ঘাটতি বাজেটে ব্যাংক নির্ভরতা বাড়ছে



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থন করা হয়েছে। বাজেটে সরকারের ব্যাংক ঋণ নির্ভরতা আরও বাড়ছে। আসন্ন বাজেটের ঘাটতি পূরণে ব্যাংক ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকার ব্যাংক ঋণ নেবে বলে লক্ষ্য ঠিক করেছে সরকার। এই অঙ্ক চলতি অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৬ হাজার ৬১ কোটি টাকার বেশি। চলতি অর্থবছরের বাজেটে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে এক ৬ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য রয়েছে সরকারের। এর আগের অর্থবছরে (২০২১-২২) ছিল ৭৫ হাজার ৫৩৩ কোটি টাকা।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) বিকেল ৩টায় জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেট সংসদে পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

আসছে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবের আকার ধরা হয়েছে ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। বিশাল বড় এ বাজেটের ঘাটতি ধরা হচ্ছে ২ লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। আর অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াবে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। যা মোট জিডিপির ৫ দশমিক ২ শতাংশ।

বাজেটের আয়-ব্যয়ের বিশাল ঘাটতি পূরণে প্রধান ভরসাস্থল হিসাবে ব্যাংক খাত বেছে নিয়েছে সরকার। ফলে এবারও ঘাটতি পূরণে ব্যাংক খাত থেকে ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা নেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার।

আসন্ন বাজেটে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৫০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ৪ লাখ ৩০ হাজার কোটি টাকা। করবহির্ভূত ও অন্যান্য আয়ের লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ২০ হাজার কোটি টাকা। কর ছাড়া প্রাপ্তি ধরা হয়েছে ৫০ হাজার কোটি টাকা। আর বৈদেশিক অনুদান থেকে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা।

বাজেটে মোট ঘাটতির পরিমাণ দাঁড়াচ্ছে (অনুদান ছাড়া) দুই লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকা। অনুদান সহ এ ঘাটতি দাঁড়ায় দুই লাখ ৫৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। বিশাল এ ঘাটতি পূরণে সরকার কোন খাত থেকে কত টাকা ঋণ নেবে তারও একটি ছক তৈরি করেছে।

ছক অনুযায়ী, এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঋণ নেবে এক লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা এছাড়া বৈদেশিক ঋণ হিসাবে নেবে এক লাখ দুই হাজার ৪৯০ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের বাজেটে যা আছে ৯৫ হাজার ৪৫৮ কোটি টাকা।

অভ্যন্তরীণ উৎসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ধার নিতে চায় ব্যাংক খাত থেকে। যার পরিমাণ ১ লাখ লাখ ৩২ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা। এরপর সঞ্চয়পত্র থেকে ঋণ ১৮ হাজার কোটি টাকা আর অন্যান্য খাত থেকে আসবে পাঁচ হাজার এক কোটি টাকা নেওয়ার লক্ষ্য ঠিক করেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, চলতি অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ১০ মে পর্যন্ত সরকার কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ৬৭ হাজার ৯০৬ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। আগের অর্থবছরে সরকার নিয়েছিল ৩১ হাজার ৪০৩ কোটি টাকা। গত ১ জুলাই থেকে ১০ মে পর্যন্ত বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ১০ হাজার ৬৫৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে সরকার। ফলে ব্যাংকিং উৎস থেকে সরকারের সামগ্রিক ঋণের পরিমাণ বেড়ে ৭৮ হাজার ৫৬০ কোটি টাকা হয়েছে।

চলতি অর্থবছরে এই খাত থেকে সরকারের ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৬ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকা ছিল। কিন্তু সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রায় তা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১ লাখ ১৫ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা।

অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতির লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে ৬ দশমিক ৫ শতাংশ। মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ঠিক করেছে সাড়ে ৭ শতাংশ।

এর আগে দুপুরে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বিশেষ মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন হয়। এরপর এই প্রস্তাবে সই করবেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন।

