বিএটিবিতে সিএসআরের অর্থ কেলেঙ্কারি, চাকরিচ্যুতির আতঙ্কে কর্মকর্তারা!



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিট্রিশ আমেরিকান ট্যোবাকো বাংলাদেশের (বিএটিবি) কর্মকর্তাদের মধ্যে চাকরি হারানোর আতঙ্ক বিরাজ করছে। কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচির (সিএসআর) ২০০ কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ বিএটিবির তিন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তার পদত্যাগের পর থেকে কর্মীরা এমন আতঙ্কে রয়েছেন। সিএসআরের অর্থ লোপাটের অভিযোগে বিএটির প্রধান কার্যালয়ের অডিট বিভাগের কর্মকর্তাদের তোপের মুখে কোম্পানির ঢাকা কার্যালয়ের এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স প্রধান শেখ শাবাব আহমেদ, লিগ্যাল অ্যান্ড অ্যাক্সটারনাল অ্যাফেয়ার্স বিভাগের প্রধান মুবিনা আসাফ, বিজনেস কমিউনিকেশন ম্যানেজার ফুয়াদ বিন সাজ্জাদ পদত্যাগে বাধ্য হন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, জানুয়ারি মাসে বিট্রিশ আমেরিকান ট্যোবাকো কোম্পানির প্রধান কার্যালয়ের একটি অডিট টিম ঢাকায় আসেন। অডিট টিম কাজের শুরুতেই কর্মকর্তাদের কম্পিউটার জব্দ করেন। সবাইকে জানিয়ে দেন কোন কর্মী তার ডেস্ক থেকে নড়চড় করতে পারবেন না। একই সময়ে বিএটিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শেহজাদ মুনিমকে এক সপ্তাহের জন্য হোম অফিস দেওয়া হয়। ইংল্যান্ডের অডিট টিম প্রথমেই সিএসআর কর্মসূচি অর্থ নয়-ছয়ের প্রমান পেয়েছেন। এবিষয়ে শেখ শাবাব আহমেদের কাছে জানতে চাইলে সন্তোষজনক কোন জবাব দিতে পারেননি। তবে তিনি অডিট টিমকে জানিয়েছেন সব ঘটনা ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) অবগত। সংশ্লিষ্ট সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে বিএটিবির সচিব আজিজুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, কোম্পানির এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স প্রধান শেখ শাবাব আহমেদ এখনও চাকরিতে রয়েছেন। ‍মুবিনা আসাফও আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। আপনার যদি কিছু জানার থাকে আমাদের মেইল করতে পারেন। আমরা সব প্রশ্নের উত্তর দেব।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, বহুজাতিক তামাক কোম্পানি বিট্রিশ আমেরিকান ট্যোবাকো বাংলাদেশের (বিএটিবি) কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচির (সিএসআর) ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ের বিষয়ে আপত্তি তুলেছে কোম্পানির অডিট বিভাগ। এই অর্থ খরচের বিষয়ে জানতে চাইলে অডিট বিভাগের কাছে কোন জবাব দিতে পারেনি কোম্পানির এমডি শেহজাদ মুনিম। পরবর্তীতে এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স প্রধান শেখ শাবাব আহমেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি অডিট বিভাগে জানিয়েছেন বিষয়টি ঊর্ধ্বতন সবাই অবগত। এ ঘটনার পরই চাকরিচ্যুত করা হয় তিন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে। গত ৫-৬ বছর ধরে এই অর্থ নয়ছয় করা হয়েছে। প্রাথমিক হিসাবে ২০০ কোটি টাকা বলা হলে অর্থের পরিমাণ আরও বাড়বে।

সূত্র আরও জানিয়েছে, কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচির (সিএসআর) ২০০ কোটি টাকা নয়ছয়ের ঘটনায় তোপের মুখে পড়েছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের অন্য কর্মকর্তারাও। যে কোন সময় তাদেরকে চাকরিচ্যুত করা হতে পারে। অথবা তারাও চাকরি থেকে পদত্যাগ করতে পারেন।

