দুদকের তালিকায় থাকা ছানাউলই হচ্ছেন ডিএসইর এমডি!



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
কাজী ছানাউল হক, ছবি: সংগৃহীত

কাজী ছানাউল হক, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঋণের নামে ২৩৮ কোটি টাকা লুটসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের(দুদক) তালিকায় থাকা সেই কাজী ছানাউল হকই হচ্ছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক(এমডি)।

তিনি ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি)’র সিকিউরিটিজ ট্রেডিং কোম্পানির মার্জিন একাউন্টের বিপরীতে ঋণের নামে ২৩৮ কোটি টাকা লোপাট করেন।

সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিকে বাদ দিয়ে তাকে নিয়োগ দিতে এরই মধ্যে সাক্ষাৎকারও গ্রহণ করেছে ডিএসইর এনআরসি কমিটি। তার সঙ্গে আরেক জনের নাম ডিএসইর পর্ষদে পাঠাবে। সেখান থেকে প্রস্তাব পাশ করে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে(বিএসইসি) চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠাবে। তার জন্য স্বয়ং ডিএসইর এনআরসি কমিটিতে থাকা একজন পরিচালক তদবির চালাচ্ছেন।

শুধু তাই নয় ছানাউল হক বিএসইসিসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন মহল থেকে ডিএসইর পর্ষদকে চাপও দিচ্ছে বলে জানিয়েছে ডিএসই’র এক পরিচালক। তিনি বলেন, এই জন্য ক্লিন ইমেজের পাশাপাশি এমডি হিসেবে কাজের দক্ষতা থাকা সত্ত্বেও সাবেক এমডি কে এ এম মাজেদুর রহমানকে পুনঃনিয়োগের জন্য ডিএসইর সুপারিশ অনুমোদন করেনি বিএসইসি। এর ফলে প্রায় ছয়মাস ধরে এমডিহীন ছিল ডিএসই।

ফলে অভিভাবক শূন্য পুঁজিবাজারে নেমে এসেছে বিপর্যয়। বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি হয়েছে অন্তত ৮৫ হাজার কোটি টাকা। ব্রোকারেজ হাউজগুলো দেউলিয়ার পথে।

ডিএসইর সাবেক এক পরিচালক বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আইসিবির সাবেক এমডি দায়িত্ব পেলে, পুঁজিবাজার আর পুঁজিবাজার থাকবে না। আস্তে আস্তে বিনিয়োগকারী শূন্য হয়ে পড়বে। আন্তর্জাতিক মানও হারাবে। দেশ ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে উচিৎ একজন ভালো ও ডাইনামিক ব্যক্তিকে ডিএসইর এমডি হিসেবে নিয়োগ দেয়া।

সাক্ষাৎকার গ্রহণ: মঙ্গলবার ডিএসইর এমডি নিয়োগে মোট ৬ প্রার্থীর সাক্ষাৎকারে মোট ৪জন অংশগ্রহণ করেছেন। এরা হলেন-আইসিবির সাবেক এমডি কাজী ছানাউল হক, যমুনা ব্যাংকের সাবেক এমডি শফিকুল আলম, জনতা ব্যাংকের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) শরীয়ত উল্লাহ এবং গ্লাক্সোস্মিথক্লাইনের সাবেক সচিব ও সিএফও সারোয়ার খান।

কাজী ছানাউল হক বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমি ডিএসই’র এমডি হতে চাই বলেই সাক্ষাৎকার দিয়েছি। সিদ্ধান্ত নেবে ডিএসই। আমি ডিএসইর এমডি হলে পরিকল্পনা অনুসারে কাজ করবো।

