জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে ক্ষোভে ফুসছে ভোক্তারা



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে ক্ষোভে ফুসছে ভোক্তারা

জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিতে ক্ষোভে ফুসছে ভোক্তারা

  • Font increase
  • Font Decrease

জ্বালানি তেলের নজির বিহীন দাম বৃদ্ধি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে ভোক্তাদের মধ্যে। আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দেওয়া হলেও দেশীয় পণ্য পেট্রোল অকটেনের দাম আকাশচুম্বি করে ফেলায় অনেকেই সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছেন।

অতীতে কখনও এমন ক্ষোভ দেখা যায় নি। তখন কিছু সংখ্যাক লোক ক্ষুব্ধ হলেও কেউ কেউ এর পক্ষে যুক্তি দিতেন। কিন্তু এবার পক্ষে যুক্তি দেওয়ার লোকের সংখ্যা খুবই নগণ্য। যারাও ইনিয়ে বিনিয়ে বলতে চাইছেন, তাদেরকেও অন্যাদের তোপের মুখে পড়তে হচ্ছে।

অনেকে বলেছেন কয়েকদিন আগেই প্রধানমন্ত্রী এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, পেট্রোল-অকটেন দেশীয় গ্যাস ফিল্ডগুলো থেকে গ্যাসের উপজাত হিসেবে পাওয়া যায়। তাহলে সেই পণ্যের দাম লিটারে ৪৪ টাকা বাড়াতে হলো কেনো। কেউ কেউ ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রীর সেই বক্তব্য জুড়ে দিয়ে বর্তমান বাজারদর শেয়ার করে বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সরকারের হাতে অনেক বিকল্প ছিল, এতো বেশি পরিমাণে দাম বাড়ানো উচিত হয় নি। ধরে নিলাম বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) কিছুটা লোকসান দিচ্ছে। নানা রকম ভ্যাট ট্যাক্স আদায় করা হয়। সেই ডিউটি কিছুটা কমিয়ে দিলেওতো ঘাটতি কমে আসতো। সরকার জ্বালানি তেলে ১৮ শতাংশ পর‌্যন্ত কর আদায় করছে। বছরে ৫০ হাজার কোটি টাকা মূল্যের তেল থেকে ৯ হাজার কোটি টাকার মতো কর তুলে নিয়ে যাচ্ছে। সেখানে কিছুটা কমিয়ে দিলেও এতো বেশি দাম বাড়াতে হতো না। সরকার সেদিকে না গিয়ে জনগণের উপর বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে অনেকদিন ধরেই কর কমানোর জন্য দেন দরবার করা হচ্ছে, তবে ফলাফল শূন্য।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. ইজাজ হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, আমার মনে হয় আমাদের কোর্টে যাওয়ার সময় এসেছে। আইন অনুযায়ী জ্বালানি পণ্যের দাম বিইআরসির নির্ধারণ করার কথা। কিন্তু করা হয়েছে নির্বাহী আদেশে। আমাদের বিইআরসি আছে তারা দাম নির্ধারণ করবে। ভোক্তারা সেখানে আলোচনা করে দেখবে যৌক্তিকতা আছে কিনা। এতো বেশি পরিমাণে দাম বাড়ানোর কোন যুক্তি দেখি না।

এলপি গ্যাস যেভাবে প্রতিমাসে দর উঠা-নামা করে বিইআরসি তাই করবে। সরকার নিজের হাতে রেখেছে বিষয়টি জনগণের উপর চাপ সহনীয় রাখার জন্য। এখন যা হলো একে সহনীয় বলা যায় না। সরকারের হাতে থাকলে আন্তর্জাতিক বাজারে যখন দাম কমে তখনতো সেভাবে কমানো হয় না।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত প্রতি ব্যারেল বিট্রিশ ব্যারেন্ট তেলের দাম গত ছয় মাসের মধ্যে গতকাল সর্বনিন্মে ৯৫ ডলারের নিচে এসে দাড়িয়েছে। গত ৮ মার্চে এ দাম ছিল ১২৭.৯৮ ডলার। আর্ন্তজাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম টানা মূল্যপতনের মধ্যে দেশের বাজারে দাম বৃদ্ধির যৌক্তকতা নেই।

