এক ছাদের নিচে ৫০ হাজারেরও বেশি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যাটেরিয়ালস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের শীর্ষ গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন দেশে প্রথমবারের মতো আয়োজন করেছে ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাডভান্সড কম্পোনেন্টস অ্যান্ড টেকনোলজি (এটিএস) এক্সপো-২০২৩'। রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার হল-১ এ আগামী ১০ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) এই শিল্পমেলা শুরু হবে। চলবে ১২ আগস্ট (শনিবার) পর্যন্ত।

বুধবার (৯ আগস্ট) আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার হল-১ মেলা প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানায় ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি'র ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও গোলাম মুর্শেদ, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডিএমডি) ও এটিএস এক্সপো'র চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবীর, ডিএমডি ও এটিএস এক্সপো'র কো-চেয়ারম্যান মো. ইউসুফ আলী, ওয়ালটন ফ্রিজের চিফ বিজনেস অফিসার (সিবিও) তোফায়েল আহমেদ, ওয়ালটন এসির সিবিও তানভীর রহমান, সিনিয়র ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর ও এটিএস এক্সপো'র কো-অর্ডিনেটর এ এফ এম নাসির উদ্দিন।

সংবাদ সম্মেলনে ওয়ালটন হাই-টেকের এমডি ও সিইও গোলাম মুর্শেদ জানান, এটিএস এক্সপো হবে বাংলাদেশে একক কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রথম আন্তর্জাতিক শিল্পমেলা। এতে একই ছাদের নিচে সমাহার ঘটবে ওয়ালটনের নিজস্ব সর্বাধুনিক ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্টে তৈরি আন্তর্জাতিকমানের ৫০ হাজারেরও বেশি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যাটেরিয়ালস, কম্পোনেন্টস, সার্ভিসেস এবং টেস্টিং ফ্যাসিলিটিস। এগুলোর অধিকাংশই প্রায় সকল প্রকার শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ধাপে প্রধান কাঁচামাল ও কম্পোনেন্টস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। নিজস্ব চাহিদা মিটানোর পাশাপাশি দেশের অন্যান্য শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহকে আমদানি বিকল্প গুণগতমানের ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যাটেরিয়ালস, কম্পোনেন্টস ও টেস্টিং সলিউশনস সরবরাহ করে আমদানি নির্ভরতা হ্রাসের মাধ্যমে বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় ও দেশীয় শিল্পের ক্ষমতায়নে অবদান রাখতে পারে ওয়ালটন।

তিনি বলেন, দেশি-বিদেশি শিল্পোেদ্যাক্তা ও ক্রেতাদের নিকট ওয়ালটন উৎপাদিত ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যাটেরিয়ালস, কম্পোনেন্টসস, টেস্টিং ল্যাব ও ফ্যাসিলিটি তুলে ধরার মাধ্যমে দেশের আমদানি নির্ভরতা হ্রাসের মাধ্যমে বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ের পাশাপাশি রফতানি আয় আরও বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক 'অ্যাডভান্সড টেকনোলজি এক্সপো' আয়োজনের এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ওয়ালটনের উৎপাদিত ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যাটেরিয়ালস ও কম্পোনেন্টস কাজে লাগানোর মাধ্যমে দেশের প্রায় সকল প্রকার শিল্প প্রতিষ্ঠান যেন উপকৃত হতে পারে সেজন্য তিনি দেশীয় শিল্পোেদ্যাক্তাদের 'এটিএস এক্সপো' পরিদর্শনের জন্য আহবান জানান।

তিনি আরও বলেন, ওয়ালটনের তৈরি পণ্যসামগ্রী ইতিমধ্যে এশিয়া, ইউরোপ, আমেরিকা, মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার ৪০টিরও বেশি দেশে রফতানি হচ্ছে। এটিএস এক্সপো'র মাধ্যমে বৈশ্বিক ইন্ডাস্ট্রিয়াল কম্পোনেন্টস ও ম্যাটেরিয়ালসের বিশাল বাজারে ওয়ালটনের শক্তিশালী অবস্থান তৈরির পথ আরও সুগম হবে বলে তিনি আশাবাদী।

