‘চা’ এর আরও একটি সেরা গ্রেড ‘ডিএম’ টি



বিভোর বিশ্বাস, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
সুদৃশ্য কাঁচের পাত্রে ডিএম টি’র অপূর্ব সুন্দর লিকার। ছবি: বিভোর

সুদৃশ্য কাঁচের পাত্রে ডিএম টি’র অপূর্ব সুন্দর লিকার। ছবি: বিভোর

  • Font increase
  • Font Decrease

আমরা অনেকেই চা-প্রেমী। এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন - যারা চা একেবারেই পছন্দ করেন না। ক্লান্ত শরীরকে এক মুহূর্তে চাঙ্গা করে তুলতে চা অতুলনীয়। নানান গুণাগুণের জন্য চা আজ ধীরে ধীরে জনপ্রিয়তার শীর্ষে। যে কারণে প্রতি বছর দেশে বেড়েই চলেছে চা এর অভ্যন্তরীণ চাহিদা।

চা এর ম্যানুফ্যাকচারিং (প্রক্রিয়াজাতকরণ) এর মানদণ্ডে একটি বিশেষ গ্রেড রয়েছে এর নাম ‘ডিএম টি স্যাম্পল’। এখানে চা তৈরির সময় যত প্রকার গ্রেড বের হয় অর্থাৎ মোটা দানা (বিওপি বা জিবিওপি) থেকে মাঝারি দানা (ওএফ) বা (পিএফ) হয়ে একেবারে ডাস্ট বা (সিডি) সবই এই ‘ডিএম স্যাম্পল টিতে রয়েছে।

গ্রেড মানে এখানে বুঝানো হয়েছে চা এর ঘনত্ব। একই ওজনের বেশি ঘনত্বের চা আয়তনে কম হলেও অল্প ঘনত্বের চা আয়তনের বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে উৎপাদিত বিভিন্ন গ্রেডের চা এর ঘনত্বের প্রেক্ষিতে বিওপি, জিবিওপি, ওএফ, পিএফ, পিডি, আরপি, ডাস্ট, সিডি প্রভৃতি গ্রেডগুলোর নামকরণ। এখানে এর সংক্ষিপ্ত নামকরণ ব্যবহার করে হয়েছে। পরবর্তী এ সম্পর্কিত কোনো ফিচারে উল্লেখিত সংক্ষিপ্ত নামের পূর্ণাঙ্গ অর্থযুক্ত শব্দ নিয়ে আলোচনা করা যাবে।

সব গ্রেড রয়েছে এই ‘ডিএম টি’ পাতাতে। ছবি: বিভোর

‘ডিএম টি’ একটি বিশেষ গ্রেডের চা। এই চা পান করলেই লিকার (রঙ) এবং ফ্লেভার (ঘ্রাণ) সেরা মান সহজেই অনুভব করতে পারেন চা প্রেমীরা।

তবে এই ‘গ্রেড’টি বাজারে পাওয়া যায় না। পেলেও এর চাহিদার পরিমাণে এগুলো বাজারে আসে খুবই অল্প পরিমাণে। তবে বাংলাদেশে সব চা বাগানে কিন্তু এই ‘ডিএম টি’ তৈরি হয় না। ফলে বাজারের প্রাপ্তিতা সেভাবে সহজলভ্য হয়ে উঠেনি।

তাছাড়া এই ডিএম টি’র খুচরা বাজার মূল্য এক হাজার টাকা বা অনেক ক্ষেত্রে এর বেশি হয়ে থাকে। ফলে সাধারণ ক্রেতাদের কাছে এই চা এখনো জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারেনি।

‘ডিএম টি’ প্রসঙ্গে বৃন্দাবন চা বাগানের সিনিয়র ম্যানেজার নাসির উদ্দিন খান বলেন, DM Tea একটি সংক্ষিপ্ত শব্দ। এর পুরো অর্থ Dryer Mouth Tea ডায়ার মাউথ চা। এই চাকে Mother of Tea অর্থাৎ চায়ের মা বলা হয়। কারণ, এই ডায়ার মাউথের মধ্যে সকল প্রকার Grade (মান) থাকে, তাই এই ‘চা’ কে ‘চায়ের মা’ বলা হয়।