   

হাই-টেক ক্যাটাগরিতে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প পুরস্কার’ পেল ওয়ালটন



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
স্বর্ণখচিত ক্রেস্ট গ্রহণ করছেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র ভাইস-চেয়ারম্যান এস এম শামসুল আলম।

স্বর্ণখচিত ক্রেস্ট গ্রহণ করছেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র ভাইস-চেয়ারম্যান এস এম শামসুল আলম।

  • Font increase
  • Font Decrease

হাই-টেক শিল্প ক্যাটাগরিতে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প পুরস্কার ২০২২’ এর প্রথম পুরস্কার পেল দেশের গ্লোবাল ইলেকট্রনিক্স জায়ান্ট ওয়ালটন। বার্ষিক টার্ণওভার, আমদানি বিকল্প পণ্য উৎপাদন, স্থানীয় কাঁচামাল ব্যবহার, কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, সামাজিক দায়িত্ব পালন, নিষ্কন্টক ভূমি ও ভূমির পরিকল্পিত এবং দক্ষ ব্যবহার, পরিবেশ সংরক্ষণ প্রভৃতি ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ওয়ালটনকে এই পুরস্কার প্রদান করে শিল্প মন্ত্রণালয়।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর, ২০২৩) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়নে শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ৬টি ক্যাটাগরিতে ওয়ালটনসহ মোট ১২টি প্রতিষ্ঠানকে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প পুরস্কার ২০২২’ প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছ থেকে হাই-টেক ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার স্বর্ণখচিত ক্রেস্ট ও সম্মাননাপত্র গ্রহণ করেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি’র ভাইস-চেয়ারম্যান এস এম শামসুল আলম।
এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক, শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার এবং এফবিসিসিআই সভাপতি মো.মাহবুবুল আলম।
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণে এবং শিল্পখাতে উদ্যোক্তাদের অবদানের স্বীকৃতি, প্রণোদনা তৈরি ও সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দ্বিতীয়বারের মত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প পুরস্কার প্রদান করা হয়।

এই পুরস্কার প্রদানের অন্যতম লক্ষ্য হলো বঙ্গবন্ধুর শিল্প পরিকল্পনার মাধ্যমে দেশে শিল্পায়নের যে সূচনা হয়েছিল সে অবদানকে স্মরণীয় করা এবং বাংলাদেশের শিল্পায়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে স্বীকৃতি প্রদানের মাধ্যমে শিল্পায়নের ক্রমবিকাশকে টেকসই করা। পাশাপাশি বেসরকারি খাতে পরিবেশবান্ধব শিল্প স্থাপন, কর্মসংস্থান তৈরি এবং বিনিয়োগ উৎসাহিত করা। এছাড়া পণ্য বহুমুখীকরণ, আমদানি বিকল্প পণ্য উৎপাদন ও সৃজনশীলতাকে উৎসাহিতকরণের মাধ্যমে দেশীয় ও বৈশ্বিক পর্যায়ে মানসম্মত পণ্য উৎপাদন করা।

অনুষ্ঠানে শিল্পোদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে বক্তব্য প্রদানকালে ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম বলেন, বঙ্গবন্ধুর নামে আজকে আমরা পুরস্কার পাচ্ছি। এজন্য সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে আমাদের শিল্পোদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন হয়তো স্বপ্নই থেকে যেতো। শিল্পখাতে সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প পুরস্কার প্রদান একটি মহতী উদ্যোগ।

আমাদের প্রত্যাশা, শিল্পখাতকে রাষ্ট্রকর্তৃক পুরস্কৃতকরণের এই ধারা অব্যাহত থাকবে। এতে শিল্পোদ্যোক্তারা অনুপ্রাণিত হবেন। তাদের মধ্যে সৃজনশীলতার উন্নয়ন ঘটবে। প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহারে সবাই সচেষ্ট হবেন। এর মাধ্যমে দেশ ও জাতি উপকৃত হবে।