এটিএস এক্সপো'র চেয়ারম্যান ওয়ালটনের ডিএমডি মো. হুমায়ুন কবীর জানান, এই শিল্পমেলায় মোট ২১টি স্টলে পণ্যসহ ইন্ডাস্ট্রিয়াল কম্পোনেন্টস, ম্যাটেরিয়ালস, সার্ভিসেস, টেস্টিং ল্যাব ও ফ্যাসিলিটিস প্রদর্শন করা হবে। প্রদর্শনীর পাশাপাশি এক্সপোতে ১১ আগস্ট (শুক্রবার) 'স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে দেশীয় শিল্পের ভূমিকা' শীর্ষক প্যানেল আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

প্রেস কনফারেন্সে জানানো হয়, গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সের ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্টসের পাশাপাশি গড়ে তোলা হয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ রিসার্চ অ্যান্ড ইনোভেশন সেন্টার, নাসদাত-ইউটিএসসহ বেশকিছু আন্তর্জাতিকমানের টেস্টিং ল্যাব। নাসদাত-ইউটিএস টেস্টিং ল্যাবটি বাংলাদেশ অ্যাক্রিডিটেশন বোর্ড (বিএবি) কর্তৃক সনদপ্রাপ্ত। বিএবি'র অ্যাক্রিডিটেশনপ্রাপ্ত টেস্টিং প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে পণ্যের গুণগতমান সম্পর্কে যে রিপোর্ট দেয়া হয় তা ইন্টারন্যাশনাল ল্যাবরেটরি অ্যাক্রিডিটেশন কোঅপারেশন (আইলাক) ও এশিয়া-প্যাসিফিক ল্যাবরেটরি অ্যাক্রিডিটেশন কোঅপারেশন (অ্যাপলাক) এর সদস্যভুক্ত দেশগুলোতে সরাসরি গ্রহণযোগ্য। তাই নাসদাত-ইউটিএস ল্যাবে পরীক্ষাকৃত পণ্যের টেস্টিং রিপোর্ট বিশ্বের বিভিন্ন দেশের টেস্টিং সরকারি মান যাচাই সংস্থা কর্তৃক সরাসরি গৃহীত হচ্ছে। এরই প্রেক্ষিতে নাসদাত-ইউটিএস টেস্টিং ল্যাব দেশের অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের উৎপাদিত পণ্যের টেস্টিং সলিউশনসকে আরো সহজতর করবে। এটিএস এক্সপোতে টেস্টিং সলিউশন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যাটেরিয়ালস, কম্পোনেন্টস, সার্ভিসেস ও প্রোডাক্ট- এই ৪টি ক্যাটাগরিতে পণ্য প্রদর্শন করা হবে।

টেস্টিং সলিউশনস ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন ধরনের টেস্টিং ফ্যাসিলিটিস প্রদর্শন করা হবে। যেমন: ক্যাবল ও ওয়্যার ল্যাব, নয়েজ টেস্টিং ল্যাব, এলইডি ল্যাব, নাসদাত-ইউটিএস, প্রেসিসং ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাবরেটরি, প্রোডাক্ট কোয়ালিটি কন্ট্রোল ল্যাব, ওয়ালটন সাইন্স রিসার্চ ল্যাব ও ওয়ালটন ম্যাটালারজিক্যাল এনালাইসিস ও রিসার্চ ল্যাব।

মেলায় সার্ভিসেস ক্যাটাগরিতে থাকবে কন্সট্র্যাকশন সার্ভিস, মোল্ড অ্যান্ড ডাই, পাওয়ার-প্রেস, রেফ্রিজারেটর ও এসএমটি (সারফেস মাউন্টিং টেকনোলজি)।

