‘চা’ কে গুণেমানে উন্নিতকরণে বিটিআরআই-এ বার্ষিক কোর্স



বিভোর বিশ্বাস, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
বিটিআরআই এর কোর্সপ্রশিক্ষকের পাঠদান। ছবি: বার্তা২৪

বিটিআরআই এর কোর্সপ্রশিক্ষকের পাঠদান। ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের মানুষের কাছে চা একটি অত্যাবশ্যকীয় পানীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশ্বব্যাপিও চায়ের চাহিদা অনেক বেশি বেড়ে গেছে। বাংলাদেশের এই দ্রুত বর্ধমান জনসংখ্যার সাথে পাল্লা দিয়ে বৃদ্ধি পাওয়া চা পানের চাহিদা বাংলাদেশের চা শিল্পের জন্য একটি বিশাল অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য ক্ষেত্রের সৃষ্টি করেছে।

চায়ের উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি ‘চা’কে গুণে-মানে উন্নতকরণ এবং বৈচিত্রায়ণ করা প্রয়োজন। প্রতিযোগিতাময় বৈশ্বিক বাজার আর আধুনিক প্রজন্মের এই চাহিদা পূরণ করা বাংলাদেশ চা শিল্পের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তাই বাংলাদেশ চা বোর্ড দেশে উন্নতমানের চা উৎপাদন ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।

প্রশিক্ষণার্থীদের মুখোমুখি কোর্সপ্রশিক্ষক। ছবি: বার্তা২৪

এরই ধারাবাহিকতায় বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে চা আবাদী ব্যবস্থাপনা ও হাতে কলমে প্রশিক্ষণের জন্য বাংলাদেশ চা গবেষণা ইন্সটিটিউট (বিটিআরআই) এর ৫৬তম বার্ষিক কোর্স শুরু হয়েছে। শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিটিআরআই এ অবস্থিত প্রজেক্ট ডেভেলপমেন্ট ইউনিট (পিডিইউ) এর অডিটোরিয়ামে ৬দিনব্যাপী ‘৫৬তম বিটিআরআই বার্ষিক কোর্স-২০২২’ এর উদ্বোধনী পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

এখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চা বোর্ড (বিটিবি) এর চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মো. আশরাফুল ইসলাম এনডিসি, পিএসসি।

বাংলাদেশ চা গবেষণা ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. মোহাম্মদ আলী এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিডিইউ'র ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. একেএম রফিকুল হক, ‘৫৬তম বিটিআরআই বার্ষিক কোর্স-২০২২’ এর আহ্বায়ক ও উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. ইসমাইল হোসেন, বাংলাদেশীয় চা সংসদের সিলেট ব্রাঞ্চের ব্রাঞ্চ চেয়ারম্যান এবং সিনিয়র টি প্লান্টার জিএম শিবলী। এছাড়াও বিভিন্ন চা বাগানের ম্যানেজার, সিনিয়র ম্যানেজারগণ, প্রশিক্ষণার্থী, বিটিআরআই ও পিডিইউ এর কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মাঠপর্যায়ের প্রশিক্ষণ। ছবি: বার্তা২৪

কোর্সটিতে মৃত্তিকা ব্যবস্থাপনা, উন্নত জাত নির্বাচন কৌশল, আধুনিক চা চাষাবাদ পদ্ধতি (প্রুনিং, টিপিং, প্লাকিং, ড্রেনেজ ও খরা ব্যবস্থাপনা) পোকামাকড় ও রোগবালাই ব্যবস্থাপনা, চা প্রাণরসায়ন, স্ট্যাটিস্টিক্স, চা প্রক্রিয়াজাতকরন ইত্যাদি বিষয়াদি হাতে কলমে সংশ্লিষ্ট চা বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞ কর্তৃক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

০৫ ফেব্রুয়ারি বার্ষিক কোর্সের প্রথমদিনে মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের টেকনিক্যাল সেশন অনুষ্ঠিত হয়। এতে মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা তুজ জোহরা, বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নাঈম মোস্তফা আলী এবং বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ফারহানা জাহান চৌধুরী মাটির গুনগত মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে মৃত্তিকা ও সার ব্যবস্থাপনা বিষয়ক আলাপ করেন।

