ভিক্ষুকের ঝুলিতেও বিদ্যুতের তোপ



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর সময় কৃষি সেচ এবং হতদরিদ্র গ্রাহকদের বিশেষ ছাড় দেওয়ার রেওয়াজ ছিল। তুলনামূলক ধনিক শ্রেণির ভোক্তাদের দাম বাড়িয়ে ঘাটতি মেটানো হতো, এখন আর কিছুই মানা হচ্ছে না।

এখন আর গবীর-ধনী, ক্ষুদ্র শিল্প, বৃহৎ শিল্প, রাস্তার পান দোকান কিছুই মানা হচ্ছে না। সবকিছু মিলিয়ে একাকার করে ফেলা হচ্ছে নির্বাহী আদেশে। এতে সামাজিক অস্থিরতার শঙ্কা করছেন জ্বালানি সংশ্লিষ্টরা।

হতদরিদ্র গ্রাহকদের বিশেষ সুবিধা দেওয়ার জন্য লাইফ লাইন শ্রেণি করা হয়েছিল। যাদের বসতি মূলত এক কক্ষ বিশিষ্ট। সীমিত সময়ের জন্য একটি বাল্ব ও একটি ফ্যান ব্যবহার করে এমন গ্রাহকরা এই সুবিধা পেতেন। সাধারণ শ্রমিক শ্রেণির লোকজন সারাদিন কাজ শেষে রাতে বাসায় ফিরে ফ্যান ছেড়ে ঘুমাতে যান। তাদেরকে সাশ্রয়ী দরে বিদ্যুৎ দিতে লাইফ লাইন গ্রাহক শ্রেণি করা হয়।

সেই লাইফ লাইনে ইউনিট প্রতি বিদ্যুৎ বিল ছিল ৩.৭৫ টাকা। সেই বিল ডিসেম্বরে ১৯ পয়সা বাড়িযে ৩.৯৪ টাকা করা হয়েছিল। এবার আরও ২০ পয়সা বাড়িয়ে ৪.১৪ টাকা করা হয়েছে। অর্থাৎ হতদরিদ্র গ্রাহকের ইউনিট প্রতি খরচ বাড়লো ৩৯ পয়সা। অতীতে ৫০ ইউনিটের নীচে হলেই লাইফ লাইন বিবেচনা করা হলেও এবার সেই সুবিধাও বাতিল করা হয়েছে। অর্থাৎ পান দোকানিকেও বাড়তি বিল গুণতে হবে। আতঙ্কের আরেকটি কারণ হচ্ছে এদের অনেকেই পৃথক মিটার ব্যবহার করেন না, অন্যের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়ে থাকেন। বিদ্যুৎ বিল আদায়কারীরা, দাম বৃদ্ধির অজুহাতে কয়েকগুণ বেশি আদায় করে থাকেন।

বিদ্যুতের আরেকটি গুরুত্বপুর্ণ খাত বিবেচনা করা হয় কৃষি সেচকে। কৃষি উৎপাদন নিরবিচ্ছিন্ন রাখতে এ খাতে বিদ্যুতের দাম সব সময়েই সাশ্রয়ী রাখার চেষ্টা করা হতো। এবার সেখানেও কোপ পড়তে যাচ্ছে। সার-বীজের দাম বেড়ে যাওয়া আসন্ন বোরো মৌসুম নিয়ে এমনিতেই শঙ্কায় রয়েছে কৃষকরা। তারপর সেচে দফায় দফায় দাম বাড়ানো হয়েছে। ১২ ডিসেম্বর ২১ পয়সা বাড়িয়ে ৪.৩৭ টাকা করা হয়েছিল, এবার আরও ২২ পয়সা বাড়িয়ে ৪.৫৯ টাকা করা হয়েছে। কৃষিতে মধ্যমচাপে ফ্ল্যাট রেটে ৫.৫১ টাকা, অফ পীকে ৪.৯৭ টাকা এবং পীকে ৬.৮৯ টাকা করা হয়েছে। বাদ দেওয়া হয়নি রাস্তার বাতি ও পানির পাম্পের বিলেও। দুই দফায় দাম বাড়িয়ে ৮.৪৯ টাকা করা হয়েছে।

ক্ষুদ্র শিল্পের জন্য সাশ্রয়ী দরের কোন ব্যবস্থা রাখা হয় নি। ফ্ল্যাট রেটে ৯.৪১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে যা বৃহৎ শিল্পের তুলনায় মাত্র ২ পয়সা কম। বৃহৎ শিল্পে ফ্ল্যাট রেটে দর ধরা হয়েছে ৯.৪৩ টাকা।

