‘দেশ যদি ডুবেই যায় তবে কার জন্য পলিটিক্স?’



আশরাফুল ইসলাম, পরিকল্পনা সম্পাদক, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (আইবিসিসিআই) সভাপতি এবং নিটল মোটরসের চেয়ারম্যান আবদুল মাতলুব আহমাদ বলেছেন, অর্থনীতি একটি দেশের মূল চালিকাশক্তি, তাই অর্থনীতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে এমন কর্মকাণ্ড সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হওয়া উচিত। অর্থনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত কর্মকাণ্ডকে রাজনৈতিক কর্মসূচির বাইরে অবশ্যই রাখবে হবে।


রাজনীতিবিদদের কাছে প্রশ্ন রেখে এই শীর্ষ ব্যবসায়ী নেতা বলেছেন, দেশ যদি ডুবেই যায় তবে কার জন্য পলিটিক্স?

দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় ব্যবসা-বাণিজ্যের ওপর পড়া নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে বুধবার বার্তা২৪.কম-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেছেন আবদুল মাতলুব আহমাদ। কথা বলেছেন পরিকল্পনা সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম

বার্তা২৪.কম: ৮ বছর পর দেশের আবারও সহিংস রাজনৈতিক কর্মসূচি শুরু হলো। এক দিন হরতালের পর টানা ৩ দিনের অবরোধের দ্বিতীয় দিন চলছে আজ। ব্যবসা-বাণিজ্যে কি ধরণের প্রভাব ফেলছে এসব কর্মসূচি

আবুল মাতলুব আহমেদ: আমরা ব্যবসায়ী কমিউনিটি থেকে ইতিমধ্যেই বলা শুরু করেছি, বিগত দিনেও বলেছি আবারও খুব দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি-এই যে হরতাল কিংবা অবরোধ, যা জনগণের মুখের হাসি কেড়ে নেওয়ার কর্মসূচি এগুলো ব্যবসা-বাণিজ্যের অনেক ক্ষতি করে। হাজার হাজার কোটি টাকা লোকসান হয় এক দিনেই। এটা আমরা গরীবদের মাঝে বিলিয়ে দিলেও তারা অনেক খুশি হতো। সে জন্য আমরা সব সময়ই প্রত্যাশা করি, রাজনীতি চলবে, সারা বিশ্বেই চলে কিন্তু জনগণের মুখের হাসি হচ্ছে রাজনীতির আলটিমেইট এইম, তাদের হাসিই যদি আপনি নিয়ে যান, তাইলে আপনি কার জন্য আন্দোলন করছেন? এজন্য জাপানের মতো দেশে, ওরা যখন হরতাল করে তখন তারা ওভার প্রোডাকশন করে। কোনো ফ্যাক্টরি থামায় না। সাপ্লাই চেইনকে ডিস্টার্ব করে না। আমাদের এখানে আনফর্চুনেটলি আমরা পাবলিকের জিনিস নষ্ট করে ফেলি। রাষ্ট্রের জিনিস নষ্ট করে ফেলি। এবং আমাদের ইকনমিকে আমরা চলতে দিই না। বাংলাদেশের মতো একটি দেশের ইকনমনি যদি..গ্রোয়িং দেশ যদি ইকনমিক্যাললি থামিয়ে দেন, হাতির মতো… যা উঠতে বসতে টাইম লাগে। অর্থনীতিকে থামিয়ে দিয়ে আবার আগের মতো সচল হতে অনেক সময় লেগে যায়। এই লসটা কোন দিন পূরণ হয় না। এজন্য আমি সব সময় বলি পলিটিক্সে …নিজেদের মধ্যে কর্মসূচি হবে, আলাপ-আলোচনা হবে, ধাক্কাধাক্কি হবে…এগুলো হবে, সারা দুনিয়াতেই হয়। কিন্তু ইকনমিকে ডেস্ট্রয় করে এখনকার দুনিয়াতে আর করে না। বাংলাদেশেও এটা হওয়া উচিত না।

বার্তা২৪.কম: আমাদের রাজনীতিবিদরা কি সময়ে এই চাওয়া বা জনআকাঙ্খার সঙ্গে নিজেদের খাপ-খাওয়াতে পারছেন না? আপনার কি মনে হয়