০৬ ফেব্রুয়ারি বার্ষিক কোর্সের দ্বিতীয় দিনে Tea Botany, Importance of BTRI released clones, Improved Planting Materials, VP nursery, Nucleus Clone Plot, Seedbarie Plantation,Tea Tasting ইত্যাদি বিষয়ে Theoretical এবং Practical ক্লাস নেয়া হয়। উক্ত বিষয়াদিতে রিসোর্স পার্সোনেল হিসেবে লেকচার প্রদান করেন ক্রপ প্রোডাকশন ডিপার্টমেন্টের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. ইসমাইল হোসেন, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আব্দুল আজিজ এবং সহযোগী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. রিয়াদ আরেফিন।

বিটিবি চেয়ারম্যানসহ প্রশিক্ষণার্থীরা। ছবি: বার্তা২৪

০৭ফেব্রুয়ারি বার্ষিক কোর্সের তৃতীয় দিনে কৃষিতত্ত্ব বিভাগের Land preparation, young tea management, pruning, tipping & plucking ইত্যাদি বিষয়ে Theoretical এবং Practical ক্লাস নেয়া হয়। উক্ত বিষয়াদিতে রিসোর্স পারসোনেল হিসেবে লেকচার প্রদান করেন কৃষিতত্ত্ব বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. তৌফিক আহমেদ, ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. মাসুদ রানা এবং বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সুলতান মো. মনোয়ারুল ইসলাম

বিটিআরআই সূত্র জানায়, বাংলাদেশ চা গবেষণা ইন্সটিটিউট প্রতি বছর দেশের ১৬৭টি চা বাগানের ব্যবস্থাপক, সহকারি ব্যবস্থাপকদের জন্য এই প্রশিক্ষণ কোর্সের আয়োজন করে থাকেন। এই বছর বার্ষিক কোর্সটিতে দেশের চা বাগানসমূহের ৩১টি চা বাগান হতে ৪২ জন নব নিযুক্ত সহ-ব্যবস্থাপক বৈজ্ঞানিক উপায়ে চা চাষের সামগ্রিক বিষয় সম্পর্কে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করবেন।

   

সোনার দামে রেকর্ড, ভরিতে বেড়েছে ১৮৩১ টাকা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বাজারে আবারও বেড়েছে সোনার দাম। এবার ভরিতে এক হাজার ৮৩১ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের একভরি সোনার দাম ১ লাখ ১৭ হাজার ২৮১ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

শনিবার (১১ মে) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস।

আগামীকাল রোববার (১২ মে) থেকে নতুন এ দাম কার্যকর হবে বলেও জানানো হয়।

নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম পড়বে ১ লাখ ১৭ হাজার ২৮১ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১১ হাজার ৯৫১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৫ হাজার ৯৬০ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৭৯ হাজার ৩৩৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এর আগে, গত ৭ মে ২২ ক্যারেটের সোনার দাম ১ লাখ ১৫ হাজার ৪৫০ টাকা নির্ধারণ করে বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ২০১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৪ হাজার ৪৫৫ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৭৮ হাজার ৯০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।

এ নিয়ে গত ২৪ দিনের ব্যবধানে দেশের বাজারে ১৫ বার সোনার দাম সমন্বয় করল বাজুস। যার মধ্যে ৯ বার দাম কমানো হয়েছে, আর বাড়ানো হলো ৬ বার।

উল্লেখ্য, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ২২ বার সোনার দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ১১ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ১১ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।

;

করেরহাট-চৌমুহনীসহ ৩ গ্রিড লাইনে বিদ্যুৎ সঞ্চালন শুরু



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

করেরহাট-চৌমুহনীসহ নবনির্মিত তিনটি বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন সফলভাবে চালু হয়েছে বলে জানিয়েছে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিঃ (পিজিসিবি)।

লাইনগুলো হচ্ছে, করেরহাট-চৌমুহনী ২৩০ কেভি ফোর সার্কিট সঞ্চালন লাইন, চৌমুহনী-কচুয়া ২৩০ কেভি ফোর সার্কিট সঞ্চালন লাইন এবং চৌমুহনী-মাইজদী ২৩০ কেভি ডাবল সার্কিট সঞ্চালন লাইন।

শনিবার (১১ মে) দুপুর ১ টায় চৌমুহনী গ্রিড উপকেন্দ্র প্রান্ত থেকে ভোল্টেজ দিয়ে সফলভাবে চার্জ (চালু) করা হয়েছে করেরহাট-চৌমুহনী ২৩০ কেভি ফোর সার্কিট সঞ্চালন লাইন।

এর আগে, ১০ মে চৌমুহনী-কচুয়া ২৩০ কেভি ফোর সার্কিট সঞ্চালন লাইন’ এবং ‘চৌমুহনী-মাইজদী ২৩০ কেভি ডাবল সার্কিট সঞ্চালন লাইন’ চৌমুহনী গ্রিড উপকেন্দ্র থেকে ভোল্টেজ দিয়ে সফলভাবে চার্জ (চালু) করা হয়।

