বিনিয়োগকারীদের চুয়াল্লিশ কোটি টাকা দেয়ার ঘোষণা ১৫ কোম্পানির



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ২০টি কোম্পানি সর্বশেষ হিসাব বছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। বিদায়ী সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিগুলোর লভ্যাংশ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। এসব প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ১৫ কোম্পানি শেয়ারহোল্ডারদের নগদ লভ্যাংশ হিসেবে ৪৪ কোটি ২৪ লাখ ৪২ হাজার টাকা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। বাকি পাঁচ কোম্পানি লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

জানা গেছে, বিনিয়োগকারীদের সবচেয়ে বেশি লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জ্বালানি খাতের প্রতিষ্ঠান মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড। ২০২৩ সালে কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের জন্য নগদ ১৬০ শতাংশ বা শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৬০ পয়সা করে করে লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এ হিসেবে মেঘনা পেট্রোলিয়ামের বিনিয়োগকারীরা নগদ লভ্যাংশ বাবদ পাবেন সর্বমোট ১৭ কোটি ৩১ লাখ ৪৫ হাজার ৭৭২ টাকা।

জ্বালানি খাতের আরেক প্রতিষ্ঠান পদ্মা অয়েল কোম্পানী লিমিটেড সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের নগদ ১৩৫ শতাংশ বা শেয়ার প্রতি ১ টাকা ৩৫ পয়সা করে লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির বিনিয়োগকারীরা নগদ লভ্যাংশ হিসেবে পাবে ১৩ কোটি ২৬ লাখ ১৪ হাজার ২১২ টাকা।

কোহিনূর কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড বিনিয়োগকারীদের নগদ ৪০ শতাংশ বা শেয়ার প্রতি ৪০ পয়সা করে লভ্যাংশ দেবে। ওষুধ ও রসায়ন খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা ২০২৩ সালে নগদ লভ্যাংশ পাবে এক কোটি ২২ লাখ ৫৪ হাজার ৮১৩ টাকা। একই সাথে কোম্পানিটি ২০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ দেয়ারও ঘোষণা দিয়েছে। অর্থাৎ নগদ লভ্যাংশের পাশাপাশি বিনিয়োগকারীরা ২০টি শেয়ারের বিপরীতে একটি শেয়ার বোনাস হিসেবে পাবেন।

ইস্টার্ণ লুব্রিকেন্টস ব্লেন্ডার্স লিমিটেড সমাপ্ত হিসাববছরে শেয়ারহোল্ডারদের নগদ ৬০ শতাংশ লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শেয়ার প্রতি ৬০ পয়সা করে কোম্পানিটি সর্বমোট সাত লাখ ৮৭ হাজার ২৪৮ টাকার লভ্যাংশ দেবে। এছাড়াও বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ হারে লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

এম্বি ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদের ২০২৩ সালে নগদ ১৫ শতাংশ বা শেয়ার প্রতি ১৫ পয়সা করে লভ্যাংশ দেয়ার কথা জানিয়েছে। বিনিয়োগকারীদের ওষুধ ও রসায়ন খাতের এ কোম্পানিটি নগদ লভ্যাংশ হিসেবে সর্বমোট তিন লাখ ৬০ হাজার টাকা পরিশোধ করবে।

ওষুধ ও রসায়ন খাতের আরেক কোম্পানি ওরিয়ন ইনফিউশন লিমিটেড সর্বশেষ হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের সর্বমোট ২০ লাখ ৩৫ হাজার ৯৭৬ টাকা নগদ লভ্যাংশ হিসেবে দেবে। কোম্পানিটির শেয়ারহোল্ডাররা প্রতিটি শেয়ারের জন্য ১০ শতাংশ বা ১০ পয়সা করে নগদ লভ্যাংশ পাবেন।

