ঈদ কেনাকাটায় বিকাশ পেমেন্টে ১৪৫০ টাকা পর্যন্ত ডিসকাউন্ট ও ক্যাশব্যাক



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রতিবারের মতো এবারও গ্রাহকদের রমজান ও ঈদের কেনাকাটাকে আরও সহজ, সাশ্রয়ী ও আনন্দময় করতে দেশের বৃহত্তম মোবাইল আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান বিকাশ নিয়ে এসেছে অনলাইন ও অফলাইন কেনাকাটায় আকর্ষণীয় সব ডিসকাউন্ট ও ক্যাশব্যাক অফার।

সুপরিচিত ব্র্যান্ড থেকে শুরু করে বিভিন্ন অনলাইন ও অফলাইন শপে পোশাক, জুতা, ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ও অ্যাকসেসরিজ কেনা, পছন্দের রেস্টুরেন্টে ইফতার ও সেহরি অর্ডার, গ্রোসারি কেনা, অনলাইনে বাসের টিকেট কাটা, এমনকি সেলুন ও বিউটি পার্লারে সাজ-সজ্জায়ও বিকাশ পেমেন্টে উপভোগ করা যাবে এই ডিসকাউন্ট ও ক্যাশব্যাক অফারগুলো।

সব মিলিয়ে এই ঈদ মৌসুমে কেনাকাটায় গ্রাহকরা বিকাশ পেমেন্টে ‘E24’ কুপন ব্যবহার করে ডিসকাউন্ট, অনলাইন শপ ও ফেসবুক পেজে ক্যাশব্যাক, অনলাইন গ্রোসারি শপ ও সুপারস্টোরে ক্যাশব্যাক ও ডিসকাউন্ট কুপন, অনলাইনে বাসের টিকেট ক্রয়ে ক্যাশব্যাকসহ বিভিন্ন ক্যাম্পেইনের আওতায় পেতে পারেন সর্বোচ্চ ১,৪৫০ টাকা ডিসকাউন্ট ও ক্যাশব্যাক সুবিধা।

বিকাশ অ্যাপে কুপন কোড ‘E24’ যোগ করে পেমেন্টে ৫০০ টাকা পর্যন্ত ডিসকাউন্ট

ঈদের কেনাকাটায় নির্দিষ্ট মার্চেন্টে বিকাশ পেমেন্ট করার সময় ইংরেজিতে কুপন কোড ‘E24’ যোগ করলেই পাওয়া যাবে ১০% ডিসকাউন্ট, যা সর্বোচ্চ ১০০ টাকা পর্যন্ত। এই ডিসকাউন্ট দিনে ২ বার (২০০ টাকা পর্যন্ত) এবং অফার চলাকালীন ৫ বার (৫০০ টাকা পর্যন্ত) উপভোগ করা যাবে।

যেসব মার্চেন্টে ডিসকাউন্ট পাওয়া যাবে-

ঈদের পোশাক- আড়ং, ইনফিনিটি, লুবনান, দেশি দশ, র নেশন, অ্যাস্টেরিয়ন, আর্টিসান, ইজি ফ্যাশন, ইয়েলো, ক্যাটস আই, প্লাস পয়েন্ট, কে ক্রাফটসহ আরও বেশকিছু পোশাকের ব্র্যান্ড ও ফ্যাশন হাউজ।

জুতা- বাটা, এ্যাপেক্স, লোটো, ভাইব্র্যান্ট, বোলিং ফুটওয়্যার, ঢাকা বুট বার্ন, বে, ওরিয়ন সহ অনেকগুলো পছন্দের আউটলেট। আউটলেটে সরাসরি কেনার পাশাপাশি নির্দিষ্ট কিছু স্টোরে অনলাইনে জুতা অর্ডারেও মিলবে ডিসকাউন্ট।

রেস্টুরেন্ট ও ক্যাফেতে ইফতার ও সেহরি অর্ডার- কিভা হান, সেকেন্ড কাপ কফি, পেয়ালা, নর্থ এন্ড, ইনডালজ ক্যাফে, ম্যানহাটন ফিস মার্কেট, টনি রোমা'স, সিক্রেট রেসিপি, সাদিক অ্যাগ্রো, আলবাইক, চিটাগং ডাইন, ইউনি ক্যাফে, আলফ্রেডো- এর মতো ক্যাফে ও রেস্টুরেন্টে ইফতার ও সেহরি এবং খাজানা মিঠাই, মিঠাইওয়ালা, বাংলার মিষ্টি, মদীনা ডেটস এন্ড ফ্রুটস-এ সুইটমিট অর্ডারে E24 কুপন ব্যবহার করে ডিসকাউন্ট পাওয়া যাবে।

