ভ্যাট ও কাস্টমস কর্মকর্তাদের নতুন ইউনিফর্ম



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের কর্মকর্তাদের জন্য নতুন ইউনিফর্ম চালু হচ্ছে। পরিচয় বিভ্রান্তি ও হয়রানি রোধের পাশাপাশি কর্মকর্তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে এ উদ্যোগ নিয়েছে এনবিআর।

চলতি বছরের ডিসেম্বর অথবা নতুন বছরের প্রথম থেকে কর্মকর্তাদের জন্য জলপাই রঙের ইউনিফর্ম চালু হচ্ছে বলে এনবিআর সূত্রে জানা গেছে।

ভ্যাট ও কাস্টমসের সিপাহি থেকে কমিশনার পর্যন্ত সব কর্মকর্তার জন্য এ ইউনিফর্ম বাধ্যতামূলক করা হতে পারে। সে লক্ষ্যে গত ৩ সেপ্টেম্বর কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগে কর্মরতদের ‘সার্ভিস ইউনিফর্মের’ আওতায় আনতে বিধিমালা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে এনবিআর।

এ বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘সারা বিশ্বে কাস্টমসের আলাদা ইউনিফর্ম রয়েছে। ইউনিফর্ম এক দিকে কাজের গতি বাড়ায়। অন্য দিকে রাজস্ব আহরণে কিংবা চোরাচালান প্রতিরোধে বা কোনো অভিযানে পরিচয় বিভ্রান্তি তৈরি হয়। তখন কাস্টমস বা ভ্যাট বিভাগের কর্মকর্তাদের হয়রানির শিকার হতে হয়। এ অবস্থা থেকে বের হয়ে আসতে নতুন ইউনিফর্ম বানানোর কাজ চলছে। আশা করছি, এ বছরের শেষ দিকে কিংবা আগামী বছরের শুরুতেই ইউনিফর্ম চালু করতে পারব।’

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, নতুন ইউনিফর্মের শার্টের রং হবে জলপাই, প্যান্ট হবে গাঢ় জলপাই। কমিশনার ও মহাপরিচালকের ক্ষেত্রে একটি শার্টে ‘সোনালি দ্বার’ এবং মধ্যবর্তী ফাঁকা অংশে তিনটি ‘গৌরব তারকা’ থাকবে।

অতিরিক্ত কমিশনার ও অতিরিক্ত মহাপরিচালকের ক্ষেত্রে একটি ‘সোনালি দ্বার, ও মধ্যবর্তী ফাঁকা অংশে দুটি ‘গৌরব তারকা’, যুগ্ম কমিশনার ও যুগ্মপরিচালকের ক্ষেত্রে একটি ‘সোনালি দ্বার’ ও মধ্যবর্তী ফাঁকা অংশে একটি ‘গৌরব তারকা এবং উপকমিশনার ও উপপরিচালকের ক্ষেত্রে একটি ‘সোনালি দ্বার’ থাকবে। সহকারী কমিশনার, সহকারী পরিচালকের ক্ষেত্রে তিনটি ‘গৌরব তারকা’, রাজস্ব কর্মকর্তার ক্ষেত্রে দু’টি ‘গৌরব তারকা’ এবং সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তার ক্ষেত্রে একটি ‘গৌরব তারকা’ থাকবে।

সাব-ইন্সপেক্টর ও সিপাহিরা মাথায় গাঢ় জলপাই রঙের বেরেট ক্যাপ পরবেন, যার সামনে পৌনে দুই ইঞ্চি ব্যাসের দশমিক ১২৫ ইঞ্চি পুরুত্বের পিতলের চাকতির ওপর কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের লোগো থাকবে।

কর্মকর্তাদের ইউনিফর্মে গর্জেট প্যাচ থাকবে, যা হবে সমুদ্র নীল ভিত্তির ওপর রুপালি জরির সুতা দিয়ে এমব্রয়ডারি করা। কমিশনার ও মহাপরিচালকের ক্ষেত্রে গর্জেট প্যাচে জলপাইপত্র সংবলিত বিপরীতমুখী লম্বালম্বি চারটি শাখা এবং অতিরিক্ত কমিশনার ও অতিরিক্ত মহাপরিচালকের ক্ষেত্রে জলপাইপত্র সংবলিত একটি শাখা থাকবে।

গৌরব তারকা বিধিমালায় বলা হয়েছে, ধাতব রুপালি রঙের গোলাকার বৃত্তের মাঝখানে জাতীয় ফুল শাপলা ও বৃত্তের বাইরের অংশ তরঙ্গাকার ধারালো কিনার দ্বারা বেষ্টিত। আর সোনালি দ্বার হবে রুপালি রঙের জলপাইয়ের শাখা সম্বলিতপত্রগুচ্ছের মধ্যস্থলে ধাতব সোনালি রঙের একটি লোহার দরজা এবং উপরে শাপলা।

