কৃষি ঋণ বিতরণে ব্যর্থ দুই ব্যাংক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা 
কৃষি ঋণ বিতরণে ব্যর্থ দুই ব্যাংক

কৃষি ঋণ বিতরণে ব্যর্থ দুই ব্যাংক

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি অর্থবছরে (২০২৩-২০২৪) দেশে কার্যরত ব্যাংকগুলোকে কৃষি ও পল্লী ঋণ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ। খাদ্য উৎপাদনের বিস্তার ঘটাতে এ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেয়া হয়। তবে অর্থবছরের চার মাসে পাঁচটি ব্যাংক লক্ষ্যমাত্রার ৫ শতাংশেরও কম ঋণ বিতরণ করেছে। যার মধ্যে কৃষি ঋণ বিতরণে পুরোপুরি ব্যর্থতা দেখিয়েছে দুই ব্যাংক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) বেসরকারি খাতের সিটিজেন ব্যাংক এবং বিদেশি ওরি ব্যাংক কৃষি ও পল্লী খাতে কোনো ঋণ বিতরণ করতে পারেনি।

খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার কৃষি ও কৃষি সংশ্লিষ্ট কাজে অর্থ সরবরাহ নিশ্চিত করতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর জন্য কমপক্ষে ২ শতাংশ কৃষি ঋণ বিতরণ বাধ্যতামূলক করেছে। যে-সব ব্যাংক কৃষি ঋণ বিতরণ করবে না, তাদের জরিমানার ব্যবস্থা রেখেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে প্রতিবছরই সাধারণ ঋণ বিতরণের পাশাপাশি বাড়ছে কৃষি ঋণ বিতরণ।

এজন্য বছরের শুরুতে লক্ষ্যও ঠিক করে দেওয়া হচ্ছে। যাতে বছরজুড়ে বিশেষ করে ফসল চাষের শুরুতে কৃষকরা সময় মতো ঋণ পান। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে কৃষি ঋণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। ১৪ বছর আগে এ ঋণের পরিমাণ ছিল ১০ হাজার কোটি টাকার নিচে। ১৪ বছরে কৃষি ঋণ বিতরণ তিনগুণ ছাড়িয়ে গেছে।

জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) বিতরণকৃত কৃষি ও পল্লি ঋণের মধ্যে সরকারি ব্যাংকগুলো বিতরণ করেছে ৩ হাজার ৭৬৯ কোটি টাকা। এছাড়া বিদেশি ব্যাংকগুলো ৮৪৪ কোটি এবং বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলো বিতরণ করেছে ৭ হাজার ৩৪৫ কোটি টাকা। আলোচিত সময়ে লক্ষ্যমাত্রার সবচেয়ে বেশি ঋণ বিতরণ করেছে বিদেশি ব্যাংকগুলো। এই ব্যাংকগুলো লক্ষ্যমাত্রার ৮০ দশমিক ৬৪ শতাংশ ঋণ বিতরণ করেছে। আর বেসরকারি ব্যাংকগুলো ৩৩ দশমিক ৫১ শতাংশ এবং সরকারি ব্যাংকগুলো বিতরণ করেছে লক্ষ্যমাত্রার ৩১ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

ব্যাংকাররা বলছেন, কৃষি ঋণ বিতরণে পরিমাণের পাশাপাশি মানের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। যাতে সব ব্যাংক কৃষি ঋণ বিতরণ করে সে জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে। যে সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের পল্লী অঞ্চলে নিজস্ব শাখা নেই, সেসব ব্যাংক ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থার বা এনজিও মাধ্যমে বিতরণ করে সে ব্যাপারেও নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এক্ষেত্রে ক্ষুদ্র ঋণ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ (এমআরএ) নিবন্ধিত ক্ষুদ্র ঋণ সংস্থার মাধ্যমে কৃষি ঋণ বিতরণ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সুদ নির্ধারণেও এমআরএ নির্ধারিত সুদ হারের যাতে বেশি সুদ না নিতে পারে নির্দেশনা দেওয়া রয়েছে।

