প্রাইম ব্যাংকের নতুন সেবা ‘প্রাইম মোটরসাইকেল ফাইন্যান্সিং’



সেন্ট্রাল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
প্রাইম ব্যাংকের ‘প্রাইম মোটরসাইকেল ফাইন্যান্সিং’ সেবার উদ্বোধন

প্রাইম ব্যাংকের ‘প্রাইম মোটরসাইকেল ফাইন্যান্সিং’ সেবার উদ্বোধন

  • Font increase
  • Font Decrease

‘প্রাইম মোটরসাইকেল ফাইন্যান্সিং’ নামে নতুন একটি সেবা চালু করেছে প্রাইম ব্যাংক। এ সেবার মাধ্যমে নতুন মোটরসাইকেল কিনতে পারবেন আগ্রহীরা।

সম্প্রতি প্রাইম ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সেবাটির উদ্বোধন করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী রাহেল আহমেদ, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ বিজনেস অফিসার ফায়সাল রহমান, কনজিউমার ব্যাংকিং বিভাগের প্রধান এএনএম মাহফুজ।

এ সময় ব্যাংকের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্যসমূহ:
=> অনুর্ধ্ব ৫ লাখ পর্যন্ত ঋণ ও ১২/২৪/ ৩৬ মাসের ইএমআই সুবিধা
=> লাইফ ইন্সুরেন্স কভারেজ
=> বয়স সীমা ২১-৬৫ বছর
=> আকর্ষণীয় সুদের হার ও প্রসেসিং ফি

   

জাতীয় বাজেট নিয়ে উন্নয়ন সমন্বয়ের তথ্য সহায়তা ডেস্ক চালু



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন জাতীয় বাজেটকে ঘিরে গণমাধ্যমকর্মী, আইনপ্রণেতাসহ সংশ্লিষ্টদের জন্য তথ্য সহায়তা ডেস্ক চালু করলো গবেষণা সংস্থা উন্নয়ন সমন্বয়। এই ডেস্ক স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ের সরকারের বাজেট থেকে শুরু করে এই সময়ের বাজেট সংক্রান্ত সকল তুলনামূলক তথ্য সরবরাহ করবে।

জাতীয় বাজেট নিয়ে সাধারণের বোধগম্যতা ও গণমাধ্যমসহ সংশ্লিষ্টদের জন্য তিন দশকের তথ্য-পর্যালোচনার ঐতিহ্যিক ধারায় প্রতিষ্ঠানটি ‘আমাদের সংসদ’ শীর্ষক এই ডেস্ক চালু করল। মঙ্গলবার বিকালে উন্নয়ন সমন্বয়ের খোন্দকার ইব্রাহীম খালেদ সভাকক্ষে সংবাদকর্মীদের সঙ্গে প্রাক-বাজেট মতবিনিময়ে এসব তথ্য তুলে ধরেন সংস্থাটির কর্ককর্তারা।

উন্নয়ন সমন্বয়ের সভাপতি ইমেরিটাস অধ্যাপক ও সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময়ে এবারের বাজেটকে ঘিরে তথ্য সহায়তা ডেস্ক চালুর বিস্তারিত পরিপ্রেক্ষিত তুলে ধরেন সংস্থাটির পরিচালক (গবেষণা) আবদুল্লাহ নাদভী।

তিনি বলেন, ‘জাতীয় বাজেট নিয়ে গণমাধ্যমকর্মী, আইনপ্রণেতাসহ সংশ্লিষ্টদের জন্য বাজেট সংক্রান্ত পূর্বাপর তথ্য-বিশ্লেষণ জানাতে বিগত তিন দশকের ঐতিহ্য ধরে রেখে আমরা এই ডেস্কটি চালু করেছি। আগ্রহী যে কেউ এ বিষয়ে জানতে চাইলে আমরা তাকে কাঙ্খিত তথ্য ও বিশ্লেষণ জানাতে পারি।’

ব্যাংক এশিয়ার সহযোগিতায় বাজেট সংক্রান্ত তথ্য সহায়তা ডেস্কে যোগাযোগ করে সংবাদকর্মীরা বাজেটের দুর্বোধ্য বিষয়গুলোও সহাজভাবে জানতে পারবেন-জানান আবদুল্লাহ নাদভী।

মতবিনিময়ে ব্যাংক এশিয়ার চিফ মার্কেট এনালিস্ট ও হেড অব কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স সিদ্দিক ইসলাম ও উন্নয়ন সমন্বয়ের সিনিয়র প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর মো. জাহিদুর রহমান কথা বলেন।

;