ডিএসইর তথ্য মতে, দুই দফায় বিজ্ঞপ্তি দিয়েও যোগ্য এমডি না পাওয়ায় ডিএসই সময় নিয়ে গত ১০ ডিসেম্বর তৃতীয় দফায় এমডির খোঁজে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। এতে আগ্রহী প্রার্থীদেরকে আগামী ২৪ ডিসেম্বরের মধ্যে জীবনবৃত্তান্তসহ আবেদন পাঠাতে বলা হয়। এতে ২৪ জন আবেদন করেন। এরমধ্য থেকে ৬ জনকে সাক্ষাৎকারে ডাকা হয়।

চলতি বছরের ১১ জুলাই ডিএসইর এমডি পদ শূন্য হয়। ওই পদ পূরণে নতুন এমডির খোঁজে গত ৭ আগস্ট বিজ্ঞপ্তি দেয় ডিএসই কর্তৃপক্ষ। এতে আগ্রহী প্রার্থীদেরকে ১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আবেদন করতে বলা হয়েছিল। যেখানে ১৬ জন আবেদন করেছিলেন। তবে ওই ১৬ জনের মধ্যে কাউকেই যোগ্য মনে করেনি ডিএসইর পর্ষদ এবং নমিনেশন অ্যান্ড রিমিউনারেশন কমিটি (এনআরসি)।

এরপরে গত ৫ সেপ্টেম্বর দ্বিতীয় দফায় এমডির খোঁজে বিজ্ঞপ্তি দেয় ডিএসই। এক্ষেত্রে আবেদন করেছিল ৩ জন। অর্থাৎ দুই দফায় ১৯ জন ডিএসইর এমডি পদে নিয়োগের জন্য আবেদন করেছিল।

দুই দফায় আবেদনকারীদের মধ্য থেকে গত ২ অক্টোবর ৭ জন প্রার্থীকে সাক্ষাৎকারের জন্য ডাকা হয়। পরবর্তীতে ৭ জনের মধ্যে ৩ জনকে নিয়ে শর্ট লিস্ট করা হয়। যাদেরকে গত ৬ অক্টোবর ডিএসইর পর্ষদ ডাকে। তবে ওই ৩ জনের মধ্যেও কাউকে চূড়ান্ত নিয়োগের জন্য যোগ্য মনে করেনি পর্ষদ। যাতে যোগ্য এমডির খোঁজে আবারও বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ৬ অক্টোবরের পর্ষদ সভায়। যা গত ১০ ডিসেম্বর প্রকাশ করা হয়।

উল্লেখ্য, ব্যবস্থাপনা থেকে মালিকানা পৃথকীকরণে ডি-মিউচ্যুয়ালাইজেশন স্কিমের পর দ্বিতীয় ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে ২০১৬ সালের ২৯ জুন নিয়োগ পান কে এ এম মাজেদুর রহমান। যার মেয়াদ শেষ হয়েছে গত ১১ জুলাই। তারপর থেকেই ডিএসইর প্রধান অর্থ কর্মকর্তা (সিএফও) আবদুল মতিন পাটোয়ারী ভারপ্রাপ্ত এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

ছানাউল হকের বিরুদ্ধে যত অভিযোগ:

২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত আইসিবির এমডি হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। সে সময় কাজী ছানাউল হক আইসিবি সিকিউরিটিজ ট্রেডিং কোম্পানির সিইও। দায়িত্ব পালনের সময় ৫১৪ মার্জিন একাউন্ট থেকে বিভিন্নভাবে ২৩৮ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটে। আইসিবি সিকিউরিটিজ ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেডে (আইএসটিসিএল) ২৩৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকার লুটে জড়িত হিসেবে তৎকালীন সিইও কাজী ছানাউল হক, উপ-প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টিপু সুলতান ফারাজীসহ ছয়জনকে চিহ্নিত করা হয়।

