গ্রামীণফোন-বিটিআরসি দ্বন্দ্বের নিষ্পত্তি চায় ডিএসই



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে ডিএসই'র কর্মকর্তারা/ ছবি:  বার্তা২৪.কম

অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে ডিএসই'র কর্মকর্তারা/ ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা এক বছর দরপতনের ফলে আস্থা ও তারল্য সঙ্কটে তলানিতে রয়েছে দেশের পুঁজিবাজার। ২০২০ সালে এই পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল করার পাশাপাশি বাজারের উন্নয়নে গ্রামীণফোন এবং বিটিআরসি দ্বন্দ্বের নিষ্পত্তি, সরকারি এবং বহুজাতিক কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করাসহ ১১ দফা দাবি অর্থমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরা হয়। অর্থমন্ত্রী বিষয়গুলো শুনেছেন। যৌক্তিক দাবিগুলো বিবেচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।

বৃহস্পতিবার (২জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের কাছে উপস্থাপন করেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল হাশেম। এ সময় ডিএসইর পরিচালক রকিবুর রহমান, শাকিল রিজভী, মোহাম্মদ শাহজাহান এবং মিনহাজ মান্নান ইমনসহ পরিচালনা পর্ষদ এবং ভারপ্রাপ্ত এমডি আব্দুল মতিন পাটোয়ারীসহ ব্যবস্থাপনা বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

অর্থমন্ত্রীর বৈঠক/ ছবি: বার্তা২৪.কম

অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী, ব্যাংক ও আর্থিক বিভাগের সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক খায়রুল হোসেন, কমিশনার হেলাল উদ্দিন নিজামী এবং স্বপন কুমার বালা উপস্থিত ছিলেন।

বাকি দাবিগুলো হচ্ছে-পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের ব্যবস্থা, টি-বন্ডের লেনদেন যথা শিগগির চালু করা, ডিএসই এবং পুঁজিবাজারের লেন-দেনের ওপর কর কমানো, অডিট রিপোর্টের স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ, বাজার উন্নয়নে আইসিবি ও অন্যান্য সংস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধি, পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ নিশ্চিত করা, বাজারে অর্থের সরবরাহ বৃদ্ধি করা, উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন সমন্বয় কমিটি গঠন এবং ঋণ প্রস্তাবের বিশেষ বিবেচনা।

   

‘বাংলাদেশের সামনে যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে সব বিদেশিদের সৃষ্ট’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আজকে বাংলাদেশের সামনে যেসব চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে তার কোনোটাই আমাদের দ্বারা সৃষ্ট নই। ডলার সংকট থেকে শুরু করে সব সংকটের জন্য বিদেশিরা দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) পেট্রোসেন্টারে বাংলাদেশ ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদফতর (জিএসবি) আয়োজিত সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন। টেকসই উন্নয়নের জন্য জিওলজি শীর্ষক দুই দিনব্যাপী সেমিনারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জিএসবির মহাপরিচালক তাহমিনা ইয়াসমিন।

ড তৌফিক ই ইলাহী চৌধুরী আরও বলেন, পশ্চিমারা যুদ্ধবিগ্রহ শুরু করে এখন এসে বুদ্ধি দিচ্ছেন কীভাবে অর্থনীতি চালাতে হবে। ওয়াশিংটন থেকে এসে বুদ্ধি দেয়, অনেক সময় গ্রহণ করতে হয়। সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ তারা যেন প্রকৃত কারণ তুলে ধরেন।

সেমিনার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একদিকে যেমন জ্ঞানের জগৎ রয়েছে অন্যদিকে বাস্তবতা রয়েছে। জ্ঞান ও তথ্য ভিত্তিক সুপারিশ দেন, তাতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে। পৃথিবী যেদিকে যাচ্ছে, অনেক জিনিস অপ্রয়োজনীয় হয়ে যাবে। নতুন যেগুলো প্রযুক্তি আসছে সেগুলো আপনারা ধারণ করবেন। সময়ে সময়ে সুপারিশ দেবেন।

জিএসবির আবিস্কৃত খনিজ সম্পদের ওপর জিএসবির জন্য রয়্যালিটি নির্ধারণ করতে পারি। যাতে করে অর্থের সংস্থান নিশ্চিত হতে পারে বলে মনে করেন তৌফিক ই ইলাহী।

বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, আজকে বিশ্বে যারা উন্নত হয়েছে সবাই খনিজ সম্পদের ওপর নির্ভর করে। আমাদের যতটুকু সম্পদ রয়েছে তার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। বিজ্ঞানীরা অনেকে নিরবে কাজ করেন, কিন্তু সেগুলো পরে আর আমাদের পর্যন্ত সেভাবে আসে না। আপনারা রিপোর্ট করে নিয়ে বসে থাকেন। কিছু রিপোর্ট প্রকাশ করে দেন।

একটা বিভাগ আবিষ্কার করছে, আরেক বিভাগ লাইসেন্স দিচ্ছে আরেকটি বিভাগ ব্যবসা করছে। তাহলে তো আবিষ্কারের জন্য আমাদের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে। আপনারা কি চান সেটাতো আপনাদের দিক থেকে প্রস্তাবনা আসতে হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, অনেক সময় গেছে এখন আর বসে থাকার সুযোগ নেই। দেশের খনিজ সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। জিএসবিকে আরও আধুনিক ও শক্তিশালী করতে হবে। এসব প্রস্তাব আপনাদের দিক থেকে প্রস্তাবনা আসা উচিত।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব নুরুল আলম বলেন, তাত্ত্বিক বিষয় আলোচনা করলে হবে না। তাত্ত্বিক দিকের পাশাপাশি প্রায়োগিক বিষয় যুক্ত থাকতে হবে। প্রকল্পটি কীভাবে বাণিজ্যিকভাবে সফল হবে তার দিকনির্দেশনা থাকতে হবে। তাহলেই আর্থিকভাবে সফল প্রকল্প গ্রহণ করা সম্ভব হবে।

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, জিএসবিকে আরও শক্তিশালী করা দরকার, একইসঙ্গে বাপেক্সসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সমন্বয় থাকা দরকার। বাপেক্স যেখানে কূপ খনন করছে সেখান থেকে নমুনা নিয়ে তারা কাজ করতে পারে। এতে করে আলাদা করে কূপ খননের বাড়তি টাকার প্রয়োজন হবে না। সময়ও সাশ্রয় হবে।

জিএসবির পরিচালক আব্দুল আজিজ পাটোয়ারী বলেন, জিএসবি আবিষ্কৃত খনিজ সম্পদের মোট আর্থিক মূল্য ২৪৮ ট্রিলিয়ন টাকার বেশি। যমুনা নদীর বালিতে উন্নতমানের খনিজ পদার্থ আবিষ্কার করা হয়েছে। এসব খনিজ উপাদানের বিষয়ে দেশি-বিদেশি অনেক প্রতিষ্ঠান ব্যাপক আগ্রহ দেখাচ্ছে।

;

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ও ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের রেমিট্যান্স ক্যাম্পেইনের র‌্যাফেল-ড্র



নিউজ ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ও ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের রেমিট্যান্স ক্যাম্পেইন এর র‌্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৮ মে প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী জাফর আলম।

র‌্যাফেল ড্র-তে ভাগ্যবান বিজয়ী হন ব্যাংকের মুন্সীরহাট শাখার রেমিট্যান্স গ্রাহক মোঃ শাহজালাল।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ হাবীবুর রহমান ও ওয়েস্টার্ন ইউনিয়নের সাউথ এশিয়ার রিজিওনাল অপারেশন্স ম্যানেজার শিহাব হাসান উপস্থিত ছিলেন। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ব্রাঞ্চেস কন্ট্রোল ডিভিশনের প্রধান জয়নাল আবেদীন, চিফ রেমিট্যান্স অফিসার মাজহারুল হক এবং উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন নির্বাহীবৃন্দ।

প্রধান অতিথি জাফর আলম ভাগ্যবান বিজয়ীর সাথে টেলিফোনে কথা বলেন এবং তাকে অভিনন্দন, শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানান। সেইসাথে তার ও তার পরিবারের খোঁজখবর নেন, কুশল বিনিময় করেন।

;

ইসলামী ব্যাংকের হজ বুথ উদ্বোধন



নিউজ ডেস্ক
ইসলামী ব্যাংকের হজ বুথ উদ্বোধন

ইসলামী ব্যাংকের হজ বুথ উদ্বোধন

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি হজযাত্রীদের সেবার জন্য ঢাকার আশকোনাস্থ হজ ক্যাম্পে বিশেষ বুথ চালু করেছে।

৮ মে ২০২৪, বুধবার ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা প্রধান অতিথি হিসেবে এ বুথের উদ্বোধন করেন।

ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী, সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ মাকসুদুর রহমান, হজ ক্যাম্পের পরিচালক (উপসচিব) মুহাম্মদ কামরুজ্জামান, ব্যাংকের ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ ওমর হায়াত চৌধুরী ও মোঃ সোলাইমান সহ ব্যাংক ও হজ ক্যাম্পের কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

হজ বুথে হজযাত্রীদের ডলার ও সৌদি রিয়াল এনডোর্সমেন্ট ও বিনিময় সেবা, এটিএম ও তথ্য সেবা এবং হজ পালনের গাইড বই প্রদান করা হচ্ছে। ইসলামী ব্যাংক প্রতিবছর আশকোনস্থ এ হজ্জ ক্যাম্পে বুথ স্থাপনের মাধ্যমে হজ্জযাত্রীদেরকে ব্যাংকিং সেবা, তথ্য ও হজ্জে ব্যবহার উপযোগী উপহার সামগ্রী দিয়ে আসছে।

ব্যাংকিং সেবার মধ্যে হজ্জযাত্রীদেরকে বাংলা টাকার বিনিময়ে বৈদেশিক মুদ্রা যেমন সৌদি রিয়াল ও ডলার সরবরাহ করা, ডেবিট ও খিদমাহ (ক্রেডিট) কার্ড এন্ডোর্সমেন্ট করে দেওয়া ও এটিএম বুথ সার্ভিস প্রদান করা হচ্ছে। ডেবিট ও খিদমাহ (ক্রেডিট) কার্ড এন্ডোর্সমেন্টের মাধ্যমে হজ্জযাত্রীরা সৌদিআরবে ভিসা লোগো সম্বলিত যেকোন বুথ থেকে রিয়াল উত্তোলন করতে পারবেন।

হজ্জযাত্রীদের ব্যাংকিং সংক্রান্ত সকল প্রকার তথ্যাদি সরবরাহ করা হয়। সেবাগ্রহণকারীদের ইসলামী ব্যাংকের পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে ছাতা, হ্যান্ডব্যাগ, জুতোর ব্যাগ ও মিনায় পাথর নিক্ষেপের জন্য পাথর রাখার ব্যাগ প্রদান করা হয়। হজ্জ পালনের নিয়মাবলী ও প্রক্রিয়া সম্পর্কে সচেতন করতে বিভিন্ন তথ্য সম্বলিত লিফলেট ও হজ্জ গাইডলাইন প্রদান করা হয়।

এই সব উপকরণ হজযাত্রীদের জন্য সহায়ক এবং হজ পালনকে আরও সহজ এবং সুবিধাজনক করে তোলে। হজক্যাম্প থেকে বিমান পর্যন্ত যাতায়াত নির্বিঘ্নে করতে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে ব্যাংকের পক্ষ থেকে বাস সরবরাহ করা হয়েছে।

;

১৮৪ ব্যবসায়ী পাচ্ছেন সিআইপি সম্মাননা



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
১৮৪ ব্যবসায়ী পাচ্ছেন সিআইপি সম্মাননা

১৮৪ ব্যবসায়ী পাচ্ছেন সিআইপি সম্মাননা

  • Font increase
  • Font Decrease

রফতানি বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৮৪ ব্যক্তিকে সিআইপি (রফতানি ও ট্রেড)- ২০২২ কার্ড প্রদান করবে সরকার। দেশের রফতানিকারক, শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে উৎসাহ, উদ্দীপনা ও পারস্পরিক সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার আবহ সৃষ্টি করতে সিআইপি কার্ড করা হয়।

আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকাল ৩টায় রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ১৮৪ ব্যক্তিকে সিআইপি (রফতানি ও ট্রেড)- ২০২২ কার্ড প্রদান করবেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন এফবিসিসিআই-এর সভাপতি মাহবুবুল আলম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করবেন রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান।

নীতিমালা অনুযায়ী ২০২২ সালের জন্য ২২টি খাতের মধ্যে ১৮টি পণ্য ও সেবা খাত এবং ইপিজেডভুক্ত "সি” ক্যাটাগরিতে মোট ১৪০ জনকে সিআইপি (রফতানি) এবং ৪৪ জন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে সিআইপি (ট্রেড) সম্মানে ভূষিত করা হবে।