আসন্ন বাজেটটি হতে হবে কৌশলী ও সুদূরপ্রসারি: ড. আতিউর



আশরাফুল ইসলাম, পরিকল্পনা সম্পাদক বার্তা২৪.কম
ড. আতিউর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

ড. আতিউর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় রেমিটেন্স আর রপ্তানিখাত আরও শক্তিশালী করা গেলে বিশ্বব্যাংক কিংবা আইএমএম’র সহযোগিতা ছাড়াই বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিযাত্রা এগিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ও সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান।

আগামী ৬ জুন সংসদে জাতীয় বাজেট উত্থাপনের প্রাক্কালে মঙ্গলবার বার্তা২৪.কম-কে বাজেটপূর্ব প্রত্যাশার কথা বলতে গিয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।

এবারের বাজেটকে নানা কারণেই ‘বিশেষ’ উল্লেখ করে সাবেক কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নর বলেন, ‘ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বৈশ্বিক মেরুকরণের প্রভাব আমাদের এবারের জাতীয় বাজেটে অবধারিতভাবেই পড়বে। লোহিত সাগর দিয়ে চলাচলকারী পণ্যবাহী বাণিজ্যিক জাহাজ হুথি বিদ্রোহীদের কারণে আক্রমণের শিকার হওয়ায় অনেক ঘুরে সমুদ্রপথে জাহাজ চলাচল করতে হচ্ছে। এতে পরিবহন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। তাই পন্যের দামও বেড়ে চলেছে।আমদানি খরচ বেড়ে যাবার ফলে সাম্প্রতিক সময়ে ব্যালেন্স অব পেমেন্ট নিয়ে যে চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে, ইতিপূর্বে তা হয়নি কখনো।’

তিনি বলেন, ‘অর্থনীতিতে কাঠামোগত চ্যালেঞ্জ অনেক বেড়েছে, যার প্রতিফলন জাতীয় বাজেটেও পড়বে। এই জায়গাটিতে আমরা যাঁরা অর্থনীতির মানুষ তাদের অর্থনীতির ভাষাতেই বিষয়গুলোকে বর্ণনা করতে হবে, আতঙ্ক তৈরি না করে।’ বাস্তবতার কারনেই আগামি বাজটের মূল লক্ষ্য হতে হবে সামষ্টিক অর্থনীতির স্হিতিশীলতা অর্জন, প্রবৃদ্ধি নয় বলে মন্তব্য করেন ড. রহমান। তাছাড়া বাজেটটি হতে হবে বাস্তবানুগ। উচ্চাভিলাষী নয়।

‘যে আলোচনাটি আমি আনতে চাই-তা হচ্ছে, পূর্বের বাজেটগুলোতে যে সব খাতের অর্থ অব্যয়িত থেকে যাচ্ছে, তা কেন সংশোধিত কিংবা পরবর্তী বাজেটে আমরা সামাজিক সুরক্ষায় কাজে লাগাতে পারি না? সংশোধিত বাজেটের আগে এই আলোচনাটি প্রধান্য পাওয়া উচিত’-যোগ করেন ড. রহমান।

বাজেটকে সম্ভাব্য ধরনের কথা বলতে গিয়ে তিনি উল্লেখ করেন যে ‘আমরা যদ্দূর জানতে পারছি, এবারের সংকোচনমূলক জাতীয় বাজেটের আকার প্রায় ৪ শতাংশ বাড়তে পারে। নিশ্চয় আমাদের আয় দেখে ব্যয় করবার প্র্যাকটিস করতে হবে। নয়তো বাজেট ডেফিসিট বাড়বে।বাস্তবতা হচ্ছে-চাহিদা কমিয়ে দাম পুরোপুরি ঠিক করা যাবে-এটা ঠিক নয়। আমরা দেখতে পারছি, বাজারে সাপ্লাই আছে, তা সত্ত্বেও মূল্য কমানো যাচ্ছে না।তার মানে বাজার ব্যবস্হাপনায় ত্রুটি রয়েছে।’

বিকল্প প্রণোদনার তাগিদ দিয়ে আতিউর রহমান বলেন, ‘প্রণোদনা নিয়ে আইএমএফ কিংবা বিশ্বব্যাংকের যেসব চাপ আছে তা সত্ত্বেও আমরা কৃষিসহ অগ্রাধিকার কিছু খাতে ভর্তুকি দিয়েই যাচ্ছি এবং তা ২০২৬ পর্যন্ত দিয়ে যাব। কিন্তু আমাদের এও মনে রাখতে হবে যে, যদি এই প্রণোদনার রাশ টানতেই হয়, তবে তার প্রস্তুতি হিসাবে আমাদের বিকল্প প্রণোদনার একটা কৌশল নিয়ে রাখতে হবে কৃষিসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোকে এগিয়ে নেবার জন্য।’

