ওয়ালটনের পৃষ্ঠপোষকতায় বুয়েটে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ল্যাব উদ্বোধন, বাইক উপহার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মাল্টিন্যাশনাল বাংলাদেশি ব্র্যান্ড ওয়ালটনের পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ ল্যাব উদ্বোধন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে গবেষণার জন্য ওয়ালটনের তৈরি তাকিওন ১.০০ মডেলের ইলেকট্রিক বাইক উপহারও দেওয়া হয়।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ওয়ালটন থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গবেষণা ও উদ্ভাবনে একসঙ্গে কাজ করার প্রত্যয়ে ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া কোলাবরেশনের অংশ হিসেবে বুয়েটে গড়ে তোলা হয়েছে ওই ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ ল্যাব। ল্যাবটির পৃষ্ঠপোষকতা ও সার্বিক ব্যবস্থাপনায় রয়েছে, ওয়ালটন গ্রুপের অন্যতম অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড।

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং (ইসিই) ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ ল্যাবের উদ্বোধন করেন বুয়েটের ভাইস-চ্যান্সেলর (ভিসি) প্রফেসর ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার এবং ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলম।

বুয়েটকে ই-বাইক উপহার ওয়ালটনের

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের এডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর (এএমডি) লিয়াকত আলী, ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র এএমডি মেজর জেনারেল (অব.) ইবনে ফজল শায়েখুজ্জামান, বুয়েটের রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (রাইজ)-এর পরিচালক প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আনিসুজ্জামান তালুকদার, ফ্যাকাল্টি অব পোস্ট গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজের ডিন প্রফেসর ড. আবু রায়হান মো. আলী, ফ্যাকাল্টি অব সায়েন্সের ডিন প্রফেসর ড. জীবন পোদ্দার, ফ্যাকাল্টি অব মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিন প্রফেসর ড. মো. এহসান, ফ্যাকাল্টি অব ইইই’র ডিন প্রফেসর ড. মো. শফিকুল ইসলাম, ফ্যাকাল্টি অব আর্কিটেকচার অ্যান্ড প্ল্যানিংয়ের ডিন প্রফেসর ড. ইশরাত ইসলাম এবং ফ্যাকাল্টি অব সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ডিন প্রফেসর ড. মো. শফিউল বারি, ওয়ালটন কম্পিউটারের চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) মো. তৌহিদুর রহমান রাদ এবং ওয়ালটন ডিজিটেকের ডেপুটি হেড অব মার্কেটিং তানজিমুল হক তন্ময় প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে ওয়ালটন ডিজি-টেকের বিভিন্ন প্রোডাক্ট লাইন নিয়ে বিস্তারিত প্রেজেন্টেশন করেন সিবিও মো. তৌহিদুর রহমান রাদ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা উদ্ভাবনী মেধায় সমৃদ্ধ। কিন্তু গবেষণার পর্যাপ্ত সুযোগ না থাকায় তারা দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। এখন ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া কোলাবরেশনের মাধ্যমে তারা ওয়ালটনে গবেষণা ও উদ্ভাবন নিয়ে কাজ করতে পারছেন। সেজন্য ওয়ালটনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, আমাদের সবার অবদানে দেশীয় শিল্পখাত সমৃদ্ধ হবে। বাংলাদেশের পণ্য বিশ্বজয় করবে। ওয়ালটন বাংলাদেশের টেক জায়ান্ট। ওয়ালটন এখন অনেক বড় প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। বুয়েট সবসময়ই ওয়ালটনের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। আমাদের প্রকৌশলীরা ওয়ালটনের মতো দেশীয় প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে পেরে গর্ববোধ করছে। এই রিসার্চ ল্যাব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ওয়ালটন এবং বুয়েটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে।

দেশের শিল্পখাতে বুয়েটের গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বুয়েটের ভিসি ড. সত্য প্রসাদ মজুমদার বলেন, স্থানীয় শিল্পখাতের উন্নয়নে বুয়েট সহযোগী হিসেবে কাজ করছে। আমরা দেশীয় পণ্যকে অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয়ে সরকারকে সবময় পরামর্শ দিয়ে আসছি। দেশীয় শিল্পকে নীতিগত সহায়তা দেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের আরো আন্তরিক হতে হবে।

ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলম বলেন, আমাদের প্রকৌশলীরা মেধাবী। তাদের মেধা কাজে লাগাতে হবে। আমাদের যে সামর্থ্য আছে, সেটার সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে আমাদের শিল্পখাত অনেক এগিয়ে যাবে। দেশ এগিয়ে যাবে। আমরা সমৃদ্ধশালী হবো।

