নয় মাসে কর্মহীন ৩০ হাজার পোশাক শ্রমিক, বন্ধ ৫৯ কারখানা



ইসমাঈল হোসাইন রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৩০ হাজার পোশাক শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছেন। এই ৯ মাসে ৫৯টি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। আর এ সংকট দূর করতে অন্যান্য দেশের মতো পোশাক খাতে বাড়তি প্রণোদনা চায় তৈরি পোশাক খাতের সংগঠনগুলো।

বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, ২০০৯-১০ থেকে ২০১৩-১৪ অর্থবছরে রফতানি প্রবৃদ্ধি ৯৬ শতাংশ বা ১২ বিলিয়ন ডলার। ২০১৪-১৫ থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি ৩৪ শতাংশ বা ৮.৬ বিলিয়ন ডলার। ফলে পোশাক খাতে নানাবিধ সমস্যার কারণে প্রতিনিয়ত এই খাতের প্রবৃদ্ধি কমছে। বিগত পাঁচ বছরে (২০১৪-২০১৮) যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ৭.৪ শতাংশ ও ইউরোপের বাজারে ৩.৬৪ শতাংশ পোশাকের দরপতন হয়েছে। সর্বশেষ অক্টোবরে পোশাকের সকল আইটেমে মূল্যহ্রাস পেয়েছে। ফলে প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি অনেক কম।

সম্প্রতি গার্মেন্টস শিল্পের বিদ্যমান সমস্যাদি নিয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠকে বসে পোশাক শিল্পের ব্যবসায়ীরা। সেখানে ব্যবসায়ীরা পণ্য রফতানিতে ক্লিয়ারেন্স, জাহাজীকরণ, ব্যাংক লোনে উচ্চসুদসহ বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন। এসময় ব্যবসায়ীরা ডলারের মূল্য পুনর্মূল্যায়নের দাবি জানান। তাদের এ দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। একই সঙ্গে ব্যাংকের উচ্চ সুদের একনেকে আলোচনা হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।

বৈঠকে কর আদায়ে তৃণমূল পর্যায় থেকে গুরুত্ব দেয়ার দাবি জানান ব্যবসায়ীরা। তারা আয়করের পরিধি বাড়ানোর সুপারিশ করেন। যাদের সক্ষমতা রয়েছে, তাদের কাছ থেকে ট্যাক্স আদায়ের বিষয়ে গুরুত্ব দিলে যারা নিয়মিত ট্যাক্স দিচ্ছেন তাদের উপর চাপ কমবে বলেও উল্লেখ করেন তারা।

এ সময় বৈঠকে উপস্থিত অর্থসচিব বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যাংক ঋণ ও সুদের বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দেন। আর ট্যাক্সের বাড়তি চাপ কমাতে এ খাতে ট্যাক্স কিছুটা কমানোর কথা জানান এনবিআরের চেয়ারম্যান।

সভায় পোশাক খাতে অস্থিরতার জন্য ব্যবসায়ীদের অভ্যন্তরীণ সমস্যার কথাও উঠে আসে। ব্যবসায়ীরা জানান, অনেকে কাজের অর্ডার পাওয়ার জন্য দাম কমিয়ে দেন। ফলে অন্যান্য ব্যবসায়ীদের লোকসান গুনতে হয়। এসব সমস্যার কারণে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে বলেও বৈঠকে উঠে আসে।

জানা গেছে,  ভিয়েতনামের জুলাই ও আগস্ট মাসের গড় প্রবৃদ্ধি ১০.৫৪ শতাংশ, ভারতের জুলাই ও আগস্ট মাসের গড় প্রবৃদ্ধি ২.২৫ শতাংশ, পাকিস্তানের জুলাই ও আগস্ট মাসের গড় প্রবৃদ্ধি ৪.৭৪ শতাংশ আর বাংলাদেশের -০.৩৩ শতাংশ। সার্বিকভাবে ২০১৪ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে চার বছরে উৎপাদন খরচ বেড়েছে ৩০.১ শতাংশ। আর যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য যুদ্ধ ও চীন থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আমদানি করা প্রধান ৩০টি পোশাক পণ্যের মধ্যে বাংলাদেশের ১৬টি প্রধান পোশাক পণ্য রয়েছে। এই ১৬টি পণ্যে বিগত ৫ বছরে দেশের রফতানি হ্রাস পেয়েছে ১২ শতাংশ, যেখানে ভিয়েতনামের রফতানি বৃদ্ধি পেয়েছে ১৭ শতাংশ।

