গোষ্ঠীভিত্তিক নয়, ‘সারা’ দেশীয় আমজনতার ব্র্যান্ড



ইসমাঈল হোসাইন রাসেল, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

স্নোটেক্স আউটারওয়্যার লিমিটেড আন্তর্জাতিক পোশাক উৎপাদনে ১৯ বছরের অভিজ্ঞতা নিয়ে শুরু করেছে তাদের লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড ‘সারা’। সাশ্রয়ী মূল্যে গুণগত পোশাক ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু হয় ‘সারা’র। দেশি ও বিদেশি ফেব্রিকে ‘সারা’ ব্র্যান্ডের পোশাক তৈরি করছে। বিভিন্ন বয়সী নারী ও পুরুষের পাশাপাশি শিশুদের জন্যও রয়েছে বাহারি সব পোশাক। ঐতিহ্য এবং পাশ্চাত্য ফ্যাশন ট্রেন্ড অনুসরণ করে স্বল্প মূল্যে ভালো মানের পোশাক ক্রেতাদের হাতে তুলে দিচ্ছে দেশীয় এই ব্র্যান্ড।

মিরপুর, বসুন্ধরা সিটি, মোহাম্মদপুর, বারিধারা ও উত্তরাতে রয়েছে ‘সারা’র আউটলেট। এই পাঁচটি আউটলেট নিয়ে লাইফস্টাইল জগতে ‘সারা’ নিজেদের অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে।

দেশের গণ্ডি পেরিয়ে ‘সারা’ একসময় বিশ্ব বাজারে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। আর কোনো বিশেষ গোষ্ঠী নয়, সকল শ্রেণির মানুষের জন্য ক্রয়মূল্য সাধ্যের মধ্যে রেখে ‘সারা’কে আমজনতার ব্র্যান্ড হিসাবে প্রতিষ্ঠা করতে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি। ‘সারা’ লাইফস্টাইল লিমিটেডের যাত্রা শুরুসহ ব্র্যান্ডটির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বার্তা২৪.কমের সঙ্গে কথা বলেছেন সারা লাইফস্টাইল ও স্নোটেক্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এসএম খালেদ।

স্নোটেক্স গ্রুপের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা নিয়ে লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড ‘সারার’ শুরুর গল্প শুনতে চাই-

স্বপ্নটা অনেক বড় ছিল। শুরুর দিকে বন্ধুদের সঙ্গে ব্যবসা শুরু করলেও তা বেশিদূর এগোয়নি। পরে নিজ উদ্যোগে ব্যবসা শুরু করি। ২০০০ সালে স্নোটেক্স আউটওয়্যার নিয়ে যাত্রা শুরু করি। আজ প্রায় ১৯ বছরে আমাদের ব্যবসা। স্নোটেক্সের প্রথম ফ্যাক্টরি চালু হয় ২০০৫ সালে। আর বর্তমানের ফ্যাক্টরিটি চালু হয় ২০১২ সালে। যাদের সঙ্গে ১৮ বছর আগে আমরা ব্যবসা শুরু করি আমেরিকায় তাদের ফ্যাক্টরি ছিল কিন্তু এখন তা নেই। আর ১৭ বছর ধরে যে বায়ারের সঙ্গে কাজ করছি তাদের ফ্যাক্টরি কানাডায় কিন্তু তারাও যেকোনো সময় ফ্যাক্টরিটি বন্ধ করবে। দুই বছর আগে যখন ফ্রান্সে গেলাম তখন দেখলাম লিল নামের একটি জায়গায় ৩০ বছর আগে হাজার হাজার গার্মেন্টস ছিল, এগুলো এক সময় বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের এখানে যেহেতু লাইফস্টাইল ভালো হচ্ছে, আগামী ১৫ থেকে ২০ বছর পর দেখবো গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিগুলো ভালো ব্যবসা করছে না। তখন হয়তো অন্য কোনো ব্যবসা আসবে, কিন্তু আমাদের জেনারেশনকে কি ব্যবসা দেবো। আমরা যখন ব্যবসায় থাকবো না, তখন আমরা কি করবো। আমরা যেই ব্যবসাটা গত প্রায় ২০ বছর ধরে শিখলাম, সেই ব্যবসাটাকে আমরা একই ট্রেন্ডে নেওয়ার জন্য ‘সারা’ শুরু করলাম। শুধু আমরা গার্মেন্টসটা কিভাবে কম দামে ভালো কোয়ালিটি করতে হয় এতটুকু আমরা গত প্রায় ২০ বছরে শিখেছি। আর ব্র্যান্ডিং, মার্কেটিং, ফ্যাশন এটা গত দেড় বছর ধরে আমরা শিখছি এবং আরো শিখতে হবে। প্রতিনিয়ত শেখার মধ্য দিয়ে ‘সারা’ এগিয়ে যাবে। ১০ বছর পরে ‘সারা’ যখন অনেক স্ট্রং হবে, স্নোটেক্স ধীরে ধীরে দুর্বল হবে। সেজন্যই আমাদের ‘সারা’র যাত্রা শুরু।

