বন্যাদুর্গতদের পাশে দাঁড়াতে একদিনের বেতন দেবেন নগদের কর্মীরা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
নগদ

নগদ

  • Font increase
  • Font Decrease

সিলেট ও সুনামগঞ্জ অঞ্চলে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় এবং দুর্যোগকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়াতে নগদের কর্মীদের একদিনের বেতন বানভাসী মানুষের সহায়তা প্রদানে অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক। পাশাপাশি চলতি মাসে নিজের বেতনের সম্পূর্ণ অংশ দুর্যোগ মোকাবিলায় অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দেন তিনি।

ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’ আয়োজিত ‘মানুষ বাঁচলে দেশ বাঁচবে' শীর্ষক এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে ‘নগদ’ লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক এই ঘোষণা দেন। ‘নগদ’-এর চিফ পাবলিক অ্যাফেয়ার্স অফিসার সোলায়মান সুখনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও অংশ নেন অভিযাত্রিক ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট আহমেদ ইমতিয়াজ জামি এবং গিভ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট ও সহপ্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ মিঠু।

প্রাকৃতিক এই দুর্যোগের সময়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে ‘নগদ’-এর সকল কর্মীদের একদিনের সমপরিমাণ বেতন বন্যার বিপর্যয় মোকাবিলায় অনুদানের ঘোষণা দেন তানভীর এ মিশুক। এ ছাড়া সামাজিক দায়বদ্ধ করপোরেট প্রতিষ্ঠান হিসেবে পৃথকভাবে প্রতিষ্ঠানের বিগত দুই মাসের নিজেদের লেনদেনের লভ্যাংশের সম্পূর্ণ অংশ সিলেট ও সুনামগঞ্জের বন্যা কবলিত এলাকায় অনুদানের ঘোষণা দেন তিনি।

আলোচনায় অংশ নিয়ে ‘নগদ’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, এই উদ্যোগ আমার একার পক্ষে গ্রহণ করা সম্ভব হতো না। আমি ‘নগদ’-এর সকল কর্মীদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে দেশের দুর্যোগকালীন সময়ে মহৎ এই উদ্যোগ নেওয়ার জন্য। দেশের বিপর্যয়ে ‘নগদ’-এর বিগত দুই মাসের রাজস্বের সম্পূর্ণটিই আমরা অনুদান দিয়ে ভুক্তভোগী মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই। আমার বিশ্বাস আমাদের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস কিছুটা হলেও তাদের দুর্ভোগ মেটাতে সাহায্য করবে।

সিলেট ও সুনামগঞ্জে ‘নগদ’-এর উদ্যোক্তাসহ রিজিওনাল সকল কর্মীরা তাৎক্ষণিক সব ধরনের লেনদেনের সহায়তা দিয়ে বন্যাকবলিত ‘নগদ’ উদ্যোক্তাসহ সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে। বন্যাকবলিত এসব এলাকায় আর্থিক সেবা নিতে সশরীরে ব্যাংকে যাওয়া সম্ভব না হওয়ায় সাধারণ মানুষের মধ্যে মোবাইল ওয়ালেটে লেনদেনের প্রবণতাও বেড়েছে।

'মানুষ বাঁচলে দেশ বাঁচবে' শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে ‘নগদ’-এর পক্ষ থেকে সর্বস্তরের মানুষকে বন্যার এই দুর্যোগ মোকাবিলায় এগিয়ে আসতে আহ্বান জানানো হয়। ‘নগদ’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক আরও বলেন, বাঙালি জাতি যেকোনো দুর্যোগে মোকাবিলায় ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে। বাংলাদেশ সরকার দেশের সবধরনের দুর্যোগ মোকাবিলায় নিরন্তরভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা চাই সিলেট ও সুনামগঞ্জের এই বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের পাশাপাশি সর্বস্তরের মানুষ যাতে এগিয়ে আসেন।