ইলেকট্রনিক্স ও অ্যাকসেসরিজ- মিনিস্টার, এসকোয়ার ইলেকট্রনিক্স, গ্যাজেট এন্ড গিয়ার, সিঙ্গার, এলজি বাটারফ্লাই, র‍্যাংগস, বেস্ট ইলেকট্রনিক্স, ট্রান্সকম ডিজিটাল সহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ডের নির্দিষ্ট আউটলেট থেকে পণ্য কেনাকাটায় মিলবে ডিসকাউন্ট। পাশাপাশি, আল হারামাইন পারফিউমস, কেজেড, পারফিউম ওয়ার্ল্ড, হিজাব বুক, গীতাঞ্জলি জুয়েলার্স, জেমস গ্যালারি, কিডস এন্ড মম, কার্নেশিয়া, স্পোর্টস ওয়ার্ল্ড, টপ টেন মার্ট-এ ঈদ উৎসবের নানা অনুসঙ্গ কেনায়ও E24 কুপনটি ব্যবহার করা যাবে।

সেলুন ও বিউটি পার্লারে সাজ-সজ্জা- ঈদের সব কেনাকাটা শেষে বাকি থাকে সাজ-সজ্জা, তা নারী-পুরুষ নির্বিশেষে। গালা মেকওভার স্টুডিও এন্ড সেলুন, ফারজানা শাকিল'স সেলুন, হেয়ার বার, পার্সোনা, ওম্যান’স ওয়ার্ল্ড, স্টুডিও অমব্রে, জাওয়াদ হাবীব হেয়ার এন্ড বিউটি ওম্যান, রেজুভেন্যাট সহ আরো বেশকিছু সেলুন ও বিউটি পার্লারে E24 কুপন ব্যবহারে মিলবে ডিসকাউন্ট।

অনলাইন শপ ও ফেসবুক পেজে ক্যাশব্যাক

আড়ং, পিকাবু, দারাজ, অথবা, মোনার্ক মার্ট, স্টার টেক, সেবা.এক্সওয়াইজেড, দ্বীন, সাজ.কম, তুরাগ অ্যাকটিভ, গুটিপা, প্রিস্টিন, লুনেটস সহ আরো বেশকিছু অনলাইন মার্চেন্টে থাকছে ১০% ক্যাশব্যাক, যা ক্যাম্পেইন চলাকালীন মোট ৩০০ টাকা। ঈদকে সামনে রেখে শখের পোষা প্রাণীর জন্য আমারপেট.কম, মিউ মিউ শপ, পোষাপ্রাণী.কম এবং আরবান পেট শপেও মিলবে এই ইনস্ট্যান্ট ক্যাশব্যাক।

এদিকে, গ্যাজেটস বাই সাদি, গ্যাজেট ওয়্যার হাউজ বিডি, গ্রিন শপ বিডি, সুন্নাহ শপ, পিপিলিকা সহ আরো বেশকিছু ফেইসবুক পেজে থেকে বিকাশ পেমেন্টে পণ্য অর্ডারে গ্রাহক পেতে পারেন ১০০ টাকা পর্যন্ত ক্যাশব্যাক।

সুপারস্টোর ও অনলাইন গ্রোসারি শপে ডিসকাউন্ট কুপন ও ক্যাশব্যাক

শীর্ষস্থানীয় সুপারস্টোর থেকে প্রয়োজনীয় কেনাকাটায় ন্যূনতম ১,৫০০ টাকা বিকাশ পেমেন্ট করে গ্রাহক পেতে পারেন ৫০ টাকা পর্যন্ত ডিসকাউন্ট কুপন যা দিনে ১ বার এবং অফার চলাকালীন ৩ বার (১৫০ টাকা) নিতে পারবেন। আগোরা, আলমাস সুপার শপ, বিগ বাজার, মীনা বাজার, প্রিন্স বাজার, ইউনিমার্ট, ডেইলি শপিং সহ আরো সুপারস্টোরে মিলবে এই ডিসকাউন্ট। এছাড়াও, দেশব্যাপী স্বপ্ন সুপারস্টোর থেকে দরকারি কেনাকাটায় ন্যূনতম ২,০০০ টাকা বিকাশ পেমেন্ট করলেই গ্রাহক পাবেন ১০০ টাকা ডিসকাউন্ট কুপন, যা দিনে ১ বার এবং অফার চলাকালীন ২ বার (২০০ টাকা) নিতে পারবেন।