 চা পাতা এবং ডিএম টি’র কড়া লিকার। ছবি: বিভোর

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমরা বৃন্দাবন চা বাগান থেকে তৈরিকৃত ডিএম-টি’র এর পুরো নাম ডিএম ক্লোন বিটি-২ স্পেশাল। DM Tea last auction এর এই চা এ দেশের সর্বোচ্চ দামে বিক্রি হয়েছিল। তবে যেভাবে আমরা ভেবেছিলাম সাড়া পাবো, সেভাবে পাইনি।

এই চায়ের রঙ এবং ঘ্রাণ সম্পর্কে তিনি বলেন, এটি ব্লাক-টি (কালো চা) এবং বিটি-২ ক্লোন জাতের চা। এই চা দুধ-চা খাওয়ার জন্য পারফেক্ট একটা চা। তাছাড়াও যারা রো-টি (লিকার চা) খেতে পছন্দ করেন তারাও এই চা পান করলে চমৎকার লিকার (রঙ) এবং অপূর্ব ফ্লেভার (ঘ্রাণ) পাওয়া যায়।

   

ব্র্যান্ড প্র্যাকটিশনার্স বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স মার্কেটিং ফেস্ট অনুষ্ঠিত



নিউজ ডেস্ক বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

"ইলেকট্রিফাই স্ট্র্যাটেজি, অ্যামপ্লিফাই ইমপ্যাক্ট" থিমের আলোকে ইলেকট্রনিক্স ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স মার্কেটিং ফেস্ট আয়োজন করেছে ব্র্যান্ড প্র্যাক্টিশনার্স বাংলাদেশ।

শুক্রবার (১০ মে) রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলের গ্র্যান্ড বলরুমে এই ফেস্টটি অনুষ্ঠিত হয়। এই আয়োজনে ২ শতাধিক ইলেকট্রনিক্স সেক্টরের সাথে জড়িত উদ্যোক্তা, পেশাজীবী, ব্র্যান্ড এবং বিপণন বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।

এই মার্কেটিং ফেস্টে আলোচনা করা হয় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ইলেকট্রনিক্স এবং হোম অ্যাপ্লায়েন্সেস সেক্টরের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার এবং এই মার্কেটের বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ন দিক। এই সেক্টরের ৬ জন উদ্যোক্তার পাশাপাশি ব্র্যান্ড, মার্কেটিং, সেলস, সাপ্লাই চেইন বিভাগের ২৬ জন বক্তা এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা রাখেন। এই অনুষ্ঠানে মার্কেট চ্যালেঞ্জ, সুযোগ, বিক্রয় প্রসার, মার্কেটিং প্রমোশন, মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট, মার্কেট ইনসাইট এবং স্ট্র্যাটেজি, কেস সেসান, এবং মার্কেটিং অপারেশন সেশানসহ ১০টি অনুষ্ঠিত হয়। ফেস্টটিতে "বিজনেস ব্রিলিয়ানয" ম্যাগাজিনের পঞ্চম সংস্করণের মোড়ক উন্মোচন হয়। এই সংস্করনে ড্যাফোডিল গ্রুপের চেয়ারম্যান মোঃ সবুর খানের জীবন এবং কর্মকে ফোকাস করা হয়েছে।

