১৪১ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান পেল সেরা করদাতার সম্মাননা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

২০২০-২১ অর্থবছরে কর দিয়ে রাষ্ট্রীয় কোষাগার সমৃদ্ধ করায় ১৪১ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সেরা করদাতার সম্মাননা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

বুধবার (২৪ নভেম্বর) রাজধানীর বেইলি রোডের অফিসার্স ক্লাবে জাতীয় আয়কর দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের হাতে সেরা করদাতার সম্মাননা স্মারক ও ট্যাক্স কার্ড তুলে দেন প্রধান অতিথি অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন।

এসময় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, আপনারা করদাতারা যারা আছেন তারাই প্রকৃত দেশ প্রেমিক ও ঈমানদার মুসলমান। কারণ দেশ প্রেম না থাকলে খাঁটি মুসলমান হওয়া যায় না।

তিনি বলেন, আপনারা সবাই মিলে একটু একটু করে দিয়ে হলেও সোনার বাংলাদেশ গড়বেন। আপনাদের দেওয়া করের অর্থ আমরা জনগণের কল্যাণে বিনিয়োগ করি।

২০২০-২০২১ অর্থবছরে ব্যক্তি শ্রেণিতে ৭৫ জন, কোম্পানি শ্রেণিতে ৫৪ জন ও অন্যান্য ক্যাটাগরিতে ১২ জন করদাতাকে সম্মাননা দিয়েছে এনবিআর।

ব্যক্তি শ্রেণির প্রায় ১৮টি ক্যাটাগরিতে যে ৭৫ জনকে ট্যাক্স কার্ড ও সম্মাননা দেওয়া হয়েছে তারা হলেন:

সিনিয়র সিটিজেন ক্যাটাগরিতে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, খাজা তাজমহল, ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার বদরুল হাসান, ট্রান্সকম লিমিটেডের লতিফুর রহমান ও পপুলার ডায়াগনস্টিকের ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ট্যাক্স কার্ড পেয়েছেন।

গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ক্যাটাগরিতে মো. নাসির উদ্দিন মৃধা, মো. জয়নাল আবেদীন, মো. কোহিনুর ইসলাম খান ও এস এম আবদুল ওয়াহাব।

প্রতিবন্ধী ক্যাটাগরিতে আকরাম মাহমুদ, ডা. মো. মামুনুর রশীদ ও লুবনা নিগার।

নারী ক্যাটাগরিতে আনোয়ারা হোসেন, শাহনাজ রহমান, সেলিনা মাহবুব, ফারহানা মোনেম ও মোরশেদা নাসমিন।

তরুণ ক্যাটাগরিতে আহমেদ ইমতিয়াজ খান, এস এম মঞ্জুরুল আলম অভি, মো. লুৎফর রহমান, মো. ফয়সাল হোসেন, মো. লুৎফর রহমান ও আনিকা তারান্নুম আনাম।

ব্যবসায়ী ক্যাটাগরিতে পুরান ঢাকার হাকিমপুরী জর্দার ব্যবসায়ী মো. কাউছ মিয়া, নজরুল ইসলাম মজুমদার, নাফিস সিকদার, মো. শওকত আলী চৌধুরী ও আলহাজ্ব আনোয়ার খান।

বেতনভোগী ক্যাটাগরিতে মোহাম্মাদ ইউসুফ, হোসনে আরা হোসেন, রুবাইয়াৎ ফারজানা হোসেন, লায়লা হোসেন ও এম এ হায়দার হোসেন।

চিকিৎসক ক্যাটাগরিতে ডা. জাহাঙ্গীর কবির, অধ্যাপক ডা. একেএম ফজলুল হক, ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, ডা. এন এ এম মোমেনুজ্জামান ও নার্গিস ফাতেমা।

সাংবাদিক ক্যাটাগরিতে চ্যানেল আইয়ের ফরিদুর রেজা সাগর ও আব্দুল মুকিত মজুমদার, ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহ্‌ফুজ আনাম, চট্টগ্রামের দৈনিক আজাদীর সম্পাদক মোহাম্মদ আবদুল মালেক, প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান।

আইনজীবী ক্যাটাগরিতে শেখ ফজলে নূর তাপস, কাজী মোহাম্মদ তানজিবুল আলম, আহসানুল করিম, নিহাদ কবির ও তৌফিকা আফতাব।

