শিক্ষার্থীদের জন্য ওয়ালটন ল্যাপটপের কোটি টাকার বৃত্তি



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ওয়ালটন ল্যাপটপ কোটি টাকার শিক্ষাবৃত্তি প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ

ওয়ালটন ল্যাপটপ কোটি টাকার শিক্ষাবৃত্তি প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানটির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ

  • Font increase
  • Font Decrease

ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য কোটি টাকার শিক্ষাবৃত্তির ঘোষণা দিলো বাংলাদেশি সুপারব্র্যান্ড ওয়ালটন। ১ জুন থেকে ওয়ালটন ল্যাপটপ, কম্পিউটার, ট্যাবলেট পিসি, ডেস্কটপ কিংবা অল-ইন-ওয়ান কম্পিউটার কিনলেই ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য থাকছে নিশ্চিত শিক্ষাবৃত্তি। এ প্রকল্পের আওতায় পরবর্তী তিন মাসে শিক্ষার্থীদের অন্তত ১ কোটি টাকা দেবে ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ল্যাপটপ বিভাগ। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা ওয়ালটনের প্রতিটি ডিজিটাল ডিভাইস ক্রয়ে ২ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকা পর্যন্ত শিক্ষাবৃত্তি পাবেন।

এ উপলক্ষ্যে রোববার (৩০ মে) রাজধানীর বসুন্ধরায় ওয়ালটন করপোরেট অফিসে যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনলাইনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ‘ওয়ালটন ল্যাপটপ কোটি টাকার শিক্ষাবৃত্তি’ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, করোনার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও অনলাইন ও টেলিভিশনের মাধ্যমে পাঠদান চালু রয়েছে। তবে পর্যাপ্ত ডিজিটাল ডিভাইস না থাকায় শতভাগ শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। এক্ষেত্রে ওয়ালটনের কোটি টাকার শিক্ষাবৃত্তি এবং বিনা সুদে কিস্তি সুবিধা ডিজিটাল ডিভাইস সহজলভ্য করবে। ওয়ালটনের এ উদ্যোগ অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এটি শিক্ষার্থী ও শিক্ষাব্যবস্থার জন্য সুসংবাদ।

তিনি আরও বলেন, ওয়ালটন দেশীয় প্রতিষ্ঠান, সুপারব্র্যান্ড। ডিজিটাল ডিভাইস খাতে ওয়ালটন পথ দেখাচ্ছে; এ খাতে নেতৃত্ব দিচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ায় ওয়ালটন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। আমি তাদের সাফল্য কামনা করি।

প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, ২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশে ডিজিটাল ডিভাইস উৎপাদন করছে ওয়ালটন। তারা দেশের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি ডিজিটাল ডিভাইস রফতানি করছে। যার ফলে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং হচ্ছে। আশা করি ওয়ালটনের মাধ্যমে গার্মেন্টস খাতের মতো প্রযুক্তিপণ্য খাত বাংলাদেশের অন্যতম রফতানি আয়ের উৎস হবে।

ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আরও ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ।

অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর নজরুল ইসলাম সরকার, ইভা রেজওয়ানা নিলু, এমদাদুল হক সরকার ও হুমায়ূন কবীর, ওয়ালটন প্লাজা ট্রেডের সিইও মোহাম্মদ রায়হান, প্রধান বিপণন কর্মকর্তা ফিরোজ আলম প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নির্বাহী পরিচালক আজিজুল হাকিম।

ওয়ালটনের এ প্রকল্পের সফলতা কামনা করে শুভেচ্ছাবার্তা দেন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ, লেখক ও সাংবাদিক আনিসুল হক, অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী, অভিনেত্রী তারিন জাহান, রবি টেন মিনিটস স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আয়মান সাদিক প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে রেজাউল আলম বলেন, করোনাকালে শিক্ষার্থীদের জন্য কিছু করার ক্ষুদ্র প্রয়াস থেকে এ উদ্যোগ। আশা করছি এ প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবেন। দীর্ঘ সময়ের জন্য এ কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা করছি।