কর্মহীন শ্রমিক প্রসঙ্গে বিজিএমইএ সভাপতি ড. রুবানা হক বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ''জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৫৯টি পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। বেকার হয়েছেন অনেক শ্রমিক। তবে কোথাও কোন কর্মী ছাটাই হচ্ছে না। বরং অর্ডার না থাকায় আমরা লাইন বন্ধ করে দিচ্ছি। স্কিল লেভেলের শ্রমিক ছাটাই করে কেউ লোয়ার লেভেলের শ্রমিক নেয় না। তবে শ্রমিকদের বেকার হওয়ার বিষয়ে আমাদের কিছু করার নেই। আমাদেরও ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হবে। মেশিনপত্র বিক্রি করে দিয়ে অনেক মালিক বেতন দিচ্ছেন, তাদের কি অবস্থা হবে। কোথায় যাবেন তারা।''

জানা গেছে, প্রতিযোগী দেশগুলোর মধ্যে পোশাক খাতে প্রণোদনা হিসাবে ভারত সরকার রফতানিমূখী বস্ত্র ও পোশাক খাতের জন্য রেইমবারসমেন্ট অব ট্যাক্সেস অ্যান্ড ডিউটিস ফর এক্সপোর্ট প্রমোশন ( Reimbursement of Taxes & Duties for Export Promotion) স্কিম বাবদ ৫০ হাজার কোটি রূপি বরাদ্দ করেছে এবং এই শিল্পের উপর আরোপিত গুডস অ্যান্ড সার্ভিস ট্যাক্সেস (Goods and Service Taxes) সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করেছে। আর ভিয়েতনাম সরকার তাদের পোশাক শিল্পের জন্য করপোরেট কর প্রথম ৪ বছরের জন্য শতভাগ, পরবর্তী ৯ বছরের জন্য ৫০ ভাগ এবং পরবর্তী ১৫ বছরের জন্য ১০ ভাগ রেয়াত দিয়েছে। এবং পাকিস্তানের কেন্দ্রিয় ব্যাংক তাদের পোশাক রফতানিকারকদের জন্য এক্সপোর্ট রিফাইনেন্সিং স্কিম (Export Refinancing Scheme) এর আওতায় ৭.৫ শতাংশ সুদে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করেছে।

এদিকে নতুন বাজারে পোশাক রফতানিতে নগদ ৪ শতাংশ সহায়তা দিচ্ছে সরকার। ফলে বিগত ১০ বছরে নতুন বাজারে রফতানি তুলনামূলক প্রবৃদ্ধি ও বৃদ্ধি পেয়েছে ৪৫০ শতাংশ বা ৩.৮ বিলিয়ন ডলার। এক্ষেত্রে পোশাক শিল্পের উন্নয়নে সরকারের কাছে কিছু প্রস্তাবনা দিয়েছে বিজিএমইএ। এরমধ্যে রয়েছে- স্থানীয় পর্যায়ে পোশাক রফতানি মূল্য সংযোজনের উপর (রফতানি মূল্যের ২৫ শতাংশ) ডলার প্রতি অতিরিক্ত ৫ টাকা বিনিময় হার প্রদান। এ বাবদ প্রয়োজনী বরাদ্দের পরিমাণ ৪৬০০ কোটি টাকা (প্রায়)। কোন প্রকার শর্ত বিহীন সকল পোশাক রফতানিকারকদের জন্য এক শতাংশ বিশেষ নগদ সহায়তা প্রদান। ০.২৫ শতাংশ হারে হ্রাসকৃত উৎসে কর ১ জুলাই ২০১৯ থেকে কার্যকর করা।

২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে নগদ সহায়তা/ ভর্তুকির উপর উৎসে কর ৩ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি করে ১০ শতাংশে ধার্য করা হয়েছে, সহায়তার অর্থকে কোন প্রকার করের আওতামুক্ত রেখে এই ১০ শতাংশ আয়কর সম্পুর্ণ প্রত্যাহারের দাবি জানানো হয়।