প্রকৌশলী ক্যাটাগরিতে মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, প্রকৌশলী মো. মোখলেছুর রহমান ও মো. জহুরুল ইসলাম।

স্থপতি ক্যাটাগরিতে মোহাম্মদ ফয়েজ উল্লাহ, মো. রফিক আজম ও এনামুল করিম নির্ঝর।

অ্যাকাউন্ট্যান্ট ক্যাটাগরিতে মো. ফারুক, মাশুক আহমেদ এফসিএ, মো. মুশতাক আহমেদ।

নতুন করদাতা ক্যাটাগরিতে মোসাম্মৎ শাহিন আক্তার, মীযানুল করীম, রোকশানা পারভীন, মো. সালাহ উদ্দিন, রাশেদা আক্তার চৌধুরী, বাধন বনিক ও মো. রিয়াদ উর রহমান।

খেলোয়াড় ক্যাটাগরিতে ক্রিকেটার মো. মাহমুদউল্লাহ, তামিম ইকবাল খান ও সৌম্য সরকার।

অভিনেতা-অভিনেত্রী ক্যাটাগরিতে সুর্বণা মোস্তফা, বিদ্যা সিনহা মীম ও বাবুল আহমেদ।

গায়ক-গায়িকা ক্যাটাগরিতে তাহসান রহমান খান, এসডি রুবেল ও কুমার বিশ্বজিৎ।

অন্যান্য ক্যাটাগরিতে মাহমুদুল হক, খন্দকার মনির উদ্দিন ও সাইফুল ইসলাম ট্যাক্স কার্ড ও সম্মাননা পেয়েছেন।

কোম্পানি পর্যায়ে ট্যাক্স কার্ড ও সম্মাননা পাওয়া ৫৪ প্রতিষ্ঠান হলো:

ব্যাংকিং ক্যাটাগরিতে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড, স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক, দি হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশন লিমিটেড (এইচএসবিসি), ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড ও ডাচ বাংলা ব্যাংক লিমিটেড।

অব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে- ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেড, বাংলাদেশ ইনফ্রাস্ট্রাকচার ফাইন্যান্স ফান্ড লিমিটেড, ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ ও ডেল্টা ব্রাক হাউজিং ফাইন্যান্স করপোরেশন লিমিটেড। টেলিকমিউনিকেশন ক্যাটাগরিতে গ্রামীণ ফোন লিমিটেড।

প্রকৌশল ক্যাটাগরিতে উত্তরা মোটর্স লিমিটেড, বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরি লিমিটেড ও উত্তরা অটোমোবাইলস লিমিটেড।

খাদ্য ও আনুষঙ্গিক ক্যাটাগরিতে নেসলে বাংলাদেশ লিমিটেড, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও প্রাণ ডেইরি লিমিটেড।

জ্বালানি ক্যাটাগরিতে তিতাস গ্যাস কোম্পানি, গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি ও পেট্রোম্যাক্স রিফাইনারি লিমিটেড।

পাট শিল্পে, আকিজ জুট মিলস লিমিটেড, আইয়ান জুট মিলস লিমিটেড ও আই আর খান জুট মিলস লিমিটেড।

স্পিনিং ও টেক্সটাইল ক্যাটাগরিতে কোটস বাংলাদেশ লিমিটেড, বাদশা টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড, নোমান টেরিটাওয়াল মিলস, নাহিদ কম্পোজিট টেক্সটাইল মিলস, ইসমাইল আঞ্জুমান আরা ফেব্রিক্স, প্রিমিয়ার ও নাহিদ কটন মিলস লিমিটেড।

ওষুধ ও রসায়ন ক্যাটাগরিতে ইউনিলিভার বাংলাদেশ, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস ও রেনেটা।

প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া ক্যাটাগরিতে- মিডিয়া স্টার লিমিটেড, ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ, ট্রান্সক্রাফট ও সময় মিডিয়া লিমিটেড।

রিয়েল এস্টেট ক্যাটাগরিতে- রেব-আরসি প্রাইভেট লিমিটেড, রিজভি কনস্ট্রাকশন লিমিটেড ও বে ডেভেলপমেন্ট লিমিটেড।

