সি পার্ল বিচ রিসোর্টের লেনদেন শুরু মঙ্গলবার



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেড, ছবি: সংগৃহীত

সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেড, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে আগামী মঙ্গলবার (৯ জুলাই) পাঁচ তারকা হোটেল রয়েল টিউলিপের সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেডের শেয়ার লেনদেন শুরু হবে। দেশের উভয় স্টক এক্সচেঞ্জে এন ক্যাটাগরিতে শুরু হবে।

ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

আইপিওর মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে টাকা উত্তোলিত কোম্পানিটি গত ২৩ এপ্রিল থেকে ৬ মে পর্যন্ত কোম্পানিটির আইপিওতে আবেদন গ্রহণ করে।

এর আগে বাংলাদেশ  সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সেচঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৬৭৬তম কোম্পানিটিকে ১০টাকা দামের শেয়ার ইস্যু করে পুঁজিবাজার থেকে ১৫ কোটি টাকা সংগ্রহের অনুমোদন দেয়। অভিহিত মূল্য ১০ টাকা দামের দেড় কোটি শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে।

আইপিও’র মাধ্যমে উত্তোলিত ১৫ কোটি টাকা দিয়ে কোম্পানিটি ব্যবসা সম্প্রসারণ করবে। ইন্টেরিয়র ফিনিশিং অ্যান্ড ফার্নিচার, জমি ক্রয় এবং আইপিও খরচ বাবদ মূলত ব্যয় হবে এই টাকা।

গত তিন বছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে ভারিত গড় শেয়ার প্রতি আয় ৪১ পয়সা। সি পার্ল বিচ রিসোর্ট অ্যান্ড স্পা লিমিটেড ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে বানকো ফিন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং প্রাইম ব্যাংক ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।

   

টানা ৬ দফা বাড়ার পর কমেছে সোনার দাম, ভরি ১১৮৪৬০ টাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা ৬ দফা বাড়ার পর দেশের বাজারে কমেছে সোনার দাম। এ দফায় ভরিতে ১ হাজার ৮৪ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১৮ হাজার ৪৬০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস।

আগামীকাল শুক্রবার (২৪ মে) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) মূল্য কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম পড়বে ১ লাখ ১৮ হাজার ৪৬০ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ৮২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৬ হাজার ৯২৮ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৮০ হাজার ১৩২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে গত ১৯ মে ২২ ক্যারেটের সোনার দাম ১ লাখ ১৯ হাজার ৫৪৪ টাকা নির্ধারণ করে বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ১০৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ৮০৩ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৮০ হাজার ৮৬৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ২৫ বার সোনার দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ১৩ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ১২ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।  

;

‘নিয়োগের ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা ও প্রফেশনালিজমের বিষয়টি দেখা উচিত’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোতে সরকারের পক্ষ থেকে পরিচালক নিয়োগের ক্ষেত্রে অন্তত ন্যূনতম অভিজ্ঞতা এবং প্রফেশনালিজমের বিষয়টি দেখা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) রাজধানীর লেকশোর হোটেলের লা ভিটা হলে সিপিডি আয়োজিত ‘বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের জন্য সামনে কী অপেক্ষা করছে?’ শীর্ষক সংলাপে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

তিনি বলেন, যোগ্যতার বিষয়টি না দেখে অতীতে অনেক তরুণ ও অপরিপক্ক লোকজনকে ব্যাংকের পরিচালক পদে সরকারের পক্ষ থেকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

দুর্বল ব্যাংককে সবল ব্যংকের সঙ্গে একীভূত করার আগে আর্থিক খাতে লুটপাটে সংশ্লিষ্টদের শাস্তি নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছেন অনুষ্ঠানের অপর বিশেষ অতিথি জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ।

