অগ্রণী ব্যাংকে মান্ধাতার আমলের সেবা



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চেক হাতে নিয়ে, পাশ দিয়ে যাওয়া আরেক সহকর্মীকে দাঁড় করালেন। জানতে চাইলেন ১০ লাখ টাকা এফডিআর করলে কেমন কি। একজন গ্রাহককে যে দাঁড় করিয়ে রেখেছেন সে কথা মনে হয় ভুলেই গেলেন সিনিয়র অফিসার (ক্যাশ) মৌসুমী আক্তার।

অগ্রণী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল শাখার ক্যাশের সামনে দাঁড়িয়ে তাদের সব আলাপই শোনা যাচ্ছিল। কয়েক মিনিট ধরে এফডিআরের খুঁটি-নাটি যেনো তারপর চেকের দিকে মনযোগ দিলেন। কম্পিউটারে দেখে বললেন, আপনার চেকটি ইস্যু করা হয়নি। তাহলে চেকটা পেলাম কিভাবে! মৌসুমী আক্তার বললেন, যে শাখায় আপনার অ্যাকাউন্ট (অগ্রণী ব্যাংক প্রেস ক্লাব শাখা) সেখানে গিয়ে ঠিক করে আনেন।

তাকে জানালাম এখন ব্যাংক আওয়ার শেষের দিকে আর সংশ্লিষ্ট শাখায় যাওয়া সময় সাপেক্ষ বিষয়। আপনিও ফোনে যাচাই করতে পারেন। এবার পরামর্শ দিলেন, ফোন দিয়ে চেকটি ইস্যু করিয়ে নেওয়ার জন্য। প্রেস ক্লাব শাখার ফোন নম্বর জানা নেই বলতেই অবাক হওয়ার পালা।

মৌসুমী আক্তার পরামর্শ দিলেন অনলাইনে সার্চ দেন পেয়ে যাবেন। তাকে পাল্টা প্রশ্ন করলাম, আপনার কম্পিউটারেও তো সার্চ দিতে পারেন, সামনেতো কম্পিউটার রয়েছে। ধড়াস জবাব দিলেন, আপনি অনলাইনে সার্চ দেন। অথচ তখন তার হাতে অঢেল সময়, কাউন্টারে আর কোন গ্রাহকও নেই।

এ কথা বলেই মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। মৌসুমী আক্তারের পেছনে বসা একজন তরুণ অফিসার বিষয়টি খেয়াল করছিলেন। তিনি বললেন, আমি দেখছি ফোন নম্বর দিতে পারি কি না। খুঁজে বের করে কাগজে টুকে ওই নারী অফিসারকে দিলেন। তিনি তখন নম্বরটি এগিয়ে দিয়ে বললেন, আপনার শাখায় (যে শাখায় হিসাব রয়েছে) কথা বলেন, তারা চেক বইটা ইস্যু করে দিক। তাকে বললাম আপনিও ফোন দিয়ে যেনে নিতে পারেন। তাহলেতো একসঙ্গে দুই কাজ হয় আপনার।


ভদ্র মহিলার এক কথা, আপনি ফোন দিয়ে চেক ইস্যু করে নিয়ে তারপর আসেন। অগত্যা প্রেস ক্লাব শাখায় ফোন দিতে হলো। সেখান থেকে ১০ মিনিট সময় চেয়ে বলা হলো, ভুলে মনে হয় চেকটি ইস্যু করা হয়নি। আপনি অপেক্ষায় থাকেন, আমরা ইস্যু করে দিচ্ছি।

প্রশ্ন হচ্ছে ব্যাংক ভুল করে একজন গ্রাহকের চেক ইস্যু দেখায়নি। সেজন্য গ্রাহক কেনো দুর্ভোগ পোহাবে। আর প্রধান শাখায় তারই ব্যাংকের অন্য একটির শাখার নম্বর নেই, এটি কি করে হয়। প্রধান শাখার কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট শাখায় ফোন দিয়ে এক মুহুর্তেই বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে নিতে পারেন। তিনি সেটা করতে গরজ দেখা গেলো না। তার কম্পিউটার সার্চ দিয়েও নম্বর বের করলেন না।