আবুল মাতলুব আহমেদ: আমরা তো খুব খুশি ছিলাম, আন্দোলন হচ্ছে কিন্তু কোন ভাঙ্গাভাঙ্গি নাই, হরতাল নাই, বেশ কয়েকটা মাস দেখলাম। শঙ্কা ছিল যে এ ধারাটি হয়তো অব্যাহত রাখতে পারবে না। দুঃখজনকভাবে তাই ঘটলো। আমি খুব খুশি হতাম যদি ধরে রাখতে পারতো। এবং তারা তাদের যে ডিমান্ডস নিয়ে কথা বলছিলেন…সেগুলো আলাপ আলোচনার মাধ্যমে হোক, কিংবা থার্ড পার্টি ডিসকাশনের মাধ্যমে হোক, সেটা করা উচিত ছিল। কিন্তু ইকনমিকে জিম্মি করে বিশেষ করে, ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর ইসরায়েল-ফিলিস্তিন-হামাসের যুদ্ধ; এই দুনিয়াতে যে সমস্যা, এর মধ্যে আমাদের দেশটা, আমরার কোন মতে বেঁচে ছিলাম, ইকনমিটা কোন রকমে বেঁচে ছিল। রিজার্ভ ক্রাইসিস, ডলার ক্রাইসিস…এর মধ্যে আরও একটি বড় চ্যালেঞ্জ নেবার মতো ক্ষমতা বাংলাদেশের ইকনমিতে এখন নেই। আমরা যারা ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প করি , আমরা বেশ আতঙ্কিত।

বার্তা২৪.কম: আপনি কি মনে করেন এটি রাজনীতিবিদদের দায়িত্বহীন আচরণ?

আবুল মাতলুব আহমেদ: আমি বলব যে, আন্দোলনের বাইরে ওনাদের সমাধান খোঁজা উচিত ছিল। যাঁরা দায়িত্বশীল, তাদের সমাধান আনা উচিত ছিল, আমাদের প্রত্যাশা ছিল, অন্ততঃ এই বারে এরকম সহিংস আন্দোলন ছাড়াই তারা একটি সমাধানে আসবেন। আমি এখনো আশা করি, এটি আর বিস্তৃত না হয়ে রাজনীতিবিদরা একটি বোঝাপড়ায় পৌছাবেন। তারা চিন্তা করবেন যে আমরা দেশকে বাঁচাব। দেশকে এগিয়ে নেব এবং দেশের জনগণের যে গ্রোথ ছিল, যে হাসি ছিল, সেটা ফেরত নিয়ে আসব। 

বার্তা২৪.কম: চলমান এই অবরোধ বা সহিংস রাজনৈতিক কর্মসূচিতে ব্যবসা-বাণিজ্যে কি ধরণের প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন?

আবুল মাতলুব আহমেদ: আমদানিতে আমাদের ডলার ক্রাইসিস চলছে দেড় থেকে পৌনে দু’বছর। ক্রাইসিস অলরেডি আমাদের আছে। এখন আমরা কিছু ইনভেস্টমেন্ট বিদেশ থেকে পাচ্ছিলাম। এই পরিস্থিতিতে ওরা (বিনিয়োগকারীরা) একটু ঘাবড়ে যেতে পারে, অর্থছাড় বিলম্ব করে দিতে পারে। আমাদের ডলার ইনফ্লোটা ডিলে করলেও আমাদের জন্য ক্ষতি। এই জন্য আমি মনে করি যে, ইনভেস্টমেন্ট স্লো ডাউন হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আমরা যারা শিল্প করি, তাদের আমদানি পণ্য আসতে পারবে না। কাঁচামাল আসতে পারবে না। উৎপাদন বাধাগ্রস্ত হতে পারে। জনগণের জন্য আমরা যে মালামাল বানাচ্ছিলাম এমন চলতে থাকলে তো আমরা তা তৈরি করতে পারব না। তখন জিনিসের দাম আরও বেড়ে যেতে পারে। বটম লাইন এটাই হচ্ছে যে, এমপ্লয়মেন্ট ইফেক্ট করবে এবং জনগণের যে পণ্য চাহিদা আমরা তা আনতে পারব না, দেশেও উৎপাদন করতে পারব না। জনগণের যে প্রত্যাশা রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের প্রতি এটি আমরা কেউই পূরণ করতে পারব না। আমরা তো দাঁড়িয়ে আছে ফুলফিল করার জন্য। কিন্তু রাজনীতিবিদদের অবশ্যই এক্ষেত্রে আমাদের সহযোগিতা করতে হবে।

বার্তা২৪.কম:  আমরা বিভিন্ন সময়ে দেখেছি, ব্যবসায়ী নেতারা রাজনীতিকে ডমিনেট করেন, এবারের এই সংকটে কি আপনারা রাজনীতিবিদদের সহিংস কর্মসূচি থেকে বিরত রাখার জন্য কোন ভূমিকা নিতে পারেন?