ব্যাংকিং খাতে অস্থিরতায় বাংলাদেশ ব্যাংকের বড় ধরনের ব্যর্থ্যতা আছে দাবি করে তিনি বলেন, “হঠাৎ একদিন সকালে আপনি কেন বলছেন যে ১০ টি ব্যাংকের অবস্থা খারাপ হয়ে গেছে? রেগুলেটরি মেজার হিসেবে এগুলোকে ভালো করার উদ্যোগ কেন নিচ্ছেন না? নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা হিসেবে একেবারেই ব্যর্থ বাংলাদেশ ব্যাংক।”

দেশে ইচ্ছাকৃত ঋণ খেলাপীদের মতো ইচ্ছাকৃত নন গভর্নেন্স প্রেক্টিস হচ্ছে কি না, এমন প্রশ্ন তুলেছেন সিনিয়ির সাংবাদিক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা।

তিনি এ সময় বলেন, বাংলাদেশে ব্যাংক তৈরি করা হয় না। বরং রাজনৈতিকভাবে পছন্দের ব্যক্তিদের মাঝে ব্যাংক বিতরণ করা হয়। ২০১৯ সালে এমন সমালোচনার মধ্যেই তিনটি নতুন ব্যাংক অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তখনকার অর্থমন্ত্রী কোনো সমালোচনাই আমলে নেননি।

তিনি বলেন, ফারমার্স ব্যাংক নাই হয়ে গেল। এটা ঠিক করতে যাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তিনিও লুটপাট করেছেন। আর্থিক খাতে লুটপাটে সংশ্লিষ্ট পিকে হালদার বাংলাদেশে ধরা পড়ে না, দেশের বাইরে ধরা পড়ে।

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সিপিডির ফেলো ড. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিনিযোগ, প্রবৃদ্ধি, বণ্টন থেকে শুরু করে কর্মসংস্থান পর্যন্ত ব্যাংকিং খাতের বড় গুরুত্ব রয়েছে। এখানে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। আর্থিক খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের অনেক উদ্যোগ রয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, খুব সতর্কতার সাথে এ সব উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে হবে।

তিনি বলেন, অনেক সময় লাভের ব্যক্তিকরণ হয় আর লোকসানের রাষ্ট্রীয়করণ হয়ে যায়।

নতুন লাইসেন্স দেয়ার ক্ষেত্রে সরকারকে আরও সাবধানী হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন সাবেক মন্ত্রী এম এ মান্নান। ব্যাংকিং কমিশন গঠন করে খুব ভালো সুফল পাওয়া যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

;

জ্বালানি খাতে অবদানের জন্য সম্মাননা পেলো এফইআরবি



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
সম্মাননা গ্রহণ করছেন বার্তা২৪.কম’র সেরাজুল ইসলাম

সম্মাননা গ্রহণ করছেন বার্তা২৪.কম’র সেরাজুল ইসলাম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের বিদ্যুৎ জ্বালানি খাতের বিশেষ অবদানের জন্য ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশ (এফইআরবি) কে বিশেষ সম্মাননা দিয়েছে ২৪তম ন্যাশনাল রিনিউয়েবল এনার্জি কনফারেন্স অ্যান্ড গ্রিন এক্সপো-২০২৪ কর্তৃপক্ষ। এফইআরবির পক্ষ থেকে সম্মাননা স্মারক গ্রহণ করেন চেয়ারম্যান মো. শামীম জাহাঙ্গীর।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ক্রেস্ট হস্তান্তর করা হয়। সিনেট ভবনে বসেছিল ২৪তম ন্যাশনাল রিনিউয়েবল এনার্জি কনফারেন্স অ্যান্ড গ্রিন এক্সপো-২০২৪ এর দৃই দিনের আসর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব এনার্জি এবং গ্রিনটেক ফাউন্ডেশন যৌথভাবে কনফারেন্স আয়োজন করে। এতে সহযোগী হিসেবে ছিলেন, ইউএসএআইডি, স্রেডা, ইডকল ও বিএসআরইএ।