প্রকৌশলী গোলাম মুর্শেদ বলেন, ডিজিটাল ডিভাইস না থাকায় একজন শিক্ষার্থীও যেন বঞ্চিত না হয়, সে উদ্যেশ্যে এ প্রকল্প চালু করা হয়েছে। আমাদের চাওয়া সবাই যেন শিক্ষার আলোয় আলোকিত হতে পারে। জাতি যখন শিক্ষিত হবে, শিক্ষার মান ও হার যখন বাড়বে, বিশ্বের বুকে বাংলাদেশের অবস্থান তখন শীর্ষে থাকবে। ইতিমধ্যেই গ্লোবাল মার্কেটে ওয়ালটনের গৌরবময় যাত্রা শুরু হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য খুব শিগগিরই ইলেকট্রনিক্স ও প্রযুক্তিপণ্যে সারা বিশ্বে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবে ওয়ালটন।

অনুষ্ঠানে ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এবং ডিজিটাল প্রোডাক্টসের সিইও প্রকৌশলী লিয়াকত আলী জানান, করোনা দুর্যোগের মাঝে শিক্ষার্থীদের অনলাইনভিত্তিক শিক্ষা কার্যক্রম নির্বিঘ্নে করার লক্ষ্যে ‘কোটি টাকা শিক্ষাবৃত্তি প্রকল্প’ চালু হলো। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের জন্য ডিজিটাল ডিভাইস কেনায় জিরো ইন্টারেস্টে ১২ মাসের কিস্তি সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে শিক্ষার্থীরা ঘরে বসে সহজেই তাদের শিক্ষা কার্যক্রম চালাতে পারবেন।

তিনি জানান, শিক্ষার্থীরা দেশের যে কোনো ওয়ালটন শো-রুম থেকে ল্যাপটপ, কম্পিউটার, ট্যাবলেট পিসি, ডেস্কটপ কিংবা অল-ইন-ওয়ান কম্পিউটার কেনার পর নিজের বা অভিভাবকের মোবাইল নম্বর দিয়ে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করবেন। এরপর সফটওয়্যার নিয়ন্ত্রিত স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে শিক্ষাবৃত্তির টাকার পরিমাণ জানিয়ে তাদের মোবাইলে একটি এসএমএস যাবে। তারা শিক্ষাবৃত্তির টাকা নগদ গ্রহণ করতে পারবেন অথবা ক্রয়কৃত পণ্যের মূল্যের সঙ্গে সমন্বয় করতে পারবেন।

   

পাট রফতানিতে বড় চ্যালেঞ্জ কাঁচামাল



আরিফুল ইসলাম মিঠু, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
পাট রফতানিতে বড় চ্যালেঞ্জ কাঁচামাল

পাট রফতানিতে বড় চ্যালেঞ্জ কাঁচামাল

  • Font increase
  • Font Decrease

পাট রফতানি খাতের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো কাঁচামাল, এবং এ কাঁচামালের অভাববেই প্রতিবন্ধক বলে মনে করছেন বাংলাদেশ ডাইভারসিফাইড জুট প্রোডাক্টস, ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রাশেদুল করিম মুন্না।

তিনি বলছেন, বৈচিত্র্যময় পাটজাত পণ্য তৈরির কাঁচামাল পাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশে সীমাবদ্ধতা রয়েছে। পাটজাত পণ্য তৈরির জন্য ভারতে ১০০ ধরনেরও বেশি পাটের কাপড় রয়েছে। সেসব দিয়ে মানসম্পন্ন পণ্যও তৈরি করতে পারে ভারত। অন্যদিকে বাংলাদেশে মাত্র চার থেকে পাঁচ ধরনের কাপড় রয়েছে এবং কাপড়ের গুণগত মানও তেমন ভালো নয়।

কাঁচামাল বিষয়ক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের বিশেষায়িত পাটকল স্থাপন করতে হবে; যা শুধু কাপড়ই তৈরি করবে না, একইসাথে রং করবে এবং লেমিনেশনের সুবিধা থাকবে। এতে উদ্যোক্তারা উচ্চমানের পণ্য তৈরি করতে পারবেন বলে মনে করছেন তিনি।

তিনি বলেন, ডিজাইন, দক্ষতা উন্নয়ন এবং পণ্যের উন্নয়ন নিশ্চিত করার জন্য আমাদের একটি ‘জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার' রয়েছে। ভারতের জাতীয় পাট বোর্ডের মতোই প্রতিষ্ঠানটি আমাদের পণ্য বিক্রির জন্য সংস্থাটির স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে ভূমিকা পালন করে। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি এখনও প্রকল্পের তহবিলে চলে। ফলে, প্রমোশন সেন্টারটি তহবিল সংকটের কারণে উদ্যোক্তাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারে না।

