সম্ভাবনাময় সেকেন্ডারি প্রপার্টি মার্কেট



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

‘রেডি ফ্ল্যাট’ শোনা মাত্রই মনে হয়, বসবাসের জন্য সব সুবিধা রয়েছে যেখানে। কিন্তু ঢাকার মত জনবহুল শহরে স্বল্প আয়ের মানুষের বসবাস উপযোগী বাসস্থান এক প্রকার স্বপ্নই বলা যায়। সেইসাথে, মরার উপর খাড়ার ঘায়ের মত যোগ হয়েছে আবাসন শিল্পের নির্মাণ সামগ্রীর আকাশ ছোঁয়া দাম। নির্মাণের অন্যতম প্রধান উপকরণ রড।

২০২২ এর জানুয়ারিতে প্রতিটন রড এর দাম ছিল ৬৭ হাজার ৫০০ টাকা, যা বছরের মাঝামাঝিতে এসে দাঁড়িয়েছে ৮৫ থেকে ৮৯ হাজার টাকায়। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে এ দাম আরেক দফা দাম বেড়ে দাঁড়ায় ৯০ থেকে ৯১ হাজার টাকা। রডের মত একইভাবে বেড়েছে ইট, সিমেন্ট ও বালি সহ অন্যান্য নির্মাণ উপকরণের দাম।

এর ফলে, নির্মাণ খরচ বাবদ নতুন নির্মিত ফ্ল্যাটগুলোর মূল্য বর্তমানে সাধারণ মানুষের নাগালের বাইরে। রিহ্যাবের তথ্য অনুসারে, গত ১৭ বছরে ফ্ল্যাট এর দাম বেড়েছে সাত গুণেরও বেশি। ২০০৫ সালে একটি মানসম্মত ফ্ল্যাটের প্রতি বর্গফুটের মূল্য ছিল মাত্র ৪০০০ টাকা। বর্তমানে সেই একই ফ্ল্যাটের জন্য বর্গফুট প্রতি বিক্রেতাদের গুণতে হচ্ছে ২৫০০০-৩০০০০ টাকা।

২০২১ সালে লালমাটিয়ায় যে ফ্ল্যাটের দাম প্রতি বর্গফুট ১২ হাজার থেকে ১৫ হাজার টাকা ছিল, ২০২২-এ তা বেড়ে হয়েছে ১৫ থেকে ১৭ হাজার টাকা। ২০২১ সালে ধানমন্ডিতে প্রতি বর্গফুট ফ্ল্যাটের গড় দাম ছিল ১৮ হাজার টাকা। যা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২০ হাজার টাকা বা তারও বেশি দামে। এমনকি মিরপুরেও যে ফ্ল্যাট প্রতি বর্গফুট ৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে, মাত্র ১ বছরের ব্যবধানে তা এখন ৬ হাজার টাকা ছাড়িয়েছে ।

সদ্য সমাপ্ত আবাসন মেলা ২০২২ এ কথা হচ্ছিলো আদনান রহমান এর সাথে। তিনি বলেন, ঢাকা শহরে ‘ভাড়া বাসায় থাকছি গত ১৫ বছর ধরে। এই সময় এসে চিন্তা করছি ভাড়া বাসায় না থেকে নিজেদের একটি ফ্ল্যাট কেনার। মেলায় এসে ঘুরে দেখছি ৮০ লাখ টাকার মধ্যে আফতাবনগরে কোন রেডি ফ্ল্যাট পাওয়া যায় কিনা। আমরা রেডি ফ্ল্যাট ছাড়া নেব না।

রেডি ফ্ল্যাটই কেন কিনবেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নির্মাণ কোম্পানিগুলোর উপরে কোন আস্থা নেই আমাদের । তাছাড়া ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দিতে অনেকদিন সময় নেয় আবার ঠিক সময়ে ফ্ল্যাট না বুঝিয়ে দিলে ব্যাংক লোনের সাথে সাথে বাসা ভাড়াও গুণতে হয় , যা আমাদের জন্য বাড়তি বোঝা।