‘সার্বিক বিবেচনায় রপ্তানি ও রেমিটেন্সে প্রণোদনা এখনই উঠিয়ে নেওয়া যাবে না। এসব খাতগুলোতে প্রণোদনা উঠানোর আগে ম্যাক্রো ইকনোমি স্থিতিশীল অবস্থায় পৌছেছে কিনা তা দেখতে হবে। সেই সঙ্গে বিকাশমান আইসটি খাতে এখনি করারোপের পক্ষে নই আমি। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের আরও কর সুবিধা দিতে হবে।’

রেমিটেন্স খাত নিয়ে উদ্ভাবনী পদক্ষেপের প্রতি জোর দিয়ে তিনি বলেন, ‘তবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ মনে করছি যেটি তা হচ্ছে-বিরাট সম্ভাবনাময় রেমিটেন্স খাতের জন্য আমরা কতটুকু করছি? এই খাত থেকেই মাসে ২ বিলিয়ন ডলারের মতো আসছে। অথচ আমরা আইএমএফ থেকে মাত্র ৪.৭ বিলিয়ন ডলার পেতে কত কসরৎই না করছি। কত শর্ত মানছি।অথচ যদি রেমিটারদের আমরা আরও সুবিধা দিতে পারতাম তবে এই খাত নির্ভরতার এক বিরাট জায়গা হয়ে উঠতে পারতো। ভারতে বৈধপথে অর্থ পাঠানো রেমিটারদের হাউজিং লোন দেওয়া হয়।’

ইমেরিটাস অধ্যাপক আতিউর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশে তাদের পেনশন স্কিমে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অন্তর্ভূক্ত করাসহ দেশে অবস্থানকালে হাসপাতালগুলোতে স্পেশাল ট্রিটমেন্ট দেওয়ার দাবি করব আমরা। তাদের ‘জাতীয় বীর’ হিসেবে মূল্যায়ন করতে হবে। এই খাতে আরও বহু উদ্ভাবনী কৌশল ও কর্মসূচি গ্রহণ করা অত্যন্ত জরুরি। তাহলে এই রেমিটাররাই আমাদের জন্য বিরাট সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিবেন।আরও বেশি করে বৈধপথে রেমিটেন্স পাঠাতে উৎসাহিত হবেন।এটি জোর দিয়েই বলা যায়, আমাদের রেমিটেন্স ও রপ্তানিখাত শক্তিশালী হলে বিশ্বব্যাক-আইএমএফ এর এতোটা সহযোগিতা আর লাগবে না।’

সিগারেটে বাড়তি করারোপ ও মূল্য বাড়িয়ে সেই অর্থে স্বাস্থ্যখাতে বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি করে তিনি বলেন, ‘করারোপের ক্ষেত্রে সিগারেটের মতো স্বাস্থ্যহানিকর পণ্যের দাম ও কর বৃদ্ধি করা খুবই জরুরি। আমরা তুলনামূলক গবেষণার মাধ্যমে যেটি জানিয়েছি যে, সিগারেটে বেশি করে করারোপ ও মূল্যবৃদ্ধির মাধ্যমে অন্ততঃ ১০ হাজার কোটি টাকা বেশি পাওয়া সম্ভব। যা দিয়ে স্বাস্থ্যখাতে আরও বরাদ্দ বাড়ানো যাবে।’

আসন্ন বাজেটকে জলবায়ুবান্ধব করার জোর দাবি জানিয়ে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, ‘আমাদের আগামী বাজেট হতে হবে জলবায়ুবান্ধব। উল্লেখ করা যেতে পারে, এই যে ঘূর্ণিঝড় রিমাল বয়ে গেল; আমরা ভাবতে পারি যদি সুন্দরবন না থাকতো তবে আমাদের কি অবস্থা হতে পারতো। বুক পেতে দিয়ে আমাদের বাঁচানো এই প্রাকৃতিক অবকাঠামো তথা সুন্দরবনের জন্য আমরা কি করছি, কি বরাদ্দ রাখছি বাজেটে। প্রাকৃতিক এই অবকাঠামোকে সুরক্ষায় আমাদের অনেক কিছু করার আছে। এর জন্য অর্থের কোন অভাব হবে না। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবেলায় বিদেশ থেকে বিপুল অর্থ আসবে এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই, তবে আমাদের সেই অর্থ প্রাপ্তির জন্য প্রাতিষঠানিক কাঠামোগত সক্ষমতা বাড়াতে হবে।’