তৈরি পোশাক ক্যাটাগরিতে ইউনিভার্সেল জিন্স, ইয়ংওয়ান হাইটেড স্পোর্টসওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিজ, জাবের এন্ড জোবায়ের ফেব্রিক্স, রিফাত গার্মেন্টস, স্কয়ার ফ্যাশন, জিএমএস কম্পোজিট নিটিং ইন্ডাস্ট্রিজ ও হামিম ডেনিম লিমিটেড এবং চামড়া শিল্পে- বাটা সু কোম্পানি, এপেক্স ফুটওয়্যার, লালমাই ফুটওয়্যার ট্যাক্স কার্ড ও সম্মাননা পেয়েছে।

অন্যান্য ক্যাটাগরিতে আমেরিকান টোব্যাকো, আমেরিকান লাইফ ইন্সুরেন্স, সাধারণ বিমা করপোরেশন ও পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি লিমিটেড ট্যাক্স কার্ড সম্মাননা পেয়েছে।

করদাতা পর্যায়ের আরও ১২টি প্রতিষ্ঠান ট্যাক্স কার্ড ও সম্মাননা পেয়েছেন। এরমধ্যে ফার্ম ক্যাটাগরিতে- চট্টগ্রামের মেসার্স এস এন করপোরেশন, সিলেটের মেসার্স মো. জামিল ইকবাল, মেসার্স এ এস বি এস ও ফেনীর মেসার্স ছালেহ আহম্মদ।

স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড ও সেতু কর্তৃপক্ষ। ব্যক্তি সংঘ ক্যাটাগরিতে আশা ও সেনা কল্যাণ সংস্থা হেড অফিস।

অন্যান্য ক্যাটাগরিতে ব্যুরো বাংলাদেশ, রফিক কন্সট্রাকশন কোম্পানি প্রাইভেট লিমিটেড, আরকে পাওয়ার প্রাইভেট ও সেন্টার ফর ডেভেলমেন্ট ইনোভেমন অ্যান্ড প্রাকটিসকে সেরা করদাতা সম্মাননা ও ট্যক্সকার্ড দেওয়া হয়েছে।

নীতিমালা অনুযায়ী, ট্যাক্স কার্ডধারীরা বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠান, সিটি করপোরেশন, পৌরসভাসহ স্থানীয় সরকার আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ পাবেন। যেকোনো ভ্রমণে সড়ক, বিমান বা জলপথে টিকিট পাওয়ার ক্ষেত্রে কিংবা চিকিৎসা সেবায় তারা অগ্রাধিকার সুবিধা ভোগ করবেন।

   

সিলেটে অনুষ্ঠিত হলো এয়ার এ্যাস্ট্রা’র বিজনেস পার্টনার মিট



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সিলেটে অনুষ্ঠিত হলো এয়ার এ্যাস্ট্রা’র বিজনেস পার্টনার মিট

সিলেটে অনুষ্ঠিত হলো এয়ার এ্যাস্ট্রা’র বিজনেস পার্টনার মিট

  • Font increase
  • Font Decrease

এয়ার এ্যাস্ট্রা’র সম্মানিত ট্রেড পার্টনারদের সৌজন্যে ০২ মে বৃহস্পতিবার, সিলেট এর রোজ ভিউ হোটেল এক মতবিনিময় সভা’র আয়োজন করা হয়।

‘এয়ার এ্যাস্ট্রা বিজনেস পার্টনার মিট’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে সিলেটের বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সির প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এয়ার এ্যাস্ট্রার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ইমরান আসিফ, চিফ কমার্শিয়াল অফিসার সোহেল মাজিদসহ প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

এয়ার এ্যাস্ট্রা’র সিইও ইমরান আসিফ বলেন, বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের গন্তব্য সিলেট এয়ার এ্যাস্ট্রা’র জন্য গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য। বর্তমানে এই রুটে প্রতিদিন দুটি ফ্লাইট পরিচালনা করছে এয়ার এ্যাস্ট্রা, যাত্রী চাহিদা বৃদ্ধি পেলে খুব শিঘ্রই আরও ফ্লাইট এই রুটে যুক্ত করা হবে।