কাস্টমস ও ভ্যাট পোশাক বিধিমালা-২০১৯ এ বলা হয়, এনবিআরের অধীনস্ত কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগে কর্মরত সিপাহি, সাব-ইন্সপেক্টর, সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা, রাজস্ব কর্মকর্তা, সহকারী কমিশনার, ডেপুটি কমিশনার, যুগ্ম কমিশনার, অতিরিক্ত কমিশনার ও কমিশনার এবং সমপদমর্যাদার অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ক্ষেত্রে এ বিধিমালা প্রযোজ্য হবে।

   

ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা পুরস্কার পেলেন হালিমা আক্তার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
হালিমার হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন চিত্রনায়ক আমিন খান, ছবি- সংগৃহীত

হালিমার হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন চিত্রনায়ক আমিন খান, ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের সুপার ব্র্যান্ড ওয়ালটনের পণ্য কিনে ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়র’ হওয়ার কাতারে এবার যুক্ত হলেন ঢাকার ডেমরার হালিমা আক্তার দিপু।

সারাদেশে চলমান ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০’-এর আওতায় কিস্তি সুবিধায় ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে তিনি পেয়েছেন ১০ লাখ টাকা। হয়েছেন ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের ৩৮তম মিলিয়নিয়র।

ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হালিমা আক্তার!

মঙ্গলবার (২৮ মে) সংবাদমাধ্যমে ওয়ালটন থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সোমবার (২৭ মে) রাজধানী ঢাকার ডেমরায় এমএস টাওয়ারে ওয়ালটন প্লাজায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে হালিমা আক্তারের হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ও ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান।

আসন্ন ঈদ উৎসবকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০। এর আওতায় দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক, শোরুম ও অনলাইন সেলস প্ল্যাটফর্ম ‘ই-প্লাজা’ থেকে ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন বা ফ্যান কিনে ক্রেতাদের ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়র’ হওয়ার সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন।

এছাড়াও রয়েছে কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত উপহার।

চলমান ক্যাম্পেইনের আওতায় গত ১৮ মে ডেমরার এমএস টাওয়ার ওয়ালটন প্লাজা থেকে মাত্র ১৫ হাজার টাকা ডাউনপেমেন্ট দিয়ে কিস্তি সুবিধায় ৩১২ লিটারের একটি ফ্রিজ কেনেন হালিমা আক্তার।

ফ্রিজটি কেনার পর তার নাম, মোবাইল ফোন নম্বর এবং ক্রয়কৃত ফ্রিজের মডেল নম্বর ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হয়। এর কিছুক্ষণ পরই তার মোবাইল ফোনে ওয়ালটনের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা ক্যাশব্যাক পাওয়ার একটি মেসেজ যায়।

হালিমা আক্তারের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ির গজারিয়ায়। ঢাকায় একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে কর্মরত তিনি। ৪ সদস্যের বাসায় নিজেদের ব্যবহারের জন্য ওয়ালটনের ফ্রিজটি কেনেন তিনি।

পুরস্কার হস্তান্তর অনুষ্ঠানে হালিমা আক্তার বলেন, ‘ওয়ালটন ফ্রিজের গুণগতমান যেমন ভালো, তেমনি দামও সাধ্যের মধ্যে। তাই, বাসার জন্য ওয়ালটন ফ্রিজ কিনি। কিন্তু ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে যে ১০ লাখ টাকা পাবো, তা কখনো ভাবিনি। ওয়ালটনের কাছ থেকে পাওয়া এই টাকা দিয়ে ব্যবসা করবো। ওয়ালটনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি’!

চিত্রনায়ক আমিন খান বলেন, বিশ্বমানের ইলেকট্রনিকস পণ্য দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে গ্রাহকদের সেবা দিচ্ছে, ওয়ালটন। ওয়ালটন শুধু ব্যবসাই করছে না, তারা মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও কাজ করছে।

আমাদের দেশেই এখন আন্তর্জাতিকমানের পণ্য তৈরি হচ্ছে। তাই, আমাদের উচিত কষ্টার্জিত টাকায় বিদেশি পণ্য না কেনা।

চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডেমরা থানার পরিদর্শক (অপারেশনস) সুব্রত পোদ্দার, উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাজহার, ওয়ালটনের চিফ ডিভিশনাল অফিসার ইমরোজ হায়দার খান, ডিভিশনাল ক্রেডিট ম্যানেজার জাকির হোসেন, রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার আবু নাসের প্রধান, রিজিওনাল ক্রেডিট ম্যানেজার মিজানুর রহমান, ওয়ালটন ফ্রিজের ব্র্যান্ড ম্যানেজার মুস্তাফিজুর রহমান ও ওয়ালটন প্লাজা ম্যানেজার মেহেদি হাসান।

