এটুআই ও ওয়ালটন টিভি’র মধ্যে সমঝোতা চুক্তি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম, ঢাকা 
সমঝোতা চুক্তি অনুষ্ঠানে এটুআই এবং ওয়ালটনের কর্মকর্তাগণ

সমঝোতা চুক্তি অনুষ্ঠানে এটুআই এবং ওয়ালটনের কর্মকর্তাগণ

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের প্রথম লুনার স্যাটেলাইট ডেভেলপমেন্ট প্রকল্প বাস্তবায়নে এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই)’কে ক্লিন রুম রিসার্চ ল্যাব ও টেকনোলজি সহায়তা দিবে ওয়ালটন টেলিভিশন।

এ লক্ষ্যে সোমবার (২০ নভেম্বর, ২০২৩) রাজধানীতে আইসিটি টাওয়ারে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র ওয়ালটন টিভি এবং এটুআই’র মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।

এটুআই এর প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) মো: মামুনুর রশীদ ভূঞা এবং ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নজরুল ইসলাম সরকার নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেন।

এসময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব মো. সামসুল আরেফিন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন এটুআই এর পলিসি অ্যাডভাইজর আনীর চৌধুরী।

সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানে আইসিটি সচিব মো. সামসুল আরেফিন বলেন, চাঁদে এমন কিছু পদার্থ আছে, যা পৃথিবীতে অপ্রতুল। চাঁদের হিলিয়াম-৩ আইসোটপ পৃথিবীর জন্য ক্লিন এনার্জির এক অন্যতম উৎস। তাই চাঁদ হচ্ছে আমাদের ভবিষ্যৎ বাণিজ্যের ঠিকানা। সেখানে যদি আমরা আগেই পদার্পণ করতে পারি তাহলে ভবিষ্যতে আমরা এখান থেকেও বড় ধরনের একটি ব্যবসা-বাণিজ্যের আশা করতে পারি। এমন মিশনে এটুআই এর পাশে থেকে তাদের ক্লিন রুম রিসার্চ ল্যাব ব্যবহার করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ওয়ালটন টেলিভিশনকে ধন্যবাদ জানাই।

ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নজরুল ইসলাম সরকার প্রকল্পটির অগ্রগতি কামনা করে বলেন, এই প্রজেক্টটি সাফল্যমণ্ডিত করার জন্য ওয়ালটন টেলিভিশনের ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্টে সকল ধরনের সরঞ্জাম আছে ও ক্লিনরুম ল্যাব সহযোগিতার পাশাপাশি অনন্য কারিগরি সহযোগিতা প্রদান করা হবে।

ওয়ালটন টিভির চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) প্রকৌশলী মোস্তফা নাহিদ হোসেন যোগ করেন, ওয়াল্টন হেডকোয়াটার্সের টিভি ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্টে আইএসও ক্লাস সেভেন ডাস্ট ফ্রি ক্লিনরুম ছাড়াও রয়েছে আন্তর্জাতিক মানের রিসার্চ সক্ষমতা, সর্বাধুনিক ল্যাব এবং টেস্টিং ফ্যাসিলিটিজ। যার মাধ্যমে অন্য যেকোনো সংস্থাকে আমরা এই সংক্রান্ত সহযোগিতা করতে সক্ষম।

অনুষ্ঠানের সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন এটুআই এর প্রকল্প পরিচালক (যুগ্মসচিব) মো. মামুনুর রশীদ ভূঞা। তিনি বলেন, ‘সাগর থেকে মহাকাশে এটুআই আছে মিশে। আমরা এই লুনার স্যাটেলাইট এর মাধ্যমে নতুন ধাপে যাত্রা শুরু করলাম।’

উল্লেখ্য, বর্তমানে নাসার জন্য এটুআই, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অ্যাভিয়েশন অ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় ও ওয়ালটন টেলিভিশনের রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টারের যৌথ প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ প্রথম বারের মতো ফেমটো আকৃতির স্যাটেলাইট ডেভেলপমেন্ট করতে চলেছে। নাসার কলেরেডো স্পেস গ্র্যান্ড কনসোর্টিয়াম একটি আন্তর্জাতিক গভীর মহাকাশ মিশন পরিচালনা করছে, যার নাম ‘দি গ্রেট লুনার এক্সপিডিশান ফর এভরিওয়ান’।

