তিন ইস্যুতে ধস, উধাও আরও সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিজয় দিবস উপলক্ষে একদিন ছুটি থাকায় বিদায়ী সপ্তাহে শেয়ার বাজারে লেনদেন হয়েছে মাত্র চার দিন। এর মধ্যে সূচক একদিন বাড়লেও কমেছে তিনদিনই। এ নিয়ে ডিসেম্বর মাসে দেশের দুই পুঁজিবাজারে টানা তিন সপ্তাহেই দরপতন হলো।

আলোচিত এই সপ্তাহে সূচকের পাশাপাশি কমেছে লেনদেন ও বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। আর এতে পৌনে ২৬ লাখ বিনিয়োগকারীদের পুঁজি অর্থাৎ বাজারে মূলধন কমেছে প্রায় সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা।

এর মধ্যে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বিনিয়োগকারীদের মূলধন কমেছে ৪ হাজার ৯২ কোটি ৯৭ লাখ ৯৮ হাজার ১৮ টাকা। অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিনিয়োগকারীদের মূলধন কমেছে ৪ হাজার ৪৮৩ কোটি ৩ লাখ ৩ হাজার টাকা।

এর আগের সপ্তাহে দুই শেয়ার বাজারে কমেছিলো ১৭ হাজার কোটি টাকারও বেশি। সব মিলে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারি থেকে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিনিয়োগকারীদের ৮৩ হাজার কোটি টাকার পুঁজি উধাও হয়েছে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলেন, পুঁজিবাজার নিয়ে সরকার মহলের অতি আশ্বাসের পাশাপাশি ডিএসইর কারিগরি ত্রুটির কারণে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিভিন্ন গুজব ছড়াচ্ছে একটি চক্র। আর তাতে পুঁজিবাজারে আরও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। আস্থার সংকট আরও বেড়েছে। এই অবস্থায় চরম হতাশায় পুঁজিবাজার ছাড়ছেন বিনিয়োগকারীরা।

তবে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম খায়রুল হোসেন বলেন, 'তিন কারণে পুঁজিবাজারে দরপতন হচ্ছে।'

তিনি বলেন, 'প্রথমে দরপতন শুরু হয় এনবিআর চেয়ারম্যান বললো ইনভেস্ট করতে হলে টিআইএন নম্বর লাগবে। এরপর যখন আমরা তার ভুল ধরিয়ে দিলাম তারপরে এটা সংশোধন করা হলো। দুই তিনদিন না যেতেই গ্রামীণফোনের সঙ্গে বিটিআরসির ঝামেলা শুরু হল। এটা শুধুমাত্র বিটিআরসি এবং গ্রামীণফোনের ক্ষতি করেনি। মার্কেটের গঠনতন্ত্র ধ্বংস করেছে। কারণ বিদেশিরা যখন আসে তখন ফান্ডামেন্টাল শেয়ার দেখে। গ্রামীণফোনের পাশাপাশি বিদেশিরা অলিম্পিক, ইউনাইটেড পাওয়ার এবং স্কয়ার ফার্মার শেয়ার কিনেছে।

পাশাপাশি সম্প্রতি আরেকটা আওয়াজ মার্কেটে চলছে যে টাকার অবমূল্যায়ন হবে। আজকে অর্থমন্ত্রী এটা পরিষ্কার করে দিয়েছেন বাংলাদেশে অবমূল্যায়ন হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন, টাকার অবমূল্যায়ন করবেন না। অবমূল্যায়ন করলে এক্সপোর্টাররা লাভবান হবে কিন্তু দেশে দ্রব্যমূল্যের দাম বেড়ে যাবে। এই আতঙ্কে বিদেশিরা তাদের শেয়ার বিক্রি করছে। তারা গ্রামীণফোনের সঙ্গে স্কয়ার ফার্মা, ইউনাইটেড পাওয়ার, বিএটিবিসি বিক্রি করছে। শুধুমাত্র গ্রামীণফোন আর বিএটিবিসি বিক্রি করার ফলে বিগত দুই মাসে সূচক কমেছে ১৭৪ পয়েন্ট পড়েছে।

