ভেষজগুণসম্পন্ন উপকারী চা ‘ইয়েলো টি’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
টিপটে রাখা ইয়েলো টি। ছবি: বার্তা২৪

টিপটে রাখা ইয়েলো টি। ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

গ্রিন-টি এর মতোই উপকারী চা ‘ইয়েলো টি’। নিজস্বগুণাবলি দিয়ে এই চা সৌখিন চাপ্রেমীদের মনোযোগ আকর্ষণ করে চলেছে। ব্লাক-টি এর পরপরই জনপ্রিয় হয়েছে গ্রিন-টি। তবে বর্তমান সময়ে গ্রিন-টি’র সাথে পাল্লা দিয়ে ধীরে ধীরে বাড়ছে ইয়েলো টি’র চাহিদা।

ইয়েলো টি’র অনুবাদিত অর্থ হলুদ চা। তবে হলুদ চা থেকে ইয়েলো টি নামই অধিক পরিচিত। যদিও এর মূল্য চড়া কিন্তু গুণাগুন আর উপকারের দিক থেকে শীর্ষতার আসন দখল করে রেখেছে এই চা।

বর্হিবিশ্বের চা উৎপাদনকারী দেশগুলোতে এই ইয়েলো-টি চা জনপ্রিয় বলে জানিয়েছেন চা সংশ্লিষ্টরা। আমাদের দেশে এই নতুন পদ্ধতির চা অত্যন্ত সীমিত পরিসরে উৎপাদন এবং বিপণন করা হচ্ছে। তবে সর্বোচ্চ মূল্যেও সচল ইয়েলো টি।

বৃন্দাবন চা বাগানের তৈরিকৃত ইয়েলো টি চলতি বছর তুলনামূলক পরিচিত অর্জন করেছে। জানা গেছে, চলতি বছরের প্রথমদিকে শ্রীমঙ্গলের চা নিলাম কেন্দ্রে বৃন্দাবন চা বাগানের তৈরিকৃত ইয়েলো-টির ২ কেজির লটের সবটাই কেজি প্রতি ১২ হাজার ২০০ টাকা মূল্যে বিক্রি হয়েছিল।

ইয়েলো টি এর শুকনো পাতা। ছবি: বার্তা২৪

এই প্রসঙ্গে বৃন্দাবন চা বাগানের সিনিয়র ব্যবস্থাপক নাসির উদ্দিন খান বলেন, ‘ইয়েলো টির ভবিষ্যৎ ভালো। এখন আর অনেকেই অডিনারি (সাধারণ) চা পছন্দ করেন না। ২০/৩০ বছর আগে চা এর অবস্থা কিন্তু এখন নাই। আগে মানুষ শুধু ব্ল্যাকটির (কালো চা) উপর নির্ভর করতো। আর যারা খুব স্বাস্থ্য সচেতন তাদের কিছু অংশ গ্রিন-টি খেতো। কিন্তু বর্তমানে অনেক মানুষ চায়ের বৈচিত্র্য খুজেন। শুধু ব্লাক-টি বা গ্রিন-টি নয়। সেইসব মানুষের কথা চিন্তা করে বাণিজ্যিক ইয়েলো-টি তৈরি করেছি এবং ভালো ফলাফল পাচ্ছি। মার্কেটে এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে।’

ভারতের একটি চা কোম্পানি মনোহরী টি এস্টেট তারা হোয়াইট টি তৈরি করেছে। তারা সেই চা ৭৫ হাজার রুপীতে প্রতি কেজি বিক্রি করেছে। এর দাম পড়েছে বাংলাদেশী টাকায় ১ লক্ষ টাকা। সেখান থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আমি আমাদের বাগানে প্রথম গ্রিন-টি পরে ইয়েলো-টি তৈরি করলাম। শ্রীমঙ্গল যেহেতু পর্যটননগরী এবং চায়ের রাজধানী তাই সেখানে আমাদের বাগানের স্পেশাল চাগুলো বেশি চলছে বলে জানান তিনি।

বর্হিবিশ্বের কথা উল্লেখ করে বলেন, চীনে ৪তলা-৫তলা বিশিষ্ট চা ফ্যাক্টরিগুলো রয়েছে। একেক তলায় একেক টি তৈরি হচ্ছে। কোনোটায় ব্ল্যাকটি, কোনোটায় গ্রিন-টি আবার কোনোটায় ইয়েলো-টি। সেখানে আপনার পছন্দ মতো ফ্রি চা খেয়ে আপনি বিমুগ্ধ হয়ে শেষে চা কিনে নিয়ে আসবেন।