অথচ মৌসুমী আক্তারের মাথার ওপর গ্লাসে প্ল্যাকার্ড লেখা রয়েছে, গ্রাহকের সন্তুষ্টিই আমাদের সন্তুষ্টি। এই যদি হয় সেবার নমুনা তাহলে গ্রাহক সন্তুষ্ট হবে কিভাবে। এমনিতেই সরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে সাধারণ জনগণের মধ্যে এক ধরনের নেতিবাচক ধারণা রয়েছে। সরকারি ব্যাংকের প্রধান শাখার সার্ভিসের নমুনা যদি এই হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ কেনো অগ্রণী ব্যাংকে যাবে। আর যদি সাধারণ গ্রাহক মুখ ফিরিয়ে নেয়, তাহলে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে রাষ্ট্রীয় এই প্রতিষ্ঠানটি।

গ্রাহকের পায়ের নাগালেই অনেক বেসরকারি ব্যাংক, যাদের আন্তরিক সার্ভিসের ধারের কাছেও নেই রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো। সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে উপরের দিকে যাচ্ছে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো। আর রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সেবার মান তলানিতে গিয়ে ঠেকছে। এখন প্রতিযোগিতার বাজার, মানুষ যেখানে সেবা ভালো পাবে সেখানেই যাবে।

মানুষ এখন আর আগের সেই মান্ধাতার আমলের সেবায় সন্তুষ্ট না। তারা এখন মুহুর্তেই তার কাজটি শেষ করতে চান। আগে খবর নেওয়ার জন্য চিঠির অপেক্ষায় বসে থাকতে হতো। এখন পৃথিবীর অপরপ্রান্তে থাকা প্রিয়জনের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা সেরে নিচ্ছেন মুহুর্তেই। আর অগ্রণী ব্যাংকের মৌসুমী আক্তাররা নিজের ব্যাংকের আরেকটি শাখা সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছেন না। শুধু তাই না নিজের কম্পিউটার ঘেটে একটি ফোন নম্বর দিতে যার রাষ্ট্রের অনীহা। আবার গ্রাহককে দাঁড় করিয়ে রেখে ব্যক্তিগত আলাপ চারিতায় মগ্ন থাকছেন, যা ব্যাংকিং সেবা বিধিমালায় সম্পূর্ণ বর্হিভূত।

গতবছর প্রকাশিত এক রিপোর্টে দেখা গেছে, গত পাঁচ বছরে অগ্রণী ব্যাংকের আমানত, বিতরণকৃত ঋণসহ ব্যবসায়িক পরিধিও প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। কিন্তু এ সময়ে ব্যাংকটির আর্থিক স্বাস্থ্য সুদৃঢ় না হয়ে আরও ভঙ্গুর হয়েছে। ২০২১ সালে সুদ খাতে ব্যাংকটি লোকসান দিয়েছে ৭৪৪ কোটি টাকা। ওই বছর খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৪ হাজার ২৩৫ কোটি টাকা। ২০২১ সাল শেষে ব্যাংকটির খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ৯ হাজার ৯৯২ কোটি টাকায়, যা মোট ঋণের ১৬ দশমিক ৭১ শতাংশ। খেলাপি ঋণের বিপরীতে পর্যাপ্ত সঞ্চিতিও রাখতে পারেনি অগ্রণী ব্যাংক। ২০২১ সাল শেষে ৪ হাজার ৯৯৭ কোটি টাকা সঞ্চিতি ঘাটতি ছিল ব্যাংকটির। অথচ তাদের অফিসাররা যাচ্ছে-তাই ব্যবহার করে যাচ্ছেন গ্রাহকদের সঙ্গে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে ভবিষ্যতে তাদের সঞ্চিতিতে আরও ধ্বংসের শঙ্কা দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গর্ভনর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ বার্তা২৪কম-কে বলেছেন, ব্যাংকগুলোতে হরহামেশা এ রকম গ্রাহক হয়রানির ঘটনা ঘটছে। ব্যাংকগুলোর কাজই হচ্ছে গ্রাহক সেবা প্রদান করা, সেবা দিতে না পারলে বুঝতে হবে তারা কাজটি করছে না। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর লোকেরা ব্যাংকে ওন করে না। ওনারা মনে করেন মাস গেলে বেতন ঠিকই পাবেন। লাভ লোকসানে তার কোন যায় আসে না। বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে দেখার কথা তারাও কোন ভূমিকা পালন করছে না। এতে দিন দিন সেবার মান কমে যাচ্ছে। বাংলাদেশে ব্যাংকিং সেবায় যে দুরাবস্থা চলছে তার উদাহরণ ওইসব ঘটনা।

