আউট সোর্সিংয়ে নিয়োগ পাবেন ১০ হাজার শিক্ষার্থী



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, ছবি: সংগৃহীত

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজস্ব আদায়ে আউট সোর্স হিসেবে ১০ হাজার শিক্ষার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেছেন, আমাদের অর্থনীতির আকার অনুযায়ী যে রাজস্ব আদায় হয় তা প্রায় অর্ধেক। রাজস্ব আদায় বাড়াতে এসব জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে।

বুধবার (২২ মে) শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষ অর্থনীতি-বিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) ইফতার অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের ট্যাক্স জিডিপির অনুপাত মাত্র ১০ শতাংশ। যেখানে আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশসমূহে এটা ১৮ থেকে ১৯ শতাংশ। এখন যদি আমাদের রাজস্ব আদায় তিন লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা হয়। এক্ষেত্রে আরও তিন লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা হওয়ার কথা।’

‘আমাদের আরও তিন লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকা পেতে হবে। আমরা যদি ছয় লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা রজস্ব আহরণ করতে না পরি, তাহলে আমাদের যে অর্থনীতি গতিশীল বা গভীরতা পেয়েছে এটার সাথে রাজস্ব আদায়ের কোনো রকম মিল থাকে না। আমাদের এ কাজটা করতে হবে।’

তিনি বলেন, খুবই দুঃখজনক যে, যারা ট্যাক্স দেয়, তারাই দেয়। মাত্র ২১ বা ২২ লাখ ট্যাক্স দেয়। এছাড়া যাদের দেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে তারাও কোনো ট্যাক্সই দেয় না। সুতরাং আগামী বাজেটে আমরা কোনোভাবেই করের হার বাড়াব না। তবে যারা কর দেয় না তাদের করের আওতায় নিয়ে আসব।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আহরণ দাঁড়াবে দুই লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। যা সংশোধনের পর করা হয়েছে দুই লাখ ৮০ হাজার টাকা।

অর্থমন্ত্রী

তিনি বলেন, যারা ট্যাক্স দেওয়ার ক্ষমতা রাখেন, ‍কিন্তু ট্যাক্স দিচ্ছেন না, তাদের কাছে পৌঁছাব, তাদের নিকট থেকে ট্যাক্স আদায় করব। এজন্য আমারা প্রথম বছর আউট সোর্স হিসেবে ১০ হাজার জনবল বাড়াব। এসব জনবল হবে স্কুল, কলেজের শিক্ষার্থী, যারা কোনো কাজ পাচ্ছে না, তাদেরকে আউট সোর্স হিসেবে এ নিয়োগ করব।

মন্ত্রী বলেন, আমরা প্রতিটি উপজেলায় ট্যাক্স অফিস নিয়ে যাব। আগামী জুলাই মাস থেকে নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন শুরু করব। তবে এটা প্রথম থেকেই পুরোপুরি বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না। সম্প্রতি একটি জরিপে দেখা গেছে, রাজধানী ঢাকা ও বড় বড় শহরে প্রায় নয় লাখ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। প্রথমে আমরা বড় বড় জাগায় এটা বাস্তবায়ন করা হবে। ভ্যাট বাস্তবায়নের মাধ্য দিয়েই আমরা আয়করের বিষয়টি জনগণের নিকোট নিয়ে যাবে। তবে জোর করব না। জনগণ যখন ভ্যাট দিবে তখন কর দেয়াতেও অভ্যস্ত হয়ে যাবে।

মুস্তফা কামাল বলেন, রাজস্ব ফাঁকি ও অর্থ পাচার রোধে সকল আমদানি-রফতানিকৃত পণ্য যথাযথভাবে স্ক্যানিং করা হবে। পাশাপাশি আমদানি-রফতানিতে যারা ওভার অ্যান্ড আন্ডার ইনভয়েসিংয়ের সঙ্গে জড়িত তাদের জরিমানার পাশাপাশি মামালা করা হবে। মামলার রায় অনুযায়ী তাদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।

   

তিতাসের ১৪ নম্বর কূপ থেকে পরীক্ষামূলক গ্যাস উত্তোলন শুরু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
তিতাসের ১৪ নম্বর কূপ থেকে পরীক্ষামূলক গ্যাস উত্তোলন শুরু

তিতাসের ১৪ নম্বর কূপ থেকে পরীক্ষামূলক গ্যাস উত্তোলন শুরু

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ১৪ নম্বর কূপ দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকার পর ওয়ার্কওভার কাজ শেষে পরীক্ষামূলকভাবে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়েছে। খুব শীঘ্রই কূপটি থেকে গ্যাস উৎপাদনে যাওয়া যাবে। এবং তা জাতীয় গ্রিডে যোগ হবে।