দুদকের প্রতিবেদনে বলা হয়, আইএসটিসিএল এর প্রধান কার্যালয়ের ১৯১টি পিটি হিসাবে ২০০৮ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ২৩৭ কোটি ৮২ লাখ ৭০ হাজার টাকার মার্জিন ঋণ দেওয়া হয়। মূলত ২০০৯, ২০১০ ও ২০১১ সালের প্রথম দিকেই মার্জিন ঋণ সীমার ব্যাপক অনিয়ম ঘটিয়ে সিকিউরিটিজ কেনা হয়। ১০৩২ নম্বর পিটি হিসাবে ডেবিট স্থিতি থাকা অবস্থায় কাজী ছানাউল হকের মেয়াদকালে ২০০৮ সালের ১৯ অক্টোবরে ১৭ লাখ ৪৮ হাজার ৮৯১ টাকার ক্রেডিট স্থিতির ওপর ১৮ লাখ টাকা এবং ২০ অক্টোবর ৫১ হাজার টাকা ডেবিট স্থিতির ওপর পুনরায় ৭ লাখ টাকা তহবিল উত্তোলন দেওয়া হয়েছে। যা বিধিবহির্ভূত এবং গুরুতর অনিয়ম।

৪৪৮১ নম্বর পিটি হিসাবে প্রায় সাড়ে ৪৪ লাখ টাকা ডেবিট স্থিতি থাকা অবস্থায় ছানাউল এবং উপ-প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা টিপু সুলতান ফারাজীর মেয়াদে ২০১০ সালের ৪ অক্টোবর সিকিউরিটিজ অন্য প্রতিষ্ঠানের লিংক বিওতে স্থানান্তর করা হয়েছে, যা শতভাগ নিয়ম লঙ্ঘন। এমন ঘটনায় আইসিবি ব্যাংক তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি অর্থ লুটপাটের সত্যতা পায়। তদন্ত কমিটি তদন্তে পাওয়া অনিয়ম ও দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে একটি প্রতিবেদন আইসিবিতে জমা দেয়। পরে তা অর্থ মন্ত্রণালয়েও জমা দেওয়া হয়।

   

রফতানি ও বাণিজ্যে ১৮৪ ব্যবসায়ী পেলেন সিআইপি সম্মাননা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রফতানি বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৮৪ ব্যক্তিকে রফতানি ও বাণিজ্যে সিআইপি- ২০২২ কার্ড প্রদান করেছে সরকার।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকালে রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনে প্রধান অতিথি বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ১৮৪ ব্যক্তিকে রফতানি ও বাণিজ্যে সিআইপি- ২০২২ কার্ড প্রদান করেন।

দেশের রফতানিকারক, শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে উৎসাহ, উদ্দীপনা ও পারস্পরিক সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার আবহ সৃষ্টি করতে সিআইপি কার্ড প্রদান করা হয়। নীতিমালা অনুযায়ী ২০২২ সালের জন্য ২২টি খাতের মধ্যে ১৮টি পণ্য ও সেবা খাত এবং ইপিজেডভুক্ত "সি” ক্যাটাগরিতে মোট ১৪০ জনকে সিআইপি (রফতানি) এবং ৪৪ জন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে সিআইপি (ট্রেড) সম্মানে ভূষিত করা হয়।

এ বছর পণ্য ও সেবা সংশ্লিষ্ট ২০টি খাতে মোট ৩২৮টি আবেদন পাওয়া যায়। মেলামাইন ও জাহাজ নির্মাণ শিল্প খাতে কোন আবেদন পাওয়া যায়নি। ন্যূনতম আয়ের নিচে রফতানি আয় হওয়ায় চা খাতের ১টি আবেদন অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়।

