৬ লাখ ৩ হাজার কোটি টাকার বাজেট যা থাকছে



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের ইতিহাসের ৫০তম বাজেট এবং আওয়ামী লীগ সরকারের ২১তম বাজেট উত্থাপন হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার (৩ জুন) ৩ বিকেল ৩ টায়। বর্তমান সরকারের তৃতীয় বাজেট অধিবেশন হবে এটি। অর্থমন্ত্রী হিসেবে আ হ ম মুস্তফা কামালেরও তৃতীয় বাজেট। প্রস্তাবিত বাজেটের মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘জীবন ও জীবিকার প্রাধান্য, আগামীর বাংলাদেশ’।

বাজেট অধিবেশনকে ঘিরে সংসদ সচিবালয়ের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন  হয়েছে। করোনা প্রকোপের কারণে এবারও স্বল্প সময়ে বড় আকারের বাজেট পাস হতে পারে। এবার বাজেটের আকার ৬ লাখ ২ হাজার ৮৮১ কোটি টাকা। যা মোট জিডিপির ১৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ। এটি চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ৬৪ হাজার ৬৯৮ কোটি টাকা বেশি। এবার বাজেটের রাজস্ব আহরণের বড় অংশ বৈদেশিক অনুদান নির্ভর। এবার সর্বোচ্চ ৯০ হাজার কোটি টাকা বৈদেশিক অনুদান থেকে সংস্থান করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার।

চলতি ২০২০-২০২১ অর্থ বছরের বাজেট ছিল ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার। আর স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বাজেট অর্থাৎ ১৯৭২-৭৩ সালে বাজেটের আকার ছিল মাত্র ৭৮৬ কোটি টাকা। দেশের প্রথম বাজেট উত্থাপন করেন তাজউদ্দীন আহমেদ।

করোনা অতিমারির মধ্যে এবারও কঠোর বিধিবিধান মেনে চলবে বাজেট অধিবেশন। সংক্ষিপ্ত সময়ে শেষ হবে বাজেট অধিবেশন। আগামী ২ জুন শুরু হয়ে ৩ জুলাইয়ের মধ্যে শেষ হতে পারে বাজেট অধিবেশন। তবে সবকিছু নির্ভর করছে কার্যউপদেষ্টা কমিটির সিদ্ধান্তের ওপর।

নতুন (২০২১-২০২২) অর্থবছরের বাজেট কেমন হবে কোন খাত থেকে রাজস্ব আসবে বিস্তারিত তুলে ধরা হলো।

কেমন হবে ২০২১-২০২১ অর্থবছরের বাজেট:

করোনাকালে ব্যবসা-বান্ধব বাজেট দিতে যাচ্ছে সরকার। মহামারী করোনা যে আর্থিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল তা কাটিয়ে উঠতে কর এবং ভ্যাট ছাড়ের বিশাল বাজেট আসছে। বাজেটে কর এর বোঁঝা না বাড়ায় স্বস্তি পাবেন ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষ। তাছাড়া কর দিতে গিয়ে ব্যবসায়ীরা যে সমস্যায় পড়েন সেগুলো সমাধানে আসছে একগুচ্ছ পরিকল্পনা। ব্যবসায়ীরা পুরোপুরি হয়রানিমুক্তভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে যেতে পারবেন। তবে যে ব্যক্তির যত বেশি সম্পদ তাকে তত বেশি কর দিতে হবে। তাই আসন্ন বাজেটে সম্পদশালীদের সার্চ চার্জ অর্থাৎ সম্পদের কর পুনঃনির্ধারণ করা হবে। দাম বাড়বে বিলাসী পণ্যের দাম কমবে ভোগ্যপণ্য পণ্যের।

বাজেটের অর্থসংস্থান:

বাজেটে অর্থসংস্থানের জোর দেয়া হচ্ছে রাজস্ব আহরণ, বৈদেশিক ঋণ এবং অনুদান। এবারের সর্বোচ্চ ৯০ হাজার কোটি টাকা বৈদেশিক অনুদান থেকে বাজেটে অর্থসংস্থানের করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এছাড়া কর আদায়ে সক্ষম ব্যক্তিদের কর নেট এর আওতায় নিয়ে আসা হবে। অর্থনীতি সচল রাখতে এবারও ‘কর’ ছাড় দিয়ে ব্যবসা বান্ধব বাজেট দিতে যাচ্ছে সরকার।