মঙ্গলবার (২১ মে) রাতে জেলার সরাইল বিশ্বরোড এলাকায় কূপ থেকে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয় বলে জানিয়েছেন কূপ সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) কূপটির ওয়ার্কওভার কাজ সম্পন্ন করেছে। এখান থেকে প্রতিদিন ১৩-১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিএফসিএল) কর্তৃপক্ষ।

কূপ সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, দৈনিক ২৯ দশমিক ৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ১৪ নম্বর কূপটি সরাইল উপজেলার বিশ্বরোড এলাকায় ২০২০ সালে খনন করা হয়। তবে গ্যাসের সঙ্গে অতিমাত্রায় পানি ওঠায় ২০২১ সালের পহেলা নভেম্বর থেকে কূপটি বন্ধ ঘোষণা করে গ্যাস ফিল্ড কর্তৃপক্ষ। চলতি বছর বিজিএফসিএল পরিচালিত তিতাস, হবিগঞ্জ, বাখরাবাদ ও মেঘনা গ্যাস ফিল্ডের বন্ধ থাকা ৭টি কূপের ওয়ার্কওভারে ৫২৩ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প হাতে নেয় কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ৪টি কূপের ওয়ার্কওভার কাজ করবে বাপেক্স। বাকি ৩টির কাজ দেওয়া হচ্ছে বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে। গত ১৯ মার্চ তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ১৪ নম্বর কূপের ওয়ার্কওভার কাজ শুরু করে বাপেক্স। যা চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে শেষ হয়। এরপর গতকাল থেকে পরীক্ষামূলকভাবে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয় কূপ থেকে। প্রতিদিন এই কূপ থেকে ১৩-১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হওয়ার আশা সংশ্লিষ্টদের।

এ বিষয়ে গ্যাস কূপ ওয়ার্কওভার প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ ইসমাঈল মোল্লা সাংবাদিকদের বলেন, পরীক্ষামূলকভাবে ১৪ নম্বর কূপটি থেকে গ্যাস উত্তোলন করা হয়েছে। তবে পুরোদমে গ্যাস উত্তোলন শুরু হয়নি। আশা করা হচ্ছে আগামী দুই থেকে তিনদিনের মধ্যে কূপটি থেকে গ্যাস উৎপাদনে যাওয়া যাবে এবং উত্তোলিত গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যোগ করা যাবে।

;

ওয়ালটন ফ্রিজ কিনে মিলিয়নিয়ার হলেন চট্টগ্রামের আলম



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আবু আলমের হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান ও চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস

আবু আলমের হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান ও চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস

  • Font increase
  • Font Decrease

ওয়ালটন পণ্য কিনে মিলিয়নিয়ার হওয়ার কাতারে এবার যুক্ত হলেন বন্দর নগরী চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী আবু আলম। ঈদ উপলক্ষে দেশব্যাপী চলমান ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০ এর আওতায় দেশের সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটনের ফ্রিজ কিনে নগদ ১০ লাখ টাকা পেয়েছেন তিনি। হয়েছেন ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের ৩৬তম মিলিয়নিয়ার।

মঙ্গলবার (২১ মে) বন্দর নগরীর আগ্রাবাদে ওয়ালটনের ডিস্ট্রিবিউটর শোরুম ‘কেএসটিএল এন্টারপ্রাইজ’ এ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আবু আলমের হাতে ১০ লাখ টাকার চেক তুলে দেন জনপ্রিয় চিত্রনায়ক ও ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর আমিন খান এবং চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস।

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের হেড অব সেলস ফিরোজ আলম, ওয়ালটন ফ্রিজের চিফ বিজনেস অফিসার তাহসিনুল হক, ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর শাহজালাল হোসেন লিমন, ডিস্ট্রিবিউটর নেটওয়ার্কের ডিভিশনাল সেলস ম্যানেজার আব্দুল বারী, রেজিওনাল সেলস ম্যানেজার নেসার উদ্দীন, কেএসটিএল এন্টারপ্রাইজের সত্ত¡াধিকারী আব্দুল কাদের খান।

আসন্ন ঈদ উৎসবকে ঘিরে ক্রেতাদের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০ এর আওতায় ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ হওয়ার সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন। ক্যাম্পেইন চলাকালীন দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম ও অনলাইন সেলস প্ল্যাটফর্ম ‘ই-প্লাজা’ থেকে ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন এবং ফ্যান কিনে মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন ক্রেতারা।

এছাড়াও পাচ্ছেন নগদ এক লাখ টাকা পাওয়ার সুযোগ। রয়েছে কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত উপহার।

