ঝুঁকিতে দেশীয় চা শিল্পের প্রবৃদ্ধি: টি অ্যাসোসিয়েশন



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ঝুঁকিতে দেশীয় চা শিল্পের প্রবৃদ্ধি

ঝুঁকিতে দেশীয় চা শিল্পের প্রবৃদ্ধি

  • Font increase
  • Font Decrease

শ্রমিক কল্যাণমুখী বাংলাদেশের চা শিল্প যখন বিশ্ববাজারে প্রভাব বিস্তার করছে তখন আন্দোলনের নামে ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকার বাজারকে ঝুঁকিতে ফেলছে বলে আশঙ্কা করছেন উদ্যোক্তারা।

চা বাগানে শ্রমের দৈনিক ৩০০ টাকা মজুরির দাবি করা হলেও একজন শ্রমিক দৈনিক প্রায় ৪০০ টাকা সমপরিমাণ সুবিধা পেয়ে থাকেন বলে জানিয়ে বাংলাদেশ টি অ্যাসোসিয়েশন।

প্রত্যক্ষ সুবিধার মধ্যে দৈনিক নগদ মজুরি ছাড়াও ওভারটাইম, বার্ষিক ছুটি ভাতা, উৎসব ছুটি ভাতা, অসুস্থজনিত ছুটি ভাতা, ভবিষ্যৎ তহবিল ভাতা, কাজে উপস্থিতি ভাতা, ভবিষ্যৎ তহবিলের ওপর প্রশাসনিক ভাতার মাধ্যমে সর্বমোট গড়ে দৈনিক মজুরির প্রায় দ্বিগুণ নগদ অর্থ প্রদান করা হয় বলে মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) এক বিবৃতি দেয় বাংলাদেশ টি অ্যাসোসিয়েশন।

উদ্যোক্তারা বলছেন, শ্রমিকদের সামাজিক উন্নয়ন ও নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করার জন্য দৈনিক ১৭৫ টাকার বিভিন্ন রকম সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে।বাংলাদেশে বর্তমানে ১৬৮টি বাণিজ্যিক চা উৎপাদনের বাগান কাজ করছে, যেখানে ১.৫ লাখেরও বেশি লোকের কর্মসংস্থান রয়েছে। উপরন্তু, বাংলাদেশ বিশ্বের ৩ শতাংশ চা উৎপাদন করে। ২০২১ সালের তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশি চায়ের বাজারের মূল্য প্রায় ৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকা জিডিপিতে এই শিল্পের অবদান প্রায় ১ শতাংশ।

আন্দোলনের কারণে সিলেট ও চট্টগ্রামের ১৬৮ চা বাগানে থেকে দৈনিক ২০ কোটি টাকারও বেশি মূল্যমানের চা পাতা নষ্ট হচ্ছে বলে দাবি বাগান মালিকদের।খাদ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ভর্তুকির মাধ্যমে ২ টাকা কেজি দরে মাস প্রতি শ্রমিককে প্রতি মাসে প্রতি ৪২.৪৬ কেজি চাল অথবা গম রেশন প্রদান করা হয়। তাছাড়া শ্রমিকদের খাদ্য নিরাপত্তা আরও সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে প্রায় ৯৪ হাজার ২০০ বিঘা জমি চাষাবাদের জন্য বন্টন করা হয়েছে।

১৯০ বছরের পুরোনো শিল্প হিসেবে বাংলাদেশের অন্যান্য যেকোনো শিল্পের তুলনায় অনেক আগে থেকেই শ্রমিক আইন অনুসরণ করা হচ্ছে প্রতিটি চা বাগানে। শ্রমিকদের মাতৃত্বকালীন স্বাস্থ্য নিশ্চিতে ১৬ সপ্তাহের মজুরিসহ মাতৃত্বকালীন ছুটির পাচ্ছে নারী শ্রমিকরা।

একজন শ্রমিকের বসত বাড়ির জন্য পরিবার প্রতি ১ হাজার ৫৫১ স্কয়ার ফিট করে বাড়িসহ সর্বমোট ৫,৮০০ বিঘা জায়গা প্রদান করা হয়েছে। শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২টি বড় গ্রুপের ও ৮৪টি বাগানের হাসপাতালে ৭২১ শয্যার ব্যবস্থা, ১৫৫টি ডিসপেনসার সহ সর্বমোট ৮৯১ জন মেডিকেল স্টাফ নিয়োজিত আছেন।