নবনির্মিত লাইনগুলো জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সঞ্চালনে গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকর ভুমিকা রাখবে এবং এর ফলে গ্রিডের সক্ষমতা বাড়বে। ‘করেরহাট-চৌমুহনী, চৌমুহনী-কচুয়া এবং ‘চৌমুহনী-মাইজদী’ লাইনসমূহের দৈর্ঘ্য যথাক্রমে ৫৩ কিলোমিটার, ৫০ কিলোমিটার এবং ২০ কিলোমিটার।

পিজিসিবি’র “পূর্বাঞ্চলীয় গ্রিড নেটওয়ার্কের পরিবর্ধন ও ক্ষমতাবর্ধন (ইএসপিএনইআর)” শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় নতুন লাইনগুলো নির্মাণ করা হয়েছে। বিশ্ব ব্যাংক, বাংলাদেশ সরকার এবং পিজিসিবি সম্মিলিতভাবে এ প্রকল্পে অর্থায়ন করেছে।

;

ব্র্যান্ড প্র্যাকটিশনার্স বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স মার্কেটিং ফেস্ট অনুষ্ঠিত



নিউজ ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

"ইলেকট্রিফাই স্ট্র্যাটেজি, অ্যামপ্লিফাই ইমপ্যাক্ট" থিমের আলোকে ইলেকট্রনিক্স ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স মার্কেটিং ফেস্ট আয়োজন করেছে ব্র্যান্ড প্র্যাক্টিশনার্স বাংলাদেশ।

শুক্রবার (১০ মে) রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে এই ফেস্টটি অনুষ্ঠিত হয়। এই আয়োজনে ২ শতাধিক ইলেকট্রনিক্স সেক্টরের সাথে জড়িত উদ্যোক্তা, পেশাজীবী, ব্র্যান্ড এবং বিপণন বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।

এই মার্কেটিং ফেস্টে আলোচনা করা হয় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ইলেকট্রনিক্স এবং হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস সেক্টরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার এবং এই মার্কেটের বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ন দিক। এই সেক্টরের ৬ জন উদ্যোক্তার পাশাপাশি ব্র্যান্ড, মার্কেটিং, সেলস, সাপ্লাই চেইন বিভাগের ২৬ জন বক্তা এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা রাখেন। এই অনুষ্ঠানে মার্কেট চ্যালেঞ্জ, সুযোগ, বিক্রয় প্রসার, মার্কেটিং প্রমোশন, মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট, মার্কেট ইনসাইট এবং স্ট্র্যাটেজি, কেস সেসান, এবং মার্কেটিং অপারেশন সেশানসহ ১০টি অনুষ্ঠিত হয়। ফেস্টটিতে "বিজনেস ব্রিলিয়ানয" ম্যাগাজিনের পঞ্চম সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন হয়। এই সংস্করনে ড্যাফোডিল গ্রুপের চেয়ারম্যান মোঃ সবুর খানের জীবন এবং কর্মকে ফোকাস করা হয়েছে।

এই আয়োজন নিয়ে ইলেক্ট্রো মার্টের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নুরুল আফসার বলেন, "ইলেক্ট্রনিক্স মার্কেটকে ফোকাস করে এই ধরণের উদ্যোগ সার্বিকভাবে বিপণন, উদ্ভাবন এবং ইন্ডাস্ট্রি প্লেয়ারদের মাঝে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য একটি ক্যাটালিস্ট হিসেবে কাজ করে, যা বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স মার্কেট সার্বিক বৃদ্ধির জন্য দরকারী।" তিনি কনকা ব্র্যান্ডের উত্থান এবং গ্রি এসির মার্কেট গ্রোথ নিয়েও কথা বলেন।
মার্কেট প্রফিটেবিলিটি সেশানে কথা বলেন বাটারফ্লাই ব্র্যান্ডের সেলস ডিরেক্টর মকবুলা হুদা। কনকা টিভির কালজয়ী বিজ্ঞাপন ‘আমাদের টিভি’ নিয়ে কথা বলেছেন অমিতাভ রেজা চৌধূরী এবং মোহাম্মদ আলী সাগর। এই অনুষ্ঠানে হালিমা টেলিকমের চেয়ারম্যান আবুল কামাল হোসেন সাগর, মোশনভিউ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমরুল হাসান, যমূনা ইলেট্রনিক্সের হেড অফ বিজনেস মোঃ সাজ্জাদুল ইসলাম, আকাশ ডিটিএইচ এর হেড অফ সেলস এমএ হানিফ, ডেইলি স্টারের হেড অফ বিজনেস তাজদিন হাসান তাদের বক্তব্য পেশ করেন।