এই আয়োজন নিয়ে ইলেক্ট্রো মার্টের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নুরুল আফসার বলেন, "ইলেক্ট্রনিক্স মার্কেটকে ফোকাস করে এই ধরণের উদ্যোগ সার্বিকভাবে বিপণন, উদ্ভাবন এবং ইন্ডাস্ট্রি প্লেয়ারদের মাঝে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য একটি ক্যাটালিস্ট হিসেবে কাজ করে, যা বাংলাদেশের ইলেকট্রনিক্স মার্কেট সার্বিক বৃদ্ধির জন্য দরকারী।" তিনি কনকা ব্র্যান্ডের উত্থান এবং গ্রি এসির মার্কেট গ্রোথ নিয়েও কথা বলেন।
মার্কেট প্রফিটেবিলিটি সেশানে কথা বলেন বাটারফ্লাই ব্র্যান্ডের সেলস ডিরেক্টর মকবুলা হুদা। কনকা টিভির কালজয়ী বিজ্ঞাপন ‘আমাদের টিভি’ নিয়ে কথা বলেছেন অমিতাভ রেজা চৌধূরী এবং মোহাম্মদ আলী সাগর। এই অনুষ্ঠানে হালিমা টেলিকমের চেয়ারম্যান আবুল কামাল হোসেন সাগর, মোশনভিউ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইমরুল হাসান, যমূনা ইলেট্রনিক্সের হেড অফ বিজনেস মোঃ সাজ্জাদুল ইসলাম, আকাশ ডিটিএইচ এর হেড অফ সেলস এমএ হানিফ, ডেইলি স্টারের হেড অফ বিজনেস তাজদিন হাসান তাদের বক্তব্য পেশ করেন।

ব্র্যান্ড প্র্যাকটিশনার্স বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মির্জা মোঃ ইলিয়াস বলেন, এই মার্কেটিং ফেস্টের উদ্দেশ্য ছিল ইলেক্ট্রনিক্স পণ্যের মার্কেটিং অপারেসন্স ক্ষেত্রে সেরা প্র্যাক্টিসগুলো খুঁজে বের করা, নতুন এবং কার্যকরী বিপনণ পন্থা নিয়ে আলোচনা করা এবং পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করা। আমাদের লক্ষ্য হল ব্যবসা ও বিপণন পেশাদারদের মধ্যে সম্পর্ক বাড়ানো এবং কোলাবরেশন করা।"

;

সিআইপি সম্মাননা পেলেন ‘স্নোটেক্স’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা এস এম খালেদ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা দ্বিতীয়বার বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) সম্মাননা পেলেন ‘স্নোটেক্স’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব এস এম খালেদ।

‘স্নোটেক্স’ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব এস এম খালেদ-এর পক্ষে এ সম্মাননা গ্রহণ করেন স্নোটেক্স গ্রুপের পরিচালক জনাব সৌমিত্র ঘোষ পার্থ।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকেলে রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লু’তে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত সিআইপি (রফতানি) ও সিআইপি (ট্রেড)- ২০২২ কার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে সম্মাননা স্মারক এবং সিআইপি কার্ড প্রদান করা হয়।

দেশের রফতানি বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার প্রেক্ষিতে সরকার কর্তৃক রফতানি বিভাগের সম্মানিত ব্যক্তি হিসেবে সিআইপি সম্মাননা গ্রহণ প্রদান করা হয়ে থাকে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী জনাব আহসানুল ইসলাম টিটু। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই-এর সভাপতি জনাব মাহবুবুল আলম। সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জনাব তপন কান্তি ঘোষ।

‘স্নোটেক্স’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব এস এম খালেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাস করে সাংবাদিকতায় কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে চাকরি ছেড়ে ১৯৯৮ সাল থেকে সরাসরি ব্যবসায় মনোনিবেশ করেন তিনি। তার দক্ষ নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে তৈরি পোশাক রফতানি প্রতিষ্ঠান 'স্নোটেক্স গ্রুপ'। বর্তমানে ‘স্নোটেক্স’ চারটি বড় কারখানার একটি প্রতিষ্ঠান। রফতানির পাশাপাশি স্থানীয় বাজারের জন্য তিনি গড়ে তোলেন লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড ‘সারা লাইফস্টাইল’। এস এম খালেদের গড়ে তোলা স্নোটেক্স গ্রুপের সবগুলো প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে কাজ করেন ২০ হাজারের বেশি কর্মী।