সূত্র জানিয়েছে, বিট্রিশ আমেরিকান ট্যোবাকো পরিচালিত প্রেরনা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সিএসআরের অর্থ ব্যয় করে বিট্রিশ তামাকজাত পণ্য উৎপাদন কোম্পানিটি। মূলত এই প্রেরনা ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে অর্থ লোপাট করেছে কতিপয় কর্মকর্তারা। করোনার সময় প্রেরনা ফাউন্ডেশন মাস্ক তৈরি করলেও এখন তারা চকলেট সহ নানা রকম পণ্য বাজারজাত করছে। অভিযোগ রয়েছে প্রেরনা ফাউন্ডেশনে বিক্রির পণ্য সরবরাহ করা হয় শেহজাদ মুনিম পরিচালিত কোম্পানি থেকে।

এদিক কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা (সিএসআর) কর্মসূচির আড়ালে সারা দেশের কৃষকদের দীর্ঘদিন ধরে তামাক চাষে উদ্বুদ্ধ করছে বিএটিবি। সিএসআর- এর প্রকল্প ‘দীপ্ত’ ও ‘বনায়ন’ দিয়ে নিজেদের বিজ্ঞাপন প্রচার করে বেড়াচ্ছে বিএটিবি। তামাক বিরোধী সংগঠনগুলো বলছে, কর্পোরেট সামাজিক দায়বদ্ধতা কার্যক্রমের মাধ্যমে কোম্পানির বিজ্ঞাপন প্রচার ও কৃষকদের তামাক চাষে উদ্বুদ্ধ করছে বিএটিবি। আইনের ফাঁক গলে এসব দিয়ে কোম্পানির লোগো প্রচার করিয়ে নিচ্ছে। বিএটিবি কৃষকদের উন্নত চাষের প্রশিক্ষণের নামে দেওয়া হচ্ছে কেবল তামাক চাষের প্রশিক্ষণ।

অন্যদিকে, ২০১৩ সালে পাহাড়ে অন্ধকার দূর করে আলো জ্বালানো হয়েছে বলে কোটি টাকা খরচে বিজ্ঞাপন প্রচার করেছে বিএটিবি। তবে শুধুমাত্র কোম্পানির তালিকাভুক্ত কয়েক’শ চাষির মাঝে ‘দীপ্ত’ প্রকল্পের সৌরবিদ্যুৎ সরবরাহ করছে।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, মূলত অন্য কোম্পানির চাষিদের আকৃষ্ট করতে এবং পত্রিকায় নিজেদের লোগো ব্যবহার করতেই এসব সোলার বিতরণ করছে বিএটিবি।

বান্দরবান ও খাগড়াছড়ির ৪টি গ্রামের ৫৭৬টি পরিবারকে ‘দীপ্ত’ প্রকল্পের অধীনে সৌরবিদ্যুত দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিএটিবি। হতদরিদ্র পরিবারগুলোকে এ প্রকল্পের মাধ্যমে সৌরবিদ্যুত সহায়তা দেওয়া হয়েছে বলে প্রচারণা চালালেও, দেওয়া হয়েছে শুধুমাত্র নিজ চাষিদের। এদের মধ্যে অনেক অবস্থাসম্পন্ন কৃষকও রয়েছেন। তামাকচাষিরা জানান, ২০ ওয়াটের এ সৌরবিদ্যুৎ দিয়ে তিনটি বাতি জ্বালানো সম্ভব।

সূত্র জানিয়েছে, এ ধরনের একটি সৌরবিদ্যুৎ স্থাপনে বিএটিবি’র খরচ হয়েছে মাত্র ২৫ হাজার টাকা। অথচ বিজ্ঞাপনেই খরচ করেছে কোটি টাকার ওপর।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সাল থেকেই স্থানীয় কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে এ সৌরবিদ্যুৎ দেওয়ার জন্য কথার্বাতা চালাতে থাকে বিএটিবি। এ ক্ষেত্রে পাড়ার হেডম্যান, উপজেলার বিভিন্ন সরকারি অফিসের কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করে প্রতিষ্ঠানটি।

পথ ভুলে হাবুডুবু, তারপরও ভুল পথেই জ্বালানি খাত!