পাশাপাশি, অনলাইন গ্রোসারি শপ -- চালডাল.কম, বেঙ্গল মিট, বাজার ৩৬৫, রাজশাহী ভিত্তিক শ্রদ্ধা অনলাইন শপ, এবং ফেইসবুক ভিত্তিক নিওফার্মার্স বাংলাদেশ-এ, বিবাজার২৪.কম --এ প্রয়োজনীয় কেনাকাটায় ন্যূনতম ৩০০ টাকা বিকাশ পেমেন্ট করলেই গ্রাহক পাচ্ছেন ৫% ক্যাশব্যাক, যা অফার চলাকালীন সর্বোচ্চ ১০০ টাকা।

অনলাইনে বাসের টিকেটে ক্রয়ে ক্যাশব্যাক

ঈদের ছুটিতে বাড়ি যাওয়ার জন্য যাত্রি (Jatri) থেকে অনলাইনে বাসের টিকেট কিনে ন্যূনতম ৮০০ টাকা বিকাশ পেমেন্টে পাওয়া যাবে ১০% ক্যাশব্যাক, যা ক্যাম্পেইন চলাকালীন ১০০ টাকা পর্যন্ত।

ক্যাম্পেইনভেদে বিকাশ অ্যাপ, পেমেন্ট গেটওয়ে অথবা *247# ডায়াল করে সফলভাবে পেমেন্টের ক্ষেত্রে অফারগুলো উপভোগ করতে পারবেন গ্রাহকরা। সবগুলো পেমেন্ট ক্যাম্পেইন চলবে ঈদের দিন পর্যন্ত। এই ঈদের কেনাকাটায় বিকাশ পেমেন্টে বিভিন্ন অফার দেখে নেয়া যাবে এই লিংকে -- https://www.bkash.com/campaign/search?category=grocery-shopping%2Cramadan-offer%2Coffline-payment।

   

ওয়ালটন ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ ক্যাম্পেইনের মেয়াদ বাড়ল



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘সেরা পণ্যে সেরা অফার’ স্লোগানো চলতি বছরের ১ মার্চ সারা দেশে শুরু হয়েছিল ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০। এর আওতায় ওয়ালটন ফ্রিজ, টিভি, এয়ার কন্ডিশনার বা এসি, ওয়াশিং মেশিন ও ফ্যানের ক্রেতাদের দেয়া হয়েছে ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ হওয়ার সুযোগ। ইতোমধ্যে ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে মিলিয়নিয়ার হয়েছেন ৩৪ জন ক্রেতা। সারা দেশে গ্রাহক পর্যায়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ওয়ালটনের এই ক্যাম্পেইন। এরই প্রেক্ষিতে আসছে ঈদুল আযহা বা কোরবানি ঈদকে ঘিরে ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ ক্যাম্পেইনের মেয়াদ আরও দুই মাস বাড়িয়েছে ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ।

ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০ এর মেয়াদ ছিল ৩০ এপ্রিল, ২০২৪ পর্যন্ত। যা এবার ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত বাড়ানো হলো। ফলে, দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম ও অনলাইন সেলস প্ল্যাটফর্ম ‘ই-প্লাজা’ থেকে ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন এবং ফ্যান কিনে ক্রেতারা আবারো মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন আরও দুই মাস। এছাড়াও রয়েছে কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত উপহার।

ক্যাম্পেইনের মেয়াদ বাড়ানো প্রসঙ্গে ওয়ালটনের চিফ মার্কেটিং অফিসার দিদারুল আলম খান জানান, প্রতিটি বড় উৎসব উপলক্ষ্যে ক্রেতাদের জন্য বিশেষ সুবিধা দিয়ে আসছে ওয়ালটন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ঈদুল ফিতরের আগে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০ এর আওতায় ওয়ালটন পণ্যের ক্রেতাদের ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ হওয়ার সুবিধা দিয়েছে ওয়ালটন। যা দেশব্যাপী ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ক্রেতাদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। গ্রাহকদের ব্যাপক আগ্রহ এবং কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে ক্যাম্পেইনের মেয়াদ আরো দু’মাস বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে ওয়ালটন পণ্য কিনে মিলিয়নিয়ার হওয়ার এই মিছিলে আরো অধিক সংখ্যক ক্রেতা যুক্ত হতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদী।