আদনান রহমান এর মত, আরও অনেকে বাজেট এবং বাড়তি ঝামেলা এড়াতে রেডি ফ্ল্যাট অর্থ্যাৎ ব্যবহৃত ফ্ল্যাটের দিকে ঝুঁকছেন। বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় রিয়েল এস্টেট সেবা প্রদানকারী কোম্পানি বিপ্রপার্টি এর তথ্যমতে, গত বছর প্রথম তিন মাসে সেকেন্ডারি মার্কেটে ফ্ল্যাট কেনার ক্ষেত্রে ১২০০ থেকে ১৫০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটের চাহিদা ছিল সবচেয়ে বেশি, ২৭.২৩ শতাংশ। এরপরই রয়েছে ১০০০ থেকে ১২০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট, যার চাহিদা ছিল ২১.৫০ শতাংশ। ৮০০ থেকে ১০০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটের খোঁজ করেছেন ১৬.৭৯ শতাংশ ক্রেতা।

তবে চলতি বছরে, ৮০০ বর্গফুট বা তার চেয়ে ছোট ফ্ল্যাটের চাহিদা গত বছরের তুলনায় বেড়েছে। গত বছর যেখানে এ ধরনের ফ্ল্যাটের চাহিদা ছিল ১৩.৮৪ শতাংশ, এ বছর তা ১৪.৫৫ শতাংশ।

প্রতিষ্ঠানটির তথ্য আরও বলছে, এলাকাভিত্তিক চাহিদার ক্ষেত্রে ফ্ল্যাটের চাহিদা সবচেয়ে বেশি মিরপুরে, ২৪ শতাংশ। এরপর রয়েছে উত্তরা (১৮ শতাংশ), ধানমন্ডি (১৭ শতাংশ), বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা (১৪ শতাংশ), ও মোহাম্মদপুর (১১ শতাংশ)।

সেকেন্ডারি মার্কেটের সম্ভাবনা নিয়ে কথা হচ্ছিলো প্রতিষ্ঠানটির জেনারেল ম্যানেজার (মার্কেটিং) মাহ্জাবীন চৌধুরীর সাথে । তিনি বলেন, অন্য যে কোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে রেডিমেড ফ্ল্যাটের চাহিদা বেশি। বাজেটের মধ্যে চাহিদা অনুযায়ী ফ্ল্যাট কিনতে তারা আগ্রহী হচ্ছেন ছোট ও মাঝারি রেডি ফ্ল্যাটগুলোতে, কারণ এই ফ্ল্যাটের মূল্য যেকোনো নতুন ফ্ল্যাটের তুলনায় বেশ কম। ফলে আবাসন খাতে সেকেন্ডারি মার্কেট দিনে দিনে হয়ে উঠছে আরও বেশি সম্ভাবনাময়।

রেডি ফ্ল্যাটের চাহিদা বৃদ্ধির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হল, রেজিস্ট্রেশন ফি এর খরচ কমে যাওয়া। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, প্রপার্টি কেনার সময় প্রপার্টির রেজিস্ট্রেশন খরচ ১৪% থেকে কমে তা বর্তমানে ১০% -এ এসে থেমেছে। যার ফলে ক্রেতাদের জন্য রেডি ফ্ল্যাট কেনা আরও বেশী সাশ্রয়ী হয়েছে। এছাড়া, সেকেন্ডারি বা রেডি প্রপার্টির ক্ষেত্রে হোম লোন পেতে আবেদনকারীকে খুব একটা ধকল পোহাতে হয় না। ফলে, রেডি ফ্ল্যাটের ক্ষেত্রে ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সহজ হোমলোন প্রক্রিয়াও আরও বেশি সম্ভাবনাময় করে তুলেছে এই খাতটিকে।

   

তীব্র গরমে 'স্বপ্নতে' পথচারীদের জন্য ফ্রি শরবত বিতরণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
তীব্র গরমে 'স্বপ্নতে' পথচারীদের জন্য ফ্রি শরবত বিতরণ

তীব্র গরমে 'স্বপ্নতে' পথচারীদের জন্য ফ্রি শরবত বিতরণ

  • Font increase
  • Font Decrease

চলমান তীব্র দাবদাহে পিপাসার্ত মানুষের মাঝে সুপেয় শরবত (লেবু, ট্যাং, চিনি ও পুদিনা পাতা মিশ্রিত) বিতরণ করছে বাংলাদেশের শীর্ষ রিটেইল চেইনশপ ‘স্বপ্ন’।

রাজধানীসহ সারাদেশের স্বপ্ন আউটলেটের সামনে শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল থেকে এমন উদ্যোগ নেয়া হয়।