শিল্প প্রতিষ্ঠান সচল রেখে উৎপাদন এবং রপ্তানি কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে বিনিয়োগ কারীদের নীতিগত সহায়তা প্রদান করা হবে। নতুন করে কোন খাতে ভ্যাট বা করারোপ করা হচ্ছে না। করোনার কারণে সারা বিশ্বের অর্থনীতি যেখানে চাপের মুখে রয়েছে বিভিন্ন প্যাকেজ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে।

করোনার দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয় চাপ যাই আসুক না কেন সেটি মোকাবিলা করার জন্যই এই বাজেট প্রস্তুত করা হয়েছে। মহামারী করোনার ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়াবে এটাই আমাদের বিশ্বাস বলেন এম সাদরুল আহমেদ খান।

ঘাটতি বাজেট

আয় ও ব্যয়ের মধ্যে ব্যবধান বেড়ে যাওয়ায় আগামী বাজেটে ঘাটতির পরিমাণও অনেক বেড়েছে। আগামী বছর অনুদানসহ ঘাটতির পরিমাণ ৬ দশমিক ১ শতাংশ চূড়ান্ত করা হয়েছে। টাকার অংকে ২ লাখ ১১ হাজার ১৯১ কোটি টাকা। আর অনুদান ছাড়া ঘাটতির পরিমাণ হচ্ছে ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। যা জিডিপির ৬ দশমিক ২ শতাংশ। যেখানে চলতি অর্থবছরে অনুদানসহ ঘাটতির পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৮৫ হাজার ৯৮৭ কোটি টাকা। যা জিডিপির ৫.৯ শতাংশ। আর চলতি অর্থবছরে অনুদান ব্যতীত সামগ্রিক ঘাটতি ছিল ১ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকা। যা জিডিপির ৬ শতাংশ।

দাম বাড়বে কমবে যেসব পণ্যের:

ব্যবসা-বাণিজ্যকে চাঙ্গা করতে একগুচ্ছ সুযোগ সুবিধা দিয়ে আসছে নতুন বাজেট। জীবন রক্ষাকারী ওষুধ এবং ওষুধের কাঁচামালে শুল্ক কমবে। বাড়বে গাড়ির মতো বিলাসী পণ্যের দাম। স্বাস্থ্য সুরক্ষার সকল পণ্যের দাম কমবে, তবে বাড়বে সিগারেট, বিড়ি, জর্দাসহ সকল তামাকপণ্যের দাম। তাছাড়া  দামি কসমেটিকস পণ্যের আমদানিতে শুল্ক বাড়লেও কমবে নিত্যপণ্যে আমাদানি শুল্ক যেমন চাল, ডাল, পিঁয়াজ ইত্যাদি আমদানিতে শুল্ক কমবে। এছাড়া ব্যবসায়ীরা নতুন বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান ভূমিকা রাখতে পারলে তারাও কর এবং ভ্যাট মুক্তির সুবিধা পাবেন।

আমদানি পর্যায়ে অ্যাডভান্স ট্যাক্স অর্থাৎ এটি কমানোর চিন্তা করছে সরকার। বর্তমানে কাঁচামাল আমদানিতে ৪ শতাংশ এটি দিতে হয় অর্থাৎ অ্যাডভান্স ট্যাক্স দিতে হয়। এটি ৩ শতাংশে নামিয়ে আনার চিন্তা করা হচ্ছে, যার ফলে ব্যবসায়ীদের হাতে নগদ অর্থ ও ক্যাশ ফ্লো দুটোই বাড়বে।

বাজেটে আরও যা থাকছে:

আভ্যন্তরীণ উৎপাদন ও কর্মসংস্থান দুটোই বাড়াতে কর্পোরেট টেক্স ২ দশমিক ৫  শতাংশ কমাতে চায় সরকার। এই সুবিধা পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত এবং তালিকাভুক্তবিহীন উভয় কোম্পানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। তবে ব্যাংক-বীমা নন ব্যাংকিং ফিনান্সিয়াল ইনস্টিটিউট, টেলিফোন কোম্পানি এবং তামাকজাত কোম্পানির ক্ষেত্রে কর্পোরেট ট্যাক্সের হার অপরিবর্তিত থাকবে। ব্যক্তি ক্ষেত্রে করনেটের  আয়সীমা অপরিবর্তিত থাকবে। বর্তমানে কর বিহীন আয়সীমা ৩ লক্ষ টাকা। তবে আয়কর দাখিল রিটার্ন বাড়ানোর ক্ষেত্র অব্যাহত থাকবে। সকল টিআইএনধারীদের আয়কর রিটার্ন এর আওতায় আনতে চায় সরকার।

