কাজী খুররমের মনমর্জিতে চলছে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক, এমডি অপসারণের চেষ্টায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকে তলব



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কাজী খুররম আহমেদ

কাজী খুররম আহমেদ

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্যবস্থাপনা পরিচালক-কে (এমডি) বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ধমক খেয়েছে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ। ব্যাংকের চেয়ারম্যান নয়, বরং এই পর্ষদ এখন চলছে স্রেফ চেয়ারম্যানের ছেলের অঙ্গুলিহেলনে। তিনি নিজের মনমর্জি মতো নিয়োগ দিচ্ছেন আর হটিয়ে দিচ্ছেন। থোড়াই তোয়াক্কা করছেন ব্যাংকের নীতিমালার। নিয়ম ভাঙার অভিযোগে বাংলাদেশ ব্যাংক তলব করেছে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংককে। কোনো সন্তোষজনক জবাব না পেয়ে এমডিকে হাবিবুর রহমানকে পুনর্বহাল করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ নিয়ে রোববার (৩১ মার্চ) পরিচালনা পর্ষদের সভা ডেকেছে ব্যাংকটি।

তবে পর্ষদের কথা কতটা গ্রাহ্য হবে ব্যাংকটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদের ছেলে ও ব্যাংকের সর্বকনিষ্ঠ পরিচালক কাজী খুররম আহমেদের কাছে সেটাই এখন দেখার বিষয়।

আনুষ্ঠানিক ক্ষমতা না থাকলেও স্রেফ 'বাপের জোরে' এই কাজী খুররম আহমেদ তার মত-মর্জিতে ব্যাংক চালাচ্ছেন। যার সবশেষ উদাহরণ ব্যবস্থাপনা পরিচালককে অপসারণের চেষ্টা।

ব্যাংকটির দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র জানায় ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে হাবিবুর রহমানকে মাত্র এক বছর আগেই নিয়োগ দেওয়া হয় এই ব্যাংকে। সেসময়ও এই নিয়োগের একমাত্র প্রস্তাবকারী ছিলেন কাজী খুররম আহমেদ। এক বছর এক মাস যেতে না যেতেই সেই কাজী খুররমই হাবিবুর রহমানকে সরিয়ে দিতে চাইছেন। অভিযোগ হাবিবুর জামায়াতে ইসলামীর লোক। আর সে কারণে তাকে ব্যাংকে রাখা যাবে না।

ঘটনাটি গত ২৯ ফেব্রুয়ারির। সেদিন ব্যাংকের ৩৮৮তম পর্ষদ সভায় নিয়মিত সভা শেষে পুরোপুরি এজেন্ডা বহির্ভূতভাবে এমডিকে অপসারণের প্রস্তাব উত্থাপন করেন কাজী খুররম। এতে হতবাক হন ব্যাংকের অন্য পরিচালকরা।

সূত্র জানায় খুররম আহমেদ সে সময় পর্ষদকে বলেন, "এই এমডিকে রাখলে ব্যাংকের ইমেজ নষ্ট হয়ে যাবে এবং যে কোন সময় পুলিশ আমাদের গ্রেফতার করতে পারে।"

বিষয়টি সহজে মেনে নিচ্ছিলেন না সভায় উপস্থিত কয়েকজন পরিচালক। তারা এই প্রস্তাবের প্রতিবাদ জানান। কিন্তু কারো আপত্তিই আমলে না নিয়ে হাবিবুর রহমানকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর একক সিদ্ধান্ত নেন খুররম। ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে মো. হাবিবুর রহমান যোগ দেন ২০২৩ সালের ১ ফেব্রুয়ারি। এর আগে তিনি ইউনিয়ন ব্যাংক ও সাউথইস্ট ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এএমডি) এবং তার আগে এনসিসি ব্যাংক ও যমুনা ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিএমডি) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

বেসরকারি খাতের তৃতীয় প্রজন্মের ব্যাংক হিসেবে পরিচিত স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক দীর্ঘদিন প্রচলিত ধারায় চললেও ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি থেকে পূর্ণাঙ্গ শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক হিসেবে কার্যক্রম শুরু করে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ চেয়ারম্যান হলেও ব্যাংকের সকল কার্যক্রম চলে কাজী খুররম আহমেদের ইশারায়। ঋণ বিতরণ থেকে শুরু করে নিয়োগ, বদলি, পদোন্নতি সবকিছুই নিয়ন্ত্রণই তার হাতে। তিনিই মূলতঃ এমডির ভূমিকা পালন করেন। এসব কারণে খুররম আহমেদের সঙ্গে বিবাদ তৈরি হয় হাবিবুর রহমানের। আর তাতে খুররম ক্ষিপ্ত হয়ে এমডিকে বিদায় করার উদ্যোগ নেন।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত পর্ষদ সভা প্রায় ২ ঘণ্টা চলার পর কাজী খুররম বলেন, কিছু জরুরি আলোচনা আছে। এ কথা বলে এমডিকে পর্ষদ সভা থেকে বের করে দেন।