প্রোডাক্ট ক্যাটাগরিতে প্রদর্শিত হবে ফ্রিজ, টিভি, এয়ার কন্ডিশনার, ফাসেনার, পিসিবি, হোম ও কিচেন অ্যাপ্লায়েন্সেস, কেমিক্যাল, মাস্টারব্যাচেস, মোল্ড অ্যান্ড ডাই, আইটি প্রোডাক্ট ইত্যাদি।

ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যাটেরিয়ালস ও কম্পোনেন্টস ক্যাটাগরিতে দেশের বিভিন্ন ফরওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পখাতে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত প্রধান কম্পোনেন্টসগুলো প্রদর্শন করা হবে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে রেফ্রিজারেটর কম্পোনেন্টস, এয়ার কন্ডিশনার কম্পোনেন্টস, টেলিভিশন কম্পোনেন্টস, হোম অ্যাপ্লায়েন্স কম্পোনেন্টস, ইলেকট্রিক্যাল অ্যাপ্লায়েন্স কম্পোনেন্টস, লিফট কম্পোনেন্টস, কাস্টিং কম্পোনেন্টস ইত্যাদি। এসব কম্পোনেন্টস ও ম্যাটেরিয়ালস এ্যাগ্রো, অটোমোবাইলস, সিমেন্ট, সিরামিকস, কেমিক্যাল, কসমেটিকস, ডিজিটাল, ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিক্স, ফার্মাসিউটিক্যালস, গ্লাস, হেভি-ভেহিক্যালস অ্যান্ড এয়ার কন্ডিশনিং, আইওটি, আইটি, লেদার, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, প্লাস্টিক, প্রিন্টিং অ্যান্ড পাবলিকেশনস, গার্মেন্টস, পাইকারি ও ট্রেডিং বিজনেস ইত্যাদি শিল্পখাতে ব্যবহৃত হয়।

   

সিলেটে অনুষ্ঠিত হলো এয়ার এ্যাস্ট্রা’র বিজনেস পার্টনার মিট



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সিলেটে অনুষ্ঠিত হলো এয়ার এ্যাস্ট্রা’র বিজনেস পার্টনার মিট

সিলেটে অনুষ্ঠিত হলো এয়ার এ্যাস্ট্রা’র বিজনেস পার্টনার মিট

  • Font increase
  • Font Decrease

এয়ার এ্যাস্ট্রা’র সম্মানিত ট্রেড পার্টনারদের সৌজন্যে ০২ মে বৃহস্পতিবার, সিলেট এর রোজ ভিউ হোটেল এক মতবিনিময় সভা’র আয়োজন করা হয়।

‘এয়ার এ্যাস্ট্রা বিজনেস পার্টনার মিট’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে সিলেটের বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সির প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এয়ার এ্যাস্ট্রার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ইমরান আসিফ, চিফ কমার্শিয়াল অফিসার সোহেল মাজিদসহ প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

এয়ার এ্যাস্ট্রা’র সিইও ইমরান আসিফ বলেন, বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের গন্তব্য সিলেট এয়ার এ্যাস্ট্রা’র জন্য গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য। বর্তমানে এই রুটে প্রতিদিন দুটি ফ্লাইট পরিচালনা করছে এয়ার এ্যাস্ট্রা, যাত্রী চাহিদা বৃদ্ধি পেলে খুব শিঘ্রই আরও ফ্লাইট এই রুটে যুক্ত করা হবে।

সিলেটের পাশাপাশি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রুটে চারটি, কক্সবাজার রুটে চারটি ও সৈয়দপুর রুটে প্রতিদিন তিনটি ফ্লাইট পরিচালনা করছে এয়ার এ্যাস্ট্রা। এয়ার এ্যাস্ট্রা সম্মানিত যাত্রীদের সুবিধার্থে ইন-ফ্লাইট ম্যাগাজিন ও শিশুদের জন্য ফানবুক প্রদান করে থাকে।