এছাড়াও শেয়ার প্রতি ১০ শতাংশ বা নগদ ১০ পয়সা করে নগদ লভ্যাংশ দেবে সোনালী আঁশ ইন্ডাস্ট্রিজ, ফার্মা এইডস এবং পাওয়ার গ্রীড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড। এর মধ্যে সোনালী আঁশ পাঁচ লাখ ৪২ হাজার ৪০০ টাকা, ফার্মা এইডস তিন লাখ ১২ হাজার টাকা এবং পাওয়ার গ্রীড ৭ কোটি ১২ লাখ ৭২ হাজার ৬৯৯ টাকা নগদ লভ্যাংশ হিসেবে বিনিয়োগকারীদের পরিশোধ করবে। সোনালী আঁশ নগদ লভ্যাংশের সাথে ১০০ শতাংশ বোনাস শেয়ার দেয়ারও ঘোষণা দিয়েছে। অর্থাৎ কোম্পানিটির বিনিয়োগকারীরা প্রতিটি শেয়ারের বিপরীতে একটি শেয়ার বোনাস হিসেবে পাবেন।

সিমেন্ট খাতে তালিকাভুক্ত মেঘনা সিমেন্ট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের বিনিয়োগকারীরা ২০২৩ সালে সর্বমোট এক কোটি ৫০ লাখ ৪২ হাজার ১৫৭ টাকা নগদ লভ্যাংশ পাবেন। কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার প্রতি ৫ শতাংশ বা ৫ পয়সা করে লভ্যাংশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

রাষ্ট্র মালিকানাধীন ইস্টার্ণ ক্যাবলস লিমিটেডের বিনয়োগকারীদের জন্য সমাপ্ত হিসাববছরে নগদ ৩ শতাংশ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে। ২০২৩ সালের জন্য প্রতিষ্ঠানটির বিনিয়োগকারীরা লভ্যাংশ বাবদ পাবেন সর্বমোট ৭৯ লাখ ২০ হাজার টাকা। সরকারের মালিকানাধীন আরেক প্রতিষ্ঠান ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) বিনিয়োগকারীদের নগদ আড়াই শতাংশ হারে সর্বমোট দুই কোটি ১১ লাখ ৫২ হাজার ৬৫৭ টাকা লভ্যাংশ দেবে।

লুব-রেফ বাংলাদেশ লিমিটেড ২ শতাংশ বা দুই পয়সা করে নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। কোম্পানিটির বিনিয়োগকারীরা ২০২৩ সালে ২৯ লাখ ৪ হাজার ৮৬২ টাকা লভ্যাংশ পাবেন। আরেক কোম্পানি হাক্কানি পাল্প শেয়ার প্রতি নগদ দুই শতাংশ হারে মোট তিন লাখ ৮০ হাজার টাকা লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। গোল্ডেন সন লিমিটেড শেয়ার প্রতি ১ শতাংশ করে ১৭ লাখ ১৭ হাজার ২৯৭ টাকা নগদ লভ্যাংশ দেবে।

এদিকে সমাপ্ত হিসাববছরে বিনিয়োগকারীদের জন্য কোনো লভ্যাংশ ঘোষণা করেনি প্রশান্ত কুমার (পিকে) হালদারের লুটপাটের শিকার এফএএস ফাইন্যান্স। গত কয়েক বছরের ধারাবাহিকতায় ২০২২-২৩ হিসাববছরেও এ কোম্পানিটি বড় লোকসান দিয়েছে। ফলে শেয়ারহোল্ডারদের হতাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

এছাড়াও সেন্ট্রাল ফার্মাসিউটিক্যালস, বিডি থাই এলুমিনিয়াম, বিডি সার্ভিসেস এবং ন্যাশনাল টিউবস লিমিটেড সমাপ্ত হিসাববছরে শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ না দেয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।

   

আট দফা কমার পর বাড়ল সোনার দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা আট দফা কমার পর দেশের বাজারে সোনার দাম ভরিতে ১ হাজার ৫০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। তাতে ভালো মানের, অর্থাৎ হল-মার্ক করা ২২ ক্যারেট সোনার দাম দাঁড়িয়েছে প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ২১৩ টাকায়। নতুন এ দাম রোববার (৫ মে) থেকে কার্যকর হবে।

