টানা আন্দোলনে বিপর্যস্ত চা শিল্প



আবুজার বাবলা, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম মৌলভীবাজার
টানা আন্দোলনে বিপর্যস্ত চা শিল্প

টানা আন্দোলনে বিপর্যস্ত চা শিল্প

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা নয় দিনের আন্দোলনের কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে চা শিল্প। চা বাগানগুলোতে চা নারী পুরুষ চা শ্রমিকদের প্রতিদিনের কর্মব্যস্ততা আর নেই। সেখানে এখন চলছে মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ। ৩শ’ টাকা মজুরি দাবিতে শ্রমিকরা টানা ৯ দিন ধরে কর্মবিরতি পালন করে আসছে। আর এতে করে দেশের অন্যতম আর্থিক শিল্প হুমকির মুখে পড়েছে।

সরেজমিন শ্রীমঙ্গলের ভাড়াউড়া চা বাগান, জেরিন চা বাগান, জঙ্গলবাড়ি চা বাগান,  হুসেনাবাদ চা বাগানের কারখানাগুলো  ঘুরে দেখা গেছে- কর্মমুখর চা কারখানাগুলোতে এখন সুনসান নিরবতা বিরাজ করছে। শ্রমিক কাজে না যাওয়ায় প্লাকিং করা সম্ভব হয়নি। কচি চা পাতাগুলি আজ বেড়ে ১৮ থেকে ২০ ইঞ্চি বড় হয়ে নষ্ট হচ্ছে। ভরা মৌসুমে প্লাকিং করার অভাবে বাগানে  এক পাতার উপর অন্য পাতা গজিঁয়ে উঠার কারণে নষ্ট হচ্ছে নতুন কুঁড়ি। অনেক সবুজ পাতা-কুঁড়ি বিবর্ণ হয়ে পড়েছে। ফলে নষ্ট হচ্ছে লাখ লাখ টাকার চা পাতা।

চা সংসদের এক পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, দেশের চায়ের মোট আর্থিক বাজার প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির এক ভাগ। আর মোট উৎপাদিত চায়ের ৯০ ভাগ যোগান আসে শ্রীমঙ্গল তথা সিলেট অঞ্চল থেকে। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, টানা এই কর্মবিরতির কারণে শুধু সিলেট ও চট্টগ্রামে প্রতিদিন নষ্ট হচ্ছে প্রায় ২০ কোটি টাকার চা পাতা।

আন্দোলনরত চা শ্রমিকরা বলেছেন, বর্তমান বাজারে ১২০ টাকা মজুরি দিয়ে চলা যায় না। তারা ৩শ’ টাকা মজুরি কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়ে রোববারও বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন। এর মধ্যে শ্রীমঙ্গলের কেজুরিছড়া চা বাগানে বড় ধরণের বিক্ষোভ সমাবেশ করেন চা শ্রমিকরা। তারা ১৪৫ টাকা মজুরির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন। এসময় সাধারণ শ্রমিকরা এ সিদ্ধান্তে সম্মত হওয়ায় শ্রমিক নেতৃবৃন্দের কঠোর সমালোচনা করে তাদের মালিক পক্ষের ‘দালাল’ হিসেবে আখ্যা দেয়। এরপর থেকে শ্রমিকরা আন্দোলনে ফিরে গেলে শ্রমিক নেতৃবৃন্দ সুর বদলিয়ে ফের ৩শ’ টাকার মজুরি দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাবার ঘোষণা দেন।

শ্রীমঙ্গলে এক বিক্ষোভ সমাবেশে যোগ দেন হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থানার চানপুর চা বাগানের শ্রমিক বাংলাদেশ চা কন্যা নারী সংগঠনের সভাপতি খায়রুন আক্তার তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ১০-১২ দিন হলে আমারা ৩শ’ টাকা মজুরি বৃদ্ধিও আন্দোলন করছি। আমাদেও চেহারার দিকে চেয়ে দেখুন-সাধে তো ঘর থেকে এতদূর আসিনি। তিনি বলেন, শনিবার নেতারা সমঝোতা করে ১৪৫ টাকায় রাজি হয়ে গেলো। কিন্তু আমরা তা মানিনা। শ্রমিক নেতাদের ‘দালাল’ অবিহিত করে এই নারী নেত্রী বলেন, ১৪৫ টাকা মজুরির প্রস্তাব মেনে নেয়ার আগে সাধারণ শ্রমিকদের সাথে কোন আলোচনা করেনি। আমরা শুধু এই সিদ্ধন্তই না প্রয়োজনে ওইসব শ্রমিক নেতাদেরও প্রত্যাখ্যান করবো।