যাত্রীরা ফ্লাইট টিকিট এয়ার এ্যাস্ট্রা’র ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপস, সেলস অফিস, অনলাইন ও অফলাইন্ ট্রাভেল এজেন্সি থেকে ক্রয় করতে পারবেন। এয়ার এ্যাস্ট্রা’র বহরে বর্তমানে তিনটি এটিআর ৭২-৬০০ এয়ারক্রাফট রয়েছে, যা ফ্রান্সে নির্মিত সর্বাধুনিক প্রযুক্তির টার্বোপ্রপ এয়ারক্রাফট এবং ৭০ জন যাত্রী বহন করতে সক্ষম। খুব শিঘ্রই আন্তর্জাতিক রুটেও ডানা মেলবে এয়ার এ্যাস্ট্রা।

;

ভর্তুকি কমাতে বছরে চারবার বাড়বে বিদ্যুতের দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভর্তুকি কমিয়ে আনতে বছরে চারবার বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করবে সরকার। পর্যায়ক্রমে আগামী তিন বছর এভাবেই বাড়ানো হবে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) সচিবালয়ে আইএমএফের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগ এ কথা জানিয়েছে।

জানা গেছে, চলতি মাসে আবারও বাড়তে পারে জ্বালানি তেলের মূল্য। বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে মূল্য বাড়াবে। তবে বিশ্ববাজারে কমলে এখানেও কমানো হবে। এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার একটি নির্দেশিকা জারি করেছে।

সমন্বয়ের নামে মূলত বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হচ্ছে জানিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকার খরচ কমিয়েও ভর্তুকি সমন্বয় করতে পারে। অনিয়ম, দুর্নীতি, অপচয় রোধ করে বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ কমানোর দিকে সরকারের মনোযোগ নেই। বরং চাহিদা না থাকলেও দরপত্র ছাড়া একের পর এক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করে এ খাতের খরচ আরও বাড়াচ্ছে।

আইএমএফের প্রতিনিধিদল বৃহস্পতিবার জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, পেট্রোবাংলা, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) সঙ্গেও বৈঠক করেছে। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, পেট্রোবাংলা ও বিপিসি প্রায় একইভাবে আইএমএফকে জানিয়েছে, গ্যাস ও জ্বালানি তেলে নতুন করে ভর্তুকির চাপ নেই। তেলের দাম নিয়ে স্বয়ংক্রিয় যে পদ্ধতি (আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়লে দেশে বাড়বে, কমলে কমবে) চালু করার কথা আইএমএফ বলেছিল, তা হয়েছে। প্রতি মাসে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হচ্ছে। এতে জ্বালানি তেলে আর কখনো ভর্তুকি দিতে হবে না। প্রথম দুই দফায় দাম কিছুটা কমানো হলেও শেষ দফায় দাম বেড়েছে। তিন মাস ধরে এ চর্চা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, এ বছর বিদ্যুতের মূল্য আরও কয়েক দফা সমন্বয় করা হবে। এভাবে আগামী তিন বছর চলবে। তবে কোন মাসে সমন্বয় করা হবে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

জ্বালানি তেলের মূল্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে সমন্বয় করা হবে। তবে আমার কাছে মনে হচ্ছে সমন্বয় করা হলেও জ্বালানি তেলের মূল্য খুব বাড়বে না। তবে পরিবর্তন হলে সেটি নির্ভর করবে বৈশ্বিক বাজারের ওপর।

জানা গেছে, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা আসার পর এ পর্যন্ত বিদ্যুতের মূল্য বেড়েছে ১৩ বার।

;

এপ্রিলে পণ্য রফতানি কমেছে ৪ কোটি ডলার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশ থেকে গত এপ্রিলে পণ্য রফতানি থেকে আয় এসেছে ৩ হাজার ৯১৬ দশমিক ৯৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই রফতানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় শূন্য দশমিক ৯৯ শতাংশ কম।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এপ্রিলে ৪৭১ কোটি ডলার রফতানি লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম হয়েছে ১৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে পণ্য রফতানিতে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে, এ সময়ে মোট রফতানির মূল্য ৪ হাজার ৭৪৭ কোটি ডলার। আগের বছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৫৬৮ কোটি টাকা, যা ৫ হাজার ৯৭ কোটি ডলারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ কম হয়েছিল।

