উধাও ডিএসইর সিআরও জিয়াউল হাসান



মাহফুজুল ইসলাম, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ডিএসইর প্রধান রেগুলেটরি কর্মকর্তা সিআরও একেএম জিয়াউল হাসান খান

ডিএসইর প্রধান রেগুলেটরি কর্মকর্তা সিআরও একেএম জিয়াউল হাসান খান

  • Font increase
  • Font Decrease

নিয়মের কোনো তোয়াক্কা করেন না।বছরের বেশির ভাগ সময় থাকেন ছুটিতে, বেতনও নেন দ্বিগুণ।তার নাম এ কে এম জিয়াউল হাসান খান। তিনি দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান রেগুলেটরি কর্মকর্তা (সিআরও)।

ডিএসইর ব্যবস্থাপনা বিভাগ কিংবা ডিএসইর পর্ষদের কেউ তাকে কিছু বলতেও পারছেন না। কিছু বললেই বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে চাপ দেওয়া হয়। দেখে নেওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। এই সুযোগে তিনি একের পর এক দায়িত্বহীন কর্মকাণ্ড করে যাচ্ছেন।

ডিএসইর তথ্য মতে, সিআরও সর্বশেষ ৯ ও ১২ ডিসেম্বর অসুস্থতা দেখিয়ে ডিএসই থেকে দু’দিনের ছুটি নিয়েছেন। এরপর গত ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত যোগদান করেননি। তিনি কারও সঙ্গেও যোগাযোগ করেননি। কিন্তু তারপরও স্বপদে বহাল রয়েছেন জিয়াউল হাসান। কিন্তু ডিএসই কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাও গ্রহণ করেনি।

আরও মজার তথ্য হলো-২০১৬ সাল থেকে ২০১৯ সালে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মোট পৌনে চার বছরের মধ্যে ৩৬৪ দিন অর্থাৎ এক বছর ছুটিতেই ছিলেন। যা সাপ্তাহিক ও সরকারি ও বিশেষ ছুটি মিলে ২ বছরের বেশি সময়।

নাম না প্রকাশের শর্তে ডিএসইর পরিচালক বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘ডিএসইর এই কর্মকর্তা যতই অনিয়ম করুক, তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় না। এমনকি তার অপরাধের বিষয়ে জিজ্ঞাসাও করা যায় না। হলেই উপর মহল থেকে চাপ আসে।’

জানা গেছে, উপর মহল হলো বিএসইসি। জিয়াউল হাসান বিএসইসির একজন নির্বাহী পরিচালকের বন্ধু। তার এই শক্তি জুড়েই ডিএসইর পর্ষদ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে না। তার মাধ্যমে কমিশনের কর্তারা ডিএসইর সব ধরনের গোপন তথ্য নেয়।

এ বিষয়ে ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত এমডি আব্দুল মতিন পাটোয়ারীর সঙ্গে রোববার (৫জানুয়ারি) যোগাযোগ করা হলে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। সিআরও’র সঙ্গে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করতে চাইলেও বন্ধ পাওয়া যায়।

তবে ডিএসইর সাবেক এক পরিচালক বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি এসিআই লিমিটেড ও রহিমা ফুডের সংবেদনশীল তথ্য গোপন করেছেন সিআরও। তাতে তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায়নি। এই সব ইস্যুতে একাধিকবার ডিএসইর পর্ষদ তাকে কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেয়। কিন্তু ডিএসইর এমডি সিআরওকে দর্শানোর নোটিশ দিতে পারেনি।’

অথচ তাকে বাঁচাতে নির্দোষ ডিএসইর মার্কেট অপারেশনস ডিপার্টমেন্টের প্রধান সায়িদ মাহমুদ জুবায়েরকে বরখাস্ত করা হয়। সে সময় ওয়েবসাইটে এসিআই লিমিটেডের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য প্রকাশ করা হয়। কোম্পানিটি আলোচ্য প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি ৫ টাকা ৯৯ পয়সা লোকসান করেছে। অথচ আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটি শেয়ার প্রতি ৫ টাকা ১৯ পয়সা মুনাফা হয়েছে বলে ডিএসইতে সংবাদ প্রকাশ করে। এ কারণে ডিএসইর পর্ষদ সিআরওকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেয়। কিন্তু ডিএসইর এমডি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।