ভারতের এমন চারটি শাখা রয়েছে যা পণ্য উন্নয়ন বা কাঁচামাল উন্নয়নের সাথে সংশ্লিষ্ট। বাজার সম্প্রসারণের জন্য তারা প্রায় ২০-২৫টি আন্তর্জাতিক মেলার আয়োজন করে থাকে। আমাদের সরকারকেও এমন আন্তর্জাতিক মেলার আয়োজন করতে হবে।

এছাড়াও তহবিল সংকট নিরসনে বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘সুলভ ঋণ’ সুবিধাকে কাজে লাগানো যেতে পারে। বিভিন্ন শিল্পখাতে সরকারের তহবিল নির্ধারণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন সুলভ ঋণ বাস্তবায়ন করে থাকে। অন্যান্য খাতে এসব ঋণ সুবিধা বেশি থাকলেও পাট কৃষিজাত পণ্য হওয়ায় তেমন সুবিধা পায় না। এছাড়া ‘সুলভ ঋণের’ তালিকায় অন্তর্ভুক্তও নয় পাট।

কৃষকদের কাছ থেকে কাঁচা পাট সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে আমাদের ২ শতাংশ কর দিতে হয়। শিল্পের উন্নয়নে সরকারকে ট্যাক্স নেওয়া বন্ধ করতে হবে। আবার পাট রফতানিতে প্রণোদনা পাওয়া নিয়েও রয়েছে জটিলতা। পাটজাত পণ্য রফতানিতে প্রণোদনা পাওয়ার প্রক্রিয়া সহজ করতে বাংলাদেশ ব্যাংককে বিদ্যমান সার্কুলার সংশোধন করতে হবে।

আরএমজি খাতের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আরএমজি এত বড় শিল্পখাতে পরিণত হওয়ার কারণ তারা বন্ডেড গুদামের সুবিধা পেয়েছে। আরএমজি সেক্টরের মতো পাট ও চামড়া খাতও সরকারের তেমন সুযোগ-সুবিধা পেতে চায়। কিন্তু এনবিআর কর্মকর্তাদের নেতিবাচক মনোভাবের কারণে তারা নতুন খাতে লাইসেন্স দিতে চান না।

বাংলাদেশ বর্তমানে প্রায় ৮৫ শতাংশ পাটজাত পণ্য, কাঁচা পাট বা সুতা বিদেশে রফতানি করছে। এতে কোনো কমপ্লায়েন্সের প্রয়োজন হয় না। কারণ তারা তাদের কারখানার কাঁচামাল দিয়ে পাট-পণ্য তৈরি করছে। বাংলাদেশে প্রচলিত পাটকলের ৯৯ শতাংশের কোনো কমপ্লায়েন্স সার্টিফিকেট নেই।

;

পাট ও চামড়াজাত পণ্য রফতানিতে বহুমুখীকরণে বাধা কোথায়?



আরিফুল ইসলাম মিঠু, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ইনফোগ্রাফিক্স: মামুনুর রশীদ, বার্তা২৪.কম

ইনফোগ্রাফিক্স: মামুনুর রশীদ, বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দীর্ঘদিন ধরেই রফতানিমুখী পণ্যকে বহুমুখীকরণ করার চেষ্টা করে আসছে বাংলাদেশ। তবে তৈরি পোশাক (আরএমজি) শিল্প থেকে কোনভাবে বেরিয়ে আসতে পারছে না দেশটি ।

বাংলাদেশের সর্বশেষ রফতানি নীতিতে ১৮টি অগ্রাধিকার খাত এবং ১৪টি খাতকে ‘থার্স্ট সেক্টর’ (উদীয়মান খাত) হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

রফতানি নীতিতে বলা হয়েছে, রফতানিকারকরা কম সুদের হারে ঋণ পাবেন, আয়করের ওপর ছাড়, বন্ডেড গুদাম সুবিধা এবং নতুন বাজার, বাজারের পণ্যগুলি খুঁজে বের করতে এবং এফডিআই (ফরেন ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট) বিদেশে বিনিয়োগ করতে পারবেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে ১১.৫২ শতাংশ প্রবদ্ধি অর্জনের জন্য ৭২ বিলিয়ন ডলারের রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। পণ্য রফতানির জন্য লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ৬২ বিলিয়ন ডলার এবং সেবাখাতের জন্য লক্ষ্যমাত্রা ১০ বিলিয়ন ডলার নির্ধারণ করেছে। ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৪.৫৫  বিলিয়ন ডলার এবং প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছিল ৫.৮৮ শতাংশ।

অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে, বাংলাদেশ ৩৭,২০২.৬৩ মিলিয়ন ডলারের আরএমজি পণ্য এবং ৭৯৪.১৯ মিলিয়ন ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য এবং ৬৫৯.৫৪ মিলিয়ন ডলারের পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানি করেছে। আর এতে আরএমজি খাতের অবদান ৮৫.৪২ শতাংশ।

২০১৩-১৪ অর্থবছরে দেশের রফতানি হয়েছে, মোট ৩০,১৮৬.৬২ মিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে আরএমজি খাত ২৪,৪৯১.৮৮ ডলার, ৭৪৫.৬৩ মিলিয়ন ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য এবং ৮২৪.৪৯  মিলিয়ন ডলারের পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানি করেছে। এক্ষেত্রে আরএমজি খাতের অবদান ছিল ৮১.১৩ শতাংশ।

পাট পাটজাত পণ্য

শীর্ষস্থানীয় পাট পণ্য রফতানিকারকদের একজন, ক্রিয়েশন প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাশেদুল করিম মুন্না বলেন, পাটজাত পণ্য বহুমুখীকরণে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কাঁচামাল পাওয়া।

ভারতে পাটজাত পণ্যের বহুমুখীকরণের জন্য একশ’রও বেশি পাটের সুতা রয়েছে। তারা এ সুতা দিয়ে মানসম্পন্ন পণ্য তৈরি করতে পারে। অন্যদিকে, বাংলাদেশে মাত্র চার থেকে পাঁচ ধরনের পাটজাত সুতা রয়েছে এবং এ সুতা তেমন একটা মানসম্পন্ন নয়।

তিনি বলেন, ‘কাঁচামাল আমাদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা পাটজাত পণ্যের বহুমুখীকরণেরণের বলছি, কিন্তু আমাদের কাছে এই ধরনের পণ্য তৈরির কাঁচামাল নেই।’

সমস্যার উত্তরণ প্রসঙ্গে রাশেদুল করিম মুন্না জানান, পাটজাত পণ্যের বহুমুখীকরণের জন্য বিশেষায়িত পাটকল স্থাপন করতে হবে, যা শুধু সুতাই তৈরি করবে না, রঙ এবং লেমিনেশন করার সুবিধাও দেবে, যাতে উদ্যোক্তারা উন্নতমানের পণ্য তৈরি করতে পারেন।

এ জন্য বাংলাদেশের ‘জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার’, আমাদের পণ্য ডিজাইনে সহায়তা, দক্ষতা উন্নয়ন এবং পণ্যের মান উন্নয়নে দক্ষতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে পারে।

এ সেন্টার আমাদের পণ্য বিক্রির জন্য স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারেও একটা বড় ভূমিকা রাখতে পারে। ‘ভারতের জাতীয় পাট বোর্ড’ ঠিক এই কাজটিই করে থাকে।

বাংলাদেশের জুট ডাইভারসিফিকেশন প্রমোশন সেন্টার প্রকল্প সহায়তা দিয়ে চলে বলে ভারতের জাতীয় পাট বোর্ডের মতো ভূমিকা রাখতে পারে না। সীমিত তহবিল দিয়ে এ কাজ করা সম্ভব নয়।

বাংলাদেশ ৮৫ শতাংশ কাঁচা পাট বা সুতা বিদেশে রফতানি করে।

পিছিয়ে চামড়াজাত পণ্য

বাংলাদেশের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে- এলজিডব্লিউ সার্টিফিকেট।

বুড়িগঙ্গা নদী বাঁচাতে হাজারীবাগ থেকে সাভারে ট্যানারি স্থানান্তর করা হয়েছে। সেখানে অনেক কারখানাতেই ‘কমন এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (সিইটিপি- সাধারণ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্ল্যান্ট) স্থাপন করা হয়নি। কোনো কোনো কারখানায় ইটিপি বন্ধ রাখা হয়, অর্থ বাঁচাতে। ফলে এখানকার ট্যানারি শিল্প এখনো পানি ও পরিবেশকে দূষিত করে চলেছে।

দিলজাহান বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএলএলএফইএ) সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ভূঁইয়া জানান, এখন শুধু চীন তাদের কাছ থেকে চামড়া কেনে। তারা একটি পণ্য এক ডলার ১০ সেন্ট থেকে এক ডলার ২০ সেন্টে কেনে। তারা সাত বছর আগে একই পণ্য ২ ডলার ২০ সেন্টে বিক্রি করতেন।