‘সারা’ নিয়ে স্বপ্ন এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কী?

সারার অ্যাম্বিশন খুবই বড়। আমরা বড় স্বপ্ন দেখতে চাই। ফ্রান্সে যখন ফ্যাক্টরিগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল, শেষ মুহূর্তে যারা গার্মেন্টস করেছিল তারা অনেকে নিঃস্ব হয়ে যায়। কিন্তু যারা তখন রিটেইলে আসে, তারাই আমাদের বড় বায়ার। তাদের জন্য এখন আমরা স্নোটেক্স প্রোডাক্ট করছি। আমরাও এ ব্যবসাটাকে একসময় অনেক বড় পর্যায়ে নিতে পারব। যে রিটেইল স্টোরগুলোর জন্য আমরা বাংলাদেশে ব্যবসা করছি, ‘সারা’ কেউ সেই পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। এবং ১০ থেকে ১৫ বছর পর আমরা তেমন একটি পর্যায়ে যেতে চাই।

সারা দেশীয় ব্র্যান্ড, একে বৈশ্বিক ব্র্যান্ড করার পরিকল্পনা আছে কিনা?

‘সারা’ বৈশ্বিক ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন আমরা দেখি। এক সময় আমরা দেশের বাইরে যাবো, কারণ আমাদের একটি স্টোর মানে কিছু শার্ট, কিছু প্যান্ট, কিছু টি-শার্ট, কিছু লেডিস ড্রেস থাকবে। ম্যাকডোনাল্ডস যখন বাইরে তাদের পণ্য বিক্রি করে তখন একটু পেঁয়াজ কম, একটু স্পাইসি কম রাখে। আবার যখন এটি ভারতে আসে তখন একটু স্পাইসি করে, কিছু লোকাল ফ্লেভার যুক্ত করে। কিন্তু বার্গার চিকেন কিন্তু একি থাকে। তেমনি ‘সারা’র বিষয়টিও একই রকম। যদি আমাদের একটি দোকান সাকসেসফুল হয়, এটা বাংলাদেশেও যেমন সাকসেসফুল হবে। সেটি ভারত, চায়না, ব্যাংকক, মালয়েশিয়াও হবে, সব জায়গায় হবে। আমরা যদি ৫০টি দোকানকে বাংলাদেশে সাকসেসফুল করতে পারি তাহলে কেন কলকাতায় নয়, কেন অন্য দেশে নয়। সুতরাং আমরা বিষয়টিকে বিশ্বব্যাপী চিন্তা করি। আমরা একটি স্টোরকে সঠিকভাবে তৈরি করতে পারলে ৫টা, ৫০টা আর ৫ হাজারটা ওই একই জিনিস। তাতে কোনো সমস্যা দেখি না।

অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তুলনায় ‘স্নোটেক্স’ ও ‘সারা’ শ্রমিকবান্ধব বলে বাজারে আলোচনা রয়েছে, ভবিষ্যতে এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে বিশেষ কোনো পরিকল্পনা রয়েছে কিনা?