ক্যাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. শামসুল আলম বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে (বিইআরসি) সে সব প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে দাম বাড়ানো হতো, সেখানে নানা রকম অসঙ্গতিগুলো চিহ্নিত হতো। সবক্ষেত্রে যে প্রতিপালন করা যেতে সেটা বলবো না, তবে কিছুটা উন্নতি হচ্ছিল। সমাজের পিছিয়ে থাকা বিপুল পরিমাণ জনগোষ্ঠিকে সহায়তা করার চেষ্টা থাকত। মূল্যহারের অভিঘাত থেকে হতদরিদ্র গ্রাহক, গ্রামের পান-বিড়ির দোকান, কৃষি সেচকে মুক্ত রাখার চেষ্টা করা হতো। একজন পান দোকানী আর বসুন্ধরা সিটির দোকানীর বিদ্যুতের বিল সমান হতে পারে না। সেই জায়গাগুলো দেখে রাখার চেষ্টা হতো। এখন সেসব চর্চা বন্ধ করে দেওয়া হলে সমাজে বিশৃঙ্খলা দেখা দিতে পারে। বিইআরসিকে এখন ক্লিনিক্যালি ডেড বলা যায়। এ কুফল অনেক ভয়াবহ হবে।

তিনি আরও বলেন, যে হারে দাম বাড়ানো হচ্ছে এর ফল উল্টো হবে। সরকারের রাজস্ব বাড়ানোর কৌশল, হিতের বিপরীত হতে পারে। বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম যতো বাড়বে, ততো ভোগ ব্যয় কমবে। বাজারে পণ্য বিক্রি কমে যাবে, এতে কমে আসবে সরবরাহ। কমে যাবে ভ্যাট-ট্যাক্স থেকে আয়।

এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, বিদ্যুৎ-গ্যাসের দাম যে হারে বাড়ানো হয়েছে, তার কোনই যৌক্তিকতা নেই। আমরা আগেও বলেছি এখনও বলছি দাম না বাড়িয়েও সামাল দেওয়ার অনেক বিকল্প ছিল। অনেকগুলো যাওগায় অপচয় রয়েছে, অস্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় চুক্তি করা হয়েছে। এতে ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, আমরা গণশুনানিতে নিয়মিত অংশ নিতাম। সমাজের ভারসাম্য রক্ষার জন্য পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠিকে বিশেষ ছাড় দেওয়ার রেওয়াজ ছিল। উন্নত দেশেও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠির জন্য বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়।

তিনি বলেন, লাইফ লাইন গ্রাহক শ্রেণি করা হয়েছে হতদরিদ্রের জন্য। তারা একটি বাল্ব একটি ফ্যান ব্যবহার করেন। মাসে যার ব্যবহার অনধিক ৫০ ইউনিট বিদ্যুৎ। রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে ভিক্ষা করে জীবনযাপন করেন। সেই বৃদ্ধা ভিখারিনীর ঘরেও একটি বাল্ব জ্বলে। সেই ভিখারিনীর ঝোলাতে হাত বসাতে চায় বিদ্যুতের কোম্পানিগুলো। অনেকদিন ধরেই তারা এই শ্রেণির গ্রাহকদের বিদ্যুতের দাম বাড়াতে তৎপর, কিন্তু বিইআরসিতে ভোক্তাদের চাপের মুখে পিছিয়ে গেছে। নির্বাহী আদেশে গরীবের স্বস্তির জায়গা বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।

 

   

ইসলামী ব্যাংকের নোয়াখালী জোনের কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির নোয়াখালী জোনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার ( ২৬ এপ্রিল) ম্যাজিক প্যারাডাইস পার্ক এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মাকসুদুর রহমান-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী, ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ শাব্বির এবং সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট আবু ছাঈদ মো. ইদ্রিস।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন নোয়াখালী জোনপ্রধান এ. এফ. এম আনিছুর রহমান। সম্মেলনে ব্যাংকের কুমিল্লা জোনপ্রধান মো. মুনিরুল ইসলাম, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট খালেদ মাহমুদ রায়হান, এফসিসিএ সহ প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী, নোয়াখালী জোনের অধীন শাখাসমূহের প্রধান, উপ-শাখা ইনচার্জ, সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