শুধু তাই নয়, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, সামিট পাওয়ারের সঙ্গে একই গ্রুপের তিন কোম্পানি সামিট পূর্বাঞ্চল পাওয়ার, সামিট নারায়ণগঞ্জ পাওয়ার এবং সামিট উত্তরাঞ্চল পাওয়ার একীভূতকরণ কার্যক্রম আদালতের নির্দেশনা মেনে হয়েছে কি-না, তা যাচাই না করেই কোম্পানিগুলো একীভূত হয়। এছাড়া সামিট পূর্বাঞ্চল পাওয়ারকে তালিকাচ্যুত করার পাশাপাশি শেয়ারহোল্ডারদের শেয়ার বুঝিয়ে না দেয়া এবং একইসঙ্গে সামিট পাওয়ারের শেয়ার লেনদেন চালু রাখার মাধ্যমে তাদের স্বার্থ ক্ষুণ্ন করা হয়। এ ক্ষেত্রে ডিএসই থেকে যে অনিয়ম করা হয় তার পেছনের মূল কলকাঠি নাড়েন সিআরও’র দায়িত্ব পালন করা জিয়াউল হাসান খান।

যে কারণে জিয়াউল হাসান খানসহ তিন শীর্ষ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্তের জন্য সেই বছরের আগস্টে বিএসইসির তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হেলাল উদ্দিন নিজামী ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এ এম মাজেদুর রহমানকে ডেকে মৌখিকভাবে নির্দেশনা দেন। কিন্তু পরবর্তীতে সব দায় উপ-মহাব্যবস্থাপক নিজাম উদ্দিনের ওপর চাপিয়ে দিয়ে তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়। আর জিয়াউল হাসান খানের বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপই গ্রহণ করা হয়নি। এতে একপর্যায়ে নিজাম উদ্দিন ডিএসইর চাকরি ছেড়ে দেন।

এছাড়া রহিমা ফুড কর্পোরেশন লিমিটেডের উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ারের মালিকানা হস্তান্তরের মতো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য প্রকাশ নিয়েও গত বছর সিআরও’র বিরুদ্ধে লুকোচুরির অভিযোগ ওঠে। রহিমা ফুডের পরিচালনা পর্ষদের প্রত্যেকে সিটি সুগার মিল ইন্ডাস্ট্রিজের কাছে তাদের শেয়ার স্থানান্তরের ঘোষণা দেয় এবং সেই তথ্য ডিএসইকে জানায়। কিন্তু ডিএসই থেকে বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে সেই তথ্য প্রকাশ করা হয় দেরি করে। মালিকানা পরিবর্তনের মতো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য দেরি করে প্রকাশ করায় ডিএসইর সিআরও’র বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ ওঠে।

   

বাজেট ২০২৪-২০২৫

২,৬৫,০০০ কোটি টাকার এডিপি প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনের



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পরিবহন, বিদ্যুৎ ও শিক্ষাখাতকে সর্বোচ্চ প্রাধান্য দিয়ে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ২,৬৫,০০০ কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) চূড়ান্ত করেছে পরিকল্পনা কমিশন। এর মধ্যে সরকার নিজস্ব তহবিল থেকে ১৬৫,০০০ কোটি টাকা এবং বাকি ১ লাখ কোটি টাকা ঋণ ও অনুদান হিসেবে বিদেশি উৎস থেকে আসবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা।

মঙ্গলবার (৭ মে) পরিকল্পনামন্ত্রী আবদুস সালামের সভাপতিত্বে পরিকল্পনা কমিশনের বর্ধিত সভায় প্রস্তাবিত এডিপি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদে (এনইসি) উপস্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশনের সিনিয়র সচিব সত্যজিৎ কর্মকার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এনইসি সভায় প্রস্তাবিত এডিপির সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।

সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২০২৪) জন্য ২৬৩,০০০ কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন করা হয়েছিল। এর মধ্যে ১৬৯,০০০ কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে এবং বাকি ৯৪,০০০ কোটি টাকা আসবে বৈদেশিক উৎস থেকে। এ হিসাবে আগামী অর্থবছরে এডিপির আকার মাত্র ২০০০ কোটি টাকা বা ০.৭৬% বাড়ছে।