আয়োজকরা জানান, বাংলাদেশের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে দীর্ঘ দুই যুগ ধরে কাজ করে আসছে এফইআরবি। সংগঠনটির সদস্যরা তাদের লেখনীর মাধ্যমে বিশাল অবদান রেখে চলেছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের আজকের উন্নয়নে সংগঠনটির অবদান অস্বীকার করার উপায় নেই। সে কারণে এফইআরবিকে সম্মানিত করতে পেরে আমরা আনন্দিত। আগামী বছর থেকে এফইআরবির সদস্যদের জন্য ফেলোশিপ প্রদানের বিষয়ে আমরা আগ্রহী।

এফইআরবি’র পাশাপাশি এফইআরবির ২০২৪-২৫ সালের নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান মো. শামীম জাহাঙ্গীর, ভাইস চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান কাকন (দৈনিক আমাদের সময়), নির্বাহী পরিচালক সেরাজুল ইসলাম সিরাজ (বার্তা২৪.কম), পরিচালক (উন্নয়ন ও অর্থ) হাসনাইন ইমতিয়াজ (দৈনিক সমকাল), পরিচালক (গবেষণা ও প্রশিক্ষণ) নাজমুল হক লিখন (দৈনিক দেশ রূপান্তর) পরিচালক (ডাটা ব্যাংক) মো. ইয়ামিন (এফএপি), পরিচালক (বিনোদন ও কল্যাণ) মুজিব মাসুদ (দৈনিক যুগান্তর), নির্বাহী সদস্য আশরাফুল ইসলাম (দৈনিক নয়াদিগন্ত), হাসান আজাদ (দৈনিক কালবেলা) শাহেদ সিদ্দিকী (ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভি), ফয়েজ আহমেদ খান তুষারকে (দৈনিক সংবাদ) সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।

এছাড়া এফইআরবির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এনার্জি এন্ড পাওয়ার এর এডিটর মোল্লাহ এম আমজাদ হোসেনকে সম্মাননা প্রদান করা হয়।

২৪তম ন্যাশনাল রিনিউয়েবল এনার্জি কনফারেন্স অ্যান্ড গ্রিন এক্সপো-২০২৪ উপলক্ষ্যে প্রদর্শনীর পাশাপাশি ৪টি উচ্চ পর্যায়ে সেমিনার আয়োজন করা হয়। এতে বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী, আমলা, শিক্ষাবিদ, নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতের ব্যবসায়ী, উদ্যোক্তা, উন্নয়ন সহযোগী এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত, সুইডিস রাষ্ট্রদূত, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধি অংশ নেন।

;

'শিল্পের ভিত বাড়াতে উদ্যোক্তাদের কাছে মুদ্রা সরবরাহ বাড়াতে হবে'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর প্রফেসর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর প্রফেসর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর প্রফেসর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, সংকোচনমূলক মূদ্রানীতি, সুদের হার বৃদ্ধি আর ক্রলিং পেগের মত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের মাধ্যমে অর্থনীতির বড় কল্যাণ হবে না।

তিনি বলেছেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে মুদ্রা সরবরাহ কমানোর পরিবর্তে উদ্যোক্তাদের কাছে ব্যাপক পুঁজি সরবরাহের মাধ্যমে দেশের শিল্পের ভিত্তি বাড়াতে হবে।

বিনিয়োগ বাড়িয়ে উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সমন্বিত উদ্যোগে বাজারে সুশাসন নিশ্চিত করা গেলে মূল্যস্ফীতি এমনিতেই কমে আসবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) আয়োজনে বৃহস্পতিবার (২৩ মে) অনুষ্ঠিত এক ডায়ালগে প্যানালিস্টের বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত “What Lies Ahead for the Banking Sector in Bangladesh?” শীর্ষক ডায়ালগে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন।

