গভীর অন্ধকারে পুঁজিবাজার



মাহফুজুল ইসলাম, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এক বছর দরপতনের পর অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যে ইতিবাচক কোনো সংবাদ না থাকায় বিনিয়োগকারীদের সব প্রত্যাশা মাটিতে ছাইয়ে পরিণত হয়েছে। ফলে নতুন বছরে লেনদেন হওয়া দিনগুলোতে সূচক ও বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেছে। তাতে বিনিয়োগকারীদের মূলধন উধাও হয়েছে ১৩ হাজার ১২৪ কোটি টাকা। বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এখন পুঁজি হারানোর হাহাকার। নতুন করে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে আরও বেশি পুঁজি হারানোর।

বিনিয়োগকারী, ব্রোকারেজ কর্তৃপক্ষ এবং সরকার মহলের কেউ বলতে পারছে না পুঁজিবাজার ভালো হবে কিনা। ফলে গভীর অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে পড়েছে দেশের পুঁজিবাজার। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) এমডি নিয়োগ নিয়ে গ্রুপিং। তাতে বাজারে সংকট আরও বেশি বিপর্যয়ে পরিণত হয়েছে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আস্থা ও তারল্য সংকটে গভীর অন্ধকারে থাকা পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল করতে এখনই উচিৎ প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ। প্রয়োজন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনসহ (বিএসইসি) পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট জায়গায় সংস্কার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা। না হলে দেশের পুঁজিবাজার নিঃশেষ হয়ে পড়বে।

নাম না প্রকাশের শর্তে ডিএসইর পরিচালক বার্তা২৪.কম-কে বলেন, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করলেই লস। আর ব্যাংকের সুদের হার বেশি। ফলে বিনিয়োগকারী কম ঝুঁকিতে বেশি লাভে ব্যাংকে বিনিয়োগ করছে।

তিনি বলেন, টানা এক বছর দরপতনে গ্রামীণফোন, স্কয়ার ফার্মাসহ ভালো ভালো কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাজার ছাড়ছেন। পাশাপাশি আইপিওতে আসা কোম্পানির লক ইন শেয়ারগুলো ফ্রি হওয়ার চাহিদার তুলনায় শেয়ার বেশি সাপ্লাই হয়েছে। আর খারাপ কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম কমার পাশাপাশি ভালো কোম্পানির শেয়ারের দাম কমায় প্যানিক হয়ে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করছেন। ফলে মন্দার কবলে পড়েছে দেশের পুঁজিবাজার বলে মনে করেন তিনি।

এদিকে আস্থা ও তারল্য সঙ্কটে তলানিতে থাকা পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল গ্রামীণফোন এবং বিটিআরসির দ্বন্দ্বের নিষ্পত্তি, সরকারি এবং বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করাসহ ১১ প্রস্তাব অর্থমন্ত্রীর কাছে তুলে দিয়েছে ডিএসই পরিচালনা পর্ষদ।

বাকিগুলো হচ্ছে-পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের ব্যবস্থা, টি-বন্ডের লেনদেন যথা শিগগির চালু করা, ডিএসই এবং পুঁজিবাজারের লেনদেনের ওপর কর কমানো, অডিট রিপোর্টের স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ, বাজার উন্নয়নে আইসিবি ও অন্যান্য সংস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধি, পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ নিশ্চিত করা, বাজারে অর্থের সরবরাহ বৃদ্ধি করা, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সমন্বয় কমিটি গঠন এবং ঋণ প্রস্তাবের বিশেষ বিবেচনা।

কিন্তু অর্থমন্ত্রী এই দাবিগুলোর কোনোটাই যৌক্তিক মনে করেননি। তাই সান্ত্বনা স্বরুপ ডিএসইর পর্ষদকে বলেন, আমরা যৌক্তিক কারণগুলো বিবেচনা করবো।

ডিএসইর আরেক পরিচালক বলেন,পুঁজিবাজারে গ্রুপিং সৃষ্টি হয়েছে। বর্তমান অর্থমন্ত্রী বিএসইসির কশিনার এবং ডিএসইর নেতাদের পছন্দ করেন না। এই কারণে পুঁজিবাজার নিয়ে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করছেন না। তিনি বলেন, বর্তমান বিএসইসির চেয়ারম্যান এবং তিন কমিশনার পদত্যাগ করলেই পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়াবে।

ডিএসইর তথ্য মতে, নতুন বছরে ৬ কার্যদিবস পুঁজিবাজারে লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে সর্বশেষ চার কার্যদিবসেই বড় দরপতন হয়েছে। তাতে সূচক কমেছে ২২৪ পয়েন্ট। কমেছে বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। লেনদেন হয়েছে গড়ে ২শ কোটি টাকা। আর তাতে বিনিয়োগকারীরা নতুন করে ১৩ হাজার ১২৪ কোটি ৪৪ লাখ ৭ হাজার টাকা হারিয়েছে। এর মধ্যে বুধবার ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে ৫৩ পয়েন্ট। লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলো মধ্যে দাম বেড়েছে ৫১টির, কমেছে ২৪৯টির অপরিবর্তিত রয়েছে ৫১টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। একইভাবে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) বিনিয়োগকারীদেরও ক্ষতি হয়েছে।

 

 

   