ইয়েলো টি’র লিকারসৌন্দর্য। ছবি: বার্তা২৪

চলতি বছর মে মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে আমাদের নতুন প্লাকিং (পাতা চয়ন) শুরু হবে। তখন আরো ব্যাপক পরিমাণে ইয়েলো-টি ম্যানিফ্যাকচারিং (প্রক্রিয়াজাতকরণ) করবো। তখন আমরা আমেরিকাতেও আমাদের এই চা রপ্তানি করে দেশের সম্মান রাখাতে পারবো বলে বিশ্বাস করি।

ইয়েলো-টি’র তৈরি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই চায়ের রঙটা খুব সুন্দর, হালকা হলুদ। বিশেষ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত লোকদের দিয়ে আমি এই চায়ের পাতাগুলো তুলি। আমার বাংলোতে চা পাতাগুলো এনে একটা একটা করে কুঁড়ি নির্বাচন করি। আসলে এটা তৈরি প্রচুর কষ্ট এবং সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। ধৈর্য্যের সাথে লেগে থাকতে হবে।

এই চায়ে লাভ প্রসঙ্গে এই টি-প্লান্টার বলেন, আমাদের ব্ল্যাকটির থেকে ইয়েলো-টি লাভজনক। ইয়েলো টিতে আমার ম্যানিফ্যাকচারিং কস্ট (প্রক্রিয়াজাতকরণ খরচ) প্রায় পাঁচ হাজার। অকশনে বিক্রি করছি আট-দশ হাজারের উপরে। গত চা মৌসুমে প্রায় সাত কেজি ইয়েলো টি বিক্রি করেছি। আগামীতে আমাদের টার্গেট হলো এক টন (১ হাজার) কেজি ইয়েলো-টি তৈরি করবো। এ চা এর জন্য আমি দুইটা সেকশন (চা বাগানের সুনির্দিষ্ট এলাকা) আলাদা করে রেখে দিয়েছি। ৪/৫ দিন পর পর প্লাকিং রাউন্ড (পাতা চয়ন চক্র) ঘুরে আসছে।

ইয়েলো-টি’র প্রধান উপকার হলো এটি ক্যান্সার প্রতিরোধক এবং হার্টের রোগ দূর করতে অগ্রণী ভূমিকা রাখে। হার্টের ব্লক থাকলে এটি নিয়মিত পান করণের ফলে সেই ব্লক ছুটে যাবে। অতিরিক্ত ব্ল্যাক-টি চা যেমন শরীরে কিছু ক্ষতি আছে এটার কোনো প্রকার ক্ষতি নেই বলে জানান বৃন্দাবন চা বাগানের সিনিয়র ব্যবস্থাপক নাসির উদ্দিন খান।

   

সিআইপি সম্মাননা পেলেন ‘স্নোটেক্স’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা এস এম খালেদ



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

টানা দ্বিতীয়বার বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) সম্মাননা পেলেন ‘স্নোটেক্স’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব এস এম খালেদ।

‘স্নোটেক্স’ গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব এস এম খালেদ-এর পক্ষে এ সম্মাননা গ্রহণ করেন স্নোটেক্স গ্রুপের পরিচালক জনাব সৌমিত্র ঘোষ পার্থ।

বৃহস্পতিবার (৯ই মে) বিকেলে রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লু’তে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত সিআইপি (রফতানি) ও সিআইপি (ট্রেড)- ২০২২ কার্ড প্রদান অনুষ্ঠানে সম্মাননা স্মারক এবং সিআইপি কার্ড প্রদান করা হয়।

দেশের রফতানি বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার প্রেক্ষিতে সরকার কর্তৃক রফতানি বিভাগের সম্মানিত ব্যক্তি হিসেবে সিআইপি সম্মাননা গ্রহণ প্রদান করা হয়ে থাকে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী জনাব আহসানুল ইসলাম টিটু। এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই-এর সভাপতি জনাব মাহবুবুল আলম। সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জনাব তপন কান্তি ঘোষ।

‘স্নোটেক্স’ গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক জনাব এস এম খালেদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাস করে সাংবাদিকতায় কর্মজীবন শুরু করেন। পরবর্তীতে চাকরি ছেড়ে ১৯৯৮ সাল থেকে সরাসরি ব্যবসায় মনোনিবেশ করেন তিনি। তার দক্ষ নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে তৈরি পোশাক রফতানি প্রতিষ্ঠান 'স্নোটেক্স গ্রুপ'। বর্তমানে ‘স্নোটেক্স’ চারটি বড় কারখানার একটি প্রতিষ্ঠান। রফতানির পাশাপাশি স্থানীয় বাজারের জন্য তিনি গড়ে তোলেন লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড ‘সারা লাইফস্টাইল’। এস এম খালেদের গড়ে তোলা স্নোটেক্স গ্রুপের সবগুলো প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে কাজ করেন ২০ হাজারের বেশি কর্মী।