রফতানিতে কাঁচাপাট শিল্পে ২ জন, পাটজাত পণ্যে ৪ জন, স্পেশালাইজড/হোমটেক্সটাইল পণ্য ৪ জন, তৈরী পোশাক (নিটওয়্যার) ৩৪ জন, চামড়াজাত দ্রব্য ৬ জন, সিরামিক পণ্য ১ জন, হিমায়িত খাদ্য ৪ জন, প্লাষ্টিকজাত পণ্য ৪ জন, তৈরী পোশাক (ওভেন) ১৮ জন, টেক্সটাইল (ফেব্রিক্স) ৭ জন, কৃষিজাত দ্রব্য ৫ জন, কম্পিউটার সফ্টওয়্যার ২ জন, এগ্রোপ্রসেসিং ৫ জন, আসবাবপত্র ১ জন, হালকা প্রকৌশলী পণ্য ৪ জন, ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য ৩ জন, বিবিধ পণ্য ২৭ জন, হস্তশিল্পজাত পণ্য ৪ জন ও ইপিজেডভুক্ত সি ক্যাটাগরিতে ৫ জন। এছাড়া ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ (ট্রেড ক্যাটাগরি) তে ৪৪ জনকে সিআইপি কার্ড প্রদান করা হয়েছে।

সিআইপি (রফতানি)-২০২২ নির্বাচনের ক্ষেত্রে সিআইপি (রফতানি) নীতিমালা-২০১৩ অনুসরণ করা হয়। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালকের নেতৃত্বে প্রাথমিক বাছাই কমিটি এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রফতানি) এর নেতৃত্বে চূড়ান্ত বাছাই/নির্বাচন কমিটির মাধ্যমে প্রতিটি আবেদনপত্র মূল্যায়ন করা হয়।

আবেদনপত্র মূল্যায়নের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের রফতানি আয় এবং নতুন বাজারে প্রবেশ ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করা হয়। এছাড়া রফতানিকারকের বাণিজ্য বিরোধের সংশ্লিষ্টতা, আয়কর, ভ্যাট, শুল্ক এবং ঋণ গ্রহণ/পরিশোধ ইত্যাদি সম্পর্কিত বিষয়াদিও যাচাই করা হয়। খেলাপি ঘোষিত আবেদনকারীদের আবেদন চূড়ান্ত মূল্যায়নে বিবেচনা করা হয় না।

সিআইপি (রফতানি) হিসেবে নির্বাচিত ব্যবসায়ীবৃন্দ বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য প্রবেশ পাশ ও গাড়ির স্টিকার প্রাপ্তি, জাতীয় অনুষ্ঠান ও মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের নাগরিক সম্বর্ধনায় আমন্ত্রণ প্রাপ্তি, ব্যবসা সংক্রান্ত ভ্রমণে বিমান, রেলপথ, সড়ক ও জলপথে সরকারি যানবাহনে আসন সংরক্ষণে অগ্রাধিকার, ব্যবসায়িক কাজে বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে Letter of Introduction প্রাপ্তি, নির্বাচিত সিআইপি তার স্ত্রী, পুত্র, কন্যা ও নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে কেবিন প্রাপ্তির অগ্রাধিকার এবং বিমান বন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ-২ ব্যবহার সুবিধা পেয়ে থাকেন।

সরকারিভাবে প্রদত্ত সিআইপি কার্ডধারী ব্যক্তি বিদেশী ক্রেতার কাছে আস্থা ও সুনামের সাথে তার ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক গ্রহণযোগ্যতা তুলে ধরতে পারেন যা তার ব্যবসায়িক সম্পর্ককে সুদৃঢ় করার পাশাপাশি দেশের সার্বিক রফতানি প্রসারে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।

রফতানি খাতে অবদানের জন্য ১ বছর মেয়াদে সিআইপি (রফতানি) নির্বাচন করা হয়ে থাকে। তবে বর্তমানে নির্বাচিত সিআইপিবৃন্দ পরবর্তী বছরের সিআইপি (রফতানি) ঘোষণার পূর্ব পর্যন্ত সিআইপি (রফতানি) মর্যাদায় ভূষিত থাকবেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই-এর সভাপতি মাহবুবুল আলম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান।

;

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা ৬ জুন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা ৬ জুন

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা ৬ জুন

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আগামী ৬ জুন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব সংসদে পেশ করা হবে। অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জাতীয় সংসগে এ বাজেট উত্থাপন করবেন। 