;

নগদ ও সোলায়মান সুখনের বিডব্লিউআইও অ্যাওয়ার্ড লাভ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশ সেরা মোবাইল আর্থিক সেবা নগদের ব্যবসা সম্প্রসারণ এবং সামাজিক কর্মকা-ে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখায় দ্য বিজনেস ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন (বিডব্লিউআইও) ইন লিডারশিপ এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছেন প্রতিষ্ঠানটির ডেপুটি চিফ মার্কেটিং অফিসার (ডেপুটি সিএমও) মোহাম্মাদ সোলায়মান (সুখন)

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে তরুণদের অনুপ্রাণিত করা, ব্যবসা সম্প্রসারণে অভিনব চিন্তা ও তার সফল প্রয়োগ ঘটিয়ে তিনি এই অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন আর এক্ষেত্রে নিজ প্রতিষ্ঠান নগদই তাকে সবচেয়ে বেশি সহায়তা দিয়েছে।

সম্প্রতি শ্রীলংকার তাজ সমুদ্র কলম্বোয় বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা বিখ্যাত ব্যবসায়ী ও তারকাদের উপস্থিতিতে ২০২৪ সালের অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে বিডব্লিউআইও এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অন্যতম সম্মানজনক অ্যাওয়ার্ড বিডব্লিউআইও, যা যুক্তরাষ্ট্রের বিজনেস ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল অরগানাইজেশন আইএনসি-এর মাধ্যমে পরিচালিত প্রতিষ্ঠানটি বৈশ্বিক ব্যবসায়ীক কর্মকা- পরিচালনায় দক্ষতার ক্ষেত্রে এবং বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা জয় করা উদ্যোক্তাদের স্বীকৃতি দিয়ে থাকে।

শ্রীলংকার এই আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দেশটির পার্লামেন্টের স্পিকার মাহিন্দা ইয়াপা আবেবর্ধন এছাড়া শ্রীলংকায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার তারেক আরিফুল ইসলামসহ দেশি-বিদেশি বিভিন্ন পর্যায়ের অতিথিরা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন

অ্যাওয়ার্ড অর্জনের বিষয়ে নগদের ডেপুটি সিএমও মোহাম্মাদ সোলায়মান (সুখন) বলেন, ‘যেকোনো স্বীকৃতিই আনন্দের যখন আমাদের কাজের ইতিবাচক প্রভাব অন্য দেশের কেউ লক্ষ্য করে এবং স্বীকৃতি দেয় এবং কথা শুনতে চায়, সেটি অবশ্যই একটি আনন্দের বিষয় আমার ও নগদের জন্য’ তিনি বলেন, ‘শ্রীলংকার মানুষ বাংলাদেশের বিষয়ে দারুণ ইতিবাচক বিশেষ করে দ্বীপ দেশটির কঠিন সময়ে বাংলাদেশের অবদান তাদের আতিথেয়তা দেখে বুঝতে পেরেছি আশা করি এই সম্পর্ক অটুট থাকবে এই স্বীকৃতির ফলে আরো কিছু ইতিবাচক কাজ করতে পারব বলে আশা করি’।

প্রতিবছর অন্তত ৩০টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দিয়ে থাকে বিডব্লিউআইও এরমধ্যে স্টার্টআপ, টেকসই উন্নয়ন, বিভিন্ন ব্যতিক্রমী পেশাদার যারা নিজ নিজ জায়গায় দক্ষতার সাথে কাজ করছেন এবং সামাজিক পরিবর্তনে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছেন--তাদের স্বীকৃতি দিয়ে থাকে এই প্রতিষ্ঠান।

;

রিমালের ৪৫ ঘণ্টা পরও পৌনে ২ কোটি গ্রাহক বিদ্যুৎহীন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বিদ্যুৎহীন

বিদ্যুৎহীন

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবের ৪৫ ঘণ্টা পরও সারাদেশে ১ কোটি ৭৩ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎহীন রয়েছে বলে বিদ্যুৎ বিভাগ সূত্র জানিয়েছে।

ঝড়ের কারণে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের ৩ কোটি ৩ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিলেন। ইতোমধ্যে ১ কোটি ৩১ লাখ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ মে) দুপুর ২টা পর্যন্ত এক কোটি ৭১ লাখ ৭৩ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