পরিকল্পনা কমিশন চলতি অর্থবছরের তুলনায় আগামী অর্থবছরে সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে বরাদ্দ ৪০০০ কোটি টাকা বা ২.৩৭% কমিয়ে আনছে। অন্যদিকে, বৈদেশিক উৎসের বরাদ্দ ৬০০০ কোটি টাকা বা ৬.৩৮% বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে।

অবশ্য বাস্তবায়নে ধীরগতি আর আর্থিক সংকটের কারণে চলতি অর্থবছরের এডিপির আকার ২,৪৫,০০০ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছে। এ হিসাবে চলতি অর্থবছরের সংশোধিত এডিপির (আরএডিপি) তুলনায় আগামী বছরে বরাদ্দ বাড়ছে ২০,০০০ কোটি টাকা।

পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) ধারাবাহিক তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০০৮-২০০৯ অর্থবছরে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে নানামুখী সংকটের কারণে আগের বছরের তুলনায় অভ্যন্তরীণ উৎসের বরাদ্দ কিছুটা কমেছিল। স্বাধীনতা পরবর্তী অন্য কোনো বছরেই উন্নয়নখাতে অভ্যন্তরীণ উৎসের বরাদ্দ কমেনি।

এ বিষয়ে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, চলমান আর্থিক সংকটের বিষয়টি বিবেচনায় নিলে উন্নয়নখাতে বরাদ্দ বাড়ানোর সুযোগ নেই বললেই চলে।

তিনি বলেন, রাজস্ব আহরণে সফলতা না থাকায় সরকারের অর্থ ব্যয়ের সুযোগ কমে এসেছে। মূল্যস্ফীতির কারণে অভ্যন্তরীণ চাহিদা কমে আসায় আমদানি শুল্ক আহরণও কমছে। তা ছাড়া তারল্য সংকটের কারণে ব্যাংক বা অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ঋণ নেওয়ার সুযোগও কমে এসেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

অর্থনীতিবিদ আরো বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারি ব্যয় নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রয়োজন রয়েছে। বাজারে নগদ টাকার প্রবাহ বাড়লে নিত্যপণ্যের দাম দ্রুতই বাড়বে বলে তিনি মনে করেন।

তবে এডিপির বরাদ্দ গণহারে না কমিয়ে শেষ হওয়ার অপেক্ষায় থাকা বা তাড়াতাড়ি শেষ করা যাবে, এমন প্রকল্পগুলোর প্রয়োজনীয় বরাদ্দ নিশ্চিত করার পরামর্শ দেন তিনি।

চাপের মুখে অভ্যন্তরীণ আর্থিক উৎস
সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সমন্বিত চাহিদার তুলনায় মোট ২০,৩৯১.১৯ কোটির টাকা কম বরাদ্দ প্রস্তাব করেছে পরিকল্পনা কমিশন।

প্রস্তাবনা পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলো এই তহবিল থেকে মোট ১ লাখ ৮৫ হাজার ৩৯১ কোটি টাকা চাইলেও এর ৮৯% বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে।

সব মিলিয়ে বিভিন্ন বাস্তবায়নকারী সংস্থা এডিপিতে ২ লাখ ৭৬ হাজার ৪০২ কোটি টাকা বরাদ্দ চেয়েছিল। সে হিসাবে এডিপিতে বরাদ্দের ঘাটতি থাকছে, ১১ হাজার ৪০২ কোটি টাকা।

অবশ্য বিদেশি উৎস থেকে চাহিদার চাইতে ৮ হাজার ৯৮৯ কোটি টাকা বেশি বরাদ্দ নিতে প্রস্তাব করেছে পরিকল্পনা কমিশন। ৯১ হাজার ১১ কোটি টাকা চাহিদার বিপরীতে বিদেশি ঋণ বাবদ এক লাখ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রস্তাব করা হয়েছে।

;

ডলারের দাম বাড়লেও আমদানির ওপর প্রভাব পড়বে না: সালমান এফ রহমান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ডলারের দাম বাড়লেও দেশে আমদানির ওপর কোনো প্রভাব পড়বে না বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তবে রফতানির ওপর প্রচুর প্রভাব পড়বে। এর ফলে রেমিট্যান্স আয় ও রফতানিমুখী শিল্প উপকৃত হবে বলে মনে করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) ইউএস ট্রেড শোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে বিফ্রিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ডলারের দাম বাড়ানোর বিকল্প ছিল না।