আমি ব্যবসায়ী হবো এমনটি কখনো চিন্তা করিনি। আমি সবসময় সোশ্যাল লাইফ কাটাতে চেয়েছি, সেই চিন্তাটা আমার মাথায় ছিল। আমি যখন ব্যবসায় আসি আমার একটি চিন্তা ছিল কোনো একসময় ব্যবসা বন্ধ করে সেখানেই (সামাজিক কাজে) যাব। পরে চিন্তা করলাম যদি আমরা এটিকে সবার জন্য একটি সুন্দর পরিবেশ করি, সবাইকে যদি একটি স্বাস্থ্যকর পরিবেশ দিতে পারি; সেটাও সমাজকল্যাণমূলক কাজ হতে পারে। এখানে ‘স্নোটেক্স’ ও ‘সারা’ মিলিয়ে যে ১৮ হাজার লোক তাদের যদি ঠিক মতো সুযোগ-সুবিধা দিতে পারি সেটাও তো সামাজিক কাজ। আমাদের শ্রমিকদের আমরা দুপুরের খাবার দিচ্ছি, প্রভিডেন্ট ফান্ড দিচ্ছি। এমনকি এ বছর লভ্যাংশের ১৫ শতাংশ শেয়ার দিচ্ছি। লেবার ল' এর বাইরেও যেগুলো কোথাও দেওয়া হয় না এমন অনেক কিছুই দিচ্ছি। সেজন্যই আমাদের সবাই খুশি, মাস শেষে আমরা দেখি আমাদের লোকজন চলে যায় খুব কম। এর ফলে আমাদের উৎপাদন খুবই ভালো, এতে করে আমরাও ভালো ব্যবসা করতে পারি। আমরা একটু আয়ও বেশি করতে পারি। আর আয় বেশি করতে পারলে আমরা বায়ারকে একটু কম পরিমাণে দিতে পারি, আর আমাদের এখানে যে ১৮ হাজার মানুষ তাদেরকেও একটু বেশি পরিমাণে দিতে পারি। আমরা যারা ১৮ হাজার মানুষ তারা যদি খুশি থাকি, যারা আমাদের কাজ দিচ্ছে তারা যদি একটু কম পায় তাহলে ব্যবসাটা খুব জটিল কিছু না। আমরা ইতিবাচকভাবে চিন্তা করতে চাই। আমরা চাই আমাদের সবাইকে ইতিবাচকভাবে সাপোর্ট করতে।

‘গ্রিন ফ্যাক্টরি’র পরিকল্পনা কিভাবে আসল?

আমরা যখন বর্তমান ফ্যাক্টরিটি করি, তখন আমাদের গ্রিন সম্পর্কে তেমন ধারণা ছিল না। তখন বিষয়টি এমন ছিল গ্রিন ফ্যাক্টরি করার ক্ষেত্রে হয়তো বা একজন দুইজন প্রসেসিংয়ে আছে, এখনো কেউ পায়নি, আমরাও শুনছি মাত্র। আমরা তখন গ্রিন ফ্যাক্টরি সম্পর্কে জানতে ম্যানুয়াল ডাউনলোড করলাম। কিভাবে এটি করা যায়, তা নিয়ে অনেক বই পড়েছি। পরে কিছুদূর যাওয়ার পর বুঝলাম, গ্রিন মানে লো ইউটিলিটি, এটা আমাদের খরচ সাশ্রয় করবে। আমরা যখন একটা ভালো কনসেপ্ট পেলাম তখন এটা আমরা নেবো না কেন, আমরা যে কোন কিছুর বিনিময় করবো বলে সিদ্ধান্ত নিলাম। এখন আমাদের ফ্যাক্টরি গ্রিন ফ্যাক্টরি, এটা মানুষকে দেখানোর জন্য না। এটার অর্থ হল ইউটিলিটি কস্টিং কম। এর ফলে আমাদের পানি খরচ, বিদ্যুৎ খরচ কম হয়। ফলে সার্বিক অপারেশন খরচ কম হয়। এর ফলে আমরা শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে বেস্ট হেলথ অ্যান্ড সেফটি অ্যাওয়ার্ড, ইংল্যান্ডের সেডেক্স থেকে আমাদের হেলথ অ্যান্ড সেফটি অ্যাওয়ার্ড দিয়েছে।  আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) আমাদের বেস্ট প্রাক্টিস অ্যাওয়ার্ড দিয়েছে। আমরা চাই আমাদের জন্য একটি ভালো কর্ম পরিবেশ তৈরি করা। তাতে ব্যবসাটা আরো সহজ হচ্ছে, খরচ বেশি করা মানে এটা নয় যে খরচ বেশি হচ্ছে। এর ফলে প্রোডাক্টিভিটি ভালো হয় এবং এতে বায়ার ও ১৮ হাজার পরিবারকে খুশি রাখতে পারছি।