কালো টাকা সাদা করার সুযোগ:

এবারও কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া হতে পারে। শেয়ারবাজার চাঙ্গা করার জন্য রয়েছে একগুচ্ছ পরিকল্পনা। হয়তো কাল টাকা সাদা করার সুযোগ থাকতে পারে শেয়ার মার্কেটে। ব্যবসায়ীদের ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল অর্থাৎ চলতি পুঁজি বাড়ানোর জন্য উৎসে কর কমানোর পরিকল্পনা রয়েছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ীদের ভ্যাটমুক্ত সীমা ৫০ লক্ষ টাকা অপরিবর্তিত থাকবে। তবে কর সংগ্রহ ও বাড়ানোর জন্য স্বয়ংক্রিয় ব্যবস্থার ওপর জোর দেবে সরকার। আগামী অর্থবছর থেকে অনলাইনে ভ্যাট প্রদান করা বাধ্যতামূলক করা হবে। ই-পেমেন্ট ব্যবস্থা আরো জোরদার করা হবে। ভ্যাট এর আওতা বাড়াতে ইলেকট্রিক্যাল ডিভাইস এর আওতা আরো বাড়ানো হবে।

সার্চচার্জে নতুন পরিকল্পনা:

সম্পদশালীদের সারচার্জ অর্থাৎ সম্পদের ট্যাক্স ন্যূনতম সার্চচার্জ বাতিল করে নতুন স্লাব গঠন করা হবে। ক্ষুদ্র মাঝারি ও নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বার্ষিক লেনদেনে থাকছে বিশেষ ছাড়। ব্যক্তি পর্যায়ে কর সীমায় বর্তমানে নিজ সম্পদের পরিমান তিন কোটি টাকা হলে সার্চ চার্জ  দিতে হয় না। তবে ৩-৫  কোটি টাকা  পর্যন্ত হলে ১০ শতাংশ বা নূন্যতম ৩ হাজার ট্যাক্স দিতে হয়। এছাড়া রাজস্ব আদায়ের ক্ষেত্রে কঠোরতা আসছে। বছরে ১০০ কোটি টাকা  লেনদেন হয় এমন প্রতিষ্ঠান জন্য ব্যাংকিং ডাটা এক্সপোর্ট-ইম্পোর্ট,ভ্যাট রিটার্ন ডাটা এনালাইসিস করার জন্য  করার জন্য বিজনেস  ইন্টেলিজেন্স সফটওয়্যার প্রচলন করা হচ্ছে। যেটা পরবর্তীতে অডিটের ক্ষেত্রে কাজে লাগবে।

   

আইবিএ মুবারক আলী কেইস সেন্টারের উদ্বোধন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়েছে আইবিএ মুবারক আলী কেইস সেন্টার। 

মুবারক আলী ফাউন্ডেশন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (আইবিএ) যৌথ এ উদ্যোগে দেশের ব্যবসায় শিক্ষাক্ষেত্রে এক উল্লেখযোগ্য মাইলফলক অর্জিত হয়েছে।

শুক্রবার (০৩ মে) দ্য ইন্টারকন্টিনেন্টাল ঢাকায় অনুষ্ঠিত এক আয়োজনে মুবারক আলী কেইস সেন্টারের উদ্বোধন করা হয়।

আইবিএ ক্যাম্পাসে ফিতা কাটার মাধ্যমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- দেশের শিক্ষা ও ব্যবসা খাতের স্বনামধন্য ব্যক্তিবর্গ। আইবিএ মুবারক আলী কেইস সেন্টার শিক্ষাক্রমের সাথে প্রাসঙ্গিক ব্যবসায়িক কেস স্টাডি একীভূত করার মাধ্যমে দেশের ব্যবসায়িক শিক্ষায় ইতিবাচক পরিবর্তন নিয়ে আসবে এবং বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী যেন দেশে ব্যবসায়িক শিক্ষাখাত বিস্তৃত হতে পারে এক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করবে।

এ উদ্যোগ গ্রহণের পেছনের কারণ তুলে ধরে মুবারক আলী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা আমরীন বশির আলী ও তানভীর আলী বলেন, আইবিএ মুবারক আলী কেইস সেন্টারটি শুধু একাডেমিক প্রতিষ্ঠান হিসেবেই ভূমিকা রাখবে এমন নয়, পাশাপাশি এ সেন্টার প্রাসঙ্গিক ও বাস্তবসম্মত শিক্ষার পরিসর বিস্তৃতিতে আলোকবর্তিকা হিসেবে কাজ করবে।