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

 

ভুল পথে পরিচালিত হয়ে হাবুডুবু খাচ্ছে জ্বালানি খাত, তারপরও ভুল পথেই চলছে। রশিদপুরে (রশিদপুর-৯) গ্যাস ফেলে রেখে ভোলা থেকে চড়াদামে (পরিবহন খরচ) সিএনজি আনার উদ্যোগ প্রসঙ্গে এমন মন্তব্য করেছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা।

সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, রশিদপুর-৯ নম্বর কূপটি ২০১৭ সালে খনন করা হয়। কুপটি থেকে দৈনিক ১৪-১৯ মিলিয়ন গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব। শুধুমাত্র ৫ কিলোমিটার পাইপলাইনের অভাবে সেই গ্যাস পড়ে রয়েছে ৫বছর ধরে। যা আমদানিকৃত (১৯ মিলিয়ন) এলএনজির সঙ্গে তুলনা করলে দৈনিক দাম দাঁড়ায় ৫ কোটি ১৩ লাখ টাকার উপরে। বছরে এই টাকার অংক দাঁড়ায় প্রায় ১৮’শ কোটি টাকা। চাইলে ২-৩ মাসের মধ্যে পাইপলাইন নির্মাণ করা সম্ভব। অথচ সেখানে কোন গুরুত্ব দেখা যাচ্ছে না।

সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানির যুক্তি হচ্ছে পাইপলাইন নেই কারণে গ্যাস উত্তোলন করা যাচ্ছে না। রশিদপুর-৭ নম্বর কূপ পর‌্যন্ত পুর্বের যে লাইনটি রয়েছে সেটি ব্যবহার অনুপযোগি। যে কারণে ১৭ কিলোমিটার পাইপলাইন নির্মাণের ‍প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। বার্তা২৪.কম এ একাধিক রিপোর্ট প্রকাশের পর গত বছরের জুলাইয়ে হাইড্রো টেস্ট করে পাইপটি ব্যবহার উপযোগি বলে জানতে পারে। এখন ৭ নম্বর কূপের বিদ্যমান লাইনে হুকিং করে দিলেই (রশিদপুর-৯) উৎপাদনে যেতে পারবে। সেখানেও দীর্ঘসুত্রিতা দেখা গেছে।

সিলেট গ্যাস ফিল্ডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, পাইপলাইন নির্মানের জন্য বনের কিছু গাছ কাটতে হবে। গাছ কাটার অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। অনুমোদন পেলে এক মাসের মধ্যেই কাজ শেষ করতে চাই।

অন্যদিকে গ্যাস সংকট দূর করার কথা বলে ভোলা থেকে সিএনজি আকারে ৫ মিলিয়ন (প্রথমধাপে) গ্যাস আনার বিশাল তোড়জোড় চলছে। সম্প্রতি ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি করেছে পেট্রোবাংলা। কোম্পানিটি ভোলা থেকে গ্যাস পরিবহন করে ঢাকার পাশ্বর্বতী এলাকায় সরবরাহ করবে। প্রতি ঘনমিটার গ্যাস পরিবহনের জন্য ৩০.৬০ টাকা দিতে হবে ইন্ট্রাকোকে। শিল্প কারখানায় পাইপলাইনে পাওয়া গ্যাসের জন্য ১৮.০২ টাকা (বৃহৎ শিল্প) পাওয়া গেলেও, এই গ্যাসের মূল্য দিতে হবে ৪৭.৬০ টাকা। খানিকটা খাজনার চেয়ে বাজনা বেশি প্রবাদের মতো।

অথচ সেই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান মঞ্চে দাঁড়িয়ে পেট্রোবাংলা, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ এমনকি খোদ প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা যেভাবে নিজেদের ক্রেডিট নিয়েছেন, তাতে মনে হবে তারা নতুন কোন গ্রহ আবিস্কার করে ফেলেছেন।

পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার বলেন, আমি জানুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর আমাকে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়। আমরা কয়েক মাসের মধ্যেই ভোলার গ্যাস আনার বিষয়টি চুড়ান্ত করতে পেরেছি। এ জন্য আমি আমার সহকর্মীদের ধন্যবাদ দিচ্ছি এতো।

অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, বিষয়টি প্রথম তৌফিক ভাইয়ের (প্রধানমন্ত্রী বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা) মাথা থেকে এসেছে। বিষয়টি খুবই অভিনব।

প্রধানমন্ত্রী বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা বলেন, সমকালীন সমস্যাকে মিটিয়ে এগিয়ে যাওয়া এটাই সরকারের বড় লক্ষ্য। আমরা যদি যৌথভাবে কাজ করি তাহলে আমরা অনেকদূর এগিয়ে যেতে পারবো।এটা যদি কনসালটেন্ট নিয়োগ করতাম, তারা অনেকদিন সময় লাগাতো। কিন্তু ইন্ট্রাকো দ্রুত সময়ের মধ্যে করতে পেরেছে। এতে শুধু সরবরাহ বাড়ল না, সংকটও দূর হবে।