গত শনিবার (১৯ আগস্ট) শ্রীমঙ্গলস্থ বিভাগীয় শ্রম দপ্তরে এক বৈঠকে সরকারের হস্তক্ষেপে বাগান মালিক পক্ষে ১২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা বাড়িয়ে ১৪৫ টাকা দৈনিক মজুরি নির্ধারণ করে দেয়া হয়। দফায় দফায় বৈঠক শেষে শ্রমিক নেতৃবৃন্দরা ১শ’৪৫ টাকার প্রস্তাব মেনে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। রোববার থেকে কাজে যোগ দেয়ারও ঘোষণা দেন শ্রমিক নেতারা। ১শ’ ৪৫ টাকার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে আবারো আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা। ‘৩শ’ টাকার স্থলে ১শ’৪৫ টাকায় সমঝোতা ও শ্রমিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দ মেনে নিয়ে আন্দোলন প্রত্যাহারের’ ঘোষণা জানজানি হলে মাঠ পর্যায়ের সাধারণ চা শ্রমিকদের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়।

শ্রীমঙ্গলের জঙ্গলবাড়ি চা বাগানের ব্যবস্থাপক মাহবুব আলম মিজবাহ বলেন, চলতি বছর ৩শ’ ২ হেক্টর আয়তনের এ বাগানে চা উৎপাদনের লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪ লাখ কেজি, কিন্তু চা শ্রমিকদের আন্দোলনের ফলে উৎপাদন প্রক্রিয়া ব্যহত হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে লক্ষমাত্র অর্জন করা কোন ভাবেই সম্ভব হবে না।

মহসিন টি হোল্ডিং (শ্রী গোবিন্দ্রপুর চা বাগান) এর মালিক শ্রীমঙ্গল পৌর মেয়র মহসিন মিয়া মধু বলেন, চা শ্রমিকদের টানা কর্ম বিরতির কারণে চা শিল্পের ক্ষতির পরিমাণ শত কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে ক্ষতির পরিমাণ দিন দিন আরও বাড়বে। চা শ্রমিকদের দাবি তাদের মজুরি কম- এমন এক প্রশ্নের জবাব বলেন, ১ শ’ ২০ টাকা নয়। একজন শ্রমিক আবাসন, চিকিৎসা, শিক্ষা, প্লাকিং বোনাস, অসুস্থজনিত ছুটি, উৎসব ছুটি, ভবিষ্যৎ তহবিলে চাঁদা, উৎসব ভাতা, ভর্তুকি মুল্যে রেশন, অবসর ভাতা ইত্যাদি মিলে একজন চা শ্রমিকের গড়ে সাড়ে ৩শ’ থেকে ৪শ’ ২ টাকা পান। শ্রমিক মজুরি ও অন্যান্য খরচ নির্বাহ করে মুনাফা করা এখন কষ্টকর হয়ে পড়েছে।

   

বাজারে এলো বাংলা ভাষার প্রথম স্মার্টওয়াচ ‘এক্সপার্ট’



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
বাজারে এলো বাংলা ভাষার প্রথম স্মার্টওয়াচ ‘এক্সপার্ট’

বাজারে এলো বাংলা ভাষার প্রথম স্মার্টওয়াচ ‘এক্সপার্ট’

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশীয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আজওয়া টেকের ব্র্যান্ড ‘এক্সপার্ট’ নিয়ে এলো সম্পূর্ণ বাংলা সাপোর্টের স্মার্টওয়াচ। এক্সপার্টের ৬টি স্মার্টওয়াচ এখন দেশের বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। প্রিমিয়াম থেকে বাজেট ফ্রেন্ডলি সব ধরনের স্মার্টওয়াচ রয়েছে এক্সপার্টের।

গতকাল শনিবার (২৭ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভাষা হিসেবে বাংলাকে নির্বাচন করার অনন্য সুবিধা সম্বলিত এসব স্মার্টওয়াচের রয়েছে নিজস্ব এপ্লিকেশন (X-fit By Xpert), যা অ্যাপেল স্টোর ও গুগলের প্লে-স্টোরে পাওয়া যাচ্ছে। ওয়াচের থিমে বাংলাদেশের পতাকা, বায়তুল মোকাররমের ছবি, জাতীয় ক্রিকেটারদের ছবি, জাতীয় ফুল শাপলার ছবি থাকছে, যা এক্সপার্ট স্মার্টওয়াচকে নিয়েছে অনন্য উচ্চতায়।