এছাড়াও সরকার কর্তৃক স্বীকৃত ও গেজেটকৃত ও ২০১৩-১৪ অর্থবছরের বাজেটে ঘোষিত বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংকের আওতাধীন বিবেচনা যোগ্য ১৩৩টি রুগ্ন শিল্পকে সম্পূর্ণ মূল ঋণ (২৩৮.৪৯ কোটি টাকা) এবং সকল আরোপিত ও অনারোপিত সুদ ও কষ্ট অব ফান্ডসহ সকল চার্জ মওকুফ করা। বিপর্যস্ত ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্পের সুরক্ষার জন্য ঋণ পুনঃতফসিলি করনের মেয়াদ দ্বিগুণ করা এবং বিশেষ ব্যাংকিং সুবিধা প্রদানের প্রস্তাবনা দিয়েছে বিজিএমইএ।

   

প্রবাসী আয়ে ইসলামী ব্যাংকের রেকর্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
প্রবাসী আয়ে ইসলামী ব্যাংকের রেকর্ড

প্রবাসী আয়ে ইসলামী ব্যাংকের রেকর্ড

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি চলতি বছরের এপ্রিল মাসে প্রবাসী আয়ে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। অন্যান্য মাসের মতো এবারও সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে ইসলামী ব্যাংকে। এপ্রিল মাসের প্রথম ২৬ দিনে ব্যাংকটির মাধ্যমে রেমিট্যান্স এসেছে ৪৬ কোটি ৫০ লাখ ৫০ হাজার ডলার, যা দেশীয় মুদ্রায় প্রায় ৫ হাজার ১১৫ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি মাসের প্রথম ২৬ দিনে প্রবাসী আয় বা রেমিট্যান্স দেশে এসেছে ১৬৮ কোটি ৯ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ১৮ হাজার ৪৯০ কোটি ৬৭ লাখ টাকা (প্র‌তি ডলার ১১০ টাকা ধরে)। প্রথম ২৬ দিনে একক ব্যাংক হিসাবে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় এসেছে ইসলামী ব্যাংকে। আর দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ব্র্যাক ব্যাংক। ব্র্যাক ব্যাংকের মাধ্যমে ১০ কোটি ৫৬ লাখ ২০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

এ ছাড়া ৬০টি ব্যাংকের তালিকায় দেখা গেছে, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে ৯ কোটি ১৯ লাখ ৩০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে আট কোটি ৯৮ লাখ ডলার এবং জনতা ব্যাংকের সাত কোটি ৪৩ লাখ ৪০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।

বাংলাদেশ ব্যাংকের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, চলতি মাসের ১ থেকে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ৪৫ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ পাঁচ হাজার ৯ কোটি ৬২ লাখ টাকা। ৬ থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত ৪২ কোটি ১৬ লাখ ৮০ হাজার ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ চার হাজার ৬৩৮ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। ১৩ থেকে ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত ৪০ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ চার হাজার ৪৪৮ কোটি ৫১ লাখ টাকা। এ ছাড়া ২০ থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত ৩৯ কোটি ৯৪ লাখ ৬০ হাজার ডলারের প্রবাসী আয় এসেছে। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ চার হাজার ৯৪০ কোটি ৬০ লাখ টাকা।

চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১১ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার। ফেব্রুয়ারিতে আসে ২১৬ কো‌টি ৪৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং মার্চে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

;

ফ্রান্সের সঙ্গে বাণিজ্য জোরদারে আগ্রহী এফবিসিসিআই



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফ্রান্সের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদার ও দক্ষতা উন্নয়নে দেশটির সহযোগিতা চায় দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন দ্য ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)। বাণিজ্য জোরদারে ফ্রান্সের প্রধান বাণিজ্য সংগঠন মেদেফের সঙ্গে জয়েন্ট বিজনেস কাউন্সিল গঠনেও আগ্রহের কথা জানিয়েছে এফবিসিসিআই।

রোববার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকায় অবস্থিত ফ্রান্স দূতাবাসের একটি প্রতিনিধি দলের সাথে সাক্ষাৎকালে এই আগ্রহের কথা জানান এফবিসিসিআই‘র সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী। ফ্রান্স দূতাবাসের অর্থনৈতিক বিভাগের প্রধান জুলিয়ে ডিউর ওই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।