উল্লেখ্য, ‘স্নোটেক্স’ ২০০০ সালে বায়িং হাউজের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে। ২০০৫ সালে নিজেদের প্রথম কারখানা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে ‘স্নোটেক্স অ্যাপারেলস’। সেই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালে ‘কাট অ্যান্ড সিউ’ এবং ২০১৪ সালে ‘স্নোটেক্স আউটারওয়্যার লিমিটেড’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। সর্বশেষ ২০২০ সালে ‘স্নোটেক্স স্পোর্টসওয়্যার লিমিটেড’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। বর্তমানে ‘স্নোটেক্স’ চারটি বড় কারখানার একটি প্রতিষ্ঠান।

এরই মধ্যে স্নোটেক্স আউটারওয়্যার গ্রিন ফ্যাক্টরি হিসেবে অর্জন করেছে ইউএসজিবিসির লিড প্লাটিনাম সার্টিফিকেটে। পাশাপাশি গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘হেলথ অ্যান্ড সেফটি’ অ্যাওয়ার্ডসহ প্রতিষ্ঠানটি জাতীয় ট্যাক্সকার্ড ও সেরা করদাতা সম্মাননা-২০২২, জাতীয় রফতানি ট্রফি ২০২০-২১, বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ড-২০১৯, জাতীয় রফতানি ট্রফি ২০১৯-২০, ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২১, পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি উত্তম চর্চা পুরস্কার-২০১৭, ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড-২০২০, এসডিজি অ্যাওয়ার্ড, বেস্ট প্র্যাকটিস অ্যাওয়ার্ড-২০১৮ অর্জন করেছে ‘স্নোটেক্স’।

;

ইসলামী ব্যাংকের বরিশাল জোনের কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির বরিশাল জোনের কর্মকর্তাদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার ( ১০ মে) বরিশালের জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ মাকসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর জে কিউ এম হাবিবুল্লাহ, এফসিএস এবং সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ রফিকুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বরিশাল জোনপ্রধান মোঃ আব্দুস সোবহান। সম্মেলনে ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান ও মোঃ নুরুজ্জামানসহ বরিশাল জোনের অধীন শাখাসমূহের প্রধান, উপশাখা ইনচার্জ ও সর্বস্তরের কর্মকর্তা- কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন।

;

রফতানি ও বাণিজ্যে ১৮৪ ব্যবসায়ী পেলেন সিআইপি সম্মাননা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রফতানি বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৮৪ ব্যক্তিকে রফতানি ও বাণিজ্যে সিআইপি- ২০২২ কার্ড প্রদান করেছে সরকার।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকালে রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনে প্রধান অতিথি বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ১৮৪ ব্যক্তিকে রফতানি ও বাণিজ্যে সিআইপি- ২০২২ কার্ড প্রদান করেন।

দেশের রফতানিকারক, শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে উৎসাহ, উদ্দীপনা ও পারস্পরিক সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার আবহ সৃষ্টি করতে সিআইপি কার্ড প্রদান করা হয়। নীতিমালা অনুযায়ী ২০২২ সালের জন্য ২২টি খাতের মধ্যে ১৮টি পণ্য ও সেবা খাত এবং ইপিজেডভুক্ত "সি” ক্যাটাগরিতে মোট ১৪০ জনকে সিআইপি (রফতানি) এবং ৪৪ জন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে সিআইপি (ট্রেড) সম্মানে ভূষিত করা হয়।

এ বছর পণ্য ও সেবা সংশ্লিষ্ট ২০টি খাতে মোট ৩২৮টি আবেদন পাওয়া যায়। মেলামাইন ও জাহাজ নির্মাণ শিল্প খাতে কোন আবেদন পাওয়া যায়নি। ন্যূনতম আয়ের নিচে রফতানি আয় হওয়ায় চা খাতের ১টি আবেদন অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়।