তিনি বলেন, দেশের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গবেষণা ও উদ্ভাবনের সঙ্গে জড়িত। কিন্তু তাদের কাজের স্বীকৃতি ও ব্র্যান্ডিং হচ্ছে না। বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও মেশিনারিজের সমন্বয় ঘটছে ওয়ালটনে। ফলে, মেধাবীরা ওয়ালটনে সুযোগ পাবেন প্রযুক্তি নিয়ে আরো নিবিড়ভাবে কাজ করার।

তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য ওয়ালটনকে অন্যতম সেরা গ্লোবাল ব্র্যান্ডে পরিণত করার মাধ্যমে বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করা। দেশের মেধাবী প্রকৌশলীরা যখন দেশেই গবেষণা ও উদ্ভাবনের পর্যাপ্ত সুযোগ পাবেন, তখন সেই লক্ষ্য অর্জন সহজ হবে। সেজন্য ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমিয়া কোলাবরেশনের মাধ্যমে এই ল্যাব তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

ইনোভেশন ও প্রযুক্তিগত শিল্পের উন্নয়নে ওয়ালটন এবং বুয়েট একসঙ্গে কাজ করছে। বুয়েটের সঙ্গে আমাদের এই সুগভীর সম্পর্ক চলমান থাকবে। আমাদের প্রত্যাশা, এই রিসার্চ ল্যাব প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে স্বনামধন্য এই বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এবং ওয়ালটন উভয় পক্ষই উপকৃত হবে।

রিসার্চ ল্যাব উদ্বোধনের পাশাপাশি বুয়েটকে নিজস্ব কারখানায় তৈরি পরিবেশবান্ধব ই-বাইক- ‘তাকিওন ১.০০’ উপহার দিয়েছে ওয়ালটন। বুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলরের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে ই-বাইকের চাবি হস্তান্তর করেন ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলম।

জানা গেছে, গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে নতুন মডেলের এই ইলেকট্রিক বাইক বাজারে ছাড়ে ওয়ালটন। পরিবেশবান্ধব এই ই-বাইক সাশ্রয়ী মূল্যে বাজারে আসে ৩টি ভার্সনে। মাত্র ৬ থেকে ৮ ঘণ্টা চার্জে এই বাইকে ৭০ কিলোমিটার পর্যন্ত পথ পাড়ি দে্ওয়া যায়। প্রতি কিলোমিটারে সর্বোচ্চ খরচ পড়ছে মাত্র ১৫ পয়সা।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি গবেষণার কেন্দ্র হয়ে উঠেছে ওয়ালটন। ওয়ালটন কারখানায় বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে প্রতিনিয়ত গবেষণা ও উদ্ভাবন (রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন) কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

এ কার্যক্রম গতিশীল করছে শিল্পখাত এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ উদ্যোগ।

এরই প্রেক্ষিতে সম্প্রতি প্রযুক্তিপণ্যের গবেষণা ও উদ্ভাবনে পারস্পরিক জ্ঞান বিনিময়ের উদ্দেশ্যে বুয়েটসহ দেশের শীর্ষ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ওয়ালটন। এসব চুক্তি ও রিসার্চ ল্যাব চালুর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ওয়ালটন কারখানায় গবেষণা ও কাজের সুযোগ পাচ্ছেন। এর মধ্যে রয়েছে- গ্রাজুয়েট ও আন্ডারগ্রাজুয়েট শিক্ষার্থীদের থিসিস, কারখানায় ইন্টার্নশিপ ও ট্রেইনিং, পরামর্শক দলের কারখানা পরিদর্শন, কর্মী উন্নয়ন ইত্যাদি।

চুক্তির অংশ হিসেবেই বুয়েটে গড়ে তোলা হয়েছে, এই ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিসার্চ ল্যাব। সংশ্লিষ্টদের প্রত্যাশা, এই রিসার্চ ল্যাব চালু হওয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা এবং প্রযুক্তিপণ্য উৎপাদনখাত আরো সমৃদ্ধ হবে। পাশাপাশি ‘ব্রেইন ড্রেইন’-এর মতো অভিশাপের মাধ্যমে দেশের মেধা পাচার বন্ধ হবে। দেশের শিল্পোন্নয়নে দেশের মেধা কাজে লাগবে। আগামীদিনে দেশকে নেতৃত্ব দিতে তরুণ প্রজন্ম তৈরি হবে।

   

সিলেটে অনুষ্ঠিত হলো এয়ার এ্যাস্ট্রা’র বিজনেস পার্টনার মিট



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সিলেটে অনুষ্ঠিত হলো এয়ার এ্যাস্ট্রা’র বিজনেস পার্টনার মিট