সিজন-২০ চলাকালীন ক্রেতারা দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম কিংবা অনলাইনে ই-প্লাজা থেকে পণ্য কেনার পর পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে। এরপর সম্পূর্ণ কম্পিউটারাইজড সিস্টেমে ওয়ালটনের কাছ থেকে ফিরতি এসএমএস-এর মাধ্যমে ক্রেতারা পাচ্ছেন মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগ।

এছাড়াও পাচ্ছেন কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত উপহার। সংশ্লিষ্ট ওয়ালটন প্লাজা বা শোরুম থেকে ক্রেতাদেরকে উপহার বুঝিয়ে দেয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, বিক্রয়োত্তর সেবা কার্যক্রমকে অনলাইন অটোমেশনের আওতায় আনতে ‘ডিজিটাল কাস্টমার ডাটাবেজ’ গড়ে তুলছে ওয়ালটন। সেজন্য দেশব্যাপী চালাচ্ছে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইন চলাকালীন পণ্য কেনার পর ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতিতে ক্রেতার নাম, মোবাইল নম্বর এবং পণ্যের মডেল নম্বরসহ

বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ফলে, ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে গেলেও দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত সেবা পাচ্ছেন গ্রাহক। অন্যদিকে সার্ভিস সেন্টারের প্রতিনিধিরাও গ্রাহকের ফিডব্যাক জানতে পারছেন। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ক্যাম্পেইনের প্রতিটি সিজনেই গ্রাহকদের নানান সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন।

;

ইসলামী ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রা জমা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির উদোগে বৈদেশিক মুদ্রা জমা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। সভায় মূল বিষয়ের উপর আলোচনা করেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী। ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর কাজী মোঃ রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মিফতাহ উদ্দীন ও সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ রফিকুল ইসলাম।

এসময় ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ মাকসুদুর রহমান, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ ইহসানুল ইসলাম ও মোঃ রফিকুল ইসলাম সহ প্রধান কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী ও কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

বাড়ল জ্বালানি তেলের দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্ব বাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে দেশের বাজারে বাড়ানো হয়েছে জ্বালানি তেলের দাম। ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১ টাকা বাড়িয়ে ১০৭ টাকা, পেট্রোল আড়াই টাকা বাড়িয়ে ১২৪ দশমিক ৫ টাকা ও অকটেনের দাম আড়াই টাকা বাড়িয়ে ১২৮ দশমিক ৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। নতুন এই দাম বুধবার (১ মে) থেকে কার্যকর হবে।

এর আগে, গত ৩১ মার্চ লিটার প্রতি ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ২ টাকা ২৫ পয়সা কমিয়ে ১০৬ টাকা নির্ধারণ করে সরকার। তবে অপরিবর্তিত থাকে পেট্রোল, অকটেনের দাম।

তার আগে, মার্চের ৭ তারিখে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হয়। তখন লিটার প্রতি ডিজেল ও কেরোসিন ১০৯ টাকা থেকে কমিয়ে ১০৮.২৫ টাকা, পেট্রোল ১২৫ থেকে কমিয়ে ১২২ টাকা, অকটেন ১৩০ টাকা থেকে কমিয়ে ১২৬ টাকা নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করা হয়।

আর নজিরবিহীন দাম বাড়ানো হয় ২০২২ সালের ৫ আগস্ট রাতে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) জারি করা আদেশে ডিজেল ও কেরোসিন লিটার প্রতি ৩৪ টাকা এবং পেট্রোল ও অকটেনে ৪৬ টাকা দাম বাড়ানো হয়েছিল। তখন ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১১৪ টাকা লিটার, পেট্রোল ১৩০ টাকা এবং অকটেন ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। ওই দাম বৃদ্ধির পর গণপরিবহনের ভাড়া বেড়েছিল সর্বোচ্চ ২২ শতাংশ। তার আগে ২০২১ সালের নভেম্বরে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকায় করা হয়। ওই সময়েও পরিবহন ভাড়া বাড়ানো হয় প্রায় ২৭ শতাংশ।

ওই নজিরবিহীন দাম বৃদ্ধির পর ২০২২ সালের ৩০ আগস্ট জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হয়। ওইদিন প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন ১১৪ টাকা থেকে কমিয়ে ১০৯ টাকা, পেট্রোল ১৩০ থেকে কমিয়ে ১২৫ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা থেকে কমিয়ে ১৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