বিষয়টি নিয়ে স্বপ্ন-এর নির্বাহী পরিচালক সাব্বির নাসির জানান, ঢাকাবাসীসহ সমগ্র দেশবাসী এখন প্রচণ্ড তাপদাহের মধ্যে অবস্থান করছেন। এমন সময় স্বপ্ন থেকে এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে আ।

তীব্র গরম পরিস্থিতিতে আমাদের আশেপাশে অবস্থান করা শ্রমজীবী মেহনতি মানুষদেরকে ভুলে গেলে চলবে না। তাই তাদের উদ্দেশ্যে মূলত এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

স্বপ্ন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গরমের তীব্রতা বেশি থাকলে সামনে আরও বেশ কিছু দিন এমন উদ্যোগ নেয়া হবে।

;

দুই দিনের ব্যবধানে কমল সোনার দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুই দিনের ব্যবধানে আবারও কমেছে সোনার দাম। এ দফায় ৬৩০ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ১২ হাজার ৯৩১ টাকা। এর আগে গত ২৫ এপ্রিল একই দাম কমিয়ে এক লাখ ১৩ হাজার ৫৬১ টাকা ছিল।  

শনিবার (২৭ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) এ তথ্য জানিয়েছে।

নতুন দাম আজ বিকেল ৪টা ৩০ মিনিট থেকে কার্যকর হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ১২ হাজার ৯৩১ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৭ হাজার ৭৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৯২ হাজার ৪০২ টাকা। ত‌বে সব ধর‌নের সোনার দাম কমলেও সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম বা‌ড়ি‌য়ে ৭৬ হাজার ৮৪২ টাকা করা হয়েছে।

সোনার দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম এক হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা। 

এর আগে চল‌তি মাসে ৬, ৮ ও ১৮ এপ্রিল সোনার দা‌ম বা‌ড়িয়ে‌ছিল বাজুস। এর মধ্যে ৬ এপ্রিল বেড়ে‌ছিল এক হাজার ৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল এক হাজার ৭৫০ টাকা এবং ১৮ এপ্রিল বেড়ে‌ছিল দুই হাজার ৬৫ টাকা। পরে ২০ এপ্রিল ৮৪০ টাকা কমানোর একদিন পর ২১ এপ্রিল আবার ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়ায় বাজুস। দু’দিন পর ২৩ এপ্রিল ৩ হাজার ১৩৮ টাকা, ২৪ এপ্রিল দুই হাজার ৯৯ টাকা, ২৫ এপ্রিল ৬৩০ টাকা ও ২৭ এপ্রিল ভালো সোনার ভরি ৬৩০ টাকা কমানোর ঘোষণা দিলো বাজুস। চার দিনে ভ‌রি‌তে সোনার দাম কমেছে ৬ হাজার ৪৯৮ টাকা।

;

চাঁদাবাজিতে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের নাম, হাতিয়ার 'গুজব'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে চাওয়া হতো চাঁদা। চাহিদামতো টাকা পেলে দুর্বল কোম্পানির নামে ভালো তথ্য ছড়িয়ে বিনিয়োগে প্রলুব্ধ করা হতো। আর টাকা না পেলে ভালো কোম্পানির নামে ছড়ানো হতো গুজব।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপে এবং অনলাইন মাধ্যমে ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে বাজার কারসাজি করা একটি চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

গ্রেফতাররা হলেন- মো. আমির হোসাইন ওরফে নুরনুরানী (৩৭), নুরুল হক হারুন (৫২)  আব্দুল কাইয়ুম (৩৯)।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাতে ডিবি সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইমের (দক্ষিণ) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) সাইফুর রহমান আজাদের নেতৃত্বে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

ডিবি জানায়,  আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে সরকারবিরোধী নানা কর্মকাণ্ডে লিপ্ত। আমির হোসাইনেরর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দমন আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনেসহ বিভিন্ন থানায় ১১টি মামলা রয়েছে।