তিনি আরও যোগ করেন, ‘চীন ছাড়া আমাদের কাছ থেকে অন্য কোনো দেশ কাঁচা চামড়া কিনতে আসে না। এর কারণ হিসেবে অন্য দেশগুলোর বক্তব্য, এজন্য আমাদের এলডব্লিউজি সনদ লাগবে। কিন্তু এ সনদ পেতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সনদ লাগবে। এ সদন ছাড়া তারা আমাদের কাছ থেকে কাঁচা চামড়া কিনবে না।’

এ বিষয়ে সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি ) সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান বলেন, প্রতিটি সেক্টরে নিজস্ব সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তার সঙ্গে তারা যে কাঠামোতে কাজ করে সেখানেও সীমাবদ্ধতা রয়েছে।

তিনি বলেন, ‘যদিও আরএমজি সেক্টর ৪০ বছরের পুরনো একটি শিল্প। তারপরেও এখাতে প্রণোদনা দিতে হয়। এটি এখন পক্ষপাতমূলক হয়ে গেছে। তারা এখনো বন্ডেড সুবিধা ভোগ করে’।

‘আরএমজি উদ্যোক্তারা নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা করতে পারলেও অন্য শিল্পখাতের উদ্যোক্তারা তা করতে পারেননি। ফলে, অন্যান্য খাতের উদ্যোক্তারা দুর্বলই থেকে যাচ্ছেন।’- বলে মনে করেন তৌফিকুল ইসলাম খান।

তিনি এটাও স্মরণ করে দেন, ‘আরএমজি উদ্যোক্তারা যখনই কোনো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছেন, তখনই তারা ঐক্যবদ্ধভাবে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করেছেন। অন্য সেক্টরের স্টেকহোল্ডাররা তা করতে পারেননি। ফলস্বরূপ, নীতিনির্ধারণ সবসময় যারা বেশি প্রভাবশালী, তাদের প্রতি পক্ষপাতদুষ্ট ছিল। চামড়া শিল্পের সমস্যা হচ্ছে, কমপ্লায়েন্স সমস্যা। এটি এই খাতের একটি সুনির্দিষ্ট সমস্যা। এইখান থেকে উন্নীত হতে হবে।’

কৌশলগত প্রচেষ্টার উপর জোর দিয়ে সিপিডি’র সিনিয়র রিসার্চ ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান জানান, সরকার রফতানিখাতকে 'থ্রাস্ট সেক্টর’ ঘোষণা করেছে। এসব পণ্যের বাজার সম্প্রসারণের জন্য আমাদের কৌশলগত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার প্রয়োজন।

;

কৃষি খাতকে লাভজনক করতে স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহারের বিকল্প নেই: এফবিসিসিআই



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
কৃষি খাতকে লাভজনক করতে স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহারের বিকল্প নেই

কৃষি খাতকে লাভজনক করতে স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহারের বিকল্প নেই

  • Font increase
  • Font Decrease

কৃষির উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, ব্যয় হ্রাস, কৃষিপণ্যের অপচয় রোধ, কৃষকদের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করার পাশাপাশি কৃষি খাতকে অধিক লাভজনক করতে জরুরি ভিত্তিতে স্মার্ট প্রযুক্তি গ্রহণের ওপর বিশেষ জোর দিয়েছে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন দি ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই)।

মঙ্গলবার (এপ্রিল ৩০) দুপুরে মতিঝিলে অবস্থিত এফবিসিসিআই কার্যালয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান সিসকো (CISCO) এর একটি প্রতিনিধি দলের সাথে অনুষ্ঠিত সভায় এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি ড. যশোদা জীবন দেব নাথ।

এ সময় তিনি বলেন, আগামী দিনের চ্যালেঞ্জ হলো খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। খাদ্যের জোগান ঠিক রাখতে হলে কৃষকদের বাঁচাতে হবে। কৃষির উৎপাদনশীলতা বাড়াতে হবে, চাষাবাদের ব্যয় কমাতে হবে। মাটি, পানিসহ খনিজ সম্পদের উপযুক্ত ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। কার্বন নিঃসরণ হ্রাস এবং জলবায়ু ইস্যুতে দায়িত্বশীল হতে হবে। এক্ষেত্রে কৃষিতে স্মার্ট প্রযুক্তির ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।