 আবুল মাতলুব আহমেদ: মনে রাখতে হবে যে  পলিটিক্সের আগে হচ্ছে দেশ। এবং আমি যেটি মনে করি, পলিটিশিয়ান, বিজনেস পিপল-যারাই আছেন তাদের এখন দেশের জন্য সেক্রিফাইসের সময় এসেছে। জিনিস ক্রাইসিস আছে, ব্যবসায়ীরা দাম বাড়াবেন না। চেষ্টা করতে হবে আগের দামেই দেওয়ার জন্য। দাম কিছুতেই বাড়ানো যাবে না। সরকারের উচিত হবে, যেমন কোভিডের সময় ট্রাক চালু রেখেছিলেন, সব পার্টি মিলে অন্ততঃ ইকনমিক লাইফ লাইন যেমন ট্রাকসহ পণ্য পরিবহণের যানসমূহ, এগুলোকে হরতাল-অবরোধ কর্মসূচির বাইরে রাখতে হবে। যেমন আমদানি পণ্য আনতে হবে। রপ্তানি পণ্য পাঠাতে হবে। এগুলো পলিটিক্যাল ইভেন্টস এর বাইরে রাখতে হবে। দেশের জন্য সর্বাগ্রে চিন্তা করতে হবে। দেশ যদি ডুবেই যায় তবে কার জন্য পলিটিক্স?

বার্তা২৪.কম:  আপনারা কি রাজনীতিবিদদের এটি বোঝাবার জন্য কোন দায়িত্ব নেবেন, যাতে তারা সহিংস কর্মসূচি থেকে বিরত হয়?

আবুল মাতলুব আহমেদ: বিগত দিনে আমরা এ রকম প্রচেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ইফেক্টিভনেস আমরা পাইনি। সেজন্য আমরা চাই যে, পলিটিশিয়ানরা আমাদের বলুক, দ্য উইল ওয়ান্ট থার্ড পার্টি টু মেডিয়েট। ওনারা যদি মেডিয়েশন না চান তাহলে কিন্তু মেডিয়েটররা কোন রুল পান না। যখন দু’পক্ষই বলবে আমরা একটি থার্ড পার্টি রুল চাই, যারা আমাদের মধ্যে একটি সমাধান আনবে। এটি দেশে-বিদেশে মিলেও হতে পারে বা শুধুমাত্র দেশেও হতে পারে, ব্যবসায়ী কমিউনিটি থেকেও হতে পারে। এটা নির্ভর করবে রাজনীতিবিদদের ওপর। তারা যতোক্ষণ পর্যন্ত সমমনা হচ্ছেন না, বলছেন না যে আমরা সমাধান চাই-ততোক্ষণ পর্যন্ত যে যতো কথাই বলেন না কেন , দু’জনের যে কোন একজন যদি বেঁকে বসেন তাহলে কিন্তু আর মেডিয়েশন হয় না। আমি প্রত্যাশা করব, অচিরেই আমরা হয়তো আলোচনার ইঙ্গিত দেখতে পাব। ৪ তারিখে যেমন ইলেকশন কমিশন সব পার্টিকে ডেকেছেন। হয়তো এমনও হতে পারে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী হয়তো সবাইকে ডাকবেন ইনক্লুডিং বিএনপি। এটা উনার ওপর নির্ভরশীল অনেক বেশি। আর আমরা যারা আছি, আমরা যখন দেখব যে মেডিয়েশন করলে আমাদের কথা তারা কানে দেবেন, ব্লাইন্ড থাকবেন না, শোনার জন্য বা বলার জন্য রেডি থাকেবেন তখন আমরা চেষ্টা করতে পারি নয়তো কি করে এগুবো। এজন্য পলিটিশিয়ানদের জানান দিতে হবে, ‘উই আর রেডি ফর অ্যা মেডিয়েশন ফর দিজ টেল মিট’…টেল মিট মেডিয়েশন করতেই হবে।