বৃহস্পতিবার (৯ মে) অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘আগামী ৬ জুন, জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট উত্থাপনের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজেট পেশের দিনক্ষণ ঠিক করে ইতোমধ্যে কর্মকর্তাদের দায়িত্ব বন্টন করে দেওয়া হয়েছে।’

অর্থ বিভাগ সূত্র জানায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট হবে প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকার, যা হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ আকারের বাজেট।

এবারের বাজেটে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাচ্ছে বলে ওই কর্মকর্তা জানান।

সূত্র: বাসস

;

বাজেট ২০২৪-২০২৫

২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনের



জাহিদুল ইসলাম, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনের

২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনের

  • Font increase
  • Font Decrease

পরিবহন, বিদ্যুৎ ও শিক্ষাখাতকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) চূড়ান্ত করেছে পরিকল্পনা কমিশন। এর মধ্যে সরকার নিজস্ব তহবিল থেকে ১ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা এবং বাকি ১ লাখ কোটি টাকা ঋণ ও অনুদান হিসেবে বিদেশি উৎস থেকে আসবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা।

মঙ্গলবার (৭ মে) পরিকল্পনামন্ত্রী আবদুস সালামের সভাপতিত্বে পরিকল্পনা কমিশনের বর্ধিত সভায় প্রস্তাবিত এডিপি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদে (এনইসি) উপস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের সিনিয়র সচিব সত্যজিৎ কর্মকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এনইসি সভায় প্রস্তাবিত এডিপির সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।

সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২০২৪) জন্য ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন করা হয়েছিল। এর মধ্যে ১ লাখ ৬৯ হাজার কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে এবং বাকি ৯৪ হাজার কোটি টাকা আসবে বৈদেশিক উৎস থেকে। এ হিসাবে আগামী অর্থবছরে এডিপির আকার মাত্র ২ হাজার কোটি টাকা বা ০.৭৬% বাড়ছে।

পরিকল্পনা কমিশন চলতি অর্থবছরের তুলনায় আগামী অর্থবছরে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে বরাদ্দ ৪ হাজার কোটি টাকা বা ২.৩৭% কমিয়ে আনছে। অন্যদিকে, বৈদেশিক উৎসের বরাদ্দ ৬ হাজার কোটি টাকা বা ৬.৩৮% বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে।

অবশ্য বাস্তবায়নে ধীরগতি আর আর্থিক সংকটের কারণে চলতি অর্থবছরের এডিপির আকার ২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছে। এ হিসাবে চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপির (আরএডিপি) তুলনায় আগামী বছরে বরাদ্দ বাড়ছে ২০ হাজার কোটি টাকা।

পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) ধারাবাহিক তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০০৮-২০০৯ অর্থবছরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নানামুখী সংকটের কারণে আগের বছরের তুলনায় অভ্যন্তরীণ উৎসের বরাদ্দ কিছুটা কমেছিল। স্বাধীনতা পরবর্তী অন্য কোনো বছরেই উন্নয়নখাতে অভ্যন্তরীণ উৎসের বরাদ্দ কমেনি।

এ বিষয়ে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, চলমান আর্থিক সংকটের বিষয়টি বিবেচনায় নিলে উন্নয়নখাতে বরাদ্দ বাড়ানোর সুযোগ নেই বললেই চলে।

তিনি বলেন, রাজস্ব আহরণে সফলতা না থাকায় সরকারের অর্থ ব্যয়ের সুযোগ কমে এসেছে। মূল্যস্ফীতির কারণে অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমে আসায় আমদানি শুল্ক আহরণও কমছে। তা ছাড়া তারল্য সংকটের কারণে ব্যাংক বা অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ঋণ নেওয়ার সুযোগও কমে এসেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

