কমেছে সামিট পাওয়ার ও সামিট অ্যালায়েন্সের মুনাফা

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সামিট গ্রুপের প্রতিষ্ঠান সামিট পাওয়ারের মুনাফা আগের বছরের তুলনায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। কোম্পানিটি আগের বছর ৪১৩ কোটি ২৪ লাখ টাকা মুনাফা করলেও ২০২২-২৩ অর্থবছরে মুনাফা করেছে ২২১ কোটি টাকা।

সামিট গ্রুপের অপর প্রতিষ্ঠান সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট লিমিটেডের ব্যবসা ও মুনাফা কমে এসেছে তথ্য পাওয়া গেছে। ২০২৩-২৪ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে বলে অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন বলা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সিঙ্গাপুর ভিত্তিক হোল্ডিং কোম্পানি সামিট পাওয়ার ইন্টারন্যাশনালের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সামিট পাওয়ার লিমিটেড। কোম্পানিটির বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ১৫টি বিদ্যুৎ কেন্দ্র রয়েছে। যার মোট উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে ৯৭৫ মেগাওয়াট। কোম্পানিটি শেয়ার হোল্ডারদের ১০ শতাংশ হারে ডিভিডেন্ড প্রস্তাব করেছে।

কোম্পানিটি দাবি করেছে, জ্বালানির দাম ও ডলারের বিনিময় হারে তারতম্যের কারণে মুনাফা কমেছে। এ ছাড়া লোকাল ব্যাংকের মাধ্যমে বিল পরিশোধে বিলম্বের কারণেও ঘাটতি হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সরকারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করে কোম্পানিটি। তাদের আপত্তি ছিল, অনেক দেরিতে যখন বিল পরিশোধ করা হচ্ছে তখন ডলারের দর আর আগের অবস্থায় নেই। কিন্তু বিল করার সময়ের ডলার রেট দেওয়া হয়েছে তাই দেওয়া হয়েছে। এ কারণে আগের তুলনায় তাদের মুনাফা কমে এসেছে।

অন্যদিকে সেবা খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি সামিট অ্যালায়েন্স পোর্ট লিমিটেডের ব্যবসা ও মুনাফা চলতি ২০২৩-২৪ হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় কমেছে। সামিট অ্যালায়েন্স পোর্টের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০২৩-২৪ হিসাব বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে কোম্পানিটির আয় হয়েছে ৪৫ কোটি ২২ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ৪৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। এক বছরের ব্যবধানে কোম্পানিটির আয় কমেছে প্রায় ৫ শতাংশ।

আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির কর-পরবর্তী নিট মুনাফা হয়েছে ৮ কোটি ৫২ লাখ টাকা, আগের হিসাব বছরের একই সময়ে যা ছিল ১০ কোটি ৯৬ লাখ টাকা। এ সময়ে কোম্পানিটির নিট মুনাফা কমেছে ২২ শতাংশের বেশি। চলতি হিসাব বছরের প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৬ পয়সা, যা আগের হিসাব বছরের একই সময়ে ছিল ৪৬ পয়সা।

মূলত বন্দরে পণ্য হ্যান্ডলিং কমে যাওয়ার কারণে কোম্পানিটির আয় কমে গেছে। এতে কর-পরবর্তী নিট মুনাফাও কমেছে। কোম্পানিটির প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।