আইনপ্রণেতাদের এই বাজেট প্রণয়ণে আরও অংশগ্রহণমূলক ও প্রত্যক্ষ সংশ্লিষ্টতার কথাও বলেন আতিউর রহমান। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘জাতীয় বাজেটকে ঘিরে সংসদীয় স্থায়ী কমিটিগুলোর অনেক ভূমিকা থাকতে পারে। এ নিয়ে আমরা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপও করেছি। জনপ্রতিনিধিরা তাদের অঞ্চলের চাহিদা বিবেচনায় কি ধরণের বাজেট চান এবং জাতীয় বাজেট নিয়ে তাদের ধারণাগত সক্ষমতা বাড়াতেও আমরা কাজ করে আসছি, গবেষণা সংস্থা উন্নয়ন সমন্বয়ের পক্ষ থেকে। আমরা বলতে চাই বাজেট বক্তৃতা একটি পরিসংখ্যান বা প্রাক্ক্যলনভিত্তিক তথ্যের উপস্থাপন নয়।’

‘আমি মনে করি, এটি একটি দার্শনিক বক্তৃতা হওয়া উচিত। যেখানে জনগণের মাঝে স্বপ্ন জাগানোর ব্যাপার থাকবে। অবশ্যই বাজেটে জনচাহিদা লক্ষ্য রেখে করারোপ করতে হবে। সেই সঙ্গে কর প্রদান দেশপ্রেমের অংশ-এই ক্যাম্পেইনটাও দেশজুড়ে হওয়া উচিত।’

গণমানুষের জন্য সহজবোধ্য, সংক্ষিপ্ত ও স্মার্ট বাজেট পেশ করার দাবি জানিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম সরকারের বাজেট পেশের দৃষ্টান্ত হাজির করেন আতিউর রহমান।

তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের প্রথম সরকারের বাজেট দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধুর সরকারের প্রথম অর্থমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ। তৎকালীন অর্থসচিব মতিউল ইসলামের সহযোগিতা নিয়ে তাজউদ্দিন আহমেদ ১৫-২০ পৃষ্ঠার একটি সংক্ষিপ্ত স্মার্ট বাজেট উপহার দিয়েছিলেন। আমি মনে করি, সাম্প্রতিককালে যেসব জাতীয় বাজেট দেওয়া হয় তা অনেক দীর্ঘ। অনেক অর্থমন্ত্রী তা উপস্থাপন করতে গিয়ে অসুস্থও হয়ে পড়েন। আমি মনে করি এই বাজেট সংক্ষিপ্ত ও স্মার্ট করার সুযোগ আছে।’

আসছে বাজেটটি সদ্য নির্বাচিত এই সরকারের প্রথম বাজেট। আগামি পাঁচ বছরের উন্নয়নের কৌশলের ভিত্তিভূমি হতে যাচ্ছে এই বাজেট।তাই কৌশলগত দৃষ্টিতে এই বাজেটটি হতে হবে খুবই কৌশলি ও সুদূর প্রসারি বলে উল্লেখ করেন অধ্যাপক আতিউর রহমান।

;

‘৮০ শতাংশ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত হয়েছে’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমালের তাণ্ডবে ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৩ কোটি ৩ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। মঙ্গলবার (২৮ মে) সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ২ কোটি ৪২ লাখ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ-প্রধান তথ্য অফিসার মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দিন।

তিনি বলেছেন, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বিচ্ছিন্ন হওয়া ৮০ শতাংশ গ্রাহকের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে। রাত ১০টার মধ্যে ৮৫ শতাংশের বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হবে। অবশিষ্ট গ্রাহকদের বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে কাজ চলমান রয়েছে। বুধবার (২৯ মে) সকালের মধ্যে ৯০ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল হবে বলে আশা করা যায়।

বিদ্যুৎ বিভাগের বার্তায় বলা হয়, ক্ষয়-ক্ষতির তথ্যে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের খুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৩ হাজার ৮৩৩টি, ট্রান্সফরমার ২ হাজার ৮১৮টি, স্প্যান (তার ছেঁড়া) ৭৬ হাজার ৪০৪টি ইন্সুলেটর ভাঙা ২৪ হাজার ২৫৮টি, মিটার বিকল হয়েছে ৫৯ হাজার ৩৯৯টি।

অতীতে কখনও একসঙ্গে এতো বেশি সংখ্যক গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার নজির নেই। আবার এতো দীর্ঘ সময় ধরে ঝড়ের নজিরও কম। সারাদেশে লন্ডভন্ড হয়ে যায় বিদ্যুৎ সরবরাহ। অনেক জায়গায় গাছ পড়ে তার ছিঁড়ে গেছে। প্রতিটি লাইন ধরে পরীক্ষা করে চালু করা হচ্ছে। প্রতি মুহূর্তেই নতুন নতুন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হচ্ছে বলে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড জানিয়েছে।