অন্যদিকে ওয়েস্টজোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ওজোপাডিকো) ১ লাখ ৪৪ হাজার গ্রাহক এখনও বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছে বলে জানা গেছে।

বিদ্যুৎ বিভাগের বার্তায় বলা হয়, ক্ষয়-ক্ষতির তথ্যে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩ হাজার ৮৩৩টি, ট্রান্সফরমার ২ হাজার ৮১৮টি, স্প্যান (তার ছেঁড়া) ৭৬ হাজার ৪০৪টি, ইনসুলেটর ভাঙা ২৪ হাজার ২৫৮টি, মিটার বিকল হয়েছে ৫৯ হাজার ৩৯৯টি।।

অতীতে কখনও একসঙ্গে এতো বেশি সংখ্যক গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার নজির নেই। আবার এতো দীর্ঘ সময় ধরে ঝড়ের নজিরও কম। সারাদেশে লন্ডভন্ড হয়ে পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ। অনেক জায়গায় গাছ পড়ে তার ছিঁড়ে গেছে। প্রতিটি লাইন ধরে পরীক্ষা করে চালু করা হচ্ছে। প্রতি মুহূর্তেই নতুন নতুন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হচ্ছে বলে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড জানিয়েছে।

;

যুক্তরাষ্ট্রের বঞ্চিত নারীদের জন্য ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের পরিকল্পনা গ্রামীণ আমেরিকার



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল অলাভজনক ক্ষুদ্রঋণ প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ আমেরিকা ইনকর্পোরেটেড (GAI) ওয়েলস ফার্গো ফাউন্ডেশনের উল্লেখযোগ্য অনুদান সহযোগিতায় ফিনিক্স, অ্যারিজোনায় নতুন শাখা খোলার ঘোষণা দিয়েছে।

নারী উদ্যোক্তাদের জন্য সহজে ও অল্প খরচে পুঁজির সুবিধা নিশ্চিত করতে ওয়েলস ফার্গো গ্রামীণ আমেরিকাকে ফিনিক্সে তার কার্যক্রম সম্প্রসারিত করতে এবং গ্রামীণ আমেরিকার প্রযুক্তি ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মকে আরো এগিয়ে নিতে সহায়তা করতে সংস্থাটিকে আগামী তিন বছরে ৩.২৫ মিলিয়ন ডলার অনুদান দিচ্ছে।

ওয়েলস ফার্গো থেকে প্রাপ্ত অনুদানের মাধ্যমে গ্রামীণ আমেরিকা ফিনিক্সে তার নতুন শাখাটি থেকে ২০২৬ সালের মধ্যে ২,০০০ জনেরও বেশি নিম্ন আয়ের মহিলাকে প্রায় ১৪ মিলিয়ন ডলার ঋণপুঁজি বিতরণ করতে পারবে বলে আশা করছে। চালু হবার পর থেকে ফিনিক্স শাখা এরই মধ্যে ১৩০ জন নারী উদ্যোক্তার নিকট ৩২৭,০০০ ডলারেরও বেশী ঋণপুঁজি বিতরণ করেছে।

উল্লেখ্য যে, ফেব্রুয়ারি ২০২৪ এর মধ্যে গ্রামীণ আমেরিকা সরাসরি মহিলাদের দ্বারা পরিচালিত বিভিন্ন ব্যবসা উদ্যোগে অল্প খরচে ৪ বিলিয়নেরও বেশী পুঁজি বিতরণ করেছে। প্রতি বছর ১ বিলিয়ন ডলার ঋণপুঁজি বিতরণের মধ্য দিয়ে গ্রামীণ আমেরিকা এরই মধ্যে দরিদ্র নারী উদ্যোক্তাদের নিকট স্বল্প খরচে ব্যবসায় পুঁজি পৌঁছে দেবার ক্ষেত্রে একটি যুগান্তকারী মাইলফলক অতিক্রম করছে। এই অর্জনের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল ক্ষুদ্রঋণ সংস্থা হিসেবে গ্রামীণ আমেরিকার অবস্থান আরো শক্তিশালী হলো।

২০০৮ সালে সংস্থাটির প্রতিষ্ঠার পর থেকে গ্রামীণ আমেরিকা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১৪টি রাজ্যের ২৭টি শহরে ১৯৭,০০০ এর বেশি নারী উদ্যোক্তার নিকট এই ৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষুদ্রঋণ বিতরণ করেছে। ঋণ পরিশোধের হার ৯৯% এর বেশি। সংস্থাটি এখন ২০৩৩ সালের মধ্যে দেশটির দরিদ্র নারী উদ্যোক্তাদের মধ্যে ৪০ বিলিয়ন ডলার ঋণপুঁজি বিতরণের পরিকল্পনা করেছে।

;