চেয়ারম্যান আরও বলেন, বিদেশিরা শেয়ার বিক্রি করলে মার্কেট প্রেসার নিতে পারে না। বিদেশি যে হাউজ থেকে বিক্রি করে, বড় বড় ইনডেক্সের ওপর তার প্রভাব পড়ে। এতে যত শেয়ারহোল্ডার ও বিনিয়োগকারী রয়েছে তারা প্রভাবিত হয়। একটা দেখে আরেকটা প্রভাবিত হয়। এটা সাইকেলের মতো একটা চেইন হিসেবে কাজ করে।

আলোচিত সপ্তাহে (১৫ ডিসেম্বর - ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত) ডিএসইর প্রধান সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ৫৭ দশমকি ৬১ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৪৫৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। প্রধান সূচকের পাশাপাশি ডিএস-৩০ সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ৩৪ পয়েন্ট ১ হাজার ৫১৩ পয়েন্ট এবং ডিএসইএক্স সূচক ১৯ পয়েন্ট কমে ৯৯৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ১১১টির কমেছে ২০৮টির আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৭টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হওয়া কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছিলো ৬৪টির, কমেছিলো ২৭৭টির, আর অপরিবর্তিত ছিল ১৫টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।

সবমিলে বিদায়ী সপ্তাহে শেয়ার কেনাবেচা বাবদ ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ১১৮ কোটি ৮৯ লাখ ২২ হাজার ৬২৬ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৫৭৩ কোটি ৯৮ লাখ ৭৯ হাজার ৭০৪ টাকা। যা টাকার অংকে আগের সপ্তাহের চেয়ে ৪৫৫কোটি ৬ লাখ ৫৪ হাজার ৭৮ টাকা কম। শতাংশের হিসেবে ২৮ দশমিক ৯১ শতাংশ কম।

গত সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক আগের সপ্তাহের চেয়ে ২০২ পয়েন্ট কমে ১৩ হাজার ৫৩১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৮৭টির, কমেছে ১৭১টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টি কোম্পানির শেয়ার। আর তাতে সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৬৫ কোটি ৮১ লাখ ৫১ হাজার ৫৫৭ টাকা। এর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১০৪ কোটি ১২ লাখ ১৫ হাজার ৪৭ টাকা।

   

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ১০ নতুন উপশাখার উদ্বোধন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ১০ নতুন উপশাখার উদ্বোধন

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ১০ নতুন উপশাখার উদ্বোধন

  • Font increase
  • Font Decrease

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক আরও ১০টি নতুন উপশাখার উদ্বোধন করা হয়েছে।

সোমবার (২০ মে) প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উপশাখাগুলোর উদ্বোধন করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী জাফর আলম।

ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহাম্মদ ফোরকানুল্লাহ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ হাবীবুর রহমান এবং ব্রাঞ্চেস কন্ট্রোল বিভাগের প্রধান জয়নাল আবেদীন।

ব্যাংকের ইন্টারনাল কন্ট্রোল এন্ড কমপ্লায়েন্স ডিভিশনের প্রধান এ এ এম হাবিবুর রহমানসহ বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধান ও ঊর্ধ্বতন নির্বাহীগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ীসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, ব্যাংকের বিভিন্ন অঞ্চলের আঞ্চলিক প্রধানগণ, সংশ্লিষ্ট শাখাসমূহের ব্যবস্থাপক ও উপশাখার ইনচার্জবৃন্দ এতে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন।

নতুন উপশাখাগুলো হচ্ছে- খাগড়াছড়ির গুইমারা, চট্টগ্রামের বারৈয়ারহাটের আবু তোরাব, বাকলিয়ার খাজা রোড, লোহাগাড়ার কানুরাম বাজার, নানুপুরের ইসলামিয়া বাজার, ফেনীর ফুলগাজীর ছাগলনাইয়া, মানিকগঞ্জ, কুমিল্লার মুন্সিরহাটের হাড়িসর্দার বাজার, হোমনার ঘাড়মোড়া বাজার এবং ঢাকার ইব্রাহিমপুর।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাফর আলম বলেন, ইসলামী ব্যাংকিং সুদমুক্ত ব্যাংকিং যা সকলের জন্য কল্যাণ বয়ে আনে। দেশের এক তৃতীয়াংশ রেমিট্যান্স
আসে ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে। আর আমাদের ব্যাংক এই মুহূর্তে রেমিট্যান্স আহরণে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের

গ্রাহক প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি যাতে অচিরেই অর্ধকোটি মানুষের ব্যাংকে পরিণত হয় আমরা সেই লক্ষে কাজ করছি।

;

গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের দুটি উপশাখা উদ্বোধন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আধুনিক ব্যাংকিং সেবার প্রতিশ্রুতি নিয়ে নারায়ণগঞ্জ ও কুমিল্লায় গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের দুটি উপশাখা উদ্বোধন করা হয়েছে।

সোমবার (২০ মে) নারায়ণগঞ্জের সারুলিয়া এবং কুমিল্লার ধোড়করায় উপশাখা দুটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয় বলে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে ব্যাংকের কমিউনিকেশনস অ্যান্ড ব্র্যান্ডিং ডিভিশনের এফএভিপি অ্যান্ড ইন-চার্জ সফিকুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইন মাধ্যমে উপশাখাগুলোর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ হাবিব হাসনাত।

এ সময় ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মশিউর রহমান জেহাদ, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি করিম, প্রধান কার্যালয়ের বিভাগীয় প্রধান, শাখা ব্যবস্থাপক, ব্যাংকের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাসহ আমন্ত্রিত সম্মানিত অতিথি ও গ্রাহকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও বিশ্বস্ত ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে ব্যাংকটি দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্বকীয়তা বজায় রেখে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে শাখা ও উপশাখা সম্প্রসারণ করবে বলে অনুষ্ঠানে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।

;

এসএমই পণ্য মেলা-২০২৪ এ ইসলামী ব্যাংকের স্টল উদ্বোধন



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সাত দিনব্যাপী ১১তম জাতীয় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) পণ্য মেলা- ২০২৪ এ ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির স্টল ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে উদ্বোধন করা হয়।

রোববার (১৯ মে) ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. আলতাফ হুসাইন প্রধান অতিথি হিসেবে এ স্টল উদ্বোধন করেন।

ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এএসএম রেজাউল করিম, এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ড. মুহাম্মদ সোলায়মান ও সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. শহিদুল ইসলামসহ ব্যাংকের নির্বাহী ও কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

;

অটোরিকশাচালকের দলকে নগদের জমি বুঝিয়ে দিলেন সাকিব



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস নগদের ঘোষণা করা দেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ উপহার ক্যাম্পেইনে এবার জমি জিতে নিলেন ঢাকার সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক আকিজুল ইসলাম ও তার দল। সম্প্রতি প্রবাসী পল্লী গ্রুপের প্রজেক্টে এই জমি হস্তান্তর করেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার এবং বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক আকিজুলের এই বিজয়ী দলের অন্য দুই সদস্য হলেন আসলাম হোসেন ও মাসুম ইসলাম। নগদের ডেপুটি চিফ মার্কেটিং অফিসার মোহাম্মদ সোলায়মান বিজয়ী আকিজুলকে তাঁর সিএনজি করেই প্রবাসী পল্লীতে নিয়ে আসেন। আর পথে মাস্ক পরে কৌশলে সেই সিএনজিতে উঠে পড়েন সাকিব আল হাসান। জমিতে এসে সাকিবকে চিনতে পেরে আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েন সিএনজিচালক আকিজুল। আর জমি জেতার খবরে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনিসহ অন্য বিজয়ীরা। এটি ছিল এই ক্যাম্পেইনের আওতায় চতুর্থ জমি হস্তান্তর।

পুরো ক্যাম্পেইন জুড়ে মোট আটটি জমি বিজয়ী গ্রাহকদের উপহার দেবে নগদ। ঈদ উৎসবকে সামনে রেখে দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জমি জেতার অফার নিয়ে আসে নগদ। এই ক্যাম্পেইনে নগদের সাথে জমির জন্য ল্যান্ড পার্টনার হিসেবে যুক্ত হয়েছে পূর্বাচল প্রবাসী পল্লী লিমিটেড। এই ক্যাম্পেইনে মাত্র তিন ধাপে ঢাকায় জমি জেতার সুযোগ পাচ্ছে গ্রাহকেরা। এছাড়াও তালিকায় আছে শতাধিক মোটরবাইক, টেলিভিশন, ফ্রিজ, এসি, স্মার্টফোন, স্মার্ট ওয়াচসহ ২০ কোটি টাকার পুরস্কার।