সবগুলো স্মার্টওয়াচই ওয়াটার প্রুফ ও ব্লুটুথ কলিং সাপোর্ট (৫.৩ ভার্সন ব্লুটুথ)। প্রত্যেকটি ওয়াচে থাকছে অতিরিক্ত এক সেট বেল্ট। এক্সপার্টের ওয়াচগুলোর সবচেয়ে বড় চমক এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট ওয়ারেন্টি। সাধারণত বাজারের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের স্মার্টওয়াচে সার্ভিস ওয়ারেন্টি থাকে। তবে এক্ষেত্রে এক্সপার্ট স্মার্টওয়াচের কোনো প্রোডাক্ট এক বছরের মধ্যে সমস্যা হলে সেই ওয়াচটি বদলে সম্পূর্ণ নতুন একটি স্মার্টওয়াচ দেওয়া হবে।

এক্সপার্টের প্রত্যেকটা স্মার্টওয়াচেই রয়েছে ১০ থেকে ১৫ দিনের ব্যাটারি ব্যাকআপ। যার মাধ্যমে ব্যবহারকারী একবার পূর্ণ চার্জ দিয়ে অনায়াসে ১০ থেকে ১৫ দিন ব্যবহার করতে পারবেন। অধিকাংশ স্মার্টওয়াচের ক্ষেত্রে সবগুলো সুবিধা একসঙ্গে পাওয়া না গেলেও, এই ব্র্যান্ডের ৬টি স্মার্টওয়াচের সবগুলোতেই রয়েছে কলিং ফিচার।

এক্সপার্টের প্রাইম, ভোগ, রক, ক্লাসিক, স্লিক, স্টার নামের এসব স্মার্টওয়াচ দুই হাজার ২০০ টাকা থেকে চার হাজার টাকার মধ্যে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে আজওয়া টেকের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হাবীব মনসুর বলেন, দেশের বাজারে দেশীয় স্মার্টওয়াচ ব্র্যান্ড হিসেবে সাশ্রয়ী দামে ক্রেতাদের হাতে এই পণ্য পৌঁছে দিতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত। এক্সপার্টের ব্র্যান্ড স্মার্টওয়াচ আন্তর্জাতিকমানের। আধুনিক সব ধরনের ফিচার রয়েছে এসব স্মার্টওয়াচে। সেইসঙ্গে বাংলা ভাষা ও বাংলা থিমের উদ্ভাবনী প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত করতে পেরেছি।

তিনি আরো বলেন, সারাদেশে সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে নষ্ট প্রোডাক্টটিকে কোনোরকমে ঘষামাজা করে পুনরায় ক্রেতাদের ফেরত দেওয়া হয়ে থাকে। এই ধারা বদলে আমরা এক বছরের রিপ্লেসমেন্ট ওয়ারেন্টি সুবিধা চালু করেছি। এক বছরের মধ্যে প্রোডাক্টে কোনো সমস্যা হলে সেই প্রোডাক্ট বদলে নতুন আরেকটি প্রোডাক্ট দেওয়া হবে, যা দেশীয় মার্কেটে আমরাই প্রথম দিচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, আমরা এক্সপার্টের মাধ্যমে সকল ধরণের আন্তর্জাতিক মানের প্রযুক্তি পণ্য অত্যন্ত সাশ্রয়ী মূল্যে বাংলাদেশের ব্যবহারকারীদের হাতে পৌঁছে দিতে চাই।

উল্লেখ্য, ইংল্যান্ড'র বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করা দেশের তরুণ উদ্যোক্তা মো. হাবীব মনসুর ২০২২ সালে ‘এক্সপার্ট’ প্রতিষ্ঠা করেন। স্মার্টওয়াচ ছাড়াও এক্সপার্টের রয়েছে বিভিন্ন ধরণের মোবাইল এক্সেসরিজ এবং স্মার্ট ডিভাইস যেমন- নেকব্যান্ড, স্পিকার, ওয়্যারলেস হেডফোন, পাওয়ার-ব্যাংক, চার্জারসহ বিভিন্ন পণ্য যা সারা দেশে পাওয়া যাচ্ছে।

;