অংশীদারিত্বমূলক এ উদ্যোগের গুরুত্ব তুলে ধরে আইবি'র পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মাদ এ. মোমেন বলেন, হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল ও ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট বেঙ্গালুরুর মতো স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে অংশীদারিত্ব আমাদের শিক্ষাক্রম এবং শিক্ষাদান পদ্ধতি সমৃদ্ধ করতে এবং দেশে ব্যবসায় শিক্ষাক্ষেত্রে নতুন নজির স্থাপনে অনন্য ভূমিকা রাখবে।

বাংলাদেশের ব্যবসাখাতের ওপর আলোকপাত করে কেস স্টাডি তৈরি ও প্রকাশে কাঠামো তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল পাবলিশিং ও ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্টের সাথে এ অংশীদারিত্ব। এর মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে যেন শিক্ষার্থীরা উদীয়মান বাজারের বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ ও সুযোগ সম্পর্কে ধারণা ও জ্ঞান অর্জন করতে পারেন।

এ অংশীদারিত্ব হার্ভার্ড বিজনেস পাবলিশিং এডুকেশনের দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক পরিচালক দিব্যেশ মেহতা বলেন, আমরা আইবিএ মুবারক আলী কেইস সেন্টারের সাথে অংশীদারিত্ব করতে পেরে আনন্দিত। এ উদ্যোগ বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের ব্যবসাখাতের সম্ভাবনা তুলে ধরবে; পাশাপাশি, শিক্ষার ক্ষেত্রে অর্থবহ অংশীদারিত্ব কীভাবে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে তারও অনন্য উদাহরণ তৈরি করবে। একসাথে আমরা সাফল্যগাঁথা রচনা করছি; আর এর শেকড় প্রাসঙ্গিকতা ও রূপান্তরমূলক শিক্ষাগত অভিজ্ঞতার ভেতরে নিহিত রয়েছে।

ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট বেঙ্গালুরুর (আইআইএমবি) ডিসিশন সাইন্সেস ফ্যাকাল্টির ডিন অধ্যাপক ইউ দীনেশ কুমার বলেন, আইআইএম বেঙ্গালুরু (আইআইএমবি) আইবিএ মুবারক আলী কেইস সেন্টারের সাথে গুরুত্বপূর্ণ এ অংশীদারিত্বমূলক উদ্যোগ গ্রহণ করতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। এ অংশীদারিত্ব বাংলাদেশের ব্যবসায়িক মডেলের কার্যকারিতা বৈশ্বিক পর্যায়ে তুলে ধরার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে। কেস স্টাডি তৈরির পরিবেশ তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা রাখার মাধ্যমে এ অংশীদারিত্ব বিশ্বব্যাপী প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ধারণা প্রদান করবে।

তিনি বলেন, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ লি. এর প্রতিষ্ঠাতা এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে মুবারক আলী বিগত চার দশকে সফলভাবে একটি অনবদ্য প্রতিষ্ঠানকে সাফল্যের সর্বোচ্চ চূড়ায় প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। আজ মুবারক আলীর অন্তর্ধানের এক বছর পূর্তি। তার সাফল্যমণ্ডিত জীবন ও কর্মের স্মরণে আইবিএ মুবারক আলী কেইস সেন্টার প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ ধরনের উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষা, শিল্পকলা ও স্থাপত্যে টেকসই উন্নয়ন এবং উৎকর্ষ অর্জনে কাজ করে যাচ্ছে মুবারক আলি ফাউন্ডেশন। শিল্পকলার ক্ষেত্রে এ ফাউন্ডেশন লন্ডনে ফ্রিজ আর্ট ফেয়ার ইমার্জিং আর্টিস্ট প্রাইজে সহায়তা করে যাচ্ছে। এ অঞ্চলগুলোর প্রতি ফাউন্ডেশনের প্রতিশ্রুতি কমিউনিটির উন্নয়ন ও সামাজিক দায়বদ্ধতার প্রতি প্রয়াত মুবারক আলীর নিষ্ঠা ও নিবেদনকেই প্রতিফলিত করে।