সরকার জ্বালানি তেলের দামে ভর্তুকি প্রদান থেকে বের হয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখানে আইএমএফের চাপও রয়েছে। ‘জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ নির্দেশিকা’ প্রজ্ঞাপন ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে প্রকাশ করা হয়েছে। ওই ফর্মূলা অনুযায়ী, প্রতিমাসে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে দাম সমন্বয় করা হবে। গেজেট অনুযায়ী, বিপিসি ও অন্যদের কমিশন অপরিবর্তিত থাকবে। শুধু আমদানি মূল্যের তারতম্য প্রতিমাসে কমবেশি হবে।

অকটেন ও পেট্রোল ব্যক্তিগত যানবাহনে বেশি পরিমাণে ব্যবহৃত হয় বিধায় এর মূল্য বিলাস দ্রব্য (লাক্সারি আইটেম) হিসেবে সব সময় ডিজেলের চেয়ে বেশি রাখা হয়। ফর্মূলা অনুযায়ী অকটেনের মূল্য নির্ধারণকালে ডিজেলের সঙ্গে পার্থক্য লিটার প্রতি ন্যূনতম ১০ টাকা যেন থাকে সেজন্য প্রাইসিং ফর্মূলায় ‘α’ ফ্যাক্টর প্রযোজ্য হবে।

;

রাজস্ব আয় বৃদ্ধিতে অটোমেশনের বিকল্প নেই: অর্থ প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজস্ব আয় বৃদ্ধির জন্য অটোমেশনের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনাবিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় গুলশানের ‘আমারি ঢাকা’র গ্র্যান্ড বলরুমে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআরআই) আয়োজিত 'বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ বাড়ানোর প্রয়োজনীয় রূপরেখা' (Bangladesh’s Domestic Resource Mobilisation: Imperatives and a Roadmap) উপস্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সবাই অনলাইনে রিটার্ন সাবমিট করতে পারেন। বাংলাদেশের ইনফরমাল সেক্টর অনেক বড় বিধায় এই সেক্টর থেকে কর আদায় গুরত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে, বেসরকারি খাত আমাদের সঙ্গে থেকে সহায়তা করতে পারে।

ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, মানি মার্কেট, বেসরকারি ও সরকারি ঋণ নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি ‘ক্যাপিটাল মার্কেট’ নিয়ে আরো আলোচনা করা দরকার। কীভাবে আরো বেশি ভালো কোম্পানি মার্কেটে আসে, সে বিষয়ে সবাইকে সচেষ্ট হতে হবে। তাহলে মানি মার্কেটের ওপর চাপ কমবে। ক্যাপিটাল মার্কেট, ইক্যুইটি মার্কেট ও বন্ড মার্কেট বৃদ্ধি করা জরুরি।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশের সফল বাস্তবায়ন শেষে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরলস কাজ করছে বর্তমান সরকার। তার সুযোগ্য পরিচালনায় গত ১৫ বছরে যেসব মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে, সেগুলো থেকে দেশ এখন রিটার্ন পাচ্ছে। ‘আইবাস’ (ইন্টিগ্রেটেড বাজেট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিং সিস্টেম-IBAS) ব্যবস্থাপনার কারণে বাজেটের বাস্তবায়নের দক্ষতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

আগে বাজেট পাস হলেও বাজেট বাস্তবায়ন শুরু হতে অর্থ বছরের প্রথম প্রান্তিক চলে যেতো। বর্তমানে ১ জুলাই থেকেই অফিসগুলো বাজেট ব্যবহার করছে।

আজকের (৩০ এপ্রিল) আলোচনা অনুষ্ঠান থেকে যেসব পরামর্শ উঠে এসেছে, সেগুলো অর্থ মন্ত্রণালয় অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে বলেও আশ্বাস দেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা রাহমাতুল মুনীম ও এফবিসিসিআই'র প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম।

মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিআরআই'র নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পিআরআই'র চেয়ারম্যান ড. জাইদী সাত্তার।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন পিআরআই'র ভাইস চেয়ারম্যান ড. সাদিক আহমেদ, এমসিসিআই'র প্রেসিডেন্ট কামরান টি রহমান, সিএসই চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম, ডিসিসিআই'র প্রেসিডেন্ট আশরাফ আহমেদসহ প্যানেল আলোচকবৃন্দ।

;