ব্র্যান্ড প্র্যাকটিশনার্স বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মির্জা মোঃ ইলিয়াস বলেন, এই মার্কেটিং ফেস্টের উদ্দেশ্য ছিল ইলেক্ট্রনিক্স পণ্যের মার্কেটিং অপারেসন্স ক্ষেত্রে সেরা প্র্যাক্টিসগুলো খুঁজে বের করা, নতুন এবং কার্যকরী বিপনণ পন্থা নিয়ে আলোচনা করা এবং পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা। আমাদের লক্ষ্য হল ব্যবসা ও বিপণন পেশাদারদের মধ্যে সম্পর্ক বাড়ানো এবং কোলাবরেশন করা।"

;

সিআইপি সম্মাননা পেলেন ‘স্নোটেক্স’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা এস এম খালেদ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা দ্বিতীয়বার বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) সম্মাননা পেলেন ‘স্নোটেক্স’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব এস এম খালেদ।

‘স্নোটেক্স’ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব এস এম খালেদ-এর পক্ষে এ সম্মাননা গ্রহণ করেন স্নোটেক্স গ্রুপের পরিচালক জনাব সৌমিত্র ঘোষ পার্থ।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকেলে রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লু’তে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত সিআইপি (রফতানি) ও সিআইপি (ট্রেড)- ২০২২ কার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে সম্মাননা স্মারক এবং সিআইপি কার্ড প্রদান করা হয়।

দেশের রফতানি বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার প্রেক্ষিতে সরকার কর্তৃক রফতানি বিভাগের সম্মানিত ব্যক্তি হিসেবে সিআইপি সম্মাননা গ্রহণ প্রদান করা হয়ে থাকে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী জনাব আহসানুল ইসলাম টিটু। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই-এর সভাপতি জনাব মাহবুবুল আলম। সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জনাব তপন কান্তি ঘোষ।

‘স্নোটেক্স’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব এস এম খালেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাস করে সাংবাদিকতায় কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে চাকরি ছেড়ে ১৯৯৮ সাল থেকে সরাসরি ব্যবসায় মনোনিবেশ করেন তিনি। তার দক্ষ নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে তৈরি পোশাক রফতানি প্রতিষ্ঠান 'স্নোটেক্স গ্রুপ'। বর্তমানে ‘স্নোটেক্স’ চারটি বড় কারখানার একটি প্রতিষ্ঠান। রফতানির পাশাপাশি স্থানীয় বাজারের জন্য তিনি গড়ে তোলেন লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড ‘সারা লাইফস্টাইল’। এস এম খালেদের গড়ে তোলা স্নোটেক্স গ্রুপের সবগুলো প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে কাজ করেন ২০ হাজারের বেশি কর্মী।

উল্লেখ্য, ‘স্নোটেক্স’ ২০০০ সালে বায়িং হাউজের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে। ২০০৫ সালে নিজেদের প্রথম কারখানা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে ‘স্নোটেক্স অ্যাপারেলস’। সেই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালে ‘কাট অ্যান্ড সিউ’ এবং ২০১৪ সালে ‘স্নোটেক্স আউটারওয়্যার লিমিটেড’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। সর্বশেষ ২০২০ সালে ‘স্নোটেক্স স্পোর্টসওয়্যার লিমিটেড’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। বর্তমানে ‘স্নোটেক্স’ চারটি বড় কারখানার একটি প্রতিষ্ঠান।

এরই মধ্যে স্নোটেক্স আউটারওয়্যার গ্রিন ফ্যাক্টরি হিসেবে অর্জন করেছে ইউএসজিবিসির লিড প্লাটিনাম সার্টিফিকেটে। পাশাপাশি গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘হেলথ অ্যান্ড সেফটি’ অ্যাওয়ার্ডসহ প্রতিষ্ঠানটি জাতীয় ট্যাক্সকার্ড ও সেরা করদাতা সম্মাননা-২০২২, জাতীয় রফতানি ট্রফি ২০২০-২১, বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ড-২০১৯, জাতীয় রফতানি ট্রফি ২০১৯-২০, ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২১, পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি উত্তম চর্চা পুরস্কার-২০১৭, ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড-২০২০, এসডিজি অ্যাওয়ার্ড, বেস্ট প্র্যাকটিস অ্যাওয়ার্ড-২০১৮ অর্জন করেছে ‘স্নোটেক্স’।

;