বাংলাদশ কনজুমারস অ্যসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি  উপদেষ্টা ড. শামসুল আলম বলেন, আইন অনুযায়ী বিইআরসি ছাড়া এভাবে নির্বাহী আদেশে আমলারা জ্বালানি তেলের দাম বাড়াতে পারেনা। এই কাজটি বেআইনি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ক্ষমতাবর্হিভূতভাবে জ্বালানি তেলের  দাম বাড়িয়ে জনগনের সর্বনাশ করার কোনো এখতিয়ার তাদের নেই। দেশের সব খাতে এবার আগুন ধরে যাবে। বিভন্ন খাতে যৌক্তিক ব্যয় কমনো গেলে জ্বালানিতে কোনো লোকসান থাকার কারণ নেই। ৪২ হাজার কোটি টাকা কোথায় গেলো? ২০০৮ সালের অক্টোবরে অপরিশোধিত বিট্রিশ ব্যারেন্ট প্রতি ব্যারেল তেলের দাম ছল ১৮৯.৫৬ ডলার।  বিপিসি তখনও লোককসানেই  তেল আমদানি করত। ২০১৪ সাল থেকে জ্বালানি তেলের দাম পড়তে শুরু করে। ২০২০ সালে সেটা নামতে নামতে ব্যারেল  প্রতি ২০ ডলারে  এসে দাড়ায়। লোকসানি প্রতিষ্ঠান বিপিসি এই সাত বছরে ৪২ হাজার কোটি টাকা মুনাফা করে।

অন্যদিকে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, জনবান্ধব আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় আমজনতার স্বস্তি ও স্বাচ্ছন্দ্য বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়। যত দিন সম্ভব ছিল, তত দিন সরকার জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর চিন্তা করেনি। অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে অনেকটা নিরুপায় হয়েই দাম কিছুটা সমন্বয়ে যেতে হচ্ছে। সরকার জনগণের সরকার। জনগণের দুর্ভোগ হয় এমন কিছু করবে না।

 প্রতিমন্ত্রীর ওই বক্তব্যকেও অনেকেই ট্রল করছেন বেশি পরিমাণে দাম বৃদ্ধির কারণে।

   

ঢাকা-কুয়ালালামপুর যাত্রা শুরু করলো ইউএস-বাংলার এয়ারবাস ৩৩০-৩০০



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হওয়া এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ প্রথমবারের মতো ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সকাল ১১টা ২৫ মিনিটে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ৪২২ জন যাত্রী নিয়ে কুয়ালামপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায় এয়ারবাসটি।

আবার কুয়ালালামপুর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ৪০৯ জন যাত্রী নিয়ে এয়ারবাসটি ছেড়ে আসে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৮টা ১৫মিনিটে। ইউএস-বাংলার বহরে ২টি এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ সহ মোট ২৪টি এয়ারক্রাফট রয়েছে, যা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের এগিয়ে যাওয়ার সূচককে নির্দেশ করে।

এদিন এয়ারবাস দিয়ে ঢাকা থেকে মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম গন্তব্য দুবাই রুটেও ফ্লাইট পরিচালিত হবে। এখন থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা ৫০মিনিটে ঢাকা থেকে কুয়ালালামপুর ও রাত ৯টা ৫০ মিনিটে ঢাকা থেকে দুবাই রুটে এয়ারবাস ৩৩০-৩০০ দিয়ে ফ্লাইট পরিচালিত হবে।

বর্তমানে আন্তর্জাতিক রুট কুয়ালালামপুর, দুবাই ছাড়াও শারজাহ, আবুধাবী, দোহা, মাস্কাট, সিঙ্গাপুর, ব্যাংকক, মালে, গুয়াংজু, চেন্নাই, কলকাতা রুটে ফ্লাইট পরিচালনা করছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স।

;