;

ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা পুরস্কার পেলেন হালিমা আক্তার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
হালিমার হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন চিত্রনায়ক আমিন খান, ছবি- সংগৃহীত

হালিমার হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন চিত্রনায়ক আমিন খান, ছবি- সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের সুপার ব্র্যান্ড ওয়ালটনের পণ্য কিনে ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়র’ হওয়ার কাতারে এবার যুক্ত হলেন ঢাকার ডেমরার হালিমা আক্তার দিপু।

সারাদেশে চলমান ‘ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০’-এর আওতায় কিস্তি সুবিধায় ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে তিনি পেয়েছেন ১০ লাখ টাকা। হয়েছেন ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের ৩৮তম মিলিয়নিয়র।

ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে ১০ লাখ টাকা পেয়ে খুশিতে আত্মহারা হালিমা আক্তার!

মঙ্গলবার (২৮ মে) সংবাদমাধ্যমে ওয়ালটন থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সোমবার (২৭ মে) রাজধানী ঢাকার ডেমরায় এমএস টাওয়ারে ওয়ালটন প্লাজায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে হালিমা আক্তারের হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ও ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান।

আসন্ন ঈদ উৎসবকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী চলছে ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০। এর আওতায় দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক, শোরুম ও অনলাইন সেলস প্ল্যাটফর্ম ‘ই-প্লাজা’ থেকে ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন বা ফ্যান কিনে ক্রেতাদের ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়র’ হওয়ার সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন।

এছাড়াও রয়েছে কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত উপহার।

চলমান ক্যাম্পেইনের আওতায় গত ১৮ মে ডেমরার এমএস টাওয়ার ওয়ালটন প্লাজা থেকে মাত্র ১৫ হাজার টাকা ডাউনপেমেন্ট দিয়ে কিস্তি সুবিধায় ৩১২ লিটারের একটি ফ্রিজ কেনেন হালিমা আক্তার।

ফ্রিজটি কেনার পর তার নাম, মোবাইল ফোন নম্বর এবং ক্রয়কৃত ফ্রিজের মডেল নম্বর ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হয়। এর কিছুক্ষণ পরই তার মোবাইল ফোনে ওয়ালটনের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা ক্যাশব্যাক পাওয়ার একটি মেসেজ যায়।

হালিমা আক্তারের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ির গজারিয়ায়। ঢাকায় একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে কর্মরত তিনি। ৪ সদস্যের বাসায় নিজেদের ব্যবহারের জন্য ওয়ালটনের ফ্রিজটি কেনেন তিনি।

পুরস্কার হস্তান্তর অনুষ্ঠানে হালিমা আক্তার বলেন, ‘ওয়ালটন ফ্রিজের গুণগতমান যেমন ভালো, তেমনি দামও সাধ্যের মধ্যে। তাই, বাসার জন্য ওয়ালটন ফ্রিজ কিনি। কিন্তু ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে যে ১০ লাখ টাকা পাবো, তা কখনো ভাবিনি। ওয়ালটনের কাছ থেকে পাওয়া এই টাকা দিয়ে ব্যবসা করবো। ওয়ালটনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি’!

চিত্রনায়ক আমিন খান বলেন, বিশ্বমানের ইলেকট্রনিকস পণ্য দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে গ্রাহকদের সেবা দিচ্ছে, ওয়ালটন। ওয়ালটন শুধু ব্যবসাই করছে না, তারা মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নেও কাজ করছে।

আমাদের দেশেই এখন আন্তর্জাতিকমানের পণ্য তৈরি হচ্ছে। তাই, আমাদের উচিত কষ্টার্জিত টাকায় বিদেশি পণ্য না কেনা।

চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডেমরা থানার পরিদর্শক (অপারেশনস) সুব্রত পোদ্দার, উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাজহার, ওয়ালটনের চিফ ডিভিশনাল অফিসার ইমরোজ হায়দার খান, ডিভিশনাল ক্রেডিট ম্যানেজার জাকির হোসেন, রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার আবু নাসের প্রধান, রিজিওনাল ক্রেডিট ম্যানেজার মিজানুর রহমান, ওয়ালটন ফ্রিজের ব্র্যান্ড ম্যানেজার মুস্তাফিজুর রহমান ও ওয়ালটন প্লাজা ম্যানেজার মেহেদি হাসান।

;