উল্লেখ্য, ‘স্নোটেক্স’ ২০০০ সালে বায়িং হাউজের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করে। ২০০৫ সালে নিজেদের প্রথম কারখানা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করে ‘স্নোটেক্স অ্যাপারেলস’। সেই সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ২০১১ সালে ‘কাট অ্যান্ড সিউ’ এবং ২০১৪ সালে ‘স্নোটেক্স আউটারওয়্যার লিমিটেড’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। সর্বশেষ ২০২০ সালে ‘স্নোটেক্স স্পোর্টসওয়্যার লিমিটেড’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। বর্তমানে ‘স্নোটেক্স’ চারটি বড় কারখানার একটি প্রতিষ্ঠান।

এরই মধ্যে স্নোটেক্স আউটারওয়্যার গ্রিন ফ্যাক্টরি হিসেবে অর্জন করেছে ইউএসজিবিসির লিড প্লাটিনাম সার্টিফিকেটে। পাশাপাশি গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে ‘হেলথ অ্যান্ড সেফটি’ অ্যাওয়ার্ডসহ প্রতিষ্ঠানটি জাতীয় ট্যাক্সকার্ড ও সেরা করদাতা সম্মাননা-২০২২, জাতীয় রফতানি ট্রফি ২০২০-২১, বাংলাদেশ বিজনেস অ্যাওয়ার্ড-২০১৯, জাতীয় রফতানি ট্রফি ২০১৯-২০, ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২১, পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি উত্তম চর্চা পুরস্কার-২০১৭, ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড-২০২০, এসডিজি অ্যাওয়ার্ড, বেস্ট প্র্যাকটিস অ্যাওয়ার্ড-২০১৮ অর্জন করেছে ‘স্নোটেক্স’।

;

ইসলামী ব্যাংকের বরিশাল জোনের কর্মকর্তা সম্মেলন অনুষ্ঠিত



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির বরিশাল জোনের কর্মকর্তাদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার ( ১০ মে) বরিশালের জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

ব্যাংকের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুহাম্মদ মুনিরুল মওলা সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন। ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ মাকসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর জে কিউ এম হাবিবুল্লাহ, এফসিএস এবং সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ রফিকুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বরিশাল জোনপ্রধান মোঃ আব্দুস সোবহান। সম্মেলনে ব্যাংকের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান ও মোঃ নুরুজ্জামানসহ বরিশাল জোনের অধীন শাখাসমূহের প্রধান, উপশাখা ইনচার্জ ও সর্বস্তরের কর্মকর্তা- কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন।

;

রফতানি ও বাণিজ্যে ১৮৪ ব্যবসায়ী পেলেন সিআইপি সম্মাননা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রফতানি বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৮৪ ব্যক্তিকে রফতানি ও বাণিজ্যে সিআইপি- ২০২২ কার্ড প্রদান করেছে সরকার।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) বিকালে রেডিসন ব্লু ঢাকা ওয়াটার গার্ডেনে প্রধান অতিথি বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ১৮৪ ব্যক্তিকে রফতানি ও বাণিজ্যে সিআইপি- ২০২২ কার্ড প্রদান করেন।

দেশের রফতানিকারক, শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে উৎসাহ, উদ্দীপনা ও পারস্পরিক সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার আবহ সৃষ্টি করতে সিআইপি কার্ড প্রদান করা হয়। নীতিমালা অনুযায়ী ২০২২ সালের জন্য ২২টি খাতের মধ্যে ১৮টি পণ্য ও সেবা খাত এবং ইপিজেডভুক্ত "সি” ক্যাটাগরিতে মোট ১৪০ জনকে সিআইপি (রফতানি) এবং ৪৪ জন ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে সিআইপি (ট্রেড) সম্মানে ভূষিত করা হয়।

এ বছর পণ্য ও সেবা সংশ্লিষ্ট ২০টি খাতে মোট ৩২৮টি আবেদন পাওয়া যায়। মেলামাইন ও জাহাজ নির্মাণ শিল্প খাতে কোন আবেদন পাওয়া যায়নি। ন্যূনতম আয়ের নিচে রফতানি আয় হওয়ায় চা খাতের ১টি আবেদন অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়।