ইতিবাচক পরিবর্তন আনার ক্ষেত্রে আগত অতিথিদের উদ্যম ও উৎসাহ প্রকাশের মাধ্যমে অনুষ্ঠানটি শেষ হয়। আইবিএ মুবারক আলী কেইস সেন্টারের উদ্বোধন বাংলাদেশে ব্যবসায় শিক্ষার অগ্রগতির ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে ভূমিকা রাখবে। এ উদ্যোগ দেশে নতুন প্রজন্মের নেতৃত্ব তৈরিতে ভূমিকা পালন করবে, যারা দেশে ও বিশ্বব্যাপী ব্যবসার ভবিষ্যৎ আকৃতিদানে ভূমিকা পালন করবে বলে মন্তব্য সকলের। 

;

সিলেটে অনুষ্ঠিত হলো এয়ার এ্যাস্ট্রা’র বিজনেস পার্টনার মিট



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
সিলেটে অনুষ্ঠিত হলো এয়ার এ্যাস্ট্রা’র বিজনেস পার্টনার মিট

সিলেটে অনুষ্ঠিত হলো এয়ার এ্যাস্ট্রা’র বিজনেস পার্টনার মিট

  • Font increase
  • Font Decrease

এয়ার এ্যাস্ট্রা’র সম্মানিত ট্রেড পার্টনারদের সৌজন্যে ০২ মে বৃহস্পতিবার, সিলেট এর রোজ ভিউ হোটেল এক মতবিনিময় সভা’র আয়োজন করা হয়।

‘এয়ার এ্যাস্ট্রা বিজনেস পার্টনার মিট’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানে সিলেটের বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সির প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এয়ার এ্যাস্ট্রার চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার ইমরান আসিফ, চিফ কমার্শিয়াল অফিসার সোহেল মাজিদসহ প্রতিষ্ঠানটির অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।

এয়ার এ্যাস্ট্রা’র সিইও ইমরান আসিফ বলেন, বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের গন্তব্য সিলেট এয়ার এ্যাস্ট্রা’র জন্য গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য। বর্তমানে এই রুটে প্রতিদিন দুটি ফ্লাইট পরিচালনা করছে এয়ার এ্যাস্ট্রা, যাত্রী চাহিদা বৃদ্ধি পেলে খুব শিঘ্রই আরও ফ্লাইট এই রুটে যুক্ত করা হবে।

সিলেটের পাশাপাশি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম রুটে চারটি, কক্সবাজার রুটে চারটি ও সৈয়দপুর রুটে প্রতিদিন তিনটি ফ্লাইট পরিচালনা করছে এয়ার এ্যাস্ট্রা। এয়ার এ্যাস্ট্রা সম্মানিত যাত্রীদের সুবিধার্থে ইন-ফ্লাইট ম্যাগাজিন ও শিশুদের জন্য ফানবুক প্রদান করে থাকে।

যাত্রীরা ফ্লাইট টিকিট এয়ার এ্যাস্ট্রা’র ওয়েবসাইট, মোবাইল অ্যাপস, সেলস অফিস, অনলাইন ও অফলাইন্ ট্রাভেল এজেন্সি থেকে ক্রয় করতে পারবেন। এয়ার এ্যাস্ট্রা’র বহরে বর্তমানে তিনটি এটিআর ৭২-৬০০ এয়ারক্রাফট রয়েছে, যা ফ্রান্সে নির্মিত সর্বাধুনিক প্রযুক্তির টার্বোপ্রপ এয়ারক্রাফট এবং ৭০ জন যাত্রী বহন করতে সক্ষম। খুব শিঘ্রই আন্তর্জাতিক রুটেও ডানা মেলবে এয়ার এ্যাস্ট্রা।

;

ভর্তুকি কমাতে বছরে চারবার বাড়বে বিদ্যুতের দাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভর্তুকি কমিয়ে আনতে বছরে চারবার বিদ্যুতের দাম সমন্বয় করবে সরকার। পর্যায়ক্রমে আগামী তিন বছর এভাবেই বাড়ানো হবে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) সচিবালয়ে আইএমএফের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে সরকারের বিদ্যুৎ বিভাগ এ কথা জানিয়েছে।

জানা গেছে, চলতি মাসে আবারও বাড়তে পারে জ্বালানি তেলের মূল্য। বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে মূল্য বাড়াবে। তবে বিশ্ববাজারে কমলে এখানেও কমানো হবে। এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার একটি নির্দেশিকা জারি করেছে।

সমন্বয়ের নামে মূলত বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হচ্ছে জানিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকার খরচ কমিয়েও ভর্তুকি সমন্বয় করতে পারে। অনিয়ম, দুর্নীতি, অপচয় রোধ করে বিদ্যুতের উৎপাদন খরচ কমানোর দিকে সরকারের মনোযোগ নেই। বরং চাহিদা না থাকলেও দরপত্র ছাড়া একের পর এক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করে এ খাতের খরচ আরও বাড়াচ্ছে।