তিনি চলে গেলেই খুররম বলেন, "আমাদের এমডি সাহেব জামায়াতে ইসলামীর লোক। তিনি অর্থপাচারের সঙ্গে জড়িত। কোটি কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। তাই তাকে ব্যাংকে রাখা যাবে না। এই মুহূর্ত থেকেই উনাকে (এমডি) ছুটিতে পাঠাবো। এই এমডিকে রাখলে ব্যাংকের ইমেজ নষ্ট হয়ে যাবে এবং যে কোন সময় পুলিশ আমাদের গ্রেফতার করতে পারে।"

খুররম আহমেদের একক সিদ্ধান্তে হতবাক হয়ে পড়েন পরিচালকরা। দুই জন পরিচালক এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেন। নিরব ছিলেন আরও দুইজন। কাজটি ঠিক হলো না বলে মন্তব্য করেন স্বতন্ত্র দুই পরিচালক। অনলাইনে অংশ নেওয়া পরিচালকদের মতামত না নিয়ে শেষ করা হয় সভা।

এই খবর গণমাধ্যমে প্রচারের পরই স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের চেয়ারম্যান কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ ও তার ছেলে ওই ব্যাংকের পরিচালক কাজী খুররম আহমেদকে তলব করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এমডিকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর কারণ জানতে চাইলে সন্তোষজনক কোন জবাব দিতে পারেননি তারা। পরে এমডিকে পুনঃবহালের নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এসময় তাদেরকে জানিয়ে দেওয়া হয় এ ধরণের সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই বাংলাদেশ ব্যাংককে অবগত করতে হবে। এমডি নিয়োগ অপসারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে।

হাবিবুর রহমানের জোরপূর্বক ছুটিতে পাঠানোর বিষয়টি ৩১ মার্চের পর্ষদ সভায় আলোচনা হবে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্র জানায়, এমডির বিরুদ্ধে এমন একটি গুরুতর অভিযোগ পর্ষদ সভায় এজেন্ডায় না তুলে বিবিধ আলোচনায় সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। সর্বসম্মতিতে সিদ্ধান্ত না হওয়ার পরও একজন পরিচালকের জোরপূর্বক সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওই পর্ষদ সভাপতি এমডির বাধ্যতামূলক ছুটির সিদ্ধান্ত দেননি। এমডিকে অপসারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলার যথাযথভাবে পরিপালন করা হয়নি।

কাজী খুররম আহমেদ ব্যাংকটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদের ছেলে হওয়ায় বহু অনিয়ম করেও বহাল রয়েছেন বলে জানিয়েছেন ব্যাংকটির কয়েকজন কর্মকর্তা।

সার্বিক বিষয়ে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের পরিচালক কাজী খুররম আহমেদের বক্তব্য জানতে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মোবাইল ফোনের কল ধরেননি। পরবর্তীতে ব্যাংকের চেয়ারম্যান কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদকে ফোন করা হলে তিনি বলেন 'আমি অসুস্থ, কথা বলতে পারব না'।

   

ওয়ালটন ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ ক্যাম্পেইনের মেয়াদ বাড়ল



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘সেরা পণ্যে সেরা অফার’ স্লোগানো চলতি বছরের ১ মার্চ সারা দেশে শুরু হয়েছিল ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০। এর আওতায় ওয়ালটন ফ্রিজ, টিভি, এয়ার কন্ডিশনার বা এসি, ওয়াশিং মেশিন ও ফ্যানের ক্রেতাদের দেয়া হয়েছে ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ হওয়ার সুযোগ। ইতোমধ্যে ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে মিলিয়নিয়ার হয়েছেন ৩৪ জন ক্রেতা। সারা দেশে গ্রাহক পর্যায়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ওয়ালটনের এই ক্যাম্পেইন। এরই প্রেক্ষিতে আসছে ঈদুল আযহা বা কোরবানি ঈদকে ঘিরে ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ ক্যাম্পেইনের মেয়াদ আরও দুই মাস বাড়িয়েছে ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ।

ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০ এর মেয়াদ ছিল ৩০ এপ্রিল, ২০২৪ পর্যন্ত। যা এবার ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত বাড়ানো হলো। ফলে, দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম ও অনলাইন সেলস প্ল্যাটফর্ম ‘ই-প্লাজা’ থেকে ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন এবং ফ্যান কিনে ক্রেতারা আবারো মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন আরও দুই মাস। এছাড়াও রয়েছে কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত উপহার।