আর্টেমিস চ্যালেঞ্জে উত্তীর্ণ হওয়ার মাধ্যমে এটুআই ইনোভেশন ল্যাব উক্ত মিশনে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করছে। ২২টি দেশ ও পরবর্তীতে আরো ৮টি দেশ সংযোজনের মাধ্যমে মোট ৩০টি দেশের ‘লুনার এলিট ক্লাব’- এ প্রবেশ করতে চলেছে বাংলাদেশ।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন এটুআই ইনোভেশন ফান্ডের প্রধান নাঈম আশরাফী, লুনার স্যাটেলাইট প্রকল্পের টিম লিডার ও প্রধান
প্রকৌশলী জাহিদ হাসান শোভন, ওয়ালটন টিভির ডিপুটি চিফ বিজনেস অফিসার (ডিসিবিও) আবির আহমেদ, রিসার্চ ও ইনোভেশন প্রধান মিঠুন চক্রবর্তী, ওয়ালটনের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জাহিদুল ইসলামসহ এটুআই ও ওয়ালটনের কর্মকর্তারা।

   

টাকা ছাপানোর কথা ঠিক নয় : গভর্নর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেছেন, ‘বিভিন্ন পর্যায় থেকে টাকা ছাপানোর কথা বলা হচ্ছে। এটা ভুল ধারণা। এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সরকারকে কোনো ঋণ দেওয়া হচ্ছে না। সরকারি ঋণের পুরোটাই বাণিজ্যিক ব্যাংক সরবরাহ করছে। এর ফলে এখন টাকা ছাপানোর নিট প্রভাব শুন্য।’

রবিবার (৫ মে) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ ও বণিক বার্তা যৌথভাবে ‘বিতর্কিত বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে উন্নয়নের পন্থা খাপ খাওয়ানো’ শীর্ষক প্রথম আন্তর্জাতিক এ সম্মেলন আয়োজন করে। সম্মেলনের প্রথম দিনের প্লেনারি-২ অধিবেশনটি হয় মুদ্রানীতি ও রাজস্ব নীতির সমন্বয় বিষয়ে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমানের সভাপতিত্বে অধিবেশনে প্যানেল আলোচক ছিলেন সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ও ফজলে কবির, সাবেক অর্থসচিব ড. এম তারেক ও মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী।

আলোচনায় শক্তিশালী কেন্দ্রীয় ব্যাংক, সুদহার, মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, তারল্য সঙ্কটসহ বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে।

ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যথেষ্ট ক্ষমতা আছে। আর স্বাধীনতা কেউ দেয় না। লোকবল, দক্ষতার মাধ্যমে অর্জন করতে হয়। আবার বাইরের চাপ থাকে সেটা মোকাবিলার দক্ষতা থাকতে হয়।’

সাবেক এই গভর্নর জানান, তিনি গভর্নর থাকা অবস্থায় সবাই ফেরেস্তা ছিল তেমন নয়। নতুন ব্যাংক অনুমোদন দেওয়ার চাপ ছিল। তবে তিনি নানাভাবে সময় ক্ষেপন করে শেষ পর্যায়ে গিয়ে বলে দিয়েছেন ব্যাংক দিলে অর্থনীতির জন্য ক্ষতি হবে।

তিনি বলেন, আর্থিক খাতের বর্তমান বাস্তবতায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শক্ত হওয়ার সময় এসেছে। কোনো দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রাজনৈতিক প্রভাবের বাইরে না। এখানে সবাই সহজ পন্থায় হাটতে চায়। পরোক্ষ করের চেয়ে প্রত্যক্ষ কর আদায় সহজ- সেদিকেই সবার দৃষ্টি। এখানে এক পাউরুটিতে ধনী, দরিদ্র সবাইকে একই হারে কর দিতে হয়।

ড. সালেহ উদ্দিন বলেন, মূল্যস্ফীতি কমানোর কথা বলে শুধু মুদ্রানীতি সংকোচন করলে হবে না। কর্মসংস্থান, বিনিয়োগ এসব না হলে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ কার জন্য আবার সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি নিলে প্রথম প্রভাব পড়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিনিয়োগে।