তিনি আরো বলেন, হাই-টেক ক্যাটাগরিতে ওয়ালটনকে প্রথম পুরস্কার প্রদান করায় ওয়ালটন পরিবার অত্যন্ত আনন্দিত ও গর্বিত। এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারের জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় এবং সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে নিজেদের স্বনির্ভরতা ও দেশকে স্বনির্ভর করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে ওয়ালটন। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের চাহিদা মিটিয়ে আজ ৪০টিরও বেশি দেশে রপ্তানি হচ্ছে ওয়ালটন পণ্য। যে পণ্য একসময় দেশে আমদানি হতো আমরা তা এখন রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছি। নিঃসন্দেহে এটা জাতি হিসেবে গর্বের বিষয়। এতে দেশ ও মানুষের সম্মান সমুন্নত হচ্ছে। এসবই সম্ভব হচ্ছে বর্তমান সরকারের শিল্পবান্ধব নীতির কারণে। এই নীতি সহায়তার ধারা অব্যাহত থাকবে এবং প্রসারিত হবে বলে আমরা দৃঢ়ভাবে আশাবাদী।

শিল্প মন্ত্রণালয় নির্বাচিত ১২টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরিতে ৩টি, মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিতে ২টি, ক্ষুদ্র শিল্প ক্যাটাগরিতে ৩টি, মাইক্রো শিল্প ক্যাটাগরিতে ১টি, কুটির শিল্প ক্যাটাগরিতে ১টি এবং হাই-টেক শিল্প ক্যাটাগরিতে ২টি।

১ম পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেককে ৩ লাখ টাকা ও ২৫ গ্রাম স্বর্ণখচিত ক্রেস্ট, ২য় পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেককে ২ লাখ টাকা ও ২০ গ্রাম স্বর্ণখচিত ক্রেস্ট এবং ৩য় পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা ও ১৫ গ্রাম স্বর্ণখচিত ক্রেস্টসহ সকলকে সম্মাননাপত্র প্রদান করা হয়।

 

;

বি পি আর এ’র উদ্যোগে ‘ডিজিটাল পিআর’ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

৪র্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে বাংলাদেশের জনসংযোগ কর্মকর্তাদের যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিৎ সে বিষয়ে “পিআর ইন ডিজিটাল এরা: হাউ পিআর প্রোফেশনালস ক্যান ট্রান্সফর্ম” শীর্ষক একটি কর্মশালার আয়োজন করে বাংলাদেশ জনসংযোগ সমিতি ও ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের (ইউল্যাব)।

ইউল্যাব’র ধানমন্ডি ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের ৮০ জন জনসংযোগ পেশাজীবি উপস্থিত ছিলেন।

প্রশিক্ষণ কর্মশালায় কি-নোট স্পীকার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বনন্দিত জনসংযোগ ব্যক্তিত্ব এবং গ্লোবাল অ্যালায়েন্স-এর প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী জাস্টিন গ্রীন।

এসময় তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে জনসংযোগ খাতের বর্তমান পরিস্থিতি, গুরুত্ব ও ভবিষ্যৎ নিয়ে পরিসংখ্যান তুলে ধরেন। পাশাপাশি জনসংযোগ খাতে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের গুরুত্ব নিয়ে তিনি বলেন, আগামীতে জনসংযোগের ক্ষেত্রে মুখ্য ভূমিকা পালন করবে ডিজিটাল পিআর। উদ্ভাবনী প্রযুক্তির কারণে এখন মুহূর্তের মধ্যেই একটি তথ্য সবার কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। এর ফলে তথ্য পাওয়া যেমন সহজ হচ্ছে তেমনি তথ্যের সত্যতা ও নিরাপত্তা নিয়ন্ত্রণ করা চ্যালেঞ্জিং হয়ে যাচ্ছে। জনসংযোগ কর্মীদের এবিষয় নিয়ে আরও সচেতন হতে হবে।