এই ক্যাম্পেইনের আওতায় আবু আলম গত ১৩ মে কেএসটিএল এন্টারপ্রাইজ থেকে ৪৭ হাজার টাকায় ওয়ালটনের ৩৬৫ লিটারের একটি ফ্রিজ কেনেন।ফ্রিজটি কেনার পর তার নাম, মোবাইল নম্বর এবং ক্রয়কৃত ফ্রিজের মডেল নম্বর ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হয়। এর কিছুক্ষণ পর তার মোবাইলে ওয়ালটনের কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা ক্যাশব্যাক পাওয়ার একটি ম্যাসেজ যায়।

চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে চট্টগ্রামের আয়রন ও স্টিলের ব্যবসায়ী আবু আলম বলেন, ওয়ালটন দেশীয় ব্র্যান্ড, তাই সব সময় ওয়ালটনের পণ্য ব্যবহার করি। এক আত্মীয়কে উপহার দেওয়ার জন্য ওয়ালটনের ফ্রিজটি কিনেছি। ফ্রিজটি কিনে ১০ লাখ টাকা পেয়ে আমি বিষ্মিত। সাধারণ ক্রেতাদের এ রকম বিশেষ সুবিধা দেয়ায় ওয়ালটন কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ।

অনুষ্ঠানে সবাইকে দেশীয় ব্র্যান্ডের পণ্য কেনার আহবান জানিয়ে চিত্রনায়ক আমিন খান বলেন, ওয়ালটন ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের আওতায় সারা দেশে এখন পর্যন্ত মিলিয়নিয়ার হয়েছেন ৩৬জন ক্রেতা। বহু ক্রেতা হয়েছেন লাখপতি। ওয়ালটনের সেই টাকায় তাদের ভাগ্যের চাকা ঘুরেছে। সচ্ছল হয়েছে অনেকের সংসার। ব্যবসার পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলেছে দেশীয় ব্র্যান্ড ওয়ালটন। অর্জন করে নিয়েছে দেশের সিংহভাগ ক্রেতার আস্থা।

অপু বিশ্বাস বলেন, ওয়ালটন আমাদের দেশের জন্য একটি গর্ব। দেশীয় ইলেকট্রনিক্স শিল্পের বিকাশ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দক্ষ জনবল তৈরিসহ দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে বিস্ময়করভাবে অবদান রেখে চলছে ওয়ালটন। দেশের সীমানা পেরিয়ে বিশ্বের বহু দেশে পণ্য রফতানি করছে ওয়ালটন। দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনছে। তাই আমাদেরকে দেশি ব্র্যান্ডের পণ্য কিনতে হবে। এতে দেশের টাকা দেশে থাকবে। উপকৃত হবে দেশ।

;

শুরু হচ্ছে বিকাশ ও বিজ্ঞানচিন্তার আয়োজনে ‘বিজ্ঞান উৎসব’র তৃতীয় আসর



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নতুন প্রজন্মকে বিজ্ঞান চর্চায় উদ্বুদ্ধ করতে সারাদেশের স্কুল শিক্ষার্থীদের জন্য তৃতীয়বারের মতো ‘বিকাশ-বিজ্ঞানচিন্তা বিজ্ঞান উৎসব ২০২৪’ আয়োজন করতে যাচ্ছে বিকাশ ও শীর্ষস্থানীয় বিজ্ঞান বিষয়ক ম্যাগাজিন, বিজ্ঞানচিন্তা। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমনস্ক জাতি গঠনে শিক্ষা জীবন থেকেই বিজ্ঞান চর্চার গুরুত্ব তুলে ধরতেই এই উদ্যোগ।

যৌথ এই আয়োজনের লক্ষ্যে মঙ্গলবার (২১ মে ২০২৪) বিকাশ এর সাথে বিজ্ঞানচিন্তা’র একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিজ্ঞানচিন্তার প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিকাশ-এর চিফ এক্সটার্নাল অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেজর জেনারেল শেখ মো. মনিরুল ইসলাম (অব.) এবং বিজ্ঞানচিন্তার সম্পাদক আব্দুল কাইয়ুম নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন।

এসময় দৈনিক প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হক, বিকাশ-এর ইভিপি ও হেড অব রেগুলেটরি অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স হুমায়ুন কবির, বিকাশ-এর রেগুলেটরি অ্যান্ড কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স বিভাগের ভিপি সায়মা আহসান, বিজ্ঞানচিন্তার নির্বাহী সম্পাদক আবুল বাসার সহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