সাবেক অর্থ সচিব এবং এক সময়ের মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী বলেন, সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির কথা বলা হচ্ছে। আবার সার বিদ্যুতের ভর্তুকির বিপরীতে সরকার ২০ হাজার কোটি টাকার বন্ড ইস্যু করেছে। আবার ব্যাংকগুলো এই বন্ড রেখে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা ধার নিতে পারবে, এসএলআর সংরক্ষণ করতে পারবে। ফলে মানি মাল্টিপ্লায়ার প্রভাব ৫ গুণ ধরলে ২০ হাজার কোটি টাকা অর্থনীতিতে এক লাখ কোটি টাকার প্রভাব ফেলছে। অবশ্য একটা ভালো খবর হলো এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারকে ঋণ না দিয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে দিচ্ছে।

তিনি বলেন, সুদহারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক সময় চাহিদা ও সরবরাহের ভিত্তিতে নির্ধারণের কথা বলা হয়। তবে সব ক্ষেত্রে এটা ভালো নয়। কিছু প্লেয়ার অনেক সময় নিজের স্বার্থে এই টার্ম ব্যবহার করে।

গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, বিদ্যুৎ ও সারের জন্য সরকারি ভর্তুকির বিপরীতে সরকার বন্ড ইস্যু করেছে। এই বন্ড ইস্যু না করলে দুই ধরনের সঙ্কট তৈরি হতো। প্রথমত, যারা সরকারের কাছে টাকা পায় তাদের কোনো সমস্যা না থাকলেও খেলাপি হয়ে যাচ্ছিল। আরেকটি হলো– ব্যাংক খাত এমনিতেই তারল্য সঙ্কটে পড়েছে। বন্ড না দিলে তারল্য সঙ্কট আরও বাড়ত। এখন প্রশ্ন হলো এতে ‘মানি ক্রিয়েশন’ হয়েছে কিনা। বন্ড ইস্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানি ক্রিয়েশন হয়ে গেছে এটা ঠিক না।

দুদিনের এ সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসেকে আয়েশা খান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে এতে প্যানেল আলোচক ছিলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

;

একদিনের ব্যবধানে ফের বাড়ল সোনার দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

একদিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে আবারও বেড়েছে সোনার দাম। এবার ৭৩৫ টাকা বাড়িয়ে ভালো মানের, অর্থাৎ হল-মার্ক করা ২২ ক্যারেট সোনার দাম দাঁড়িয়েছে প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ৯৪৮ টাকা। ।

রোববার (৫ মে) বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে। এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে খাঁটি সোনার দাম কমেছে, সে জন্য সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দর সোমবার (৬ মে) থেকে কার্যকর হবে।

এর আগে, টানা আট দফা কমার পর শনিবার (৪ মে) দেশের বাজারে সোনার দাম ভরিতে ১ হাজার ৫০ টাকা বাড়ানো হয়।

নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম পড়বে ১ লাখ ১০ হাজার ৯৪৮ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৫ হাজার ৮৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯০ হাজার ৭৬৯ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৭৫ হাজার ৪৮৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

তার আগে, গত ৩ মে এবং ৩০ এপ্রিল, ২৯ এপ্রিল ২৮ এপ্রিল, ২৭ এপ্রিল, ২৫ এপ্রিল, ২৪ এপ্রিল ও ২৩ এপ্রিল আট দফা সোনার দাম কমানো হয়। এর মধ্যে ৩ মে এক হাজার ৮৭৮ টাকা কমানো হয়। তার আগে ৩০ এপ্রিল ৪২০ টাকা, ২৯ এপ্রিল ১ হাজার ১১৫ টাকা, ২৮ এপ্রিল ৩১৫ টাকা, ২৭ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৫ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২ হাজার ৯৯ টাকা এবং ২৩ এপ্রিল ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমানো হয়। এতে আট দফায় ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ১০ হাজার ২৬২ টাকা কমানো হয়।

;

চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ৫ লাখ কোটি টাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ৫ লাখ কোটি টাকা

চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ৫ লাখ কোটি টাকা

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি অর্থবছর মোট রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৪ লাখ ৯৯ হাজার ৯৯৫ কোটি টাকা। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের তুলনায় চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ছয়মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) মোট রাজস্ব আহরণ ১৩.৯ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

রোববার (০৫ মে) সংসদ অধিবেশনে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের বাজেট বাস্তবায়ন অগ্রগতি প্রতিবেদন তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

অর্থমন্ত্রী জানান, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে সর্বমোট রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ ৯৯ হাজার ৯৯৫ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক (জুলাই-ডিসেম্বর) শেষে মোট ১ লাখ ৮৬ হাজার ৪৫৭ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ হয়েছে। যা বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রার ৩৭.৩ শতাংশ। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩.৯ শতাংশ বেশি।