আরও বক্তব্য রাখেন ইউল্যাব’র প্রো-ভিসি অধ্যাপক জুড ইউলিয়াম হেনিলো, বাংলাদেশ জনসংযোগ সমিতির সভাপতি বজলুল হক রানা ও মহাসচিব মনিরুজ্জামান টিপু। প্রশ্নোত্তর পর্বের মাধ্যমে কর্মশালাটি শেষ হয়। নিজের অভিজ্ঞতার ঝুলি থেকে কিছু উদাহরণ দিয়ে উপস্থিত জনসংযোগ কর্মকর্তাদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন জাস্টিন গ্রীন।

;

আরও ৪ জেলায় সম্প্রসারিত বিকাশ-বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বই পড়া কর্মসূচি



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
আরও ৪ জেলায় সম্প্রসারিত বিকাশ-বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বই পড়া কর্মসূচি

আরও ৪ জেলায় সম্প্রসারিত বিকাশ-বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বই পড়া কর্মসূচি

  • Font increase
  • Font Decrease

বিকাশের সহযোগিতায় এবার বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের বইপড়া কর্মসূচির সম্প্রসারণ করা হয়েছে চট্টগ্রাম, চুয়াডাঙ্গা, নড়াইল ও দিনাজপুর জেলার ১৪টি স্কুলে।

শিক্ষার্থী ও স্কুল কর্তৃপক্ষের হাতে বই তুলে দিয়ে এবছর ৩৩,৬০০ বই বিতরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এই কর্মসূচির আওতায় প্রায় ৪ হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তিন লাখ বই বিতরণ করেছে বিকাশ, যার মাধ্যমে অন্তত ৩০ লাখ পাঠক উপকৃত হয়েছেন।

চট্টগ্রামের ৫টি এবং চুয়াডাঙ্গা, নড়াইল ও দিনাজপুরের ৩টি করে বিদ্যালয়ে এবার বই পড়া কর্মসূচি সম্প্রসারিত হলো। এই জেলাগুলোতে পৃথক চারটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষার্থী এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের হাতে বই তুলে দেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। চট্টগ্রামের অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফকরুজ্জামান, চুয়াডাঙ্গাতে জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা, নড়াইলে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শাশ্বতী শীল এবং দিনাজপুর চিরিরবন্দরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ কে এম শরীফুল হক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ডা. আবদুন নূর তুষার ও বিকাশের চিফ এক্সটারনাল অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মেজর জেনারেল শেখ মো. মনিরুল ইসলাম (অব.) ইভিপি এবং রেগুলেটরি অ্যান্ড করপোরেট অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্টের প্রধান হুমায়ুন কবির। অনুষ্ঠানগুলোতে সভাপতিত্ব করেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক জনাব শামীম আল মামুন।

শিক্ষার্থীদের পাঠ্য-পুস্তকের বাইরেও বই পড়ার অভ্যাস তৈরির মাধ্যমে পরিপূর্ণ ও আলোকিত মানুষ গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র দেশজুড়ে বইপড়া কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে। এই উদ্দেশ্যকে আরও প্রসারিত ও কার্যকরী করতে গত নয় বছর ধরে এই কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বিকাশ।

;

৬০ টাকায় নগদ গ্রাহকরা ক্রিকেট ম্যাচ দেখতে পাবেন র‌্যাবিটহোলে



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নগদ বিশ্বকাপ ক্রিকেট উপলক্ষ্যে নগদ ও র‌্যাবিটহোল নিয়ে এসেছে দারুণ অফার। বিশ্বকাপ ক্রিকেট উপলক্ষ্যে জনপ্রিয় ভিডিও সম্প্রচার মাধ্যম র‌্যাবিটহোল-এ গ্রাহক নগদের মাধ্যমে ৬০ টাকা পেমেন্ট করে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ম্যাচ উপভোগ করতে পারবেন।