বার্তা২৪.কম:  আপনি যে ইতিবাচকভাবে বললেন তা যদি হতো তবে তো ভালোই হতো রাজনীতির জন্য

আবুল মাতলুব আহমেদ: অবশ্যই হবে..ডোন্ট বি ডিজহার্টেনড..সবই হবে। পলিটিক্স তো, একটু প্রেশারে খেলা হয়। এখন কার প্রেশার কতোটুকু যাবে….কার প্রেশারে কতটুকু গিয়ে কোথায় আউট ব্রাশ্ড হয়ে একটি সল্যুশনে আসবে …বিগত দিনে আমরা বহু দেখেছি ৫০ বছরে। আলটিমেটলি একটি সল্যুশনে আসবে আর যদি সল্যুশনে না আসে তবে দেশের ক্ষতি হবে, জনগণের ক্ষতি হবে। এবং যার জন্য পলিটিক্স সেই টার্গেট থেকে আমরা ছিটকে পড়ে যাব।

বার্তা২৪.কম: এবারের নির্বাচনকে ঘিরে পশ্চিমা দেশগুলোর একটি প্রেশার রয়েছে। রাজনীতিবিদদের একটি চাপের মধ্যে রাখতে চেষ্টা করছে তারা। দেশের রাজনৈতিক অচলাবস্থার সমাধান যদি না হয় তাহলে পশ্চিমানির্ভর ব্যবসা-বাণিজ্যের যে খাতগুলো রয়েছে, সেগুলো কি ধরণের সংকটের মধ্যে পড়তে পারে বলে আপনার মনে হয়?

আবুল মাতলুব আহমেদ: সব দেশের সঙ্গেই আমোদের যে সম্পর্ক, বিশেষ করে বঙ্গবন্ধুর পররাষ্ট্র নীতি, ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’ এটা কিন্তু আমাদের পলিসির মধ্যে আছে। পলিটিশিয়ানরাও সেটা জানেন। আজকে আমাদের এখানে ডেভেলপমেন্টটা হচ্ছে ‘বিকজ অব আওয়ার রিলেশনশিপ উইথ দ্য ফরেন ন্যাশনস্’। আমাদের কিন্তু প্রাকটিক্যালি কোন সমস্যা নাই। এখন যদি আমরা জোর করে শত্রু বানাই তাইলে নিশ্চিতভাবেই যারা শত্রু বানাবে তারা দেশের জন্য কাজ করছেন না। দেশের খারাপের জন্যই তারা কাজ করছেন..। আমি এটা বলব, এখনও আমাদের এক্সপোর্ট যেসব দেশের ওপর নির্ভরশীল সেসব দেশকে কিন্তু আমরা সার্ভিস দিচ্ছি। আমরা কিন্তু কম দামে জিনিস দিচ্ছি। তারাও উপকৃত হচ্ছে, শুধু আমরাই উপকৃত হচ্ছি তা নয়। তারাও যদি বলেন, না আমরা কম দামে কিনব না, ডাবল দামে কিনব অন্য জায়গা থেকে নেব, সেটাও তাদের জন্য ডিফিকাল্ট। তাদের যারা জনগণ আছেন তারাও কিন্তু কম পয়সায় ভালো জিনিস চায়। দ্যট ক্যান বি ডেলিভার্ড অনলি ফর বাংলাদেশ। ওইদিকে আমাদের একটা বড় এডভান্টেজ আছে। যে তারা যদি বিগ কার্টেল না করে, যদি বলে বাংলাদেশ থেকে আমদানি বন্ধ..আজই আফ্রিকার ৪টি দেশের সঙ্গে ব্যবসাই বন্ধ করে দিয়েছে…নো বিজনেস। ওরকম যদি বাংলাদেশের সঙ্গে করে তবে নিশ্চিতভাবেই বাংলাদেশের ক্ষতি হবে। কিন্তু আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময় বলেছেন যে, ‘লুক ফর নিউ মার্কেট অ্যান্ড নিউ প্রোডাক্টস’। তবে এটি এক কথায় বলা যাবে, অবশ্যই প্রভাব পড়বে। সেজন্য আমাদের উচিত, সবার সঙ্গে মিলমিশ করে একটি সিদ্ধান্তে পৌছানো। মনে রাখতে হবে, আমি আর আপনি যদি না মিলি তবে বিদেশিরা হাজার চেষ্টা করলেও মিলবে না। তখন ভিন্ন এঙ্গেলে যাবে, দেশটা ভোগান্তিতে পড়বে।

আরও পড়ুন: ‘দেশ যদি ডুবেই যায় তবে কার জন্য পলিটিক্স?’