শ্রমিকদের সন্তানদের সুশিক্ষা নিশ্চিতকরণে প্রাথমিক, জুনিয়র ও উচ্চ বিদ্যালয় মাইল সর্বমোট ৭৬৮টি বিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে যেখানে ১ হাজার ২৩২ শিক্ষক দ্বারা বর্তমানে ৪৪ হাজার ১৭১ জন শিক্ষার্থী বিনামূল্যে পড়ালেখার সুযোগ পাচ্ছে।

এছাড়াও অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকের ভাতা, বিভিন্ন রকম শ্রমিক কল্যাণ সূচি যেমন বিশুদ্ধ খাবার পানি, ম্যালেরিয়া প্রতিষেধক, স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট, পূজা, বিনোদন প্রভৃতি কর্মকাণ্ডে সামগ্রিক আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়ে থাকে। তাছাড়াও, চা শ্রমিকের অবসরের পর তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা চাকরিতে নিয়োগ পেয়ে থাকে, যা একজন চা শ্রমিকের চুক্তিপত্রে উল্লেখ থাকে।

উল্লেখ্য যে বিগত ২০১২ সাল থেকে ১০ বছরে চায়ের নিলাম মূল্যের প্রবৃদ্ধি যথাক্রমে শূন্য দশমিক ১৬ হারে বৃদ্ধি পেলেও চা শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করা হয় ৯৪.২০ শতাংশ ।

বাজেটে কৃষিকে আমরা সর্বোচ্চ গুরত্ব দিয়েছি: কৃষিমন্ত্রী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, এই বছরের বাজেটে কৃষিকে আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছি। বিনামূল্যে না হলেও অনেক সহযোগিতা দিয়ে কৃষির বিভিন্ন যন্ত্রপাতি কম্বাইন হারভেস্টার আমরা দিচ্ছি। গ্রামীণ ও পল্লী বাংলাদেশের মানুষের জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন করার জন্য এই বাজেটকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার (২ জুন) দুপুরে টাঙ্গাইলের মধুপুর রাণী ভবানী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্পে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

কৃষিমন্ত্রী বলেন, বাজেট বিষয়ে বিএনপির নেতা কর্মীরা গত ১৪ বছর যাবতই বলেন এটা উচ্চ বিলাসী বাজেট, অবাস্তব বাজেট, কল্পনা ভিত্তিক বাজেট। কল্পনা ভিত্তিক বাজেট হলে পঁাচ লাখেরও কম চার লাখ ৮৪ হাজার কোটি টাকা জাতীয় আয় ৪৪ লাখ হতো না। এটাই প্রমাণ প্রতি বছরই আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ ও আধুনিক বাংলাদেশ করার লক্ষ্য নিয়ে বাজেট দিয়েছি। সেই লক্ষ্যে অদম্য গতিতে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। বিদেশি বিভিন্ন পত্র পত্রিকা বলে অদম্য বাংলাদেশ। সেই অদম্য বাংলাদেশে অপ্রতিরোধ্য গতি। আমরা উন্নয়নের মহাসড়কে। এই গতিকে আমরা আরও বেগবান করবো। এই বাজেটের মাধ্যমে উন্নয়নকে আর গতিময় করবো।

বিরোধী দলকে উদ্দেশ্য করে কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বিরোধী দল বলে উচ্চ বিলাসী, শেখ হাসিনা উচ্চ বিলাসী। বাংলাদেশের মানুষকে আরও উন্নত করতে চায়। আমরা বলছি, এই বাজেট বাস্তব সম্মত। অতিতেও আমরা সফল হয়েছি। আগামী দিনেও এই বাজেট প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সফল হবো। আগে বাংলাদেশ চার লাখ ৮৪ কোটি টাকা ছিলো মোট আয়। সেটা বেড়ে হয়েছে ৪৪ লাখ। আগামী বছর আরও বেশি হবে। বাংলাদেশের আয় আমরা নয় গুণ বৃদ্ধি করেছি। এই বাজেট প্রণয়ন হলে এটি আরও বৃদ্ধি হবে।

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, আওয়ামী লীগ মোটেই বিচলিত নয়, কোন স্যাংশন দিয়ে এ উন্নয়ন ব্যাহত করতে পারেব না। বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ব্যাহত করতে পারবে না। আপনারা যত ধরনের স্যাংশনই দেন তা মোকাবেলা করার মতো যোগ্যতা বাংলাদেশের আছে।

 মধুপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শামীমা ইয়াসমিনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন পৌর মেয়র সিদ্দিক হোসেন খান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার শফি উদ্দিন মনি, সাবেক পৌর মেয়র মাসুদ পারভেজ প্রমুখ।

ফ্রী মেডিকেল ক্যাম্পে ১০০ জন ডাক্তার দিন ব্যাপী প্রায় ১০  সহস্রাধিক রোগীদেরকে সেবা প্রদান করবেন।

;

ন্যূনতম ২০০০ টাকা কর মানুষের জন্য বোঝা: সিপিডি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রস্তাবিত বাজেটে আয়কর রিটার্নের বাধ্যতামূলক ২০০০ টাকা ন্যূনতম কর নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য বোঝা হবে, এই দুই হাজার টাকা কর তুলে দেওয়া উচিত বলে মনে করছে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)।

শুক্রবার (২ জুন) রাজধানীর একটি হোটেলে বাজেট পরবর্তী ব্রিফিংয়ে এমন সুপারিশ করেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিপিডির সম্মানিত ফেলো ড, মোস্তাফিজুর রহমান।

ব্রিফিংয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন কালে তিনি বলেন, করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানোর কথা বলেছিলাম। সীমারেখা তিন লাখ থেকে সাড়ে তিন লাখ করা হয়েছে, যা একটি ভালো দিক।

তিনি আরও বলেন, তবে ৩৮ সরকারি-বেসরকারি সেবা নিতে গেলে সেবাগ্রহীতার ট্যাক্স রিটার্ন সাবমিট করতে হবে এবং আয় যাই হোক, দুই হাজার টাকা কর দিতে হবে, সেটা অবিবেচনা প্রসূত। এ ধরনের কর নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য বোঝা হয়ে যাবে। এই দুই হাজার টাকা ন্যূনতম কর তুলে দেওয়া উচিত।

ফাহমিদা বলেন, চলমান অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলার ক্ষেত্রে প্রস্তাবিত বাজেটে স্বীকৃতি ও সমাধান দুটোই অপ্রতুল। সামষ্টিক অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে প্রস্তাবিত বাজেটে যে প্রস্তাব করা হয়েছে, তা বাস্তবতা বিবর্জিত।

এবারের বাজেটের মূল দর্শন হলো- ২০৪১ সালের মধ্যে সুখী-সমৃদ্ধ উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ। স্মার্ট বাংলাদেশ চারটি মূল স্তম্ভের ওপর প্রতিষ্ঠিত হবে। স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট সোসাইটি ও স্মার্ট ইকোনমি।

এর আগে বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় সংসদে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট উপস্থাপন করেন। অর্থমন্ত্রী তার বাজেট বক্তৃতায় প্রস্তাব করেন ৩৮ ধরনের সরকারি-বেসরকারি সেবা নিতে আয়কর সনদ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আয়কর সনদ না হলে এসব সেবা পাওয়া যাবে না। আয়কর সনদ নেওয়ার ক্ষেত্রে করযোগ্য আয় না থাকলেও কর দিতে হবে দুই হাজার টাকা।

 

;

থাকছে না পাচার হওয়া টাকা ফেরত আনার সুযোগ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বাইরে পাচার হওয়া অর্থ বিনা প্রশ্নে আয়কর বিবরণীতে প্রদর্শনের সুযোগের বিধান থাকছে না ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে। একইসঙ্গে বিদেশে রক্ষিত স্থাবর সম্পদ রিটার্নে প্রদর্শনের সুযোগও বাতিল হচ্ছে।

এ দুটো বিশেষ সুবিধার মেয়াদ আগামী ৩০ জুন শেষ হচ্ছে। কাঙ্ক্ষিত সাড়া না পাওয়ায় প্রস্তাবিত বাজেটে এ বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল নির্দেশনা দেননি।

চলতি অর্থবছরের বাজেটের অর্থ আইন-২০২২ এর মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশে অফশোর ট্যাক্স অ্যামনেস্টির বিধান অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ বিধানের ফলে কোনো করদাতা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ৭ শতাংশ হারে কর পরিশোধ করে তার অপ্রদর্শিত বৈদেশিক সম্পদ প্রদর্শন করতে পারবেন।

