ভব। ওয়ালটন থেকে পাওয়া টাকা ব্যবসার কাজে লাগাবো। ওয়ালটন কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।

চিত্রনায়ক আমিন খান বলেন, পণ্য কেনায় ক্রেতাদের সারাবছরই কোনো না কোনো সুবিধা দিয়ে থাকে ওয়ালটন। ননস্টপ মিলিয়নিয়ার তার মধ্যে একটি। দেশের চাহিদা মিটিয়ে এখন বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশে পণ্য রপ্তানি করছে ওয়ালটন। দেশে সৃষ্টি করে চলেছে ব্যাপক কর্মসংস্থান। এ জন্য সবার উচিৎ এই দেশি ব্র্যান্ডকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। দেশি ব্র্যান্ডের পণ্য কিনলে দেশের টাকা দেশে থাকে। দেশের অর্থনীতি শক্তিশালী হয়।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চরফ্যাশন থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রিপন কুমার সাহা, স্থানীয় ওয়ার্ড কমিশনার গিয়াস উদ্দীন, বিশিষ্ট সমাজসেবক আলহাজ্ব নুরুল ইসলাম বাচ্চু, ওয়ালটনের মার্কেটিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের সিনিয়র ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রবিউল ইসলাম মিলটন, চিফ ডিভিশনাল অফিসার আল মাহফুজ খান, ডিভিশনাল ক্রেডিট ম্যানেজার শাহানুর আলম, বরিশাল ডিভিশন সার্ভিস মনিটরিং অফিসার মিজানুর রহমান, ওয়ালটন ফ্রিজের প্রোডাক্ট ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম রেজা, রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার লালু কুন্ডু, রিজিওনাল ক্রেডিট ম্যানেজার মো. লিয়ন এবং ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজার আবু ওয়াসীসহ ওই অঞ্চলে কর্মরত বিভিন্ন ওয়ালটন প্লাজার ম্যানেজারবৃন্দ।

;

ইসলামী ব্যাংক-ট্রান্সফাস্ট রেমিট্যান্স ক্যাম্পেইনের পুরস্কার বিতরণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ইসলামী ব্যাংক-ট্রান্সফাস্ট রেমিট্যান্স ক্যাম্পেইনের পুরস্কার বিতরণ

ইসলামী ব্যাংক-ট্রান্সফাস্ট রেমিট্যান্স ক্যাম্পেইনের পুরস্কার বিতরণ

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক-ট্রান্সফাস্ট রেমিট্যান্স ক্যাম্পেইনের বিজয়ীদের মাঝে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার হস্তান্তর করা হয়েছে।

সম্প্রতি ঢাকার প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে এ পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়।

কাপাসিয়া শাখার এজেন্ট আউটলেটের গ্রাহক মঞ্জিল মেগা পুরস্কার হিসেবে ১৫০০ সিসির একটি প্রাইভেট কার পেয়েছেন। এছাড়া ১২ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল ২০২৪ পর্যন্ত এ ক্যাম্পেইনে প্রতি ব্যাংকিং দিবসে ডিজিটাল ড্র'র মাধ্যমে ঘোষিত মোট ৩০ জন বিজয়ীকে এক লাখ টাকা করে মোট ত্রিশ লক্ষ টাকা পুরস্কার প্রদান করা হয়।

ইসলামী ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মাস্টারকার্ডের অ্যাসিস্ট্যান্ট কর্পোরেট ট্রেজারার ইন্দ্রনীল গাঙ্গুলি।

ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মিফতাহ উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী, জে কিউ এম হাবিবুল্লাহ, এফসিএস, মো. আলতাফ হুসাইন ও মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল। মাস্টাকার্ডের পক্ষে বক্তব্য দেন মাস্টারকার্ড এশিয়া প্যাসিফিকের পরিচালক সুদীপ্ত ঘোষ। স্বাগত বক্তব্য দেন ব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিসেস উইং প্রধান মোহাম্মদ ইহসানুল ইসলাম। এছাড়া ট্রান্সফাস্ট বাংলাদেশ কন্টাক্ট সেন্টারের ম্যানেজার ফারজানা আলম সহ ইসলামী ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহীবৃন্দ ও ট্রান্সফাস্টের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ইসলামী ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা বলেন, ‘ক্যাম্পেইনের ইতিবাচক প্রভাব দেখে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। দুই মাসব্যাপী চলা এ ক্যাম্পেইনের ফলে প্রবাসীদের মাঝে বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রেরণে বিপুল উৎসাহ সৃষ্টি করেছে। ধন্যবাদ জানাচ্ছি ট্রান্সফাস্টের এমন উদ্যোগের জন্য। ক্যাম্পেইনে সকল বিজয়ীদের বিশেষ করে মেগা বিজয়ী মঞ্জিলকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।’

মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল বলেন, ‘প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এই ক্যাম্পেইনটি বাংলাদেশে আরও বেশি রেমিট্যান্স আনার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। এটি প্রবাসীদের কষ্টার্জিত অর্থ ট্রান্সফাস্টের মতো বৈধ এবং সুরক্ষিত চ্যানেলের মাধ্যমে দেশে পাঠাতে উৎসাহিত করবে। ইসলামী ব্যাংকের সাথে এই ক্যাম্পেইনের অংশ হতে পেরে মাস্টারকার্ড আনন্দিত।’

কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে গিয়ে মঞ্জিল বলেন, ‘এটি আমার জন্য একটি জীবন পরিবর্তনকারী মুহূর্ত, এই অবিশ্বাস্য উপহারের জন্য ইসলামী ব্যাংক এবং ট্রান্সফাস্টের কাছে কৃতজ্ঞ।’

;