প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা বলেন, ডলারের দাম বাড়ায় রিজার্ভের ওপর চাপ কমে যাবে। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনা খুবই প্রয়োজন ছিল। মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরে আছে যা আমাদের কমানো দরকার। একই সঙ্গে ডলারের দাম বাড়ায় দেশের অর্থনীতির ওপর কোনো চাপ পড়বে না। তার কারণ কৃষিখাতে দেশ অনেক ভালো করছে। খাদ্যে আমরা স্বয়ংসম্পন্ন হতে পেরেছি।

যাদের টিন আছে তাদের সবাইকে ট্যাক্সের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, যারা ট্যাক্স দিচ্ছে তাদের ওপর আরও ট্যাক্স চাপানো হচ্ছে। যাদের টিন আছে তাদের সবাইকে ট্যাক্সের আওতায় আনতে হবে। একই সঙ্গে ট্যাক্স রেট কমিয়ে ট্যাক্স নেট বাড়ানো দরকার। বিশ্বের যেসব দেশ ট্যাক্স রেট কমিয়েছে এবং ট্যাক্স নেট বাড়িয়েছে তাদেরই রাজস্ব বেড়েছে।

সব ব্যবসায়ীদের করের আওতায় আনার আহ্বান জানিয়ে সালমান এফ রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে উপজেলা এমনকি গ্রাম অঞ্চলেও অনেকে ভালোভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য করছেন। তাদেরকেও ট্যাক্সের আওতায় আনতে হবে।

বিশ্বের যেসব দেশ থেকে বেশি পরিমাণে আমদানি করা হয় সেইসব দেশের মুদ্রায় যদি ট্রেড করা হয় তাহলে ডলারের ওপর চাপ কমে যাবে বলেও মনে করেন প্রধানমন্ত্রীর বিনিয়োগ উপদেষ্টা।

;

রফতানি ও বাণিজ্যে সিআইপি কার্ড প্রদান অনুষ্ঠান শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রফতানি বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৮৪ ব্যক্তিকে সিআইপি (রফতানি ও ট্রেড)- ২০২২ কার্ড প্রদান করবে সরকার।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকাল ৩টায় রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনে বিকাল ৩টায় পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয় সিআইপি (রফতানি ও ট্রেড)- ২০২২ কার্ড প্রদান অনুষ্ঠান আনুষ্ঠানিকতা। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

দেশের রফতানিকারক, শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে উৎসাহ, উদ্দীপনা ও পারস্পরিক সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার আবহ সৃষ্টি করতে সিআইপি কার্ড প্রদান করা হয়। সিআইপি (রফতানি ও ট্রেড)- ২০২২ এ ১৮৪ ব্যক্তিকে কার্ড প্রদান করবেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী।

নীতিমালা অনুযায়ী ২০২২ সালের জন্য ২২টি খাতের মধ্যে ১৮টি পণ্য ও সেবা খাত এবং ইপিজেডভুক্ত "সি” ক্যাটাগরিতে মোট ১৪০ জনকে সিআইপি (রফতানি) এবং ৪৪ জন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে সিআইপি (ট্রেড) সম্মানে ভূষিত করা হবে।

রফতানি খাতে অবদানের জন্য ১ বছর মেয়াদে সিআইপি (রফতানি) নির্বাচন করা হয়ে থাকে। তবে বর্তমানে নির্বাচিত সিআইপিবৃন্দ পরবর্তী বছরের সিআইপি (রফতানি) ঘোষণার পূর্ব পর্যন্ত সিআইপি (রপ্তানি) মর্যাদায় ভূষিত থাকবেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত আছেন এফবিসিসিআই-এর সভাপতি মাহবুবুল আলম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান।

;

ইউএস ট্রেড শো-এ ইসলামী ব্যাংকের স্টল উদ্বোধন



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে অনুষ্ঠিত তিন দিনব্যাপী ইউ এস ট্রেড শো-২০২৪ এ ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির স্টল উদ্বোধন করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা প্রধান অতিথি হিসেবে এ স্টল উদ্বোধন করেন। ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ মাকসুদুর রহমান, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট নজরুল ইসলাম ও ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ ওমর হায়াত চৌধুরীসহ ব্যাংকের নির্বাহী ও কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

;