গ্রাহক বাড়লেও আমানত কমেছে স্কুল ব্যাংকিংয়ে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

শিক্ষার্থীদের আর্থিক অন্তর্ভুক্তির আওতায় আনতে ২০১০ সালে তফসিলি ব্যাংকগুলোকে স্কুল ব্যাংকিংয়ের পরামর্শ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। পরবর্তীতে ২০১৩ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংক স্কুল ব্যাংকিং কার্যক্রম নীতিমালা গ্রহণ করে। এরপর থেকেই দেশে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে স্কুল ব্যাংকিং। গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৪০ লাখ শিক্ষার্থী স্কুল ব্যাংকিংয়ের আওতায় এসেছে। তবে একই সময়ে এ খাতে কমেছে আমানত।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সূত্র মতে, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্কুল ব্যাংকিংয়ে মোট হিসাবের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৯ লাখ ৩৮ হাজার ২১০টি। গত বছরের সেপ্টেম্বরে যেখানে স্কুল ব্যাংকিংয়ের হিসাব ছিল ৩১ লাখ ৮১ হাজার ১৬০টি। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে স্কুল ব্যাংকিং হিসাব বেড়েছে ৭ লাখ ৫৬ হাজার ৩৫০টি।

হিসাব বাড়লেও স্কুল ব্যাংকিংয়ে আমানত কমেছে। গত বছর সেপ্টেম্বরে স্কুল ব্যাংকিংয়ের আমানত ছিল দুই হাজার ২৮৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা। আর চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে আমানতের পরিমাণ কমে দুই হাজার ২৩২ কোটি ৪৮ লাখ টাকায় স্থির হয়েছে। এ হিসেবে এক বছরের ব্যবধানে স্কুল ব্যাংকিংয়ে আমানত কমেছে ৫৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত স্কুল ব্যাংকিয়ে হিসাব খোলায় এগিয়ে রয়েছে ছেলেরা। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছেলেদের ব্যাংক হিসাব ছিল ২০ লাখ ৫২ হাজার ৭২৬টি। বিপরীতে নারী শিক্ষার্থীদের ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা ১৮ লাখ ৮৫ হাজার ৪৮৪টি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্কুল ব্যাংকিংয়ে জমা হওয়া আমানতের মধ্যে ৭১ দশমিক ৮৩ শতাংশই ছিল শহরে। শহরাঞ্চলের শিক্ষার্থীরা এ সময়ে ১ হাজার ৬০৩ কোটি ৬৩ লাখ টাকার আমানত জমা করেছে। বিপরীতে গ্রামীণ শিক্ষার্থীদের আমানতের পরিমাণ ছিল ৬২৮ কোটি ৮৫ লাখ টাকা, যা মোট আমানতের ২৮ দশমিক ১৬ শতাংশ।

 

   

বিদ্যুৎ খাতের ইনডেমনিটি আইন অবিলম্বে বাতিল চায় ক্যাব



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

অবিলম্বে বিদ্যুৎ জ্বালানি খাতের ইনডেমনিটি (বিশেষ বিধান আইন) আইন বাতিল ও বিদ্যুতের দাম ঘোষণার এখতিয়ার বিইআরসির হাতে ফিরিয়ে দেওয়া দাবি জানিয়েছে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে ক্যাব আয়োজিত জ্বালানি রূপান্তরে সুবিচার চাই শীর্ষক আলোচনা সভা থেকে এ দাবি জানানো হয়।

সভাপতির বক্তব্যে ক্যাব সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, বিদ্যুৎ জ্বালানি দ্রুত সরবরাহের জন্য আইনটি প্রথম দুই বছরের জন্য করা হয়। এরপর দুই বছর করে মেয়াদ বাড়ানো হয়, সর্বশেষ ৫ বছরের জন্য বাড়ানো হয়, এই কাজটি উচিত হয়নি। অবিলম্বে আইনটি বাতিল করা উচিত।

তিনি বলেন, ২০০৬-০৭ সালে কি অবস্থা ছিল, সেই সময়ে কুইক রেন্টাল ও ক্যাপাসিটি চার্জ যৌক্তিক ছিল, এখন আর প্রয়োজনীয়তা নেই। ভুল সবই ভুল হয়েছে আমি এর সঙ্গে একমত নই। সরকার যা করছে কিছু হয়নি, এই মত যারা পোষণ করেন তাদের সঙ্গে আমি একমত নই। কিছু না হলে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছার কথা না।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. বদরুল ইমাম বলেন, জ্বালানি সংকটের মৌলিক জায়গায় নজর দিলে সমস্যাটা থাকে না। এই সংকটের মূল কারণ হচ্ছে অতি উচ্চমূলে এলএনজি, কয়লা আমদানি। এর বিকল্প যা ছিল সেদিকে নজর দেওয়া হয়নি।আমাদের যে ভূ-কাঠামো অনুযায়ী অনেক গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কেউ বলছে ৩২ টিসিএফ, কেউ বলছে ৪২ টিসিএফ গ্যাস পাওয়ার যাবে।