কৃষি ঋণ বিতরণের পাশাপাশি কৃষকের ফেরত দেওয়া ঋণের হার সন্তোষজনক। আবার কৃষি ঋণে খেলাপি কৃষকের হারও তুলনামূলক কম। তথ্য বলছে, কৃষি ঋণে খেলাপির হারও ৭ দশমিক ২৪ শতাংশ। অক্টোবর শেষে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ৫৪ হাজার ৮৬২ কোটি টাকা। এ মধ্যে খেলাপির পরিমাণ মাত্র ৩ হাজার ৯৭৪ কোটি টাকা।

ব্যাংকাররা বলছেন, কৃষকেরা কখনো ঋণ জালিয়াতি করেন না। প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ বিভিন্ন কারণে মাঝে মাঝে সমস্যায় পড়েন তারা। কিন্তু দেশের বৃহৎ শিল্প গ্রুপের মত ঋণ খেলাপির প্রবণতা তাদের মধ্যে একেবারেই নেই। তবুও কৃষকদের স্বল্প অর্থের ঋণ আদায়ে বেশি তৎপর ব্যাংকগুলো। মাত্র ৫ হাজার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকার ঋণ আদায় চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত ব্যাংকগুলো মামলা করেছে ৭৪ হাজারের বেশি।

তথ্য বলছে, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে কৃষি খাতে বিতরণ করা ঋণের বিপরীতে আদায় হয়েছে ১০ হাজার ৯৪৮ কোটি টাকা। আর অক্টোবর শেষে এই খাতে বকেয়া ঋণের পরিমাণ ২১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা।

জানা গেছে, এই চার মাসের সবচেয়ে বেশি ঋণ দিয়েছে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক (বিকেবি)। জুলাই-অক্টোবর মাসে মোট ২ হাজার ১৯১ কোটি টাকার কৃষিঋণ বিতরণ করেছে ব্যাংকটি। ৯৮০ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে বেসরকারি খাতের ইসলামী ব্যাংক। আলোচ্য চার মাসে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক ৬৪২ কোটি, ডাচ বাংলা ব্যাংক ৪৮৮ কোটি এবং আইএফআইসি ব্যাংক ৪৭৩ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছে। এছাড়া বিদেশি ব্যাংকগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি পল্লী ও কৃষিঋণ বিতরণ করেছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক। ব্যাংকটির বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ ৫৪১ কোটি টাকা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছর ব্যাংকগুলোকে লক্ষ্যমাত্রার ন্যূনতম ১৩ শতাংশ ঋণ মৎস্য খাতে দিতে হবে। প্রথম চার মাসে এই খাতে ঋণ বিতরণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৭১৫ কোটি টাকা, যা বিতরণকৃত ঋণের ১৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ। আর লক্ষ্যমাত্রার অন্তত ১৫ শতাংশ ঋণ দেওয়ার কথা প্রাণিসম্পদ খাতে। আলোচিত সময়ে পশুসম্পদ ও পোলট্রি খাতে বিতরণ করা হয়েছে ২ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা, যা লক্ষ্যমাত্রার ২৪ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। এছাড়া চার মাস শেষে দারিদ্র বিমোচনে ৮২০ কোটি, শস্য খাতে ৫ হাজার ৩৪৭ কোটি, কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়ে ৭০ কোটি, সেচ যন্ত্রপাতি ক্রয়ে ৭৫ কোটি, শস্য গুদামজাত ও বিপণন খাতে ৪১ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছে ব্যাংকগুলো।

দেশের কৃষকদের দেয়া ঋণ সুবিধার বড় অংশই বিতরণ হচ্ছে এনজিওর মাধ্যমে। ব্যাংক থেকে কৃষকরা ঋণ পান সর্বোচ্চ ৮ শতাংশ সুদে। কিন্তু এনজিওর মাধ্যমে নেয়া ঋণের সুদহার দাঁড়াচ্ছে ২৫-৩০ শতাংশে। প্রান্তিক কৃষকদের কাছে ঋণ পৌঁছার সক্ষমতাই দেশের বেশির ভাগ ব্যাংক তৈরি করতে পারেনি। এ কারণে ব্যাংকগুলো কৃষি খাতের ঋণের ৫০-৮০ শতাংশ এনজিওকে দিয়ে দিচ্ছে। এনজিওগুলো ব্যাংক থেকে ৮ শতাংশ সুদে ঋণ নিয়ে কৃষকদের মধ্যে দ্বিগুণ-তিন গুণ সুদে বিতরণ করছে।

উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছরে (২০২৩-২৪) কৃষি ও পল্লীঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা ১৩ দশমিক ৬০ শতাংশ বৃদ্ধি করে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩৫ হাজার কোটি টাকা। কম সুদে কৃষকদের হাতে ঋণ পৌঁছাতে এবার ক্ষুদ্র ঋণদাতা সংস্থার (এমএফআই) ওপর বেসরকারি ব্যাংকের নির্ভরশীলতা আরও কমিয়ে আনা হচ্ছে। আর এ জন্য ব্যাংকের নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে অন্তত ৫০ শতাংশ কৃষিঋণ বিতরণ বাধ্যতামূলক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক, যা এতদিন ছিল ৩০ শতাংশ। এ ছাড়া কৃষিঋণের কত অংশ কোন খাতে দিতে হবে, তাও নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।

   

ওয়ালটন ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ ক্যাম্পেইনের মেয়াদ বাড়ল



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘সেরা পণ্যে সেরা অফার’ স্লোগানো চলতি বছরের ১ মার্চ সারা দেশে শুরু হয়েছিল ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০। এর আওতায় ওয়ালটন ফ্রিজ, টিভি, এয়ার কন্ডিশনার বা এসি, ওয়াশিং মেশিন ও ফ্যানের ক্রেতাদের দেয়া হয়েছে ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ হওয়ার সুযোগ। ইতোমধ্যে ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে মিলিয়নিয়ার হয়েছেন ৩৪ জন ক্রেতা। সারা দেশে গ্রাহক পর্যায়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ওয়ালটনের এই ক্যাম্পেইন। এরই প্রেক্ষিতে আসছে ঈদুল আযহা বা কোরবানি ঈদকে ঘিরে ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ ক্যাম্পেইনের মেয়াদ আরও দুই মাস বাড়িয়েছে ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ।

ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০ এর মেয়াদ ছিল ৩০ এপ্রিল, ২০২৪ পর্যন্ত। যা এবার ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত বাড়ানো হলো। ফলে, দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম ও অনলাইন সেলস প্ল্যাটফর্ম ‘ই-প্লাজা’ থেকে ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন এবং ফ্যান কিনে ক্রেতারা আবারো মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন আরও দুই মাস। এছাড়াও রয়েছে কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত উপহার।

ক্যাম্পেইনের মেয়াদ বাড়ানো প্রসঙ্গে ওয়ালটনের চিফ মার্কেটিং অফিসার দিদারুল আলম খান জানান, প্রতিটি বড় উৎসব উপলক্ষ্যে ক্রেতাদের জন্য বিশেষ সুবিধা দিয়ে আসছে ওয়ালটন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ঈদুল ফিতরের আগে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০ এর আওতায় ওয়ালটন পণ্যের ক্রেতাদের ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ হওয়ার সুবিধা দিয়েছে ওয়ালটন। যা দেশব্যাপী ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ক্রেতাদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। গ্রাহকদের ব্যাপক আগ্রহ এবং কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে ক্যাম্পেইনের মেয়াদ আরো দু’মাস বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে ওয়ালটন পণ্য কিনে মিলিয়নিয়ার হওয়ার এই মিছিলে আরো অধিক সংখ্যক ক্রেতা যুক্ত হতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদী।

সিজন-২০ চলাকালীন ক্রেতারা দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম কিংবা অনলাইনে ই-প্লাজা থেকে পণ্য কেনার পর পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে। এরপর সম্পূর্ণ কম্পিউটারাইজড সিস্টেমে ওয়ালটনের কাছ থেকে ফিরতি এসএমএস-এর মাধ্যমে ক্রেতারা পাচ্ছেন মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগ।