অনুষ্ঠানে অভিযাত্রিক ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট আহমেদ ইমতিয়াজ জামি এবং গিভ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট ও সহপ্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ মিঠু নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের কর্মসূচিগুলো তুলে ধরেন এবং ‘নগদ’-এর ডোনেশন অপশনের মাধ্যমে এ পর্যন্ত অসংখ্য মানুষ অনুদান প্রদান করেছেন বলে জানান।

প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে দেশের যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় এগিয়ে এসেছে ডাক বিভাগের মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস ‘নগদ’। ২০২০ সালে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সাথে যৌথভাবে করোনা মহামারীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ ও কল্যাণ তহবিলে ৬০ লাখ টাকা অনুদান দিয়েছে ‘নগদ’।

সিলেট অঞ্চলে বন্যার্তদের সহযোগিতা করতে প্রায় ৫০টিরও বেশি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানে ‘নগদ’-এর মাধ্যমে অনুদান প্রদান করা যাচ্ছে। আগ্রহী যেকোনো ‘নগদ’ গ্রাহক সহজেই ‘নগদ’ অ্যাকাউন্ট থেকে ডোনেশন অপশনে প্রবেশ করে সরাসরি অনুদান প্রদান করতে পারছেন।

   

রিটেইল ব্যাংকিং সেবা সহজ করতে প্রাইম ব্যাংক-হিসাবী'র অংশীদারিত্ব



নিউজ ডেস্ক
রিটেইল ব্যাংকিং সেবা সহজ করতে প্রাইম ব্যাংক-হিসাবী'র অংশীদারিত্ব

রিটেইল ব্যাংকিং সেবা সহজ করতে প্রাইম ব্যাংক-হিসাবী'র অংশীদারিত্ব

  • Font increase
  • Font Decrease

রিটেইল ব্যাংকিং সেবাকে আরও সহজ করতে বাংলাদেশের দ্রুত প্রসারমান স্ট্যার্টআপ হিসাবীর সাথে অংশীদারিত্ব করেছে বেসরকারি প্রাইম ব্যাংক পিএলসি। সম্প্রতি উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

এই অংশীদারিত্বের ফলে হিসাবী দোকান অ্যাপ ব্যবহারকারীরা এখন থেকে বাধাহীনভাবে প্রাইম ব্যাংকের বিভিন্ন সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। এই চুক্তির ফলে রিটেইলারদের ব্যাংকিং অভিজ্ঞতায় এক দারুণ পরিবর্তন আসবে এবং লেনদেন আরও সহজ হবে।

প্রাইম ব্যাংকের কনজুমার ব্যাংকিং বিভাগের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নাজিম এ. চৌধুরী এবং হিসাবী'র পক্ষ থেকে রাকিন মোহাম্মদ সাভি (প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা) নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে চুক্তিতে সই করেন, যা রিটেইলারদের পেশাগত কাজের সাথে সরাসরি ব্যাংকিং সেবা যুক্ত করে তাদের ক্ষমতায়ন করার প্রতিশ্রুতি। ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তিকরণের লক্ষ্য অর্জন এবং হাসাবী'র রিটেইল নেটওয়ার্ককে আরও দক্ষ করে তুলতে এই চুক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং নতুন নতুন উদ্ভাবন ও গ্রহক সেবা বাড়াতে উভয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।

;

এ দফায় সোনার দাম ভরিতে কমল ১৮৭৮ টাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিদায়ী এপ্রিলের ৩০ তারিখ টানা ৭ দফায় কমানো হয়েছিল সোনার দাম। এবার ৮ম দফায় কমানো হয়েছে এক হাজার ৮৭৮ টাকা। ফলে সব থেকে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার নতুন দাম এখন ১ লাখ ৯ হাজার ১৬৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (২ মে) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম কমেছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় বাংলাদেশ জুয়েলারি অ্যাসোসিয়েশন সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করেছে, যা আগামীকাল শুক্রবার (৩ মে) থেকে কার্যকর হবে।

এর আগে গত ৩০ এপ্রিল ভালো মানের একভরি সোনার দাম ৪২০ টাকা কমানো হয়। তার আগে ২৯ এপ্রিল ১ হাজার ১১৫ টাকা, ২৮ এপ্রিল ৩১৫ টাকা, ২৭ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৫ এপ্রিল ৬৩০ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২ হাজার ৯৯ টাকা এবং ২৩ এপ্রিল ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমানো হয়। এখন আবার দাম কমানোর মাধ্যমে আট দফায় ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ১০ হাজার ২৬২ টাকা কমল।