ক্রিকেটপ্রেমী গ্রাহকেরা বিশ্বকাপের প্রতিটি ম্যাচ ও তাদের প্রিয় দলের খেলা এখন নগদ ও র‌্যাবিটহোল-এর এই অফারের মাধ্যমে উপভোগ করতে পারবেন। অফারের আগে র‌্যাবিটহোল-এর এই প্যাকটির মাসিক মূল্য ছিল ৯৯ টাকা, গোটা বিশ্বকাপের সব ম্যাচ দেখতে হলে গ্রাহকদের খরচ করতে হতো ১৯৮ টাকা। নগদ ও র‌্যাবিটহোল-এর এই চুক্তির ফলে এখন মাত্র ৬০ টাকায় নগদ গ্রাহকেরা এই অফারটি উপভোগ করতে পারবেন এবং গোটা বিশ্বকাপের সব ম্যাচ দেখতে পারবেন। ২০ নভেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত অফারটি কার্যকর থাকবে।

অফারটি উপভোগ করতে গ্রাহককে র‌্যাবিটহোল-এর ওয়েবসাইট ( https://www.rabbitholebd.com) অথবা অ্যাপ থেকে ‘নগদ ওয়ার্ল্ড কাপ প্যাক’ অপশনটি বাছাই করতে হবে এবং নগদের গেটওয়ের মাধ্যমে পেমেন্ট করতে হবে।

এই অফার উপলক্ষ্যে নগদ লিমিটেড ও র‌্যাবিটহোল গতকাল সোমবার নগদের প্রধান কার্যালয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। নগদ লিমিটেড-এর নির্বাহী পরিচালক মারুফুল ইসলাম ঝলক ও র‌্যাবিটহোল-এর পক্ষে কনটেন্ট ম্যাটার্স-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এ এস এম রফিক উল্লাহ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন। এ সময় নগদ লিমিটেড-এর চিফ মার্কেটিং অফিসার সাদাত আদনান আহমেদ ও হেড অব বিজনেস সেলস মোহাম্মদ মাহবুব সোবহান উপস্থিত ছিলেন।

মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পেইন চলবে ১৯ অক্টোবর ২০২৩ পর্যন্ত। এরপর নগদ গ্রাহক এই স্পেশাল প্যাকের অফার উপভোগ করতে পারবেন না। সব শর্ত মেনে একজন গ্রাহক একবারই এই অফার উপভোগ করতে পারবেন।

ক্যাম্পেইনের বিষয়ে নগদ লিমিটেড-এর চিফ মার্কেটিং অফিসার সাদাত আদনান আহমেদ বলেন, ‘ক্রিকেটপ্রেমী গ্রাহকদের স্বল্পমূল্যে জনপ্রিয় ভিডিও সম্প্রচার মাধ্যমে বিশ্বকাপ খেলা দেখার সুযোগ করে দিতে নগদ ও র‌্যাবিটহোল যৌথভাবে এই অফারটি নিয়ে এসেছে। মানুষের জীবনকে আরামদায়ক করার একটি প্রয়াস এই ক্যাম্পেইন।’

এ ছাড়া বিশ্বকাপ ক্রিকেট উপলক্ষ্যে মাস্টারকার্ড থেকে নগদ ওয়ালেটে ৩৪৫০ টাকা বা তার বেশি অ্যাড মানি বা ক্রেডিট কার্ড বিল পেমেন্ট করে গ্রাহক জিতে নিতে পারেন আইসিসি ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপ খেলা দেখার টিকিট। এর সাথে থাকছে প্রতি সপ্তাহে সর্বোচ্চ লেনদেনকারী গ্রাহকের জন্য ফ্ল্যাগ বিয়ারার প্রোগ্রাম ও মাস্টারকার্ড সোফা। এই অফারটি চলবে ১৬ অক্টোবর ২০২৩ পর্যন্ত।

;