বৈঠকে এফবিসিসিআই‘র সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। বাংলাদেশের পঞ্চম বৃহত্তম রফতানি পণ্যের বাজার হিসেবে ধরা হয় ফ্রান্সকে। দেশটিতে তৈরি পোশাক, নিটওয়্যার, চামড়া এবং চামড়াজাত পণ্যসহ বেশ কয়েকটি পণ্য রফতানি করছে বাংলাদেশ। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য জোরদারে বাংলাদেশ রফতানি পণ্য বৈচিত্র্যকরণে কাজ করছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বাংলাদেশের চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের কথা তুলে ধরে মো. আমিন হেলালী ফরাসি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আমন্ত্রণ জানান।

ঢাকায় ফ্রান্সের দূতাবাসের অর্থনৈতিক বিভাগের প্রধান জুলিয়ে ডিউর সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের মাধ্যমে পারস্পরিক সম্পর্ক মজবুত করতে বিজনেস টু বিজনেস (B2B) বৈঠকের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

এসময় অন্যান্যের মধ্যে এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক তাবারাকুল তোসাদ্দেক হোসেন খান (টিটো), এফবিসিসিআই মহাসচিব মো. আলমগীর, ঢাকায় ফ্রান্স দূতাবাসের ইকোনমিক অ্যাটাচে ইয়ান রিগেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

;

একীভূত হতে চায় না ন্যাশনাল ব্যাংক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ন্যাশনাল ব্যাংক

ন্যাশনাল ব্যাংক

  • Font increase
  • Font Decrease

একীভূত না হয়ে নিজেই সবল হতে চায় বেসরকারি ন্যাশনাল ব্যাংক। এ কারণে একীভূত না হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকটি।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) ন্যাশনাল ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।

ন্যাশনাল ব্যাংকের একজন পরিচালক বলেন, ন্যাশনাল ব্যাংক যাতে ঘুরে দাঁড়ায় এ লক্ষ্য নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ব্যবস্থাপনায়ও পরিববর্তন এসেছে। এখন  যদি বলা হয় একীবূত করা হবে, তা হয় না। যে কারণে একীভূত না হয়ে ব্যাংকটিকে কীভাবে সবল হতে পারে সে ধরনের উদ্যোগ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। 

এর আগে গত ৯ এপ্রিল জানানো হয়, বেসরকারি খাতের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসির (ইউসিবি) সঙ্গে একীভূত হচ্ছে সংকটে থাকা বেসরকারি ন্যাশনাল ব্যাংক।

এদিকে, ব্যাংক খাতে একীভূতকরণ নিয়ে আমানতকারী ও কর্মকর্তাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গ্রাহকরা আমানত তুলে নিচ্ছে বলেও বিভিন্ন ব্যাংক সূত্রে জানা যায়। গত ১৫ এপ্রিল ব্যাংক খাতের এমন পরিস্থিতিতে জরুরি ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, আপাতত পাঁচটি ব্যাংকের বাইরে কোনো একীভূতকরণের আবেদন নেওয়া হবে না।

এর আগে ১৮ মার্চ এক্সিমের সঙ্গে পদ্মা একীভূত হওয়ার বিষয়ে এমওইউ সই হয়। এটি ছিল একীভূতকরণের প্রথম ধাপ। এছাড়া সিটির সঙ্গে বেসিক, সোনালীর সঙ্গে বিডিবিএল, ইউসিবির সঙ্গে ন্যাশনাল এবং বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকের সঙ্গে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক একীভূত করা হবে জানানো হয়েছিল।

প্রসঙ্গত, ব্যাংক খাতে সুশাসন ফেরাতে ও খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে কয়েকটি ব্যাংকে একীবূত করার  সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত ডিসেম্বরে দ্রুত সংশোধনমূলক ব্যবস্থা (পিসিএ) ফ্রেমওয়ার্ক জারি করে। এর আলোকে একটি ব্যাংকের খেলাপি ঋণ, মূলধন পরিস্থিতি, ব্যবস্থাপনা ও তারল্য পরিস্থিতি এই ৪টি সূচকের ভিত্তিতে দূর্বল ব্যাংক একীভূতকরণ করা হবে বলে জানানো হয়। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে স্বেচ্ছায় একীভূত না হলে মার্চ থেকে বাধ্যতামূলকভাবে এক করার কথা। এরপর গত ৪ এপ্রিল ব্যাংক কিভাবে একীভূতকরণ করা হবে সে বিষয়ে নীতিমালা জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