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের সাবেক সদস্য জ্বালানি বিশেষজ্ঞ মকবুল ই-এলাহী চৌধুরী বার্তা২৪.কমকে বলেন, গ্যাস সংকটের কথা বলে ভোলা থেকে গ্যাস আনার আগে রশিদপুরের গ্যাস আনা যেতো। এক দুই মাসের মধ্যেই যে কাজটি করা যেতো। ভোলা থেকে গ্যাস আনার মতো এখানে কোন ঝুঁকি নেই, এবং নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ দেওয়া সম্ভব। আবার সেই দামও হতো সাশ্রয়ী। সেই কাজটি কেনো এতোদিনে করা যাচ্ছে না সেটাই বড় বিষ্ময়ের।

ভোলা থেকে প্রথম দফায় আসবে মাত্র ৫ মিলিয়ন, পরে আরও ২০ মিলিয়ন আনার পরিকল্পনা রয়েছে। অথচ এর সিকিভাব প্রচেষ্টা নিলে ১ টাকারও কম মূল্যে রশিদপুর থেকে কয়েকগুন বেশি গ্যাস আসতে পারতো। সেদিকে না পেট্রোবাংলা, না জ্বালানি বিভাগের কোন আগ্রহ দৃশ্যমান।

বাংলাদেশে মোট ২৯টি গ্যাস ফিল্ড আবিস্কৃত হয়েছে। ২১ টি গ্যাস ফিল্ডের ১১৩টি কূপ দিয়ে দৈনিক (৩জুন) ২১৪০ মিলিয়ন গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে। এক সময় ২৮০০ মিলিয়ন পর‌্যন্ত গ্যাস উত্তোলন করা হয়েছে। প্রতিনিয়ত গ্যাসের উৎপাদন কমে আসছে। ঘাটতি সামাল দিতে দৈনিক ১ হাজার মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস আমদানির জন্য দু’টি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল স্থাপন করা হয়েছে। নতুন করে আরও দু’টি ভাসমান টার্মিনাল স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যা এখনও যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার মধ্যে আটকে রয়েছে। কার‌্যাদেশ দেওয়ার পর কমপক্ষে ১৮ মাস সময় লাগবে । এছাড়া একটি ল্যান্ড বেজড এলএনজি টার্মিনালের উদ্যোগ রয়েছে, সেই প্রক্রিয়ায় কাগজে সীমাবদ্ধ। অর্থাৎ ২০২৩ ও ২০২৪ সালে বাড়তি গ্যাস আমদানি সুযোগ একেবারেই ক্ষীণ।

তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে স্থবিরতার কারণেই আজকের এই সংকট বলে মনে করেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. বদরুল ইমাম। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ইউএসজিএস তাদের এক সার্ভে রিপোর্টে বলেছে বাংলাদেশে আরও ৩২ টিসিএফ গ্যাস অনাবিষ্কৃত রয়ে গেছে। বর্তমানে বছরে ১ টিসিএফ গ্যাস ব্যবহৃত হচ্ছে সে হিসেবে আরও ৩২ বছরের মজুদ রয়েছে। দেশীয় গ্যাসের অনুসন্ধান কার্যক্রম সঠিক গতিতে না হওয়ায় আজকের এই সংকট। অচলাবস্থার কারনেই আজকে চড়াদামে এলএনজি আমদানি করতে হচ্ছে।

তিনি বলেছেন, দেশীয় গ্যাস তুললে যে লাভ তার চেয়ে না তুললে বেশি লাভ। আমদানি করলে কমিশনের বিষয় থাকতে পারে। এটা শুধু আজকে থেকে নয়, ঐতিহাসিকভাবেই অনুসন্ধানে স্থবিরতা বিদ্যমান। সরকার পরিবর্তন হলে একটা পরিবর্তন আশা করা হয়, কিন্তু সেভাবে পরিবর্তন হয় নি। বরং পুর্বের ধারার সঙ্গে নতুন ধারা আমদানি যুক্ত করা হয়েছে। এই অবস্থা থাকলে ৩০ সালে গ্যাস খাত পুরোপুরি আমদানি নির্ভর হয়ে পড়বে।