   

ওয়ালটন ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ ক্যাম্পেইনের মেয়াদ বাড়ল



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘সেরা পণ্যে সেরা অফার’ স্লোগানো চলতি বছরের ১ মার্চ সারা দেশে শুরু হয়েছিল ওয়ালটনের ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০। এর আওতায় ওয়ালটন ফ্রিজ, টিভি, এয়ার কন্ডিশনার বা এসি, ওয়াশিং মেশিন ও ফ্যানের ক্রেতাদের দেয়া হয়েছে ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ হওয়ার সুযোগ। ইতোমধ্যে ডিজিটাল ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে মিলিয়নিয়ার হয়েছেন ৩৪ জন ক্রেতা। সারা দেশে গ্রাহক পর্যায়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ওয়ালটনের এই ক্যাম্পেইন। এরই প্রেক্ষিতে আসছে ঈদুল আযহা বা কোরবানি ঈদকে ঘিরে ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ ক্যাম্পেইনের মেয়াদ আরও দুই মাস বাড়িয়েছে ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ।

ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০ এর মেয়াদ ছিল ৩০ এপ্রিল, ২০২৪ পর্যন্ত। যা এবার ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত বাড়ানো হলো। ফলে, দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম ও অনলাইন সেলস প্ল্যাটফর্ম ‘ই-প্লাজা’ থেকে ফ্রিজ, এসি, টিভি, ওয়াশিং মেশিন এবং ফ্যান কিনে ক্রেতারা আবারো মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন আরও দুই মাস। এছাড়াও রয়েছে কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত উপহার।

ক্যাম্পেইনের মেয়াদ বাড়ানো প্রসঙ্গে ওয়ালটনের চিফ মার্কেটিং অফিসার দিদারুল আলম খান জানান, প্রতিটি বড় উৎসব উপলক্ষ্যে ক্রেতাদের জন্য বিশেষ সুবিধা দিয়ে আসছে ওয়ালটন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ঈদুল ফিতরের আগে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন সিজন-২০ এর আওতায় ওয়ালটন পণ্যের ক্রেতাদের ‘ননস্টপ মিলিয়নিয়ার’ হওয়ার সুবিধা দিয়েছে ওয়ালটন। যা দেশব্যাপী ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ক্রেতাদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। গ্রাহকদের ব্যাপক আগ্রহ এবং কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে ক্যাম্পেইনের মেয়াদ আরো দু’মাস বাড়ানো হয়েছে। এর ফলে ওয়ালটন পণ্য কিনে মিলিয়নিয়ার হওয়ার এই মিছিলে আরো অধিক সংখ্যক ক্রেতা যুক্ত হতে পারবেন বলে তিনি আশাবাদী।

সিজন-২০ চলাকালীন ক্রেতারা দেশের যেকোনো ওয়ালটন প্লাজা, পরিবেশক শোরুম কিংবা অনলাইনে ই-প্লাজা থেকে পণ্য কেনার পর পণ্যটির ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করা হচ্ছে। এরপর সম্পূর্ণ কম্পিউটারাইজড সিস্টেমে ওয়ালটনের কাছ থেকে ফিরতি এসএমএস-এর মাধ্যমে ক্রেতারা পাচ্ছেন মিলিয়নিয়ার হওয়ার সুযোগ।

এছাড়াও পাচ্ছেন কোটি কোটি টাকার নিশ্চিত উপহার। সংশ্লিষ্ট ওয়ালটন প্লাজা বা শোরুম থেকে ক্রেতাদেরকে উপহার বুঝিয়ে দেয়া হচ্ছে।

উল্লেখ্য, বিক্রয়োত্তর সেবা কার্যক্রমকে অনলাইন অটোমেশনের আওতায় আনতে ‘ডিজিটাল কাস্টমার ডাটাবেজ’ গড়ে তুলছে ওয়ালটন। সেজন্য দেশব্যাপী চালাচ্ছে ডিজিটাল ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইন চলাকালীন পণ্য কেনার পর ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতিতে ক্রেতার নাম, মোবাইল নম্বর এবং পণ্যের মডেল নম্বরসহ