সিলেটের পাশাপাশি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রুটে চারটি, কক্সবাজার রুটে চারটি ও সৈয়দপুর রুটে প্রতিদিন তিনটি ফ্লাইট পরিচালনা করছে এয়ার এ্যাস্ট্রা। এয়ার এ্যাস্ট্রা সম্মানিত যাত্রীদের সুবিধার্থে ইন-ফ্লাইট ম্যাগাজিন ও শিশুদের জন্য ফানবুক প্রদান করে থাকে।

যাত্রীরা ফ্লাইট টিকিট এয়ার এ্যাস্ট্রা’র ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপস, সেলস অফিস, অনলাইন ও অফলাইন্ ট্রাভেল এজেন্সি থেকে ক্রয় করতে পারবেন। এয়ার এ্যাস্ট্রা’র বহরে বর্তমানে তিনটি এটিআর ৭২-৬০০ এয়ারক্রাফট রয়েছে, যা ফ্রান্সে নির্মিত সর্বাধুনিক প্রযুক্তির টার্বোপ্রপ এয়ারক্রাফট এবং ৭০ জন যাত্রী বহন করতে সক্ষম। খুব শিঘ্রই আন্তর্জাতিক রুটেও ডানা মেলবে এয়ার এ্যাস্ট্রা।

;

ভর্তুকি কমাতে বছরে চারবার বাড়বে বিদ্যুতের দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভর্তুকি কমিয়ে আনতে বছরে চারবার বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করবে সরকার। পর্যায়ক্রমে আগামী তিন বছর এভাবেই বাড়ানো হবে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) সচিবালয়ে আইএমএফের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগ এ কথা জানিয়েছে।

জানা গেছে, চলতি মাসে আবারও বাড়তে পারে জ্বালানি তেলের মূল্য। বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে মূল্য বাড়াবে। তবে বিশ্ববাজারে কমলে এখানেও কমানো হবে। এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার একটি নির্দেশিকা জারি করেছে।

সমন্বয়ের নামে মূলত বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হচ্ছে জানিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকার খরচ কমিয়েও ভর্তুকি সমন্বয় করতে পারে। অনিয়ম, দুর্নীতি, অপচয় রোধ করে বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ কমানোর দিকে সরকারের মনোযোগ নেই। বরং চাহিদা না থাকলেও দরপত্র ছাড়া একের পর এক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করে এ খাতের খরচ আরও বাড়াচ্ছে।

আইএমএফের প্রতিনিধিদল বৃহস্পতিবার জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, পেট্রোবাংলা, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) সঙ্গেও বৈঠক করেছে। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, পেট্রোবাংলা ও বিপিসি প্রায় একইভাবে আইএমএফকে জানিয়েছে, গ্যাস ও জ্বালানি তেলে নতুন করে ভর্তুকির চাপ নেই। তেলের দাম নিয়ে স্বয়ংক্রিয় যে পদ্ধতি (আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়লে দেশে বাড়বে, কমলে কমবে) চালু করার কথা আইএমএফ বলেছিল, তা হয়েছে। প্রতি মাসে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হচ্ছে। এতে জ্বালানি তেলে আর কখনো ভর্তুকি দিতে হবে না। প্রথম দুই দফায় দাম কিছুটা কমানো হলেও শেষ দফায় দাম বেড়েছে। তিন মাস ধরে এ চর্চা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, এ বছর বিদ্যুতের মূল্য আরও কয়েক দফা সমন্বয় করা হবে। এভাবে আগামী তিন বছর চলবে। তবে কোন মাসে সমন্বয় করা হবে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

জ্বালানি তেলের মূল্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে সমন্বয় করা হবে। তবে আমার কাছে মনে হচ্ছে সমন্বয় করা হলেও জ্বালানি তেলের মূল্য খুব বাড়বে না। তবে পরিবর্তন হলে সেটি নির্ভর করবে বৈশ্বিক বাজারের ওপর।

জানা গেছে, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা আসার পর এ পর্যন্ত বিদ্যুতের মূল্য বেড়েছে ১৩ বার।

;