মূল প্রবন্ধে দেশের ব্যাংকিং খাতের বিভিন্ন অব্যস্থাপনা তুলে ধরে শক্তিশালী আর্থিক খাত গড়ে তুলতে ব্যাংকিং কমিশন গঠন, উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতিসহ বিভন্ন সুপারিশ তুলে ধরেন ড. ফাহমিদা।

প্যানালিস্টের বক্তব্যে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, দেশের অর্থনীতিতে ভালনারেবিলিটি (ঝুঁকিপ্রবণতা) বাড়ছে এবং ব্যাংকিং খাতের অবস্থা ঠিক না হলে এই অস্থিরতা কমবে না।

সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা না নিয়ে সাময়িক প্রয়োজনে হঠাৎ করেই বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়া আর্থিক খাতের পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে মন্তব্য করেন সালেহিউদ্দিন।

এ সব সমস্যার সমাধানে বাংলাদেশ ব্যাংক আইনি সংস্কারে উল্টো পথে হাটঁছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

উদাহারণ দিয়ে তিনি বলেন, এক পরিবার থেকে ব্যাংকে সর্বোচ্চ দুই জন পরিচালক ছয় বছরের জন্য মনোনয়নের সুযোগ থাকলেও এখন তিনজন পরিচালক নয় বছর ধরে থাকতে পারছেন। আগে কোন ব্যাংকে কোন শিল্প গ্রুপের একটি প্রতিষ্ঠান খেলাপী হলে এই গ্রুপের অন্য কোন প্রতিষ্ঠান ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারত না। এখন খেলাপী প্রতিষ্ঠানের মূল গ্রুপের অন্য প্রতিষ্ঠানের জন্য ঋণ নেয়ার সুযোগ করে দেয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কয়েক বছর ধরে রিজার্ভে চাপ থাকলেও বিনিময় হার ৮২ টাকায় ধরে রাখতে ১২ বিলিয়ন ডলার খরচ করা হয়েছে। এখন এক সাথে ২৭ শতাংশ কমাতে হচ্ছে টাকার মান।

বাংলাদেশ ব্যাংক এখন দুষ্টের দমন শিষ্টের লালন না করে দুষ্টের পালন শিষ্টের দমন করে চলছে বলেও মন্তব্য করেন সাবেক এই গভর্নর।

তিনি বলেন, অতীতে মোট ঋণ সঞ্চিতির ১০ শতাংশ জমা দিয়ে ঋণ রিশিডিউলের সুযোগ ছিল। দ্বিতীয়বার ও তৃতীয়বার রিশিডিউলের জন্য এই হার আরও বাড়ত। এখন মাত্র দুই শতাংশ জমা দিয়েই এই ঋণ রিশিডিউলের সুযোগ দেয়া হচ্ছে। তা ছাড়া ৫০০ কোটি টাকার বেশি ঋণ হলে ঋণ পুনর্গঠনের সুযোগ দেয়া হয়েছে। ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ফেরত না দেয়া নতুন বিজনেস মডেলে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন সালহউদ্দিন। এর ফলে প্রকৃত ব্যবসায়ীরা বঞ্চিত হচ্ছেন।

নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার দুর্বলতার কারণে ব্যাংকিং খাতে এমনটা হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ব্যবসায়ীদের সমঝোতা, রাজনৈতিক চাপ অতীতেও ছিল। তবে অতীতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্বায়ত্তশাসনের চর্চা করায় পরিস্থিতি এতটা খারাপ হয়নি।

ব্যাংক ব্যবস্থায় নিয়ন্ত্রণ আর নীতিমালা প্রণয়নে আলাদা সংস্থা গঠনের তাগিদ দিয়ে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক একটা সমবায় সমিতির আদলে পরিচালিত হচ্ছে। ব্যবসায়ী, বাংলাদেশ ব্যাংক, ও ব্যাংক পরিচালক যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংককে কঠোর নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানে পরিণত হওয়ার তাগিদ দেন তিনি।

;