রফতানিমুখী শিল্পসংশ্লিষ্টরা বলেছেন, ঈদুল ফিতরের সময়ে কারখানাগুলোয় কার্যাদেশ কম এসেছে। দীর্ঘায়িত ছুটির কারণেও রফতানি চালানের সংখ্যা কমে যায়। এ কারণে পণ্যদ্রব্য রফতানি নিম্নমুখী হয়, তবে ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে একে স্বাভাবিক ঘটনা বলেই উল্লেখ করেছেন।

এখন পণ্য রফতানিতে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা বাংলাদেশকে প্রতিযোগিতাসক্ষম রাখতে সহায়তা করছে। তবে ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হলে সেই সুবিধা আর থাকবে না। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ১৩তম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের যৌথ ঘোষণা অনুযায়ী, এলডিসি থেকে উত্তরণের পরও সংশ্লিষ্ট দেশগুলো তিন বছর শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা পাবে। এ সুবিধা আমদানি ও রফতানিকারক দেশের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এলডিসি হিসেবে আমরা যেসব সুযোগ-সুবিধা পাই, সেসব ভবিষ্যতে থাকবে না। তখন রফতানি বাড়াতে হলে নতুন কৌশল বা উদ্যোগ লাগবে। রফতানিতে অভ্যন্তরীণ সক্ষমতা বাড়াতে পণ্য ও সেবা বহুমুখীকরণ এবং বিনিয়োগ বাড়ানো প্রয়োজন। অন্যদিকে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুুক্তি করার জন্য সরকারের রাজনৈতিক সম্মতি লাগবে।

;

রিটেইল ব্যাংকিং সেবা সহজ করতে প্রাইম ব্যাংক-হিসাবী'র অংশীদারিত্ব



নিউজ ডেস্ক
রিটেইল ব্যাংকিং সেবা সহজ করতে প্রাইম ব্যাংক-হিসাবী'র অংশীদারিত্ব

রিটেইল ব্যাংকিং সেবা সহজ করতে প্রাইম ব্যাংক-হিসাবী'র অংশীদারিত্ব

  • Font increase
  • Font Decrease

রিটেইল ব্যাংকিং সেবাকে আরও সহজ করতে বাংলাদেশের দ্রুত প্রসারমান স্ট্যার্টআপ হিসাবীর সাথে অংশীদারিত্ব করেছে বেসরকারি প্রাইম ব্যাংক পিএলসি। সম্প্রতি উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

এই অংশীদারিত্বের ফলে হিসাবী দোকান অ্যাপ ব্যবহারকারীরা এখন থেকে বাধাহীনভাবে প্রাইম ব্যাংকের বিভিন্ন সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। এই চুক্তির ফলে রিটেইলারদের ব্যাংকিং অভিজ্ঞতায় এক দারুণ পরিবর্তন আসবে এবং লেনদেন আরও সহজ হবে।

প্রাইম ব্যাংকের কনজুমার ব্যাংকিং বিভাগের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নাজিম এ. চৌধুরী এবং হিসাবী'র পক্ষ থেকে রাকিন মোহাম্মদ সাভি (প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা) নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে চুক্তিতে সই করেন, যা রিটেইলারদের পেশাগত কাজের সাথে সরাসরি ব্যাংকিং সেবা যুক্ত করে তাদের ক্ষমতায়ন করার প্রতিশ্রুতি। ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তিকরণের লক্ষ্য অর্জন এবং হাসাবী'র রিটেইল নেটওয়ার্ককে আরও দক্ষ করে তুলতে এই চুক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং নতুন নতুন উদ্ভাবন ও গ্রহক সেবা বাড়াতে উভয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।

;