দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি লাগামহীন, চিড়েচ্যাপ্টা মানুষ!



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির লাগাম টানা যাচ্ছে না

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির লাগাম টানা যাচ্ছে না

  • Font increase
  • Font Decrease

"কেনাকাটা করতে এসে এখন আর শান্তি পাই না। যে হারে প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়ছে, সে হারে বেতন বাড়ছে না। এমন অস্বস্তি নিয়ে আর কত দিন চলতে হবে জানি না।" বাজার পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চাইলে কথাগুলো বলেন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা জাবেদ হাসান।

এক সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে। বাজারে বেড়েছে মাছের দাম, সেই সাথে বেড়েছে আলু, আদা ও রসুনের দাম। সবজির বাজার কিছুটা অপরিবর্তনীয় থাকলেও কেনাকাটা করতে এসে হিমশিম খেতে হচ্ছে নিম্ন এবং মধ্য আয়ের মানুষদের।

শ্যাম বাজারে কেনাকাটা করতে আসা মাহবুব আলম বলেন, ‘মাছের বাজার আজ অনেক চড়া, যে টাকা ইনকাম করি তা দিয়ে সংসার চালাতে এমনিতেই হিমশিম খেতে হচ্ছে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর মূল্য যেই হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে, এভাবে বাড়তে থাকলে এক সময় না খেয়ে থাকতে হবে।’

শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর শ্যাম বাজার, কারওয়ান বাজার ও দয়াগঞ্জ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই ও কাতলা মাছ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৪৫০ টাকা। মাঝারি ও বড় চিংড়ি মাছ বিক্রি হচ্ছে ৭০০-১২০০ টাকা, ছোট চিংড়ি ৮০০ টাকা, পাঙাশ মাছ ১৮০-২০০ টাকা ও পাবদা মাছ আকার ভেদে ৩৫০-৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ টাকায়।

অন্যদিকে মুরগির মধ্যে ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৭০-১৮০ টাকা, সোনালি ৩০০-৩২০ টাকা ও দেশি প্রজাতির মুরগির কেজি ৪৮০-৫০০ টাকা। এছাড়াও গরুর মাংস ৭৫০-৭৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি হালি ব্রয়লার মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। মসলা পণ্যের মধ্যে রসুন ও আদার দাম বেড়েছে। আর পেঁয়াজের দাম আগে থেকে বাড়তি। দেশি পেঁয়াজ ৮০-৯০ টাকা ও আমদানি করা পেঁয়াজ ৬৫-৭৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

বর্তমানে বাজারে দেশি রসুন কেজিতে ২২০-২৪০ টাকা ও আমদানি করা রসুন ২১০-২৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সপ্তাহ দুয়েক আগে রসুনের দাম কেজিতে ২০ টাকার মতো কম ছিল। এ ছাড়া দেশি আদার দামও কেজিতে ৫০ টাকার মতো বেড়েছে। গত সপ্তাহ থেকেই আলুর দাম ২-৩ টাকা করে বেড়েছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়। বেগুনের দাম কেজিতে ১০-২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে ৭০-৯০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এইদিকে গত সপ্তাহে চালের দাম ৩-৫ টাকা বেড়ে চিকন চাল কেজি ৬০-৭৫ টাকা, মাঝারি চাল ৫২-৬০ ও মোটা চাল ৫০-৫৫ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে।

তবে কাঁচা মরিচের দাম কেজি প্রতি ৩০ কমে বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা। যা গত সপ্তাহে ছিল ১৫০ টাকা। অন্যদিকে শসা, পটোল ও লাউয়ের দামও ৫-১০ টাকা করে কমেছে। প্রতি কেজি শসা বিক্রি হচ্ছে ৪০-৬০ টাকা, পটোল কেজি ৫০ টাকা, লাউ ৫০-৬০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।

বাজার করতে আসা দিন মজুর রহমত আলী বলেন, ‘বাজারে প্রায় সব ধরনের মাছের দাম বেশি। ডিমের দাম কমলেও তা পূর্বের তুলনায় অনেক বেশি। সারাদিন কাজ করে পাই ৩০০ টাকা, এই টাকা দিয়ে সংসার চালানো কষ্টকর।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাসুম তালুকদার বলেন, ‘সবকিছুর দাম বাড়ার ফলে আমাদের মেস খরচও বেড়ে গেছে। সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে আমদের খাবার দাবারে। শেষ কবে গরুর মাংস খেয়েছি তা মনে পড়ে না। আগে সপ্তাহে ৩-৪ দিন মুরগির মাংশ খেলেও এখন সপ্তাহে ১ দিন খাচ্ছি।’

বাজার মনিটরিং করে অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি ঠেকাতে এবং দ্রব্যমূল্যের দাম কামানোর জন্য সরকারে প্রতি আহবান জানিয়েছেন ক্রেতারা।

   

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বইপড়া কর্মসূচিতে আরও ৩৯,৬৮০ বই হস্তান্তর বিকাশের



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
৩৯,৬৮০ বই হস্তান্তর বিকাশের

