রফতানি আয়ে ডলারের দাম বাড়ল ৫০ পয়সা
রফতানি আয়ে ডলারের দাম ৫০ পয়সা বাড়িয়ে পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে এখন থেকে রফতানিকারকরা রফতানি আয়ের ক্ষেত্রে প্রতি ডলারের দাম পাবেন ১০৭ টাকা ৫০ টাকা। তবে প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে ডলারের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
সোমবার (২৬ জুন) অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশ (এবিবি) এবং বাংলাদেশ ফরেইন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশনের (বাফেদা) যৌথ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। নতুন এ সিদ্ধান্ত ১ জুলাই থেকে কার্যকর করা হবে।
সোনালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বাফেদার চেয়ারম্যান এবং সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও সিইও মো. আফজাল করিম, এবিবির চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সেলিম আর এফ হোসেনসহ বিভিন্ন বাণিজ্যিক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা।
বৈঠক প্রসঙ্গে এবিবির চেয়ারম্যান সেলিম আর এফ হোসেন বলেন, এবিবি ও বাফেদা যৌথ সভায় রফতানি আয়ে ডলারের দাম ৫০ পয়সা বাড়ানো হয়েছে। জুলাই থেকে রফতানির বিপরীতে ১০৭ টাকা ৫০ পয়সা দেবে ব্যাংকগুলো।
কারণ হিসেবে ব্যাংকারদের এই নেতা জানান, আমরা রফতানি ও রেমিট্যান্সের রেট এক করার জন্য কাজ করছি। এজন্য রেমিট্যান্সের সঙ্গে সমন্বয় করতে রফতানি আয়ের রেট বাড়ানো হয়েছে।
তবে প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে ডলারের দর যা ছিল তা–ই থাকবে, অর্থাৎ ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা। এ ছাড়া আন্তব্যাংক দর হবে সর্বোচ্চ ১০৯ টাকা।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর গত বছরের মার্চ থেকে দেশে ডলার-সংকট প্রকট আকার ধারণ করে। এ সংকট মোকাবিলায় শুরুতে ডলারের দাম বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক, কিন্তু এতে সংকট আরও বেড়ে যায়। পরে গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ায়। এ দায়িত্ব দেওয়া হয় এবিবি ও বাফেদার ওপর। এর পর থেকে এ দুই সংগঠন মিলে রফতানি ও প্রবাসী আয় এবং আমদানি দায় পরিশোধের ক্ষেত্রে ডলারের দাম নির্ধারণ করে আসছে। মূলত, বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত কার্যকর করছে এ দুই সংগঠন।