   

টাকা ছাপানোর কথা ঠিক নয় : গভর্নর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেছেন, ‘বিভিন্ন পর্যায় থেকে টাকা ছাপানোর কথা বলা হচ্ছে। এটা ভুল ধারণা। এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে সরকারকে কোনো ঋণ দেওয়া হচ্ছে না। সরকারি ঋণের পুরোটাই বাণিজ্যিক ব্যাংক সরবরাহ করছে। এর ফলে এখন টাকা ছাপানোর নিট প্রভাব শুন্য।’

রবিবার (৫ মে) রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ ও বণিক বার্তা যৌথভাবে ‘বিতর্কিত বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে উন্নয়নের পন্থা খাপ খাওয়ানো’ শীর্ষক প্রথম আন্তর্জাতিক এ সম্মেলন আয়োজন করে। সম্মেলনের প্রথম দিনের প্লেনারি-২ অধিবেশনটি হয় মুদ্রানীতি ও রাজস্ব নীতির সমন্বয় বিষয়ে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমানের সভাপতিত্বে অধিবেশনে প্যানেল আলোচক ছিলেন সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ ও ফজলে কবির, সাবেক অর্থসচিব ড. এম তারেক ও মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী।

আলোচনায় শক্তিশালী কেন্দ্রীয় ব্যাংক, সুদহার, মূল্যস্ফীতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ, তারল্য সঙ্কটসহ বিভিন্ন বিষয় উঠে আসে।

ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাংকের যথেষ্ট ক্ষমতা আছে। আর স্বাধীনতা কেউ দেয় না। লোকবল, দক্ষতার মাধ্যমে অর্জন করতে হয়। আবার বাইরের চাপ থাকে সেটা মোকাবিলার দক্ষতা থাকতে হয়।’

সাবেক এই গভর্নর জানান, তিনি গভর্নর থাকা অবস্থায় সবাই ফেরেস্তা ছিল তেমন নয়। নতুন ব্যাংক অনুমোদন দেওয়ার চাপ ছিল। তবে তিনি নানাভাবে সময় ক্ষেপন করে শেষ পর্যায়ে গিয়ে বলে দিয়েছেন ব্যাংক দিলে অর্থনীতির জন্য ক্ষতি হবে।

তিনি বলেন, আর্থিক খাতের বর্তমান বাস্তবতায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শক্ত হওয়ার সময় এসেছে। কোনো দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রাজনৈতিক প্রভাবের বাইরে না। এখানে সবাই সহজ পন্থায় হাটতে চায়। পরোক্ষ করের চেয়ে প্রত্যক্ষ কর আদায় সহজ- সেদিকেই সবার দৃষ্টি। এখানে এক পাউরুটিতে ধনী, দরিদ্র সবাইকে একই হারে কর দিতে হয়।

ড. সালেহ উদ্দিন বলেন, মূল্যস্ফীতি কমানোর কথা বলে শুধু মুদ্রানীতি সংকোচন করলে হবে না। কর্মসংস্থান, বিনিয়োগ এসব না হলে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ কার জন্য আবার সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি নিলে প্রথম প্রভাব পড়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের বিনিয়োগে।

সাবেক অর্থ সচিব এবং এক সময়ের মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মোহাম্মদ মুসলিম চৌধুরী বলেন, সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির কথা বলা হচ্ছে। আবার সার বিদ্যুতের ভর্তুকির বিপরীতে সরকার ২০ হাজার কোটি টাকার বন্ড ইস্যু করেছে। আবার ব্যাংকগুলো এই বন্ড রেখে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা ধার নিতে পারবে, এসএলআর সংরক্ষণ করতে পারবে। ফলে মানি মাল্টিপ্লায়ার প্রভাব ৫ গুণ ধরলে ২০ হাজার কোটি টাকা অর্থনীতিতে এক লাখ কোটি টাকার প্রভাব ফেলছে। অবশ্য একটা ভালো খবর হলো এখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক সরকারকে ঋণ না দিয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে দিচ্ছে।