;

বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, নিন্দনীয় দৃষ্টান্ত: টিআইবি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বাংলাদেশ ব্যাংক

বাংলাদেশ ব্যাংক

  • Font increase
  • Font Decrease

আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান এবং জনগণের অর্থের শেষ অবলম্বন বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিয়ন্ত্রণ আরোপের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

এমন পদক্ষেপকে জনস্বার্থে ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের তথ্য প্রকাশে গণমাধ্যমের পেশাগত দায়িত্ব পালনের পথে অভূতপূর্ব প্রতিবন্ধকতা উল্লেখ করে অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী, ব্যাংকিং ও আর্থিক খাতের তথ্য সংগ্রহে গণমাধ্যম ও সংবাদকর্মীরা বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রায় মাসাধিককাল ধরে বাধার সম্মুখীন হচ্ছিলেন। এক্ষেত্রে নিরুপায় হয়ে সমস্যা সমাধানে গভর্নরের সহায়তা চাইলেও ইতিবাচক কোনো ফল আসেনি।

এটিকে জনগণের তথ্য জানার আইনসিদ্ধ অধিকার নিশ্চিতের পথে অনৈতিক ও স্বেচ্ছাচারী পদক্ষেপ উল্লেখ করে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান প্রশ্ন রাখেন, ‘খেলাপি ঋণ, আর্থিক প্রতারণা ও জালিয়াতি এবং সার্বিক সুশাসনের অভাবসহ নানাবিধ সংকটে ব্যাংকিং খাত যখন জর্জরিত তখন তথ্যের অবাধ প্রবাহ বন্ধের সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ নেতৃত্ব সবার কাছে কী বার্তা দিতে চান? কিংবা এর মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক কী অর্জন করতে চায়? তবে কি খাদের কিনারায় উপনীত ব্যাংকিং খাতে সুশাসন প্রতিষ্ঠায় নিজেদের ব্যর্থতার তথ্য গোপন করতেই এই উদ্যোগ? না-কি যারা ঋণখেলাপি ও জালিয়াতিসহ এ খাতের সংকটের জন্য দায়ী-তাদের স্বার্থ সুরক্ষার প্রয়াস এটি।’ 

বিগত কয়েক বছরে আর্থিক খাতের হাজার হাজার কোটি টাকা কেলেঙ্কারির যে সব তথ্য জনস্বার্থে প্রকাশিত হয়েছে তার বেশিরভাগই এসেছে গণমাধ্যমকর্মীদের বাংলাদেশ ব্যাংকে অবাধ প্রবেশাধিকারের সূত্র ধরে, এমন কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে ড. জামান বলেন, ‘তবে কি ধরে নিতে হবে, বাংলাদেশ ব্যাংক এ খাতের অনিয়মের সঙ্গে জড়িত ঋনখেলাপি, জালিয়াতি ও অর্থপাচারের মতো অপরাধী মহলের অব্যাহত সুরক্ষা নিশ্চিতে কাজ করছে এবং চক্রটির হাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি ও নেতৃত্ব যে জিম্মি হয়ে পড়েছে, তা গোপন করতেই এহেন নিন্দনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে।’