এক্ষেত্রে বৈদেশিক সম্পদের উৎস নিয়ে বাংলাদেশের কোনো কর্তৃপক্ষ প্রশ্ন তুলতে পারবে না। নীতিনির্ধারকেরা মনে করেছিলেন সুযোগের সদ্ব্যবহার করে অনেকেই টাকা দেশে ফেরত আনবেন। কিন্তু তা আর হয়নি। যে কারণে প্রস্তাবিত বাজেটে এমন কোনো সুযোগ রাখা হয়নি।

ওই বিধানের আওতায় যে কোনো পরিমাণ নগদ বা নগদ সমতুল্য, ব্যাংক জমা, ব্যাংক নোটস, ব্যাংক হিসাব, কনভারটেবল সিকিউরিটিজ এবং আর্থিক দলিলাদি ৭ শতাংশ কর পরিশোধ করে ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে আনতে পারতেন যে কেউ।

তবে চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) সরকারের এ সহজ সুযোগ কেউ গ্রহণ করেনি বলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে জানা গেছে।

জানা যায়, এখন পর্যন্ত বিদেশ থেকে দেশে অর্থ ফেরত আনার সুযোগ দিয়েছে ভারত, ইন্দোনেশিয়া, যুক্তরাষ্ট্রসহ ১৭টি দেশ। এর মধ্যে ইন্দোনেশিয়া ছাড়া অন্য কোনো দেশ তেমন সফল হয়নি।

;

মে মাসে রেমিট্যান্স কমল ১০.২৭ শতাংশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের মে মাসে দেশের রেমিট্যান্স প্রবাহ প্রায় ১০.২৭ শতাংশ কমে গেছে। প্রবাসী আয় কমে যাওয়ার জন্য ডলারের দুর্বল মূল্য এবং হুন্ডির মাধ্যমে লেনদেন বৃদ্ধিকে দায়ী করেছেন ব্যাংকাররা।

মে মাসে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৬৯ কোটি ডলারের সমপরিমাণ রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন। যা আগের বছরের একই মাসের তুলনায় ১০ দশমিক ২৭ শতাংশ কম।

খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রবাসী বাংলাদেশিরা আনুষ্ঠানিক ব্যাংকিং চ্যানেলের চেয়ে হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠাতে বেশি পছন্দ করেন। খোলাবাজারের তুলনায় ব্যাংকিং চ্যানেলে ডলারের দাম কম দেওয়া হয়। পাশাপাশি ব্যাংকে যাওয়া ও লাইনে দাঁড়ানোর কোনো ঝামেলা নেই হুন্ডিতে। বাড়িতে এসে টাকা পৌঁছে দেয় তারা। তাই গ্রাহকদের কাছে ব্যাংকের চেয়ে হুন্ডিই বেশি জনপ্রিয়।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে যাওয়ার এমন ধারা দেশের অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা আরও গভীর করতে পারে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক কর্মকর্তা বলেন, হুন্ডি, অবৈধ লেনদেন রেমিট্যান্স প্রবাহ কমে যাওয়ার জন্য দায়ী। রেমিট্যান্স কমে যাওয়ায় ইতিমধ্যে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে বিরূপ প্রভাব পড়েছে।

প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, মে মাসে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ২৮ কোটি ৮৬ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৫ কোটি ৯৯ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১৩৩ কোটি ৬২ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৬৮ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

মে মাসে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে বরাবরের মতো ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। আলোচিত সময় ব্যাংকটির মাধ্যমে এসেছে ২২ কোটি ডলার। এরপর অগ্রণী ব্যাংকে ১১ কোটি ৭০ লাখ, জনতা ব্যাংকে ৮ কোটি ৫ লাখ ডলার, ডাচ্–বাংলা ব্যাংকে ৭ কোটি ৫০ লাখ এবং আল-আরাফা ব্যাংকের মাধ্যমে ৬ কোটি ৯৬ লাখ ডলার প্রবাসী আয় এসেছে।

আলোচিত সময়ে সরকারি বিডিবিএল, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, পু‌লি‌শের কমিউনিটি ব্যাংক, সিটিজেন, বিদেশি হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান ও স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমে কোন রেমিটেন্স আসেনি।

বৃহস্পতিবার দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৯ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার, যা আগের বছরের একই সময় ছিল ৪২ দশমিক ২০ বিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহ আগের বছরের তুলনায় ১ দশমিক ১৩ শতাংশ বেড়ে ১৯ দশমিক ১৯ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

;