এ বছর পণ্য ও সেবা সংশ্লিষ্ট ২০টি খাতে মোট ৩২৮টি আবেদন পাওয়া যায়। মেলামাইন ও জাহাজ নির্মাণ শিল্প খাতে কোন আবেদন পাওয়া যায়নি। ন্যূনতম আয়ের নিচে রফতানি আয় হওয়ায় চা খাতের ১টি আবেদন অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়।

রফতানি খাতে অবদানের জন্য ১ বছর মেয়াদে সিআইপি (রফতানি) নির্বাচন করা হয়ে থাকে। তবে বর্তমানে নির্বাচিত সিআইপিবৃন্দ পরবর্তী বছরের সিআইপি (রফতানি) ঘোষণার পূর্ব পর্যন্ত সিআইপি (রফতানি) মর্যাদায় ভূষিত থাকবেন।

রফতানিতে কাঁচাপাট শিল্পে ২ জন, পাটজাত পণ্যে ৪ জন, স্পেশালাইজড/হোমটেক্সটাইল পণ্য ৪ জন, তৈরী পোশাক (নিটওয়্যার) ৩৪ জন, চামড়াজাত দ্রব্য ৬ জন, সিরামিক পণ্য ১ জন, হিমায়িত খাদ্য ৪ জন, প্লাস্টিকজাত পণ্য ৪ জন, তৈরী পোশাক (ওভেন) ১৮ জন, টেক্সটাইল (ফেব্রিক্স) ৭ জন, কৃষিজাত দ্রব্য ৫ জন, কম্পিউটার সফ্টওয়্যার ২ জন, এগ্রোপ্রসেসিং ৫ জন, আসবাবপত্র ১ জন, হালকা প্রকৌশলী পণ্য ৪ জন, ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য ৩ জন, বিবিধ পণ্য ২৭ জন, হস্তশিল্পজাত পণ্য ৪ জন ও ইপিজেডভুক্ত সি ক্যাটাগরিতে ৫ জন। এছাড়া ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ (ট্রেড ক্যাটাগরি) তে ৪৪ জন সিআইপি কার্ড দেওয়া হচ্ছে।

সিআইপি (রফতানি)-২০২২ নির্বাচনের ক্ষেত্রে সিআইপি (রফতানি) নীতিমালা-২০১৩ অনুসরণ করা হয়। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালকের নেতৃত্বে প্রাথমিক বাছাই কমিটি এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রফতানি) এর নেতৃত্বে চূড়ান্ত বাছাই/নির্বাচন কমিটির মাধ্যমে প্রতিটি আবেদনপত্র মূল্যায়ন করা হয়।

আবেদনপত্র মূল্যায়নের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের রফতানি আয় এবং নতুন বাজারে প্রবেশ ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করা হয়। এছাড়া রফতানিকারকের বাণিজ্য বিরোধের সংশ্লিষ্টতা, আয়কর, ভ্যাট, শুল্ক এবং ঋণ গ্রহণ/পরিশোধ ইত্যাদি সম্পর্কিত বিষয়াদিও যাচাই করা হয়। খেলাপি ঘোষিত আবেদনকারীদের আবেদন চূড়ান্ত মূল্যায়নে বিবেচনা করা হয় না।

সিআইপি (রফতানি) হিসেবে নির্বাচিত ব্যাবসায়ীবৃন্দ বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য প্রবেশ পাশ ও গাড়ির স্টিকার প্রাপ্তি, জাতীয় অনুষ্ঠান ও মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের নাগরিক সম্বর্ধনায় আমন্ত্রণ প্রাপ্তি, ব্যবসা সংক্রান্ত ভ্রমণে বিমান, রেলপথ, সড়ক ও জলপথে সরকারি যানবাহনে আসন সংরক্ষণে অগ্রাধিকার, ব্যবসায়িক কাজে বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে Letter of Introduction প্রাপ্তি, নির্বাচিত সিআইপি তার স্ত্রী, পুত্র, কন্যা ও নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে কেবিন প্রাপ্তির অগ্রাধিকার এবং বিমান বন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ-২ ব্যবহার সুবিধা পেয়ে থাকেন।

সরকারিভাবে প্রদত্ত সিআইপি কার্ডধারী ব্যক্তি বিদেশী ক্রেতার কাছে আস্থা ও সুনামের সাথে তার ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক গ্রহণযোগ্যতা তুলে ধরতে পারেন যা তার ব্যবসায়িক সম্পর্ককে সুদৃঢ়করণের পাশাপাশি দেশের সার্বিক রফতানি প্রসারে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।

;