শনিবার (৪ মে) বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে। এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে খাঁটি সোনার দাম বেড়েছে, সে জন্য সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম পড়বে ১ লাখ ১০ হাজার ২১৩ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৫ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯০ হাজার ১৭৪ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৭৪ হাজার ৯৮৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে, গত ৩ মে এবং ৩০ এপ্রিল, ২৯ এপ্রিল ২৮ এপ্রিল, ২৭ এপ্রিল, ২৫ এপ্রিল, ২৪ এপ্রিল ও ২৩ এপ্রিল আট দফা সোনার দাম কমানো হয়। এর মধ্যে ৩ মে এক হাজার ৮৭৮ টাকা কমানো হয়। তার আগে ৩০ এপ্রিল ৪২০ টাকা, ২৯ এপ্রিল ১ হাজার ১১৫ টাকা, ২৮ এপ্রিল ৩১৫ টাকা, ২৭ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৫ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২ হাজার ৯৯ টাকা এবং ২৩ এপ্রিল ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমানো হয়। এতে আট দফায় ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ১০ হাজার ২৬২ টাকা কমানো হয়।

;

আইবিএ মুবারক আলী কেইস সেন্টারের উদ্বোধন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে আইবিএ মুবারক আলী কেইস সেন্টার। 

মুবারক আলী ফাউন্ডেশন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) যৌথ এ উদ্যোগে দেশের ব্যবসায় শিক্ষাক্ষেত্রে এক উল্লেখযোগ্য মাইলফলক অর্জিত হয়েছে।

শুক্রবার (০৩ মে) দ্য ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক আয়োজনে মুবারক আলী কেইস সেন্টারের উদ্বোধন করা হয়।

আইবিএ ক্যাম্পাসে ফিতা কাটার মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- দেশের শিক্ষা ও ব্যবসা খাতের স্বনামধন্য ব্যক্তিবর্গ। আইবিএ মুবারক আলী কেইস সেন্টার শিক্ষাক্রমের সাথে প্রাসঙ্গিক ব্যবসায়িক কেস স্টাডি একীভূত করার মাধ্যমে দেশের ব্যবসায়িক শিক্ষায় ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসবে এবং বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী যেন দেশে ব্যবসায়িক শিক্ষাখাত বিস্তৃত হতে পারে এক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করবে।

এ উদ্যোগ গ্রহণের পেছনের কারণ তুলে ধরে মুবারক আলী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা আমরীন বশির আলী ও তানভীর আলী বলেন, আইবিএ মুবারক আলী কেইস সেন্টারটি শুধু একাডেমিক প্রতিষ্ঠান হিসেবেই ভূমিকা রাখবে এমন নয়, পাশাপাশি এ সেন্টার প্রাসঙ্গিক ও বাস্তবসম্মত শিক্ষার পরিসর বিস্তৃতিতে আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করবে।

অংশীদারিত্বমূলক এ উদ্যোগের গুরুত্ব তুলে ধরে আইবি'র পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মাদ এ. মোমেন বলেন, হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল ও ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট বেঙ্গালুরুর মতো স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে অংশীদারিত্ব আমাদের শিক্ষাক্রম এবং শিক্ষাদান পদ্ধতি সমৃদ্ধ করতে এবং দেশে ব্যবসায় শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন নজির স্থাপনে অনন্য ভূমিকা রাখবে।

বাংলাদেশের ব্যবসাখাতের ওপর আলোকপাত করে কেস স্টাডি তৈরি ও প্রকাশে কাঠামো তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল পাবলিশিং ও ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্টের সাথে এ অংশীদারিত্ব। এর মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে যেন শিক্ষার্থীরা উদীয়মান বাজারের বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ সম্পর্কে ধারণা ও জ্ঞান অর্জন করতে পারেন।

এ অংশীদারিত্ব হার্ভার্ড বিজনেস পাবলিশিং এডুকেশনের দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক পরিচালক দিব্যেশ মেহতা বলেন, আমরা আইবিএ মুবারক আলী কেইস সেন্টারের সাথে অংশীদারিত্ব করতে পেরে আনন্দিত। এ উদ্যোগ বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের ব্যবসাখাতের সম্ভাবনা তুলে ধরবে; পাশাপাশি, শিক্ষার ক্ষেত্রে অর্থবহ অংশীদারিত্ব কীভাবে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে তারও অনন্য উদাহরণ তৈরি করবে। একসাথে আমরা সাফল্যগাঁথা রচনা করছি; আর এর শেকড় প্রাসঙ্গিকতা ও রূপান্তরমূলক শিক্ষাগত অভিজ্ঞতার ভেতরে নিহিত রয়েছে।

ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট বেঙ্গালুরুর (আইআইএমবি) ডিসিশন সাইন্সেস ফ্যাকাল্টির ডিন অধ্যাপক ইউ দীনেশ কুমার বলেন, আইআইএম বেঙ্গালুরু (আইআইএমবি) আইবিএ মুবারক আলী কেইস সেন্টারের সাথে গুরুত্বপূর্ণ এ অংশীদারিত্বমূলক উদ্যোগ গ্রহণ করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। এ অংশীদারিত্ব বাংলাদেশের ব্যবসায়িক মডেলের কার্যকারিতা বৈশ্বিক পর্যায়ে তুলে ধরার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে। কেস স্টাডি তৈরির পরিবেশ তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা রাখার মাধ্যমে এ অংশীদারিত্ব বিশ্বব্যাপী প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ধারণা প্রদান করবে।

তিনি বলেন, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লি. এর প্রতিষ্ঠাতা এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে মুবারক আলী বিগত চার দশকে সফলভাবে একটি অনবদ্য প্রতিষ্ঠানকে সাফল্যের সর্বোচ্চ চূড়ায় প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। আজ মুবারক আলীর অন্তর্ধানের এক বছর পূর্তি। তার সাফল্যমণ্ডিত জীবন ও কর্মের স্মরণে আইবিএ মুবারক আলী কেইস সেন্টার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষা, শিল্পকলা ও স্থাপত্যে টেকসই উন্নয়ন এবং উৎকর্ষ অর্জনে কাজ করে যাচ্ছে মুবারক আলি ফাউন্ডেশন। শিল্পকলার ক্ষেত্রে এ ফাউন্ডেশন লন্ডনে ফ্রিজ আর্ট ফেয়ার ইমার্জিং আর্টিস্ট প্রাইজে সহায়তা করে যাচ্ছে। এ অঞ্চলগুলোর প্রতি ফাউন্ডেশনের প্রতিশ্রুতি কমিউনিটির উন্নয়ন ও সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রতি প্রয়াত মুবারক আলীর নিষ্ঠা ও নিবেদনকেই প্রতিফলিত করে।

ইতিবাচক পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে আগত অতিথিদের উদ্যম ও উৎসাহ প্রকাশের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়। আইবিএ মুবারক আলী কেইস সেন্টারের উদ্বোধন বাংলাদেশে ব্যবসায় শিক্ষার অগ্রগতির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে ভূমিকা রাখবে। এ উদ্যোগ দেশে নতুন প্রজন্মের নেতৃত্ব তৈরিতে ভূমিকা পালন করবে, যারা দেশে ও বিশ্বব্যাপী ব্যবসার ভবিষ্যৎ আকৃতিদানে ভূমিকা পালন করবে বলে মন্তব্য সকলের। 

;

সিলেটে অনুষ্ঠিত হলো এয়ার এ্যাস্ট্রা’র বিজনেস পার্টনার মিট



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সিলেটে অনুষ্ঠিত হলো এয়ার এ্যাস্ট্রা’র বিজনেস পার্টনার মিট

সিলেটে অনুষ্ঠিত হলো এয়ার এ্যাস্ট্রা’র বিজনেস পার্টনার মিট

  • Font increase
  • Font Decrease

এয়ার এ্যাস্ট্রা’র সম্মানিত ট্রেড পার্টনারদের সৌজন্যে ০২ মে বৃহস্পতিবার, সিলেট এর রোজ ভিউ হোটেল এক মতবিনিময় সভা’র আয়োজন করা হয়।

‘এয়ার এ্যাস্ট্রা বিজনেস পার্টনার মিট’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে সিলেটের বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সির প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এয়ার এ্যাস্ট্রার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ইমরান আসিফ, চিফ কমার্শিয়াল অফিসার সোহেল মাজিদসহ প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

এয়ার এ্যাস্ট্রা’র সিইও ইমরান আসিফ বলেন, বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের গন্তব্য সিলেট এয়ার এ্যাস্ট্রা’র জন্য গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য। বর্তমানে এই রুটে প্রতিদিন দুটি ফ্লাইট পরিচালনা করছে এয়ার এ্যাস্ট্রা, যাত্রী চাহিদা বৃদ্ধি পেলে খুব শিঘ্রই আরও ফ্লাইট এই রুটে যুক্ত করা হবে।