সিলেটে অনুষ্ঠিত হলো এয়ার এ্যাস্ট্রা’র বিজনেস পার্টনার মিট

  • Font increase
  • Font Decrease

এয়ার এ্যাস্ট্রা’র সম্মানিত ট্রেড পার্টনারদের সৌজন্যে ০২ মে বৃহস্পতিবার, সিলেট এর রোজ ভিউ হোটেল এক মতবিনিময় সভা’র আয়োজন করা হয়।

‘এয়ার এ্যাস্ট্রা বিজনেস পার্টনার মিট’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে সিলেটের বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সির প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এয়ার এ্যাস্ট্রার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ইমরান আসিফ, চিফ কমার্শিয়াল অফিসার সোহেল মাজিদসহ প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

এয়ার এ্যাস্ট্রা’র সিইও ইমরান আসিফ বলেন, বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের গন্তব্য সিলেট এয়ার এ্যাস্ট্রা’র জন্য গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য। বর্তমানে এই রুটে প্রতিদিন দুটি ফ্লাইট পরিচালনা করছে এয়ার এ্যাস্ট্রা, যাত্রী চাহিদা বৃদ্ধি পেলে খুব শিঘ্রই আরও ফ্লাইট এই রুটে যুক্ত করা হবে।

সিলেটের পাশাপাশি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রুটে চারটি, কক্সবাজার রুটে চারটি ও সৈয়দপুর রুটে প্রতিদিন তিনটি ফ্লাইট পরিচালনা করছে এয়ার এ্যাস্ট্রা। এয়ার এ্যাস্ট্রা সম্মানিত যাত্রীদের সুবিধার্থে ইন-ফ্লাইট ম্যাগাজিন ও শিশুদের জন্য ফানবুক প্রদান করে থাকে।

যাত্রীরা ফ্লাইট টিকিট এয়ার এ্যাস্ট্রা’র ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপস, সেলস অফিস, অনলাইন ও অফলাইন্ ট্রাভেল এজেন্সি থেকে ক্রয় করতে পারবেন। এয়ার এ্যাস্ট্রা’র বহরে বর্তমানে তিনটি এটিআর ৭২-৬০০ এয়ারক্রাফট রয়েছে, যা ফ্রান্সে নির্মিত সর্বাধুনিক প্রযুক্তির টার্বোপ্রপ এয়ারক্রাফট এবং ৭০ জন যাত্রী বহন করতে সক্ষম। খুব শিঘ্রই আন্তর্জাতিক রুটেও ডানা মেলবে এয়ার এ্যাস্ট্রা।

;

ভর্তুকি কমাতে বছরে চারবার বাড়বে বিদ্যুতের দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভর্তুকি কমিয়ে আনতে বছরে চারবার বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করবে সরকার। পর্যায়ক্রমে আগামী তিন বছর এভাবেই বাড়ানো হবে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) সচিবালয়ে আইএমএফের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগ এ কথা জানিয়েছে।

জানা গেছে, চলতি মাসে আবারও বাড়তে পারে জ্বালানি তেলের মূল্য। বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে মূল্য বাড়াবে। তবে বিশ্ববাজারে কমলে এখানেও কমানো হবে। এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার একটি নির্দেশিকা জারি করেছে।

সমন্বয়ের নামে মূলত বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হচ্ছে জানিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকার খরচ কমিয়েও ভর্তুকি সমন্বয় করতে পারে। অনিয়ম, দুর্নীতি, অপচয় রোধ করে বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ কমানোর দিকে সরকারের মনোযোগ নেই। বরং চাহিদা না থাকলেও দরপত্র ছাড়া একের পর এক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করে এ খাতের খরচ আরও বাড়াচ্ছে।

আইএমএফের প্রতিনিধিদল বৃহস্পতিবার জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, পেট্রোবাংলা, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) সঙ্গেও বৈঠক করেছে। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, পেট্রোবাংলা ও বিপিসি প্রায় একইভাবে আইএমএফকে জানিয়েছে, গ্যাস ও জ্বালানি তেলে নতুন করে ভর্তুকির চাপ নেই। তেলের দাম নিয়ে স্বয়ংক্রিয় যে পদ্ধতি (আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়লে দেশে বাড়বে, কমলে কমবে) চালু করার কথা আইএমএফ বলেছিল, তা হয়েছে। প্রতি মাসে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হচ্ছে। এতে জ্বালানি তেলে আর কখনো ভর্তুকি দিতে হবে না। প্রথম দুই দফায় দাম কিছুটা কমানো হলেও শেষ দফায় দাম বেড়েছে। তিন মাস ধরে এ চর্চা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, এ বছর বিদ্যুতের মূল্য আরও কয়েক দফা সমন্বয় করা হবে। এভাবে আগামী তিন বছর চলবে। তবে কোন মাসে সমন্বয় করা হবে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