রফতানিতে কাঁচাপাট শিল্পে ২ জন, পাটজাত পণ্যে ৪ জন, স্পেশালাইজড/হোমটেক্সটাইল পণ্য ৪ জন, তৈরী পোশাক (নিটওয়্যার) ৩৪ জন, চামড়াজাত দ্রব্য ৬ জন, সিরামিক পণ্য ১ জন, হিমায়িত খাদ্য ৪ জন, প্লাষ্টিকজাত পণ্য ৪ জন, তৈরী পোশাক (ওভেন) ১৮ জন, টেক্সটাইল (ফেব্রিক্স) ৭ জন, কৃষিজাত দ্রব্য ৫ জন, কম্পিউটার সফ্টওয়্যার ২ জন, এগ্রোপ্রসেসিং ৫ জন, আসবাবপত্র ১ জন, হালকা প্রকৌশলী পণ্য ৪ জন, ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্য ৩ জন, বিবিধ পণ্য ২৭ জন, হস্তশিল্পজাত পণ্য ৪ জন ও ইপিজেডভুক্ত সি ক্যাটাগরিতে ৫ জন। এছাড়া ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ (ট্রেড ক্যাটাগরি) তে ৪৪ জনকে সিআইপি কার্ড প্রদান করা হয়েছে।

সিআইপি (রফতানি)-২০২২ নির্বাচনের ক্ষেত্রে সিআইপি (রফতানি) নীতিমালা-২০১৩ অনুসরণ করা হয়। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর মহাপরিচালকের নেতৃত্বে প্রাথমিক বাছাই কমিটি এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রফতানি) এর নেতৃত্বে চূড়ান্ত বাছাই/নির্বাচন কমিটির মাধ্যমে প্রতিটি আবেদনপত্র মূল্যায়ন করা হয়।

আবেদনপত্র মূল্যায়নের ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠানের রফতানি আয় এবং নতুন বাজারে প্রবেশ ইত্যাদি বিষয় বিবেচনা করা হয়। এছাড়া রফতানিকারকের বাণিজ্য বিরোধের সংশ্লিষ্টতা, আয়কর, ভ্যাট, শুল্ক এবং ঋণ গ্রহণ/পরিশোধ ইত্যাদি সম্পর্কিত বিষয়াদিও যাচাই করা হয়। খেলাপি ঘোষিত আবেদনকারীদের আবেদন চূড়ান্ত মূল্যায়নে বিবেচনা করা হয় না।

সিআইপি (রফতানি) হিসেবে নির্বাচিত ব্যবসায়ীবৃন্দ বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য প্রবেশ পাশ ও গাড়ির স্টিকার প্রাপ্তি, জাতীয় অনুষ্ঠান ও মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের নাগরিক সম্বর্ধনায় আমন্ত্রণ প্রাপ্তি, ব্যবসা সংক্রান্ত ভ্রমণে বিমান, রেলপথ, সড়ক ও জলপথে সরকারি যানবাহনে আসন সংরক্ষণে অগ্রাধিকার, ব্যবসায়িক কাজে বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে Letter of Introduction প্রাপ্তি, নির্বাচিত সিআইপি তার স্ত্রী, পুত্র, কন্যা ও নিজের চিকিৎসার জন্য সরকারি হাসপাতালে কেবিন প্রাপ্তির অগ্রাধিকার এবং বিমান বন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ-২ ব্যবহার সুবিধা পেয়ে থাকেন।

সরকারিভাবে প্রদত্ত সিআইপি কার্ডধারী ব্যক্তি বিদেশী ক্রেতার কাছে আস্থা ও সুনামের সাথে তার ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক গ্রহণযোগ্যতা তুলে ধরতে পারেন যা তার ব্যবসায়িক সম্পর্ককে সুদৃঢ় করার পাশাপাশি দেশের সার্বিক রফতানি প্রসারে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে।

রফতানি খাতে অবদানের জন্য ১ বছর মেয়াদে সিআইপি (রফতানি) নির্বাচন করা হয়ে থাকে। তবে বর্তমানে নির্বাচিত সিআইপিবৃন্দ পরবর্তী বছরের সিআইপি (রফতানি) ঘোষণার পূর্ব পর্যন্ত সিআইপি (রফতানি) মর্যাদায় ভূষিত থাকবেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই-এর সভাপতি মাহবুবুল আলম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান।

;

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা ৬ জুন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা ৬ জুন

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা ৬ জুন

  • Font increase
  • Font Decrease

 

আগামী ৬ জুন ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব সংসদে পেশ করা হবে। অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী জাতীয় সংসগে এ বাজেট উত্থাপন করবেন। 

বৃহস্পতিবার (৯ মে) অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘আগামী ৬ জুন, জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট উত্থাপনের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। বাজেট পেশের দিনক্ষণ ঠিক করে ইতোমধ্যে কর্মকর্তাদের দায়িত্ব বন্টন করে দেওয়া হয়েছে।’

অর্থ বিভাগ সূত্র জানায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট হবে প্রায় ৮ লাখ কোটি টাকার, যা হবে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ আকারের বাজেট।

এবারের বাজেটে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বা মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাচ্ছে বলে ওই কর্মকর্তা জানান।

সূত্র: বাসস

;