তারা দীর্ঘদিন ধরে পুঁজিবাজার ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), কমিশনের চেয়্যারম্যানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গ্রুপ খুলে বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে সাধারণ বিনিয়োগ কারীদের প্রতারিত করে আসছিল। এছাড়া, সাধারণ বিনিয়োগ কারীদের ব্যবহার করে আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীল পরিসস্থিতি তৈরী করে আসছিল।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, পুঁজিবাজার স্পর্শকাতর জায়গা। এখানে অনেক সাধারণ বিনিয়োগকারী তাদের সর্বস্ব নিয়ে এসে বিনিয়োগ করেন। অল্পতেই এখানে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক থাকে। একটি স্বার্থান্বেষী চক্র মিথ্যা তথ্যে বিনিয়োগকারীদের প্রভাবিত করে আসছিল, এমন অভিযোগে বিএসইসি রমনা থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলা তদন্তের ধারাবাহিকতায় ডিবি তিনজনকে গ্রেফতার  করে।

তিনি আরও বলেন, মিথ্যা ও ভূয়া তথ্য ছড়ানোর জন্য ফেসবুক, হোয়াটস্যাপ, টেলিগ্রামে গোপনীয় গ্রুপ ব্যবহার করে আসামিরা। এসব গ্রুপে গুলোতে শেয়ারবাজার সংক্রান্ত মিথ্যা ও ভূয়া তথ্য প্রদান করে আসছিল। বিভিন্ন প্রকার মূল্য সংবেদনশীল তথ্য আগে ভাগে প্রকাশ করে দেয়, যা বেশিরভাগ সময় বানোয়াট ও মিথ্যা। যার ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

ডিবি প্রধান বলেন, তারা বিভিন্ন সময় আন্দোলনের নামে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ব্যবহার করে রাস্তা দখল করে উদ্দেশ্য মূলক ভাবে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরী করে।

এছাড়া, তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে বিভিন্ন ইস্যুতে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে সেসব কোম্পানি সম্পর্কে অন-লাইনে অপপ্রচার শুরু করে। এমনকি কোম্পানির অফিস গুলোতেও হামলা করে।

তারা বিভিন্ন শেয়ার নিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে দাম বৃদ্ধি করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে উচ্চমূল্যে বিক্রি করে। এসব করার জন্য গোপনীয় গ্রুপ ব্যবহার করে আসছিল। এসব গ্রুপের সদস্যদের একটি নিদিষ্ট ফি দিয়ে গ্রুপে যুক্ত হতে হয়। আবার শেয়ারে প্রফিট হলে লভ্যংশ দিতে হয়। কিন্তু লোকসান হলে তারা দায়িত্ব নেয় না।

গ্রেফতারদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে চক্রে জড়িত অন্যদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। অনলাইনে গুজব ছড়িয়ে যাতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য আমাদের নজরদারি অব্যাহত আছে বলেও জানান তিনি।

এডিসি সাইফুর রহমান আজাদ বলেন, গ্রেফতার আমির হোসাইন ছদ্মনাম নূর নূরানী ব্যবহার করে গ্রুপগুলো পরিচালনা করতো। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রামে সব মিলিয়ে ৮-১০ টি গ্রুপ চালায়। নুরুল হক হারুন বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সহ-সভাপতি পরিচয়ে বিভিন্ন সদস্যদের একত্রিক হয়ে কোম্পানি গুলোতে চাঁদাবাজি করে। আব্দুল কাইয়ুম রয়েল ক্যাপিটাল নামক ব্রোকারেজ হাউজের সঙ্গে যুক্ত। তিনি হোয়াটস্যাপ এবং টেলিগ্রাম গ্রুপে টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন শেয়ার সম্পর্কে তথ্য প্রদান করত।

;

ইসলামী ব্যাংকের নোয়াখালী জোনের কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির নোয়াখালী জোনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিয়ে কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার ( ২৬ এপ্রিল) ম্যাজিক প্যারাডাইস পার্ক এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মাকসুদুর রহমান-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী, ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ শাব্বির এবং সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট আবু ছাঈদ মো. ইদ্রিস।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন নোয়াখালী জোনপ্রধান এ. এফ. এম আনিছুর রহমান। সম্মেলনে ব্যাংকের কুমিল্লা জোনপ্রধান মো. মুনিরুল ইসলাম, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট খালেদ মাহমুদ রায়হান, এফসিসিএ সহ প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহী, নোয়াখালী জোনের অধীন শাখাসমূহের প্রধান, উপ-শাখা ইনচার্জ, সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।

;