মৌলিক জায়গায় অতীত থেকে বর্তমান কোন সরকারেই যথাযথ গুরুত্ব দেয়নি। সাগরে প্রচুর গ্যাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সেখানেও নজর দেওয়া হয়নি। যদি অনুসন্ধানের হার বলি তাহলে বছরে একটি করে কূপ খনন করা হয়েছে। প্রতিবছর ৫-৬টি কূপ খনন করা গেলে, এই সংকট থাকার কথা না। ৪৬টি কূপ খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তার মধ্যে ৩টির প্রত্যেকটিতে গ্যাস পাওয়া গেছে ।

অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক এমএম আকাশ বলেন, বিদ্যুতের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কোন বিতর্ক নেই। প্রবৃদ্ধির জন্য বিদ্যুৎ জরুরি, তবে আমরা জনগণের কল্যাণে বিদ্যুৎ চাই। কারণ প্রবৃদ্ধি হলেই জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত হয় না। আপনি যা তৈরি করলেন কিন্তু দাম মানুষের নাগালে না থাকে তাহলে তা সফল বলা যাবে না।

ইনডেমনিটি আইন করা হয়েছে যাতে চ্যালেঞ্জ করা না যায়। এই আইনটি বাতিল করতে হবে। বিইআরসিকে পুর্নবহাল করতে হবে। বিইআরসি সচল থাকলে এলিট দুর্নীতিবাজরা আটকে যায়, যে কারণে বিইআরসিকে বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা যে চুক্তিগুলো করছি এগুলো কি প্রতিযোগিতামুলক হচ্ছে। প্রতিযোগিতামুলক না হলে স্বচ্ছতা থাকে না। সরকারকে সৌরবিদ্যুতের মনোযোগ বাড়াতে হবে। বেসরকারি খাত দিয়ে সম্ভব না। নো প্রফিট নো লস ফর্মুলায় সৌর বিদ্যুৎ হতে হবে।

ক্যাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. এম শামসুল আলম বলেন, ন্যূনতম দামে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে আসছে ক্যাব। আমরা দেখতে পাচ্ছি ৩৩ কেভির ওপর লোডশেডিং হয়নি, নিচের দিকে ভয়াবহ লোডশেডিং দেওয়া হয়েছে। লাইফলাইন ট্যারিফের কথা বলা হয়, ৮ থেকে ১০ কিলোওয়াট ব্যবহারকারী ভোক্তার দাম ২৫ টাকার মতো পড়ছে। বলা হয় তাদেরকে কমদামে বিদ্যুৎ দিচ্ছি। আর বিলাসী ব্যবহারের জন্য ১১ টাকার মতো দিতে হয়। বিদ্যুৎ জ্বালানি খাতকে বাণিজ্যিক করার ভয়াবহ প্রবাণতা দেখতে পাচ্ছি। অবশ্যই একে সেবাখাত হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।

এই খাতে সংকট হলে খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত কঠিন হয়ে পড়বে। কৃষিকেও বাণিজ্যিক করার সর্বনাশা প্রবণতার আলামত দেখতে পাচ্ছি। ডোনারাদের প্রেসক্রিপশনে এগুলো করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, গ্যাস-কয়লা রফতানি ঠেকাতে আমরা মাইলের পর মাইল লংমার্চ করেছি। নিজের সম্পদ থাকার সুবিধাটা পেলাম না, আমদানি করে চাহিদা মেটানোর চেষ্টা চলছে। আমরা একে কোনভাবেই সমর্থন করতে পারি না।

শামসুল আলম কিছুটা আবেগ প্রবণ হয়ে বলেন, তিলে তিলে শেষ করা হচ্ছে, আমরা শুধু আফসোস করে যাবো। নতুন প্রজন্মের জন্য কেমন দেশ রেখে যাচ্ছি। আমাদের যাওয়ার সময় হয়ে গেছে, তোমরা এই অন্যায্যতা মেনে নিও না।