এপ্রিলে পণ্য রফতানি কমেছে ৪ কোটি ডলার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশ থেকে গত এপ্রিলে পণ্য রফতানি থেকে আয় এসেছে ৩ হাজার ৯১৬ দশমিক ৯৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই রফতানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় শূন্য দশমিক ৯৯ শতাংশ কম।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এপ্রিলে ৪৭১ কোটি ডলার রফতানি লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম হয়েছে ১৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে পণ্য রফতানিতে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে, এ সময়ে মোট রফতানির মূল্য ৪ হাজার ৭৪৭ কোটি ডলার। আগের বছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৫৬৮ কোটি টাকা, যা ৫ হাজার ৯৭ কোটি ডলারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ কম হয়েছিল।

রফতানিমুখী শিল্পসংশ্লিষ্টরা বলেছেন, ঈদুল ফিতরের সময়ে কারখানাগুলোয় কার্যাদেশ কম এসেছে। দীর্ঘায়িত ছুটির কারণেও রফতানি চালানের সংখ্যা কমে যায়। এ কারণে পণ্যদ্রব্য রফতানি নিম্নমুখী হয়, তবে ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে একে স্বাভাবিক ঘটনা বলেই উল্লেখ করেছেন।

এখন পণ্য রফতানিতে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা বাংলাদেশকে প্রতিযোগিতাসক্ষম রাখতে সহায়তা করছে। তবে ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হলে সেই সুবিধা আর থাকবে না। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ১৩তম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের যৌথ ঘোষণা অনুযায়ী, এলডিসি থেকে উত্তরণের পরও সংশ্লিষ্ট দেশগুলো তিন বছর শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা পাবে। এ সুবিধা আমদানি ও রফতানিকারক দেশের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এলডিসি হিসেবে আমরা যেসব সুযোগ-সুবিধা পাই, সেসব ভবিষ্যতে থাকবে না। তখন রফতানি বাড়াতে হলে নতুন কৌশল বা উদ্যোগ লাগবে। রফতানিতে অভ্যন্তরীণ সক্ষমতা বাড়াতে পণ্য ও সেবা বহুমুখীকরণ এবং বিনিয়োগ বাড়ানো প্রয়োজন। অন্যদিকে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুুক্তি করার জন্য সরকারের রাজনৈতিক সম্মতি লাগবে।

;

রিটেইল ব্যাংকিং সেবা সহজ করতে প্রাইম ব্যাংক-হিসাবী'র অংশীদারিত্ব



নিউজ ডেস্ক
রিটেইল ব্যাংকিং সেবা সহজ করতে প্রাইম ব্যাংক-হিসাবী'র অংশীদারিত্ব

রিটেইল ব্যাংকিং সেবা সহজ করতে প্রাইম ব্যাংক-হিসাবী'র অংশীদারিত্ব

  • Font increase
  • Font Decrease

রিটেইল ব্যাংকিং সেবাকে আরও সহজ করতে বাংলাদেশের দ্রুত প্রসারমান স্ট্যার্টআপ হিসাবীর সাথে অংশীদারিত্ব করেছে বেসরকারি প্রাইম ব্যাংক পিএলসি। সম্প্রতি উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।

এই অংশীদারিত্বের ফলে হিসাবী দোকান অ্যাপ ব্যবহারকারীরা এখন থেকে বাধাহীনভাবে প্রাইম ব্যাংকের বিভিন্ন সেবা গ্রহণ করতে পারবেন। এই চুক্তির ফলে রিটেইলারদের ব্যাংকিং অভিজ্ঞতায় এক দারুণ পরিবর্তন আসবে এবং লেনদেন আরও সহজ হবে।

প্রাইম ব্যাংকের কনজুমার ব্যাংকিং বিভাগের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নাজিম এ. চৌধুরী এবং হিসাবী'র পক্ষ থেকে রাকিন মোহাম্মদ সাভি (প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা) নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে চুক্তিতে সই করেন, যা রিটেইলারদের পেশাগত কাজের সাথে সরাসরি ব্যাংকিং সেবা যুক্ত করে তাদের ক্ষমতায়ন করার প্রতিশ্রুতি। ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তিকরণের লক্ষ্য অর্জন এবং হাসাবী'র রিটেইল নেটওয়ার্ককে আরও দক্ষ করে তুলতে এই চুক্তি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এবং নতুন নতুন উদ্ভাবন ও গ্রহক সেবা বাড়াতে উভয় প্রতিষ্ঠানের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।

;