তিনি বলেন, সুদহারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক সময় চাহিদা ও সরবরাহের ভিত্তিতে নির্ধারণের কথা বলা হয়। তবে সব ক্ষেত্রে এটা ভালো নয়। কিছু প্লেয়ার অনেক সময় নিজের স্বার্থে এই টার্ম ব্যবহার করে।

গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, বিদ্যুৎ ও সারের জন্য সরকারি ভর্তুকির বিপরীতে সরকার বন্ড ইস্যু করেছে। এই বন্ড ইস্যু না করলে দুই ধরনের সঙ্কট তৈরি হতো। প্রথমত, যারা সরকারের কাছে টাকা পায় তাদের কোনো সমস্যা না থাকলেও খেলাপি হয়ে যাচ্ছিল। আরেকটি হলো– ব্যাংক খাত এমনিতেই তারল্য সঙ্কটে পড়েছে। বন্ড না দিলে তারল্য সঙ্কট আরও বাড়ত। এখন প্রশ্ন হলো এতে ‘মানি ক্রিয়েশন’ হয়েছে কিনা। বন্ড ইস্যুর সঙ্গে সঙ্গে মানি ক্রিয়েশন হয়ে গেছে এটা ঠিক না।

দুদিনের এ সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসেকে আয়েশা খান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে এতে প্যানেল আলোচক ছিলেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যায়ন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

;

একদিনের ব্যবধানে ফের বাড়ল সোনার দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

একদিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে আবারও বেড়েছে সোনার দাম। এবার ৭৩৫ টাকা বাড়িয়ে ভালো মানের, অর্থাৎ হল-মার্ক করা ২২ ক্যারেট সোনার দাম দাঁড়িয়েছে প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ৯৪৮ টাকা। ।

রোববার (৫ মে) বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে। এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে খাঁটি সোনার দাম কমেছে, সে জন্য সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দর সোমবার (৬ মে) থেকে কার্যকর হবে।

এর আগে, টানা আট দফা কমার পর শনিবার (৪ মে) দেশের বাজারে সোনার দাম ভরিতে ১ হাজার ৫০ টাকা বাড়ানো হয়।

নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম পড়বে ১ লাখ ১০ হাজার ৯৪৮ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৫ হাজার ৮৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯০ হাজার ৭৬৯ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৭৫ হাজার ৪৮৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

তার আগে, গত ৩ মে এবং ৩০ এপ্রিল, ২৯ এপ্রিল ২৮ এপ্রিল, ২৭ এপ্রিল, ২৫ এপ্রিল, ২৪ এপ্রিল ও ২৩ এপ্রিল আট দফা সোনার দাম কমানো হয়। এর মধ্যে ৩ মে এক হাজার ৮৭৮ টাকা কমানো হয়। তার আগে ৩০ এপ্রিল ৪২০ টাকা, ২৯ এপ্রিল ১ হাজার ১১৫ টাকা, ২৮ এপ্রিল ৩১৫ টাকা, ২৭ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৫ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২ হাজার ৯৯ টাকা এবং ২৩ এপ্রিল ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমানো হয়। এতে আট দফায় ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ১০ হাজার ২৬২ টাকা কমানো হয়।

;

চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ৫ লাখ কোটি টাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ৫ লাখ কোটি টাকা

চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ৫ লাখ কোটি টাকা

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি অর্থবছর মোট রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৪ লাখ ৯৯ হাজার ৯৯৫ কোটি টাকা। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের তুলনায় চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ছয়মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) মোট রাজস্ব আহরণ ১৩.৯ শতাংশ বেড়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

রোববার (০৫ মে) সংসদ অধিবেশনে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের বাজেট বাস্তবায়ন অগ্রগতি প্রতিবেদন তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।

অর্থমন্ত্রী জানান, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে সর্বমোট রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ ৯৯ হাজার ৯৯৫ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক (জুলাই-ডিসেম্বর) শেষে মোট ১ লাখ ৮৬ হাজার ৪৫৭ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণ হয়েছে। যা বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রার ৩৭.৩ শতাংশ। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩.৯ শতাংশ বেশি।