জমি কর্ষণ, সেচ, শস্য মাড়াই, কৃষিপণ্য সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বাজারজাতকরণে আইওটি (ইন্টারনেট অব থিংস) সহ সর্বাধুনিক স্মার্ট প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কৃষিকে আরও লাভজনক করতে সরকার, বেসরকারি খাত, গবেষণা সংস্থা এবং প্রযুক্তি উন্নয়ন সহযোগী (Solution Provider) সহ সকল অংশীজনকে দ্রুত সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে বলে জানান ড. যশোদা জীবন দেবনাথ।

যান্ত্রিকীকরণকে বেগবান করতে কৃষিতে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ও স্মার্ট প্রযুক্তি আমদানিতে শুল্ক ছাড়সহ অন্যান্য সুবিধা প্রদান জরুরি বলে এসময় মন্তব্য করেন উপস্থিত বক্তারা। পাশাপাশি, স্মার্ট কৃষি বাস্তবায়নের অন্তরায় সকল আমলাতান্ত্রিক জটিলতা দূর করার আহ্বান জানান তারা।

এসময়, বাংলাদেশে স্মার্ট কৃষি বাস্তবায়নের যাত্রায় অন্যতম সহযোগী হিসেবে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেন সিসকো কমার্স ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন অফিসের টেক লিড দীনেশ পাল সিং।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মির্জা হাসানুজ্জামান, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের অবসর প্রাপ্ত অতিরিক্ত মহাপরিচালক ইঞ্জিনিয়ার মো. বেলায়েত হোসেন, অতীশ দীপঙ্কর ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির এগ্রি বিজনেস বিভাগের চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন, এফবিসিসিআই’র সাবেক পরিচালক এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, এফবিসিসিআই’র সাধারণ পরিষদের সদস্যবৃন্দ, ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ প্রমুখ।

;

বিকাশ পেমেন্টে গোল্ড কিনে জমাতে পারছেন ‘গোল্ড কিনেন’ অ্যাপের গ্রাহকরা



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গোল্ড কিনেন অ্যাপের গ্রাহকরা এখন বিকাশ পেমেন্টের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানের হলমার্ক ও সার্টিফাইড ২২ ক্যারেট গোল্ড ক্রয়, সঞ্চয়, বিক্রয়, উপহার এবং বার ও কয়েন রূপে উত্তোলন করতে পারছেন।

ক্রয়কৃত গোল্ড দেশের যেকোনো স্থানে নির্দিষ্ট পিক-আপ পয়েন্ট থেকে অথবা ঢাকা সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত এলাকায় ঘরে বসেই উত্তোলন করতে পারছেন গ্রাহকরা। এ লক্ষ্যে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে গোল্ড কিনেন ও বিকাশ। সেই সঙ্গে ৩১ মে পর্যন্ত চলা ক্যাশব্যাক ক্যাম্পেইনের আওতায় গ্রাহকরা গোল্ড কিনেন অ্যাপ থেকে গোল্ড কিনে পেমেন্ট বিকাশ করলেই পাচ্ছেন ৫% ইনস্ট্যান্ট ক্যাশব্যাক, ১০০ টাকা পর্যন্ত।

চুক্তি স্বাক্ষরের সময় উপস্থিত ছিলেন বিকাশ-এর চিফ কমার্শিয়াল অফিসার আলী আহম্মেদ ও চিফ ফিনান্সিয়াল অফিসার মঈনুদ্দিন মোহাম্মদ রাহগীর, গোল্ড কিনেন-এর প্রতিষ্ঠাতা কামরান সঞ্জয় রহমান, রাফাতুল বারি লাবিব ও আতেফ হাসান এবং উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশের প্রথম গোল্ড অ্যাপ ‘গোল্ড কিনেন’। গোল্ড কেনা যেন আরও সহজ, সাশ্রয়ী ও স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক হয় সেই লক্ষ্যেই যাত্রা শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। এই চুক্তির ফলে গোল্ড কিনেন গ্রাহকরা অ্যাপ থেকেই সহজ, নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে গোল্ড কিনতে ও উত্তোলন করতে পারছেন বিকাশ পেমেন্টের মাধ্যমে। গোল্ড কিনেন অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোর ও অ্যাপল অ্যাপ স্টোর থেকে ডাউনলোড করা যায়।

;