গত ৫ থেকে ৬ বছর ধরে বাংলাদেশে গ্রিন ফ্যাক্টরি হচ্ছে, এখন গ্রিন এভেইলেবল। সবাই জানে গ্রিন মানে কি, গ্রিন কিভাবে করতে হয়। কিন্তু আমরা যখন প্রথমে শুরু করি তখন এত সহজ ছিল না, এটা বেশ কঠিন ছিল। আমাদের অনেক পরিশ্রম করে এটা বের করতে হয়। ঘণ্টার পর ঘণ্টা পড়ে, ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে ও আমেরিকার অনেকের সঙ্গে কথা বলে তারপর এখানে গ্রিন ফ্যাক্টরির কনসেপ্ট ইমপ্লিমেন্ট করতে হয়েছে। গত বছর আমরা চারজন প্রোডাকশন এবং ম্যানেজমেন্ট সব মিলিয়ে সেরা ছয় জন যারা ফ্যাক্টরিকে পরিচালনা করে তাদের নিয়ে চায়নার পাঁচটি ফ্যাক্টরি ভিজিট করি।

সেখানে আমরা দেখি সেই ফ্যাক্টরির এফিশিয়েন্সি কেমন, মেশিন কেমন, কি ব্যবহার করে, আমরা কি করি না। এরপর গত তিন চার মাস আগে ভিয়েতনামে এমন পাঁচটা ফ্যাক্টরি পরিদর্শন করে এসেছি, যেগুলো সেখানকার সেরা ফ্যাক্টরি। আমরা সেগুলো দেখে অনেক কিছু শিখেছি, সেগুলো আমরা প্রয়োগ করার চেষ্টা করছি। সেখান থেকে গ্রিন এর চায়না এবং ভিয়েতনামের বেস্ট টেকনোলজিরগুলো এমন যেগুলো আমরা সেখানে দেখে এসেছি সেগুলো আমরা এখানে প্রয়োগ করছি।

সাধারণ ব্র্যান্ডের পোশাকের দাম বেশি হওয়ায় তা একটি শ্রেণির ক্রেতাদের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। ‘সারা’ কি তেমন কোন ব্র্যান্ড হবে, নাকি আমজনতার ব্র্যান্ড হবে? 

‘সারা’ বর্তমানে দুই ধরনের পোশাক বিক্রি করে। যার মধ্যে এক প্রকার পোশাকে দাম খুবই কম, আর উচ্চমানের যে পোশাক তার দামও অন্য ব্র্যান্ডের পোশাকের চেয়ে কম। আমরা চেষ্টা করি কত কম দামে সাধারণ মানুষের হাতে পোশাক তুলে দেওয়া যায়। আমরা দুই ধরনের প্রোডাক্টই এনকারেজ করার চেষ্টা করছি। আমরা যখন প্যান্ট তৈরি করি তখন চেষ্টা করি খুব কম মূল্যের মধ্যে ভাল একটি প্যান্ট মানুষের হাতে তুলে দিতে।