;

‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’ পেল ওয়ালটন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’ পেল ওয়ালটন

‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড-২০২৩’ পেল ওয়ালটন

  • Font increase
  • Font Decrease

ইলেকট্রিক এন্ড ইলেকট্রনিক্স পণ্য প্রস্তুতকারক খাতে ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড- ২০২৩’ পেয়েছে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নীতিমালার আওতায় অপরিহার্য প্রতিপালন, পরিবেশগত প্রতিপালন, প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিপালন উদ্ভাবনী কার্যক্রম বিবেচনা করে ওয়ালটনকে এ অ্যাওয়ার্ড দেয়া হয়।

রোববার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ওয়ালটনকে এ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছ থেকে পুরস্কারটি গ্রহণ করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এএমডি) ইভা রিজওয়ানা নিলু। এ সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন- ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শরীফ হারুনুর রশীদ ছনি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম চৌধুরী ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পোটিআইনেন।

জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি দিবস উপলক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদফতরের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

পুরস্কারপ্রাপ্তির প্রতিক্রিয়ায় ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের এএমডি ইভা রিজওয়ানা নিলু বলেন, গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড প্রদান করায় ওয়ালটন পরিবার
অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত। এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারের জন্য শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ।

তিনি জানান, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদন খাতে দেশে স্বনির্ভর করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে ওয়ালটন। বাংলাদেশে গড়ে তুলেছে আন্তর্জাতিক মানের পরিবেশবান্ধব ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদন শিল্প।

সেখানে বিশ্বের সর্বাধুনিক মেশিনারিজের সমন্বয়ে উৎপাদন করা হচ্ছে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি পণ্য। দেশের চাহিদা মিটিয়ে সেসব পণ্য রফতানি হচ্ছে বিশ্বের ৪০টিরও বেশি দেশে। যে পণ্য একসময় দেশে আমদানি হতো তা এখন রফতানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা হচ্ছে। নিঃসন্দেহে এটা জাতি হিসেবে অত্যন্ত গর্বের বিষয়। এতে দেশ ও মানুষের সম্মান সমুন্নত হচ্ছে। এসবই সম্ভব হচ্ছে বর্তমান সরকারের শিল্পবান্ধব নীতির কারণে। এই নীতি সহায়তার ধারা অব্যাহত থাকবে এবং প্রসারিত হবে বলে তিনি দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

উল্লেখ্য, ওয়ালটন সবসময় পরিবেশবান্ধব ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী পণ্য উৎপাদনের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে আসছে। ওয়ালটনের উৎপাদিত ফ্রিজ, এসি, টিভিসহ বিভিন্ন পণ্য ব্যাপক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। যা পরিবেশ সুরক্ষায় প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ভূমিকা রেখে চলছে। পরিবেশ অধিদফতর ও ইউএনডিপির সমন্বয়ে পরিবেশ সুরক্ষায় বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ওয়ালটন। ইতোমধ্যে এসি এবং ফ্রিজে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক সিএফসি এবং এইচসিএফসি গ্যাসের ব্যবহার সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছে ওয়ালটন। পরিবেশবান্ধব ও বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে কার্বন নিঃসরণ কমিয়ে ওয়ালটন যেমন পরিবেশ সুরক্ষায় অবদান রাখছে, তেমনি দেশের উৎপাদিত বিদ্যুতের সুষম ব্যবহারও নিশ্চিত করছে।

নিরাপদ ও শোভন কর্মপরিবেশে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ও দক্ষ শ্রমশক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে আরও অধিক পরিমাণে উৎপাদন নিশ্চিত করে দেশের অর্থনীতির গতিকে বেগবান ও টেকসই করার মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ এবং দেশীয় শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহকে প্রতিযোগিতামূলক
অংশগ্রহণে উদ্বুদ্ধকরণে ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড’ প্রবর্তন করা হয়েছে। এ বছর ১২টি খাতে ওয়ালটনসহ মোট ২৯টি শিল্প-কারখানা এ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে।

;