তিনি বলেন, ২০১৭ সালে যে সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে, ২০১৯ সালে উৎপাদনে আসার কথা, এখন হয়তো এসেছে অথবা আসেনি। যতোদিন যাচ্ছে সৌর বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ কমে যাচ্ছে। অথচ সেই সময়ের ট্যারিফ (মূল্য) ১৬.৬০ টাকা এখন বহাল রাখা হয়েছে। তাদের থামানো না গেলে আতঙ্কিত হচ্ছি। আমার বিশ্ববিদ্যালেয় সৌর বিদ্যুৎ ৭.৫০ টাকায় হচ্ছে। ইউএসএআইডি বলেছে বাংলাদেশের রূফটপে ৫০ হাজার মেগাওয়াট উৎপাদনের সুযোগ রয়েছে। যারাই গ্রিডের বিদ্যুতের নাম করে বিদ্যুৎ খাতকে ঝুঁকিতে ফেলেছে, তারাই আবার সৌর বিদ্যুতে নেমেছেন। এসব দুর্নীতি অনিয়ম রোধ করা জরুরি।

তিনি বলেন, নবায়নযোগ্য বিদ্যুতের দাম বিইআরসি নির্ধারণ করার কথা, সেখান থেকে আমলাদের ওপর নেওয়া হয়েছে। গণশুনানির ভিত্তিতে বিদ্যুতের দাম ঘোষণার এখতিয়ার বিইআরসির হাতে ফিরিয়ে দেওয়া উচিত। এছাড়া ইনডেমনিটি বহাল রেখে ন্যায্যতা নিশ্চিত করা সম্ভব না।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের বিচারের জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল করতে হবে। যে সমস্ত অপরাধ ঘটতে তার বিচারের জন্য।

উন্নয়ন অর্থনীতি বিষয়ক গবেষক মাহা মির্জা বলেন, দেশীয় প্রতিষ্ঠান বাপেক্সকে পঙ্গু করে রেখে রাশান কোম্পানিকে বিনা টেন্ডারে কাজ দেওয়া হচ্ছে। বাপেক্স যে কাজ ৮০ কোটি টাকায় করতে পারে সেই কূপ খননে ১৮০ কোটি টাকা দেওয়া হচ্ছে। সম্ভাবনাময় এনার্জি খাতকে তিলে তিলে ধ্বংস করা হচ্ছে।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাংবাদিক ও জ্বালানি বিষয়ক গবেষক আরিফুজ্জামান তুহিন। তিনি, প্যারামাউন্ট গ্রুপের ১০০ মেগাওয়াট (পাবনা), বেক্সিমকো গ্রুপের ২০০ মেগাওয়াট (গাইবান্ধা) ও ইন্ট্রাকো পাওয়ার লিমিটেডের ৩০ মেগাওয়াট (লালমনিরহাট) বিদ্যুৎ কেন্দ্রের উপর গবেষণা তুলে ধরেন। তিনি দেখিয়েছেন, পাবনায় জমি কেনার আগেই জোর করে দখল নিয়ে সশস্ত্র পাহারা বসানো হয়। প্রকল্পের কাজ শেষ হলেও ৩০ শতাংশ মালিক ক্ষতিপূরণ পান নি। গাইবান্ধায় পুলিশ দিয়ে জোর করে জমি থেকে কৃষকদের উচ্ছেদ করা হয়েছে। কৃষকদের নামে ভুয়া চাঁদাবাজির মামলা করে এলাকা ছাড়া করা হয়েছে। জমি দখল ছাড়াও আরও অনেক অনিয়ম উঠে এসেছে। প্রকল্পের জন্য অপরিকল্পিত রাস্তা নির্মাণের কারণে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে লালমনিরহাটে।

;

আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ ও আমানতের সুদহার নির্ধারণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ ও আমানতের সুদহার নির্ধারণ

আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ ও আমানতের সুদহার নির্ধারণ

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ ও আমানতের সুদহার নির্ধারণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অনিয়ন্ত্রিত মূল্যস্ফীতির নিয়ন্ত্রণে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংস্থাটি।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা সার্কুলার আকারে জারি করা হয়েছে। সার্কুলারটি দেশের সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়।

নির্দেশনায় বলা হয়, ‘এসএমএআরটি’ বা ‘স্মার্ট’ রেটের সঙ্গে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ যোগ করে আমানতে সুদ দিতে পারবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো।

আর ‘এসএমএআরটি’ বা ‘স্মার্ট’ রেটের সঙ্গে সর্বোচ্চ ৫ দশমিক ৭৫ শতাংশ যোগ করে ঋণে সুদ নিতে পারবে এসব প্রতিষ্ঠান। এর ফলে এখন থেকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ঋণে সর্বোচ্চ সুদহার হবে ১৩ দশমিক ১৮ শতাংশ। আর আমানতের সুদহার হবে ১০ দশমিক ১৮ শতাংশ।

যে পদ্ধতির ওপর ভিত্তি করে এখন ঋণের সুদহার নির্ধারিত হচ্ছে, তা হলো ‘এসএমএআরটি’ বা ‘স্মার্ট’, যা সিক্স মান্থ মুভিং এভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল হিসেবে পরিচিত। প্রতি মাসের শুরুতে এ হার জানিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