এই আয়োজনের অংশ হিসেবে ‘বিজ্ঞানে বিকাশ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে দেশব্যাপী বিভাগীয় শহরগুলোতে স্কুল শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে বিজ্ঞান উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। শিক্ষার্থীরা সেখানে তাদের উদ্ভাবনী ও গবেষণাধর্মী বিভিন্ন প্রকল্প প্রদর্শনের সুযোগ পাবে। পাশাপাশি থাকবে কুইজ প্রতিযোগিতা, বিজ্ঞান বিষয়ক আলোচনা, রোবট প্রদর্শনী, বই প্রদর্শনী ও বিক্রির ব্যবস্থা, বিজ্ঞান ম্যাজিকসহ নানা আয়োজন।

বিভাগীয় পর্যায়ে বিজ্ঞান প্রকল্পে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের নিয়ে পরবর্তীতে ঢাকায় জাতীয় পর্যায়ের চূড়ান্ত বিজ্ঞান উৎসব আয়োজন করা হবে। চূড়ান্ত পর্বে সেরাদের জন্য থাকবে পুরষ্কার ও সম্মাননা পত্র।

;

আর্থিকখাতের অপচয়কারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে: ডেপুটি স্পিকার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের আর্থিকখাতের অপচয়কারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু।

বুধবার (২২ মে) সকালে রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের হল রুমে ‘উন্নয়ন সমন্বয়’-এর উদ্যোগে আসন্ন বাজেট বিশ্লেষণ করতে সংসদ সদস্য ও অংশীজনদের সহযোগিতায় 'আমাদের সংসদ' কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন।

ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু বলেন, আমি যখন স্টেট মিনিস্টার ছিলাম তখন বলেছিলাম, যারা উন্নয়ন করে তাদের মিতব্যয়ী হতে হবে। তখন আমার ওপর অনেকেরই রাগ হয়েছে। দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে মিতব্যয়িতার কোনো বিকল্প নেই।

ডেপুটি স্পিকার আরো বলেন, বাংলাদেশ কোনো দ্বীপ নয়। আন্তর্জাতিক বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলছে। করোনায় যখন বিশ্ব অর্থনীতি হাবুডুবু খেয়েছে, তখন বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর কন্যার নেতৃত্বে দেশে কী হয়েছে, সেটা সবাই দেখেছেন। করোনার সংকট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দক্ষতার সঙ্গে কাটিয়ে উঠেছেন। তাতে জনগণেরও সহযোগিতা ছিল।

অনুষ্ঠানে সংসদের হুইপ সাজেদা খানম বলেন, বাজেট প্রণয়নের চেয়েও বাজেট বাস্তবায়ন করা কঠিন। আমাদের আলোচনা করা উচিত, এই চ্যালেঞ্জ কীভাবে মোকাবিলা করবো! ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধের ফলে পুরো পৃথিবীতে অর্থনৈতিক সংকট শুরু হয়েছে। সেই সংকট বাংলাদেশেও তৈরি হয়েছে। দেশের অধিকাংশ খাদ্যদ্রব্য ইউক্রেন থেকেই আমদানি হতো।

বরিশাল-২ আসনের সংসদ সদস্য রাশেদ খান মেনন বলেন, সাধারণ মানুষের ধারণা, বাজেট দিচ্ছে মানে জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। আর সংবাদমাধ্যম কোন জিনিসের দাম বাড়বে, কোন জিনিসের দাম কমবে, তা নিয়ে রিপোর্ট করে। কিন্তু বাজেট নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা কেউ করে না। এমনকী সংসদীয় কমিটিগুলো বাজেট নিয়ে কোনো আলোচনা করে না। শুধু অর্থ মন্ত্রণালয় জানে আর প্রধানমন্ত্রী জানে! বাজেট নিয়ে কোথায় ফোকাস হওয়া উচিত, সেটা আমাদের করতে হবে।

চট্টগ্রামের-৫ আসনের সংসদ সদস্য আনিসুল ইসলাম, এমপি বলেন, বাজেট প্রণয়নে সংসদ সদস্যদের তেমন কোনো ভূমিকা নেই। বাজেটে ভূমিকা রাখতে পারে- সিপিডি, ব্যবসায়ী সংগঠন আর সিন্ডিকেটগুলো। বাজেটের ওপর কতটুকু আলোচনা হয়, তাও আমাদের জানতে হবে। বাজেটে কী হয়- সরকারি দল বলে ‘ভালো বাজেট’, ‘বড় বাজেট’ আর বিরোধীদল বলবে- ‘এই বাজেট ভালো না’! এই তো হয়!

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও ‘উন্নয়ন সমন্বয়’-এর সভাপতি আতিউর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. শামসুল হক টুকু। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদে হুইপ সানজিদা খানম, এমপি, বরিশাল-২ আসনের সংসদ সদস্য রাশেদ খান, এমপি ও চট্টগ্রাম-৫ আসনের আনিসুল ইসলাম, এমপি।

;