রফতানিতে কাঁচাপাট শিল্পে ২ জন, পাটজাত পণ্যে ৪ জন, স্পেশালাইজড/হোমটেক্সটাইল পণ্য ৪ জন, তৈরী পোশাক (নিটওয়্যার) ৩৪ জন, চামড়াজাত দ্রব্য ৬ জন, সিরামিক পণ্য ১ জন, হিমায়িত খাদ্য ৪ জন, প্লাষ্টিকজাত পণ্য ৪ জন, তৈরী পোশাক (ওভেন) ১৮ জন, টেক্সটাইল (ফেব্রিক্স) ৭ জন, কৃষিজাত দ্রব্য ৫ জন, কম্পিউটার সফ্টওয়্যার ২ জন, এগ্রোপ্রসেসিং ৫ জন, আসবাবপত্র ১ জন, হালকা প্রকৌশলী পণ্য ৪ জন, ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য ৩ জন, বিবিধ পণ্য ২৭ জন, হস্তশিল্পজাত পণ্য ৪ জন ও ইপিজেডভুক্ত সি ক্যাটাগরিতে ৫ জন। এছাড়া ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ (ট্রেড ক্যাটাগরি) তে ৪৪ জনকে সিআইপি কার্ড প্রদান করা হয়েছে।

সিআইপি (রফতানি)-২০২২ নির্বাচনের ক্ষেত্রে সিআইপি (রফতানি) নীতিমালা-২০১৩ অনুসরণ করা হয়। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালকের নেতৃত্বে প্রাথমিক বাছাই কমিটি এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রফতানি) এর নেতৃত্বে চূড়ান্ত বাছাই/নির্বাচন কমিটির মাধ্যমে প্রতিটি আবেদনপত্র মূল্যায়ন করা হয়।

আবেদনপত্র মূল্যায়নের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের রফতানি আয় এবং নতুন বাজারে প্রবেশ ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করা হয়। এছাড়া রফতানিকারকের বাণিজ্য বিরোধের সংশ্লিষ্টতা, আয়কর, ভ্যাট, শুল্ক এবং ঋণ গ্রহণ/পরিশোধ ইত্যাদি সম্পর্কিত বিষয়াদিও যাচাই করা হয়। খেলাপি ঘোষিত আবেদনকারীদের আবেদন চূড়ান্ত মূল্যায়নে বিবেচনা করা হয় না।

সিআইপি (রফতানি) হিসেবে নির্বাচিত ব্যবসায়ীবৃন্দ বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য প্রবেশ পাশ ও গাড়ির স্টিকার প্রাপ্তি, জাতীয় অনুষ্ঠান ও মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের নাগরিক সম্বর্ধনায় আমন্ত্রণ প্রাপ্তি, ব্যবসা সংক্রান্ত ভ্রমণে বিমান, রেলপথ, সড়ক ও জলপথে সরকারি যানবাহনে আসন সংরক্ষণে অগ্রাধিকার, ব্যবসায়িক কাজে বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে Letter of Introduction প্রাপ্তি, নির্বাচিত সিআইপি তার স্ত্রী, পুত্র, কন্যা ও নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে কেবিন প্রাপ্তির অগ্রাধিকার এবং বিমান বন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ-২ ব্যবহার সুবিধা পেয়ে থাকেন।

সরকারিভাবে প্রদত্ত সিআইপি কার্ডধারী ব্যক্তি বিদেশী ক্রেতার কাছে আস্থা ও সুনামের সাথে তার ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক গ্রহণযোগ্যতা তুলে ধরতে পারেন যা তার ব্যবসায়িক সম্পর্ককে সুদৃঢ় করার পাশাপাশি দেশের সার্বিক রফতানি প্রসারে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।

রফতানি খাতে অবদানের জন্য ১ বছর মেয়াদে সিআইপি (রফতানি) নির্বাচন করা হয়ে থাকে। তবে বর্তমানে নির্বাচিত সিআইপিবৃন্দ পরবর্তী বছরের সিআইপি (রফতানি) ঘোষণার পূর্ব পর্যন্ত সিআইপি (রফতানি) মর্যাদায় ভূষিত থাকবেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই-এর সভাপতি মাহবুবুল আলম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান।

;