এছাড়াও পাচ্ছেন কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত উপহার। সংশ্লিষ্ট ওয়ালটন প্লাজা বা শোরুম থেকে ক্রেতাদেরকে উপহার বুঝিয়ে দেয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, বিক্রয়োত্তর সেবা কার্যক্রমকে অনলাইন অটোমেশনের আওতায় আনতে ‘ডিজিটাল কাস্টমার ডাটাবেজ’ গড়ে তুলছে ওয়ালটন। সেজন্য দেশব্যাপী চালাচ্ছে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইন চলাকালীন পণ্য কেনার পর ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতিতে ক্রেতার নাম, মোবাইল নম্বর এবং পণ্যের মডেল নম্বরসহ

বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ফলে, ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে গেলেও দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত সেবা পাচ্ছেন গ্রাহক। অন্যদিকে সার্ভিস সেন্টারের প্রতিনিধিরাও গ্রাহকের ফিডব্যাক জানতে পারছেন। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ক্যাম্পেইনের প্রতিটি সিজনেই গ্রাহকদের নানান সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন।

;

ইসলামী ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রা জমা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির উদোগে বৈদেশিক মুদ্রা জমা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। সভায় মূল বিষয়ের উপর আলোচনা করেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী। ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর কাজী মোঃ রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মিফতাহ উদ্দীন ও সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ রফিকুল ইসলাম।

এসময় ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ মাকসুদুর রহমান, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ ইহসানুল ইসলাম ও মোঃ রফিকুল ইসলাম সহ প্রধান কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী ও কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

বাড়ল জ্বালানি তেলের দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্ব বাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে দেশের বাজারে বাড়ানো হয়েছে জ্বালানি তেলের দাম। ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১ টাকা বাড়িয়ে ১০৭ টাকা, পেট্রোল আড়াই টাকা বাড়িয়ে ১২৪ দশমিক ৫ টাকা ও অকটেনের দাম আড়াই টাকা বাড়িয়ে ১২৮ দশমিক ৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। নতুন এই দাম বুধবার (১ মে) থেকে কার্যকর হবে।

এর আগে, গত ৩১ মার্চ লিটার প্রতি ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ২ টাকা ২৫ পয়সা কমিয়ে ১০৬ টাকা নির্ধারণ করে সরকার। তবে অপরিবর্তিত থাকে পেট্রোল, অকটেনের দাম।

তার আগে, মার্চের ৭ তারিখে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হয়। তখন লিটার প্রতি ডিজেল ও কেরোসিন ১০৯ টাকা থেকে কমিয়ে ১০৮.২৫ টাকা, পেট্রোল ১২৫ থেকে কমিয়ে ১২২ টাকা, অকটেন ১৩০ টাকা থেকে কমিয়ে ১২৬ টাকা নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করা হয়।

আর নজিরবিহীন দাম বাড়ানো হয় ২০২২ সালের ৫ আগস্ট রাতে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) জারি করা আদেশে ডিজেল ও কেরোসিন লিটার প্রতি ৩৪ টাকা এবং পেট্রোল ও অকটেনে ৪৬ টাকা দাম বাড়ানো হয়েছিল। তখন ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১১৪ টাকা লিটার, পেট্রোল ১৩০ টাকা এবং অকটেন ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। ওই দাম বৃদ্ধির পর গণপরিবহনের ভাড়া বেড়েছিল সর্বোচ্চ ২২ শতাংশ। তার আগে ২০২১ সালের নভেম্বরে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকায় করা হয়। ওই সময়েও পরিবহন ভাড়া বাড়ানো হয় প্রায় ২৭ শতাংশ।

ওই নজিরবিহীন দাম বৃদ্ধির পর ২০২২ সালের ৩০ আগস্ট জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হয়। ওইদিন প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন ১১৪ টাকা থেকে কমিয়ে ১০৯ টাকা, পেট্রোল ১৩০ থেকে কমিয়ে ১২৫ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা থেকে কমিয়ে ১৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