ইসলামী ব্যাংকের ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসি-এর পরিচালনা পর্ষদ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য ২০২৩ সালে ১০% ক্যাশ ডিভিডেন্ড সুপারিশ করেছে। ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভার অনুমোদন সাপেক্ষে এ ডিভিডেন্ড প্রদান করা হবে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) ব্যাংকের চেয়ারম্যান আহসানুল আলম-এর সভাপতিত্বে পরিচালনা পর্ষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সভায় ভাইস চেয়ারম্যান তানভীর আহমেদসহ অন্যান্য পরিচালকবৃন্দ, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও সিইও মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা এবং অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর ও কোম্পানি সেক্রেটারি জে কিউ এম হাবিবুল্লাহ, এফসিএস উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ২৫ জুন ২০২৪, মঙ্গলবার ব্যাংকের ৪১তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। লভ্যাংশ প্রাপ্তি এবং সাধারণ সভায় যোগদানের ক্ষেত্রে রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ মে ২০২৪। এ ছাড়া সভায় অন্যান্য আলোচ্যসূচির সাথে ৩১ মার্চ শেষ হওয়া ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুমোদন করা হয়।

;

টেন মিনিট স্কুলের কোর্স ফি বিকাশ পেমেন্টে ১৫% ক্যাশব্যাক



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিকাশ অ্যাপ থেকে দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন শিক্ষামূলক প্ল্যাটফর্ম টেন মিনিট স্কুল-এর নির্দিষ্ট কোর্স নিয়ে পেমেন্ট করলেই গ্রাহকরা পাচ্ছেন ১৫% ইনস্ট্যান্ট ক্যাশব্যাক, সর্বোচ্চ ২০০ টাকা পর্যন্ত। বিকাশ অ্যাপের হোম স্ক্রিনের সাজেশনস সেকশন থেকে ‘টেন মিনিট স্কুল’ সিলেক্ট করে ৩০ জুন পর্যন্ত অফারটি গ্রহণ করা যাবে।

টেন মিনিট স্কুল-এর লাইভ কোর্স, স্পোকেন ইংলিশ, আইইএলটিএস, ফ্রিল্যান্সিং এর মতো ভাষা শিক্ষা ও স্কিল ডেভেলপমেন্ট কোর্স, ইংলিশ মাস্টার্স, কনটেন্ট ক্রিয়েশন, ডিজিটাল মার্কেটিং-এর মতো বান্ডেল কোর্স, বুয়েট, মেডিকেল, ভার্সিটির ভর্তি পরীক্ষার কোর্স, এসএসসি-এইচএসসি প্রস্তুতি ও অনলাইন ব্যাচের জন্য একাডেমিক কোর্স, চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি সহ নানা ধরনের কোর্স নিতে পারবেন বিকাশ গ্রাহকরা এই অফারের আওতায়।

অফারের সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে https://www.bkash.com/campaign/10minuteschool-bkash-offer লিংকটিতে।

 

;

এক দিনের ব্যবধানে ফের কমল সোনার দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বাজারে সোনার দামের উত্থান-পতন অব্যাহত আছে। একদিনের ব্যবধানে সোনার দাম ভরিতে ২ হাজার ১০০ টাকা কমছে। তাতে ভালো মানের, অর্থাৎ হল-মার্ক করা ২২ ক্যারেট সোনার দাম দাঁড়িয়েছে প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকায়। নতুন এ দাম আজ বুধবার থেকেই কার্যকর হবে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানিয়েছে। এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে খাঁটি সোনার দাম কমেছে, সে জন্য সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯ হাজার টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৫ হাজার ২০৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে, ২৩ এপ্রিল সোনার দাম ভরিতে ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমিয়ে ভালো মানের, অর্থাৎ হল-মার্ক করা ২২ ক্যারেট সোনার দাম নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ৯৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৫ হাজার ১৪৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৭৬ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়।

আর গত ২১ এপ্রিল ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১৯ হাজার ৪২৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ৭০৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৭৮ হাজার ৬৬২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে কার্যকর হয়েছিল।

তার আগে, ২০ এপ্রিল সোনার দাম ক‌মিয়ে‌ছিল বাজুস। যা ওইদিনই কার্যকর হয়। ওই দাম অনুযায়ী রোববার বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ছিল ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা, ২১ ক্যারেট সোনার দাম ১ লাখ ১৩ হাজার ৩৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেট ৯৭ হাজার ১৯৭ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ছিল ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা।

;