আবার কখনো খুব ভালো কাপড়ের প্যান্ট কিভাবে সর্বনিম্ন মূল্যে তাদের হাতে তুলে দিতে পারি তাও আমাদের চেষ্টা থাকে। যে প্যান্ট আমরা ১২০০ টাকায় বিক্রি করি অন্যরা সেটি ১৮০০টাকায়ও সেই কোয়ালিটির প্যান্ট বিক্রি করে না। আমরা যেসব দেশ থেকে র' মেটেরিয়াল ক্রয় করি, তাদের প্রত্যেককেই আমরা চিনি। আমরা জানি কত কম দামে ভালো মানের মেটেরিয়াল ক্রয় করা যায়। ফলে আমরা সবচেয়ে কম দামে ভালো মানের পোশাক তৈরি করতে পারি, এবং ক্রেতাদের হাতে তা তুলে দিতে পারি।

তাছাড়া আমরা যেটি করি বিনিয়োগে কখনো কার্পণ্য করি না। আমরা সবসময় সেরা মেশিন কেনার চেষ্টা করি। কারণ একটি প্যান্টের দাম ৫ ডলার হলে আমরা যদি ৪.৯৫ ডলারে সেটি দিতে পারি, তাহলে অর্ডারের কোনো অভাব নেই। আবার যদি ৫ ডলারে সবাই দেয়, আমরা যদি ৫ ডলার ৫ সেন্ট যদি অফার করি তাহলে আর সেই অর্ডার আমরা আর পাবো না। আমাদের লক্ষ্য সেরা পণ্য দেওয়া ও সেরা ফ্যাক্টরি করা, যাতে এখানে যারা কাজ করে তারা যেনো ভালো একটি পরিবেশ ও সুযোগ সুবিধা পায়। আমরাও ভালোভাবে কাজ করতে পারি।

   

রিটেইল ব্যাংকিং সেবা সহজ করতে প্রাইম ব্যাংক-হিসাবী'র অংশীদারিত্ব



নিউজ ডেস্ক
রিটেইল ব্যাংকিং সেবা সহজ করতে প্রাইম ব্যাংক-হিসাবী'র অংশীদারিত্ব

রিটেইল ব্যাংকিং সেবা সহজ করতে প্রাইম ব্যাংক-হিসাবী'র অংশীদারিত্ব

  • Font increase
  • Font Decrease

রিটেইল ব্যাংকিং সেবাকে আরও সহজ করতে বাংলাদেশের দ্রুত প্রসারমান স্ট্যার্টআপ হিসাবীর সাথে অংশীদারিত্ব করেছে বেসরকারি প্রাইম ব্যাংক পিএলসি। সম্প্রতি উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

এই অংশীদারিত্বের ফলে হিসাবী দোকান অ্যাপ ব্যবহারকারীরা এখন থেকে বাধাহীনভাবে প্রাইম ব্যাংকের বিভিন্ন সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। এই চুক্তির ফলে রিটেইলারদের ব্যাংকিং অভিজ্ঞতায় এক দারুণ পরিবর্তন আসবে এবং লেনদেন আরও সহজ হবে।

প্রাইম ব্যাংকের কনজুমার ব্যাংকিং বিভাগের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নাজিম এ. চৌধুরী এবং হিসাবী'র পক্ষ থেকে রাকিন মোহাম্মদ সাভি (প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা) নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে চুক্তিতে সই করেন, যা রিটেইলারদের পেশাগত কাজের সাথে সরাসরি ব্যাংকিং সেবা যুক্ত করে তাদের ক্ষমতায়ন করার প্রতিশ্রুতি। ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তিকরণের লক্ষ্য অর্জন এবং হাসাবী'র রিটেইল নেটওয়ার্ককে আরও দক্ষ করে তুলতে এই চুক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং নতুন নতুন উদ্ভাবন ও গ্রহক সেবা বাড়াতে উভয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।

;

এ দফায় সোনার দাম ভরিতে কমল ১৮৭৮ টাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিদায়ী এপ্রিলের ৩০ তারিখ টানা ৭ দফায় কমানো হয়েছিল সোনার দাম। এবার ৮ম দফায় কমানো হয়েছে এক হাজার ৮৭৮ টাকা। ফলে সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার নতুন দাম এখন ১ লাখ ৯ হাজার ১৬৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২ মে) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম কমেছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশন সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা আগামীকাল শুক্রবার (৩ মে) থেকে কার্যকর হবে।