;

ইসলামী ব্যাংক থেকে রেমিট্যান্স নিয়ে গাড়ি জিতলেন কাপাসিয়ার মুঞ্জিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক-ট্রান্সফাস্ট রেমিট্যান্স ক্যাম্পেইনের মেগা পুরস্কার হিসেবে ৩০ লাখ টাকা দামের ১,৫০০ সিসির প্রাইভেটকার বিজয়ী হয়েছেন কাপাসিয়া শাখার অধীন এজেন্ট আউটলেটের গ্রাহক মুঞ্জিল।

বৃহস্পতিবার (২ মে) ঢাকার ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত ড্র-য়ের মাধ্যমে সৌদি আরব প্রবাসী মুছাম্মৎ লতিফা সুলতানার পাঠানো রেমিট্যান্সের প্রেক্ষিতে তার স্বামী মুঞ্জিল এ মেগা পুরস্কার বিজয়ী হন।

ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা ও ট্রান্সফাস্ট বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার ফারজানা আলমের উপস্থিতিতে এ ড্র অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় ব্যাংকের এডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুহাম্মদ কায়সার আলী ও মো. আলতাফ হুসাইন, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মুহাম্মদ শাব্বির ও কাজী মো. রেজাউল করিম, ইন্টারন্যাশনাল সার্ভিসেস উইং প্রধান মোহাম্মদ ইহসানুল ইসলাম, ফরেন রেমিট্যান্স সার্ভিসেস ডিভিশন প্রধান মোহাম্মদ শাহাদাত উল্যাহ ও ওভারসিজ ব্যাংকিং ডিভিশন প্রধান সাইফুদ্দীন মুহাম্মদ খালেদসহ প্রধান কার্যালয়ের নির্বাহীরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ১২ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ইসলামী ব্যাংক-ট্রান্সফাস্ট বিশেষ রেমিট্যান্স ক্যাম্পেইন পরিচালিত হয়। এ ক্যাম্পেইনে প্রতি ব্যাংকিং ডে-তে ডিজিটাল ড্র-য়ের মাধ্যমে ৩০ জন গ্রাহক ১ লাখ টাকা করে পুরস্কার লাভ করেন।

 

;

এপ্রিলে রেমিট্যান্স এসেছে ২০৪ কোটি ডলার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের বিদায়ী এপ্রিল মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২০৪ কোটি মার্কিন ডলার। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ২২ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার সমান ১১০ টাকা ধরে)। দৈনিক গড় হিসেবে এর পরিমাণ ৭৪৮ কোটি টাকা।

বৃহস্পতিবার (২ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

এর আগে চলতি বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২১১ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার। ফেব্রুয়ারিতে আসে ২১৬ কো‌টি ৪৫ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং মার্চে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে প্রবাসীরা ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। এ ছাড়া ফেব্রুয়ারিতে ১৫৬ কোটি চার লাখ ৮০ হাজার ডলার, মার্চে ২০২ কোটি ২৪ লাখ ৭০ হাজার ডলার, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি ৪৯ লাখ ১০ হাজার ডলার, মে মাসে ১৬৯ কোটি ১৬ লাখ ৬০ হাজার ডলার, জুন মাসে  ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ৮০ হাজার ডলার, জুলাইয়ে ১৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৫০ হাজার ডলার, আগস্টে ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার ডলার, সেপ্টেম্বর মাসে ১৩৩ কোটি ৪৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি ১৪ লাখ ৩০ হাজার ডলার, নভেম্বর ১৯৩ কোটি ৪০ হাজার ডলার এবং ডিসেম্বরে এসেছিল ১৯৯ কোটি ১২ লাখ ৬০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স।

উল্লেখ্য, ২০২২-২৩ অর্থবছরে প্রবাসীরা ২ হাজার ১৬১ কোটি মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। ২০২০-২১ অর্থবছরে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দুই হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল দেশে।  

;