অনেকে ধারণা করেছিলেন সমালোচনা হয়েছে এবার মনে হয় বোধদয় হবে, গুরুত্ব পাবে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ খাত। কিন্তু সে আশায় গুড়েবালি। প্রস্তাবিত বাজেটে বরাদ্দ কমিয়ে গত বছরের তুলনায় অর্ধেক করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

;

রফতানি আয় বেড়েছে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ফের বাড়ছে রফতানি আয়। সবশেষ মে মাসে বিভিন্ন পণ্য রফতানি থেকে ৪৮৪ কোটি ৯৬ লাখ ২০ হাজার (৪.৮৫ বিলিয়ন) ডলার দেশে এনেছেন রফতানিকারকরা। যা এপ্রিলের চেয়ে ২২ দশমিক ৫৯ শতাংশ বেশি। আর গত বছরের মে মাসের চেয়ে বেশি ২৬ দশমিক ৬১ শতাংশ।

রোববার (৪ জুন) প্রকাশিত রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রতিবেদন অনুসারে এতথ্য জানা গেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবছরের ২০২২-২৩ সালের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) ৫০ দশমিক ৫২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রফতানি হয়েছে।

গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এ রফতানি ৭ দশমিক ১১ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে রফতানি হয়েছে ৪৭ দমমিক ১৭ বিলিয়ন ডলারের।

ইপিবির তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরে তৈরি পোশাকের পাশাপাশি চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য, নন-লেদার জুতা ও প্লাস্টিক পণ্যের রফতানি বেড়েছে।

তবে পাট ও পাটজাত পণ্য, হোম টেক্সটাইল, হিমায়িত খাদ্য, কৃষি প্রক্রিয়াজাত খাদ্য এবং প্রকৌশল পণ্যের রফতানি কমেছে।

চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে ৪২ দশমিক ৬৩ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রফতানি হয়েছে। এই আয় গত অর্থবছর ২০২১-২২ এর একই সময়ের তুলনায় ১০ দমমিক ৬৭ শতাংশ বেশি।

অন্যদিকে, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রফতানি পণ্য ছিল ১ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য। এইখাতে প্রবৃদ্ধি ৪২ শতাংশ।

তৃতীয় সর্বোচ্চ রফতানিকৃত পণ্য হল ১ দশমিক ০২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের হোম টেক্সটাইল পণ্য। এ খাতের রফতানি কমেছে ৩০ শতাংশ।

;

সোমবার থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। সোমবার (৫ জুন) থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা যাবে।

পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সীমিত আয়ের, শ্রমজীবী মানুষের কষ্ট  লাঘবসহ ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে কৃষি মন্ত্রণালয়।

রোববার মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে।

;

ইউনিয়ন ব্যাংকের আর্থিক স্বাক্ষরতা বিষয়ক প্রচারণা অনুষ্ঠিত



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ইউনিয়ন ব্যাংকের আর্থিক স্বাক্ষরতা বিষয়ক প্রচারণা অনুষ্ঠিত

ইউনিয়ন ব্যাংকের আর্থিক স্বাক্ষরতা বিষয়ক প্রচারণা অনুষ্ঠিত

  • Font increase
  • Font Decrease

সম্প্রতি কক্সবাজারে শরী‘আহ ভিত্তিক ইউনিয়ন ব্যাংক লিমিটেড এর ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসি উইং কর্তৃক আয়োজিত “প্রবাসী আয় বৈধ পথে প্রেরণের লক্ষ্যে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি” শীর্ষক আর্থিক স্বাক্ষরতা বিষয়ক প্রচারণা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ব্রাঞ্চেস অপারেশন এন্ড কন্ট্রোল ডিভিশন এবং ফ্যাইন্যান্সিয়াল লিটারেসি উইং এর প্রধান ভাইস প্রেসিডেন্ট চৌধুরী এস এম আতিকুর রহমান হায়দার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের কক্সবাজার শাখার শাখা পধান এভিপি চৌধুরী মোহাম্মদ এরফানুল হক হক্কানি।

এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজারের স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ। অনুষ্ঠানে প্রবাসী আয়ের প্রতি গুরুত্ব, ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী আয় প্রেরণের উপকারীতা, হুন্ডির মাধ্যমে টাকা প্রেরণের ক্ষতিকর দিক সংক্রান্ত আলোচনা ও ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়।

;