এদিন আগেই দুই বিজয়ীকে নিয়ে আসা হয় প্রবাসী পল্লীতে। তবে তারা জানতেন না জমি জয়ের কথা। আর দলনেতা আকিজুলের সিএনজি ভাড়া করে প্রবাসী পল্লী রওনা দেন মোহাম্মদ সোলায়মান। পথিমধ্যে গাড়ি নষ্ট হওয়ার অজুহাতে মাস্ক পরে সিএনজিতে ওঠেন সাকিব আল হাসান। একেবারে বিজয়ীদের জমিতে এসে সিএনজি থেকে নামেন সাকিব।

প্রথমত সাকিবকে নিজের সিএনজিতে এনেছেন, এটাই জীবনের বড় প্রাপ্তি মনে করছিলেন আকিজুল। এরপর সাকিবের কাছ থেকে জমি পেয়ে আবেগ যেন আর বাঁধ মানছিল না। চোখ মুছতে মুছতে আকিজুল বললেন, ‘আল্লাহ আজকের দিনটা এইভাবে আমার নামে দিবে, আমি কখনো স্বপ্নও দেখি নাই। সাকিব আল হাসানের মতো বিখ্যাত মানুষকে সিএনজিতে তুলছি, এটাই তো বিশ্বাস করতে পারছি না। এখন জমিও জিতলাম। আমার নসিবে এসব ছিল, কোনোদিন ভাবতে পারিনি।’

সামান্য কিছু টাকা অ্যাড মানি করে দল গঠনের যোগ্য হন আকিজুল। এরপর তিনি আসলাম ও মাসুমকে নিয়ে দল গঠন করেন। আসলাম বলছিলেন, তারা এই ক্যাম্পেইনে বিশ্বাস করেননি। তিনিও আবেগী হয়ে বললেন, ‘আকিজুল ভাই বিজ্ঞাপন দেখে এই দল করছিল। তারপর আমাদের বলল, নগদ বেশি ব্যবহার করতে। নগদ আমরা সবসময় ব্যবহার করি, কিন্তু জমির ব্যাপারটা বিশ্বাস হয়নি। আজ সেই জমি হাতে পেয়ে গেলাম।’

এর আগে ক্যাম্পেইনের প্রথম জমি জিতেছিলেন রাসেল আহমেদ, মোহাম্মদ রুবেল ও মোহাম্মদ রাজীব। প্রথম জমিটি হস্তান্তর করেন সাবেক জাতীয় ক্রিকেট দল অধিনায়ক তামিম ইকবাল। পরের সপ্তাহে জমি জেতেন নড়াইলের দেবাশিষ ভৌমিক, পিন্টু ভৌমিক ও সোমা ভৌমিক। এই জমিটির কাগজপত্র বিজয়ীদের হাতে তুলে দেন আরেক সাবেক অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এরপর তৃতীয় জমিটি জেতেন মোঃ হাবিবুর রহমান, তার স্ত্রী ও সন্তানের দল। এই জমিটি হস্তান্তর করেন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ।

জমি জেতার এই ক্যাম্পেইনে অংশ নিতে তিনটি কাজ করতে হবে। প্রথমত নগদে কমপক্ষে ৫০০ টাকার লেনদেন অথবা কমপক্ষে ১০০ টাকার মোবাইল রিচার্জ বা ব্যাংক থেকে নগদে ১,০০০ টাকা অ্যাড মানি করতে হবে। এ ছাড়া বিদেশ থেকে পাঠানো ৫,০০০ টাকা বা তার বেশি (সরকারি প্রণোদনা ব্যতীত) রেমিট্যান্স নগদে গ্রহণ করেও এই ক্যাম্পেইনে অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন। সাথে সাথে এই ব্যবহারকারী এই ক্যাম্পেইনে অংশ নেওয়ার উপযুক্ত হয়েছেন বলে একটি মেসেজ পাবেন। সে ক্ষেত্রে তাকে তিনজনের একটি দল গঠন করতে হবে। এদের সবার নগদ অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। এরপর দলের সবাই ক্যাম্পেইন জুড়ে নগদে নিয়মিত লেনদেন করলেই জমি জেতার সুযোগ পাবেন।

;