সিলেটের পাশাপাশি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রুটে চারটি, কক্সবাজার রুটে চারটি ও সৈয়দপুর রুটে প্রতিদিন তিনটি ফ্লাইট পরিচালনা করছে এয়ার এ্যাস্ট্রা। এয়ার এ্যাস্ট্রা সম্মানিত যাত্রীদের সুবিধার্থে ইন-ফ্লাইট ম্যাগাজিন ও শিশুদের জন্য ফানবুক প্রদান করে থাকে।

যাত্রীরা ফ্লাইট টিকিট এয়ার এ্যাস্ট্রা’র ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপস, সেলস অফিস, অনলাইন ও অফলাইন্ ট্রাভেল এজেন্সি থেকে ক্রয় করতে পারবেন। এয়ার এ্যাস্ট্রা’র বহরে বর্তমানে তিনটি এটিআর ৭২-৬০০ এয়ারক্রাফট রয়েছে, যা ফ্রান্সে নির্মিত সর্বাধুনিক প্রযুক্তির টার্বোপ্রপ এয়ারক্রাফট এবং ৭০ জন যাত্রী বহন করতে সক্ষম। খুব শিঘ্রই আন্তর্জাতিক রুটেও ডানা মেলবে এয়ার এ্যাস্ট্রা।

;

ভর্তুকি কমাতে বছরে চারবার বাড়বে বিদ্যুতের দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভর্তুকি কমিয়ে আনতে বছরে চারবার বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করবে সরকার। পর্যায়ক্রমে আগামী তিন বছর এভাবেই বাড়ানো হবে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) সচিবালয়ে আইএমএফের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগ এ কথা জানিয়েছে।

জানা গেছে, চলতি মাসে আবারও বাড়তে পারে জ্বালানি তেলের মূল্য। বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে মূল্য বাড়াবে। তবে বিশ্ববাজারে কমলে এখানেও কমানো হবে। এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার একটি নির্দেশিকা জারি করেছে।

সমন্বয়ের নামে মূলত বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হচ্ছে জানিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকার খরচ কমিয়েও ভর্তুকি সমন্বয় করতে পারে। অনিয়ম, দুর্নীতি, অপচয় রোধ করে বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ কমানোর দিকে সরকারের মনোযোগ নেই। বরং চাহিদা না থাকলেও দরপত্র ছাড়া একের পর এক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করে এ খাতের খরচ আরও বাড়াচ্ছে।

আইএমএফের প্রতিনিধিদল বৃহস্পতিবার জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, পেট্রোবাংলা, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) সঙ্গেও বৈঠক করেছে। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, পেট্রোবাংলা ও বিপিসি প্রায় একইভাবে আইএমএফকে জানিয়েছে, গ্যাস ও জ্বালানি তেলে নতুন করে ভর্তুকির চাপ নেই। তেলের দাম নিয়ে স্বয়ংক্রিয় যে পদ্ধতি (আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়লে দেশে বাড়বে, কমলে কমবে) চালু করার কথা আইএমএফ বলেছিল, তা হয়েছে। প্রতি মাসে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হচ্ছে। এতে জ্বালানি তেলে আর কখনো ভর্তুকি দিতে হবে না। প্রথম দুই দফায় দাম কিছুটা কমানো হলেও শেষ দফায় দাম বেড়েছে। তিন মাস ধরে এ চর্চা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, এ বছর বিদ্যুতের মূল্য আরও কয়েক দফা সমন্বয় করা হবে। এভাবে আগামী তিন বছর চলবে। তবে কোন মাসে সমন্বয় করা হবে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

জ্বালানি তেলের মূল্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে সমন্বয় করা হবে। তবে আমার কাছে মনে হচ্ছে সমন্বয় করা হলেও জ্বালানি তেলের মূল্য খুব বাড়বে না। তবে পরিবর্তন হলে সেটি নির্ভর করবে বৈশ্বিক বাজারের ওপর।

জানা গেছে, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা আসার পর এ পর্যন্ত বিদ্যুতের মূল্য বেড়েছে ১৩ বার।

;