লেনদেনের অস্বস্তি বাড়ছে পুঁজিবাজারে
![লেনদেনের অস্বস্তি বাড়ছে পুঁজিবাজারে](https://imaginary.barta24.com/resize?width=800&height=450&format=webp&quality=85&path=uploads/news/2023/Dec/02/1701501933549.jpg)
লেনদেনের অস্বস্তি বাড়ছে পুঁজিবাজারে
দেশের শেয়ারবাজারে দিন দিন অস্থিরতা বাড়ছেই। সমাপ্ত সপ্তাহেও বেশিরভাগ কার্যদিবসে পতন দেখেছে পুঁজিবাজার। ফলে সপ্তাহ শেষে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচক কমেছে। ধারাবাহিকভাবে গত সপ্তাহেও লেনদেন ও বাজার মূলধন কম ছিল।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা করে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, গেল সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রধান সূচক 'ডিএসই এক্স' ১০ দশমিক ৬৮ পয়েন্ট হারিয়েছে। গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ডিএসইর এ সূচকটি কমছে। গত সপ্তাহের পতন শেষে সূচকটি স্থির হয়েছে ৬ হাজার ২২৩ পয়েন্টে।
প্রধান সূচক কমলেও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের অপর দুই সূচক বেড়েছে। শরীয়াহভিত্তিক কোম্পানিগুলোর সূচক 'ডিএসই এস' গত সপ্তাহে দশমিক ৬৭ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়েছে। আর বাছাই করা কোম্পানিগুলোর সূচক 'ডিএস ৩০' বেড়েছে ১ দশমিক ৬১ পয়েন্ট।
দেশের প্রধান শেয়ারবাজারে গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই লেনদেন কমছে। এবার ডিএসইর সাপ্তাহিক লেনদেন নেমে এসেছে দুই হাজার কোটির নিচে। গত সপ্তাহের পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইতে ৬২ কোটি ৬৭ লাখ ৭১ হাজার ২০৭টি শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। এসব শেয়ারের বাজারমূল্য ছিল ১ হাজার ৯০৭ কোটি ৯১ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ২ হাজার ২ কোটি ১০ লাখ টাকা। এ হিসেবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের সাপ্তাহিক লেনদেন কমেছে ৯৪ কোটি টাকা।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই ডিএসইতে লেনদেন কমছে। খাতসংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, ব্যাংকের আমানতের সুদহার বৃদ্ধি এবং রাজনৈতিক অস্থিরতার কিছুটা প্রভাব পুঁজিবাজারে পড়েছে। ফলে লেনদেনে অস্বস্তি শুরু হয়েছে।
এদিকে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে দেশের শেয়ারবাজারের বাজার মূলধনও কমছে। সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৭২ হাজার ৪৯১ কোটি ৫৫ লাখ ৭৪ হাজার ২৫৫ টাকা। সপ্তাহ শেষে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৭১ হাজার ৮১৬ কোটি ৯০ লাখ ৭৭ হাজার ৬৩৭ টাকায়। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ৬৭৪ কোটি ৬৪ লাখ ৯৬ হাজার ৬১৮ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেনে অংশ নেয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে ২২২টির শেয়ার দর অপরিবর্তিত ছিল। দর কমেছে ৯২টির। বিপরীতে ৬৩ কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে। এছাড়াও ২৭ কোম্পানির শেয়ার গত সপ্তাহে লেনদেন হয়নি।
সপ্তাহ শেষে ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং লিমিটেড। এক সপ্তাহে কোম্পানিটির ৮৭ কোটি ৫৩ লাখ টাকা মূল্যের ৩ কোটি ৬২ লাখ ৩২ হাজার ৬৮টি শেয়ার হাতবদল হয়েছে।
এদিকে গেল সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে সবচেয়ে বেশি শেয়ার দর বেড়েছে জিকিউ বলপেন ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের। এক সপ্তাহে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৩২ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেড়েছে। অপরদিকে সর্বোচ্চ দরপতন হওয়া বাংলাদেশ থাই অ্যালুমিনিয়াম লিমিটেডের শেয়ারের দাম কমেছে ২২ দশমিক ৮৯ শতাংশ।