অর্থনীতিবিদ আরো বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারি ব্যয় নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রয়োজন রয়েছে। বাজারে নগদ টাকার প্রবাহ বাড়লে নিত্যপণ্যের দাম দ্রুতই বাড়বে বলে তিনি মনে করেন।

তবে এডিপির বরাদ্দ গণহারে না কমিয়ে শেষ হওয়ার অপেক্ষায় থাকা বা তাড়াতাড়ি শেষ করা যাবে, এমন প্রকল্পগুলোর প্রয়োজনীয় বরাদ্দ নিশ্চিত করার পরামর্শ দেন তিনি।

চাপের মুখে অভ্যন্তরীণ আর্থিক উৎস

সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সমন্বিত চাহিদার তুলনায় মোট ২০ হাজার ৩শ ৯১.১৯ কোটির টাকা কম বরাদ্দ প্রস্তাব করেছে পরিকল্পনা কমিশন। প্রস্তাবনা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলো এই তহবিল থেকে মোট ১ লাখ ৮৫ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা চাইলেও এর ৮৯% বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।

সব মিলিয়ে বিভিন্ন বাস্তবায়নকারী সংস্থা এডিপিতে ২ লাখ ৭৬ হাজার ৪ শ ২ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছিল। সে হিসাবে এডিপিতে বরাদ্দের ঘাটতি থাকছে, ১১ হাজার ৪ শ ২ কোটি টাকা।

অবশ্য বিদেশি উৎস থেকে চাহিদার চাইতে ৮ হাজার ৯শ ৮৯ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ নিতে প্রস্তাব করেছে পরিকল্পনা কমিশন। ৯১ হাজার ১১ কোটি টাকা চাহিদার বিপরীতে বিদেশি ঋণ বাবদ এক লাখ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে।

;

ডলারের দাম বাড়লেও আমদানির ওপর প্রভাব পড়বে না: সালমান এফ রহমান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ডলারের দাম বাড়লেও দেশে আমদানির ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তবে রফতানির ওপর প্রচুর প্রভাব পড়বে। এর ফলে রেমিট্যান্স আয় ও রফতানিমুখী শিল্প উপকৃত হবে বলে মনে করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) ইউএস ট্রেড শোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে বিফ্রিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ডলারের দাম বাড়ানোর বিকল্প ছিল না।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা বলেন, ডলারের দাম বাড়ায় রিজার্ভের ওপর চাপ কমে যাবে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা খুবই প্রয়োজন ছিল। মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরে আছে যা আমাদের কমানো দরকার। একই সঙ্গে ডলারের দাম বাড়ায় দেশের অর্থনীতির ওপর কোনো চাপ পড়বে না। তার কারণ কৃষিখাতে দেশ অনেক ভালো করছে। খাদ্যে আমরা স্বয়ংসম্পন্ন হতে পেরেছি।

যাদের টিন আছে তাদের সবাইকে ট্যাক্সের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, যারা ট্যাক্স দিচ্ছে তাদের ওপর আরও ট্যাক্স চাপানো হচ্ছে। যাদের টিন আছে তাদের সবাইকে ট্যাক্সের আওতায় আনতে হবে। একই সঙ্গে ট্যাক্স রেট কমিয়ে ট্যাক্স নেট বাড়ানো দরকার। বিশ্বের যেসব দেশ ট্যাক্স রেট কমিয়েছে এবং ট্যাক্স নেট বাড়িয়েছে তাদেরই রাজস্ব বেড়েছে।

সব ব্যবসায়ীদের করের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে উপজেলা এমনকি গ্রাম অঞ্চলেও অনেকে ভালোভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন। তাদেরকেও ট্যাক্সের আওতায় আনতে হবে।

বিশ্বের যেসব দেশ থেকে বেশি পরিমাণে আমদানি করা হয় সেইসব দেশের মুদ্রায় যদি ট্রেড করা হয় তাহলে ডলারের ওপর চাপ কমে যাবে বলেও মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর বিনিয়োগ উপদেষ্টা।

;