তীব্র গরমে 'স্বপ্নতে' পথচারীদের জন্য ফ্রি শরবত বিতরণ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
তীব্র গরমে 'স্বপ্নতে' পথচারীদের জন্য ফ্রি শরবত বিতরণ

তীব্র গরমে 'স্বপ্নতে' পথচারীদের জন্য ফ্রি শরবত বিতরণ

  • Font increase
  • Font Decrease

চলমান তীব্র দাবদাহে পিপাসার্ত মানুষের মাঝে সুপেয় শরবত (লেবু, ট্যাং, চিনি ও পুদিনা পাতা মিশ্রিত) বিতরণ করছে বাংলাদেশের শীর্ষ রিটেইল চেইনশপ ‘স্বপ্ন’।

রাজধানীসহ সারাদেশের স্বপ্ন আউটলেটের সামনে শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল থেকে এমন উদ্যোগ নেয়া হয়।

বিষয়টি নিয়ে স্বপ্ন-এর নির্বাহী পরিচালক সাব্বির নাসির জানান, ঢাকাবাসীসহ সমগ্র দেশবাসী এখন প্রচণ্ড তাপদাহের মধ্যে অবস্থান করছেন। এমন সময় স্বপ্ন থেকে এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে আ।

তীব্র গরম পরিস্থিতিতে আমাদের আশেপাশে অবস্থান করা শ্রমজীবী মেহনতি মানুষদেরকে ভুলে গেলে চলবে না। তাই তাদের উদ্দেশ্যে মূলত এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

স্বপ্ন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গরমের তীব্রতা বেশি থাকলে সামনে আরও বেশ কিছু দিন এমন উদ্যোগ নেয়া হবে।

;

দুই দিনের ব্যবধানে কমল সোনার দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দুই দিনের ব্যবধানে আবারও কমেছে সোনার দাম। এ দফায় ৬৩০ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ১২ হাজার ৯৩১ টাকা। এর আগে গত ২৫ এপ্রিল একই দাম কমিয়ে এক লাখ ১৩ হাজার ৫৬১ টাকা ছিল।  

শনিবার (২৭ এপ্রিল) এক বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) এ তথ্য জানিয়েছে।

নতুন দাম আজ বিকেল ৪টা ৩০ মিনিট থেকে কার্যকর হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ১২ হাজার ৯৩১ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৭ হাজার ৭৯৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৯২ হাজার ৪০২ টাকা। ত‌বে সব ধর‌নের সোনার দাম কমলেও সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম বা‌ড়ি‌য়ে ৭৬ হাজার ৮৪২ টাকা করা হয়েছে।

সোনার দাম বাড়ানো হলেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম এক হাজার ৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা। 

এর আগে চল‌তি মাসে ৬, ৮ ও ১৮ এপ্রিল সোনার দা‌ম বা‌ড়িয়ে‌ছিল বাজুস। এর মধ্যে ৬ এপ্রিল বেড়ে‌ছিল এক হাজার ৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল এক হাজার ৭৫০ টাকা এবং ১৮ এপ্রিল বেড়ে‌ছিল দুই হাজার ৬৫ টাকা। পরে ২০ এপ্রিল ৮৪০ টাকা কমানোর একদিন পর ২১ এপ্রিল আবার ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়ায় বাজুস। দু’দিন পর ২৩ এপ্রিল ৩ হাজার ১৩৮ টাকা, ২৪ এপ্রিল দুই হাজার ৯৯ টাকা, ২৫ এপ্রিল ৬৩০ টাকা ও ২৭ এপ্রিল ভালো সোনার ভরি ৬৩০ টাকা কমানোর ঘোষণা দিলো বাজুস। চার দিনে ভ‌রি‌তে সোনার দাম কমেছে ৬ হাজার ৪৯৮ টাকা।

;

চাঁদাবাজিতে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের নাম, হাতিয়ার 'গুজব'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে চাওয়া হতো চাঁদা। চাহিদামতো টাকা পেলে দুর্বল কোম্পানির নামে ভালো তথ্য ছড়িয়ে বিনিয়োগে প্রলুব্ধ করা হতো। আর টাকা না পেলে ভালো কোম্পানির নামে ছড়ানো হতো গুজব।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন গ্রুপে এবং অনলাইন মাধ্যমে ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে বাজার কারসাজি করা একটি চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