বিস্তারিত তথ্য ওয়ালটনের সার্ভারে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। ফলে, ওয়ারেন্টি কার্ড হারিয়ে গেলেও দেশের যেকোনো ওয়ালটন সার্ভিস সেন্টার থেকে দ্রুত সেবা পাচ্ছেন গ্রাহক। অন্যদিকে সার্ভিস সেন্টারের প্রতিনিধিরাও গ্রাহকের ফিডব্যাক জানতে পারছেন। এ কার্যক্রমে ক্রেতাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে ক্যাম্পেইনের প্রতিটি সিজনেই গ্রাহকদের নানান সুবিধা দিচ্ছে ওয়ালটন।

;

ইসলামী ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রা জমা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির উদোগে বৈদেশিক মুদ্রা জমা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। সভায় মূল বিষয়ের উপর আলোচনা করেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী। ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর কাজী মোঃ রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মিফতাহ উদ্দীন ও সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ রফিকুল ইসলাম।

এসময় ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ মাকসুদুর রহমান, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ ইহসানুল ইসলাম ও মোঃ রফিকুল ইসলাম সহ প্রধান কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন নির্বাহী ও কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

বাড়ল জ্বালানি তেলের দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিশ্ব বাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে দেশের বাজারে বাড়ানো হয়েছে জ্বালানি তেলের দাম। ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১ টাকা বাড়িয়ে ১০৭ টাকা, পেট্রোল আড়াই টাকা বাড়িয়ে ১২৪ দশমিক ৫ টাকা ও অকটেনের দাম আড়াই টাকা বাড়িয়ে ১২৮ দশমিক ৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। নতুন এই দাম বুধবার (১ মে) থেকে কার্যকর হবে।

এর আগে, গত ৩১ মার্চ লিটার প্রতি ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ২ টাকা ২৫ পয়সা কমিয়ে ১০৬ টাকা নির্ধারণ করে সরকার। তবে অপরিবর্তিত থাকে পেট্রোল, অকটেনের দাম।

তার আগে, মার্চের ৭ তারিখে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হয়। তখন লিটার প্রতি ডিজেল ও কেরোসিন ১০৯ টাকা থেকে কমিয়ে ১০৮.২৫ টাকা, পেট্রোল ১২৫ থেকে কমিয়ে ১২২ টাকা, অকটেন ১৩০ টাকা থেকে কমিয়ে ১২৬ টাকা নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করা হয়।

আর নজিরবিহীন দাম বাড়ানো হয় ২০২২ সালের ৫ আগস্ট রাতে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) জারি করা আদেশে ডিজেল ও কেরোসিন লিটার প্রতি ৩৪ টাকা এবং পেট্রোল ও অকটেনে ৪৬ টাকা দাম বাড়ানো হয়েছিল। তখন ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১১৪ টাকা লিটার, পেট্রোল ১৩০ টাকা এবং অকটেন ১৩৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়। ওই দাম বৃদ্ধির পর গণপরিবহনের ভাড়া বেড়েছিল সর্বোচ্চ ২২ শতাংশ। তার আগে ২০২১ সালের নভেম্বরে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের মূল্য ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকায় করা হয়। ওই সময়েও পরিবহন ভাড়া বাড়ানো হয় প্রায় ২৭ শতাংশ।

ওই নজিরবিহীন দাম বৃদ্ধির পর ২০২২ সালের ৩০ আগস্ট জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হয়। ওইদিন প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন ১১৪ টাকা থেকে কমিয়ে ১০৯ টাকা, পেট্রোল ১৩০ থেকে কমিয়ে ১২৫ টাকা, অকটেন ১৩৫ টাকা থেকে কমিয়ে ১৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

সরকার জ্বালানি তেলের দামে ভর্তুকি প্রদান থেকে বের হয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখানে আইএমএফের চাপও রয়েছে। ‘জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ নির্দেশিকা’ প্রজ্ঞাপন ২৯ ফেব্রুয়ারি রাতে প্রকাশ করা হয়েছে। ওই ফর্মূলা অনুযায়ী, প্রতিমাসে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে দাম সমন্বয় করা হবে। গেজেট অনুযায়ী, বিপিসি ও অন্যদের কমিশন অপরিবর্তিত থাকবে। শুধু আমদানি মূল্যের তারতম্য প্রতিমাসে কমবেশি হবে।