এর আগে গত ৩০ এপ্রিল ভালো মানের একভরি সোনার দাম ৪২০ টাকা কমানো হয়। তার আগে ২৯ এপ্রিল ১ হাজার ১১৫ টাকা, ২৮ এপ্রিল ৩১৫ টাকা, ২৭ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৫ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২ হাজার ৯৯ টাকা এবং ২৩ এপ্রিল ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমানো হয়। এখন আবার দাম কমানোর মাধ্যমে আট দফায় ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ১০ হাজার ২৬২ টাকা কমল।

;

ইসলামী ব্যাংক থেকে রেমিট্যান্স নিয়ে গাড়ি জিতলেন কাপাসিয়ার মুঞ্জিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক-ট্রান্সফাস্ট রেমিট্যান্স ক্যাম্পেইনের মেগা পুরস্কার হিসেবে ৩০ লাখ টাকা দামের ১,৫০০ সিসির প্রাইভেটকার বিজয়ী হয়েছেন কাপাসিয়া শাখার অধীন এজেন্ট আউটলেটের গ্রাহক মুঞ্জিল।

বৃহস্পতিবার (২ মে) ঢাকার ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত ড্র-য়ের মাধ্যমে সৌদি আরব প্রবাসী মুছাম্মৎ লতিফা সুলতানার পাঠানো রেমিট্যান্সের প্রেক্ষিতে তার স্বামী মুঞ্জিল এ মেগা পুরস্কার বিজয়ী হন।

ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা ও ট্রান্সফাস্ট বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার ফারজানা আলমের উপস্থিতিতে এ ড্র অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় ব্যাংকের এডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী ও মো. আলতাফ হুসাইন, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুহাম্মদ শাব্বির ও কাজী মো. রেজাউল করিম, ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিসেস উইং প্রধান মোহাম্মদ ইহসানুল ইসলাম, ফরেন রেমিট্যান্স সার্ভিসেস ডিভিশন প্রধান মোহাম্মদ শাহাদাত উল্যাহ ও ওভারসিজ ব্যাংকিং ডিভিশন প্রধান সাইফুদ্দীন মুহাম্মদ খালেদসহ প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহীরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ১২ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংক-ট্রান্সফাস্ট বিশেষ রেমিট্যান্স ক্যাম্পেইন পরিচালিত হয়। এ ক্যাম্পেইনে প্রতি ব্যাংকিং ডে-তে ডিজিটাল ড্র-য়ের মাধ্যমে ৩০ জন গ্রাহক ১ লাখ টাকা করে পুরস্কার লাভ করেন।

 

;

এপ্রিলে রেমিট্যান্স এসেছে ২০৪ কোটি ডলার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের বিদায়ী এপ্রিল মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২০৪ কোটি মার্কিন ডলার। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ২২ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার সমান ১১০ টাকা ধরে)। দৈনিক গড় হিসেবে এর পরিমাণ ৭৪৮ কোটি টাকা।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

এর আগে চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১১ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার। ফেব্রুয়ারিতে আসে ২১৬ কো‌টি ৪৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং মার্চে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে প্রবাসীরা ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। এ ছাড়া ফেব্রুয়ারিতে ১৫৬ কোটি চার লাখ ৮০ হাজার ডলার, মার্চে ২০২ কোটি ২৪ লাখ ৭০ হাজার ডলার, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি ৪৯ লাখ ১০ হাজার ডলার, মে মাসে ১৬৯ কোটি ১৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার, জুন মাসে  ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ৮০ হাজার ডলার, জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি ১৪ লাখ ৩০ হাজার ডলার, নভেম্বর ১৯৩ কোটি ৪০ হাজার ডলার এবং ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ১২ লাখ ৬০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।

উল্লেখ্য, ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রবাসীরা ২ হাজার ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।  

;