গ্রেফতাররা হলেন- মো. আমির হোসাইন ওরফে নুরনুরানী (৩৭), নুরুল হক হারুন (৫২)  আব্দুল কাইয়ুম (৩৯)।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাতে ডিবি সাইবার এন্ড স্পেশাল ক্রাইমের (দক্ষিণ) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) সাইফুর রহমান আজাদের নেতৃত্বে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

ডিবি জানায়,  আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে সরকারবিরোধী নানা কর্মকাণ্ডে লিপ্ত। আমির হোসাইনেরর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দমন আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনেসহ বিভিন্ন থানায় ১১টি মামলা রয়েছে।

তারা দীর্ঘদিন ধরে পুঁজিবাজার ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), কমিশনের চেয়্যারম্যানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গ্রুপ খুলে বিভিন্ন মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে সাধারণ বিনিয়োগ কারীদের প্রতারিত করে আসছিল। এছাড়া, সাধারণ বিনিয়োগ কারীদের ব্যবহার করে আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীল পরিসস্থিতি তৈরী করে আসছিল।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

তিনি বলেন, পুঁজিবাজার স্পর্শকাতর জায়গা। এখানে অনেক সাধারণ বিনিয়োগকারী তাদের সর্বস্ব নিয়ে এসে বিনিয়োগ করেন। অল্পতেই এখানে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক থাকে। একটি স্বার্থান্বেষী চক্র মিথ্যা তথ্যে বিনিয়োগকারীদের প্রভাবিত করে আসছিল, এমন অভিযোগে বিএসইসি রমনা থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলা তদন্তের ধারাবাহিকতায় ডিবি তিনজনকে গ্রেফতার  করে।

তিনি আরও বলেন, মিথ্যা ও ভূয়া তথ্য ছড়ানোর জন্য ফেসবুক, হোয়াটস্যাপ, টেলিগ্রামে গোপনীয় গ্রুপ ব্যবহার করে আসামিরা। এসব গ্রুপে গুলোতে শেয়ারবাজার সংক্রান্ত মিথ্যা ও ভূয়া তথ্য প্রদান করে আসছিল। বিভিন্ন প্রকার মূল্য সংবেদনশীল তথ্য আগে ভাগে প্রকাশ করে দেয়, যা বেশিরভাগ সময় বানোয়াট ও মিথ্যা। যার ফলে সাধারণ বিনিয়োগকারী ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

ডিবি প্রধান বলেন, তারা বিভিন্ন সময় আন্দোলনের নামে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ব্যবহার করে রাস্তা দখল করে উদ্দেশ্য মূলক ভাবে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরী করে।

এছাড়া, তালিকাভুক্ত কোম্পানিতে বিভিন্ন ইস্যুতে চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে সেসব কোম্পানি সম্পর্কে অন-লাইনে অপপ্রচার শুরু করে। এমনকি কোম্পানির অফিস গুলোতেও হামলা করে।

তারা বিভিন্ন শেয়ার নিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে দাম বৃদ্ধি করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে উচ্চমূল্যে বিক্রি করে। এসব করার জন্য গোপনীয় গ্রুপ ব্যবহার করে আসছিল। এসব গ্রুপের সদস্যদের একটি নিদিষ্ট ফি দিয়ে গ্রুপে যুক্ত হতে হয়। আবার শেয়ারে প্রফিট হলে লভ্যংশ দিতে হয়। কিন্তু লোকসান হলে তারা দায়িত্ব নেয় না।

গ্রেফতারদের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে চক্রে জড়িত অন্যদেরকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে। অনলাইনে গুজব ছড়িয়ে যাতে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য আমাদের নজরদারি অব্যাহত আছে বলেও জানান তিনি।

এডিসি সাইফুর রহমান আজাদ বলেন, গ্রেফতার আমির হোসাইন ছদ্মনাম নূর নূরানী ব্যবহার করে গ্রুপগুলো পরিচালনা করতো। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রামে সব মিলিয়ে ৮-১০ টি গ্রুপ চালায়। নুরুল হক হারুন বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সহ-সভাপতি পরিচয়ে বিভিন্ন সদস্যদের একত্রিক হয়ে কোম্পানি গুলোতে চাঁদাবাজি করে। আব্দুল কাইয়ুম রয়েল ক্যাপিটাল নামক ব্রোকারেজ হাউজের সঙ্গে যুক্ত। তিনি হোয়াটস্যাপ এবং টেলিগ্রাম গ্রুপে টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন শেয়ার সম্পর্কে তথ্য প্রদান করত।

;