রেমিট্যান্স প্রবাহে ভাটা
ভাটা পড়েছে প্রবাসী আয়ে। গত আগস্ট মাসে দেশে প্রবাসী আয় এসেছে ১.৫৯ বিলিয়ন ডলার, যা ছয় মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন। কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ তথ্য জানিয়েছে।
দেশ জুন মাসে ২ দশমিক ১৯ বিলিয়ন রেমিট্যান্স পেয়েছে, এরপর জুলাই মাসে ১ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন এসেছে, যা প্রায় ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার স্থিতিশীল হওয়ার আশা জাগিয়েছে। কিন্তু আগস্টের তথ্য এ ধরনের ভুল ধারণা ভেঙে দিতে দিচ্ছে।
কয়েক বছরের মধ্যে আগস্টে অভ্যন্তরীণ রেমিট্যান্স প্রবাহ ২১ দশমিক ৫৭ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, যা ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২ দশমিক ০৩ বিলিয়ন এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে ছিল ১ দশমিক ৮১ বিলিয়ন।
সেক্টরের অভ্যন্তরীণ এবং পর্যবেক্ষকরা কেবলমাত্র বর্ধিত হুন্ডির দিকে ইঙ্গিত করতে পারে। যেমন ক্যারিয়ার বা অন্যান্য অনিয়মিত চ্যানেলের মাধ্যমে অর্থ প্রেরণ বা গ্রহণ, পতনের কারণ হিসাবে দেখে তারা। সাধারণত হুন্ডি বাড়ে যখন ডলারের দামের ব্যবধান ব্যাংকিং চ্যানেলের তুলনায় কার্ব (খোলা) বাজারে প্রসারিত হয়।
তারা উল্লেখ করেছে, হুন্ডির চাহিদা বাড়লে রেমিট্যান্স কমে যায়। গত মাসে ব্যাংকগুলোর তুলনায় কার্ব মার্কেটে ডলারের দাম ৫ থেকে ৬ টাকা বেশি ছিল। তাই, প্রবাসীরা কার্ব মার্কেটে উচ্চতর অফার পেতে আইনি চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানো কমিয়েছে।
ডলার সংকট ও বাজার স্থিতিশীলতার জন্য প্রায় এক বছর ধরে রফতাপ্তানি ও প্রবাসী আয় ও আমদানি দায় পরিশোধের ক্ষেত্রে ডলারের দাম নির্ধারণ করে আসছে ব্যাংকগুলো।
এখন প্রবাসী আয়ের জন্য ব্যাংকগুলো প্রতি ডলার দিচ্ছে ১০৯ দশমিক ৫ টাকা। রফতানি বিল নগদকরণ প্রতি ডলার মূল্য ১০৯ দশমিক ৫ টাকা এবং আমদানি এবং আন্তঃব্যাংক লেনদেনের জন্য সর্বোচ্চ ১১০ টাকা।