ব্যাংকিং খাত নিয়ে জনমনে যখন আস্থার প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, কিংবা ব্যাংকের গ্রাহকদের স্বার্থ সুরক্ষার নামে ব্যাংক একীভ‚তকরণ নিয়ে যখন কেন্দ্রীয় ব্যাংক নিজেই দৃশ্যমান কিংকর্তব্যবিমূঢ়, তখন গোপনীয়তার ঘেরাটোপ আরো বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে বলে মনে করে টিআইবি। গণমাধ্যমকর্মীরা নিরুপায় হয়ে সমস্যা সমাধানে গর্ভনরের সহায়তা চাইলে ব্যাংকিং খাতের তথ্যের স্পর্শকাতরতা বিষয়ে গনমাধ্যম ও সংবাদকর্মীদের প্রশিক্ষণের নামে আমলাতান্ত্রিক দীর্ঘসূত্রিতার মাধ্যমে মূলবিষয়কে এড়িয়ে বাস্তবে সাংবাদিকদের বাধাহীন তথ্য সংগ্রহের সুযোগ ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে যে বাংলাদেশ ব্যাংক নারাজ, তা পরিষ্কার বলে উদ্বেগ প্রকাশ করছে টিআইবি। যা শুধু স্বেচ্ছাচারিতার বহিঃপ্রকাশই নয়, বরং ঔপনিবেশিক মানসিকতারও পরিচায়ক আখ্যা দিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক বলছেন, ‘সমস্যার সমাধান না করে গভর্নর যে পাসনির্ভর ব্যবস্থা চালু করার কথা বলছেন, প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দিচ্ছেন, তা আর যা-ই হোক, গণমাধ্যমকর্মীদের পেশাগত দায়িত্ব, বিশেষ করে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে বাস্তবে অপ্রতিরোধ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপই শুধু নয়, বরং এর ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের যে কোনো পর্যায়ের কর্মকর্তাই সাংবাদিকদের সাক্ষাত প্রদানে বিরত থাকতে চাইবেন। কেননা সাক্ষাতের পর সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক প্রতিবেদন প্রকাশ করলে নির্দিষ্ট কর্মকর্তাকে যে প্রশাসনিক জবাবদিহির নামে হয়রানির মুখোমুখি হতে হবে, তা না বললেও চলে। অর্থাৎ তথ্য প্রাপ্তির সুযোগ কার্যত রুদ্ধ হবে, জনগণ ব্যাংকিং খাতে কী হচ্ছে, কেনো এবং কারা জনগণের অর্থ লোপাটের ফলে লাভবান হচ্ছেন, তা জানার অধিকার থেকে বঞ্চিত হবেন। যা কোনোভাবেই সুবিবেচকের কাজ হতে পারে না। বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের মনে রাখতে হবে, তাঁরা জনস্বার্থের সুরক্ষার ভূমিকা পালনের কথা, ঋণখেলাপি আর ব্যাংকিং খাতের সংকটের জন্য দায়ী মহলের নয়।

সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক নেতৃত্ব কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সাংবাদিকদের বাধাহীন প্রবেশের পরিস্থিতি নিশ্চিতে অবিলম্বে উক্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার ঘোষণার মাধ্যমে অবাধ তথ্য প্রকাশের পথকে সুগম করবেন-এমনটাই প্রত্যাশা করে টিআইবি।

;

ঢাকা-কুয়ালালামপুর যাত্রা শুরু করলো ইউএস-বাংলার এয়ারবাস ৩৩০-৩০০



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হওয়া এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ প্রথমবারের মতো ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ১১টা ২৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৪২২ জন যাত্রী নিয়ে কুয়ালামপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় এয়ারবাসটি।

আবার কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ৪০৯ জন যাত্রী নিয়ে এয়ারবাসটি ছেড়ে আসে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৮টা ১৫মিনিটে। ইউএস-বাংলার বহরে ২টি এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ সহ মোট ২৪টি এয়ারক্রাফট রয়েছে, যা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের এগিয়ে যাওয়ার সূচককে নির্দেশ করে।

এদিন এয়ারবাস দিয়ে ঢাকা থেকে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম গন্তব্য দুবাই রুটেও ফ্লাইট পরিচালিত হবে। এখন থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা ৫০মিনিটে ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুর ও রাত ৯টা ৫০ মিনিটে ঢাকা থেকে দুবাই রুটে এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ দিয়ে ফ্লাইট পরিচালিত হবে।

বর্তমানে আন্তর্জাতিক রুট কুয়ালালামপুর, দুবাই ছাড়াও শারজাহ, আবুধাবী, দোহা, মাস্কাট, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, মালে, গুয়াংজু, চেন্নাই, কলকাতা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।

;

ইসলামী ব্যাংকের ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-এর পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০২৩ সালে ১০% ক্যাশ ডিভিডেন্ড সুপারিশ করেছে। ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভার অনুমোদন সাপেক্ষে এ ডিভিডেন্ড প্রদান করা হবে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসানুল আলম-এর সভাপতিত্বে পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদসহ অন্যান্য পরিচালকবৃন্দ, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা এবং অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও কোম্পানি সেক্রেটারি জে কিউ এম হাবিবুল্লাহ, এফসিএস উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ২৫ জুন ২০২৪, মঙ্গলবার ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। লভ্যাংশ প্রাপ্তি এবং সাধারণ সভায় যোগদানের ক্ষেত্রে রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ মে ২০২৪। এ ছাড়া সভায় অন্যান্য আলোচ্যসূচির সাথে ৩১ মার্চ শেষ হওয়া ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুমোদন করা হয়।

;