অকটেন ও পেট্রোল ব্যক্তিগত যানবাহনে বেশি পরিমাণে ব্যবহৃত হয় বিধায় এর মূল্য বিলাস দ্রব্য (লাক্সারি আইটেম) হিসেবে সব সময় ডিজেলের চেয়ে বেশি রাখা হয়। ফর্মূলা অনুযায়ী অকটেনের মূল্য নির্ধারণকালে ডিজেলের সঙ্গে পার্থক্য লিটার প্রতি ন্যূনতম ১০ টাকা যেন থাকে সেজন্য প্রাইসিং ফর্মূলায় ‘α’ ফ্যাক্টর প্রযোজ্য হবে।

;

রাজস্ব আয় বৃদ্ধিতে অটোমেশনের বিকল্প নেই: অর্থ প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজস্ব আয় বৃদ্ধির জন্য অটোমেশনের বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের অর্থ ও পরিকল্পনাবিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়শা খান।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টায় গুলশানের ‘আমারি ঢাকা’র গ্র্যান্ড বলরুমে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশ (পিআরআই) আয়োজিত 'বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ সম্পদ আহরণ বাড়ানোর প্রয়োজনীয় রূপরেখা' (Bangladesh’s Domestic Resource Mobilisation: Imperatives and a Roadmap) উপস্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে সবাই অনলাইনে রিটার্ন সাবমিট করতে পারেন। বাংলাদেশের ইনফরমাল সেক্টর অনেক বড় বিধায় এই সেক্টর থেকে কর আদায় গুরত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে, বেসরকারি খাত আমাদের সঙ্গে থেকে সহায়তা করতে পারে।

ওয়াসিকা আয়শা খান বলেন, মানি মার্কেট, বেসরকারি ও সরকারি ঋণ নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি ‘ক্যাপিটাল মার্কেট’ নিয়ে আরো আলোচনা করা দরকার। কীভাবে আরো বেশি ভালো কোম্পানি মার্কেটে আসে, সে বিষয়ে সবাইকে সচেষ্ট হতে হবে। তাহলে মানি মার্কেটের ওপর চাপ কমবে। ক্যাপিটাল মার্কেট, ইক্যুইটি মার্কেট ও বন্ড মার্কেট বৃদ্ধি করা জরুরি।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশের সফল বাস্তবায়ন শেষে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরলস কাজ করছে বর্তমান সরকার। তার সুযোগ্য পরিচালনায় গত ১৫ বছরে যেসব মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে, সেগুলো থেকে দেশ এখন রিটার্ন পাচ্ছে। ‘আইবাস’ (ইন্টিগ্রেটেড বাজেট অ্যান্ড অ্যাকাউন্টিং সিস্টেম-IBAS) ব্যবস্থাপনার কারণে বাজেটের বাস্তবায়নের দক্ষতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

আগে বাজেট পাস হলেও বাজেট বাস্তবায়ন শুরু হতে অর্থ বছরের প্রথম প্রান্তিক চলে যেতো। বর্তমানে ১ জুলাই থেকেই অফিসগুলো বাজেট ব্যবহার করছে।

আজকের (৩০ এপ্রিল) আলোচনা অনুষ্ঠান থেকে যেসব পরামর্শ উঠে এসেছে, সেগুলো অর্থ মন্ত্রণালয় অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে বলেও আশ্বাস দেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা রাহমাতুল মুনীম ও এফবিসিসিআই'র প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম।

মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পিআরআই'র নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পিআরআই'র চেয়ারম্যান ড. জাইদী সাত্তার।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন পিআরআই'র ভাইস চেয়ারম্যান ড. সাদিক আহমেদ, এমসিসিআই'র প্রেসিডেন্ট কামরান টি রহমান, সিএসই চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম, ডিসিসিআই'র প্রেসিডেন্ট আশরাফ আহমেদসহ প্যানেল আলোচকবৃন্দ।

;