৩৯,৬৮০ বই হস্তান্তর বিকাশের

  • Font increase
  • Font Decrease

এক দশকের ধারাবাহিকতায় এ বছরও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বইপড়া কর্মসূচিতে ৩৯ হাজার ৬৮০টি বই হস্তান্তর করলো বিকাশ। শিক্ষার্থীদের মনের বিকাশ ও উৎকর্ষের লক্ষ্যে দেশজুড়ে বিভিন্ন স্কুলে এই বইগুলো বিতরণ করা হয়।

আলোকিত মানুষ গড়ার কারিগর ও বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ এর হাতে বইগুলো তুলে দেন বিকাশ-এর চিফ এক্সটার্নাল অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেজর জেনারেল শেখ মো. মনিরুল ইসলাম (অব.)।

শিক্ষার্থীদের মাঝে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে দায়িত্বশীল করপোরেট প্রতিষ্ঠান হিসেবে ২০১৪ সাল থেকে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের এই দেশভিত্তিক উৎকর্ষ কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত আছে বিকাশ। এর আওতায়, এ পর্যন্ত দেশজুড়ে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৩ লাখেরও বেশি বই দেওয়া হয়েছে যার মাধ্যমে ৩০ লাখ পাঠক উপকৃত হয়েছে।

উল্লেখ্য, বিকাশ তার যাত্রা শুরুর সময় থেকেই বই পড়াকে উৎসাহিত করতে বিভিন্ন ধরণের কার্যক্রমে যুক্ত রয়েছে। ২০১৮ সাল থেকেই বাংলা একাডেমির অমর একুশে বইমেলা আয়োজনে মূল পৃষ্ঠপোষক হিসেবে সহযোগিতা করছে বিকাশ। এছাড়া, স্কুলের শিক্ষার্থীদের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত করতে সারাদেশে বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমের ৫০০টি স্কুলে প্রতি বছর ২০ হাজার কপি গ্রাফিক নভেল সিরিজ ‘মুজিব’ বিতরণ করছে প্রতিষ্ঠানটি। শিক্ষা কার্যক্রমকে আরও সম্প্রসারিত করতে ২০১৯ সাল থেকে যশোরের বিশেষায়িত স্কুল প্রয়াস এর শিক্ষার্থীদের বাৎসরিক শিক্ষাদান খরচও বহন করে আসছে বিকাশ।

;

গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের ত্রৈমাসিক ব্যবসা পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের ত্রৈমাসিক ব্যবসা পর্যালোচনা সভা ২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনলাইন মাধ্যমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের উদ্বোধন ও সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ হাবিব হাসনাত।

সভায় চলতি বছরে ব্যাংকের অর্জিত সাফল্যের পর্যালোচনা এবং শাখা ও উপশাখাসমূহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের বিভিন্ন দিক নির্দেশনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এসময় অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মশিউর রহমান জেহাদ, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতাউস সামাদ, প্রধান কার্যালয়ের বিভাগীয় প্রধান, শাখা ব্যবস্থাপক এবং উপশাখা ইন-চার্জগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

ইসলামী ব্যাংকের কুমিল্লা জোনের কর্মকর্তা সম্মেলন



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংকের কুমিল্লা জোনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সম্প্রতি কুমিল্লার ম্যাজিক প্যারাডাইস পার্কে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মাকসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী, ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ শাব্বির এবং সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট আবু ছাঈদ মো. ইদ্রিস।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কুমিল্লা জোনপ্রধান মো. মনিরুল ইসলাম। সম্মেলনে ব্যাংকের নোয়াখালী জোনপ্রধান এ. এফ. এম আনিছুর রহমান, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট খালেদ মাহমুদ রায়হান, প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী, কুমিল্লা জোনের অধীন শাখাসমূহের প্রধান, উপ-শাখা ইনচার্জ,কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

সোনার দাম আরও কমে ভরি এখন ১১১৪৬১ টাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বাজারে সোনার দাম আরও কিছুটা কমিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। নির্ধারিত নতুন দামে ভরিতে ১ হাজার ১৫৫ টাকা কমিয়ে ভালো মানের, অর্থাৎ হল-মার্ক করা ২২ ক্যারেট সোনার দাম দাঁড়িয়েছে প্রতি ভরি ১ লাখ ১১ হাজার ৪৬১ টাকা। এ নিয়ে টানা ৬ দফায় সোনার দাম কমানো হয়েছে মোট ৭ হাজার ৯৬৭ টাকা।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে। এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে খাঁটি সোনার দাম কমেছে, সে জন্য সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দর বিকেল ৪টা থেকে কার্যকর হবে।

নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম পড়বে ১ লাখ ১১ হাজার ৪৬১ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৬ হাজার ৩৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯১ হাজার ২০১ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৭৫ হাজার ৮৩৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে, গত রোববার (২৮ এপ্রিল) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম ভরিতে ৩১৫ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ লাখ ১২ হাজার ৬১৬ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৭ হাজার ৪৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯২ হাজার ১৪৬ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরির দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ৭৬ হাজার ৬৩২ টাকা।

এ নিয়ে গত ১২ দিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে ৯ বার সোনার দাম সমন্বয় করেছে বাজুস। যার মধ্যে ৭ বার দাম কমানো হয়েছে, আর বাড়ানো হয়েছে ২ বার। সবশেষ ৬ দফা সমন্বয়েই কমেছে সোনার দাম।

;