তিনি জানান, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে কর রাজস্ব (এনবিআর এবং এনবিআর বহির্ভূত) আহরণের প্রবৃদ্ধি আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১১.৩ শতাংশ এবং কর বহির্ভূত রাজস্ব (এনটিআর) আহরণের প্রবৃদ্ধি ৩৪.৬ শতাংশ। এ সময়ে কর বহির্ভূত রাজস্ব (এনটিআর) আহরণের পরিমাণ ২৪ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা। যা চলতি অর্থবছরের বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৪৮.৬ শতাংশ। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড -এর হিসাব অনুযায়ী, দ্বিতীয় প্রান্তিকে এনবিআর এর রাজস্ব আদায় হয়েছে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩.৯ শতাংশ বেশি এবং চলতি অর্থবছরের বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৩৮.৫ শতাংশ।

অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের সরকারি ব্যয় পরিস্থিতি তুলে ধরে মন্ত্রী জানান, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে মোট ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা (জিডিপি'র ১৫.১২ শতাংশ)। এর মধ্যে পরিচালনসহ অন্যান্য বায় ৪ লাখ ৯৮ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা (জিডিপি'র ৯.৯০ শতাংশ) এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির ব্যয় ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা (জিডিপি'র ৫.২২ শতাংশ)। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক শেষে মোট ব্যয় হয়েছে ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮৯৮ কোটি টাকা (বাজেট বরাদ্দের ২৫.৫৮ শতাংশ)। এর মধ্যে পরিচালনসহ অন্যান্য ব্যয় ১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৭ কোটি টাকা (বাজেট বরাদ্দের ৩০.৬৯ শতাংশ)। সার্বিকভাবে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে গত অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের তুলনায় মোট ব্যয় বেড়েছে ৫.৬২ শতাংশ। এছাড়া পরিচালনসহ অন্যান্য ব্যয় ১.০৯ শতাংশ বেড়েছে এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ব্যয় বেড়েছে ২৬.৩৬ শতাংশ।

বাজেট ঘাটতি প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী জানান, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৯০ কোটি টাকার বাজেট ঘাটতি প্রাক্কলন করা হয়েছে, যা প্রাক্কলিত জিডিপি’র ৫.২৩ শতাংশ। ঘাটতি অর্থায়নে বৈদেশিক সূত্র থেকে জিডিপি’র ২.০৫ শতাংশ এবং অভ্যন্তরীণ সূত্র থেকে জিডিপি'র ৩.১০ শতাংশ সংস্থানের পরিকল্পনা করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে বাজেট ঘাটতি (অনুদান ব্যতীত) দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৩৩৮ কোটি টাকা। যা গত অর্থবছরে একই সময়ে বাজেট ঘাটতি ছিল ২০ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ঋণ গ্রহণ অপেক্ষা ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ৩ হাজার ২৮৭ কোটি টাকা বেশি হয়েছে এবং বৈদেশিক উৎস থেকে নীট (অনুদানসহ) ১০ হাজার ৩৪৭ কোটি টাকার ঘাটতি অর্থায়ন করা হয়েছে।

;

যশোরে স্মার্ট কার্ডে নারী উদ্যোক্তা ঋণ স্মরণে বঙ্গবন্ধু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
যশোরে স্মার্ট কার্ডে নারী উদ্যোক্তা ঋণ স্মরণে বঙ্গবন্ধু

যশোরে স্মার্ট কার্ডে নারী উদ্যোক্তা ঋণ স্মরণে বঙ্গবন্ধু

  • Font increase
  • Font Decrease

 

এবি ব্যাংক পিএলসি. নারী উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক কর্মদক্ষতা উন্নয়নে যশোরে দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করেছে।

রোববার (৫ মে) এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। 

প্রশিক্ষণ কর্মশালা শেষে নারী উদ্যোক্তাগণের মাঝে সনদ ও স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে সহজ ঋণ- স্মরণে বঙ্গবন্ধু বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব এস,এম, হাসান রেজা, নির্বাহী পরিচালক, খুলনা অফিস, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন জনাব তারিক আফজাল, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও, এবি ব্যাংক পিএলসি.। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ ও এজেন্টগণ।

;