তিনি জানান, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে কর রাজস্ব (এনবিআর এবং এনবিআর বহির্ভূত) আহরণের প্রবৃদ্ধি আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১১.৩ শতাংশ এবং কর বহির্ভূত রাজস্ব (এনটিআর) আহরণের প্রবৃদ্ধি ৩৪.৬ শতাংশ। এ সময়ে কর বহির্ভূত রাজস্ব (এনটিআর) আহরণের পরিমাণ ২৪ হাজার ২৯৩ কোটি টাকা। যা চলতি অর্থবছরের বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৪৮.৬ শতাংশ। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড -এর হিসাব অনুযায়ী, দ্বিতীয় প্রান্তিকে এনবিআর এর রাজস্ব আদায় হয়েছে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৬৩০ কোটি টাকা। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ১৩.৯ শতাংশ বেশি এবং চলতি অর্থবছরের বার্ষিক লক্ষ্যমাত্রার প্রায় ৩৮.৫ শতাংশ।

অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের সরকারি ব্যয় পরিস্থিতি তুলে ধরে মন্ত্রী জানান, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে মোট ব্যয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা (জিডিপি'র ১৫.১২ শতাংশ)। এর মধ্যে পরিচালনসহ অন্যান্য বায় ৪ লাখ ৯৮ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা (জিডিপি'র ৯.৯০ শতাংশ) এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির ব্যয় ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা (জিডিপি'র ৫.২২ শতাংশ)। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক শেষে মোট ব্যয় হয়েছে ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮৯৮ কোটি টাকা (বাজেট বরাদ্দের ২৫.৫৮ শতাংশ)। এর মধ্যে পরিচালনসহ অন্যান্য ব্যয় ১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৭ কোটি টাকা (বাজেট বরাদ্দের ৩০.৬৯ শতাংশ)। সার্বিকভাবে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে গত অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের তুলনায় মোট ব্যয় বেড়েছে ৫.৬২ শতাংশ। এছাড়া পরিচালনসহ অন্যান্য ব্যয় ১.০৯ শতাংশ বেড়েছে এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ব্যয় বেড়েছে ২৬.৩৬ শতাংশ।

বাজেট ঘাটতি প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী জানান, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৯০ কোটি টাকার বাজেট ঘাটতি প্রাক্কলন করা হয়েছে, যা প্রাক্কলিত জিডিপি’র ৫.২৩ শতাংশ। ঘাটতি অর্থায়নে বৈদেশিক সূত্র থেকে জিডিপি’র ২.০৫ শতাংশ এবং অভ্যন্তরীণ সূত্র থেকে জিডিপি'র ৩.১০ শতাংশ সংস্থানের পরিকল্পনা করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে বাজেট ঘাটতি (অনুদান ব্যতীত) দাঁড়িয়েছে ৮ হাজার ৩৩৮ কোটি টাকা। যা গত অর্থবছরে একই সময়ে বাজেট ঘাটতি ছিল ২০ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ঋণ গ্রহণ অপেক্ষা ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ৩ হাজার ২৮৭ কোটি টাকা বেশি হয়েছে এবং বৈদেশিক উৎস থেকে নীট (অনুদানসহ) ১০ হাজার ৩৪৭ কোটি টাকার ঘাটতি অর্থায়ন করা হয়েছে।

;

যশোরে স্মার্ট কার্ডে নারী উদ্যোক্তা ঋণ স্মরণে বঙ্গবন্ধু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
যশোরে স্মার্ট কার্ডে নারী উদ্যোক্তা ঋণ স্মরণে বঙ্গবন্ধু

যশোরে স্মার্ট কার্ডে নারী উদ্যোক্তা ঋণ স্মরণে বঙ্গবন্ধু

  • Font increase
  • Font Decrease

 

এবি ব্যাংক পিএলসি. নারী উদ্যোক্তাদের ব্যবসায়িক কর্মদক্ষতা উন্নয়নে যশোরে দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করেছে।

রোববার (৫ মে) এ প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। 

প্রশিক্ষণ কর্মশালা শেষে নারী উদ্যোক্তাগণের মাঝে সনদ ও স্মার্ট কার্ডের মাধ্যমে সহজ ঋণ- স্মরণে বঙ্গবন্ধু বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব এস,এম, হাসান রেজা, নির্বাহী পরিচালক, খুলনা অফিস, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন জনাব তারিক আফজাল, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও, এবি ব্যাংক পিএলসি.। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ ও এজেন্টগণ।

;