চলতি বছরের অক্টোবরে ১৮২ দিন মেয়াদি ট্রেজারি বিলের ৬ মাসের গড় সুদহার (স্মার্ট রেট) ছিল ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ।

এর আগে মনিটারি পলিসি কমিটির (এমপিসি) প্রথম সভায় চার ধরনের সুদহার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সভায় অভ্যন্তরীণ এবং বৈশ্বিকসহ সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, উচ্চ মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতি, বিনিময় হার, তারল্য ও সুদহার পরিস্থিতি এবং নীতি সুদহারের গতিবিধি নিয়ে পর্যালোচনা করা হয়। বাজারভিত্তিক বিনিময় হার ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতকরণ এবং ব্যাংকিং খাতে ক্রমবর্ধমান খেলাপি ঋণের সমস্যা মোকাবিলায় পদক্ষেপ নেওয়ার পক্ষে সবাই একমত হয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক মনে করছে, এর মাধ্যমে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি চলতি বছরের ডিসেম্বর শেষে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভিত্তিতে ৮ শতাংশে এবং আগামী জুন শেষে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনা যাবে। এদিকে বিনিময় হার ও বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে সুদহার বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

;

ইসলামী ব্যাংকের সাইবার সিকিউরিটি প্রটেকশন বিষয়ক কর্মশালা সম্পন্ন



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির উদ্যোগে ঢাকা নর্থ, চট্টগ্রাম সাউথ, ময়মনসিংহ ও নোয়াখালী জোনের এজেন্ট ব্যাংকিং কর্মকর্তাদের জন্য ‘সাইবার সিকিউরিটি প্রটেকশন’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে এ প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।

ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মোঃ আলতাফ হুসাইন কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। এতে মূল বিষয়ের উপর বক্তব্য উপস্থাপন করেন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এ এস এম রেজাউল করিম ও ফার্স্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ হেলাল উদ্দিন।

ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ মাকসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এ কে এম মাহবুব মোরশেদ। দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় জোনসমূহের অধীন বিভিন্ন শাখা ও এজেন্ট আউটলেটের ৭৯০ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।

;

আমানত ও ঋণের সুদের ব্যবধান তুলে দেওয়ার নির্দেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ব্যাংকের আমানত ও ঋণের সুদহারের ব্যবধান তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতদিন আমানত ও ঋণের সুদহারের ব্যবধান ৪ শতাংশ ছিল।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করেছে। নির্দেশনাটি দেশের সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়, ঋণের সুদহার বাজারভিত্তিক করার লক্ষ্যে স্মার্ট (Six Months Moving Average Rate of Treasury Bill) এর সাথে নির্ধারিত মার্জিন যোগ করে সুদহার নির্ধারণ পদ্ধতি কার্যকর করা হয়েছে। সুদহার নির্ধারণের নতুন ব্যবস্থা বাস্তবায়নের মাধ্যমে ঋণের বাজারভিত্তিক সুদহার নির্ধারিত হওয়ায় সুদহারের অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধি রোধ করা সম্ভব হয়েছে। ফলে তারল্য পরিস্থিতির বিবেচনায় ঋণের সুদহারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমানতের সুদহার যৌক্তিক পর্যায়ে রাখা সম্ভব হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে আমানত ও ঋণের সুদহারের সীমা নির্ধারণ করার প্রয়োজন নেই।

এর আগে, ২০১৮ সালের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, ব্যাংকগুলো বিভিন্ন প্রকার ঋণের সুদহার ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধি করছে। ঋণের সুদহার অযৌক্তিক মাত্রায় বৃদ্ধি করা হচ্ছে যা উদ্বেগজনক। এ প্রেক্ষিতে, উৎপাদনশীল খাতসহ বিভিন্ন খাতে ঋণের সুদহার যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণের লক্ষ্যে ক্রেডিট কার্ড ও ভোক্তাঋণ ছাড়া অন্যান্য খাতে ঋণ এবং আমানতের সুদহারের ব্যবধান ৪ শতাংশের মধ্যে সীমিত রাখার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

তার আগে ২০১৫ সালের ২৮ ডিসেম্বর জারি করা প্রজ্ঞাপনে কার্ড ও ভোক্তাঋণ ছাড়া অন্যান্য খাতে ঋণ এবং আমানতের গড়ভারিত সুদহারের ব্যবধান (স্প্রেড) ৫ শতাংশের মধ্যে সীমিত রাখার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছিল। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নতুন নির্দেশনার ফলে ঋণ এবং আমানতের গড়ভারিত সুদহারের ব্যবধানের সীমা আর থাকছে না।

;