রফতানি ও বাণিজ্যে সিআইপি কার্ড প্রদান অনুষ্ঠান শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রফতানি বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৮৪ ব্যক্তিকে সিআইপি (রফতানি ও ট্রেড)- ২০২২ কার্ড প্রদান করবে সরকার।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকাল ৩টায় রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনে বিকাল ৩টায় পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয় সিআইপি (রফতানি ও ট্রেড)- ২০২২ কার্ড প্রদান অনুষ্ঠান আনুষ্ঠানিকতা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

দেশের রফতানিকারক, শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে উৎসাহ, উদ্দীপনা ও পারস্পরিক সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার আবহ সৃষ্টি করতে সিআইপি কার্ড প্রদান করা হয়। সিআইপি (রফতানি ও ট্রেড)- ২০২২ এ ১৮৪ ব্যক্তিকে কার্ড প্রদান করবেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী।

নীতিমালা অনুযায়ী ২০২২ সালের জন্য ২২টি খাতের মধ্যে ১৮টি পণ্য ও সেবা খাত এবং ইপিজেডভুক্ত "সি” ক্যাটাগরিতে মোট ১৪০ জনকে সিআইপি (রফতানি) এবং ৪৪ জন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে সিআইপি (ট্রেড) সম্মানে ভূষিত করা হবে।

রফতানি খাতে অবদানের জন্য ১ বছর মেয়াদে সিআইপি (রফতানি) নির্বাচন করা হয়ে থাকে। তবে বর্তমানে নির্বাচিত সিআইপিবৃন্দ পরবর্তী বছরের সিআইপি (রফতানি) ঘোষণার পূর্ব পর্যন্ত সিআইপি (রপ্তানি) মর্যাদায় ভূষিত থাকবেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন এফবিসিসিআই-এর সভাপতি মাহবুবুল আলম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান।

;

ইউএস ট্রেড শো-এ ইসলামী ব্যাংকের স্টল উদ্বোধন



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী ইউ এস ট্রেড শো-২০২৪ এ ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির স্টল উদ্বোধন করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা প্রধান অতিথি হিসেবে এ স্টল উদ্বোধন করেন। ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ মাকসুদুর রহমান, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট নজরুল ইসলাম ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ ওমর হায়াত চৌধুরীসহ ব্যাংকের নির্বাহী ও কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

;

জয়িতা ফাউন্ডেশন ও এবি ব্যাংকের সমন্বয়ে নারীদের জন্য স্মার্ট কার্ড স্কুটি ঋণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জয়িতা ফাউন্ডেশন ও এবি ব্যাংক- এর মধ্যে ‘স্মার্ট কার্ড স্কুটি ঋণ প্রজেক্ট’ শীর্ষক একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ চুক্তির মাধ্যমে জয়িতা ফাউন্ডেশনে নিবন্ধিত নারী উদ্যোক্তা ও উদ্যোক্তা সমিতির অনুকূলে জয়িতা ফাউন্ডেশনের রিভলভিং ক্যাপিটাল সাপোর্ট ফান্ড এর আওতায় এবি ব্যাংক নারীদের স্কুটি ক্রয়ে সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করবে।

জয়িতা ফাউন্ডেশন এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব আফরোজা খান এবং এবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও জনাব তারিক আফজাল নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।

;

ন্যাশনাল ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান হলেন প্রফেসর মো. হেলাল উদ্দিন নিজামী



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ন্যাশনাল ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান হলেন প্রফেসর মো. হেলাল উদ্দিন নিজামী

ন্যাশনাল ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান হলেন প্রফেসর মো. হেলাল উদ্দিন নিজামী

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রফেসর মো. হেলাল উদ্দিন নিজামীকে ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়েছে। এর আগে বাংলাদেশ ব্যাংক এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ন্যাশনাল ব্যাংকের নব গঠিত পর্ষদে স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে প্রফেসর হেলাল উদ্দিন নিজামীকে নিয়োগ দেয়।

গত ৬ মে ন্যাশনাল ব্যাংকের নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদের প্রথম সভায় সর্বসম্মতিক্রমে তাকে ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।

প্রফেসর নিজামী বর্তমানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং বিভাগের চেয়ারম্যান ও ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। ইতোপূর্বে তিনি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কমিশনার এবং ফিন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিল (এফআরসি), বাংলাদেশের সদস্য ছিলেন। উচ্চতর শিক্ষার অংশ হিসেবে তিনি দেশে ও বিদেশে আর্থিক খাত সংস্কার এবং বাণিজ্যিক ব্যাংকের উৎপাদনশীলতা বিষয়ে গবেষণা সম্পন্ন করেছেন।

তিনি IFRS (ইন্টারন্যাশনাল ফিনান্সিয়াল রিপোর্টিং স্ট্যান্ডার্ড) এর উপর ICAEW (ইন্সটিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট অব ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস), ইউকে থেকে প্রশিক্ষণ লাভ করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক চার্টার্ড গ্লোবাল ইনভেস্টমেন্ট অ্যানালিস্ট (সিজিআইএ) ইনস্টিটিউট এর তিনি একজন ফেলো সদস্য। এছাড়াও, তিনি উক্ত ইনস্টিটিউট এর গ্লোবাল কাউন্সিলের সদস্য এবং নেটওয়ার্ক রিলেশন কাউন্সিল (এনআরসি)-এর চেয়ারপারসন ছিলেন।

;