জ্বালানি তেলের মূল্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে সমন্বয় করা হবে। তবে আমার কাছে মনে হচ্ছে সমন্বয় করা হলেও জ্বালানি তেলের মূল্য খুব বাড়বে না। তবে পরিবর্তন হলে সেটি নির্ভর করবে বৈশ্বিক বাজারের ওপর।

জানা গেছে, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা আসার পর এ পর্যন্ত বিদ্যুতের মূল্য বেড়েছে ১৩ বার।

;

এপ্রিলে পণ্য রফতানি কমেছে ৪ কোটি ডলার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশ থেকে গত এপ্রিলে পণ্য রফতানি থেকে আয় এসেছে ৩ হাজার ৯১৬ দশমিক ৯৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই রফতানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় শূন্য দশমিক ৯৯ শতাংশ কম।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এপ্রিলে ৪৭১ কোটি ডলার রফতানি লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম হয়েছে ১৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে পণ্য রফতানিতে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে, এ সময়ে মোট রফতানির মূল্য ৪ হাজার ৭৪৭ কোটি ডলার। আগের বছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৫৬৮ কোটি টাকা, যা ৫ হাজার ৯৭ কোটি ডলারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ কম হয়েছিল।

রফতানিমুখী শিল্পসংশ্লিষ্টরা বলেছেন, ঈদুল ফিতরের সময়ে কারখানাগুলোয় কার্যাদেশ কম এসেছে। দীর্ঘায়িত ছুটির কারণেও রফতানি চালানের সংখ্যা কমে যায়। এ কারণে পণ্যদ্রব্য রফতানি নিম্নমুখী হয়, তবে ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে একে স্বাভাবিক ঘটনা বলেই উল্লেখ করেছেন।

এখন পণ্য রফতানিতে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা বাংলাদেশকে প্রতিযোগিতাসক্ষম রাখতে সহায়তা করছে। তবে ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হলে সেই সুবিধা আর থাকবে না। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ১৩তম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের যৌথ ঘোষণা অনুযায়ী, এলডিসি থেকে উত্তরণের পরও সংশ্লিষ্ট দেশগুলো তিন বছর শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা পাবে। এ সুবিধা আমদানি ও রফতানিকারক দেশের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এলডিসি হিসেবে আমরা যেসব সুযোগ-সুবিধা পাই, সেসব ভবিষ্যতে থাকবে না। তখন রফতানি বাড়াতে হলে নতুন কৌশল বা উদ্যোগ লাগবে। রফতানিতে অভ্যন্তরীণ সক্ষমতা বাড়াতে পণ্য ও সেবা বহুমুখীকরণ এবং বিনিয়োগ বাড়ানো প্রয়োজন। অন্যদিকে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুুক্তি করার জন্য সরকারের রাজনৈতিক সম্মতি লাগবে।

;

রিটেইল ব্যাংকিং সেবা সহজ করতে প্রাইম ব্যাংক-হিসাবী'র অংশীদারিত্ব



নিউজ ডেস্ক
রিটেইল ব্যাংকিং সেবা সহজ করতে প্রাইম ব্যাংক-হিসাবী'র অংশীদারিত্ব

রিটেইল ব্যাংকিং সেবা সহজ করতে প্রাইম ব্যাংক-হিসাবী'র অংশীদারিত্ব

  • Font increase
  • Font Decrease

রিটেইল ব্যাংকিং সেবাকে আরও সহজ করতে বাংলাদেশের দ্রুত প্রসারমান স্ট্যার্টআপ হিসাবীর সাথে অংশীদারিত্ব করেছে বেসরকারি প্রাইম ব্যাংক পিএলসি। সম্প্রতি উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

এই অংশীদারিত্বের ফলে হিসাবী দোকান অ্যাপ ব্যবহারকারীরা এখন থেকে বাধাহীনভাবে প্রাইম ব্যাংকের বিভিন্ন সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। এই চুক্তির ফলে রিটেইলারদের ব্যাংকিং অভিজ্ঞতায় এক দারুণ পরিবর্তন আসবে এবং লেনদেন আরও সহজ হবে।

প্রাইম ব্যাংকের কনজুমার ব্যাংকিং বিভাগের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নাজিম এ. চৌধুরী এবং হিসাবী'র পক্ষ থেকে রাকিন মোহাম্মদ সাভি (প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা) নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে চুক্তিতে সই করেন, যা রিটেইলারদের পেশাগত কাজের সাথে সরাসরি ব্যাংকিং সেবা যুক্ত করে তাদের ক্ষমতায়ন করার প্রতিশ্রুতি। ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তিকরণের লক্ষ্য অর্জন এবং হাসাবী'র রিটেইল নেটওয়ার্ককে আরও দক্ষ করে তুলতে এই চুক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং নতুন নতুন উদ্ভাবন ও গ্রহক সেবা বাড়াতে উভয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।

;