আইএমএফের প্রতিনিধিদল বৃহস্পতিবার জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ, পেট্রোবাংলা, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) সঙ্গেও বৈঠক করেছে। বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, পেট্রোবাংলা ও বিপিসি প্রায় একইভাবে আইএমএফকে জানিয়েছে, গ্যাস ও জ্বালানি তেলে নতুন করে ভর্তুকির চাপ নেই। তেলের দাম নিয়ে স্বয়ংক্রিয় যে পদ্ধতি (আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়লে দেশে বাড়বে, কমলে কমবে) চালু করার কথা আইএমএফ বলেছিল, তা হয়েছে। প্রতি মাসে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হচ্ছে। এতে জ্বালানি তেলে আর কখনো ভর্তুকি দিতে হবে না। প্রথম দুই দফায় দাম কিছুটা কমানো হলেও শেষ দফায় দাম বেড়েছে। তিন মাস ধরে এ চর্চা করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, এ বছর বিদ্যুতের মূল্য আরও কয়েক দফা সমন্বয় করা হবে। এভাবে আগামী তিন বছর চলবে। তবে কোন মাসে সমন্বয় করা হবে এখনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।

জ্বালানি তেলের মূল্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে সমন্বয় করা হবে। তবে আমার কাছে মনে হচ্ছে সমন্বয় করা হলেও জ্বালানি তেলের মূল্য খুব বাড়বে না। তবে পরিবর্তন হলে সেটি নির্ভর করবে বৈশ্বিক বাজারের ওপর।

জানা গেছে, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা আসার পর এ পর্যন্ত বিদ্যুতের মূল্য বেড়েছে ১৩ বার।

;

এপ্রিলে পণ্য রফতানি কমেছে ৪ কোটি ডলার



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশ থেকে গত এপ্রিলে পণ্য রফতানি থেকে আয় এসেছে ৩ হাজার ৯১৬ দশমিক ৯৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। এই রফতানি গত বছরের একই সময়ের তুলনায় শূন্য দশমিক ৯৯ শতাংশ কম।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রকাশিত হালনাগাদ পরিসংখ্যান থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

এপ্রিলে ৪৭১ কোটি ডলার রফতানি লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম হয়েছে ১৬ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে পণ্য রফতানিতে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩ দশমিক ৯৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে, এ সময়ে মোট রফতানির মূল্য ৪ হাজার ৭৪৭ কোটি ডলার। আগের বছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ৫৬৮ কোটি টাকা, যা ৫ হাজার ৯৭ কোটি ডলারের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৬ দশমিক ৮৭ শতাংশ কম হয়েছিল।

রফতানিমুখী শিল্পসংশ্লিষ্টরা বলেছেন, ঈদুল ফিতরের সময়ে কারখানাগুলোয় কার্যাদেশ কম এসেছে। দীর্ঘায়িত ছুটির কারণেও রফতানি চালানের সংখ্যা কমে যায়। এ কারণে পণ্যদ্রব্য রফতানি নিম্নমুখী হয়, তবে ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে একে স্বাভাবিক ঘটনা বলেই উল্লেখ করেছেন।

এখন পণ্য রফতানিতে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা বাংলাদেশকে প্রতিযোগিতাসক্ষম রাখতে সহায়তা করছে। তবে ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) তালিকা থেকে বেরিয়ে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হলে সেই সুবিধা আর থাকবে না। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) ১৩তম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের যৌথ ঘোষণা অনুযায়ী, এলডিসি থেকে উত্তরণের পরও সংশ্লিষ্ট দেশগুলো তিন বছর শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা পাবে। এ সুবিধা আমদানি ও রফতানিকারক দেশের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে।

অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এলডিসি হিসেবে আমরা যেসব সুযোগ-সুবিধা পাই, সেসব ভবিষ্যতে থাকবে না। তখন রফতানি বাড়াতে হলে নতুন কৌশল বা উদ্যোগ লাগবে। রফতানিতে অভ্যন্তরীণ সক্ষমতা বাড়াতে পণ্য ও সেবা বহুমুখীকরণ এবং বিনিয়োগ বাড়ানো প্রয়োজন। অন্যদিকে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য চুুক্তি করার জন্য সরকারের রাজনৈতিক সম্মতি লাগবে।

;