ক্যাম্পেইনের মেয়াদ বাড়ানো প্রসঙ্গে ওয়ালটনের চিফ মার্কেটিং অফিসার দিদারুল আলম খান জানান, প্রতিটি বড় উৎসব উপলক্ষ্যে ক্রেতাদের জন্য বিশেষ সুবিধা দিয়ে আসছে ওয়ালটন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ঈদুল ফিতরের আগে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০ এর আওতায় ওয়ালটন পণ্যের ক্রেতাদের ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ হওয়ার সুবিধা দিয়েছে ওয়ালটন। যা দেশব্যাপী ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ক্রেতাদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। গ্রাহকদের ব্যাপক আগ্রহ এবং কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে ক্যাম্পেইনের মেয়াদ আরো দু’মাস বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে ওয়ালটন পণ্য কিনে মিলিয়নিয়ার হওয়ার এই মিছিলে আরো অধিক সংখ্যক ক্রেতা যুক্ত হতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদী।

সিজন-২০ চলাকালীন ক্রেতারা দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম কিংবা অনলাইনে ই-প্লাজা থেকে পণ্য কেনার পর পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে। এরপর সম্পূর্ণ কম্পিউটারাইজড সিস্টেমে ওয়ালটনের কাছ থেকে ফিরতি এসএমএস-এর মাধ্যমে ক্রেতারা পাচ্ছেন মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগ।

এছাড়াও পাচ্ছেন কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত উপহার। সংশ্লিষ্ট ওয়ালটন প্লাজা বা শোরুম থেকে ক্রেতাদেরকে উপহার বুঝিয়ে দেয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, বিক্রয়োত্তর সেবা কার্যক্রমকে অনলাইন অটোমেশনের আওতায় আনতে ‘ডিজিটাল কাস্টমার ডাটাবেজ’ গড়ে তুলছে ওয়ালটন। সেজন্য দেশব্যাপী চালাচ্ছে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইন চলাকালীন পণ্য কেনার পর ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতিতে ক্রেতার নাম, মোবাইল নম্বর এবং পণ্যের মডেল নম্বরসহ

বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ফলে, ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে গেলেও দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত সেবা পাচ্ছেন গ্রাহক। অন্যদিকে সার্ভিস সেন্টারের প্রতিনিধিরাও গ্রাহকের ফিডব্যাক জানতে পারছেন। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ক্যাম্পেইনের প্রতিটি সিজনেই গ্রাহকদের নানান সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন।

;

ইসলামী ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রা জমা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির উদোগে বৈদেশিক মুদ্রা জমা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। সভায় মূল বিষয়ের উপর আলোচনা করেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী। ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর কাজী মোঃ রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মিফতাহ উদ্দীন ও সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ রফিকুল ইসলাম।

এসময় ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ মাকসুদুর রহমান, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ ইহসানুল ইসলাম ও মোঃ রফিকুল ইসলাম সহ প্রধান কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী ও কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

বাড়ল জ্বালানি তেলের দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্ব বাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে দেশের বাজারে বাড়ানো হয়েছে জ্বালানি তেলের দাম। ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১ টাকা বাড়িয়ে ১০৭ টাকা, পেট্রোল আড়াই টাকা বাড়িয়ে ১২৪ দশমিক ৫ টাকা ও অকটেনের দাম আড়াই টাকা বাড়িয়ে ১২৮ দশমিক ৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। নতুন এই দাম বুধবার (১ মে) থেকে কার্যকর হবে।

এর আগে, গত ৩১ মার্চ লিটার প্রতি ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ২ টাকা ২৫ পয়সা কমিয়ে ১০৬ টাকা নির্ধারণ করে সরকার। তবে অপরিবর্তিত থাকে পেট্রোল, অকটেনের দাম।

তার আগে, মার্চের ৭ তারিখে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হয়। তখন লিটার প্রতি ডিজেল ও কেরোসিন ১০৯ টাকা থেকে কমিয়ে ১০৮.২৫ টাকা, পেট্রোল ১২৫ থেকে কমিয়ে ১২২ টাকা, অকটেন ১৩০ টাকা থেকে কমিয়ে ১২৬ টাকা নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করা হয়।

আর নজিরবিহীন দাম বাড়ানো হয় ২০২২ সালের ৫ আগস্ট রাতে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) জারি করা আদেশে ডিজেল ও কেরোসিন লিটার প্রতি ৩৪ টাকা এবং পেট্রোল ও অকটেনে ৪৬ টাকা দাম বাড়ানো হয়েছিল। তখন ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১১৪ টাকা লিটার, পেট্রোল ১৩০ টাকা এবং অকটেন ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। ওই দাম বৃদ্ধির পর গণপরিবহনের ভাড়া বেড়েছিল সর্বোচ্চ ২২ শতাংশ। তার আগে ২০২১ সালের নভেম্বরে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকায় করা হয়। ওই সময়েও পরিবহন ভাড়া বাড়ানো হয় প্রায় ২৭ শতাংশ।