সরকার জ্বালানি তেলের দামে ভর্তুকি প্রদান থেকে বের হয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখানে আইএমএফের চাপও রয়েছে। ‘জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ নির্দেশিকা’ প্রজ্ঞাপন ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে প্রকাশ করা হয়েছে। ওই ফর্মূলা অনুযায়ী, প্রতিমাসে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে দাম সমন্বয় করা হবে। গেজেট অনুযায়ী, বিপিসি ও অন্যদের কমিশন অপরিবর্তিত থাকবে। শুধু আমদানি মূল্যের তারতম্য প্রতিমাসে কমবেশি হবে।

অকটেন ও পেট্রোল ব্যক্তিগত যানবাহনে বেশি পরিমাণে ব্যবহৃত হয় বিধায় এর মূল্য বিলাস দ্রব্য (লাক্সারি আইটেম) হিসেবে সব সময় ডিজেলের চেয়ে বেশি রাখা হয়। ফর্মূলা অনুযায়ী অকটেনের মূল্য নির্ধারণকালে ডিজেলের সঙ্গে পার্থক্য লিটার প্রতি ন্যূনতম ১০ টাকা যেন থাকে সেজন্য প্রাইসিং ফর্মূলায় ‘α’ ফ্যাক্টর প্রযোজ্য হবে।

;

রাজস্ব আয় বৃদ্ধিতে অটোমেশনের বিকল্প নেই: অর্থ প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজস্ব আয় বৃদ্ধির জন্য অটোমেশনের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনাবিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় গুলশানের ‘আমারি ঢাকা’র গ্র্যান্ড বলরুমে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআরআই) আয়োজিত 'বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ বাড়ানোর প্রয়োজনীয় রূপরেখা' (Bangladesh’s Domestic Resource Mobilisation: Imperatives and a Roadmap) উপস্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সবাই অনলাইনে রিটার্ন সাবমিট করতে পারেন। বাংলাদেশের ইনফরমাল সেক্টর অনেক বড় বিধায় এই সেক্টর থেকে কর আদায় গুরত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে, বেসরকারি খাত আমাদের সঙ্গে থেকে সহায়তা করতে পারে।

ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, মানি মার্কেট, বেসরকারি ও সরকারি ঋণ নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি ‘ক্যাপিটাল মার্কেট’ নিয়ে আরো আলোচনা করা দরকার। কীভাবে আরো বেশি ভালো কোম্পানি মার্কেটে আসে, সে বিষয়ে সবাইকে সচেষ্ট হতে হবে। তাহলে মানি মার্কেটের ওপর চাপ কমবে। ক্যাপিটাল মার্কেট, ইক্যুইটি মার্কেট ও বন্ড মার্কেট বৃদ্ধি করা জরুরি।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশের সফল বাস্তবায়ন শেষে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরলস কাজ করছে বর্তমান সরকার। তার সুযোগ্য পরিচালনায় গত ১৫ বছরে যেসব মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে, সেগুলো থেকে দেশ এখন রিটার্ন পাচ্ছে। ‘আইবাস’ (ইন্টিগ্রেটেড বাজেট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিং সিস্টেম-IBAS) ব্যবস্থাপনার কারণে বাজেটের বাস্তবায়নের দক্ষতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

আগে বাজেট পাস হলেও বাজেট বাস্তবায়ন শুরু হতে অর্থ বছরের প্রথম প্রান্তিক চলে যেতো। বর্তমানে ১ জুলাই থেকেই অফিসগুলো বাজেট ব্যবহার করছে।

আজকের (৩০ এপ্রিল) আলোচনা অনুষ্ঠান থেকে যেসব পরামর্শ উঠে এসেছে, সেগুলো অর্থ মন্ত্রণালয় অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে বলেও আশ্বাস দেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা রাহমাতুল মুনীম ও এফবিসিসিআই'র প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম।

মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিআরআই'র নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পিআরআই'র চেয়ারম্যান ড. জাইদী সাত্তার।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন পিআরআই'র ভাইস চেয়ারম্যান ড. সাদিক আহমেদ, এমসিসিআই'র প্রেসিডেন্ট কামরান টি রহমান, সিএসই চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম, ডিসিসিআই'র প্রেসিডেন্ট আশরাফ আহমেদসহ প্যানেল আলোচকবৃন্দ।

;