ওই নজিরবিহীন দাম বৃদ্ধির পর ২০২২ সালের ৩০ আগস্ট জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হয়। ওইদিন প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন ১১৪ টাকা থেকে কমিয়ে ১০৯ টাকা, পেট্রোল ১৩০ থেকে কমিয়ে ১২৫ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা থেকে কমিয়ে ১৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

সরকার জ্বালানি তেলের দামে ভর্তুকি প্রদান থেকে বের হয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখানে আইএমএফের চাপও রয়েছে। ‘জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ নির্দেশিকা’ প্রজ্ঞাপন ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে প্রকাশ করা হয়েছে। ওই ফর্মূলা অনুযায়ী, প্রতিমাসে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে দাম সমন্বয় করা হবে। গেজেট অনুযায়ী, বিপিসি ও অন্যদের কমিশন অপরিবর্তিত থাকবে। শুধু আমদানি মূল্যের তারতম্য প্রতিমাসে কমবেশি হবে।

অকটেন ও পেট্রোল ব্যক্তিগত যানবাহনে বেশি পরিমাণে ব্যবহৃত হয় বিধায় এর মূল্য বিলাস দ্রব্য (লাক্সারি আইটেম) হিসেবে সব সময় ডিজেলের চেয়ে বেশি রাখা হয়। ফর্মূলা অনুযায়ী অকটেনের মূল্য নির্ধারণকালে ডিজেলের সঙ্গে পার্থক্য লিটার প্রতি ন্যূনতম ১০ টাকা যেন থাকে সেজন্য প্রাইসিং ফর্মূলায় ‘α’ ফ্যাক্টর প্রযোজ্য হবে।

;

রাজস্ব আয় বৃদ্ধিতে অটোমেশনের বিকল্প নেই: অর্থ প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজস্ব আয় বৃদ্ধির জন্য অটোমেশনের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনাবিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় গুলশানের ‘আমারি ঢাকা’র গ্র্যান্ড বলরুমে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআরআই) আয়োজিত 'বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ বাড়ানোর প্রয়োজনীয় রূপরেখা' (Bangladesh’s Domestic Resource Mobilisation: Imperatives and a Roadmap) উপস্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সবাই অনলাইনে রিটার্ন সাবমিট করতে পারেন। বাংলাদেশের ইনফরমাল সেক্টর অনেক বড় বিধায় এই সেক্টর থেকে কর আদায় গুরত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে, বেসরকারি খাত আমাদের সঙ্গে থেকে সহায়তা করতে পারে।

ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, মানি মার্কেট, বেসরকারি ও সরকারি ঋণ নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি ‘ক্যাপিটাল মার্কেট’ নিয়ে আরো আলোচনা করা দরকার। কীভাবে আরো বেশি ভালো কোম্পানি মার্কেটে আসে, সে বিষয়ে সবাইকে সচেষ্ট হতে হবে। তাহলে মানি মার্কেটের ওপর চাপ কমবে। ক্যাপিটাল মার্কেট, ইক্যুইটি মার্কেট ও বন্ড মার্কেট বৃদ্ধি করা জরুরি।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশের সফল বাস্তবায়ন শেষে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরলস কাজ করছে বর্তমান সরকার। তার সুযোগ্য পরিচালনায় গত ১৫ বছরে যেসব মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে, সেগুলো থেকে দেশ এখন রিটার্ন পাচ্ছে। ‘আইবাস’ (ইন্টিগ্রেটেড বাজেট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিং সিস্টেম-IBAS) ব্যবস্থাপনার কারণে বাজেটের বাস্তবায়নের দক্ষতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

আগে বাজেট পাস হলেও বাজেট বাস্তবায়ন শুরু হতে অর্থ বছরের প্রথম প্রান্তিক চলে যেতো। বর্তমানে ১ জুলাই থেকেই অফিসগুলো বাজেট ব্যবহার করছে।

আজকের (৩০ এপ্রিল) আলোচনা অনুষ্ঠান থেকে যেসব পরামর্শ উঠে এসেছে, সেগুলো অর্থ মন্ত্রণালয় অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে বলেও আশ্বাস দেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা রাহমাতুল মুনীম ও এফবিসিসিআই'র প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম।

মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিআরআই'র নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পিআরআই'র চেয়ারম্যান ড. জাইদী সাত্তার।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন পিআরআই'র ভাইস চেয়ারম্যান ড. সাদিক আহমেদ, এমসিসিআই'র প্রেসিডেন্ট কামরান টি রহমান, সিএসই চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম, ডিসিসিআই'র প্রেসিডেন্ট আশরাফ আহমেদসহ প্যানেল আলোচকবৃন্দ।

;